মুরাদনগরে ট্রিপল মার্ডার: রিমান্ডে চাঞ্চল্যকর তথ্য দিয়েছে আসামিরা
কুমিল্লা ব্যুরো
প্রকাশ: ১৪ জুলাই ২০২৫, ০৪:১৯ এএম
ছবি: সংগৃহীত
|
ফলো করুন |
|
|---|---|
কুমিল্লার মুরাদনগরে ট্রিপল মার্ডার মামলায় তিন দিনের রিমান্ডে আসামিদের কাছ থেকে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য বেড়িয়েছে। রোববার বিকেলে তিন দিনের রিমান্ড শেষে মামলার ৮ আসামিকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
এদিন কুমিল্লার আমলি আদালত-১১ এর বিচারক মমিনুল হকের আদালতে আসামিদের হাজির করা হলে বিচারক সবাইকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
তদন্ত সংশ্লিষ্ট একটি সূত্র জানায়, আলোচিত ওই হত্যাকাণ্ডের বিষয়ে রিমান্ডে থাকা আসামিরা গুরুত্বপূর্ণ তথ্য দিয়েছে। সেদিনের ঘটনার নেপথ্যে কারা ছিল? কাদের ইন্ধনে এ গণপিটুনির ঘটনা সংগঠিত হয়েছে? ঘটনার আগের রাতে বাছির মিয়ার ডাকে বৈঠকে কারা উপস্থিত ছিলেন? ইউপি চেয়ারম্যান শিমুল বিল্লাল কি ধরনের নির্দেশনা দিয়েছিলেন? আসামিদের কাছ থেকে এসব প্রশ্নের উত্তর মিলেছে।
তবে পুলিশের ওই সূত্র জানায়, মামলার প্রধান আসামি সহ গুরুত্বপূর্ণ আসামিরা এখনো গ্রেফতার হয়নি। যার ফলে এ ঘটনার অনেক তথ্য উপাত্ত বাকি রয়েছে। তাছাড়া গুরুত্বপূর্ণ আসামিরা গ্রেফতার না হলে মামলার চূড়ান্ত গতি এবং তদন্ত কার্যক্রম নিষ্পত্তি করা যাবেনা।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ডিবির এসআই নয়ন কুমার চক্রবর্তী বলেন, রিমান্ডে থাকা আট আসামিকে তিন দিনব্যাপী জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। রোববার বিকেলে আদালতের মাধ্যমে তাদেরকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। এ মামলায় বাকি আসামীদের গ্রেফতারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
এ বিষয়ে কুমিল্লা ডিবির ওসি মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ বলেন, মামলাটি থানা পুলিশের পর আমরা তদন্তভার নিয়েছি। তিন দিনের জিজ্ঞাসাবাদে আসামিদের কাছ থেকে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পাওয়া গেছে। প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে মামলাকে এগিয়ে নিতে সহায়ক ভূমিকা রাখবে। এই মামলায় অভিযুক্ত বাকি আসামিদের গ্রেফতারে ডিবি পুলিশের একাধিক টিম কাজ করছে।
উল্লেখ্য গত ৩ জুলাই মুরাদনগর উপজেলার বাঙ্গরা বাজার থানাধীন কড়ইবাড়ি গ্রামে গণপিটুনিতে নিহত হন একই পরিবারের তিনজন। মাদক ব্যবসায়ী রোকসানা বেগম রুবি, তার মেয়ে জোনাকি এবং ছেলে রাসেলকে ঘটনাস্থলেই কুপিয়ে এবং পিটিয়ে হত্যা করা হয়।
ঘটনা পরদিন ৩৮ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাতপরিচয় ২৫ জনকে আসামি করে থানায় মামলা করেন নিহত রোকসানার বড় মেয়ে রিক্তা আক্তার। মামলায় প্রধান আসামি করা হয়েছে স্থানীয় আকুবপুর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান শিমুল বিল্লালকে। এরই মধ্যে এ মামলায় মোট নয়জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
