নোয়াখালী চৌমুহনীর সন্তান উত্তরা মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজে সপ্তম শ্রেণির বাংলা ভার্সনে অধ্যয়নরত শিক্ষার্থী কামরুল হাসান মৃত্যুর মুখ থেকে ফিরে এলো মা-বাবার কোলে।

মঙ্গলবার দুপুরে চৌমুহনীর গোলাবাড়িয়া কামরুল হাসানের বাসায় গিয়ে দেখা যায় আত্মীয়স্বজনের ভিড়।

জানা গেছে, উত্তরা মাইলস্টোন কলেজে ভয়াবহ বিমান দুর্ঘটনার সময় চৌমুহনী সরকারি এসএ কলেজছাত্র সংসদের সাবেক এজিএস ও নোয়াখালী জেলা কৃষক দলের যুগ্ম আহ্বায়ক মো. হানিফের ছেলে কামরুল হাসান স্কুলেই ছিল। ছেলেকে ফিরে পেয়ে আল্লাহর দরবারে শুকরিয়া আদায় করেন হানিফ। এ সময় তিনি আবেগাপ্লুত হয়ে পড়েন।

এজিএস হানিফ বলেন, যখন বিমান দুর্ঘটনার কথা আমি মোবাইলে জানতে পারি তখন দুশ্চিন্তায় পড়ে যাই। বারবার যোগাযোগ করে ছেলেকে পাচ্ছিলাম না। অনেক পরে একপর্যায়ে তার সঙ্গে যোগাযোগ হয়। তখন নিশ্চিন্ত হই যে ছেলে স্কুলে আছে এবং বেঁচে আছে।

হানিফ বলেন, এরপর আমি আমার বন্ধু ইঞ্জিনিয়ার মিজানুর রহমানকে বললে সে স্কুলে গিয়ে এক কাপড়ে নোয়াখালী পাঠানোর ব্যবস্থা করে।

স্কুলছাত্র কামরুল হাসান জানায়, ঘটনার সময় আমরা স্কুলে ছিলাম। ক্লাশ প্রায় শেষপর্যায়ে, হঠাৎ বিমানটি বিকট শব্দে বিস্ফোরিত হয়। আমাদের সামনেই অনেকে মারা গেছে। আমরা অল্পের জন্য প্রাণে বেঁচে যাই। পরে আমাদের উদ্ধার করে একটি রুমে নিয়ে যাওয়া হয়। বিকালের দিকে আঙ্কেল আমাকে স্কুল থেকে এনে নোয়াখালী পাঠিয়ে দেন।