Logo
Logo
×

সারাদেশ

পাবলিক টয়লেট এখন নকলনবিশ কার্যালয়

Icon

কুমিল্লা উত্তর প্রতিনিধি

প্রকাশ: ২৯ জুলাই ২০২৫, ০১:১০ পিএম

পাবলিক টয়লেট এখন নকলনবিশ কার্যালয়

ছিল উপজেলা পরিষদের পাবলিক টয়লেট। সেটি ভেঙে ওই স্থানে করা হয়েছে সাবরেজিস্টার অফিসের আওতাভুক্ত নকলনবিশ কার্যালয়।  স্থাপনায় পরিবর্তন আনলেও সেখানে রয়ে গেছে দুর্গন্ধ। পাশাপাশি ছোট কক্ষটিতে কাজ করতে পারছে না নকলনবিশ কর্মচারীরা। এতে ভোগান্তিতে পড়েছেন তারা। পাশাপাশি টয়লেট না থাকায় বিপাকে পড়েছে পরিষদে আসা সেবাগ্রহীতারা। ঘটনাটি কুমিল্লার তিতাস উপজেলা পরিষদের।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, পাবলিক টয়লেটটি ভেঙে একটি ছোট কক্ষ করা হয়েছে। সেখানে ১৫ নকলনবিশ কর্মচারীকে বসার জায়গা করে দেওয়া হয়েছে। একজন এক টেবিল থেকে অন্য টেবিলে যেতে চাইলে এজনকে উঠে বের হয়ে যেতে হয়।  এছাড়া কক্ষটিতে থেকে স্যানেটারি পাইপে রয়েছে দুর্গন্ধ।

এমতাবস্থায় কাজ করা নকলনবিশ কর্মচারীরা দুর্বিষহ হয়ে পড়েছেন। এ জন্য নকল লেখা বন্ধ রেখেছে দুই সপ্তাহ ধরে। এতে দলিল লেখকসহ সেবা গ্রহীতারা ভোগান্তিতে পড়েছে।  পাশাপাশি উপজেলা পরিষদ থেকে সেবা নিতে আসা সেবাগ্রহীতার প্রকৃতির ডাকে সারা দিতে গিয়ে প্রতিনিয়ত বিপাকে পড়তে হচ্ছে। 

উপজেলা কমপ্লেক্সের সামনে থাকা চা দোকানি আনিছুর রহমান ও উপজেলা সেবা নিতে আসা লাক মিয়া বলেন, ‘উপজেলা কমপ্লেক্সে পাবলিক টয়লেট অতি জরুরি। প্রতিদিন শত শত মানুষ এখানে সেবা নিতে আসে। টয়লেট না পেয়ে মলমূত্রত্যাগের জন্য তারা এদিক সেদিক ছুটাছুটি করে বেড়ায়। এটা লজ্জাজনক বিষয়।’

নকলনবিশ মো. জাহাঙ্গীর আলম স্বপন বলেন, ‘আগে আমরা যেখানে বসে নকল লিখতাম, সে কক্ষে সাব-রেজিস্ট্রার স্যার খাসকামরা করার জন্য সংস্কার করছেন। তাই পাবলিক টয়লেট ভেঙে আমাদেরকে এখানে বসার জায়গা করে দেওয়া হয়েছে। এ ছোট কক্ষে ১০ থেকে ১৫ বসে কাজ করা সম্ভব না।  খুব দুর্গন্ধ আসে, তাই সকলে নকল লেখা বন্ধ রেখেছে। ’

দলিল লেখক সমিতির সিনিয়র সহসভাপতি মো. জাকির হোসেন বলেন, ‘নকল না লেখার কারণে আমরা খুব সমস্যায় আছি।  অনেক গ্রহীতা নকল না পাওয়ার কারণে জমি খারিজ করতে পারছে না। ‘

এ বিষয়ে উপজেলা সাব-রেজিস্ট্রার মো. শরীফুল ইসলাম বলেন, ‘এটা আমাদের অভ্যন্তরীণ বিষয়। আগের কক্ষে সংস্কার কাজ চলছে। ২০ থেকে ২৫ দিন পর এসে খবর নিয়েন। ‘ তিনি আরও বলেন, ‘আমাদের কাকে কোথায় বসতে দেব সেটা আমাদের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ দেখবে।’

কার অনুমতি নিয়ে পাবলিক টয়লেট ভেঙেছেন এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, ‘এটা আমরা পাবলিককে জিজ্ঞাসা করে করবো না ‘

এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সুমাইয়া মমিন বলেন, ‘আমরা রেজুলেশন করে দুটো রুম বরাদ্দ দিয়েছি। একটি রেজিস্টার অফিসকে অপরটি প্রাণী সম্পদ অফিসকে। কিন্তু সাব-রেজিস্টার অফিসের বরাদ্দকৃত রুমে না গিয়ে, কি কারণে পাবলিক টয়লেট ভেঙে নকলনবিশ অফিস করেছে তা জানা নেই। এর জন্য কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হয়েছে। ’

Logo

সম্পাদক : আবদুল হাই শিকদার

প্রকাশক : সালমা ইসলাম