জনি হত্যাকাণ্ড: ওসিসহ তিন কর্মকর্তার প্রত্যাহার দাবি
সিদ্ধিরগঞ্জ দক্ষিণ (নারায়ণগঞ্জ) প্রতিনিধি
প্রকাশ: ১৫ আগস্ট ২০২৫, ০৯:২৫ পিএম
ছবি: যুগান্তর
|
ফলো করুন |
|
|---|---|
নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জে মাকসুদুল হাসান জনি হত্যাকাণ্ডের রহস্য উদঘাটনে দায়িত্বে অবহেলার অভিযোগ এনে সংশ্লিষ্ট থানার ওসি ও সেকেন্ড অফিসারের প্রত্যাহারের দাবি জানিয়েছেন নিহতের স্বজন ও স্থানীয়রা।
জুমার পর নাসিক ৩নং ওয়ার্ডের সর্বস্তরের বাসিন্দাদের ব্যানারে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের সানারপাড় এলাকায় সড়ক অবরোধ করে মানববন্ধন করেন স্থানীয়রা। এ সময় প্রায় ৩০ মিনিট যান চলাচলে বিঘ্ন ঘটে।
প্রত্যাহার চাওয়া পুলিশ কর্মকর্তাদের মধ্যে রয়েছেন- সিদ্ধিরগঞ্জ থানার ওসি মোহাম্মদ শাহিনূর আলম, সেকেন্ড অফিসার মাহবুব হাসান এবং উপ-পরিদর্শক (এসআই) বজলুর রহমান।
মানববন্ধনে অংশ নিয়ে জনির স্ত্রী মোছাম্মত ইভা বলেন, জুলাই মাসের ১৫ তারিখ আমার স্বামীর মৃত্যু হলেও আমরা লাশ পেয়েছি ১৮ জুলাই। তাকে সংঘবদ্ধভাবে হত্যা করা হয়েছে। যারা হত্যা করেছে তাদের তিনজনকে আমরা পুলিশের কাছে সোপর্দ করেছিলাম। তারা হলেন- লাশ উদ্ধার করা ভবনের দারোয়ান আলমগীর, তার ছেলে ইমন ও আকাশ। ইমন আমার স্বামীকে বাসা থেকে ডেকে নিয়ে গিয়েছিল।
তিনি অভিযোগ করে বলেন, আমরা যখন মামলার সঠিক তদন্তের জন্য থানায় গিয়ে হাজির হই তখন ওসি আমাদের এড়িয়ে যান। তিনি আমার শ্বশুরের সঙ্গেও খারাপ আচরণ করেছেন।
এ বিষয়ে ওসি মোহাম্মদ শাহিনূর বলেন, এ হত্যাকাণ্ডে ৭ আসামির ৪ জনকে গ্রেফতার করে আদালতে পাঠিয়েছি। বাকিদের ধরার চেষ্টা চলছে। চুরি নিয়ে দ্বন্দ্বের জেরে এ হত্যাকাণ্ড। আসামি আলমগীর ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তি দিয়েছেন।
মামলায় অবহেলা এবং আসামিদের বাঁচানোর অভিযোগের বিষয়ে তিনি বলেন, মামলার পর থেকে বাদী আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ করেননি। দায়িত্বভার পাওয়া কর্মকর্তা যদি অবহেলা করে থাকেন তাহলে তারা আমাকে অন্তত জানাতে পারতেন। এরপরও যদি তাদের মনে হয় আরও আসামি করা উচিত সেটার জন্যও তদন্ত রয়েছে।
মানববন্ধন সম্পর্কে ওসি বলেন, এ মানববন্ধন অন্য খেলা। জমিজমাসহ রাজনৈতিক কিছু বিষয়াদি রয়েছে; যা এটাকে ইস্যু করছে।
