বালু পরিবহণে ট্রেনপ্রতি ৩ লাখ টাকা ঘুস নেওয়ার অভিযোগ
পঞ্চগড় প্রতিনিধি
প্রকাশ: ২০ আগস্ট ২০২৫, ১০:৫৪ পিএম
ছবি: সংগৃহীত
|
ফলো করুন |
|
|---|---|
পঞ্চগড় রেল স্টেশন থেকে মালবাহী ট্রেনে করে বালু পরিবহণ শুরু হওয়ায় অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডে নতুন সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে। তবে এ প্রক্রিয়া শুরু হতে না হতেই স্টেশন সংশ্লিষ্ট কয়েকজন কর্মকর্তা-কর্মচারীর বিরুদ্ধে অনিয়ম আর ঘুস বাণিজ্যের অভিযোগ উঠেছে।
ব্যবসায়ী ও শ্রমিকরা বলছেন, মালবাহী ট্রেনে অতিরিক্ত বালু লোডের জন্য আড়াই থেকে তিন লাখ টাকা পর্যন্ত ঘুস দিতে হয়। ট্রেন চলার সময় ঝাঁকিতে বালু পড়ে কমে যাওয়ায় ব্যবসায়ীরা কয়েক ইঞ্চি অতিরিক্ত বালু লোড করেন। আর এর বিনিময়ে এই ঘুস দিতে হয়।
ব্যবসায়ীরা জানান, ১০ থেকে ১৫ হাজার টাকার বালু ১০ চাকার ট্রাকে ঢাকা, গাজীপুর, কুষ্টিয়া, রাজশাহী, পাবনা, নাটোর, নওগাঁ, বগুড়ায় পরিবহণ করতে গুনতে হয় ৪০ থেকে ৪৫ হাজার টাকা। অথচ রেলপথে একই পরিমাণ বালু পরিবহণে খরচ হয় ৩০ থেকে ৩৫ হাজার টাকা। যমুনা সেতু দিয়ে সরাসরি রেলপথে পঞ্চগড় থেকে ঢাকা পর্যন্ত বালু পাঠানো গেলে পরিবহণ খরচ ২০ থেকে ২৫ শতাংশ কমে যায়।
জানা যায়, বালু লোডের বিপরীতে সংশ্লিষ্ট স্টেশনে কর্মরত স্টেশন ইনচার্জ, জেটিআইটি এক্স আর, আরএনবিএসআই-সহ বিভিন্ন দপ্তরে মোটা অঙ্কের ঘুস দিতে হচ্ছে ব্যবসায়ীদের। অতিরিক্ত এই বালু পরিবহণের জন্য এসব দপ্তরে মালবাহী ট্রেনপ্রতি প্রায় আড়াই থেকে তিন লাখ টাকা ঘুস দিতে হয়। অনেক সময় ব্যবসায়ীকে বাধ্য করেই নেওয়া হচ্ছে টাকা।
স্থানীয় ব্যবসায়ী রবি হাসান বলেন, ওভার লোডে ঘুস লেনদেনের বিষয়টি এখন ওপেন সিক্রেট। রেলে বালুর ব্যবসা শুরু হওয়ায় ব্যবসায়ীদের মধ্যে উৎসাহ দেখা দিলেও বেপরোয়া দুর্নীতির কারণে যেকোনো সময় বালু পরিবহণ বন্ধ হয়ে যেতে পারে। তখন আমরা সবাই ক্ষতিগ্রস্ত হব।
পঞ্চগড় রেলওয়ের ভারপ্রাপ্ত স্টেশন ইনচার্জ জাহেদুল ইসলাম ও জুনিয়র ট্রাফিক ইন্সপেক্টর মোশারফ হোসেনের সঙ্গে যোগাযোগ করলে তারা জানান, মালবাহী ট্রেনে অতিরিক্ত বালু লোড করা হয় না। কিছু ব্যবসায়ী অবৈধ সুযোগ নেওয়ার জন্য এমন অভিযোগ করছেন। এখানে ঘুস বাণিজ্য হয় না। নিয়মতান্ত্রিকভাবেই বালু পরিবহণ করা হচ্ছে।
