Logo
Logo
×

সারাদেশ

কবিরাজি নয় ঝাড়ফুঁক দিতে পারবেন: বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালক

Icon

সোনাইমুড়ি (নোয়াখালী) প্রতিনিধি

প্রকাশ: ৩১ আগস্ট ২০২৫, ০৬:৫৭ পিএম

কবিরাজি নয় ঝাড়ফুঁক দিতে পারবেন: বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালক

নোয়াখালীর সোনাইমুড়িতে ভণ্ড প্রতারক মানিক খোনারের আস্তানা ভ্রাম্যমাণ আদালতের সিলগালা করার এক সপ্তাহ পর খুলে দিয়েছে স্বাস্থ্য বিভাগ। এতে এলাকায় চরম উত্তেজনা ও ক্ষোভ বিরাজ করছে।

চট্টগ্রাম বিভাগীয় পরিচালক (স্বাস্থ্য) ডা. শেখ ফজলে রাব্বি বলেন, ওই কবিরাজের কাছ থেকে মুচলেকা নেওয়া হয়েছে। কবিরাজি না করে ঝাড়ফুঁক দেবেন আগত রোগীদের। এ মর্মে কবিরাজের আস্তানা নোয়াখালী সিভিল সার্জনকে দেখে ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছি।

তবে তিনি বলেন, কে খুলে দিয়েছে তা আমি জানি না।

নোয়াখালী জেলা সিভিল সার্জন ডাক্তার মরিয়ম সিমিকে এ বিষয়ে মোবাইলে ফোনে একাধিকবার চেষ্টা করেও তাকে পাওয়া যায়নি।

উল্লেখ্য, উপজেলার হাটগাঁও গ্রামের মৃত মোজাফফর হোসেনের পুত্র আব্দুল মালেক ওরফে মানিক খোনার বিভিন্ন রোগের চিকিৎসা দেওয়ার নামে প্রতারণা করে আসছেন। বিগত ৯ বছর যাবত ক্যানসার, ডায়াবেটিস, পলিপাস, সংসারে অমিল, বিয়ে না হওয়া, আপসসহ বিভিন্ন ধরনের জটিল ও কঠিন রোগ সারিয়ে দেওয়ার আশ্বাসে দিয়ে নিরীহ জনসাধারণ থেকে বিপুল অঙ্কের টাকা হাতিয়ে নেন। ইতোপূর্বেও তার আস্তানায় অভিযান চালিয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার টিনা পাল, ডক্টর রহিমা খাতুন ও রবিউল ফয়সাল নগদ অর্থ জরিমানা ও মুচলেকা নেন।

সম্প্রতি মানিক খোনারের বিরুদ্ধে বিভিন্ন দপ্তরে লিখিত অভিযোগ করেন উপজেলার হাটগাঁও গ্রামের মৃত আনোয়ার হোসেনের ছেলে ভুক্তভোগী নুরুন্নবী, মানিক। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নাছরিন আক্তারের নির্দেশে গত ১৮ আগস্ট অভিযান চালিয়ে তার আস্তানা সিলগালা করে দেন উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাক্তার ইসরাত জাহান। পরে গত ২৮ আগস্ট চট্টগ্রাম বিভাগীয় পরিচালক (স্বাস্থ্য) ও নোয়াখালী জেলা সিভিল সার্জনের নির্দেশে এই ভণ্ড কবিরাজের আস্তানা খুলে দেওয়া হয়।

ভুক্তভোগী নুরুন্নবীর অভিযোগ, কবিরাজের প্রতারণার বিষয়ে সিভিল সার্জনসহ বিভিন্ন দপ্তরে লিখিত অভিযোগ ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট কোর্টে মামলা রয়েছে। বিভিন্ন পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে, তারপরও চট্টগ্রাম বিভাগীয় পরিচালকের (স্বাস্থ্য) নির্দেশে তার আস্তানা খুলে দিয়েছে।

এ বিষয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাক্তার ইসরাত জাহান জানান, গত ২৮ আগস্ট আমি অফিসে ছিলাম না। বিভাগীয় নির্দেশে আমার অফিসে এসে মানিক খোনার অঙ্গীকারনামা দিয়ে তালার চাবি নিয়ে যান সহকারী অর্জুন চন্দ্র দাসের কাছ থেকে।

এ বিষয়ে সোনাইমুড়ি উপজেলা নির্বাহী অফিসার নাছরিন আক্তার জানান, প্রতারক মানিক খোনারের বিরুদ্ধে আমরা একাধিক অভিযান করেছি। তাকে ভ্রাম্যমাণ আদালতেও দিয়েছি। এবার আর কোনো অভিযোগ পেলে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

Logo

সম্পাদক : আবদুল হাই শিকদার

প্রকাশক : সালমা ইসলাম