ফরিদগঞ্জে বিএনপির মনোনয়ন প্রত্যাশীদের বাকযুদ্ধ তুঙ্গে
ফরিদগঞ্জ (চাঁদপুর) প্রতিনিধি
প্রকাশ: ০১ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১১:৪২ এএম
|
ফলো করুন |
|
|---|---|
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে চাঁদপুর-৪ ফরিদগঞ্জ আসনের বিএনপির মনোনয়ন প্রত্যাশীদের প্রকাশ্যে বাকযুদ্ধ তুঙ্গে উঠেছে। বিশেষ করে অন্যতম দুই মনোনয়ন প্রত্যাশী লায়ন হারুন ও এম এ হান্নানের মধ্যকার বিরোধ জমে উঠেছে। সর্বশেষ, গত রোববার যুবদল স্বেচ্ছাসেবকদল ও ছাত্রদল আয়োজিত তারুণ্যের সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখতে গিয়ে উপজেলা বিএনপির আহবায়ক এম এ হান্নান প্রকাশ্যে সাবেক এমপি লায়ন হারুনকে চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিয়েছেন।
অন্যদিকে চাঁদপুর-৪ (ফরিদগঞ্জ) আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ও বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির ব্যাংকিং ও রাজস্ব বিষয়ক সম্পাদক লায়ন মোহাম্মদ হারুনুর রশিদ তার প্রতিদ্বন্ধি মনোনয়ন প্রত্যাশী এম এ হান্নানকে নিয়ে সরাসরি কিছু না বললেও তার নেতাকর্মীরা এম এ হান্নানকে নিয়ে নানা মন্তব্য করছেন। ফলে দিন যত এগুচ্ছে উভয় নেতার মধ্যকার দুরত্ব বাড়ছে।
উপজেলা বিএনপির আহবায়ক এম এ হান্নান বলেন, ‘জাল জালিয়াতি করে ২০০৮ ও ২০১৮ সালের বিএনপির দলীয় মনোনয়ন ছিনিয়ে নিয়েছেন লায়ন হারুন। তিনি কীভাবে দলীয় মনোনয়ন পেয়েছেন, তার শিক্ষাগত যোগ্যতা নিয়ে মিথ্যাচার করেছেন। বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনে তার দলীয় পদ পদবির অতীত ইতিহাস নিয়ে নিজের অবস্থান পরিষ্কার করুক তিনি। তিনি উড়ে এসে জুড়ে বসেছেন। কিন্তু এবার আর কোনো সুযোগ নেই। কারণ, এবার এইচটি ইমাম, শেখ হাসিনা এবং ছহুল হোসেন নেই। যাদেরকে দিয়ে তিনি রাতের আঁধারে মনোনয়নপত্র বৈধ করেছেন এবং এমপি হয়েছেন।’
তিনি চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিয়ে বলেন, লায়ন হারুন ২০০৮ ও ২০১৮ সালের বিএনপির দলীয় মনোনয়ন দেখাতে পারলে তিনি রাজনীতি ছেড়ে দিবেন।
অন্যদিকে চাঁদপুর-৪ (ফরিদগঞ্জ) আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ও বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির ব্যাংকিং ও রাজস্ব বিষয়ক সম্পাদক লায়ন মোহাম্মদ হারুনুর রশিদ তার মনোনয়ন প্রতিদ্বন্দ্বি নিয়ে কোন মন্তব্য করতে রাজি হননি। তবে তিনি বলেন, দলীয় মনোনয়ন নিয়েই তিনি ২০০৮ সালে এমপি হয়েছেন। এখন দলীয় নিদের্শনা মোতাবেক নেতাকর্মীদের নিয়ে বিএনপির ৩১ দফা জনগণের কাছে পৌঁছে দিতে মানুষের দ্বারে দ্বারে যাচ্ছেন। কিন্তু এম এ হান্নান যেভাবে কথা বার্তা বলেছেন তাতে দলের মধ্যে অস্বস্তি তৈরি হচ্ছে। যা মোটেও সুখকর নয়।
এদিকে লায়ন হারুনের অনুসারী উপজেলা যুবদলের সাবেক আহবায়ক নাসির পাটওয়ারী বলেন, এম এ হান্নান দলকে নিঃশেষ করে দিচ্ছেন। তিনি প্রকাশ্য জনসভায় বিএনপির বিরুদ্ধাচরণ করছেন। নিজের নেতাকর্মীদের তিনি অনিয়ম ও দুর্নীতি এবং চাঁদাবাজি থেকে আটকাতে পারছেন না। এতে দলের সুনাম ক্ষুন্ন হচ্ছে।
