টাঙ্গাইলে করোনায় আক্রান্তরা সবাই ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ থেকে আসা
টাঙ্গাইল প্রতিনিধি
১৩ এপ্রিল ২০২০, ২০:০৪:২০ | অনলাইন সংস্করণ
টাঙ্গাইলে নতুন করে আরও পাঁচজন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। এ নিয়ে জেলায় মোট সাতজন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হলো।
আক্রান্তরা ঢাকা ও নারায়ণগঞ্জ থেকে টাঙ্গাইল আসার পর তাদের নমুনা পরীক্ষায় করোনা পজিটিভ ধরা পড়ে। এতে করে পুরো টাঙ্গাইল জেলায় ঢাকা ও নারায়ণগঞ্জ থেকে আগতদের নিয়ে আতংক বিরাজ করছে।
নতুন করে পাঁচজন আক্রান্তের তিনজনই ভূঞাপুর উপজেলার। বাকি দুইজন নাগরপুর ও মধুপুর উপজেলার। তাদের আক্রান্ত হওয়ার খবর পাওয়ার পর তাদের বাড়ি এবং গ্রাম লকডাউন করা হয়েছে।
আক্রান্ত পাঁচজনের মধ্যে চারজন ঢাকা থেকে এবং একজন নারায়ণগঞ্জ থেকে টাঙ্গাইল জেলায় বাড়িতে এসেছিলেন। বাড়িতে আসার পর করোনার উপসর্গ দেখা দেয়। পরে তাদের নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষার জন্য ঢাকার আইইডিসিআরে পাঠানো হয়।
পরীক্ষার পর রোববার রাতে আইইডিসিআর থেকে মোবাইল ফোনে ক্ষুদে বার্তায় টাঙ্গাইলের সিভিল সার্জনকে তাদের আক্রান্তের বিষয়টি জানানো হয়। আক্রান্তদের বয়স ২০ থেকে ৪০ বছরের মধ্যে।
ভূঞাপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোছাম্মৎ নাসরিন পারভীন জানান, গোবিন্দাসি ইউনিয়নের সাফলকুড়া গ্রামের আক্রান্ত ব্যক্তির বয়স ৪০ বছর। তিনি নারায়ণগঞ্জ থেকে কয়েকদিন আগে বাড়িতে আসেন। অপর দুই আক্রান্ত ব্যক্তির বাড়ি একই ইউনিয়নের জিগাতলা গ্রামে। তাদের একজনের বয়স ২৬ বছর, অপর জনের বয়স ২২ বছর।
তিনি জানান, সাফলকুড়া এবং জিগাতলা দুটি গ্রাম রোববার রাত থেকেই লকডাউন করা হয়েছে। আক্রান্ত তিনজনকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
মধুপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আরিফা জহুরা জানান, উপজেলার বেরীবাইদ ইউনিয়নের গোবুদিয়া গ্রামের এক পোশাক কারখানার কর্মী ঢাকা থেকে কয়েকদিন আগে বাড়িতে আসার পর করোনা উপসর্গ দেখা দেয়। পরে তার নমুনা সংগ্রহ করে তাকে হোম কোয়ারেন্টিনে রাখা হয়। তার আক্রান্ত হওয়ার খবর পাওয়ার পর তার বাড়ি এবং আশেপাশের ১০টি বাড়ি লকডাউন করা হয়েছে।
আক্রান্ত ব্যক্তিকে মধুপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আইসোলেশন ইউনিটে চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হচ্ছে বলে তিনি জানান।
নাগরপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সৈয়দ ফয়জুল ইসলাম জানান, ঢাকার বাংলাবাজার থেকে বই বাধাই শ্রমিক ভাদ্রা ইউনিয়নের খাগুরিয়া গ্রামের বাড়িতে আসার পর করোনা উপসর্গ দেখা দেয়। তার নমুনা পরীক্ষার পর রোববার রাতে তিনি করোনা আক্রান্ত বলে জানা যায়। তার বয়স ২০ বছর। তারপর তার বাড়িসহ ৩০টি বাড়ি লকডাউন ঘোষণা করা হয়েছে। আক্রান্ত ব্যক্তিকে টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে করোনা ইউনিটে চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হবে।
প্রসঙ্গত, এর আগে মির্জাপুর ও ঘাটাইলে দুই ব্যক্তি করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হন। তাদের মধ্যে মির্জাপুরে আক্রান্ত ব্যক্তির নমুনা টাঙ্গাইল থেকে পাঠানো হয়েছিল। আর ঘাটাইলে আক্রান্ত ব্যক্তি ঢাকার আইইডিসিআরে নমুনা দিয়েছিলেন। তাদের দুজনকেই ঢাকার বাংলাদেশ-কুয়েত মৈত্রী হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে।
এছাড়া টাঙ্গাইলের গোপালপুরের অধিবাসী জামালপুরের মাদারগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ফার্মাসিস্ট করোনায় আক্রান্ত হওয়ার পর তার গ্রামের বাড়িও লকডাউন করা হয়েছে। তিনি আক্রান্ত হওয়ার কয়েকদিন আগে গ্রামের বাড়ি ঘুরে গেছেন।
সম্পাদক : সাইফুল আলম, প্রকাশক : সালমা ইসলাম
প্রকাশক কর্তৃক ক-২৪৪ প্রগতি সরণি, কুড়িল (বিশ্বরোড), বারিধারা, ঢাকা-১২২৯ থেকে প্রকাশিত এবং যমুনা প্রিন্টিং এন্ড পাবলিশিং লিঃ থেকে মুদ্রিত।
পিএবিএক্স : ৯৮২৪০৫৪-৬১, রিপোর্টিং : ৯৮২৪০৭৩, বিজ্ঞাপন : ৯৮২৪০৬২, ফ্যাক্স : ৯৮২৪০৬৩, সার্কুলেশন : ৯৮২৪০৭২। ফ্যাক্স : ৯৮২৪০৬৬
E-mail: jugantor.mail@gmail.com
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
টাঙ্গাইলে করোনায় আক্রান্তরা সবাই ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ থেকে আসা
টাঙ্গাইলে নতুন করে আরও পাঁচজন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। এ নিয়ে জেলায় মোট সাতজন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হলো।
আক্রান্তরা ঢাকা ও নারায়ণগঞ্জ থেকে টাঙ্গাইল আসার পর তাদের নমুনা পরীক্ষায় করোনা পজিটিভ ধরা পড়ে। এতে করে পুরো টাঙ্গাইল জেলায় ঢাকা ও নারায়ণগঞ্জ থেকে আগতদের নিয়ে আতংক বিরাজ করছে।
নতুন করে পাঁচজন আক্রান্তের তিনজনই ভূঞাপুর উপজেলার। বাকি দুইজন নাগরপুর ও মধুপুর উপজেলার। তাদের আক্রান্ত হওয়ার খবর পাওয়ার পর তাদের বাড়ি এবং গ্রাম লকডাউন করা হয়েছে।
আক্রান্ত পাঁচজনের মধ্যে চারজন ঢাকা থেকে এবং একজন নারায়ণগঞ্জ থেকে টাঙ্গাইল জেলায় বাড়িতে এসেছিলেন। বাড়িতে আসার পর করোনার উপসর্গ দেখা দেয়। পরে তাদের নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষার জন্য ঢাকার আইইডিসিআরে পাঠানো হয়।
পরীক্ষার পর রোববার রাতে আইইডিসিআর থেকে মোবাইল ফোনে ক্ষুদে বার্তায় টাঙ্গাইলের সিভিল সার্জনকে তাদের আক্রান্তের বিষয়টি জানানো হয়। আক্রান্তদের বয়স ২০ থেকে ৪০ বছরের মধ্যে।
ভূঞাপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোছাম্মৎ নাসরিন পারভীন জানান, গোবিন্দাসি ইউনিয়নের সাফলকুড়া গ্রামের আক্রান্ত ব্যক্তির বয়স ৪০ বছর। তিনি নারায়ণগঞ্জ থেকে কয়েকদিন আগে বাড়িতে আসেন। অপর দুই আক্রান্ত ব্যক্তির বাড়ি একই ইউনিয়নের জিগাতলা গ্রামে। তাদের একজনের বয়স ২৬ বছর, অপর জনের বয়স ২২ বছর।
তিনি জানান, সাফলকুড়া এবং জিগাতলা দুটি গ্রাম রোববার রাত থেকেই লকডাউন করা হয়েছে। আক্রান্ত তিনজনকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
মধুপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আরিফা জহুরা জানান, উপজেলার বেরীবাইদ ইউনিয়নের গোবুদিয়া গ্রামের এক পোশাক কারখানার কর্মী ঢাকা থেকে কয়েকদিন আগে বাড়িতে আসার পর করোনা উপসর্গ দেখা দেয়। পরে তার নমুনা সংগ্রহ করে তাকে হোম কোয়ারেন্টিনে রাখা হয়। তার আক্রান্ত হওয়ার খবর পাওয়ার পর তার বাড়ি এবং আশেপাশের ১০টি বাড়ি লকডাউন করা হয়েছে।
আক্রান্ত ব্যক্তিকে মধুপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আইসোলেশন ইউনিটে চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হচ্ছে বলে তিনি জানান।
নাগরপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সৈয়দ ফয়জুল ইসলাম জানান, ঢাকার বাংলাবাজার থেকে বই বাধাই শ্রমিক ভাদ্রা ইউনিয়নের খাগুরিয়া গ্রামের বাড়িতে আসার পর করোনা উপসর্গ দেখা দেয়। তার নমুনা পরীক্ষার পর রোববার রাতে তিনি করোনা আক্রান্ত বলে জানা যায়। তার বয়স ২০ বছর। তারপর তার বাড়িসহ ৩০টি বাড়ি লকডাউন ঘোষণা করা হয়েছে। আক্রান্ত ব্যক্তিকে টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে করোনা ইউনিটে চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হবে।
প্রসঙ্গত, এর আগে মির্জাপুর ও ঘাটাইলে দুই ব্যক্তি করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হন। তাদের মধ্যে মির্জাপুরে আক্রান্ত ব্যক্তির নমুনা টাঙ্গাইল থেকে পাঠানো হয়েছিল। আর ঘাটাইলে আক্রান্ত ব্যক্তি ঢাকার আইইডিসিআরে নমুনা দিয়েছিলেন। তাদের দুজনকেই ঢাকার বাংলাদেশ-কুয়েত মৈত্রী হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে।
এছাড়া টাঙ্গাইলের গোপালপুরের অধিবাসী জামালপুরের মাদারগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ফার্মাসিস্ট করোনায় আক্রান্ত হওয়ার পর তার গ্রামের বাড়িও লকডাউন করা হয়েছে। তিনি আক্রান্ত হওয়ার কয়েকদিন আগে গ্রামের বাড়ি ঘুরে গেছেন।