করোনা ঝুঁকিতেও অগ্রণী উচ্চবিদ্যালয়ে পরীক্ষার আয়োজন
টাঙ্গাইল প্রতিনিধি
০৩ মে ২০২০, ২২:৪২:২৮ | অনলাইন সংস্করণ
করোনাভাইরাস সংক্রমণের কারণে সারা দেশের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রয়েছে। এর মধ্যে টাঙ্গাইল সদর উপজেলার বাঘিল ইউনিয়নের সয়া-চাকতা এলাকায় অবস্থিত অগ্রণী উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের পরীক্ষার আয়োজন চলছে।
সোমবার থেকে মাসব্যাপী এই পরীক্ষা চলবে। তবে পরীক্ষার এই আয়োজনের খবর জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) জানেন না। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের অনুমতি ছাড়াই এ পরীক্ষা নেয়া হচ্ছে।
সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ বলছে এই ঝুঁকিতে পরীক্ষা নেয়া উচিত হবে না। তবে বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ বলছে শিক্ষার্থীর স্ব-স্ব বাড়িতে এ পরীক্ষা নেয়া হবে।
অগ্রণী উচ্চবিদ্যালয়ের সহকারী প্রধান শিক্ষক মো. জয়নাল আবেদীন জানান, বিদ্যালয়ে পাঁচ শতাধিক শিক্ষার্থী রয়েছে। প্রশ্ন বিদ্যালয় থেকে করে ১৫ জন স্কাউটের মাধ্যমে বাড়ি বাড়ি প্রশ্নপত্র পাঠিয়ে দেয়া হবে। প্রশ্ন দেখে পড়াশোনা করে পরীক্ষা দিয়ে উত্তরপত্র তাদের কাছেই রাখা হবে। নির্ধারিত সময়ে উত্তরপত্রগুলো সংগ্রহ করে বিদ্যালয়ে আনা হবে। ষষ্ঠ থেকে অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত ৬০ টাকা ও নবম-দশম শ্রেণি পর্যন্ত শিক্ষার্থীদের ৭০ টাকা পরীক্ষার ফি নির্ধারণ করা হয়েছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক শিক্ষার্থী জানান, শনিবার বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে নির্ধারিত হারে পরীক্ষার ফি আদায় করা হয়েছে। এ সময় দু-একটি বিষয়ের প্রশ্নপত্রও দেয়া হয়েছে। রোববারের মধ্যে বাকি বিষয়ের প্রশ্নপত্র শিক্ষার্থীদের বাড়িতে পৌঁছে দেয়া হবে।
একাধিক অভিভাবক মোবাইলে জানান, শিক্ষার্থীদের বাড়িতে বাড়িতে প্রশ্নপত্র আদান-প্রদান করা ব্যক্তির মাধ্যমেও করোনাভাইরাস ছড়াতে পারে। তাই পরীক্ষা বন্ধের দাবি জানান এ সব অভিভাবক।
স্থানীয় ইউপি সদস্য মুকুল হোসেন জানান, সরকারের পক্ষ থেকে যেখানে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখা হয়েছে, সেখানে এই সময়ে পরীক্ষা নেয়া উচিত হচ্ছে না।
বাঘিল ইউনিয়নের চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলাম সোহাগ জানান, তিনি জানতে পেরেছেন প্রধান শিক্ষকের ব্যক্তি উদ্যোগে পরীক্ষার আয়োজন করা হয়েছে। সোমবার থেকে পরীক্ষা নেয়া হবে।
উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার শাহীন আশরাফি জানান, পরীক্ষার বিষয়ে তিনি অবগত আছেন। সংসদ টিভি অনলাইনে যে পাঠদান করা হয় সেই বিষয়ের ওপর পরীক্ষা নেয়া হবে।
জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা লায়লা খানম জানান, বিষয়টি তার জানা নেই। বর্তমান পরিস্থিতিতে কোনোভাবেই পরীক্ষা নেয়া ঠিক হবে না।
সম্পাদক : সাইফুল আলম, প্রকাশক : সালমা ইসলাম
প্রকাশক কর্তৃক ক-২৪৪ প্রগতি সরণি, কুড়িল (বিশ্বরোড), বারিধারা, ঢাকা-১২২৯ থেকে প্রকাশিত এবং যমুনা প্রিন্টিং এন্ড পাবলিশিং লিঃ থেকে মুদ্রিত।
পিএবিএক্স : ৯৮২৪০৫৪-৬১, রিপোর্টিং : ৯৮২৪০৭৩, বিজ্ঞাপন : ৯৮২৪০৬২, ফ্যাক্স : ৯৮২৪০৬৩, সার্কুলেশন : ৯৮২৪০৭২। ফ্যাক্স : ৯৮২৪০৬৬
E-mail: jugantor.mail@gmail.com
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
করোনা ঝুঁকিতেও অগ্রণী উচ্চবিদ্যালয়ে পরীক্ষার আয়োজন
করোনাভাইরাস সংক্রমণের কারণে সারা দেশের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রয়েছে। এর মধ্যে টাঙ্গাইল সদর উপজেলার বাঘিল ইউনিয়নের সয়া-চাকতা এলাকায় অবস্থিত অগ্রণী উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের পরীক্ষার আয়োজন চলছে।
সোমবার থেকে মাসব্যাপী এই পরীক্ষা চলবে। তবে পরীক্ষার এই আয়োজনের খবর জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) জানেন না। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের অনুমতি ছাড়াই এ পরীক্ষা নেয়া হচ্ছে।
সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ বলছে এই ঝুঁকিতে পরীক্ষা নেয়া উচিত হবে না। তবে বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ বলছে শিক্ষার্থীর স্ব-স্ব বাড়িতে এ পরীক্ষা নেয়া হবে।
অগ্রণী উচ্চবিদ্যালয়ের সহকারী প্রধান শিক্ষক মো. জয়নাল আবেদীন জানান, বিদ্যালয়ে পাঁচ শতাধিক শিক্ষার্থী রয়েছে। প্রশ্ন বিদ্যালয় থেকে করে ১৫ জন স্কাউটের মাধ্যমে বাড়ি বাড়ি প্রশ্নপত্র পাঠিয়ে দেয়া হবে। প্রশ্ন দেখে পড়াশোনা করে পরীক্ষা দিয়ে উত্তরপত্র তাদের কাছেই রাখা হবে। নির্ধারিত সময়ে উত্তরপত্রগুলো সংগ্রহ করে বিদ্যালয়ে আনা হবে। ষষ্ঠ থেকে অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত ৬০ টাকা ও নবম-দশম শ্রেণি পর্যন্ত শিক্ষার্থীদের ৭০ টাকা পরীক্ষার ফি নির্ধারণ করা হয়েছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক শিক্ষার্থী জানান, শনিবার বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে নির্ধারিত হারে পরীক্ষার ফি আদায় করা হয়েছে। এ সময় দু-একটি বিষয়ের প্রশ্নপত্রও দেয়া হয়েছে। রোববারের মধ্যে বাকি বিষয়ের প্রশ্নপত্র শিক্ষার্থীদের বাড়িতে পৌঁছে দেয়া হবে।
একাধিক অভিভাবক মোবাইলে জানান, শিক্ষার্থীদের বাড়িতে বাড়িতে প্রশ্নপত্র আদান-প্রদান করা ব্যক্তির মাধ্যমেও করোনাভাইরাস ছড়াতে পারে। তাই পরীক্ষা বন্ধের দাবি জানান এ সব অভিভাবক।
স্থানীয় ইউপি সদস্য মুকুল হোসেন জানান, সরকারের পক্ষ থেকে যেখানে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখা হয়েছে, সেখানে এই সময়ে পরীক্ষা নেয়া উচিত হচ্ছে না।
বাঘিল ইউনিয়নের চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলাম সোহাগ জানান, তিনি জানতে পেরেছেন প্রধান শিক্ষকের ব্যক্তি উদ্যোগে পরীক্ষার আয়োজন করা হয়েছে। সোমবার থেকে পরীক্ষা নেয়া হবে।
উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার শাহীন আশরাফি জানান, পরীক্ষার বিষয়ে তিনি অবগত আছেন। সংসদ টিভি অনলাইনে যে পাঠদান করা হয় সেই বিষয়ের ওপর পরীক্ষা নেয়া হবে।
জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা লায়লা খানম জানান, বিষয়টি তার জানা নেই। বর্তমান পরিস্থিতিতে কোনোভাবেই পরীক্ষা নেয়া ঠিক হবে না।