টাঙ্গাইল হাসপাতালের গাইনি বিভাগ লকডাউন, ৬ চিকিৎসকসহ ১৭ জন কোয়ারেন্টিনে
টাঙ্গাইল প্রতিনিধি
১৩ মে ২০২০, ২১:১২:৩৬ | অনলাইন সংস্করণ
টাঙ্গাইলের ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে এক প্রসূতি মা করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। পরে বুধবার থেকে হাসপাতালের গাইনি অপারেশন থিয়েটার লকডাউন করা হয়েছে।
ওই প্রসূতি মায়ের সংস্পর্শে আসা ছয় চিকিৎসকসহ ১৭ স্বাস্থ্যকর্মীকে কোয়ারেন্টিনে পাঠানো হয়েছে। তারা করোনাভাইরাসে আক্রান্ত কি না এ জন্য নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে।
হাসপাতাল সূত্র জানায়, গাইনি বিভাগে ভর্তি হওয়া ২১ বছর বয়সী এক নারী গত ৯ মে সিজারিয়ান অপারেশনের মাধ্যমে একটি মেয়ে শিশু জন্ম দেন। তারপর ওই নারীকে হাসপাতালের গাইনি ওয়ার্ডে ভর্তি করা হয়। হাসপাতাল থেকে তার নমুনা সংগ্রহের পর পরীক্ষায় জানা যায় তিনি করোনায় আক্রান্ত। মঙ্গলবার দুপুরে হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র নিয়ে ওই নারী তার মায়ের ভাড়াটিয়া বাড়ি সদর উপজেলার করটিয়া ইউনিয়নের তারুটিয়া গ্রামে চলে যান।
এ দিকে নমুনা সংগ্রহের সময় শুধু নাম ও স্বামীর মোবাইল ফোন নম্বর রাখা হয়। তার বিস্তারিত ঠিকানা রাখা ছিল না। প্রশাসন, পুলিশ ও স্বাস্থ্য বিভাগ মঙ্গলবার সারাদিন বিভিন্ন স্থানে খোঁজ-খবর করে রাত সাড়ে ১১টায় তাকে খুঁজে পেয়ে পুরো বাড়ি লকডাউন করে দেয়া হয়।
টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা শফিকুল ইসলাম সজীব জানান, ওই নারীর সংস্পর্শে আসা ছয়জন চিকিৎসক, আটজন নার্স ও তিনজন আয়াকে হোম আইসোলেশনে পাঠানো হয়েছে। তারা করোনায় আক্রান্ত কি না তা পরীক্ষার জন্য নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে।
টাঙ্গাইলের সিভিল সার্জন মো. ওয়াহীদুজ্জামান জানান, বুধবার টাঙ্গাইলের নাগরপুরে ৮ মাসের শিশুসহ একই পরিবারের চারজন এবং ঘাটাইলে আরও একজনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। এ নিয়ে জেলায় মোট ৬০ জন করোনায় আক্রান্ত হল।
সম্পাদক : সাইফুল আলম, প্রকাশক : সালমা ইসলাম
প্রকাশক কর্তৃক ক-২৪৪ প্রগতি সরণি, কুড়িল (বিশ্বরোড), বারিধারা, ঢাকা-১২২৯ থেকে প্রকাশিত এবং যমুনা প্রিন্টিং এন্ড পাবলিশিং লিঃ থেকে মুদ্রিত।
পিএবিএক্স : ৯৮২৪০৫৪-৬১, রিপোর্টিং : ৯৮২৪০৭৩, বিজ্ঞাপন : ৯৮২৪০৬২, ফ্যাক্স : ৯৮২৪০৬৩, সার্কুলেশন : ৯৮২৪০৭২। ফ্যাক্স : ৯৮২৪০৬৬
E-mail: jugantor.mail@gmail.com
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
টাঙ্গাইল হাসপাতালের গাইনি বিভাগ লকডাউন, ৬ চিকিৎসকসহ ১৭ জন কোয়ারেন্টিনে
টাঙ্গাইলের ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে এক প্রসূতি মা করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। পরে বুধবার থেকে হাসপাতালের গাইনি অপারেশন থিয়েটার লকডাউন করা হয়েছে।
ওই প্রসূতি মায়ের সংস্পর্শে আসা ছয় চিকিৎসকসহ ১৭ স্বাস্থ্যকর্মীকে কোয়ারেন্টিনে পাঠানো হয়েছে। তারা করোনাভাইরাসে আক্রান্ত কি না এ জন্য নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে।
হাসপাতাল সূত্র জানায়, গাইনি বিভাগে ভর্তি হওয়া ২১ বছর বয়সী এক নারী গত ৯ মে সিজারিয়ান অপারেশনের মাধ্যমে একটি মেয়ে শিশু জন্ম দেন। তারপর ওই নারীকে হাসপাতালের গাইনি ওয়ার্ডে ভর্তি করা হয়। হাসপাতাল থেকে তার নমুনা সংগ্রহের পর পরীক্ষায় জানা যায় তিনি করোনায় আক্রান্ত। মঙ্গলবার দুপুরে হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র নিয়ে ওই নারী তার মায়ের ভাড়াটিয়া বাড়ি সদর উপজেলার করটিয়া ইউনিয়নের তারুটিয়া গ্রামে চলে যান।
এ দিকে নমুনা সংগ্রহের সময় শুধু নাম ও স্বামীর মোবাইল ফোন নম্বর রাখা হয়। তার বিস্তারিত ঠিকানা রাখা ছিল না। প্রশাসন, পুলিশ ও স্বাস্থ্য বিভাগ মঙ্গলবার সারাদিন বিভিন্ন স্থানে খোঁজ-খবর করে রাত সাড়ে ১১টায় তাকে খুঁজে পেয়ে পুরো বাড়ি লকডাউন করে দেয়া হয়।
টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা শফিকুল ইসলাম সজীব জানান, ওই নারীর সংস্পর্শে আসা ছয়জন চিকিৎসক, আটজন নার্স ও তিনজন আয়াকে হোম আইসোলেশনে পাঠানো হয়েছে। তারা করোনায় আক্রান্ত কি না তা পরীক্ষার জন্য নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে।
টাঙ্গাইলের সিভিল সার্জন মো. ওয়াহীদুজ্জামান জানান, বুধবার টাঙ্গাইলের নাগরপুরে ৮ মাসের শিশুসহ একই পরিবারের চারজন এবং ঘাটাইলে আরও একজনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। এ নিয়ে জেলায় মোট ৬০ জন করোনায় আক্রান্ত হল।