করোনা রোগীদের নিয়ে দিল্লিতে চিকিৎসকদের মধ্যে আতঙ্ক
যুগান্তর ডেস্ক
২৩ নভেম্বর ২০২০, ১৮:৪৫:৪৪ | অনলাইন সংস্করণ
করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ে শীতের সময় করোনাভাইরাস সংক্রমণের এপিসেন্টার হয়ে উঠতে পারে দিল্লি- এমন আতঙ্ক সেখানকার চিকিৎসকদের মধ্যে।
কারণ ভারতের রাজধানীতে হাসপাতাল ভরে যাচ্ছে করোনা রোগীতে। নতুন করে মারাত্মক আকারে করোনা আক্রান্তের শিকারে পরিণত হচ্ছে মানুষ।
দিল্লির সবচেয়ে বড় কোভিড-১৯ হাসপাতালের চিকিৎসক ফারাহ হোসেন একজন ক্রিটিক্যাল কেয়ার স্পেশালিস্ট। এক মাস আগে যখন করোনা সংক্রমণ কমে আসে, তখন তিনি স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলেছিলেন। এ নিয়ে তিনি টুইটও করেছিলেন।
কিন্তু এক মাস পরে তার মুখে হতাশার সুর। তিনি বলেন, এখন শীতে সংক্রমণ তীব্র থেকে তীব্রতর হচ্ছে। চিকিৎসকরা আতঙ্কে এই ভেবে যে, দিল্লি হতে পারে শীতে করোনা ভাইরাস সংক্রমণের এপিসেন্টার।
নভেম্বরের শুরু থেকে এ পর্যন্ত ভারতের রাজধানীতে কমপক্ষে এক লাখ ২৮ হাজার মানুষ নতুন করে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। ১২ই নভেম্বর আক্রান্ত হয়েছেন ৮৫৯৩ জন।
করোনা সংক্রমণ শুরুর পর এটাই একদিনে সেখানে সর্বোচ্চ আক্রান্তের সংখ্যা। অন্য যেকোনো রাজ্যের চেয়ে প্রতিদিন দিল্লিতে অধিক সংখ্যক মানুষ আক্রান্ত হচ্ছেন। সব মিলে দিল্লিতে আক্রান্তের সংখ্যা ৫ লাখ ছাড়িয়ে গেছে।
গত বুধবার সেখানে করোনায় মারা গেছেন ১৩১ জন। একদিনে এটিই মৃতের সর্বোচ্চ রেকর্ড। রোববার নাগাদ দিল্লিতে মোট মৃতের সংখ্যা ছাড়িয়ে গেছে ৮৩০০। যাদেরকে করোনার পরীক্ষা করা হচ্ছে তার মধ্যে শতকরা ১৪ ভাগই করোনায় আক্রান্ত পাওয়া যাচ্ছে। এটি সবাইকে ভাবিয়ে তুলেছে।
দিল্লির বেসরকারি মনিপাল হাসপাতালের কনসালট্যান্ট ডা. হারজিত সিং ভাট্টি বলেছেন, লোকজন বেড পাওয়ার জন্য যেন যুদ্ধ করছে। এমনকি আমার বন্ধু বা পরিবারের সদস্যদের জন্য আমি একটি বেড জোগাতে পারিনি। এটা খুব বেদনার।
তার হাসপাতালে করোনা রোগীদের জন্য আছে ৭৫টি বেড। আর আছে ১০টি ক্রিটিক্যাল কেয়ার বেড। এর সবই এখন রোগীতে পূর্ণ। অফিস আদালত, কলকারখানা, মার্কেট এমনকি বিভিন্ন মৌসুমি উৎসবের অনুমতি দেয়ার পর এই সংক্রমণ এই পরিমাণে বৃদ্ধি পেয়েছে।
সামনে তাপমাত্রা যত কমবে, বায়ু দূষণ যত বৃদ্ধি পাবে, তাতে ততই এই রোগে আক্রান্তের সংখ্যা বৃদ্ধি পাবে।
এমনিতেই ভারত জনবহুল দেশ হওয়ায় সেখানে করোনা সংক্রমণের হার অনেক বেশি ছিল। এবার যখন ভাইরাসটি ভিন্ন রূপে হাজির হয়েছে, তখন সংক্রমণের হার ও মানুষের ভোগান্তি আরও অনেক বেশি হবে বলে আশঙ্কা দেখা দিয়েছে দিল্লিতে।
সূত্র: বিবিসি
সম্পাদক : সাইফুল আলম, প্রকাশক : সালমা ইসলাম
প্রকাশক কর্তৃক ক-২৪৪ প্রগতি সরণি, কুড়িল (বিশ্বরোড), বারিধারা, ঢাকা-১২২৯ থেকে প্রকাশিত এবং যমুনা প্রিন্টিং এন্ড পাবলিশিং লিঃ থেকে মুদ্রিত।
পিএবিএক্স : ৯৮২৪০৫৪-৬১, রিপোর্টিং : ৯৮২৪০৭৩, বিজ্ঞাপন : ৯৮২৪০৬২, ফ্যাক্স : ৯৮২৪০৬৩, সার্কুলেশন : ৯৮২৪০৭২। ফ্যাক্স : ৯৮২৪০৬৬
E-mail: [email protected]
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
করোনা রোগীদের নিয়ে দিল্লিতে চিকিৎসকদের মধ্যে আতঙ্ক
করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ে শীতের সময় করোনাভাইরাস সংক্রমণের এপিসেন্টার হয়ে উঠতে পারে দিল্লি- এমন আতঙ্ক সেখানকার চিকিৎসকদের মধ্যে।
কারণ ভারতের রাজধানীতে হাসপাতাল ভরে যাচ্ছে করোনা রোগীতে। নতুন করে মারাত্মক আকারে করোনা আক্রান্তের শিকারে পরিণত হচ্ছে মানুষ।
দিল্লির সবচেয়ে বড় কোভিড-১৯ হাসপাতালের চিকিৎসক ফারাহ হোসেন একজন ক্রিটিক্যাল কেয়ার স্পেশালিস্ট। এক মাস আগে যখন করোনা সংক্রমণ কমে আসে, তখন তিনি স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলেছিলেন। এ নিয়ে তিনি টুইটও করেছিলেন।
কিন্তু এক মাস পরে তার মুখে হতাশার সুর। তিনি বলেন, এখন শীতে সংক্রমণ তীব্র থেকে তীব্রতর হচ্ছে। চিকিৎসকরা আতঙ্কে এই ভেবে যে, দিল্লি হতে পারে শীতে করোনা ভাইরাস সংক্রমণের এপিসেন্টার।
নভেম্বরের শুরু থেকে এ পর্যন্ত ভারতের রাজধানীতে কমপক্ষে এক লাখ ২৮ হাজার মানুষ নতুন করে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। ১২ই নভেম্বর আক্রান্ত হয়েছেন ৮৫৯৩ জন।
করোনা সংক্রমণ শুরুর পর এটাই একদিনে সেখানে সর্বোচ্চ আক্রান্তের সংখ্যা। অন্য যেকোনো রাজ্যের চেয়ে প্রতিদিন দিল্লিতে অধিক সংখ্যক মানুষ আক্রান্ত হচ্ছেন। সব মিলে দিল্লিতে আক্রান্তের সংখ্যা ৫ লাখ ছাড়িয়ে গেছে।
গত বুধবার সেখানে করোনায় মারা গেছেন ১৩১ জন। একদিনে এটিই মৃতের সর্বোচ্চ রেকর্ড। রোববার নাগাদ দিল্লিতে মোট মৃতের সংখ্যা ছাড়িয়ে গেছে ৮৩০০। যাদেরকে করোনার পরীক্ষা করা হচ্ছে তার মধ্যে শতকরা ১৪ ভাগই করোনায় আক্রান্ত পাওয়া যাচ্ছে। এটি সবাইকে ভাবিয়ে তুলেছে।
দিল্লির বেসরকারি মনিপাল হাসপাতালের কনসালট্যান্ট ডা. হারজিত সিং ভাট্টি বলেছেন, লোকজন বেড পাওয়ার জন্য যেন যুদ্ধ করছে। এমনকি আমার বন্ধু বা পরিবারের সদস্যদের জন্য আমি একটি বেড জোগাতে পারিনি। এটা খুব বেদনার।
তার হাসপাতালে করোনা রোগীদের জন্য আছে ৭৫টি বেড। আর আছে ১০টি ক্রিটিক্যাল কেয়ার বেড। এর সবই এখন রোগীতে পূর্ণ। অফিস আদালত, কলকারখানা, মার্কেট এমনকি বিভিন্ন মৌসুমি উৎসবের অনুমতি দেয়ার পর এই সংক্রমণ এই পরিমাণে বৃদ্ধি পেয়েছে।
সামনে তাপমাত্রা যত কমবে, বায়ু দূষণ যত বৃদ্ধি পাবে, তাতে ততই এই রোগে আক্রান্তের সংখ্যা বৃদ্ধি পাবে।
এমনিতেই ভারত জনবহুল দেশ হওয়ায় সেখানে করোনা সংক্রমণের হার অনেক বেশি ছিল। এবার যখন ভাইরাসটি ভিন্ন রূপে হাজির হয়েছে, তখন সংক্রমণের হার ও মানুষের ভোগান্তি আরও অনেক বেশি হবে বলে আশঙ্কা দেখা দিয়েছে দিল্লিতে।
সূত্র: বিবিসি