লকডাউনের বর্ষপূর্তিতে উহানের জীবন অনেকটা স্বাভাবিক
অনলাইন ডেস্ক
২৩ জানুয়ারি ২০২১, ১৪:২৮:২৭ | অনলাইন সংস্করণ
করোনারভাইরাসের প্রাদর্ভাবের কারণে ২০২০ সালের ২৩ জানুয়ারি চীনের হুবেই প্রদেশের উহান শহর প্রথম লকডাউন করা হয়।
ধারণা করা হয় এই শহর থেকেই প্রথম করোনাভাইরাস মহামারীর রূপ নেয়। খবর বিবিসির।
বিশ্ববাসী ওই সময় কঠিন বিধিনিষেধ এবং সেটার কঠোর বাস্তবায়নে হতবিহবল হয়ে পড়ে। জানুয়ারির শেষ দিক থেকে জুন পর্যন্ত উহানকে চীনের অন্য এলাকা থেকে একেবারে বিচ্ছিন্ন করে রাখা হয়। এ ভাইরাস মোকাবেলা করার এটা একটা সফল কৌশল হিসেবে দেখা হয়েছে।
চীনকে ভাইরাস মোকাবেলায় সফল হিসেবে ধরা হয়। ২০১৯ সালের শেষের দিকে যখন প্রথম এই রোগের প্রাদুর্ভাব হয় তখন দেশটির কর্তৃপক্ষ 'রহস্যজনক অসুস্থতা' বলে এর ব্যবস্থা একটু আস্তে ধীরেই নিয়েছিল।
২০২০ সালের জানুয়ারিতে ছিল চীনের নতুন বর্ষ পালন উৎসব, যেটাকে কেন্দ্র করে প্রচুর ভ্রমণের করে মানুষ। চীন সেটাতে কোন বাধা দেয়নি।
চলতি সপ্তাহের শুরুর দিকে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার একটা স্বাধীন প্যানেল একটা অন্তর্বর্তীকালীন প্রতিবেদনে বলেছে, কর্তৃপক্ষ পদক্ষেপ নিতে ধীর গতিসম্পন্ন ছিল।
তারা চীনের সেই সময়কার প্রতিক্রিয়াকে সমালোচনা করে বলেছে, সাধারণ মানুষের স্বাস্থ্যের কথা বিবেচনা করে পদক্ষেপগুলো জোরপূর্বক প্রয়োগ করতে পারতো।
কিন্তু যখনই চীন বুঝতে পারে এটা একটা সমস্যা তখনই কর্তৃপক্ষ সেটা কঠোরভাবে দমন করার উদ্যোগ নেয়।
চীনের নতুন বছর উৎযাপনের দুই দিন আগে উহানের রাস্তা জনশূন্য হয়ে পড়ে। ১ কোটি ১০ লাখ লোককে কঠোর কোয়ারেন্টিনে রাখা হয়। মুখের মাস্ক এবং সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা বাধ্যতামূলক করা হয়।
সম্পাদক : সাইফুল আলম, প্রকাশক : সালমা ইসলাম
প্রকাশক কর্তৃক ক-২৪৪ প্রগতি সরণি, কুড়িল (বিশ্বরোড), বারিধারা, ঢাকা-১২২৯ থেকে প্রকাশিত এবং যমুনা প্রিন্টিং এন্ড পাবলিশিং লিঃ থেকে মুদ্রিত।
পিএবিএক্স : ৯৮২৪০৫৪-৬১, রিপোর্টিং : ৯৮২৪০৭৩, বিজ্ঞাপন : ৯৮২৪০৬২, ফ্যাক্স : ৯৮২৪০৬৩, সার্কুলেশন : ৯৮২৪০৭২। ফ্যাক্স : ৯৮২৪০৬৬
E-mail: jugantor.mail@gmail.com
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
লকডাউনের বর্ষপূর্তিতে উহানের জীবন অনেকটা স্বাভাবিক
করোনারভাইরাসের প্রাদর্ভাবের কারণে ২০২০ সালের ২৩ জানুয়ারি চীনের হুবেই প্রদেশের উহান শহর প্রথম লকডাউন করা হয়।
ধারণা করা হয় এই শহর থেকেই প্রথম করোনাভাইরাস মহামারীর রূপ নেয়। খবর বিবিসির।
বিশ্ববাসী ওই সময় কঠিন বিধিনিষেধ এবং সেটার কঠোর বাস্তবায়নে হতবিহবল হয়ে পড়ে। জানুয়ারির শেষ দিক থেকে জুন পর্যন্ত উহানকে চীনের অন্য এলাকা থেকে একেবারে বিচ্ছিন্ন করে রাখা হয়। এ ভাইরাস মোকাবেলা করার এটা একটা সফল কৌশল হিসেবে দেখা হয়েছে।
চীনকে ভাইরাস মোকাবেলায় সফল হিসেবে ধরা হয়। ২০১৯ সালের শেষের দিকে যখন প্রথম এই রোগের প্রাদুর্ভাব হয় তখন দেশটির কর্তৃপক্ষ 'রহস্যজনক অসুস্থতা' বলে এর ব্যবস্থা একটু আস্তে ধীরেই নিয়েছিল।
২০২০ সালের জানুয়ারিতে ছিল চীনের নতুন বর্ষ পালন উৎসব, যেটাকে কেন্দ্র করে প্রচুর ভ্রমণের করে মানুষ। চীন সেটাতে কোন বাধা দেয়নি।
চলতি সপ্তাহের শুরুর দিকে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার একটা স্বাধীন প্যানেল একটা অন্তর্বর্তীকালীন প্রতিবেদনে বলেছে, কর্তৃপক্ষ পদক্ষেপ নিতে ধীর গতিসম্পন্ন ছিল।
তারা চীনের সেই সময়কার প্রতিক্রিয়াকে সমালোচনা করে বলেছে, সাধারণ মানুষের স্বাস্থ্যের কথা বিবেচনা করে পদক্ষেপগুলো জোরপূর্বক প্রয়োগ করতে পারতো।
কিন্তু যখনই চীন বুঝতে পারে এটা একটা সমস্যা তখনই কর্তৃপক্ষ সেটা কঠোরভাবে দমন করার উদ্যোগ নেয়।
চীনের নতুন বছর উৎযাপনের দুই দিন আগে উহানের রাস্তা জনশূন্য হয়ে পড়ে। ১ কোটি ১০ লাখ লোককে কঠোর কোয়ারেন্টিনে রাখা হয়। মুখের মাস্ক এবং সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা বাধ্যতামূলক করা হয়।