জরুরি অবস্থা জারি করতে রাষ্ট্রপতির কাছে এক আইনজীবীর আবেদন
যুগান্তর প্রতিবেদন
২৭ জুলাই ২০২১, ২০:৩৮:৪০ | অনলাইন সংস্করণ
করোনা সংক্রমণ প্রতিরোধে জনগণের জীবন রক্ষায় দেশে জরুরি অবস্থা জারির জন্য রাষ্ট্রপতির প্রতি আবেদন পাঠিয়েছেন সুপ্রিম কোর্টের এক আইনজীবী।
ন্যাশনাল লইয়ার্স কাউন্সিলের চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট এস এম জুলফিকার আলী জুনু মঙ্গলবার বিকালে ই-মেইল যোগে এ আবেদন পাঠান।
এতে বলা হয়, করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মধ্যে হাজার হাজার মানুষ মৃত্যুবরণ করেছেন। বিশ্বের বিভিন্ন উন্নত দেশ এই ভাইরাস নিয়ন্ত্রণে হিমশিম খাচ্ছে। করোনার সংক্রমণ থেকে দেশের মানুষকে রক্ষায় যুক্তরাষ্ট্র, অস্ট্রেলিয়া, ইতালি, স্পেন, কানাডা ও বেলজিয়ামে জাতীয় এবং আঞ্চলিক পর্যায়ে জরুরি অবস্থা ঘোষণা করেছিল। জরুরি অবস্থা পালনের ফলে দেশগুলো করোনার সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণ করতে অনেকাংশেই সফল হয়। ফলে অনেক উন্নত দেশে এখন আর লকডাউনের প্রয়োজন হচ্ছে না। সেসব দেশের মানুষ স্বাভাবিক জীবন অতিবাহিত করছে।
আবেদনে আরও বলা হয়, বাংলাদেশ সরকার ও করোনার সংক্রমণ থেকে দেশবাসীকে রক্ষার আপ্রাণ চেষ্টা চালাচ্ছে। দফায় দফায় লকডাউন দিতে হচ্ছে। কিন্তু দিন দিন করোনার সংক্রমণ বৃদ্ধি পাচ্ছে, বাড়ছে মৃত্যু হার। লকডাউন পালনে দেশের অনেক মানুষের মাঝে উদাসীনতা লক্ষ্য করা যাচ্ছে। করোনার ভয়াল সংক্রমণ ও মৃত্যুহার কোনোভাবেই নিম্নমুখী করা যাচ্ছে না।
এছাড়া, করোনা আক্রান্তরা অনেকেই তথ্য গোপন করে জনসম্মুখে ঘুরে বেড়াচ্ছে কোনভাবেই কোয়ারেন্টাইন ও আইসোলেশনে বাধ্য করা যাচ্ছে না না। ফলে করোনাভাইরাসের এই ভয়াল সংক্রমণ থেকে দেশ ও জাতিকে কোনোভাবেই রক্ষা কারা যাচ্ছে না। এছাড়া সরকার বিদেশ ফেরতদের হোম কোয়ারেন্টিনে থাকার নির্দেশ দিয়েছে। কিন্তু অনেকেই নিয়ম না মেনে জনসম্মুখে ঘুরে বেড়াচ্ছে।
এতে আরও বলা হয়, বিদেশি ক্রেতারা পোশাক খাতের ক্রয় আদেশ বাতিল করার ফলে দেশের অর্থনীতির মারাত্মক ক্ষতি হচ্ছে। এই পরিস্থিতিতে সংবিধানের ১৪১ (ক) অনুচ্ছেদ অনুযায়ী, রাষ্ট্রপতির ক্ষমতাবলে ১২০ দিনের জন্য জরুরি অবস্থা জারি করা হলে দেশ ও জাতি আসন্ন বিপর্যয় থেকে রক্ষা পেতে পারে বলে আবেদনে উল্লেখ করা হয়।
সম্পাদক : সাইফুল আলম, প্রকাশক : সালমা ইসলাম
প্রকাশক কর্তৃক ক-২৪৪ প্রগতি সরণি, কুড়িল (বিশ্বরোড), বারিধারা, ঢাকা-১২২৯ থেকে প্রকাশিত এবং যমুনা প্রিন্টিং এন্ড পাবলিশিং লিঃ থেকে মুদ্রিত।
পিএবিএক্স : ৯৮২৪০৫৪-৬১, রিপোর্টিং : ৯৮২৩০৭৩, বিজ্ঞাপন : ৯৮২৪০৬২, ফ্যাক্স : ৯৮২৪০৬৩, সার্কুলেশন : ৯৮২৪০৭২। ফ্যাক্স : ৯৮২৪০৬৬
E-mail: jugantor.mail@gmail.com
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
জরুরি অবস্থা জারি করতে রাষ্ট্রপতির কাছে এক আইনজীবীর আবেদন
করোনা সংক্রমণ প্রতিরোধে জনগণের জীবন রক্ষায় দেশে জরুরি অবস্থা জারির জন্য রাষ্ট্রপতির প্রতি আবেদন পাঠিয়েছেন সুপ্রিম কোর্টের এক আইনজীবী।
ন্যাশনাল লইয়ার্স কাউন্সিলের চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট এস এম জুলফিকার আলী জুনু মঙ্গলবার বিকালে ই-মেইল যোগে এ আবেদন পাঠান।
এতে বলা হয়, করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মধ্যে হাজার হাজার মানুষ মৃত্যুবরণ করেছেন। বিশ্বের বিভিন্ন উন্নত দেশ এই ভাইরাস নিয়ন্ত্রণে হিমশিম খাচ্ছে। করোনার সংক্রমণ থেকে দেশের মানুষকে রক্ষায় যুক্তরাষ্ট্র, অস্ট্রেলিয়া, ইতালি, স্পেন, কানাডা ও বেলজিয়ামে জাতীয় এবং আঞ্চলিক পর্যায়ে জরুরি অবস্থা ঘোষণা করেছিল। জরুরি অবস্থা পালনের ফলে দেশগুলো করোনার সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণ করতে অনেকাংশেই সফল হয়। ফলে অনেক উন্নত দেশে এখন আর লকডাউনের প্রয়োজন হচ্ছে না। সেসব দেশের মানুষ স্বাভাবিক জীবন অতিবাহিত করছে।
আবেদনে আরও বলা হয়, বাংলাদেশ সরকার ও করোনার সংক্রমণ থেকে দেশবাসীকে রক্ষার আপ্রাণ চেষ্টা চালাচ্ছে। দফায় দফায় লকডাউন দিতে হচ্ছে। কিন্তু দিন দিন করোনার সংক্রমণ বৃদ্ধি পাচ্ছে, বাড়ছে মৃত্যু হার। লকডাউন পালনে দেশের অনেক মানুষের মাঝে উদাসীনতা লক্ষ্য করা যাচ্ছে। করোনার ভয়াল সংক্রমণ ও মৃত্যুহার কোনোভাবেই নিম্নমুখী করা যাচ্ছে না।
এছাড়া, করোনা আক্রান্তরা অনেকেই তথ্য গোপন করে জনসম্মুখে ঘুরে বেড়াচ্ছে কোনভাবেই কোয়ারেন্টাইন ও আইসোলেশনে বাধ্য করা যাচ্ছে না না। ফলে করোনাভাইরাসের এই ভয়াল সংক্রমণ থেকে দেশ ও জাতিকে কোনোভাবেই রক্ষা কারা যাচ্ছে না। এছাড়া সরকার বিদেশ ফেরতদের হোম কোয়ারেন্টিনে থাকার নির্দেশ দিয়েছে। কিন্তু অনেকেই নিয়ম না মেনে জনসম্মুখে ঘুরে বেড়াচ্ছে।
এতে আরও বলা হয়, বিদেশি ক্রেতারা পোশাক খাতের ক্রয় আদেশ বাতিল করার ফলে দেশের অর্থনীতির মারাত্মক ক্ষতি হচ্ছে। এই পরিস্থিতিতে সংবিধানের ১৪১ (ক) অনুচ্ছেদ অনুযায়ী, রাষ্ট্রপতির ক্ষমতাবলে ১২০ দিনের জন্য জরুরি অবস্থা জারি করা হলে দেশ ও জাতি আসন্ন বিপর্যয় থেকে রক্ষা পেতে পারে বলে আবেদনে উল্লেখ করা হয়।