১২ বছরের বেশি বয়সিদের টিকা চলতি সপ্তাহে
১২ বছরের বেশি বয়সিদের করোনাভাইরাসের টিকা কার্যক্রম চলতি সপ্তাহেই শুরু হবে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল বাসার মোহাম্মদ খুরশীদ আলম।
মঙ্গলবার দুপুরে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সার্ভাইভারস কিট হস্তান্তর অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের তিনি এ তথ্য জানান।
খুরশীদ আলম বলেন, সারা দেশের জেলা ও সিটি করপোরেশন পর্যায়ে ২১টি কেন্দ্র নির্ধারণ করা হয়েছে। এসব কেন্দ্রে স্কুল শিক্ষার্থীদের ফাইজারের টিকা দেওয়ার প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে।
‘আশা করছি, চলতি সপ্তাহে আমরা টিকাদান শুরু করতে পারব।’
তিনি বলেন, প্রাথমিকভাবে আগারগাঁওয়ে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে টিকা দেওয়ার পরিকল্পনা করেছে অধিদপ্তর। এক্ষেত্রে আমরা একসঙ্গে অনেক শিক্ষার্থীকে টিকা দিতে পারব।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক আরও বলেন, স্কুল শিক্ষার্থীদের তালিকা সরবরাহ করবে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। আমরা সুরক্ষা প্ল্যাটফর্মে তাদের বিস্তারিত তথ্য দিয়ে দেব।
এর আগে রোববার এক প্রেস ব্রিফিংয়ে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক জানান, দুয়েক দিনের মধ্যেই সরকার ১২-১৭ বছর বয়সি শিশুদের করোনাভাইরাসের টিকা দেওয়া শুরু করবে। শুরুতে দেশের ৩০ লাখ ছেলেমেয়েকে এই টিকা দেওয়া হবে। জন্মনিবন্ধন সনদের মাধ্যমে শিশুরা এ টিকার জন্য নিবন্ধন করতে পারবে।
দেশে এখন ১৮ বছরের বেশি বয়সিদের টিকা দেওয়া হচ্ছে। তবে ১৮ বছরের কম বয়সিদের টিকা দেওয়ার ব্যাপারে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার সরাসরি কোনো নির্দেশনা নেই।
সেপ্টেম্বরে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়ার সময় অপ্রাপ্তবয়সিদের টিকা দেওয়ার ইস্যুটি সামনে আসে। সেই সময় সরকার বলেছিল বিষয়টি নিয়ে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার অনুমোদনের অপেক্ষায় রয়েছেন তারা।
এ বিষয়ে সংবাদ ব্রিফিংয়ে স্বাস্থ্যমন্ত্রী রোববার বলেন, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মহাপরিচালকের সঙ্গে কথা বলেছি আমরা।
তিনি বলেন, ১২-১৭ বছরের শিক্ষার্থীদের সংক্রমণ থেকে রক্ষা করার কথা বলে যখন জানতে চেয়েছি, তখন উনি বললেন যে সংক্রমণ রোধে এবং কোমরবিডিটি রয়েছে এমন ছেলেমেয়েদের টিকা দিতে পারেন আপনারা।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী আরও বলেন, উনার (বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মহাপরিচালক) সঙ্গে কথা বলার পর আমি ভ্যাকসিন অ্যালায়েন্স-গ্যাভির সঙ্গে কথা বলেছি। তারা জানিয়েছেন, ফাইজার আর মডার্নার টিকা দিতে পারবে তারা আমাদের।
১২ বছরের বেশি বয়সিদের টিকা চলতি সপ্তাহে
যুগান্তর প্রতিবেদন
১২ অক্টোবর ২০২১, ১৩:৫১:৩৬ | অনলাইন সংস্করণ
১২ বছরের বেশি বয়সিদের করোনাভাইরাসের টিকা কার্যক্রম চলতি সপ্তাহেই শুরু হবে বলে জানিয়েছেনস্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল বাসার মোহাম্মদ খুরশীদ আলম।
মঙ্গলবার দুপুরে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সার্ভাইভারস কিট হস্তান্তর অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের তিনি এ তথ্য জানান।
খুরশীদ আলম বলেন, সারা দেশের জেলা ও সিটি করপোরেশন পর্যায়ে ২১টি কেন্দ্র নির্ধারণ করা হয়েছে। এসব কেন্দ্রে স্কুল শিক্ষার্থীদের ফাইজারের টিকা দেওয়ার প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে।
‘আশা করছি, চলতি সপ্তাহে আমরা টিকাদান শুরু করতে পারব।’
তিনি বলেন, প্রাথমিকভাবে আগারগাঁওয়ে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে টিকা দেওয়ার পরিকল্পনা করেছে অধিদপ্তর। এক্ষেত্রে আমরা একসঙ্গে অনেক শিক্ষার্থীকে টিকা দিতে পারব।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক আরও বলেন, স্কুল শিক্ষার্থীদের তালিকা সরবরাহ করবে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। আমরা সুরক্ষা প্ল্যাটফর্মে তাদের বিস্তারিত তথ্য দিয়ে দেব।
এর আগে রোববার এক প্রেস ব্রিফিংয়ে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক জানান, দুয়েক দিনের মধ্যেই সরকার ১২-১৭ বছর বয়সি শিশুদের করোনাভাইরাসের টিকা দেওয়া শুরু করবে। শুরুতে দেশের ৩০ লাখ ছেলেমেয়েকে এই টিকা দেওয়া হবে। জন্মনিবন্ধন সনদের মাধ্যমে শিশুরা এ টিকার জন্য নিবন্ধন করতে পারবে।
দেশে এখন ১৮ বছরের বেশি বয়সিদের টিকা দেওয়া হচ্ছে। তবে ১৮ বছরের কম বয়সিদের টিকা দেওয়ার ব্যাপারে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার সরাসরি কোনো নির্দেশনা নেই।
সেপ্টেম্বরে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়ার সময় অপ্রাপ্তবয়সিদের টিকা দেওয়ার ইস্যুটি সামনে আসে। সেই সময় সরকার বলেছিল বিষয়টি নিয়ে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার অনুমোদনের অপেক্ষায় রয়েছেন তারা।
এ বিষয়ে সংবাদ ব্রিফিংয়ে স্বাস্থ্যমন্ত্রী রোববার বলেন, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মহাপরিচালকের সঙ্গে কথা বলেছি আমরা।
তিনি বলেন, ১২-১৭ বছরের শিক্ষার্থীদের সংক্রমণ থেকে রক্ষা করার কথা বলে যখন জানতে চেয়েছি, তখন উনি বললেন যে সংক্রমণ রোধে এবং কোমরবিডিটি রয়েছে এমন ছেলেমেয়েদের টিকা দিতে পারেন আপনারা।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী আরও বলেন, উনার (বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মহাপরিচালক) সঙ্গে কথা বলার পর আমি ভ্যাকসিন অ্যালায়েন্স-গ্যাভির সঙ্গে কথা বলেছি। তারা জানিয়েছেন, ফাইজার আর মডার্নার টিকা দিতে পারবে তারা আমাদের।
সম্পাদক : সাইফুল আলম, প্রকাশক : সালমা ইসলাম
প্রকাশক কর্তৃক ক-২৪৪ প্রগতি সরণি, কুড়িল (বিশ্বরোড), বারিধারা, ঢাকা-১২২৯ থেকে প্রকাশিত এবং যমুনা প্রিন্টিং এন্ড পাবলিশিং লিঃ থেকে মুদ্রিত।
পিএবিএক্স : ৯৮২৪০৫৪-৬১, রিপোর্টিং : ৯৮২৩০৭৩, বিজ্ঞাপন : ৯৮২৪০৬২, ফ্যাক্স : ৯৮২৪০৬৩, সার্কুলেশন : ৯৮২৪০৭২। ফ্যাক্স : ৯৮২৪০৬৬
E-mail: jugantor.mail@gmail.com
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
Developed by The Daily Jugantor © 2023