করোনা টিকার চতুর্থ ডোজ ২০ ডিসেম্বর
আগামী ২০ ডিসেম্বর দেশে প্রথমবারের মতো করোনাভাইরাস প্রতিরোধী টিকার চতুর্থ ডোজ দেওয়া হবে। ওই দিন পরীক্ষামূলকভাবে শুরু হবে চতুর্থ ডোজ টিকাদান কার্যক্রম। এরপর আগামী জানুয়ারি মাস থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু হবে এ টিকাদান কার্যক্রম।
মঙ্গলবার রাজধানীর মহাখালীতে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নতুন ভবনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আহমেদুল কবীর এ তথ্য জানান।
তিনি বলেন, ২০ ডিসেম্বর থেকে ঢাকার ৭টি হাসপাতালে দেওয়া হবে করোনাভাইরাস প্রতিরোধী টিকার চতুর্থ ডোজ। প্রতিদিন ৭টি কেন্দ্রে গড়ে ১০০ জনকে পরীক্ষামূলক টিকা দেওয়া হবে। ষাটোর্ধ্ব ও করোনার সম্মুখযোদ্ধাদের দেওয়া হবে এই টিকা। এই কার্যক্রম চলবে ২ সপ্তাহ পর্যন্ত। এরপর জানুয়ারি থেকে পুরোদমে চালু হবে চতুর্থ ডোজ টিকা কার্যক্রম।
আহমেদুল কবীর বলেন, এসএমএসের মাধ্যমে আগের দিন নির্দিষ্ট ব্যক্তিকে জানিয়ে দেওয়া হবে। যারা পরীক্ষামূলক টিকা নেবেন তাদের দুই সপ্তাহ পর্যবেক্ষণে রাখা হবে। কোনো ধরনের জটিলতা দেখা না দিলে নতুন বছরের ১ জানুয়ারি থেকে সারা দেশে চতুর্থ ডোজ টিকাদান কার্যক্রম পুরোপুরিভাবে শুরু হবে।
তিনি আরও বলেন, চতুর্থ ডোজ টিকাদানের জন্য রাজধানীর সাতটি কেন্দ্র নির্ধারণ করা হয়েছে। সেগুলো হলো- বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় (বিএসএমএমইউ) হাসপাতাল, ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, সরকারি কর্মচারী হাসপাতাল, কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতাল, মুগদা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ও শেখ রাসেল গ্যাস্ট্রোলিভার হাসপাতাল।
চতুর্থ ডোজ দেওয়ার কারণ উল্লেখ করে আহমেদুল কবির বলেন, টিকা নেওয়ার চার মাস পর সাধারণত অ্যান্টিবডির মাত্রা কমে যায়। এছাড়া সম্প্রতি বিভিন্ন দেশে করোনা সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
সম্পাদক : সাইফুল আলম, প্রকাশক : সালমা ইসলাম
প্রকাশক কর্তৃক ক-২৪৪ প্রগতি সরণি, কুড়িল (বিশ্বরোড), বারিধারা, ঢাকা-১২২৯ থেকে প্রকাশিত এবং যমুনা প্রিন্টিং এন্ড পাবলিশিং লিঃ থেকে মুদ্রিত।
পিএবিএক্স : ৯৮২৪০৫৪-৬১, রিপোর্টিং : ৯৮২৩০৭৩, বিজ্ঞাপন : ৯৮২৪০৬২, ফ্যাক্স : ৯৮২৪০৬৩, সার্কুলেশন : ৯৮২৪০৭২। ফ্যাক্স : ৯৮২৪০৬৬
E-mail: jugantor.mail@gmail.com
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
করোনা টিকার চতুর্থ ডোজ ২০ ডিসেম্বর
আগামী ২০ ডিসেম্বর দেশে প্রথমবারের মতো করোনাভাইরাস প্রতিরোধী টিকার চতুর্থ ডোজ দেওয়া হবে। ওই দিন পরীক্ষামূলকভাবে শুরু হবে চতুর্থ ডোজ টিকাদান কার্যক্রম। এরপর আগামী জানুয়ারি মাস থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু হবে এ টিকাদান কার্যক্রম।
মঙ্গলবার রাজধানীর মহাখালীতে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নতুন ভবনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আহমেদুল কবীর এ তথ্য জানান।
তিনি বলেন, ২০ ডিসেম্বর থেকে ঢাকার ৭টি হাসপাতালে দেওয়া হবে করোনাভাইরাস প্রতিরোধী টিকার চতুর্থ ডোজ। প্রতিদিন ৭টি কেন্দ্রে গড়ে ১০০ জনকে পরীক্ষামূলক টিকা দেওয়া হবে। ষাটোর্ধ্ব ও করোনার সম্মুখযোদ্ধাদের দেওয়া হবে এই টিকা। এই কার্যক্রম চলবে ২ সপ্তাহ পর্যন্ত। এরপর জানুয়ারি থেকে পুরোদমে চালু হবে চতুর্থ ডোজ টিকা কার্যক্রম।
আহমেদুল কবীর বলেন, এসএমএসের মাধ্যমে আগের দিন নির্দিষ্ট ব্যক্তিকে জানিয়ে দেওয়া হবে। যারা পরীক্ষামূলক টিকা নেবেন তাদের দুই সপ্তাহ পর্যবেক্ষণে রাখা হবে। কোনো ধরনের জটিলতা দেখা না দিলে নতুন বছরের ১ জানুয়ারি থেকে সারা দেশে চতুর্থ ডোজ টিকাদান কার্যক্রম পুরোপুরিভাবে শুরু হবে।
তিনি আরও বলেন, চতুর্থ ডোজ টিকাদানের জন্য রাজধানীর সাতটি কেন্দ্র নির্ধারণ করা হয়েছে। সেগুলো হলো- বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় (বিএসএমএমইউ) হাসপাতাল, ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, সরকারি কর্মচারী হাসপাতাল, কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতাল, মুগদা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ও শেখ রাসেল গ্যাস্ট্রোলিভার হাসপাতাল।
চতুর্থ ডোজ দেওয়ার কারণ উল্লেখ করে আহমেদুল কবির বলেন, টিকা নেওয়ার চার মাস পর সাধারণত অ্যান্টিবডির মাত্রা কমে যায়। এছাড়া সম্প্রতি বিভিন্ন দেশে করোনা সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।