Logo
Logo
×

সুস্থ থাকুন

ফ্যাটিলিভার রোগীদের রোজা

Icon

অধ্যাপক ডা. ফারুক আহমেদ

প্রকাশ: ২২ মার্চ ২০২৫, ১২:০০ এএম

প্রিন্ট সংস্করণ

ফ্যাটিলিভার রোগীদের রোজা

যকৃত বা লিভারে শতকরা ৫-১০ ভাগের বেশি চর্বি জমা হলে তাকে ফ্যাটিলিভার বলা হয়। আমাদের দেশের প্রায় এক-তৃতীয়াংশ প্রাপ্তবয়স্ক ব্যক্তি ফ্যাটিলিভারে ভুগছেন। সাধারণত স্থূলকায়ত্ব বা অতিরিক্ত ওজন, ডায়াবেটিস, রক্তে চর্বির আধিক্য ইত্যাদির সঙ্গে ফ্যাটিলিভার রোগটি সম্পর্কিত। সাধারণত এ রোগের কোনো লক্ষণ দেখা যায় না, তবে কখনো পেটের ডান পাশে উপরিভাগে কিছুটা ব্যথা অনুভব করা যায়। সচেতন না হলে এ থেকে দীর্ঘমেয়াদি লিভারে প্রদাহ হয়, যা থেকে লিভার সিরোসিস ও এর জটিলতায় লিভার ক্যানসার হতে পারে। এ রোগের চিকিৎসা মূলত জীবনযাপন প্রণালির পরিবর্তনের ওপর নির্ভর করে। সঠিক খাদ্যাভ্যাস ও শরীরচর্চার মাধ্যমে শরীরের ওজন কমানো ও ডায়াবেটিস বা রক্তের চর্বি ইত্যাদি রোগের চিকিৎসার মাধ্যমে ফ্যাটিলিভার রোগ থেকে নিরাময় লাভ করা যায়।

রমজান মাসে ফ্যাটিলিভারের রোগীদের জন্য সুফল বয়ে আনার সুযোগ তৈরি হয়। চিকিৎসকের সঙ্গে পরামর্শ করে ডায়াবেটিস বা অন্য রোগের জন্য ইনসুলিন/ওষুধের ডোজ পরিবর্তন করে ফ্যাটিলিভারের রোগীরা রোজা রাখতে পারবেন। সুষম ইফতার, রাতের খাবার, সেহরি গ্রহণের পাশাপাশি স্বাভাবিক কাজকর্ম করে এ মাসে ওজন কমানোর মাধ্যমে ফ্যাটিলিভারের রোগীরা উপকৃত হতে পারেন। এতে লিভারে চর্বির পরিমাণ ও প্রদাহ যেমন হ্রাস পায়, সার্বিকভাবে লিভারের কার্যক্ষমতাও বৃদ্ধি পায়। সাধারণভাবে ইফতারের সময় চিনি, মিষ্টান্ন ও তেলে ভাজা খাবার বর্জন করে তাজা ফল ও সবজি জাতীয় খাবার ও পরিমিত শর্করা গ্রহণ করা উচিত। রাতের খাবার ও সেহরিতে পর্যাপ্ত সবজি ও মাছ গ্রহণ করার পাশাপাশি সীমিত পরিমাণে মুরগির মাংস রাখা যেতে পারে। গরু, খাসির মাংস বর্জন করা উচিত। ফলের মধ্যে পেয়ারা, জাম্বুরা, আমলকী ইত্যাদি টক ফল পর্যাপ্ত পরিমাণে খেতে পারেন। বাজারের খোলা খাবার, ফাস্ট ফুড, প্রসেসড ফুড, চিনিযুক্ত পানীয়, ঘি, ডালডা, তেলে ভাজা খাবার বর্জন করলে ফ্যাটিলিভারের পাশাপাশি অন্য রোগীরাও উপকার পাবেন। সঠিক খাদ্যাভ্যাস, স্বাভাবিক কাজকর্ম বা শরীরচর্চা ঠিক রেখে ফ্যাটিলিভারে আক্রান্ত ব্যক্তিরা রমজান মাসে রোজা রাখতে পারবেন, তবে এ ব্যাপারে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের সঙ্গে পরামর্শ করে নেওয়া উচিত।

লেখক : লিভার রোগ বিশেষজ্ঞ।

ফ্যাটিলিভার

Jamuna Electronics

Logo

সম্পাদক : আবদুল হাই শিকদার

প্রকাশক : সালমা ইসলাম