Logo
Logo
×

সুস্থ থাকুন

হজের সময় ডায়াবেটিক রোগীর পায়ের যত্ন

Icon

ডা. শাহজাদা সেলিম

প্রকাশ: ০৩ মে ২০২৫, ১২:০০ এএম

প্রিন্ট সংস্করণ

হজের সময় ডায়াবেটিক রোগীর পায়ের যত্ন

প্রতিবছর লাখ লাখ মুসলমান হজ পালন করতে সৌদি আরব যান। তাদের কারও কারও বিভিন্ন রকম শারীরিক সমস্যা থাকে। ডায়াবেটিক রোগীদের নানা দীর্ঘমেয়াদি জটিলতা থাকতে পারে, যার মধ্যে স্নায়োবিক জটিলতা বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ। এজন্য ডায়াবেটিক রোগীদের হজ পালনের জন্য পায়ের অবস্থা জানা ও যত্ন নেওয়া প্রয়োজন।

হাজিদের প্রায় ১.৫ শতাংশ ডায়াবেটিস নিউরোপ্যাথিতে ভোগেন, যা পায়ের জটিলতা, ক্ষত বা ঘা হওয়ার ঝুঁকি বাড়িয়ে দেয়। ডায়াবেটিক রোগীর পায়ে আলসার হলে চিকিৎসকের সঙ্গে পরামর্শ প্রয়োজন। অনেক ক্ষেত্রে এ জন্য অস্ত্রোপচারের দরকার হতে পারে। হাঁটতে গিয়ে ৩১ শতাংশ হজযাত্রীর পায়ে ফোসকা হয়ে যায়, আর ২.৫ শতাংশ রোগীর পা ফুলে যায়। অনিয়ন্ত্রিত ডায়াবেটিক রোগীদের পায়ে ইনফেকশন হওয়ার ঝুঁকি বেশি থাকে। রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যাওয়া, ক্ষত নিরাময়ে দেরি হওয়া এবং নিউরোপ্যাথি ও পেরিফেরাল ভাস্কুলার রোগের উপস্থিতির কারণে ডায়াবেটিক রোগীরা গুরুতর জটিলতার সম্মুখীন হন। গ্রীষ্মের মাসগুলোতে মাটির উচ্চতাপমাত্রার (প্রায় ৬০ ডিগ্রি সেন্টিগ্রেড) কারণে পা পুড়ে যাওয়া যা একটি উল্লেখযোগ্য ঝুঁকি, যা পরে পায়ের আলসারের কারণ হয়।

পায়ের সমস্যা যেভাবে সমাধান করবেন

▶ হাঁটার সময় পায়ের ফাটল এবং ফাটলরোধ করতে রোগীকে প্রতিদিন দুবার ব্যবহার করার জন্য একটি ভালো মানের গন্ধহীন ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করা উচিত।

▶ দৈনিক পা পর্যবেক্ষণ করা আবশ্যক এবং গরম পানিতে পা ডুবান অবশ্যই এড়িয়ে চলতে হবে।

▶ একটি তীর্থস্থান থেকে অন্য তীর্থস্থানে যাতায়াতের জন্য, যা ৫ থেকে ১৫ কিলোমিটারের মধ্যে হয়, মোটরচালিত যান বা হুইলচেয়ার ব্যবহার করা নিরাপদ।

▶ মসজিদের মধ্যে কার্যকলাপের জন্য এবং জুতা নিষিদ্ধ এলাকায় প্যাডেড মোজা ব্যবহার করা আবশ্যক; খালি পায়ে হাঁটা উচিত নয়।

▶ তীর্থযাত্রীদের ক্রিয়াকলাপের জন্য সেখানে হাঁটার প্রয়োজন হয়, সেখানে হালকা ওজনের, পায়ের গোড়ালি এবং নরম প্যাডেড জুতা ব্যবহার করা উচিত। এ জুতা যথেষ্ট নমনীয় হওয়া উচিত।

▶ রোগীদের পা শুকনো রাখা উচিত এবং ওজু করার পর সুতির তোয়ালে দিয়ে পা মুছে নিতে হবে।

▶ প্রদাহ এবং সংক্রমণের লক্ষণ হলে এবং টিস্যু

বা কোষের ক্ষতির ঝুঁকি কমাতে প্রফাইল্যাকটিক অ্যান্টিবায়োটিক যত তাড়াতাড়ি সম্ভব শুরু

করতে হবে।

▶ পায়ের কোথাও ফোসকা দেখা দিলে, পা শুকনা রাখা উচিত এবং সংক্রমণ প্রতিরোধ করার জন্য পায়ের যত্ন নেওয়া উচিত।

▶ সংক্রমিত ফোসকা অবিলম্বে মক্কার চিকিৎসক দ্বারা মূল্যয়ন করানো উচিত।

লেখক : সহযোগী অধ্যাপক, এন্ডোক্রাইনোলজি বিভাগ, বাংলাদশে মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়।

ডায়াবেটিক

Logo

সম্পাদক : আবদুল হাই শিকদার

প্রকাশক : সালমা ইসলাম