মশাবাহিত রোগ থেকে সাবধান

 অধ্যাপক ডা. খাজা নাজিম উদ্দিন  
০৩ জুন ২০২৩, ০৩:০৬ পিএম  |  অনলাইন সংস্করণ

শীত কিংবা গরম-বছরের পুরো সময়ই নগরবাসীকে মশার কামড় খেতে হয়। শহরের এখানে-ওখানে খানাখন্দ, খোলা ম্যানহোল, পয়োনাল, অর্ধনির্মিত দালান, আবর্জনায় ভরা। এসব জায়গায় মশা বংশ বিস্তার করে চলেছে। এই মশা থেকে প্রতি বছর অসংখ্য মানুষ নানা রোগে আক্রান্ত হয়। এসব রোগে মৃত্যুর হারও কম নয়। উল্লেখযোগ্য রোগের মধ্যে রয়েছে ম্যালেরিয়া, ডেঙ্গি, চিকনগুনিয়া, এনকেফেলাইটিস ও জিকা।

* ম্যালেরিয়া

বাংলাদেশের পার্বত্য এলাকায় ম্যালেরিয়ার প্রকোপ বেশি। তাই বলে ঢাকা বা অন্যান্য শহরেও যে হয় না, তা নয়। এছাড়া প্রতিদিনই অনেক পর্যটক বেড়াতে বা কাজে চট্টগ্রাম, পার্বত্য চট্টগ্রাম, কক্সবাজার ইত্যাদি এলাকায় যাচ্ছেন। তাই যে কেউ ম্যালেরিয়ায় আক্রান্ত হতে পারেন। অনেক জ্বর, কাঁপুনি দিয়ে জ্বর, প্লীহা ও যকৃতের আকৃতি বৃদ্ধি ইত্যাদি এ রোগের লক্ষণ। কখনো কখনো ম্যালেরিয়া প্রাণনাশী হয়ে উঠতে পারে, মস্তিষ্ককে আক্রমণ করতে পারে, অস্বাভাবিক রক্তপাত, জন্ডিস ইত্যাদিও ঘটাতে পারে।

* ডেঙ্গি

ডেঙ্গি মশার আক্রমণ শহরেই বেশি। জ্বর, প্রচণ্ড মাথাব্যথা ও চোখব্যথা, গায়ে ফুসকুড়ি বা র‌্যাশ-রোগের লক্ষণ। এতে রক্তে অণুচক্রিকা কমে যেতে পারে এবং অস্বাভাবিক রক্তপাত হতে পারে। এমনিতে ডেঙ্গি জ্বরে মৃত্যুর আশঙ্কা তেমন নেই, তবে ডেঙ্গি শক সিনড্রোম হয়ে গেলে ব্যাপারটা জটিল রূপ নিতে পারে। এডিস মশা দিয়ে এ রোগ ছড়ায়। এ মশা দিনে কামড়ায়। এডিস জঙ্গলে নয় ঘরে বাস করে।

* চিকুনগুনিয়া

এটিও এডিস মশার মাধ্যমেই ছড়ায়। এ রোগে জ্বরের পাশাপাশি হাড়ের জোড়া বা অস্থিসন্ধিতে ব্যথা হয়। ব্যথা, জ্বর সেরে যাওয়ার পরও অনেক দিন পর্যন্ত স্থায়ী হতে পারে। দেখা গেছে যাদের HLA-B27 পজেটিভ তাদের ব্যথা দীর্ঘস্থায়ী হয়।

* এনকেফেলাইটিস

এটিও মশাবাহিত ভাইরাস। মস্তিষ্কে প্রদাহ ঘটায়। এর উপসর্গ সাধারণ ফ্লুর মতো। এশিয়া মহাদেশে এ সমস্যা জাপানিজ এনকেফেলাইটিস নামে পরিচিত। এর প্রভাবে জ্বর, গলাব্যথা থেকে শুরু করে খিঁচুনি, মাংসপেশির দুর্বলতা ইত্যাদি সমস্যা হতে পারে।

* জিকা

বেশ কয়েকটি দেশে জিকা ভাইরাসজনিত যে সমস্যা দেখা মিলেছে, সেটাও মশাবাহিত। বাংলাদেশে ততটা না দেখা গেলেও মনে রাখতে হবে যে ভাইরাসবাহী মশা বিমানে করে আসতে পারে। গর্ভবতী মা এতে সংক্রমিত হলে গর্ভস্থ শিশু আক্রান্ত হতে পারে। জিকার রোগীদের গুলেন ব্যারী সিনড্রম বেশি হয়।

* ডেঙ্গি নাকি চিকুনগুনিয়া

বর্ষায় কয়েক বছর ধরে ডেঙ্গির প্রকোপ নিয়মিত দেখা যাচ্ছে। ইদানীং এর সঙ্গে যোগ হয়েছে নতুন ভাইরাস জ্বর-চিকুনগুনিয়া। এ দুই ধরনের ভাইরাস প্রায় একই সময়ে দেখা দেয়। এদের জীবাণুবাহী মশাও একই প্রজাতির, এডিস। রোগের লক্ষণ ও উপসর্গেও নানা মিল আছে।

* ডেঙ্গি ও চিকুনগুনিয়ার মধ্যে পার্থক্য

ডেঙ্গি ও চিকুনগুনিয়া দুটোই ভাইরাস জ্বর। পাশাপাশি থাকে তীব্র শরীর ব্যথা। তবে পার্থক্য হলো, ডেঙ্গিজ্বরে চোখ ও মাথায় প্রচণ্ড ব্যথা হয়, মাংসপেশি এবং হাড়ে ব্যথাও হয়। তবে গিরা তেমন ফুলে না বা ব্যথাও কম থাকে। কিন্তু চিকুনগুনিয়ার বৈশিষ্ট্যই হচ্ছে গিরায় ব্যথা। আফ্রিকার আঞ্চলিক ভাষায় এই চিকুনগুনিয়ার মানে বাঁকা হয়ে যাওয়া। কেউ বলেন ল্যাংড়া জ্বর। কারণ এতে আক্রান্ত রোগীর ঘাড়, পিঠ, মাজায় এত তীব্র ব্যথা হয় যে, সোজা হয়ে দাঁড়াতে কষ্ট হয়। তখন কেউ কেউ খুঁড়িয়ে হাঁটতে বাধ্য হন। সাধারণত চিকুনগুনিয়ায় জ্বর, ত্বকে র‌্যাশ, সন্ধি বা হাড়ের জোড়ায় ব্যথা ও গায়ে ব্যথা করে। এরচেয়ে তীব্র হলে সন্ধি ফুলে যায়, রক্তচাপ ও প্রস্রাব হ্রাস প্রভৃতি সমস্যা হতে পারে। রোগটি সবচেয়ে জটিল রূপ নিলে উচ্চমাত্রার জ্বর, সন্ধি ব্যথা ও ফোলা, বমি এবং ডায়রিয়ায় (রোগী) অচেতনও হয়ে যেতে পারে। তবে চিকুনগুনিয়ায় ডেঙ্গির চেয়ে মৃত্যুঝুঁকি কিছুটা কম। ডেঙ্গি সাধারণত ৫ থেকে ৭ দিনের মধ্যে সেরে যায়। তবে চিকুনগুনিয়ার রোগী ৭ থেকে ১০ দিনে সেরে উঠলেও ব্যথা কিছু ক্ষেত্রে দীর্ঘস্থায়ী হতে পারে। এমনকি জ্বরটা সেরে গিয়ে আবারও হতে পারে।

* কী করবেন

ডেঙ্গি ও চিকুনগুনিয়ার চিকিৎসা ব্যবস্থাপনা প্রায় একই। ডেঙ্গি এনএসওয়ান অ্যান্টিজেন বা ডেঙ্গি আইজিএম অ্যান্টিবডি পরীক্ষা করে রোগ নির্ণয় করতে হয়। তার আগ পর্যন্ত চিকিৎসার কোনো হেরফের নেই। সমস্যা তীব্র না হলে বাড়িতেই থাকুন। প্রচুর পরিমাণে পানি ও তরল খাবার পান করুন (দিনে তিন লিটার, সঙ্গে লবণ-জল, ডাবের পানি, স্যালাইন ইত্যাদি)। জ্বর ও ব্যথা কমাতে প্যারাসিটামল খেতে পারেন। পর্যাপ্ত বিশ্রাম নিন। সন্ধি ব্যথা কমাতে ঠান্ডা ছ্যাঁক নিতে পারেন, হালকা ব্যায়াম করা যায়। রোগ নির্ণয়ের আগেই অ্যাসপিরিন বা অন্য ব্যথানাশক সেবন করা যাবে না। প্যারাসিটামল খেতে পারেন।

* কখন হাসপাতালে যাবেন

এমনিতে চিকুনগুনিয়া ডেঙ্গির মতো জটিল না হলেও ষাটোর্ধ্ব ব্যক্তি বা ছোট শিশু, অন্তঃসত্ত্বা নারী এবং কিডনি, যকৃৎ বা হৃদ্যন্ত্রে আক্রান্ত ব্যক্তির ঝুঁকি থাকে। ডেঙ্গিতে রক্তচাপ কমে গেলে বা প্রস্রাবের পরিমাণ দিনে ৫০০ মিলিলিটারের কম হলে তিন দিন বাড়িতে চিকিৎসার পরও ব্যথা তীব্র রয়ে গেলে হাসপাতালে ভর্তি হওয়া প্রয়োজন। এ ক্ষেত্রে শিরায় স্যালাইন দেয়া লাগতে পারে। চিকুনগুনিয়া রোগ শনাক্ত করতে পিসিআর, কালচার বা অ্যান্টিবডি পরীক্ষা করা যেতে পারে। উদ্বিগ্ন হওয়ার কিছু নেই। এ রোগে কোনো স্থায়ী ক্ষতি হয় না, এটি বাতরোগও নয়। মশা নিধন ছাড়া ডেঙ্গি বা চিকুনগুনিয়ার মতো রোগ থেকে নগরবাসীর রেহাই নেই।

* ডেঙ্গি-চিকুনগুনিয়ায় পথ্য

ঢাকা শহরের বহু মানুষ ডেঙ্গি ও চিকুনগুনিয়া রোগে আক্রান্ত হচ্ছে। এ দুই ধরনের জ্বরই এডিস মশার মাধ্যমে ছড়ায়। গ্রীষ্ম ও বর্ষাকালে আক্রান্ত হওয়ার হার বেশি। এ দুই রোগে জ্বর, গায়ে প্রচণ্ড ব্যথা, শরীরে ফুসকুড়ি বা র‌্যাশ হয়ে থাকে। খুব দুর্বল লাগে, মাথা ঘোরে, কারও কারও বমি হয়। রক্তচাপও কমে যেতে পারে। বলতে গেলে রোগী প্রায় কিছুই খেতে চায় না। বিশেষ করে, শিশু ও বয়স্ক মানুষকে নিয়ে সমস্যা বেশি হয়। খাওয়া বন্ধ করে দেয়ার ফলে তারা আরও দুর্বল হয়ে পড়ে। এমন রোগীকে খাওয়ানোর ব্যাপারে কয়েকটি পরামর্শ-

▶ জ্বর হলে শরীরে ক্যালরির চাহিদা বাড়ে। কারণ, তখন বিপাক বেড়ে যায়, বেশি পুষ্টির দরকার হয়। তাই খাওয়া বন্ধ করে দিলে বিপদ বাড়বে। রুচি কমে গেলে এমন খাবার বেছে নিন, যা অল্প খেলেও বেশি ক্যালরি পাওয়া যায়।

▶ ডেঙ্গি বা চিকুনগুনিয়া হলে প্রচুর তরল পান করতে হয়, দিনে কমপক্ষে তিন লিটার। পানির পাশাপাশি লবণ ও খনিজ উপাদানসমৃদ্ধ তরল (যেমন : ডাবের পানি, ওরস্যালাইন, লেবু-লবণের শরবত, ফলের রস) পান করা উচিত। এতে করে রক্তচাপ হ্রাসের ঝুঁকি কমবে। তবে অতিমিষ্টি পানীয় বমির উদ্রেক করতে পারে। বাজারে কোমল পানীয় বা আইসক্রিম সহজে পিপাসা মেটায় না।

▶ অরুচি বা বমিভাবের মধ্যে তেল-মসলাযুক্ত খাবার, ফাস্ট ফুড ইত্যাদি না খাওয়াই ভালো। খাবারের তালিকায় পর্যাপ্ত শর্করা যেমন : ভাত, জাউভাত, ওটমিল ইত্যাদি রাখুন। রাখুন প্রোটিনও, যেমন : দুধ, দই, মাছ বা মুরগির মাংস ও স্যুপ।

▶ অনেক ডেঙ্গি বা চিকুনগুনিয়া রোগী খেতে গেলেই বমি আসে। তারা হালকা শুকনো খাবার খেতে পারে। যেমন বিস্কুট, মুড়ি ইত্যাদি। এতে বমি ভাব কমবে। এ ছাড়া আদা-চা, গ্রিন টি বা শুকনো আদা বমি ভাব কমায়। এ সময় ফলমূল খেতে হবে বেশি করে।

* মশা থেকে সাবধান

মশার কামড় থেকে আত্মরক্ষাই সবচেয়ে বড় সমাধান। বসন্তকাল থেকে শুরু হয় মশাবাহিত অসুখ-বিসুখের প্রকোপ, বর্ষাকালে সবচেয়ে বাড়ে। মশা থেকে বাঁচতে হালকা রঙের কাপড় পরবেন, ফুলস্লিভ হলে ভালো। বাড়িতে মশারি ব্যবহার করতে পারেন। রাতে অবশ্যই মশারি ব্যবহার করবেন। শিশুরা ঘুমালে দিনেও মশারি ব্যবহার করা দরকার। পাহাড়ি এলাকায় ঘুরতে গেলে অবশ্যই সাবধান থাকবেন, সঙ্গে ফুলহাতা জামা ও মশা তাড়ানোর ওষুধ নেবেন। বাড়িঘরের আশপাশে বদ্ধ পানি নিয়মিত পরিষ্কার করবেন। টবের নিচে, এসির নিচে জমে থাকা পানি পরিষ্কার রাখবেন। প্রয়োজনে পাড়ার সবাই মিলে নিজেদের আশপাশ পরিচ্ছন্ন রাখুন এবং পানি ও আবর্জনামুক্ত রাখার বিষয়ে একতাবদ্ধ হোন।

* মশা তাড়াতে গিয়ে স্বাস্থ্য ঝুঁকি

প্রতি বছর মশাবাহিত রোগে অসংখ্য মানুষ আক্রান্ত হয়। বেশ কয়েক বছর ধরে প্রতি গ্রীষ্ম-বর্ষায় নিয়মিত ডেঙ্গির প্রকোপ দেখা দিচ্ছে। ইদানীং নতুন যোগ হয়েছে চিকুনগুনিয়া। পাহাড়ি এলাকায় বেড়াতে গিয়ে ম্যালেরিয়ায় আক্রান্ত হওয়া। মশা তাড়ানোর জন্য আমরা নানা পদ্ধতি ব্যবহার করে থাকি। যেমন মশার কয়েল, স্প্রে, ত্বকে লাগানোর লোশন ইত্যাদি। এগুলো ব্যবহার করতে গিয়ে আমরা আবার নতুন স্বাস্থ্য ঝুঁকি তৈরি করছি।

* কয়েল : ১০০ বছর ধরে এশিয়া, আফ্রিকা ও দক্ষিণ আমেরিকায় ব্যবহৃত হয়ে আসছে মশা তাড়ানোর কয়েল। এটি থেকে যে ধোঁয়া বেরোয়, তাতে বিদ্যমান রাসায়নিক উপাদান মশা তাড়াতে সাহায্য করে। কিন্তু এ ধোঁয়ায় ফরমালডিহাইড, হাইড্রোকার্বনসহ আরও কিছু উপাদান থাকে, যেগুলো মানুষের স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর। হাঁপানি রোগীদের জন্য এ ধোঁয়া খারাপ। শিশুদের ধারে-কাছে কয়েল না জ্বালানোই ভালো।

* স্প্রে : মশা তাড়াতে ব্যবহৃত বেশিরভাগ স্প্রেতে পাইরিথোয়েড নামক রাসায়নিক উপাদান থাকে। এটা বাষ্পীভূত হয়ে বাতাসে মেশে ও মশা তাড়ায়। এমনিতে এর খুব ক্ষতিকর প্রভাব না থাকলেও একাধিক গবেষণায় দেখা যায়, এ ধরনের স্প্রে ব্যবহারে হাঁপানি, ব্রংকাইটিস রোগীদের শ্বাসকষ্ট বাড়তে পারে, শ্বাসনালির ইরিটেশন তৈরি করে, কখনো চোখ জ্বালা করতে পারে, কারও কারও মাথাব্যথার কারণ হয়ে দাঁড়ায়। কারও অ্যালার্জি হয়, সর্দিকাশি দেখা দেয়।

* ক্রিম : মশা তাড়ানোর অধিকাংশ ক্রিম বা লোশনে ডিট নামের এক ধরনের টলঅ্যামাইড থাকে। অনেকের ত্বকে এ থেকে ফুসকুড়ি র‌্যাশ, চুলকানি, অ্যালার্জি ও চোখে সমস্যা হতে পারে।

* উপায় : মশার হাত থেকে বাঁচার কোনো না কোনো পদ্ধতি অবলম্বন ছাড়া উপায় নেই। তাতে খানিকটা ঝুঁকি থাকলেও মশাবাহিত জটিল অসুখ-বিসুখ থেকে তো রেহাই মিলবে।

* পরামর্শ

▶ ঘরের দরজা-জানালা বন্ধ করে স্প্রে করুন এবং ঘর থেকে বেরিয়ে যান। স্প্রে করার সময় এবং পরপরই ঘরে শিশুদের থাকতে দেবেন না। অন্তত দু-এক ঘণ্টা পর ঘরে প্রবেশ করুন এবং ফ্যানের হাওয়ায় ভাসমান কণাগুলোকে বেরিয়ে যেতে দিন।

▶ কখনোই কাটা-ছেঁড়া বা অ্যালার্জিক ত্বকে ক্রিম লাগাবেন না। নির্দিষ্ট সময় পর ভালো করে সাবান পনি দিয়ে ত্বক ধুয়ে ফেলবেন। মুখমণ্ডল ও চোখের কাছে ক্রিম লাগাবেন না।

▶ সবচেয়ে নিরাপদ পদ্ধতি হলো নিজেকে ও বাড়ির পরিবেশকে সুরক্ষিত রাখা। মশারি টানিয়ে শোবেন। সাদা বা হালকা রঙের পোশাক পরুন।

লেখক : মেডিসিন ও ডায়াবেটিস বিশেষজ্ঞ, বারডেম হাসপাতাল, ঢাকা।

যুগান্তর ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন