নতুন করে সংক্রমণ বাড়ছে করোনার, সুস্থ থাকতে যা করবেন

লাইফস্টাইল ডেস্ক
প্রকাশ: ১১ জুন ২০২৫, ১১:১৮ এএম

ছবি: সংগৃহীত
ভারতসহ পার্শ্ববর্তী কয়েকটি দেশে করোনা ভাইরাসের নতুন সাব-ভ্যারিয়েন্টগুলোর সংক্রমণ বৃদ্ধির পাচ্ছে। তবে এ নিয়ে আতঙ্কিত না হয়ে বরং সচেতনতা এবং স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলা অত্যন্ত জরুরি। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা এবং বাংলাদেশের স্বাস্থ্য অধিদপ্তরও একই পরামর্শ দিচ্ছে। নিচে কিছু গুরুত্বপূর্ণ করণীয় উল্লেখ করা হলো-
সাধারণ প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা
মাস্ক পরা: বদ্ধ এবং ভিড় রয়েছে এমন জায়গায় মাস্ক পরা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। হাসপাতালে যারা চিকিৎসা নিতে যাবেন বা যারা চিকিৎসা দেবেন, তাদের অবশ্যই মাস্ক পরা উচিত।
হাঁচি ও কাশি ঢেকে রাখা: হাঁচি বা কাশির সময় টিস্যু, কাপড় বা বাহু দিয়ে নাক-মুখ ঢেকে রাখুন। ব্যবহৃত টিস্যু দ্রুত নিরাপদ স্থানে ফেলে দিন।
নিয়মিত হাত পরিষ্কার করা: সাবান ও পানি দিয়ে অন্তত ২০ সেকেন্ড ধরে নিয়মিত হাত ধুয়ে নিন। সাবান না থাকলে অ্যালকোহল-ভিত্তিক হ্যান্ড স্যানিটাইজার ব্যবহার করুন। অপরিষ্কার হাতে চোখ, নাক ও মুখ স্পর্শ করা থেকে বিরত থাকুন।
শারীরিক দূরত্ব বজায় রাখা: আক্রান্ত ব্যক্তি থেকে কমপক্ষে ৩ ফুট (১ মিটার) শারীরিক দূরত্ব বজায় রাখুন।
ভিড় এড়িয়ে চলা: জনসমাগমপূর্ণ স্থান এবং কম বায়ুচলাচলযুক্ত এলাকা এড়িয়ে চলুন। বিশেষ করে বয়স্ক ও অসুস্থ ব্যক্তিদের এ ধরনের স্থান এড়িয়ে চলার পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।
অসুস্থ হলে বাড়িতে থাকা: অসুস্থ বোধ করলে বাড়িতেই থাকুন এবং লক্ষণগুলো গুরুতর হলে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।
উপসর্গ দেখা দিলে পরীক্ষা করানো: যদি কোভিড-১৯ এর লক্ষণ দেখা দেয়, তবে দ্রুত পরীক্ষা করিয়ে নিন।
বায়ুচলাচল নিশ্চিত করা: ঘরের ভিতরে বায়ুচলাচল স্বাভাবিক রাখতে জানালা খুলে রাখুন।
টিকাকরণ:
টিকা গ্রহণ: কোভিড-১৯ এবং ফ্লু এর টিকা নিন, বিশেষ করে যদি আপনার কোনো স্বাস্থ্য ঝুঁকি থাকে। টিকা সংক্রমণ এবং মারাত্মক রোগ ঠেকাতে সাহায্য করে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা অনুমোদিত কোভিড-১৯ ভ্যাকসিন নিরাপদ এবং কার্যকর।
সুস্থ জীবনযাপন-
রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি: সুষম খাদ্য গ্রহণ করুন (ফলমূল এবং শাকসবজি), পর্যাপ্ত ঘুম পান এবং নিয়মিত ব্যায়াম করুন।
ধূমপান ও অ্যালকোহল বর্জন: ধূমপান এড়িয়ে চলুন এবং অ্যালকোহল গ্রহণ সীমিত করুন, কারণ এগুলি আপনার শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা দুর্বল করে দিতে পারে।
মানসিক স্বাস্থ্য: মানসিক স্বাস্থ্যও গুরুত্বপূর্ণ। চাপ এবং উদ্বেগ আপনার রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাকে প্রভাবিত করতে পারে। শান্ত এবং মনোযোগী থাকার জন্য ধ্যান বা শ্বাস-প্রশ্বাসের ব্যায়ামের মতো শিথিলকরণ কৌশল অনুশীলন করুন।
আন্তর্জাতিক ভ্রমণের ক্ষেত্রে:
সতর্কতা: জরুরি প্রয়োজন ব্যতীত ভারত ও অন্যান্য আক্রান্ত দেশসমূহে ভ্রমণ করা থেকে বিরত থাকুন।
বিমানবন্দর, স্থলবন্দর ও নৌ ইমিগ্রেশনে সতর্কতা: দেশের সকল স্থল/নৌ/বিমান বন্দরের আইএইচআর (International Health Regulations) ডেস্কগুলোতে সার্ভেল্যান্স জোরদার এবং ঝুঁকি কমুনিকেশন কার্যক্রম জোরদার করা হয়েছে। থার্মাল স্ক্যানার/ডিজিটাল হেল্ড থার্মোমিটারের মাধ্যমে তাপমাত্রা নির্ণয় করা হচ্ছে।
মনে রাখবেন, বর্তমানে করোনার সংক্রমণ বাড়লেও এখনই আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই। সচেতনতা, ব্যক্তিগত সুরক্ষা এবং স্বাস্থ্যবিধি মেনে চললে এই পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব।