বেনাপোল স্থলবন্দরে আমদানি-রপ্তানিসহ পণ্য খালাস বন্ধ
বেনাপোল প্রতিনিধি
৩০ জানুয়ারি ২০২৩, ১৪:২০:৩১ | অনলাইন সংস্করণ
কাস্টমস এজেন্টস লাইসেন্সিং বিধিমালা-২০২০ বাতিলসহ সিঅ্যান্ডএফ এজেন্টের মৌলিক অধিকার খর্ব করার প্রতিবাদে সোমবার সকাল থেকে দুদিনের কর্মবিরতি চলছে বেনাপোল স্থলবন্দরে।
ফলে সোমবারসকাল থেকে দুই দেশের মধ্যে আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্য বন্ধ রয়েছে। বন্দর থেকেও বন্ধ রয়েছে সব ধরনের মালামাল খালাস।
কাস্টমস হাউস ও বন্দরে সব ধরনের কার্যক্রম বন্ধ আছে। দুই দেশের বন্দর এলাকায় শত শত পণ্যবোঝাই ট্রাক আটকা পড়ে আছে।
বিশেষ করে পচনশীল পণ্যসহ পান, মাছ, চাল ও গার্সেন্টমসের কাঁচামাল খালাস বন্ধ থাকায় ঝুঁকিতে রয়েছেন আমদানিকারকরা।
বন্দরের পাঁচ হাজার শ্রমিক অলস সময় পার করছেন সকাল থেকে। সিঅ্যান্ডএফ এজেন্টদের এই কর্মবিরতির সঙ্গে একাত্মতা ঘোষণা করেছেবন্দর ব্যবহারকারী পাঁচ সংগঠন।
অবস্থায় ওই বিধিমালা সংশোধন করতে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) চেয়ারম্যানকে চিঠি দিয়েছে ফেডারেশন অব বাংলাদেশ কাস্টমস ক্লিয়ারিং অ্যান্ড ফরওয়ার্ডিং এজেন্টস অ্যাসোসিয়েশন।
বিধিমালায় প্রয়োজনীয় সংশোধন না করা হলে ৩০ ও ৩১ জানুয়ারি বেনাপোলসহ সব কাস্টম হাউস ও শুল্কস্টেশনে কর্মবিরতি পালন করা হচ্ছে।
বেনাপোল সিঅ্যঅন্ডএফ এজেন্টস অ্যাসোসিয়েশনের সিনিয়র সহসভাপতি খাইরুজ্জামান মধু জানান, বিধিমালা জারি পর এর প্রয়োজনীয় সংশোধনের জন্য এ ফেডারেশন কর্তৃক বারবার চিঠি পাঠিয়ে অনুরোধ করা হয়েছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডকে।
তার পরও কোনো ফলপ্রসূ সিদ্ধান্ত পাওয়া যায়নি। ২০২২-২৩ অর্থবছরের বাজেট প্রস্তাবনায় অন্তর্ভুক্ত করার লক্ষ্যে উত্থাপিত লাইসেন্সিং রুলের কয়েকটি বিধি ও উপবিধি সংশোধনীর প্রস্তাব করা হলেও তা আমলে নেয়নি রাজস্ব বোর্ড। এ কারণে গত বছরও কয়েকবার কর্মবিরতি করা হয়।
দাবির পরিপ্রেক্ষিতে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড কর্মকর্তারা বিধিমালা সংশোধনের বিষয়ে সংগঠনের নেতাদের আশ্বস্ত করেন।
আগামী সাত দিনের মধ্যে ফেডারেশনের দেওয়া বিধিবিধান সংশোধন করার দাবি জানায় সংগঠনটি।
সম্পাদক : সাইফুল আলম, প্রকাশক : সালমা ইসলাম
প্রকাশক কর্তৃক ক-২৪৪ প্রগতি সরণি, কুড়িল (বিশ্বরোড), বারিধারা, ঢাকা-১২২৯ থেকে প্রকাশিত এবং যমুনা প্রিন্টিং এন্ড পাবলিশিং লিঃ থেকে মুদ্রিত।
পিএবিএক্স : ৯৮২৪০৫৪-৬১, রিপোর্টিং : ৯৮২৩০৭৩, বিজ্ঞাপন : ৯৮২৪০৬২, ফ্যাক্স : ৯৮২৪০৬৩, সার্কুলেশন : ৯৮২৪০৭২। ফ্যাক্স : ৯৮২৪০৬৬
E-mail: jugantor.mail@gmail.com
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
বেনাপোল স্থলবন্দরে আমদানি-রপ্তানিসহ পণ্য খালাস বন্ধ
কাস্টমস এজেন্টস লাইসেন্সিং বিধিমালা-২০২০ বাতিলসহ সিঅ্যান্ডএফ এজেন্টের মৌলিক অধিকার খর্ব করার প্রতিবাদে সোমবার সকাল থেকে দুদিনের কর্মবিরতি চলছে বেনাপোল স্থলবন্দরে।
ফলে সোমবার সকাল থেকে দুই দেশের মধ্যে আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্য বন্ধ রয়েছে। বন্দর থেকেও বন্ধ রয়েছে সব ধরনের মালামাল খালাস।
কাস্টমস হাউস ও বন্দরে সব ধরনের কার্যক্রম বন্ধ আছে। দুই দেশের বন্দর এলাকায় শত শত পণ্যবোঝাই ট্রাক আটকা পড়ে আছে।
বিশেষ করে পচনশীল পণ্যসহ পান, মাছ, চাল ও গার্সেন্টমসের কাঁচামাল খালাস বন্ধ থাকায় ঝুঁকিতে রয়েছেন আমদানিকারকরা।
বন্দরের পাঁচ হাজার শ্রমিক অলস সময় পার করছেন সকাল থেকে। সিঅ্যান্ডএফ এজেন্টদের এই কর্মবিরতির সঙ্গে একাত্মতা ঘোষণা করেছে বন্দর ব্যবহারকারী পাঁচ সংগঠন।
অবস্থায় ওই বিধিমালা সংশোধন করতে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) চেয়ারম্যানকে চিঠি দিয়েছে ফেডারেশন অব বাংলাদেশ কাস্টমস ক্লিয়ারিং অ্যান্ড ফরওয়ার্ডিং এজেন্টস অ্যাসোসিয়েশন।
বিধিমালায় প্রয়োজনীয় সংশোধন না করা হলে ৩০ ও ৩১ জানুয়ারি বেনাপোলসহ সব কাস্টম হাউস ও শুল্কস্টেশনে কর্মবিরতি পালন করা হচ্ছে।
বেনাপোল সিঅ্যঅন্ডএফ এজেন্টস অ্যাসোসিয়েশনের সিনিয়র সহসভাপতি খাইরুজ্জামান মধু জানান, বিধিমালা জারি পর এর প্রয়োজনীয় সংশোধনের জন্য এ ফেডারেশন কর্তৃক বারবার চিঠি পাঠিয়ে অনুরোধ করা হয়েছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডকে।
তার পরও কোনো ফলপ্রসূ সিদ্ধান্ত পাওয়া যায়নি। ২০২২-২৩ অর্থবছরের বাজেট প্রস্তাবনায় অন্তর্ভুক্ত করার লক্ষ্যে উত্থাপিত লাইসেন্সিং রুলের কয়েকটি বিধি ও উপবিধি সংশোধনীর প্রস্তাব করা হলেও তা আমলে নেয়নি রাজস্ব বোর্ড। এ কারণে গত বছরও কয়েকবার কর্মবিরতি করা হয়।
দাবির পরিপ্রেক্ষিতে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড কর্মকর্তারা বিধিমালা সংশোধনের বিষয়ে সংগঠনের নেতাদের আশ্বস্ত করেন।
আগামী সাত দিনের মধ্যে ফেডারেশনের দেওয়া বিধিবিধান সংশোধন করার দাবি জানায় সংগঠনটি।