বেসরকারি খাতে বৈদেশিক ঋণে তদারকি বাড়ল
যুগান্তর প্রতিবেদন
৩০ জানুয়ারি ২০২৩, ২১:৩৫:১৫ | অনলাইন সংস্করণ
বৈশ্বিক মন্দা ও ব্যাংকিং খাতে বিদ্যমান পরিস্থিতির কারণে বেসরকারি খাতে বৈদেশিক ঋণের ক্ষেত্রে তদারকি আরও জোরদার করেছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। এখন থেকে বেসরকারি খাতে মধ্য ও দীর্ঘমেয়াদি ঋণ গ্রহণের সমুদয় তথ্য প্রতি ত্রৈমাসিকের পর থেকে ১৫ দিনের মধ্যে কেন্দ্রীয় ব্যাংকে পাঠাতে হবে।
আগে এসব তথ্য প্রতি ত্রৈমাসিকের পর থেকে এক মাসের মধ্যে পাঠানোর নিয়ম ছিল। বেসরকারি খাতে বৈদেশিক ঋণ গ্রহণের মাত্রা বেড়ে যাওয়ায় এগুলো বৈদেশিক মুদ্রা ব্যবস্থাপনার ওপর চাপ সৃষ্টি করেছে। ওই চাপ মোকাবিলার আগাম কৌশল গ্রহণের জন্য কেন্দ্রীয় ব্যাংক এ পদক্ষেপ নিয়েছে।
এ বিষয়ে সোমবার বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে একটি সার্কুলার জারি করে বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোর প্রধান নির্বাহীদের কাছে পাঠানো হয়েছে। এতে বলা হয়, নতুন এ নির্দেশনা চলতি জানুয়ারি মার্চ প্রান্তিক থেকেই কার্যকর হবে।
সার্কুলারে বলা হয়, বেসরকারি খাতে মধ্য ও দীর্ঘমেয়াদি ভিত্তিতে বৈদেশিক ঋণ গ্রহণের ক্ষেত্রে ব্যাংকগুলো ঋণ দাতা ও গ্রহীতার মধ্যে একটি চুক্তি করেন। এ চুক্তিসহ বৈদেশিক ঋণের সব ধরনের তথ্য কেন্দ্রীয় ব্যাংককে পাঠাতে হবে। আগে এসব তথ্য প্রতি ত্রৈমাসিকের পর থেকে এক মাসের মধ্যে পাঠাতে হতো। এখন পাঠাতে হবে ১৫ দিনের মধ্যে।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের প্রতিবেদন থেকে পাওয়া তথ্যে দেখা যায়, বর্তমানে সরকারি ও বেসরকারি খাতে মোট বৈদেশিক ঋণ ৯ হাজার ৫৯০ কোটি ডলার। এর মধ্যে বেসরকারি খাতে স্বল্পমেয়াদি ঋণ ১ হাজার ৮০০ কোটি ডলার ও দীর্ঘমেয়াদি ঋণ ৮২০ কোটি ডলার। বেসরকারি খাতে মোট বৈদেশিক ঋণ ২ হাজার ৬০০ কোটি ডলার।
সরকারি খাতে মোট ঋণ ৭ হাজার কোটি ডলার। এর মধ্যে দীর্ঘমেয়াদি ঋণ ৬ হাজার ৭০০ কোটি ডলার ও স্বল্পমেয়াদি ঋণ ২ হাজার ৯০০ কোটি ডলার।
এদিকে গত ২৪ জানুয়ারি থেকে বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোর ঝুঁকি মোকাবিলা করতে তদারকি ব্যবস্থা আরও জোরদার করা হয়। সে অনুযায়ী, ব্যাংকগুলোকে নিজ উদ্যোগেই সম্ভাব্য ঝুঁকি নিরূপণ করতে হবে। এগুলো পর্ষদকে জানাতে হবে। নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে কেন্দ্রীয় ব্যাংকে পাঠাতে হবে।
সম্পাদক : সাইফুল আলম, প্রকাশক : সালমা ইসলাম
প্রকাশক কর্তৃক ক-২৪৪ প্রগতি সরণি, কুড়িল (বিশ্বরোড), বারিধারা, ঢাকা-১২২৯ থেকে প্রকাশিত এবং যমুনা প্রিন্টিং এন্ড পাবলিশিং লিঃ থেকে মুদ্রিত।
পিএবিএক্স : ৯৮২৪০৫৪-৬১, রিপোর্টিং : ৯৮২৩০৭৩, বিজ্ঞাপন : ৯৮২৪০৬২, ফ্যাক্স : ৯৮২৪০৬৩, সার্কুলেশন : ৯৮২৪০৭২। ফ্যাক্স : ৯৮২৪০৬৬
E-mail: jugantor.mail@gmail.com
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
বেসরকারি খাতে বৈদেশিক ঋণে তদারকি বাড়ল
বৈশ্বিক মন্দা ও ব্যাংকিং খাতে বিদ্যমান পরিস্থিতির কারণে বেসরকারি খাতে বৈদেশিক ঋণের ক্ষেত্রে তদারকি আরও জোরদার করেছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। এখন থেকে বেসরকারি খাতে মধ্য ও দীর্ঘমেয়াদি ঋণ গ্রহণের সমুদয় তথ্য প্রতি ত্রৈমাসিকের পর থেকে ১৫ দিনের মধ্যে কেন্দ্রীয় ব্যাংকে পাঠাতে হবে।
আগে এসব তথ্য প্রতি ত্রৈমাসিকের পর থেকে এক মাসের মধ্যে পাঠানোর নিয়ম ছিল। বেসরকারি খাতে বৈদেশিক ঋণ গ্রহণের মাত্রা বেড়ে যাওয়ায় এগুলো বৈদেশিক মুদ্রা ব্যবস্থাপনার ওপর চাপ সৃষ্টি করেছে। ওই চাপ মোকাবিলার আগাম কৌশল গ্রহণের জন্য কেন্দ্রীয় ব্যাংক এ পদক্ষেপ নিয়েছে।
এ বিষয়ে সোমবার বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে একটি সার্কুলার জারি করে বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোর প্রধান নির্বাহীদের কাছে পাঠানো হয়েছে। এতে বলা হয়, নতুন এ নির্দেশনা চলতি জানুয়ারি মার্চ প্রান্তিক থেকেই কার্যকর হবে।
সার্কুলারে বলা হয়, বেসরকারি খাতে মধ্য ও দীর্ঘমেয়াদি ভিত্তিতে বৈদেশিক ঋণ গ্রহণের ক্ষেত্রে ব্যাংকগুলো ঋণ দাতা ও গ্রহীতার মধ্যে একটি চুক্তি করেন। এ চুক্তিসহ বৈদেশিক ঋণের সব ধরনের তথ্য কেন্দ্রীয় ব্যাংককে পাঠাতে হবে। আগে এসব তথ্য প্রতি ত্রৈমাসিকের পর থেকে এক মাসের মধ্যে পাঠাতে হতো। এখন পাঠাতে হবে ১৫ দিনের মধ্যে।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের প্রতিবেদন থেকে পাওয়া তথ্যে দেখা যায়, বর্তমানে সরকারি ও বেসরকারি খাতে মোট বৈদেশিক ঋণ ৯ হাজার ৫৯০ কোটি ডলার। এর মধ্যে বেসরকারি খাতে স্বল্পমেয়াদি ঋণ ১ হাজার ৮০০ কোটি ডলার ও দীর্ঘমেয়াদি ঋণ ৮২০ কোটি ডলার। বেসরকারি খাতে মোট বৈদেশিক ঋণ ২ হাজার ৬০০ কোটি ডলার।
সরকারি খাতে মোট ঋণ ৭ হাজার কোটি ডলার। এর মধ্যে দীর্ঘমেয়াদি ঋণ ৬ হাজার ৭০০ কোটি ডলার ও স্বল্পমেয়াদি ঋণ ২ হাজার ৯০০ কোটি ডলার।
এদিকে গত ২৪ জানুয়ারি থেকে বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোর ঝুঁকি মোকাবিলা করতে তদারকি ব্যবস্থা আরও জোরদার করা হয়। সে অনুযায়ী, ব্যাংকগুলোকে নিজ উদ্যোগেই সম্ভাব্য ঝুঁকি নিরূপণ করতে হবে। এগুলো পর্ষদকে জানাতে হবে। নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে কেন্দ্রীয় ব্যাংকে পাঠাতে হবে।