গতি ফিরছে শেয়ারবাজারে। প্রতিদিনই বাড়ছে লেনদেন। এতে বাড়ছে মূল্যসূচক ও বাজার মূলধন। রোববার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) ১ হাজার ৮৫২ কোটি টাকা লেনদেন হয়েছে।
এছাড়া লেনদেন করা কোম্পানিগুলোর মধ্যে ১৬৫ কোম্পানির শেয়ারের দাম বেড়েছে। এতে মূল্যসূচক ৭৩ পয়েন্ট বেড়েছে। একইভাবে বাজার মূলধন বেড়েছে ৩ হাজার কোটি টাকা। বিশ্লেষকরা বলছেন, ফ্লোর প্রাইস (নিম্নসীমা) তুলে নেওয়ার পর প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের সাপোর্টে বাজার ইতিবাচক হয়েছে।
বাজার বিশ্লেষণে দেখা গেছে, ডিএসইতে রোববার ৩৯৪ কোম্পানির ৬৩ কোটি ১৪ লাখ শেয়ার লেনদেন হয়েছে। যার মোট মূল্য ১ হাজার ৮৫২ কোটি ৫১ লাখ টাকা। এরমধ্যে দাম বেড়েছে ১৬৫ কোম্পানির শেয়ারের, কমেছে ১৯৬ এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ৩৩ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
ডিএসইর ব্রডসূচক আগের দিনের চেয়ে ৭৩ পয়েন্ট বেড়ে ৬ হাজার ৪৪৭ পয়েন্টে উন্নীত হয়েছে। ডিএস-৩০ মূল্যসূচক ২১ পয়েন্ট বেড়ে ২ হাজার ১৫৯ পয়েন্টে উন্নীত হয়েছে। ডিএসই শরিয়াহ সূচক ১০ পয়েন্ট বেড়ে ১ হাজার ৩৯৮ পয়েন্টে উন্নীত হয়েছে। ডিএসইর বাজার মূলধন আগের দিনের চেয়ে তিন হাজার কোটি টাকা বেড়ে ৭ লাখ ৭৫ হাজার কোটি টাকায় উন্নীত হয়েছে।
শীর্ষ দশ কোম্পানি: এদিন ডিএসইতে যে সব প্রতিষ্ঠানের শেয়ার বেশি লেনদেন হয়েছে সেগুলো হলো-ফরচুন সুজ, ওরিয়ন ফার্মা, ওরিয়ন ইনফিউশন, আইএফআইসি ব্যাংক, ইন্ট্র্যাকো রিফুয়েলিং, আইটিসি, গ্লোবাল ইসলামি ব্যাংক, বাংলাদেশ শিপিং করপোরেশন, মালেক স্পিনিং এবং সেন্ট্রাল ফার্মা।
ডিএসইতে যে সব প্রতিষ্ঠানের শেয়ারের দাম বেশি বেড়েছে-এসবিএসি ব্যাংক, এসআইবিএল, এইচআর টেক্সটাইল, আরামিট সিমেন্ট, প্রাইম ফাইন্যান্স অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট, ইন্ট্র্যাকো রিফুয়েলিং, ন্যাশনাল ব্যাংক, বেস্ট হোল্ডিংস, সিকদার ইন্স্যুরেন্স এবং জিএসপি ফাইন্যান্স।
অন্যদিকে যে সব প্রতিষ্ঠানের শেয়ারের দাম বেশি কমেছে সেগুলো হলো-শ্যামপুর সুগার মিল, ইনটেক লিমিটেড, বিচ হ্যাচারি, রেনেটা লিমিটেড, সেন্ট্রাল ফার্মা, অলিম্পিক এক্সেসরিজ, এক্সপ্রেস ইন্স্যুরেন্স, ন্যাশনাল ফিড মিল, রেনউইক যজ্ঞেশ্বর এবং আরএসআরএম স্টিল।