নতুন করে ব্যবসায় যাচ্ছে ইভ্যালি, যা বললেন রাসেলপত্নী
পুরোনো গ্রাহকদের পাওনা পরিশোধের আগেই নতুন করে ব্যবসা চালু করতে যাচ্ছে ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান ইভ্যালি। আগামী ১৫ অক্টোবর থেকে নতুন সার্ভার থেকে পণ্য বেচাকেনা শুরু করবে তারা।
ইভ্যালির সাবেক এমডি মোহাম্মদ রাসেলের স্ত্রী প্রতিষ্ঠানটির বর্তমান পরিচালক শামীমা নাসরিন বৃহস্পতিবার বিকালে ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে এ কথা জানিয়েছেন।
পুরোনো গ্রাহকদের পাওনা পরিশোধের বিষয়ে শামীমা নাসরিন বলেন, ‘প্রতিষ্ঠানের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ রাসেল কারাবন্দি থাকায় পুরোনো সার্ভারের পাসওয়ার্ড উদ্ধার করা যাচ্ছে না। সার্ভারের তথ্য ছাড়া পুরোনো গ্রাহকদের পাওনা পরিশোধ করাও সম্ভব নয়।রাসেলকে ছাড়া টাকা ফেরত দেওয়া সম্ভব নয়। তাকে ছাড়া পুরোনো সার্ভার সচল করা সম্ভব হচ্ছে না। তাই আমরা বাধ্য হয়েই নতুন সার্ভার থেকে ব্যবসা পরিচালনা শুরু করতে যাচ্ছি।’
শামীমা নাসরিন জানান, তারা গ্রেফতার হওয়ার আগে থেকেই প্রতিষ্ঠানের কর্মীরা চাকরি ছেড়ে চলে যাচ্ছিলেন। এ কারণে বাধ্য হয়ে মোহাম্মদ রাসেল একাই সার্ভারের পাসওয়ার্ড সংরক্ষণের দায়িত্ব নেন। একটি কাগজে লিখে অফিসের টেবিলের ড্রয়ারে পাসওয়ার্ডটি রাখা হয়। তাদের গ্রেফতারের পর র্যাব ইভ্যালি অফিসে প্রবেশ করে এবং অফিস অরক্ষিত অবস্থায় রেখেই চলে যায়। এরপর কয়েক দিন অফিসের প্রবেশপথগুলো খোলা ছিল। পরে আর পাসওয়ার্ড তারা পাননি। রাসেলও পাসওয়ার্ড ভুলে গেছেন। তিনি আমাজনের সঙ্গে বসলে পাসওয়ার্ড উদ্ধার করা সম্ভব, অন্যথায় নয়।
ব্যবসায়িক কৌশলে ত্রুটির কথা স্বীকার করে সংবাদ সম্মেলনে শামীমা নাসরিন বলেন, ‘ব্যবসায়িক কৌশলে ত্রুটি সারিয়ে ওঠার জন্য আমরা ছয় মাস সময় চেয়েছিলাম। কিন্তু তার আগেই আমাদের গ্রেফতার করা হয়। হাইকোর্টে আমরা আবেদন করেছিলাম ব্যবসা পরিচালনার। ভোক্তা সাধারণের কথা চিন্তা করে মুনাফা না করে একটি পণ্যও বিক্রি করব না।’
সংবাদ সম্মেলনে হাইকোর্ট নিযুক্ত ইভ্যালির সাবেক পরিচালনা পর্ষদের চেয়ারম্যান অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিকের বিভিন্ন বক্তব্য অসত্য বলে দাবি করেন শামীমা নাসরিন।
রাসেলপত্নী বলেন, ‘মানিক সাহেব বলেছেন আমরা মানি লন্ডারিং করতাম, প্রতি মাসে দুবাই যেতাম। আমরা মাত্র দুই বার দুবাই গিয়েছি। ইমিগ্রেশনে যোগাযোগ করলেই এটা জানা যাবে। ইভ্যালির সামগ্রিক তথ্য হয় তিনি বুঝতে পারেননি, নয়তো তিনি ইচ্ছাকৃতভাবে অসত্য বলেছেন।’
উল্লেখ্য, গ্রাহকের টাকা আত্মসাতের অভিযোগে গত বছরের ১৬ সেপ্টেম্বর মোহাম্মদ রাসেল ও শামীমা নাসরিন গ্রেফতার হন। চলতি বছর এপ্রিলে জামিনে মুক্তি পান শামীমা নাসরিন। তবে এখনো কারাবন্দি রয়েছেন মোহাম্মদ রাসেল।
নতুন করে ব্যবসায় যাচ্ছে ইভ্যালি, যা বললেন রাসেলপত্নী
যুগান্তর প্রতিবেদন
০৬ অক্টোবর ২০২২, ২১:৩৮:৪০ | অনলাইন সংস্করণ
পুরোনো গ্রাহকদের পাওনা পরিশোধের আগেই নতুন করে ব্যবসা চালু করতে যাচ্ছে ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান ইভ্যালি। আগামী ১৫ অক্টোবর থেকে নতুন সার্ভার থেকে পণ্য বেচাকেনা শুরু করবে তারা।
ইভ্যালির সাবেক এমডি মোহাম্মদ রাসেলের স্ত্রী প্রতিষ্ঠানটির বর্তমান পরিচালক শামীমা নাসরিন বৃহস্পতিবার বিকালে ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে এ কথা জানিয়েছেন।
পুরোনো গ্রাহকদের পাওনা পরিশোধের বিষয়ে শামীমা নাসরিন বলেন, ‘প্রতিষ্ঠানের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ রাসেল কারাবন্দি থাকায় পুরোনো সার্ভারের পাসওয়ার্ড উদ্ধার করা যাচ্ছে না। সার্ভারের তথ্য ছাড়া পুরোনো গ্রাহকদের পাওনা পরিশোধ করাও সম্ভব নয়।রাসেলকে ছাড়া টাকা ফেরত দেওয়া সম্ভব নয়। তাকে ছাড়া পুরোনো সার্ভার সচল করা সম্ভব হচ্ছে না। তাই আমরা বাধ্য হয়েই নতুন সার্ভার থেকে ব্যবসা পরিচালনা শুরু করতে যাচ্ছি।’
শামীমা নাসরিন জানান, তারা গ্রেফতার হওয়ার আগে থেকেই প্রতিষ্ঠানের কর্মীরা চাকরি ছেড়ে চলে যাচ্ছিলেন। এ কারণে বাধ্য হয়ে মোহাম্মদ রাসেল একাই সার্ভারের পাসওয়ার্ড সংরক্ষণের দায়িত্ব নেন। একটি কাগজে লিখে অফিসের টেবিলের ড্রয়ারে পাসওয়ার্ডটি রাখা হয়। তাদের গ্রেফতারের পর র্যাব ইভ্যালি অফিসে প্রবেশ করে এবং অফিস অরক্ষিত অবস্থায় রেখেই চলে যায়। এরপর কয়েক দিন অফিসের প্রবেশপথগুলো খোলা ছিল। পরে আর পাসওয়ার্ড তারা পাননি। রাসেলও পাসওয়ার্ড ভুলে গেছেন। তিনি আমাজনের সঙ্গে বসলে পাসওয়ার্ড উদ্ধার করা সম্ভব, অন্যথায় নয়।
ব্যবসায়িক কৌশলে ত্রুটির কথা স্বীকার করে সংবাদ সম্মেলনে শামীমা নাসরিন বলেন, ‘ব্যবসায়িক কৌশলে ত্রুটি সারিয়ে ওঠার জন্য আমরা ছয় মাস সময় চেয়েছিলাম। কিন্তু তার আগেই আমাদের গ্রেফতার করা হয়। হাইকোর্টে আমরা আবেদন করেছিলাম ব্যবসা পরিচালনার। ভোক্তা সাধারণের কথা চিন্তা করে মুনাফা না করে একটি পণ্যও বিক্রি করব না।’
সংবাদ সম্মেলনে হাইকোর্ট নিযুক্ত ইভ্যালির সাবেক পরিচালনা পর্ষদের চেয়ারম্যান অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিকের বিভিন্ন বক্তব্য অসত্য বলে দাবি করেন শামীমা নাসরিন।
রাসেলপত্নী বলেন, ‘মানিক সাহেব বলেছেন আমরা মানি লন্ডারিং করতাম, প্রতি মাসে দুবাই যেতাম। আমরা মাত্র দুই বার দুবাই গিয়েছি। ইমিগ্রেশনে যোগাযোগ করলেই এটা জানা যাবে। ইভ্যালির সামগ্রিক তথ্য হয় তিনি বুঝতে পারেননি, নয়তো তিনি ইচ্ছাকৃতভাবে অসত্য বলেছেন।’
উল্লেখ্য, গ্রাহকের টাকা আত্মসাতের অভিযোগে গত বছরের ১৬ সেপ্টেম্বর মোহাম্মদ রাসেল ও শামীমা নাসরিন গ্রেফতার হন। চলতি বছর এপ্রিলে জামিনে মুক্তি পান শামীমা নাসরিন। তবে এখনো কারাবন্দি রয়েছেন মোহাম্মদ রাসেল।
সম্পাদক : সাইফুল আলম, প্রকাশক : সালমা ইসলাম
প্রকাশক কর্তৃক ক-২৪৪ প্রগতি সরণি, কুড়িল (বিশ্বরোড), বারিধারা, ঢাকা-১২২৯ থেকে প্রকাশিত এবং যমুনা প্রিন্টিং এন্ড পাবলিশিং লিঃ থেকে মুদ্রিত।
পিএবিএক্স : ৯৮২৪০৫৪-৬১, রিপোর্টিং : ৯৮২৩০৭৩, বিজ্ঞাপন : ৯৮২৪০৬২, ফ্যাক্স : ৯৮২৪০৬৩, সার্কুলেশন : ৯৮২৪০৭২। ফ্যাক্স : ৯৮২৪০৬৬
E-mail: jugantor.mail@gmail.com
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
Developed by The Daily Jugantor © 2023