নগদ সহায়তার দেড় হাজার কোটি টাকা চায় বিকেএমইএ
ঈদে শ্রমিকদের বেতন-ভাতা পরিশোধে নগদ সহায়তার দাবি করা দেড় হাজার কোটি টাকা ছাড় চেয়েছে বাংলাদেশ নিটপণ্য প্রস্তুতকারক ও রপ্তানিকারক সমিতি (বিকেএমইএ)। অর্থ পাওয়া না গেলে বেতন-বোনাস নিয়ে চরম বিপাকে পড়তে পারে রপ্তানি খাত।
গত ৩০ মার্চ অর্থ সচিবকে দেওয়া চিঠিতে বলা হয়েছে, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ সারাবিশ্বের অর্থনীতিকে অনেক স্থবির করে দিয়েছে। টিকে থাকার সংগ্রাম করছে দেশের শিল্পপ্রতিষ্ঠানগুলো। বিশ্বমন্দার কারণে অধিকাংশ কারখানায় পর্যাপ্ত কার্যাদেশ নেই, ৫০-৬০ শতাংশ ক্যাপাসিটি নিয়ে চলছে উৎপাদন, যা রপ্তানি করে মাস শেষে শ্রমিকদের বেতনের টাকা সংস্থান করাই কঠিন হয়ে পড়ছে। আবার যা রপ্তানি হচ্ছে সে বিলও ক্রেতাগোষ্ঠী যথাসময়ে পরিশোধ করছে না। এ অবস্থায় ঈদে যথাসময়ে বেতন-বোনাস দেওয়ার ব্যর্থতায় ঘটে যেতে পারে শ্রম অসন্তোষ।
এতে আরও বলা হয়েছে, বাজেটে রপ্তানি ভর্তুকি বা নগদ সহায়তা বাবদ সাত হাজার ৮২৫ কোটি টাকা বরাদ্দ রাখা হয়েছে। সেই অর্থ থেকে অক্টোবর-ডিসেম্বর মেয়াদে দ্বিতীয় কিস্তির জন্য দেড় হাজার কোটি টাকা ছাড় করা হয়, যদিও ওই দাবি করা অর্থের পরিমাণ ছিল আড়াই হাজার কোটি টাকা। একইভাবে ২৮ মার্চ জানুয়ারি-মার্চ মেয়াদে তৃতীয় কিস্তির দুই হাজার কোটি টাকা দেওয়া হয়, এ সময় দাবি করা অর্থের পরিমাণ ছিল আড়াই হাজার কোটি টাকা। ঈদের পূর্বে শ্রমিকদের বেতন-বোনাসের পরিস্থিতি সামাল দিতে কমপক্ষে দেড় হাজার কোটি টাকা প্রয়োজন হবে। অন্যথায় শ্রমিক নিয়ে চরম বিপাকে পড়তে পারে রপ্তানি খাত। এ অবস্থায় বুধবারের মধ্যে দেড় হাজার কোটি টাকা ছাড় করতে অর্থ মন্ত্রণালয়কে অনুরোধ করা হয়েছে।
বিকেএমইএ’র নির্বাহী সভাপতি মোহাম্মদ হাতেম বলেন, নগদ সহায়তার দাবি করা টাকার মধ্যে দেড় হাজার কোটি টাকা বকেয়া রয়েছে। যেন দ্বিতীয় কিস্তিতে দেড় হাজার কোটি টাকা ছাড় করা হয়, ওই সময় দাবি ছিল আড়াই হাজার কোটি টাকা। একইভাবে তৃতীয় কিস্তিতেও ৫০০ কোটি টাকা কম ছাড় করা হয়। আমরা ওই দেড় হাজার কোটি টাকা ছাড় চাচ্ছি। এ জন্য অর্থ মন্ত্রণালয়কে চিঠি দেওয়া হয়েছে। এ অর্থ শুধু বিকেএমইএ’র জন্য টাকা চাওয়া হয়নি, পুরো রপ্তানি খাতের জন্যই চাওয়া হয়েছে।
নগদ সহায়তার দেড় হাজার কোটি টাকা চায় বিকেএমইএ
যুগান্তর প্রতিবেদন
০২ এপ্রিল ২০২৩, ২২:৫১:৩৩ | অনলাইন সংস্করণ
ঈদে শ্রমিকদের বেতন-ভাতা পরিশোধে নগদ সহায়তার দাবি করা দেড় হাজার কোটি টাকা ছাড় চেয়েছে বাংলাদেশ নিটপণ্য প্রস্তুতকারক ও রপ্তানিকারক সমিতি (বিকেএমইএ)। অর্থ পাওয়া না গেলে বেতন-বোনাস নিয়ে চরম বিপাকে পড়তে পারে রপ্তানি খাত।
গত ৩০ মার্চ অর্থ সচিবকে দেওয়া চিঠিতে বলা হয়েছে, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ সারাবিশ্বের অর্থনীতিকে অনেক স্থবির করে দিয়েছে। টিকে থাকার সংগ্রাম করছে দেশের শিল্পপ্রতিষ্ঠানগুলো। বিশ্বমন্দার কারণে অধিকাংশ কারখানায় পর্যাপ্ত কার্যাদেশ নেই, ৫০-৬০ শতাংশ ক্যাপাসিটি নিয়ে চলছে উৎপাদন, যা রপ্তানি করে মাস শেষে শ্রমিকদের বেতনের টাকা সংস্থান করাই কঠিন হয়ে পড়ছে। আবার যা রপ্তানি হচ্ছে সে বিলও ক্রেতাগোষ্ঠী যথাসময়ে পরিশোধ করছে না। এ অবস্থায় ঈদে যথাসময়ে বেতন-বোনাস দেওয়ার ব্যর্থতায় ঘটে যেতে পারে শ্রম অসন্তোষ।
এতে আরও বলা হয়েছে, বাজেটে রপ্তানি ভর্তুকি বা নগদ সহায়তা বাবদ সাত হাজার ৮২৫ কোটি টাকা বরাদ্দ রাখা হয়েছে। সেই অর্থ থেকে অক্টোবর-ডিসেম্বর মেয়াদে দ্বিতীয় কিস্তির জন্য দেড় হাজার কোটি টাকা ছাড় করা হয়, যদিও ওই দাবি করা অর্থের পরিমাণ ছিল আড়াই হাজার কোটি টাকা। একইভাবে ২৮ মার্চ জানুয়ারি-মার্চ মেয়াদে তৃতীয় কিস্তির দুই হাজার কোটি টাকা দেওয়া হয়, এ সময় দাবি করা অর্থের পরিমাণ ছিল আড়াই হাজার কোটি টাকা। ঈদের পূর্বে শ্রমিকদের বেতন-বোনাসের পরিস্থিতি সামাল দিতে কমপক্ষে দেড় হাজার কোটি টাকা প্রয়োজন হবে। অন্যথায় শ্রমিক নিয়ে চরম বিপাকে পড়তে পারে রপ্তানি খাত। এ অবস্থায় বুধবারের মধ্যে দেড় হাজার কোটি টাকা ছাড় করতে অর্থ মন্ত্রণালয়কে অনুরোধ করা হয়েছে।
বিকেএমইএ’র নির্বাহী সভাপতি মোহাম্মদ হাতেম বলেন, নগদ সহায়তার দাবি করা টাকার মধ্যে দেড় হাজার কোটি টাকা বকেয়া রয়েছে। যেন দ্বিতীয় কিস্তিতে দেড় হাজার কোটি টাকা ছাড় করা হয়, ওই সময় দাবি ছিল আড়াই হাজার কোটি টাকা। একইভাবে তৃতীয় কিস্তিতেও ৫০০ কোটি টাকা কম ছাড় করা হয়। আমরা ওই দেড় হাজার কোটি টাকা ছাড় চাচ্ছি। এ জন্য অর্থ মন্ত্রণালয়কে চিঠি দেওয়া হয়েছে। এ অর্থ শুধু বিকেএমইএ’র জন্য টাকা চাওয়া হয়নি, পুরো রপ্তানি খাতের জন্যই চাওয়া হয়েছে।
সম্পাদক : সাইফুল আলম, প্রকাশক : সালমা ইসলাম
প্রকাশক কর্তৃক ক-২৪৪ প্রগতি সরণি, কুড়িল (বিশ্বরোড), বারিধারা, ঢাকা-১২২৯ থেকে প্রকাশিত এবং যমুনা প্রিন্টিং এন্ড পাবলিশিং লিঃ থেকে মুদ্রিত।
পিএবিএক্স : ৯৮২৪০৫৪-৬১, রিপোর্টিং : ৯৮২৩০৭৩, বিজ্ঞাপন : ৯৮২৪০৬২, ফ্যাক্স : ৯৮২৪০৬৩, সার্কুলেশন : ৯৮২৪০৭২। ফ্যাক্স : ৯৮২৪০৬৬
E-mail: jugantor.mail@gmail.com
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
Developed by The Daily Jugantor © 2023