শেয়ারবাজার পতন ঠেকাতে দুই উদ্যোগ
টানা দরপতন ঠেকাতে দুই পদক্ষেপ নিয়েছে শেয়ারবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)। এরমধ্যে রয়েছে সার্কিট ব্রেকারের (একদিনে শেয়ার দাম বৃদ্ধি বা কমার সর্বোচ্চ সীমা) সীমা কমিয়ে আনা এবং বাজার স্থিতিশীলতায় গঠিত নতুন তহবিল থেকে ১০০ কোটি টাকা বিনিয়োগ। এর ফলে মঙ্গলবার কিছুটা ঘুরে দাঁড়িয়েছে বাজার।
এদিন ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) মূল্যসূচক ১৭ পয়েন্ট বেড়েছে। তবে এর আগে ৪ কার্যদিবসে সূচক ৩শ পয়েন্ট কমেছিল। বাজার বিশ্লেষকরা বলছেন, রাশিয়া ইউক্রেন যুদ্ধের প্রভাবে বাজারে নেতিবাচক প্রভাব পড়েছিল। এ অবস্থা বিনিয়োগকারীদের আস্থা ফেরাতে উদ্যোগ নিতে হবে।
জানা গেছে, রাশিয়া ইউক্রেন যুদ্ধ শুরুর পর ৪ কার্যদিবসে ডিএসইর সূচক কমেছে ৩শ পয়েন্ট। এ সময়ে ডিএসইর বাজারমূলধন কমেছিল ২২ হাজার কোটি টাকা। এ অবস্থায় শেয়ারবাজারে টানা পতন ঠেকাতে সার্কিট ব্রেকারের সীমা কমিয়ে আনা হয়েছে। নতুন সার্কিট ব্রেকার সীমা ৫ শতাংশ থেকে কমিয়ে ২ শতাংশ করা হয়েছে। অর্থাৎ একদিনে ২ শতাংশের বেশি শেয়ারের দাম কমবে না। আগামীকাল বুধবার থেকে কার্যকর হবে। তবে শেয়ার দর বৃদ্ধির সীমা অপরিবর্তিত থাকবে।
বিএসইসি মঙ্গলবার এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে। প্রতিষ্ঠানটির কমিশনার শেখ শামসুদ্দিন আহমেদ রাজধানীর আগারগাঁওয়ে বিএসইসির কনফারেন্স রুমে সংবাদ সম্মেলনে এ কথা জানান। এ সময় তিনি বলেন, নতুন নিয়মে শেয়ার দর সর্বোচ্চ বাড়তে পারবে ১০ শতাংশ। আর কমতে পারবে ২ শতাংশ।
কমিশনার বলেন, স্ট্যাবলাইজড ফান্ড (স্থিতিকরণ তহবিল) থেকে ১০০ কোটি টাকা বিনিয়োগের জন্য সরকারি বিনিয়োগ প্রতিষ্ঠান আইসিবিকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। আইসিবি ইতোমধ্যে এটা নিয়ে কাজ শুরু করেছে।
শেখ শামসুদ্দিন আহমেদ জানান, প্রতিটি বাণিজ্যিক ব্যাংকের ২০০ কোটি টাকা করে শেয়ারবাজারে বিনিয়োগের কথা রয়েছে। বর্তমানে তা বিনিয়োগের জন্য ব্যাংকগুলোকে উৎসাহ দিচ্ছে বাংলাদেশ ব্যাংক। এক্ষেত্রে যেসব ব্যাংক এখনো তহবিল গঠন করেনি, তাদেরকে ফান্ড গঠনে বাংলাদেশ ব্যাংক নির্দেশনা দিয়েছে।
সংবাদ সম্মেলনে বিএসইসির নির্বাহী পরিচালক মোহাম্মদ রেজাউল করিম উপস্থিত ছিলেন।
শেয়ারবাজার পতন ঠেকাতে দুই উদ্যোগ
যুগান্তর প্রতিবেদন
০৮ মার্চ ২০২২, ১৮:১৫:২৫ | অনলাইন সংস্করণ
টানা দরপতন ঠেকাতে দুই পদক্ষেপ নিয়েছে শেয়ারবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)। এরমধ্যে রয়েছে সার্কিট ব্রেকারের (একদিনে শেয়ার দাম বৃদ্ধি বা কমার সর্বোচ্চ সীমা) সীমা কমিয়ে আনা এবং বাজার স্থিতিশীলতায় গঠিত নতুন তহবিল থেকে ১০০ কোটি টাকা বিনিয়োগ। এর ফলে মঙ্গলবার কিছুটা ঘুরে দাঁড়িয়েছে বাজার।
এদিন ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) মূল্যসূচক ১৭ পয়েন্ট বেড়েছে। তবে এর আগে ৪ কার্যদিবসে সূচক ৩শ পয়েন্ট কমেছিল। বাজার বিশ্লেষকরা বলছেন, রাশিয়া ইউক্রেন যুদ্ধের প্রভাবে বাজারে নেতিবাচক প্রভাব পড়েছিল। এ অবস্থা বিনিয়োগকারীদের আস্থা ফেরাতে উদ্যোগ নিতে হবে।
জানা গেছে, রাশিয়া ইউক্রেন যুদ্ধ শুরুর পর ৪ কার্যদিবসে ডিএসইর সূচক কমেছে ৩শ পয়েন্ট। এ সময়ে ডিএসইর বাজারমূলধন কমেছিল ২২ হাজার কোটি টাকা। এ অবস্থায় শেয়ারবাজারে টানা পতন ঠেকাতে সার্কিট ব্রেকারের সীমা কমিয়ে আনা হয়েছে। নতুন সার্কিট ব্রেকার সীমা ৫ শতাংশ থেকে কমিয়ে ২ শতাংশ করা হয়েছে। অর্থাৎ একদিনে ২ শতাংশের বেশি শেয়ারের দাম কমবে না। আগামীকাল বুধবার থেকে কার্যকর হবে। তবে শেয়ার দর বৃদ্ধির সীমা অপরিবর্তিত থাকবে।
বিএসইসি মঙ্গলবার এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে। প্রতিষ্ঠানটির কমিশনার শেখ শামসুদ্দিন আহমেদ রাজধানীর আগারগাঁওয়ে বিএসইসির কনফারেন্স রুমে সংবাদ সম্মেলনে এ কথা জানান। এ সময় তিনি বলেন, নতুন নিয়মে শেয়ার দর সর্বোচ্চ বাড়তে পারবে ১০ শতাংশ। আর কমতে পারবে ২ শতাংশ।
কমিশনার বলেন, স্ট্যাবলাইজড ফান্ড (স্থিতিকরণ তহবিল) থেকে ১০০ কোটি টাকা বিনিয়োগের জন্য সরকারি বিনিয়োগ প্রতিষ্ঠান আইসিবিকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। আইসিবি ইতোমধ্যে এটা নিয়ে কাজ শুরু করেছে।
শেখ শামসুদ্দিন আহমেদ জানান, প্রতিটি বাণিজ্যিক ব্যাংকের ২০০ কোটি টাকা করে শেয়ারবাজারে বিনিয়োগের কথা রয়েছে। বর্তমানে তা বিনিয়োগের জন্য ব্যাংকগুলোকে উৎসাহ দিচ্ছে বাংলাদেশ ব্যাংক। এক্ষেত্রে যেসব ব্যাংক এখনো তহবিল গঠন করেনি, তাদেরকে ফান্ড গঠনে বাংলাদেশ ব্যাংক নির্দেশনা দিয়েছে।
সংবাদ সম্মেলনে বিএসইসির নির্বাহী পরিচালক মোহাম্মদ রেজাউল করিম উপস্থিত ছিলেন।
সম্পাদক : সাইফুল আলম, প্রকাশক : সালমা ইসলাম
প্রকাশক কর্তৃক ক-২৪৪ প্রগতি সরণি, কুড়িল (বিশ্বরোড), বারিধারা, ঢাকা-১২২৯ থেকে প্রকাশিত এবং যমুনা প্রিন্টিং এন্ড পাবলিশিং লিঃ থেকে মুদ্রিত।
পিএবিএক্স : ৯৮২৪০৫৪-৬১, রিপোর্টিং : ৯৮২৩০৭৩, বিজ্ঞাপন : ৯৮২৪০৬২, ফ্যাক্স : ৯৮২৪০৬৩, সার্কুলেশন : ৯৮২৪০৭২। ফ্যাক্স : ৯৮২৪০৬৬
E-mail: jugantor.mail@gmail.com
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
Developed by The Daily Jugantor © 2023