শেয়ারবাজার বিপর্যয়ের চেষ্টায় ১৫ ব্রোকারেজ হাউজ
যুগান্তর প্রতিবেদন
১৯ এপ্রিল ২০২২, ২১:৩৪:১২ | অনলাইন সংস্করণ
সংঘবদ্ধভাবে শেয়ারবাজারে বিপর্যয় ঘটানোর চেষ্টা করেছে ১৫ ব্রোকারেজ হাউজ। বাজারমূল্যের চেয়ে ২ শতাংশ কম দামে বিক্রি আদেশ দিয়ে বাজারে পরিকল্পিতভাবে পতনের চেষ্টা করেছে এসব প্রতিষ্ঠান।
ইতোমধ্যে তাদেরকে চিহ্নিত করেছে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)। এরপর তাদের অসৎ কর্মকাণ্ডের ব্যাপারে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে ব্যাখ্যা দিতে বলা হয়েছে। জবাব সন্তোষজনক না হলে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
বিএসইসির সহকারী পরিচালক মো. কামাল হোসাইন স্বাক্ষরিত চিঠি মঙ্গলবার ব্রোকারেজ হাউজগুলোর প্রধান নির্বাহীদের কাছে পাঠানো হয়েছে।
হাউজগুলো হলো- শাহেদ সিকিউরিটিজ, ব্যাংক এশিয়া সিকিউরিটিজ, শেলটেক ব্রোকারেজ লিমিটেড, আইডিএলসি সিকিউরিটিজ, এস অ্যান্ড এইচ ইক্যুইটিস, লংকা বাংলা সিকিউরিটিজ, বিডি ফাইন্যান্স সিকিউরিটিজ, মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংক, মার্কেন্টাইল ব্যাংক সিকিউরিটিজ, ইউসিবি স্টক ব্রোকারেজ, গ্লোব সিকিউরিটিজ, শান্তা সিকিউরিটিজ, ইস্টল্যান্ড সিকিউরিটিজ, কাইয়ুম সিকিউরিটিজ এবং মিডওয়ে সিকিউরিটিজ।
জানতে চাইলে বিএসইসির নির্বাহী পরিচালক মোহাম্মদ রেজাউল করিম যুগান্তরকে বলেন, এসব হাউজ নির্ধারিত মূল্যের চেয়ে কম দামে শেয়ার বিক্রির প্রস্তাব করেছে। সিকিউরিটিজ আইন অনুসারে যা অন্যায়। এ ব্যাপারে প্রাথমিকভাবে তাদের কাছে ব্যাখ্যা চাওয়া হয়েছে। ব্যাখ্যা সন্তোষজনক না হলে আমরা ব্যবস্থা নেব।
জানা গেছে কোনো যৌক্তিক কারণ ছাড়াই কয়েকদিন পর্যন্ত শেয়ারবাজারে টানা দরপতন চলছিল। এ অবস্থায় পতনের কারণ অনুসন্ধান কাজ করছে কমিশন। সেক্ষেত্রে কয়েকটি হাউজের অস্বাভাবিক লেনদেনের তথ্য পাওয়া যায়। এক্ষেত্রে মঙ্গলবার লেনদেন শুরুর আগে সকাল পৌনে ১০টা থেকে ১০টার মধ্যে আগের দিনের ক্লোজিং দরের থেকে ২ শতাংশ কমে বিক্রয়াদেশ দেওয়া হয়েছে। এক্ষেত্রে তারা তিনটি বড় শেয়ারকে টার্গেট করেছিল।
এগুলো হলো- বেক্সিমকো লিমিটেড, ব্রিটিশ আমেরিকান টোব্যাকো এবং লাফার্জ সুরমা সিমেন্ট। আর শুরুতেই এসব বড় মূলধনের কোম্পানির দাম কমায় বাজারে পতন শুরু হয়। বিষয়টি কমিশনের সার্ভিলেন্সের নজরে এলে তাৎক্ষণিকভাবে হোয়াটস অ্যাপে তাদেরকে ব্যাখ্যা চাওয়া হয়। এরপর তারা কম দামের অর্ডার উঠিয়ে নিলে ইতিবাচক হয় বাজার।
পরবর্তীতে তাদেরকে চিঠি দিয়ে ব্যাখ্যা চাওয়া হয়। কমিশন মনে করছে, এ ধরনের কাজ যা বেআইনি ও অসৎ উদ্দেশ্যে করা হতে পারে। এই পরিস্থিতিতে ব্যাখ্যা চেয়ে চিঠি দিয়েছে কমিশন। এই ব্রোকারেজ হাউজগুলো থেকে একসঙ্গে ১১ লাখের বেশি শেয়ার কম মূল্যে বিক্রির অফার দেওয়া হয়।
সম্পাদক : সাইফুল আলম, প্রকাশক : সালমা ইসলাম
প্রকাশক কর্তৃক ক-২৪৪ প্রগতি সরণি, কুড়িল (বিশ্বরোড), বারিধারা, ঢাকা-১২২৯ থেকে প্রকাশিত এবং যমুনা প্রিন্টিং এন্ড পাবলিশিং লিঃ থেকে মুদ্রিত।
পিএবিএক্স : ৯৮২৪০৫৪-৬১, রিপোর্টিং : ৯৮২৩০৭৩, বিজ্ঞাপন : ৯৮২৪০৬২, ফ্যাক্স : ৯৮২৪০৬৩, সার্কুলেশন : ৯৮২৪০৭২। ফ্যাক্স : ৯৮২৪০৬৬
E-mail: jugantor.mail@gmail.com
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
শেয়ারবাজার বিপর্যয়ের চেষ্টায় ১৫ ব্রোকারেজ হাউজ
সংঘবদ্ধভাবে শেয়ারবাজারে বিপর্যয় ঘটানোর চেষ্টা করেছে ১৫ ব্রোকারেজ হাউজ। বাজারমূল্যের চেয়ে ২ শতাংশ কম দামে বিক্রি আদেশ দিয়ে বাজারে পরিকল্পিতভাবে পতনের চেষ্টা করেছে এসব প্রতিষ্ঠান।
ইতোমধ্যে তাদেরকে চিহ্নিত করেছে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)। এরপর তাদের অসৎ কর্মকাণ্ডের ব্যাপারে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে ব্যাখ্যা দিতে বলা হয়েছে। জবাব সন্তোষজনক না হলে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
বিএসইসির সহকারী পরিচালক মো. কামাল হোসাইন স্বাক্ষরিত চিঠি মঙ্গলবার ব্রোকারেজ হাউজগুলোর প্রধান নির্বাহীদের কাছে পাঠানো হয়েছে।
হাউজগুলো হলো- শাহেদ সিকিউরিটিজ, ব্যাংক এশিয়া সিকিউরিটিজ, শেলটেক ব্রোকারেজ লিমিটেড, আইডিএলসি সিকিউরিটিজ, এস অ্যান্ড এইচ ইক্যুইটিস, লংকা বাংলা সিকিউরিটিজ, বিডি ফাইন্যান্স সিকিউরিটিজ, মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংক, মার্কেন্টাইল ব্যাংক সিকিউরিটিজ, ইউসিবি স্টক ব্রোকারেজ, গ্লোব সিকিউরিটিজ, শান্তা সিকিউরিটিজ, ইস্টল্যান্ড সিকিউরিটিজ, কাইয়ুম সিকিউরিটিজ এবং মিডওয়ে সিকিউরিটিজ।
জানতে চাইলে বিএসইসির নির্বাহী পরিচালক মোহাম্মদ রেজাউল করিম যুগান্তরকে বলেন, এসব হাউজ নির্ধারিত মূল্যের চেয়ে কম দামে শেয়ার বিক্রির প্রস্তাব করেছে। সিকিউরিটিজ আইন অনুসারে যা অন্যায়। এ ব্যাপারে প্রাথমিকভাবে তাদের কাছে ব্যাখ্যা চাওয়া হয়েছে। ব্যাখ্যা সন্তোষজনক না হলে আমরা ব্যবস্থা নেব।
জানা গেছে কোনো যৌক্তিক কারণ ছাড়াই কয়েকদিন পর্যন্ত শেয়ারবাজারে টানা দরপতন চলছিল। এ অবস্থায় পতনের কারণ অনুসন্ধান কাজ করছে কমিশন। সেক্ষেত্রে কয়েকটি হাউজের অস্বাভাবিক লেনদেনের তথ্য পাওয়া যায়। এক্ষেত্রে মঙ্গলবার লেনদেন শুরুর আগে সকাল পৌনে ১০টা থেকে ১০টার মধ্যে আগের দিনের ক্লোজিং দরের থেকে ২ শতাংশ কমে বিক্রয়াদেশ দেওয়া হয়েছে। এক্ষেত্রে তারা তিনটি বড় শেয়ারকে টার্গেট করেছিল।
এগুলো হলো- বেক্সিমকো লিমিটেড, ব্রিটিশ আমেরিকান টোব্যাকো এবং লাফার্জ সুরমা সিমেন্ট। আর শুরুতেই এসব বড় মূলধনের কোম্পানির দাম কমায় বাজারে পতন শুরু হয়। বিষয়টি কমিশনের সার্ভিলেন্সের নজরে এলে তাৎক্ষণিকভাবে হোয়াটস অ্যাপে তাদেরকে ব্যাখ্যা চাওয়া হয়। এরপর তারা কম দামের অর্ডার উঠিয়ে নিলে ইতিবাচক হয় বাজার।
পরবর্তীতে তাদেরকে চিঠি দিয়ে ব্যাখ্যা চাওয়া হয়। কমিশন মনে করছে, এ ধরনের কাজ যা বেআইনি ও অসৎ উদ্দেশ্যে করা হতে পারে। এই পরিস্থিতিতে ব্যাখ্যা চেয়ে চিঠি দিয়েছে কমিশন। এই ব্রোকারেজ হাউজগুলো থেকে একসঙ্গে ১১ লাখের বেশি শেয়ার কম মূল্যে বিক্রির অফার দেওয়া হয়।