হাসপাতালে অভিনেত্রী কবরীকে বলা এটিএম শামসুজ্জামানের কথা ভাইরাল
বিনোদন ডেস্ক
২২ ফেব্রুয়ারি ২০২১, ২১:২৪:৫৯ | অনলাইন সংস্করণ
খ্যাতিমান অভিনেতা এটিএম শামসুজ্জামানকে দেখতে ২০১৯ সালের জুলাইয়ে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয় (বিএসএমএমইউ) হাসপাতালে গিয়েছিলেন বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোট কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি ও অভিনেত্রী সারাহ বেগম কবরী।
এটিএম শামসুজ্জামান বিএসএমএমইউ হাসপাতালের ২১২ নম্বর ভিআইপি কেবিনে তখন চিকিৎসাধীন। ওই সময় অভিনেত্রী কবরীকে যেসব কথা বলেন তা এখন সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে।
ওই সময় গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় এটিএম শামসুজ্জামানকে রাজধানীর গেণ্ডারিয়ার আজগর আলী হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। পরদিন সকালে তার পিত্তথলির একটি নালীতে সফল অস্ত্রোপচার করা হয়। পরে তার শারীরিক অবস্থার অবনতি ঘটলে তাকে ওই সময় (৩০ এপ্রিল) তাকে লাইফ সাপোর্টে নেওয়া হয়। তিন দিন পর অবস্থার উন্নতি হলে তার লাইফ সাপোর্ট খুলে দেওয়া হয়।
এর দুই মাস পর আবারও শরীর খারাপ হলে তাকে বিএসএমএমইউতে ভর্তি করা হয়। ওই সময়ের কথাগুলোই সোশ্যাল মিডিয়ায় ব্যাপকভাবে জনপ্রিয়তা পায়। শুধু যমুনা টিভির ইউটিউব চ্যানেলে ওই বক্তব্যটি ইতিমধ্যে ২৬ লাখেরও বেশি মানুষ দেখেছেন।
এটিএম শামসুজ্জামানেরআলোচিত সেই কথা
অভিনেতা এটিএম শামসুজ্জামান বলেন,আমি ভীষণভাবে অপটিমিস্ট (আশাবাদী)। নৈরাশ্যবাদ আমি বিশ্বাস করি না। আমার জায়গায় অন্য কেউ হলে নিরাশ হয়ে যেত। আমার তিনটা মেয়ে আছে। এর মধ্যে একটা মেয়ে আমার সমস্ত খাবার দাবার, আমার চাহিদা পাঠিয়ে দেয়। আজ আস্ত কাতল মাছের মাথা খাইছি।
তিনি বলেন, একটা মানুষের সবচেয়ে সৌভাগ্য হচ্ছে তার মেয়ে থাকা। আমি আমার মার প্রতি যতটা সহানুভূতিশীল, ক’টা ছেলে তার মায়ের প্রতি এমন সহানুভূতিশীল থাকে? মা বলতে (আমি)অজ্ঞান। ওই মা-ই আমার নাম রেখেছে খোকা। এসব অসুখ-বিসুখকে আমি খুব একটা কেয়ার করি না।
এটিএম শামসুজ্জামান হাসপাতালের বিছানায় বসে অভিনেত্রী কবরীর উদ্দেশেবলেন,যতদিন বেঁচে থাকব ততদিন অসুখ-বিসুখ হবে। কোনো টেনশন করি না। ডোন্ট কেয়ার ভাবটাই একটা মানুষকে বাঁচিয়ে রাখে। বিপদ আপদ ভালোমন্দ নিয়েই জীবন। সবটাকে মেনে নিতে হবে।
সম্পাদক : সাইফুল আলম, প্রকাশক : সালমা ইসলাম
প্রকাশক কর্তৃক ক-২৪৪ প্রগতি সরণি, কুড়িল (বিশ্বরোড), বারিধারা, ঢাকা-১২২৯ থেকে প্রকাশিত এবং যমুনা প্রিন্টিং এন্ড পাবলিশিং লিঃ থেকে মুদ্রিত।
পিএবিএক্স : ৯৮২৪০৫৪-৬১, রিপোর্টিং : ৯৮২৪০৭৩, বিজ্ঞাপন : ৯৮২৪০৬২, ফ্যাক্স : ৯৮২৪০৬৩, সার্কুলেশন : ৯৮২৪০৭২। ফ্যাক্স : ৯৮২৪০৬৬
E-mail: jugantor.mail@gmail.com
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
হাসপাতালে অভিনেত্রী কবরীকে বলা এটিএম শামসুজ্জামানের কথা ভাইরাল
খ্যাতিমান অভিনেতা এটিএম শামসুজ্জামানকে দেখতে ২০১৯ সালের জুলাইয়ে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয় (বিএসএমএমইউ) হাসপাতালে গিয়েছিলেন বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোট কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি ও অভিনেত্রী সারাহ বেগম কবরী।
এটিএম শামসুজ্জামান বিএসএমএমইউ হাসপাতালের ২১২ নম্বর ভিআইপি কেবিনে তখন চিকিৎসাধীন। ওই সময় অভিনেত্রী কবরীকে যেসব কথা বলেন তা এখন সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে।
ওই সময় গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় এটিএম শামসুজ্জামানকে রাজধানীর গেণ্ডারিয়ার আজগর আলী হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। পরদিন সকালে তার পিত্তথলির একটি নালীতে সফল অস্ত্রোপচার করা হয়। পরে তার শারীরিক অবস্থার অবনতি ঘটলে তাকে ওই সময় (৩০ এপ্রিল) তাকে লাইফ সাপোর্টে নেওয়া হয়। তিন দিন পর অবস্থার উন্নতি হলে তার লাইফ সাপোর্ট খুলে দেওয়া হয়।
এর দুই মাস পর আবারও শরীর খারাপ হলে তাকে বিএসএমএমইউতে ভর্তি করা হয়। ওই সময়ের কথাগুলোই সোশ্যাল মিডিয়ায় ব্যাপকভাবে জনপ্রিয়তা পায়। শুধু যমুনা টিভির ইউটিউব চ্যানেলে ওই বক্তব্যটি ইতিমধ্যে ২৬ লাখেরও বেশি মানুষ দেখেছেন।
এটিএম শামসুজ্জামানের আলোচিত সেই কথা
অভিনেতা এটিএম শামসুজ্জামান বলেন, আমি ভীষণভাবে অপটিমিস্ট (আশাবাদী)। নৈরাশ্যবাদ আমি বিশ্বাস করি না। আমার জায়গায় অন্য কেউ হলে নিরাশ হয়ে যেত। আমার তিনটা মেয়ে আছে। এর মধ্যে একটা মেয়ে আমার সমস্ত খাবার দাবার, আমার চাহিদা পাঠিয়ে দেয়। আজ আস্ত কাতল মাছের মাথা খাইছি।
তিনি বলেন, একটা মানুষের সবচেয়ে সৌভাগ্য হচ্ছে তার মেয়ে থাকা। আমি আমার মার প্রতি যতটা সহানুভূতিশীল, ক’টা ছেলে তার মায়ের প্রতি এমন সহানুভূতিশীল থাকে? মা বলতে (আমি) অজ্ঞান। ওই মা-ই আমার নাম রেখেছে খোকা। এসব অসুখ-বিসুখকে আমি খুব একটা কেয়ার করি না।
এটিএম শামসুজ্জামান হাসপাতালের বিছানায় বসে অভিনেত্রী কবরীর উদ্দেশে বলেন, যতদিন বেঁচে থাকব ততদিন অসুখ-বিসুখ হবে। কোনো টেনশন করি না। ডোন্ট কেয়ার ভাবটাই একটা মানুষকে বাঁচিয়ে রাখে। বিপদ আপদ ভালোমন্দ নিয়েই জীবন। সবটাকে মেনে নিতে হবে।