‘মেহেনাজ’ বলতে কী বোঝালেন কণ্ঠশিল্পী ন্যান্সি?
বিনোদন ডেস্ক
১৪ জানুয়ারি ২০২২, ১২:৪৬:৩১ | অনলাইন সংস্করণ
তৃতীয় সন্তানের মা হতে যাচ্ছেন জনপ্রিয় সংগীতশিল্পী নাজমুন মুনিরা ন্যান্সি।
বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় নিজের ফেসবুক ও অফিশিয়াল ইউটিউব চ্যানেলে একটি ভিডিও শেয়ার করে এ সুখবর জানান তিনি।
ইউটিউব চ্যানেলের শিরোনামে ন্যান্সি লিখেছেন— ‘মেহেনাজের জীবনের নতুন অধ্যায়ের সূচনা হতে যাচ্ছে।’
এতেই অনেকে ধরে নেন ন্যান্সির অনাগত সন্তানের নাম মেহেনাজ। অথচ ন্যান্সি এখনও প্রকাশ করেননি তার অনাগত সন্তান মেয়ে নাকি ছেলে।
বিষয়টি নিয়ে বেশ কয়েকটি গণমাধ্যমে প্রতিবেদন প্রকাশ হলে হতবাক হয়েছেন ন্যান্সি। রীতিমতো ক্ষোভ ঝেড়ে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুকে দীর্ঘ স্ট্যাটাস দিয়েছেন।
মেহেনাজ শব্দটি কেন লিখেছেন সেই ব্যাখ্যা দেন। ন্যান্সির সেই স্ট্যাটাসটি তুলে ধরা হলো—
‘আমার স্বামী মহসিন মেহেদী এবং আমি নাজমুন মুনিরা। আমাদের দুজনের নামের সংক্ষিপ্ত রূপ মেহেনাজ। আমাদের এতদিনে মিডিয়া জগতের সিংহভাগ মানুষ মেহেনাজ নামেই চেনে।
‘মেহেনাজ’ নামটি কী করে আজ আমার অনাগত সন্তানের নাম হয়ে গেল সেটি বুঝলাম না! আবার অনেকে নিজ বুদ্ধিতে ধরে নিচ্ছেন আমি কন্যাসন্তানের মা হব বলে নাম রেখেছি মেহেনাজ!
আমাদের বিয়ের বয়স পাঁচ মাস চলছে। সব ঠিক থাকলে রিপোর্ট অনুযায়ী আমার গর্ভের সন্তানের জন্মের সময় দেখাচ্ছে জুলাই মাসের শেষ সপ্তাহে। গর্ভধারণের শুরুতে কী করে জানব কাঙ্ক্ষিত সন্তানটি ছেলে নাকি মেয়ে!
অনেকে নিজ দায়িত্বে আমার বক্তব্য মনের মাধুরী মিশিয়ে লিখেছেন। আমার বক্তব্য এমন— ‘আমি খুবই আনন্দিত। পূর্বে সিজারের মাধ্যমে সন্তান জন্ম দিতে গিয়ে অনেক জটিলতা হয়েছে। আমি ভাবতেই পারিনি আবার কখনও মা হব!’
আমি এসব আজগুবি লেখা পড়ে হতবাক হয়ে যাই। আমি এখন পর্যন্ত কোনো সাংবাদিকের সঙ্গে এ ব্যাপারে কথাই বলিনি। তা হলে আমার এ বক্তব্য কি আমার প্রেতাত্তা এসে জানিয়েছে! সন্তান জন্ম দেওয়া হোক সেটি প্রথম কিংবা পঞ্চম; প্রতিবারেই তীব্র আনন্দ এবং শারীরিক যন্ত্রণার মধ্য দিয়ে একজন মাকে যেতে হয়। আমিও তার ব্যতিক্রম নই। নতুন আমার এক অংশের মুখ দেখার অপেক্ষায় দিন পার করছি। এ অপেক্ষা মধুর ?|
( অনেক অযাচিত লোকের আমার জীবনের সুখবরটি শুনে গাত্রদাহ হচ্ছে জানি! গালিগালাজ করার জন্য ইতোমধ্যে জিহ্বাতে ধার দিয়ে রেখেছেন! বিশ্বাস করেন, আপনাদের আমার জীবনে থাকা না থাকাতে আমার কিচ্ছু আসে যায় না। কোনো বিকৃত রুচির নারী-পুরুষের জন্য মেহেনাজ পরিবার তাদের আনন্দ বিসর্জন দেবে না ?| )’
প্রসঙ্গত ন্যান্সির আগের দুই সন্তানের নাম রোদেলা ও নায়লা। ২০০৬ সালে ন্যান্সি ভালোবেসে বিয়ে করেন ব্যবসায়ী আবু সাঈদ সৌরভকে। রোদেলা ও নায়লা সেই সংসারের। ওই সংসার ভাঙনের পর বন্ধু নাজিমুজ্জামান জায়েদের সঙ্গে ঘর বাঁধেন ন্যান্সি। গত বছরের এপ্রিলে জায়েদের সঙ্গে বিচ্ছেদ ঘটে ন্যান্সির। বিচ্ছেদের কয়েক মাস পর পারিবারিক আয়োজনে গীতিকার মহসিন মেহেদীর সঙ্গে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন তিনি।
সম্পাদক : সাইফুল আলম, প্রকাশক : সালমা ইসলাম
প্রকাশক কর্তৃক ক-২৪৪ প্রগতি সরণি, কুড়িল (বিশ্বরোড), বারিধারা, ঢাকা-১২২৯ থেকে প্রকাশিত এবং যমুনা প্রিন্টিং এন্ড পাবলিশিং লিঃ থেকে মুদ্রিত।
পিএবিএক্স : ৯৮২৪০৫৪-৬১, রিপোর্টিং : ৯৮২৩০৭৩, বিজ্ঞাপন : ৯৮২৪০৬২, ফ্যাক্স : ৯৮২৪০৬৩, সার্কুলেশন : ৯৮২৪০৭২। ফ্যাক্স : ৯৮২৪০৬৬
E-mail: jugantor.mail@gmail.com
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
‘মেহেনাজ’ বলতে কী বোঝালেন কণ্ঠশিল্পী ন্যান্সি?
তৃতীয় সন্তানের মা হতে যাচ্ছেন জনপ্রিয় সংগীতশিল্পী নাজমুন মুনিরা ন্যান্সি।
বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় নিজের ফেসবুক ও অফিশিয়াল ইউটিউব চ্যানেলে একটি ভিডিও শেয়ার করে এ সুখবর জানান তিনি।
ইউটিউব চ্যানেলের শিরোনামে ন্যান্সি লিখেছেন— ‘মেহেনাজের জীবনের নতুন অধ্যায়ের সূচনা হতে যাচ্ছে।’
এতেই অনেকে ধরে নেন ন্যান্সির অনাগত সন্তানের নাম মেহেনাজ। অথচ ন্যান্সি এখনও প্রকাশ করেননি তার অনাগত সন্তান মেয়ে নাকি ছেলে।
বিষয়টি নিয়ে বেশ কয়েকটি গণমাধ্যমে প্রতিবেদন প্রকাশ হলে হতবাক হয়েছেন ন্যান্সি। রীতিমতো ক্ষোভ ঝেড়ে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুকে দীর্ঘ স্ট্যাটাস দিয়েছেন।
মেহেনাজ শব্দটি কেন লিখেছেন সেই ব্যাখ্যা দেন। ন্যান্সির সেই স্ট্যাটাসটি তুলে ধরা হলো—
‘আমার স্বামী মহসিন মেহেদী এবং আমি নাজমুন মুনিরা। আমাদের দুজনের নামের সংক্ষিপ্ত রূপ মেহেনাজ। আমাদের এতদিনে মিডিয়া জগতের সিংহভাগ মানুষ মেহেনাজ নামেই চেনে।
‘মেহেনাজ’ নামটি কী করে আজ আমার অনাগত সন্তানের নাম হয়ে গেল সেটি বুঝলাম না! আবার অনেকে নিজ বুদ্ধিতে ধরে নিচ্ছেন আমি কন্যাসন্তানের মা হব বলে নাম রেখেছি মেহেনাজ!
আমাদের বিয়ের বয়স পাঁচ মাস চলছে। সব ঠিক থাকলে রিপোর্ট অনুযায়ী আমার গর্ভের সন্তানের জন্মের সময় দেখাচ্ছে জুলাই মাসের শেষ সপ্তাহে। গর্ভধারণের শুরুতে কী করে জানব কাঙ্ক্ষিত সন্তানটি ছেলে নাকি মেয়ে!
অনেকে নিজ দায়িত্বে আমার বক্তব্য মনের মাধুরী মিশিয়ে লিখেছেন। আমার বক্তব্য এমন— ‘আমি খুবই আনন্দিত। পূর্বে সিজারের মাধ্যমে সন্তান জন্ম দিতে গিয়ে অনেক জটিলতা হয়েছে। আমি ভাবতেই পারিনি আবার কখনও মা হব!’
আমি এসব আজগুবি লেখা পড়ে হতবাক হয়ে যাই। আমি এখন পর্যন্ত কোনো সাংবাদিকের সঙ্গে এ ব্যাপারে কথাই বলিনি। তা হলে আমার এ বক্তব্য কি আমার প্রেতাত্তা এসে জানিয়েছে! সন্তান জন্ম দেওয়া হোক সেটি প্রথম কিংবা পঞ্চম; প্রতিবারেই তীব্র আনন্দ এবং শারীরিক যন্ত্রণার মধ্য দিয়ে একজন মাকে যেতে হয়। আমিও তার ব্যতিক্রম নই। নতুন আমার এক অংশের মুখ দেখার অপেক্ষায় দিন পার করছি। এ অপেক্ষা মধুর ?|
( অনেক অযাচিত লোকের আমার জীবনের সুখবরটি শুনে গাত্রদাহ হচ্ছে জানি! গালিগালাজ করার জন্য ইতোমধ্যে জিহ্বাতে ধার দিয়ে রেখেছেন! বিশ্বাস করেন, আপনাদের আমার জীবনে থাকা না থাকাতে আমার কিচ্ছু আসে যায় না। কোনো বিকৃত রুচির নারী-পুরুষের জন্য মেহেনাজ পরিবার তাদের আনন্দ বিসর্জন দেবে না ?| )’
প্রসঙ্গত ন্যান্সির আগের দুই সন্তানের নাম রোদেলা ও নায়লা। ২০০৬ সালে ন্যান্সি ভালোবেসে বিয়ে করেন ব্যবসায়ী আবু সাঈদ সৌরভকে। রোদেলা ও নায়লা সেই সংসারের। ওই সংসার ভাঙনের পর বন্ধু নাজিমুজ্জামান জায়েদের সঙ্গে ঘর বাঁধেন ন্যান্সি। গত বছরের এপ্রিলে জায়েদের সঙ্গে বিচ্ছেদ ঘটে ন্যান্সির। বিচ্ছেদের কয়েক মাস পর পারিবারিক আয়োজনে গীতিকার মহসিন মেহেদীর সঙ্গে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন তিনি।