ফিরোজা বেগম স্মৃতি স্বর্ণপদক পেলেন আবদুল হাদী ও ফেরদৌসী
বিনোদন প্রতিবেদন
২৯ জুলাই ২০২২, ০৩:০৫:৫৩ | অনলাইন সংস্করণ
গত ২৭ জুলাই পঞ্চমবারের মতো ‘ফিরোজা বেগম স্মৃতি স্বর্ণপদক ট্রাস্ট ফান্ড’ আয়োজিত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনেট ভবনে অনুষ্ঠিত হলো ‘ফিরোজা বেগম স্মৃতি স্বর্ণপদক ও পুরস্কার প্রদান অনুষ্ঠান-২০২২’।
অনুষ্ঠানে ২০২০ সালের জন্য ‘ফিরোজা বেগম স্মৃতি স্বর্ণপদক’-এ ভূষিত হন বাংলাদেশের জীবন্ত কিংবদন্তি সংগীতশিল্পী ফেরদৌসী রহমান ও ২০২১ সালের জন্য পুরস্কৃত হন আরেক কিংবদন্তি সংগীতশিল্পী সৈয়দ আবদুল হাদী।
অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস চ্যান্সেলর ড. মো. আখতারুজ্জামান শিল্পীদের হাতে স্বর্ণপদক ও এক লাখ টাকার চেক তুলে দেন।
ফিরোজা বেগম স্মৃতি স্বর্ণপদকপ্রাপ্তি প্রসঙ্গে সৈয়দ আবদুল হাদী বলেন, জীবনে এই পর্যায়ে এসে, এই অধ্যায়ে এসে আনন্দের উৎসগুলো খুব সঙ্কুচিত হয়ে আসে।
আজকের এ মুহূর্তটি অনেক আনন্দের বার্তা নিয়ে এলো। পদক নিয়েছি এটি অবশ্যই অনেক আনন্দের। তবে সবচেয়ে বড় কথা হচ্ছে- এই পদকটি গ্রহণের মধ্য দিয়ে ফিরোজা বেগমের মতো একজন গুণী শিল্পীর স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে পারছি। ফিরোজা আপার সঙ্গে দ্বৈত কণ্ঠে গান গাওয়ার সৌভাগ্য হয়েছিল আমার। জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের জন্য নির্মিত একটি প্রামাণ্যচিত্রে এ গানটি গাইবার সুযোগ হয়েছিল আমার। সেই স্মৃতি আমার চোখে এখনো উজ্জ্বল।
ফিরোজা আপা আমাকে খুব স্নেহ করতেন। আমি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনাকালীন সময়েই একজন পেশাদার সংগীতশিল্পী হিসেবে কাজ করার সুযোগ পেয়েছিলাম। আজকের এই অনুষ্ঠান এবং আমি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ছাত্র- সব কিছু মিলিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতি আমার যে ভালোবাসা, শ্রদ্ধা এবং যে কৃতজ্ঞতা এই অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণের মাধ্যমে তা জানার সুযোগ পেলাম। আমি এবং ফেরদৌসী রহমান- আমরা দুই সতীর্থ একসঙ্গে এই পদকপ্রাপ্তিতে ভীষণভাবে গর্বিত।
ফেরদৌসী রহমান বলেন, ফিরোজা আপা প্রসঙ্গে কথা বলার সুযোগ খুব বেশি একটা হয় না। ফিরোজা আপার সঙ্গে আমার একটা অন্যরকম সম্পর্ক ছিল।
সেটি বোন, বন্ধুত্ব-বলা যেতে পারে। তিনি আমাকে খুব স্নেহ করতেন তা বিভিন্ন অনুষ্ঠানে গিয়ে উপলদ্ধি করতে পেরেছি। নজরুল ইনস্টিটিউটের ট্রাস্টি বোর্ডেও ছিলাম একসঙ্গে। সেখানে গিয়েও তার সঙ্গে আমরা আলাদা সময় করে আড্ডা দিতাম। ফিরোজা আপা বুঝিয়ে দিয়ে গেলেন সাধনার ফল যে কী হতে পারে। সারা বাংলাদেশই নয়, সারা ভারতও তাকে নজরুল সংগীতের শিল্পী হিসেবে পরম শ্রদ্ধা করেন। ফিরোজা আপা যেখান থেকে যতটুকু প্রয়োজন ঠিক ততটুকুই গ্রহণ করতেন।
এমন মহান শিল্পীর শ্রদ্ধায় আয়োজিত অনুষ্ঠানে তারই স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে স্বর্ণপদক প্রাপ্তিতে সত্যিই আজ আমি ভীষণ গর্বিত। অনুষ্ঠানের আয়োজকদের প্রতি অনেক শুভকামনা।
উল্লেখ্য, অনুষ্ঠানের শুরুতেই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সংগীত বিভাগের শিক্ষার্থীরা দুটি গান পরিবেশন করেন এবং নৃত্য বিভাগের শিক্ষার্থীরা নৃত্য পরিবেশন করেন।
অনুষ্ঠানে স্বর্ণপদকপ্রাপ্ত দুজন শিক্ষার্থী হচ্ছেন ফারাহ দিবা খান লাবণ্য (২০১৯) ও জুবিন বিশ্বাস (২০২০)। তারা মূলত সংগীত বিষয়ে সর্বোচ্চ সিজিপিএপ্রাপ্ত হিসেবে এই পদকে ভূষিত হয়েছেন এবং আগামী সমাবর্তন অনুষ্ঠানে তাদের হাতে এই পদক তুলে দেওয়া হবে।
সম্পাদক : সাইফুল আলম, প্রকাশক : সালমা ইসলাম
প্রকাশক কর্তৃক ক-২৪৪ প্রগতি সরণি, কুড়িল (বিশ্বরোড), বারিধারা, ঢাকা-১২২৯ থেকে প্রকাশিত এবং যমুনা প্রিন্টিং এন্ড পাবলিশিং লিঃ থেকে মুদ্রিত।
পিএবিএক্স : ৯৮২৪০৫৪-৬১, রিপোর্টিং : ৯৮২৩০৭৩, বিজ্ঞাপন : ৯৮২৪০৬২, ফ্যাক্স : ৯৮২৪০৬৩, সার্কুলেশন : ৯৮২৪০৭২। ফ্যাক্স : ৯৮২৪০৬৬
E-mail: jugantor.mail@gmail.com
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
ফিরোজা বেগম স্মৃতি স্বর্ণপদক পেলেন আবদুল হাদী ও ফেরদৌসী
গত ২৭ জুলাই পঞ্চমবারের মতো ‘ফিরোজা বেগম স্মৃতি স্বর্ণপদক ট্রাস্ট ফান্ড’ আয়োজিত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনেট ভবনে অনুষ্ঠিত হলো ‘ফিরোজা বেগম স্মৃতি স্বর্ণপদক ও পুরস্কার প্রদান অনুষ্ঠান-২০২২’।
অনুষ্ঠানে ২০২০ সালের জন্য ‘ফিরোজা বেগম স্মৃতি স্বর্ণপদক’-এ ভূষিত হন বাংলাদেশের জীবন্ত কিংবদন্তি সংগীতশিল্পী ফেরদৌসী রহমান ও ২০২১ সালের জন্য পুরস্কৃত হন আরেক কিংবদন্তি সংগীতশিল্পী সৈয়দ আবদুল হাদী।
অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস চ্যান্সেলর ড. মো. আখতারুজ্জামান শিল্পীদের হাতে স্বর্ণপদক ও এক লাখ টাকার চেক তুলে দেন।
ফিরোজা বেগম স্মৃতি স্বর্ণপদকপ্রাপ্তি প্রসঙ্গে সৈয়দ আবদুল হাদী বলেন, জীবনে এই পর্যায়ে এসে, এই অধ্যায়ে এসে আনন্দের উৎসগুলো খুব সঙ্কুচিত হয়ে আসে।
আজকের এ মুহূর্তটি অনেক আনন্দের বার্তা নিয়ে এলো। পদক নিয়েছি এটি অবশ্যই অনেক আনন্দের। তবে সবচেয়ে বড় কথা হচ্ছে- এই পদকটি গ্রহণের মধ্য দিয়ে ফিরোজা বেগমের মতো একজন গুণী শিল্পীর স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে পারছি। ফিরোজা আপার সঙ্গে দ্বৈত কণ্ঠে গান গাওয়ার সৌভাগ্য হয়েছিল আমার। জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের জন্য নির্মিত একটি প্রামাণ্যচিত্রে এ গানটি গাইবার সুযোগ হয়েছিল আমার। সেই স্মৃতি আমার চোখে এখনো উজ্জ্বল।
ফিরোজা আপা আমাকে খুব স্নেহ করতেন। আমি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনাকালীন সময়েই একজন পেশাদার সংগীতশিল্পী হিসেবে কাজ করার সুযোগ পেয়েছিলাম। আজকের এই অনুষ্ঠান এবং আমি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ছাত্র- সব কিছু মিলিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতি আমার যে ভালোবাসা, শ্রদ্ধা এবং যে কৃতজ্ঞতা এই অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণের মাধ্যমে তা জানার সুযোগ পেলাম। আমি এবং ফেরদৌসী রহমান- আমরা দুই সতীর্থ একসঙ্গে এই পদকপ্রাপ্তিতে ভীষণভাবে গর্বিত।
ফেরদৌসী রহমান বলেন, ফিরোজা আপা প্রসঙ্গে কথা বলার সুযোগ খুব বেশি একটা হয় না। ফিরোজা আপার সঙ্গে আমার একটা অন্যরকম সম্পর্ক ছিল।
সেটি বোন, বন্ধুত্ব-বলা যেতে পারে। তিনি আমাকে খুব স্নেহ করতেন তা বিভিন্ন অনুষ্ঠানে গিয়ে উপলদ্ধি করতে পেরেছি। নজরুল ইনস্টিটিউটের ট্রাস্টি বোর্ডেও ছিলাম একসঙ্গে। সেখানে গিয়েও তার সঙ্গে আমরা আলাদা সময় করে আড্ডা দিতাম। ফিরোজা আপা বুঝিয়ে দিয়ে গেলেন সাধনার ফল যে কী হতে পারে। সারা বাংলাদেশই নয়, সারা ভারতও তাকে নজরুল সংগীতের শিল্পী হিসেবে পরম শ্রদ্ধা করেন। ফিরোজা আপা যেখান থেকে যতটুকু প্রয়োজন ঠিক ততটুকুই গ্রহণ করতেন।
এমন মহান শিল্পীর শ্রদ্ধায় আয়োজিত অনুষ্ঠানে তারই স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে স্বর্ণপদক প্রাপ্তিতে সত্যিই আজ আমি ভীষণ গর্বিত। অনুষ্ঠানের আয়োজকদের প্রতি অনেক শুভকামনা।
উল্লেখ্য, অনুষ্ঠানের শুরুতেই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সংগীত বিভাগের শিক্ষার্থীরা দুটি গান পরিবেশন করেন এবং নৃত্য বিভাগের শিক্ষার্থীরা নৃত্য পরিবেশন করেন।
অনুষ্ঠানে স্বর্ণপদকপ্রাপ্ত দুজন শিক্ষার্থী হচ্ছেন ফারাহ দিবা খান লাবণ্য (২০১৯) ও জুবিন বিশ্বাস (২০২০)। তারা মূলত সংগীত বিষয়ে সর্বোচ্চ সিজিপিএপ্রাপ্ত হিসেবে এই পদকে ভূষিত হয়েছেন এবং আগামী সমাবর্তন অনুষ্ঠানে তাদের হাতে এই পদক তুলে দেওয়া হবে।