হাসপাতালে গিয়ে কান্নায় ভেঙে পড়লেন গায়ক মনির খান
‘জয় বাংলা, বাংলার জয়’, ‘আছেন আমার মোক্তার আছেন আমার ব্যারিস্টার’, ‘একতারা তুই দেশের কথা বল রে এবার বল’, ‘একবার যেতে দে না আমার ছোট্ট সোনার গাঁয়’, ‘গানের খাতায় স্বরলিপি লিখে’ - এমন সব কালজয়ী গানের স্রষ্টা গাজী মাজহারুল আনোয়ার আর নেই।
রোববার ভোরে হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়লে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় গেলে চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন। এভাবেই জীবনাবসান হলো ২০ হাজারের বেশি গানের রচয়িতার।
কিংবদন্তি গীতিকারের হঠাৎ প্রয়াণে শোকের ছায়া নেমে এসেছে দেশব্যাপী। বিশেষ করে সংগীত ভূবনের তারকারা স্তম্ভিত, শোকাহত।
গাজী মাজহারুল আনোয়ারের মৃত্যুর খবর শুনে সকাল থেকেই হাসপাতালে ভিড় জমানো শুরু করেন তারকারা। কণ্ঠশিল্পীদের অনেকেই ছুটে আসেন রাজধানীর ইউনাইটেড হাসপাতালে।
তাদের মধ্যে রয়েছেন জনপ্রিয় কণ্ঠশিল্পী মনির খান। তাকে দেখে ছুটে আসেন উপস্থিত সাংবাদিকরাও। এসময়ে অঝোরে কাঁদতে থাকেন মনির খান।
সাংবাদিকদের কোনো প্রশ্নের উত্তরই দিতে পারছিলেন না তিনি। গাজী মাজহারুল আনোয়ারের এভাবে চলে যাওয়া কোনোভাবেই মানতে পারছেন না এ গায়ক।
কান্নাজড়িত কণ্ঠে মনির খান বলেন, তিনি আমার পিতৃতূল্য। সবসময় বলতেন আমার দুই ছেলে। একজন উপল আরেকজন মনির খান। আমার সঙ্গে প্রতিদিন কথা হতো তার। একদিন ফোনে কথা না হলেই বলতেন কি বাবা তোমার কি শরীর খারাপ? তার মতো একজন মানুষকে হারালাম। এটা অপূরণীয় ক্ষতি। '
গাজী মাজহারুল আনোয়ারের প্রতি মনির খানের আবেগ এভাবেই ঝড়ার কথা। কারণ, গাজী মাজহারুল আনোয়ারের লেখা বেশ কিছু গানে কণ্ঠ দিয়েছেন তিনি। কিংবদন্তি গীতিকারের কথায় মনির খানের অনেক গানই পেয়েছে জনপ্রিয়তা।
জানা গেছে, গাজী মাজহারুল আনোয়ারের মরদেহ হাসপাতালের হিমঘরে রাখা হয়েছে। বারিধারা পার্ক রোডের বাসায় শুরুতে তাকে নেওয়ার কথা থাকলেও তা আপাতত স্থগিত করা হয়েছে।
মেয়ে কণ্ঠশিল্পী দিঠি ও চাচা বিদেশ থেকে আসার পর পর গাজী মাজহারুল আনোয়ারের দাফনকার্য সম্পন্ন হবে বলে জানিয়েছেন প্রয়াত গীতিকারের ছেলে উপল।
গাজী মাজহারুল আনোয়ারের মৃত্যুর খবর শুনে মনির খান ছাড়াও হাসাপাতালে ছুটে আসেন।অনন্ত জলিল, বর্ষা, প্রযোজক খোরশেদ আলম খসরুসহ অনেককে। এ ছাড়াও ছুটে যান ঢাকার উত্তরের মেয়র আতিক।
হাসপাতালে গিয়ে কান্নায় ভেঙে পড়লেন গায়ক মনির খান
যুগান্তর প্রতিবেদন
০৪ সেপ্টেম্বর ২০২২, ১৬:১২:৩৯ | অনলাইন সংস্করণ
‘জয় বাংলা, বাংলার জয়’, ‘আছেন আমার মোক্তার আছেন আমার ব্যারিস্টার’, ‘একতারা তুই দেশের কথা বল রে এবার বল’, ‘একবার যেতে দে না আমার ছোট্ট সোনার গাঁয়’, ‘গানের খাতায় স্বরলিপি লিখে’ - এমন সব কালজয়ী গানের স্রষ্টা গাজী মাজহারুল আনোয়ার আর নেই।
রোববার ভোরে হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়লে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় গেলে চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন। এভাবেই জীবনাবসান হলো ২০ হাজারের বেশি গানের রচয়িতার।
কিংবদন্তি গীতিকারের হঠাৎ প্রয়াণে শোকের ছায়া নেমে এসেছে দেশব্যাপী। বিশেষ করে সংগীত ভূবনের তারকারা স্তম্ভিত, শোকাহত।
গাজী মাজহারুল আনোয়ারের মৃত্যুর খবর শুনে সকাল থেকেই হাসপাতালে ভিড় জমানো শুরু করেন তারকারা। কণ্ঠশিল্পীদের অনেকেই ছুটে আসেন রাজধানীর ইউনাইটেড হাসপাতালে।
তাদের মধ্যে রয়েছেন জনপ্রিয় কণ্ঠশিল্পী মনির খান। তাকে দেখে ছুটে আসেন উপস্থিত সাংবাদিকরাও। এসময়ে অঝোরে কাঁদতে থাকেন মনির খান।
সাংবাদিকদের কোনো প্রশ্নের উত্তরই দিতে পারছিলেন না তিনি। গাজী মাজহারুল আনোয়ারের এভাবে চলে যাওয়া কোনোভাবেই মানতে পারছেন না এ গায়ক।
কান্নাজড়িত কণ্ঠে মনির খান বলেন, তিনি আমার পিতৃতূল্য। সবসময় বলতেন আমার দুই ছেলে। একজন উপল আরেকজন মনির খান। আমার সঙ্গে প্রতিদিন কথা হতো তার। একদিন ফোনে কথা না হলেই বলতেন কি বাবা তোমার কি শরীর খারাপ? তার মতো একজন মানুষকে হারালাম। এটা অপূরণীয় ক্ষতি। '
গাজী মাজহারুল আনোয়ারের প্রতি মনির খানের আবেগ এভাবেই ঝড়ার কথা। কারণ, গাজী মাজহারুল আনোয়ারের লেখা বেশ কিছু গানে কণ্ঠ দিয়েছেন তিনি। কিংবদন্তি গীতিকারের কথায় মনির খানের অনেক গানই পেয়েছে জনপ্রিয়তা।
জানা গেছে, গাজী মাজহারুল আনোয়ারের মরদেহ হাসপাতালের হিমঘরে রাখা হয়েছে। বারিধারা পার্ক রোডের বাসায় শুরুতে তাকে নেওয়ার কথা থাকলেও তা আপাতত স্থগিত করা হয়েছে।
মেয়ে কণ্ঠশিল্পী দিঠি ও চাচা বিদেশ থেকে আসার পর পর গাজী মাজহারুল আনোয়ারের দাফনকার্য সম্পন্ন হবে বলে জানিয়েছেন প্রয়াত গীতিকারের ছেলে উপল।
গাজী মাজহারুল আনোয়ারের মৃত্যুর খবর শুনে মনির খান ছাড়াও হাসাপাতালে ছুটে আসেন।অনন্ত জলিল, বর্ষা, প্রযোজক খোরশেদ আলম খসরুসহ অনেককে। এ ছাড়াও ছুটে যান ঢাকার উত্তরের মেয়র আতিক।
সম্পাদক : সাইফুল আলম, প্রকাশক : সালমা ইসলাম
প্রকাশক কর্তৃক ক-২৪৪ প্রগতি সরণি, কুড়িল (বিশ্বরোড), বারিধারা, ঢাকা-১২২৯ থেকে প্রকাশিত এবং যমুনা প্রিন্টিং এন্ড পাবলিশিং লিঃ থেকে মুদ্রিত।
পিএবিএক্স : ৯৮২৪০৫৪-৬১, রিপোর্টিং : ৯৮২৩০৭৩, বিজ্ঞাপন : ৯৮২৪০৬২, ফ্যাক্স : ৯৮২৪০৬৩, সার্কুলেশন : ৯৮২৪০৭২। ফ্যাক্স : ৯৮২৪০৬৬
E-mail: jugantor.mail@gmail.com
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
Developed by The Daily Jugantor © 2023