টেকসই উন্নয়নে বাংলাদেশের নতুন জৈব অর্থনীতি
বাংলাদেশ ডক্টরস প্লাটফর্ম ইন ফিনল্যান্ড (বিডিপিএফ)-এর আয়োজন
অনলাইন ডেস্ক
১৭ অক্টোবর ২০২০, ১৩:৫৮:৫৫ | অনলাইন সংস্করণ
করোনা পরবর্তী টেকসই বাংলাদেশ গড়ার ক্ষেত্রে জৈব সমাজের সাথে সুশাসনের ভূমিকা নিয়ে শনিবার বাংলাদেশ ডক্টরস প্লাটফর্ম ইন ফিনল্যান্ড (বিডিপিএফ) আয়োজন করে দ্বিতীয় বিডিপিএফ নান্দনিক আড্ডা নামক উন্মুক্ত অনলাইন বিজ্ঞানভিত্তিক প্রেজেন্টেশনধর্মী আলোচনা।
বিডিপিএফ-এর উন্মুক্ত নান্দনিক আড্ডায় বিজ্ঞানভিত্তিক বাংলা ভাষায় প্রেজেন্টেশনধর্মী অনলাইন আলোচনা শুরু করার আহবান জানান বিডিপিএফ-এর নির্বাহী কমিটির সভাপতি ড. মো. মঞ্জুরে মওলা।
প্রথম আলোচক ড. এ কে এম ইয়াছিনুর রহমান (ওলু বিশ্ববিদ্যালয়, ফিনল্যান্ড) আলোকপাত করেন, কীভাবে জৈব সমাজের ভিত্তিটা জৈব অর্থনীতির ওপর নির্ভরশীল এবং বাংলাদেশের টেকসই উন্নয়নের জন্য কতটা গুরুত্বপূর্ণ।
তিনি বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনের প্রশমনের জন্য বিশ্ব জীবাশ্ম ভিত্তিক অর্থনীতি থেকে জৈব ভিত্তিক অর্থনীতিতে চলে যাবে। বাংলাদেশের নতুন জৈব অর্থনীতিতে জড়িত হওয়া দরকার। জৈব সমাজ গঠনে সহযোগিতা করার জন্য নতুন উদ্ভাবনী প্রযুক্তি, রাজনৈতিক চুক্তি, সামাজিক গ্রহণযোগ্যতা অপরিহার্য।
ড. এ কে এম ইয়াছিনুর রহমানের আলোচনার সার্বজনীন প্রশ্নোত্তর পর্বে অপনেন্ট হিসেবে ছিলেন ড. মাহবুবুর রহমান (সফটওয়ার ব্যবস্থাপক, মেরিম্যাটিক কোং), ড. হেলাল চৌধুরী (ওয়ারলেস যোগাযোগ বিশেষজ্ঞ) এবং সফিকুল আলম (সিনিয়র গবেষক, তাম্পেরে অ্যাপ্যালাইড বিশ্ববিদ্যালয়, ফিনল্যান্ড)।
দ্বিতীয় আলোচক ড. এ কে এম সাইফুল্লাহ (সিনিয়র কনসালন্টেট, বাংলাদেশ) আলোকপাত করেন, কোভিড-১৯কে সামনে রেখেই সু-শাসন নিশ্চিত করতে পারলে এটি শাসন ব্যবস্থায় রাষ্ট্র ও নাগরিকদের মধ্যকার সম্পর্কে নতুন মাত্রা যোগ করতে পারে।
তিনি বলেন, কোভিড-১৯ নামক আতঙ্ক সারা বিশ্বে সমানভাবে কাঁপন ধরিয়েছে। করোনার ক্ষতি নিয়ে অনেক গবেষণা হয়েছে এবং ক্ষতির মাত্রা নিরূপণের চেষ্টা চলছে অব্যাহতভাবে। বস্তুত কোভিড-১৯ বিপর্যয়ের সঠিক ব্যবস্থাপনার উদাহরণ খুব কম দেশেই দেখা গেছে। সব মিলিয়ে কোভিড-১৯ এর ধাক্কায় শাসন ব্যবস্থায় প্রশংসা লাভকারী কিংবা শাসন ব্যবস্থার কারণে সমালোচিত দেশের মধ্যে খুব সামান্যই ব্যবধান পরিলক্ষিত হয়েছে।
কোভিডকালীন শাসন ব্যবস্থার এ সঙ্কটটি অনেক ক্ষেত্রেই সিদ্ধান্তহীনতার সংকট বলেই প্রতীয়মান হয়েছে। দেখা গেছে যে অনেক রাষ্ট্র নায়কই সময় নিয়ে, দেখে-বুঝে সিদ্ধান্ত নিতে গেয়ে সময় ও সুযোগ দু’টোই হারিয়েছেন। ফলে প্রথাগত নেতৃত্বের উপযোগিতার প্রশ্নটি সামনে চলে আসছে। অনেকেই মনে করছেন যে স্বচ্ছ, সৎ ও সহানুভূতিশীল সিদ্ধান্ত গ্রহণই কোভিড-১৯ এর মতো মহামারীর এই সময়ে নাগরিকদের মাঝে স্বস্তির সুবাতাস বইয়ে দিতে পারে।
ড. এ কে এম সাইফুল্লাহের আলোচনার সার্বজনীন প্রশ্নোত্তর পর্বে অপনেন্ট হিসেবে ছিলেন ড. মনজুর আলম (ডুসেন্ট হেলসিঙ্কি বিশ্ববিদ্যালয়, ফিনল্যান্ড), ড. সাইদুল কাজী (সিনিয়র শিক্ষক, তাম্পেরে অ্যাপ্যালাইড বিশ্ববিদ্যালয়, ফিনল্যান্ড) এবং ড. অসীম কর (ডুসেন্ট হেলসিঙ্কি বিশ্ববিদ্যালয়, ফিনল্যান্ড)।
প্রসঙ্গক্রমে, ড. এ কে এম ইয়াছিনুর রহমান বাংলা ভাষায় প্রেজেন্টেশন এবং ড. এ কে এম সাইফুল্লাহ বাংলা ভাষায় তৈরি বিজ্ঞানভিত্তিক প্রেজেন্টেশন প্রমাণ করে, আমরা চাইলেই আমাদের মাতৃভাষা বাংলাকে শিক্ষা ক্ষেত্রের সর্বত্রই ব্যবহার করতে পারি।
এই অনলাইন আলোচনায় সঞ্চালকের ভূমিকা পালন করেন বিডিপিএফ-এর সদস্য ড. জুলিয়াস ফ্রান্সেস গমেজ। আলোচনার সমাপ্তি ঘোষাণার আগে বিডিপিএফ-এর সভাপতি আগামী ৩১ অক্টোবর বার্ষিক সভায় সকলের উপস্থিতি কামনা করেন। এ বিষয়ে বিস্তারিত জানা যাবে এই ঠিকানায়।
অনলাইন সভায় যোগদান করেন ড. সুনীল কণ্ডু, ড. হারুন উর রশিদ, ড. কামরুল হোসেন, ড. মনজুর আলম, ড. এ কে এম সামসুজ্জোহা, ড. সানাউল হক, ড. সাইদুল কাজী, ড. মাহবুবুর রহমান, ড. অসীম কর, ড. হেলাল চৌধুরী ড. সাকিরা হাসান, ড. সফিকুল আলম, ড. জুলিয়াস ফ্রান্সেস গমেজ, ড. এ কে এম সাইফুল্লাহ, ড. এ কে এম ইয়াছিনুর রহমান এবং ড. মো. মঞ্জুরে মওলা।
সম্পাদক : সাইফুল আলম, প্রকাশক : সালমা ইসলাম
প্রকাশক কর্তৃক ক-২৪৪ প্রগতি সরণি, কুড়িল (বিশ্বরোড), বারিধারা, ঢাকা-১২২৯ থেকে প্রকাশিত এবং যমুনা প্রিন্টিং এন্ড পাবলিশিং লিঃ থেকে মুদ্রিত।
পিএবিএক্স : ৯৮২৪০৫৪-৬১, রিপোর্টিং : ৯৮২৪০৭৩, বিজ্ঞাপন : ৯৮২৪০৬২, ফ্যাক্স : ৯৮২৪০৬৩, সার্কুলেশন : ৯৮২৪০৭২। ফ্যাক্স : ৯৮২৪০৬৬
E-mail: jugantor.mail@gmail.com
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
বাংলাদেশ ডক্টরস প্লাটফর্ম ইন ফিনল্যান্ড (বিডিপিএফ)-এর আয়োজন
টেকসই উন্নয়নে বাংলাদেশের নতুন জৈব অর্থনীতি
করোনা পরবর্তী টেকসই বাংলাদেশ গড়ার ক্ষেত্রে জৈব সমাজের সাথে সুশাসনের ভূমিকা নিয়ে শনিবার বাংলাদেশ ডক্টরস প্লাটফর্ম ইন ফিনল্যান্ড (বিডিপিএফ) আয়োজন করে দ্বিতীয় বিডিপিএফ নান্দনিক আড্ডা নামক উন্মুক্ত অনলাইন বিজ্ঞানভিত্তিক প্রেজেন্টেশনধর্মী আলোচনা।
বিডিপিএফ-এর উন্মুক্ত নান্দনিক আড্ডায় বিজ্ঞানভিত্তিক বাংলা ভাষায় প্রেজেন্টেশনধর্মী অনলাইন আলোচনা শুরু করার আহবান জানান বিডিপিএফ-এর নির্বাহী কমিটির সভাপতি ড. মো. মঞ্জুরে মওলা।
প্রথম আলোচক ড. এ কে এম ইয়াছিনুর রহমান (ওলু বিশ্ববিদ্যালয়, ফিনল্যান্ড) আলোকপাত করেন, কীভাবে জৈব সমাজের ভিত্তিটা জৈব অর্থনীতির ওপর নির্ভরশীল এবং বাংলাদেশের টেকসই উন্নয়নের জন্য কতটা গুরুত্বপূর্ণ।
তিনি বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনের প্রশমনের জন্য বিশ্ব জীবাশ্ম ভিত্তিক অর্থনীতি থেকে জৈব ভিত্তিক অর্থনীতিতে চলে যাবে। বাংলাদেশের নতুন জৈব অর্থনীতিতে জড়িত হওয়া দরকার। জৈব সমাজ গঠনে সহযোগিতা করার জন্য নতুন উদ্ভাবনী প্রযুক্তি, রাজনৈতিক চুক্তি, সামাজিক গ্রহণযোগ্যতা অপরিহার্য।
ড. এ কে এম ইয়াছিনুর রহমানের আলোচনার সার্বজনীন প্রশ্নোত্তর পর্বে অপনেন্ট হিসেবে ছিলেন ড. মাহবুবুর রহমান (সফটওয়ার ব্যবস্থাপক, মেরিম্যাটিক কোং), ড. হেলাল চৌধুরী (ওয়ারলেস যোগাযোগ বিশেষজ্ঞ) এবং সফিকুল আলম (সিনিয়র গবেষক, তাম্পেরে অ্যাপ্যালাইড বিশ্ববিদ্যালয়, ফিনল্যান্ড)।
দ্বিতীয় আলোচক ড. এ কে এম সাইফুল্লাহ (সিনিয়র কনসালন্টেট, বাংলাদেশ) আলোকপাত করেন, কোভিড-১৯কে সামনে রেখেই সু-শাসন নিশ্চিত করতে পারলে এটি শাসন ব্যবস্থায় রাষ্ট্র ও নাগরিকদের মধ্যকার সম্পর্কে নতুন মাত্রা যোগ করতে পারে।
তিনি বলেন, কোভিড-১৯ নামক আতঙ্ক সারা বিশ্বে সমানভাবে কাঁপন ধরিয়েছে। করোনার ক্ষতি নিয়ে অনেক গবেষণা হয়েছে এবং ক্ষতির মাত্রা নিরূপণের চেষ্টা চলছে অব্যাহতভাবে। বস্তুত কোভিড-১৯ বিপর্যয়ের সঠিক ব্যবস্থাপনার উদাহরণ খুব কম দেশেই দেখা গেছে। সব মিলিয়ে কোভিড-১৯ এর ধাক্কায় শাসন ব্যবস্থায় প্রশংসা লাভকারী কিংবা শাসন ব্যবস্থার কারণে সমালোচিত দেশের মধ্যে খুব সামান্যই ব্যবধান পরিলক্ষিত হয়েছে।
কোভিডকালীন শাসন ব্যবস্থার এ সঙ্কটটি অনেক ক্ষেত্রেই সিদ্ধান্তহীনতার সংকট বলেই প্রতীয়মান হয়েছে। দেখা গেছে যে অনেক রাষ্ট্র নায়কই সময় নিয়ে, দেখে-বুঝে সিদ্ধান্ত নিতে গেয়ে সময় ও সুযোগ দু’টোই হারিয়েছেন। ফলে প্রথাগত নেতৃত্বের উপযোগিতার প্রশ্নটি সামনে চলে আসছে। অনেকেই মনে করছেন যে স্বচ্ছ, সৎ ও সহানুভূতিশীল সিদ্ধান্ত গ্রহণই কোভিড-১৯ এর মতো মহামারীর এই সময়ে নাগরিকদের মাঝে স্বস্তির সুবাতাস বইয়ে দিতে পারে।
ড. এ কে এম সাইফুল্লাহের আলোচনার সার্বজনীন প্রশ্নোত্তর পর্বে অপনেন্ট হিসেবে ছিলেন ড. মনজুর আলম (ডুসেন্ট হেলসিঙ্কি বিশ্ববিদ্যালয়, ফিনল্যান্ড), ড. সাইদুল কাজী (সিনিয়র শিক্ষক, তাম্পেরে অ্যাপ্যালাইড বিশ্ববিদ্যালয়, ফিনল্যান্ড) এবং ড. অসীম কর (ডুসেন্ট হেলসিঙ্কি বিশ্ববিদ্যালয়, ফিনল্যান্ড)।
প্রসঙ্গক্রমে, ড. এ কে এম ইয়াছিনুর রহমান বাংলা ভাষায় প্রেজেন্টেশন এবং ড. এ কে এম সাইফুল্লাহ বাংলা ভাষায় তৈরি বিজ্ঞানভিত্তিক প্রেজেন্টেশন প্রমাণ করে, আমরা চাইলেই আমাদের মাতৃভাষা বাংলাকে শিক্ষা ক্ষেত্রের সর্বত্রই ব্যবহার করতে পারি।
এই অনলাইন আলোচনায় সঞ্চালকের ভূমিকা পালন করেন বিডিপিএফ-এর সদস্য ড. জুলিয়াস ফ্রান্সেস গমেজ। আলোচনার সমাপ্তি ঘোষাণার আগে বিডিপিএফ-এর সভাপতি আগামী ৩১ অক্টোবর বার্ষিক সভায় সকলের উপস্থিতি কামনা করেন। এ বিষয়ে বিস্তারিত জানা যাবে এই ঠিকানায়।
অনলাইন সভায় যোগদান করেন ড. সুনীল কণ্ডু, ড. হারুন উর রশিদ, ড. কামরুল হোসেন, ড. মনজুর আলম, ড. এ কে এম সামসুজ্জোহা, ড. সানাউল হক, ড. সাইদুল কাজী, ড. মাহবুবুর রহমান, ড. অসীম কর, ড. হেলাল চৌধুরী ড. সাকিরা হাসান, ড. সফিকুল আলম, ড. জুলিয়াস ফ্রান্সেস গমেজ, ড. এ কে এম সাইফুল্লাহ, ড. এ কে এম ইয়াছিনুর রহমান এবং ড. মো. মঞ্জুরে মওলা।