জাফর ফিরোজের ‘দ্য আনসারটেনিটি’র বার্লিন জয়
আহমাদুল কবির, মালয়েশিয়া থেকে
১৭ জানুয়ারি ২০২২, ১৯:৫৯:৩৫ | অনলাইন সংস্করণ
বার্লিন ইন্টারন্যাশনাল আর্ট ফিল্ম ফেস্টিভ্যালের সব প্রতিযোগীকে হারিয়ে শ্রেষ্ঠ পূর্ণদৈর্ঘ্য কাহিনীচিত্রের পুরস্কার জিতে নিল বাংলাদেশের চলচ্চিত্র পরিচালক জাফর ফিরোজের “দ্য আনসারটেনিটি'।
১৭ জানুয়ারি সোমবার অফিসিয়ালি খবরটি নিশ্চিত করে ফেস্টিভ্যাল কমিটি। জার্মানির মঞ্চে বাংলাদেশের বিজয়ের গল্প সত্যি এ মুহূর্তে অনেক বড় একটি আনন্দের সংবাদ।
সত্য গল্প অবলম্বনে চিত্রনাট্যটি লেখা হয়েছে। জাফর ফিরোজ বলেন, এটি আমার বাবার জীবনের গল্প। ১৯৭০ সালের ১২ নভেম্বর উপকূলীয় অঞ্চলে ভয়াল ঘূর্ণিঝড় এবং জলোচ্ছ্বাসে ১০ লক্ষাধিক মানুষ মৃত্যুবরণ করেছিল। তখন ভোলার অনেক পরিবার নিশ্চিহ্ন হয়ে গিয়েছিল। অনেক পরিবার তাদের আত্মীয়স্বজন, বাবা-মা, ভাইবোন হারিয়ে নিঃস্ব হয়েছিল। সেই জলোচ্ছ্বাসে আমার এক বোন হারিয়ে যায়। তিনিই ছিলেন তখন বাবার একমাত্র সন্তান। তখন আমাদের কারও জন্ম হয়নি।
বাবাকে দেখিছি মেয়েকে খোঁজার জন্য বিভিন্ন জায়গায় চলে যেতেন। যখন শুনতেন অমুক জায়গায় একটি মেয়ে পাওয়া গেছে; বাবা ছুটে যেতেন সেখানে। এখনো বাবাকে তার হারিয়ে যাওয়া মেয়ের জন্য অপেক্ষা করতে দেখি। সেই জলোচ্ছ্বাসে আমাদের পরিবারে কতটা প্রভাব ফেলেছে তা আমি উপলব্ধি করেছি।
একটি সুন্দর সাজানো সংসার প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে কীভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয় আমি এই গল্পে তা তুলে আনার চেষ্টা করেছি। পুরো বিশ্ব যখন জলবায়ু পরিবর্তনে সমাধানের বিষয়ে একমত তখন জাফর ফিরোজের এ চিত্রনাট্যটি জনসচেতনতায় ভূমিকা রাখবে। জাফর ফিরোজ এখন চলচ্চিত্র বিষয়ে মালয়েশিয়ায় পিএইচডি করছেন।
সম্পাদক : সাইফুল আলম, প্রকাশক : সালমা ইসলাম
প্রকাশক কর্তৃক ক-২৪৪ প্রগতি সরণি, কুড়িল (বিশ্বরোড), বারিধারা, ঢাকা-১২২৯ থেকে প্রকাশিত এবং যমুনা প্রিন্টিং এন্ড পাবলিশিং লিঃ থেকে মুদ্রিত।
পিএবিএক্স : ৯৮২৪০৫৪-৬১, রিপোর্টিং : ৯৮২৩০৭৩, বিজ্ঞাপন : ৯৮২৪০৬২, ফ্যাক্স : ৯৮২৪০৬৩, সার্কুলেশন : ৯৮২৪০৭২। ফ্যাক্স : ৯৮২৪০৬৬
E-mail: jugantor.mail@gmail.com
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
জাফর ফিরোজের ‘দ্য আনসারটেনিটি’র বার্লিন জয়
বার্লিন ইন্টারন্যাশনাল আর্ট ফিল্ম ফেস্টিভ্যালের সব প্রতিযোগীকে হারিয়ে শ্রেষ্ঠ পূর্ণদৈর্ঘ্য কাহিনীচিত্রের পুরস্কার জিতে নিল বাংলাদেশের চলচ্চিত্র পরিচালক জাফর ফিরোজের “দ্য আনসারটেনিটি'।
১৭ জানুয়ারি সোমবার অফিসিয়ালি খবরটি নিশ্চিত করে ফেস্টিভ্যাল কমিটি। জার্মানির মঞ্চে বাংলাদেশের বিজয়ের গল্প সত্যি এ মুহূর্তে অনেক বড় একটি আনন্দের সংবাদ।
সত্য গল্প অবলম্বনে চিত্রনাট্যটি লেখা হয়েছে। জাফর ফিরোজ বলেন, এটি আমার বাবার জীবনের গল্প। ১৯৭০ সালের ১২ নভেম্বর উপকূলীয় অঞ্চলে ভয়াল ঘূর্ণিঝড় এবং জলোচ্ছ্বাসে ১০ লক্ষাধিক মানুষ মৃত্যুবরণ করেছিল। তখন ভোলার অনেক পরিবার নিশ্চিহ্ন হয়ে গিয়েছিল। অনেক পরিবার তাদের আত্মীয়স্বজন, বাবা-মা, ভাইবোন হারিয়ে নিঃস্ব হয়েছিল। সেই জলোচ্ছ্বাসে আমার এক বোন হারিয়ে যায়। তিনিই ছিলেন তখন বাবার একমাত্র সন্তান। তখন আমাদের কারও জন্ম হয়নি।
বাবাকে দেখিছি মেয়েকে খোঁজার জন্য বিভিন্ন জায়গায় চলে যেতেন। যখন শুনতেন অমুক জায়গায় একটি মেয়ে পাওয়া গেছে; বাবা ছুটে যেতেন সেখানে। এখনো বাবাকে তার হারিয়ে যাওয়া মেয়ের জন্য অপেক্ষা করতে দেখি। সেই জলোচ্ছ্বাসে আমাদের পরিবারে কতটা প্রভাব ফেলেছে তা আমি উপলব্ধি করেছি।
একটি সুন্দর সাজানো সংসার প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে কীভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয় আমি এই গল্পে তা তুলে আনার চেষ্টা করেছি। পুরো বিশ্ব যখন জলবায়ু পরিবর্তনে সমাধানের বিষয়ে একমত তখন জাফর ফিরোজের এ চিত্রনাট্যটি জনসচেতনতায় ভূমিকা রাখবে। জাফর ফিরোজ এখন চলচ্চিত্র বিষয়ে মালয়েশিয়ায় পিএইচডি করছেন।