অসুস্থ মালদ্বীপ প্রবাসীর পাশে দাঁড়াল বাংলাদেশি
মো. আব্দুল্লাহ কাদের, মালদ্বীপ থেকে
২৪ জানুয়ারি ২০২২, ২২:৫১:০৩ | অনলাইন সংস্করণ
পরিবারের সুখের আশায় ২০১৬ সালে মালদ্বীপে আসেন সাইফুল ইসলাম। মালদ্বীপে এসে কাজে যোগ দেন দ্বীপ রাষ্ট্রের কুলুধুফুশী আইল্যান্ডের একটি বিল্ডিং কনস্ট্রাকশন কোম্পানিতে।
মালদ্বীপে আসার তিন বছর অতিবাহিত হলে প্রথমবারের মতো দেশে যান সাইফুল ইসলাম। তিনি কিশোরগঞ্জ জেলার নিকলি উপজেলার শাহাজানপুর গ্রামের পাশুমিয়ার তৃতীয় পুত্র। তার পরিবারে স্ত্রী ও এক কন্যাসন্তান রয়েছে। আর্থিক অসচ্ছলতার কারণে কিছুদিন ছুটি কাটিয়ে আবারও কর্মস্থলে ফিরেন। তবে ২০২০ সালে করোনাকালীন অবস্থায় হুট করে সাইফুল ইসলাম যে কোম্পানিতে কাজ করতেন সেটি বন্ধ হয়ে যায়। এতে তার জীবনযাত্রা খুব কষ্টের মধ্যে পড়ে যায়।
এভাবে বছরখানেক কেটে যায় কিন্তু দেশে ছুটিতে যাওয়া হয় না তার। একদিকে অবৈধ অন্যদিকে চলে কষ্টের জীবন। অবৈধ হওয়াতে মাসিক কোনো বেতন না পাওয়ায় দৈনিক চুক্তিতে মাঝে মাঝে কাজ করতে হয় সাইফুল ইসলামকে। গত তিন চার বছর ধরে মালদ্বীপে তার বৈধ ভিসা না থাকায় লুকিয়ে কাজ করতে হয় এই প্রবাসীকে। তবে গত ছয় মাস আগে হঠাৎ অসুস্থ হলে কুলুধুফুশী আইল্যান্ডের হাসপাতলে ভর্তি করানো হয় তাকে। হাসপাতালে তার প্রাথমিক চিকিৎসা হয় এবং তার পেটের সমস্যা থাকাতে, চিকিৎসক এর পরামর্শ অনুযায়ী পেটের অপারেশন করা হয় কিন্তু পেটের সমস্যা সমাধান না হওয়াতে কুলুধুফুশী আইল্যান্ডের চিকিৎসক তাকে দ্বীপরাষ্ট্রের রাজধানী মালের আইজিএম হাসপাতালে পাঠান। মালদ্বীপের সরকারি হাসপাতালের চিকিৎসক সমস্ত ট্রিটমেন্ট শেষে বলা হয় তার পেটের সমস্যা ক্যান্সারে পরিণত হয়েছে। অসহায় সাইফুল ইসলামকে বাংলাদেশি বেশ কয়েকজনে সহযোগিতা করে যাচ্ছেন বলে জানিয়েছেন নজরুল ইসলাম নামে এক প্রবাসী।
এদিকে উন্নত চিকিৎসার উদ্দেশ্যে দেশে যাওয়ার জন্য গত মাসে US-Bangla বিমানের টিকিটও নেওয়ার চেষ্টায় ছিলেন সাইফুল ইসলাম। পাসপোর্ট ও ভিসা না থাকার কারণে সেই চেষ্টাও ব্যর্থ হয়। টিকিট আর পাসপোর্ট নিয়ে যখন জটিলতায় ভুগছেন তখন তার পাশে সাহায্যের হাত বাড়ান বিশিষ্ট ব্যবসায়িক Dhaka Traders-এর ম্যানেজিং ডিরেক্টর বাবুল হোসেন এবং FourL কোম্পানির ম্যনেজিং ডিরেক্টর হাদিউল ইসলাম। এই দুই বিশিষ্ট ব্যক্তির অর্থনৈতিক ও সার্বিক প্রচেষ্টায় সাইফুল ইসলামের মালদ্বীপের ইমিগ্রেশনসহ, টিকিট এবং মালদ্বীপস্থ বাংলাদেশ দূতাবাসের সাহায্যে দ্রুত ট্রাভেলিং পাসপোর্ট এর কাজ সম্পন্ন হয়।
উল্লেখ্য, বর্তমানে সাইফুল ইসলাম চিকিৎসাধীন অবস্থায় মালদ্বীপের আইজিএম হাসপাতালে আছেন। মঙ্গলবার US-Bangla এয়ারলাইনসের ফ্লাইটে উন্নত চিকিৎসার উদ্দেশ্যে মালদ্বীপ ছেড়ে যাবেন তিনি।
সম্পাদক : সাইফুল আলম, প্রকাশক : সালমা ইসলাম
প্রকাশক কর্তৃক ক-২৪৪ প্রগতি সরণি, কুড়িল (বিশ্বরোড), বারিধারা, ঢাকা-১২২৯ থেকে প্রকাশিত এবং যমুনা প্রিন্টিং এন্ড পাবলিশিং লিঃ থেকে মুদ্রিত।
পিএবিএক্স : ৯৮২৪০৫৪-৬১, রিপোর্টিং : ৯৮২৩০৭৩, বিজ্ঞাপন : ৯৮২৪০৬২, ফ্যাক্স : ৯৮২৪০৬৩, সার্কুলেশন : ৯৮২৪০৭২। ফ্যাক্স : ৯৮২৪০৬৬
E-mail: jugantor.mail@gmail.com
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
অসুস্থ মালদ্বীপ প্রবাসীর পাশে দাঁড়াল বাংলাদেশি
পরিবারের সুখের আশায় ২০১৬ সালে মালদ্বীপে আসেন সাইফুল ইসলাম। মালদ্বীপে এসে কাজে যোগ দেন দ্বীপ রাষ্ট্রের কুলুধুফুশী আইল্যান্ডের একটি বিল্ডিং কনস্ট্রাকশন কোম্পানিতে।
মালদ্বীপে আসার তিন বছর অতিবাহিত হলে প্রথমবারের মতো দেশে যান সাইফুল ইসলাম। তিনি কিশোরগঞ্জ জেলার নিকলি উপজেলার শাহাজানপুর গ্রামের পাশুমিয়ার তৃতীয় পুত্র। তার পরিবারে স্ত্রী ও এক কন্যাসন্তান রয়েছে। আর্থিক অসচ্ছলতার কারণে কিছুদিন ছুটি কাটিয়ে আবারও কর্মস্থলে ফিরেন। তবে ২০২০ সালে করোনাকালীন অবস্থায় হুট করে সাইফুল ইসলাম যে কোম্পানিতে কাজ করতেন সেটি বন্ধ হয়ে যায়। এতে তার জীবনযাত্রা খুব কষ্টের মধ্যে পড়ে যায়।
এভাবে বছরখানেক কেটে যায় কিন্তু দেশে ছুটিতে যাওয়া হয় না তার। একদিকে অবৈধ অন্যদিকে চলে কষ্টের জীবন। অবৈধ হওয়াতে মাসিক কোনো বেতন না পাওয়ায় দৈনিক চুক্তিতে মাঝে মাঝে কাজ করতে হয় সাইফুল ইসলামকে। গত তিন চার বছর ধরে মালদ্বীপে তার বৈধ ভিসা না থাকায় লুকিয়ে কাজ করতে হয় এই প্রবাসীকে। তবে গত ছয় মাস আগে হঠাৎ অসুস্থ হলে কুলুধুফুশী আইল্যান্ডের হাসপাতলে ভর্তি করানো হয় তাকে। হাসপাতালে তার প্রাথমিক চিকিৎসা হয় এবং তার পেটের সমস্যা থাকাতে, চিকিৎসক এর পরামর্শ অনুযায়ী পেটের অপারেশন করা হয় কিন্তু পেটের সমস্যা সমাধান না হওয়াতে কুলুধুফুশী আইল্যান্ডের চিকিৎসক তাকে দ্বীপরাষ্ট্রের রাজধানী মালের আইজিএম হাসপাতালে পাঠান। মালদ্বীপের সরকারি হাসপাতালের চিকিৎসক সমস্ত ট্রিটমেন্ট শেষে বলা হয় তার পেটের সমস্যা ক্যান্সারে পরিণত হয়েছে। অসহায় সাইফুল ইসলামকে বাংলাদেশি বেশ কয়েকজনে সহযোগিতা করে যাচ্ছেন বলে জানিয়েছেন নজরুল ইসলাম নামে এক প্রবাসী।
এদিকে উন্নত চিকিৎসার উদ্দেশ্যে দেশে যাওয়ার জন্য গত মাসে US-Bangla বিমানের টিকিটও নেওয়ার চেষ্টায় ছিলেন সাইফুল ইসলাম। পাসপোর্ট ও ভিসা না থাকার কারণে সেই চেষ্টাও ব্যর্থ হয়। টিকিট আর পাসপোর্ট নিয়ে যখন জটিলতায় ভুগছেন তখন তার পাশে সাহায্যের হাত বাড়ান বিশিষ্ট ব্যবসায়িক Dhaka Traders-এর ম্যানেজিং ডিরেক্টর বাবুল হোসেন এবং FourL কোম্পানির ম্যনেজিং ডিরেক্টর হাদিউল ইসলাম। এই দুই বিশিষ্ট ব্যক্তির অর্থনৈতিক ও সার্বিক প্রচেষ্টায় সাইফুল ইসলামের মালদ্বীপের ইমিগ্রেশনসহ, টিকিট এবং মালদ্বীপস্থ বাংলাদেশ দূতাবাসের সাহায্যে দ্রুত ট্রাভেলিং পাসপোর্ট এর কাজ সম্পন্ন হয়।
উল্লেখ্য, বর্তমানে সাইফুল ইসলাম চিকিৎসাধীন অবস্থায় মালদ্বীপের আইজিএম হাসপাতালে আছেন। মঙ্গলবার US-Bangla এয়ারলাইনসের ফ্লাইটে উন্নত চিকিৎসার উদ্দেশ্যে মালদ্বীপ ছেড়ে যাবেন তিনি।