লন্ডন শহিদ মিনারে ভালোবাসায় সিক্ত গাফফার চৌধুরী
মুহাম্মদ শাহেদ রাহমান, লন্ডন থেকে
২১ মে ২০২২, ২৩:৪৩:০২ | অনলাইন সংস্করণ
পূর্ব লন্ডনের আলতাব আলী পার্কের শহিদ মিনারে যুক্তরাজ্য প্রবাসী বাঙালিদের শ্রদ্ধা ও ভালোবাসায় সিক্ত হয়েছেন একুশের গানের রচয়িতা, কিংবদন্তি সাংবাদিক আবদুল গাফ্ফার চৌধুরী।
২০ মে শুক্রবার বাদ জুমা পূর্ব লন্ডনের ব্রিকলেন জামে মসজিদে স্থানীয় সময় বেলা ১টা ৩০ মিনিটে জানাজা শেষে বর্ষীয়ান এই সাংবাদিকের মরদেহ শহিদ মিনারে নিয়ে যাওয়া হয় সর্বস্তরের প্রবাসী বাঙালি জনগণের শেষ শ্রদ্ধা ও ভালোবাসা জানাতে।
জানাজা শেষে আবদুল গাফ্ফার চৌধুরীর ছেলে অনুপম চৌধুরী সমবেত মুসল্লিদের কাছে তার বাবার আত্মার মাগফিরাতের জন্য দোয়া কামনা করেন।
শজিদ মিনারে মরদেহ সামনে নিয়ে প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করছেন হাইকমিশনার। বাংলাদেশের জাতীয় পতাকায় আচ্ছাদিত মরদেহে পুস্পস্তবক অর্পণ করে রাষ্ট্রের পক্ষে সর্বপ্রথম শ্রদ্ধা জানান যুক্তরাজ্যে নিযুক্ত বাংলাদেশের হাইকমিশনার সাইদা মুনা তাসনিম।
এরপর মুক্তিযোদ্ধাদের একটি গ্রুপ আনুষ্ঠানিক স্যালুট জানায় মুক্তিযুদ্ধের এই শীর্ষ কলম সৈনিককে। এ সময় একে একে যুক্তরাজ্য আওয়ামী লীগ, একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটি, জাসদ, সিপিবি, উদীচী শিল্পীগোষ্ঠীসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক, সাংস্কৃতিক, সামাজিক ও কমিউনিটি সংগঠনের নেতাসহ শ্রদ্ধা জানান তাদের প্রিয় গাফ্ফার চৌধুরীর কফিনে।
মুক্তিযুদ্ধের প্রবীণ সংগঠক, যুক্তরাজ্য আওয়ামী লীগের সভাপতি সুলতান শরীফ অসুস্থ শরীর নিয়েও পুরো সময় দাঁড়িয়ে ছিলেন গাফ্ফার চৌধুরীর পাশে। তিনি বলেন, সংকট সমস্যায় পরামর্শ ও আশার বাণী শোনার জায়গাটি শেষ হয়ে গেলো। সাম্প্রদায়িক, মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বিরোধী শক্তি যখন মাথাচাড়া দেয়, তখন যে ব্যক্তিটি লেখা দিয়ে সতর্কবাণী উচ্চারণের মাধ্যমে হুঙ্কার দিতেন তিনি ছিলেন গাফ্ফার চৌধুরী, আমাদের ভরসা ও নির্ভরতার জায়গা।
যুক্তরাজ্য আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ সাজিদুর রহমান ফারুক বলেন, কিংবদন্তি সাংবাদিক আবদুল গাফফার চৌধুরীর মৃত্যুতে দেশ ও জাতি হারালো তার এক শ্রেষ্ঠ সন্তানকে। ব্রিটিশ-বাংলাদেশি কমিউনিটি হারালো তাদের বাতিঘর ও অভিভাবককে।
উল্লেখ্য, বরণ্যে সাংবাদিক আবদুল গাফফার চৌধুরী গত ১৯ মে বৃহস্পতিবার যুক্তরাজ্যের বার্নেট হসপিটালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। আগামী মঙ্গল বা বুধবার হয়তো গাফ্ফার চৌধুরীর মরদেহ বহনকারী বিমান বাংলাদেশের উদ্দেশে লন্ডন ছাড়তে পারে।
সম্পাদক : সাইফুল আলম, প্রকাশক : সালমা ইসলাম
প্রকাশক কর্তৃক ক-২৪৪ প্রগতি সরণি, কুড়িল (বিশ্বরোড), বারিধারা, ঢাকা-১২২৯ থেকে প্রকাশিত এবং যমুনা প্রিন্টিং এন্ড পাবলিশিং লিঃ থেকে মুদ্রিত।
পিএবিএক্স : ৯৮২৪০৫৪-৬১, রিপোর্টিং : ৯৮২৩০৭৩, বিজ্ঞাপন : ৯৮২৪০৬২, ফ্যাক্স : ৯৮২৪০৬৩, সার্কুলেশন : ৯৮২৪০৭২। ফ্যাক্স : ৯৮২৪০৬৬
E-mail: jugantor.mail@gmail.com
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
লন্ডন শহিদ মিনারে ভালোবাসায় সিক্ত গাফফার চৌধুরী
পূর্ব লন্ডনের আলতাব আলী পার্কের শহিদ মিনারে যুক্তরাজ্য প্রবাসী বাঙালিদের শ্রদ্ধা ও ভালোবাসায় সিক্ত হয়েছেন একুশের গানের রচয়িতা, কিংবদন্তি সাংবাদিক আবদুল গাফ্ফার চৌধুরী।
২০ মে শুক্রবার বাদ জুমা পূর্ব লন্ডনের ব্রিকলেন জামে মসজিদে স্থানীয় সময় বেলা ১টা ৩০ মিনিটে জানাজা শেষে বর্ষীয়ান এই সাংবাদিকের মরদেহ শহিদ মিনারে নিয়ে যাওয়া হয় সর্বস্তরের প্রবাসী বাঙালি জনগণের শেষ শ্রদ্ধা ও ভালোবাসা জানাতে।
জানাজা শেষে আবদুল গাফ্ফার চৌধুরীর ছেলে অনুপম চৌধুরী সমবেত মুসল্লিদের কাছে তার বাবার আত্মার মাগফিরাতের জন্য দোয়া কামনা করেন।
শজিদ মিনারে মরদেহ সামনে নিয়ে প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করছেন হাইকমিশনার। বাংলাদেশের জাতীয় পতাকায় আচ্ছাদিত মরদেহে পুস্পস্তবক অর্পণ করে রাষ্ট্রের পক্ষে সর্বপ্রথম শ্রদ্ধা জানান যুক্তরাজ্যে নিযুক্ত বাংলাদেশের হাইকমিশনার সাইদা মুনা তাসনিম।
এরপর মুক্তিযোদ্ধাদের একটি গ্রুপ আনুষ্ঠানিক স্যালুট জানায় মুক্তিযুদ্ধের এই শীর্ষ কলম সৈনিককে। এ সময় একে একে যুক্তরাজ্য আওয়ামী লীগ, একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটি, জাসদ, সিপিবি, উদীচী শিল্পীগোষ্ঠীসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক, সাংস্কৃতিক, সামাজিক ও কমিউনিটি সংগঠনের নেতাসহ শ্রদ্ধা জানান তাদের প্রিয় গাফ্ফার চৌধুরীর কফিনে।
মুক্তিযুদ্ধের প্রবীণ সংগঠক, যুক্তরাজ্য আওয়ামী লীগের সভাপতি সুলতান শরীফ অসুস্থ শরীর নিয়েও পুরো সময় দাঁড়িয়ে ছিলেন গাফ্ফার চৌধুরীর পাশে। তিনি বলেন, সংকট সমস্যায় পরামর্শ ও আশার বাণী শোনার জায়গাটি শেষ হয়ে গেলো। সাম্প্রদায়িক, মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বিরোধী শক্তি যখন মাথাচাড়া দেয়, তখন যে ব্যক্তিটি লেখা দিয়ে সতর্কবাণী উচ্চারণের মাধ্যমে হুঙ্কার দিতেন তিনি ছিলেন গাফ্ফার চৌধুরী, আমাদের ভরসা ও নির্ভরতার জায়গা।
যুক্তরাজ্য আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ সাজিদুর রহমান ফারুক বলেন, কিংবদন্তি সাংবাদিক আবদুল গাফফার চৌধুরীর মৃত্যুতে দেশ ও জাতি হারালো তার এক শ্রেষ্ঠ সন্তানকে। ব্রিটিশ-বাংলাদেশি কমিউনিটি হারালো তাদের বাতিঘর ও অভিভাবককে।
উল্লেখ্য, বরণ্যে সাংবাদিক আবদুল গাফফার চৌধুরী গত ১৯ মে বৃহস্পতিবার যুক্তরাজ্যের বার্নেট হসপিটালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। আগামী মঙ্গল বা বুধবার হয়তো গাফ্ফার চৌধুরীর মরদেহ বহনকারী বিমান বাংলাদেশের উদ্দেশে লন্ডন ছাড়তে পারে।