`অবৈধ মজুতদারদের ছাড় নয়’
বাজারে কোনো পণ্যে সরবরাহ কমামাত্রই কৃত্রিম সংকট তৈরি করতে ব্যস্ত থাকে সিন্ডিকেট ব্যবসায়ীরা। এসব অসাধু ব্যবসায়ীরা অবৈধ মজুদ করে নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের দাম বাড়িয়ে দেয়। ব্যবসায়ীদের অতিমুনাফার লোভে পিষ্ট হচ্ছেন সাধারণ ক্রেতারা। ভোজ্যতেলের দাম অস্বাভাবিক বৃদ্ধির সময়ে মৌসুমি ফল তরমুজ নিয়েও একই ঘটনা ঘটেছে। ক্যাব বলছে, ব্যবসায়ীরা শতকরা ৪০%-এরও বেশি লাভ করেন।
বাংলাদেশে এই মুনাফালোভীদের দৌরাত্ম্য সবচেয়ে বেশি বাড়ে রোজার মাসে। সরবরাহ ঠিক থাকার পরেও ব্যবসায়ীরা সিন্ডিকেটকরে দাম বাড়িয়ে দিয়ে মুনাফা লুটে। আর এর জন্য তারা কখনো সরবরাহ ব্যবস্থাকে বাধাগ্রস্ত করে আবার কখনো পণ্য মজুত করে বাজারে কৃত্রিম সংকট তৈরি করে। মুনাফালোভীরা শুধু রমজান মাস নয়, সবসময়ই অজুহাত খোঁজেন। যেমন ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানি বন্ধের খবর এলেই বাজারে পেয়াজের দাম কেজি প্রতি ১০ টাকা বেড়ে যায়। অথচ দেশে পর্যাপ্ত পেঁয়াজের মজুত আছে। দেশে গমের মজুতে এখনো ঘাটতি না পড়লেও বাজারে দাম বাড়ছে। চালেরও একই অবস্থা।
চার দিনের রাষ্ট্রীয় সফরে স্পেনে অবস্থান করছেন গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি এমপি। স্পেন সফরকালে সাংবাদিকদের করা প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, অসাধু ব্যবসায়ীরা সব সময় সুযোগের অপেক্ষায় থাকে, সেক্ষেত্রে ভোক্তা অধিকারের কর্মকর্তারা তাদের গুদামে অভিযান পরিচালনা করে, জরিমানা করে, জেল দেয় তবে সরবরাহ ঠিক থাকলে এ সুযোগটা কেউ নিতে পারে না। সরবরাহ কম হলেই অসাধু ব্যবসায়ীরা সুযোগ নেয়; তবে এ ব্যাপারে আমরা সতর্ক আছি, কেউ যদি অবৈধ মজুত করে তাদের বিরুদ্ধে ভোক্তা অধিকারের মাধ্যমে শাস্তি ব্যবস্থা করা হবে।
উল্লেখ্য, মন্ত্রীর সফরসঙ্গী হিসেবে রয়েছেন দুইজন ব্যবসায়ী এবং একজন সরকারি কর্মকর্তা। ব্যবসায়ীরা হলেন আক্তার গ্রুপের চেয়ারম্যান ডক্টর কেএম আক্তারুজ্জামান (সিআইপি) এবং এনভয় গ্রুপের চেয়ারম্যান কুতুব উদ্দিন আহমেদ। সরকারি কর্মকর্তা হলেন বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের উপসচিব মোহাম্মদ মোস্তফা জামাল হায়দার।
সম্পাদক : সাইফুল আলম, প্রকাশক : সালমা ইসলাম
প্রকাশক কর্তৃক ক-২৪৪ প্রগতি সরণি, কুড়িল (বিশ্বরোড), বারিধারা, ঢাকা-১২২৯ থেকে প্রকাশিত এবং যমুনা প্রিন্টিং এন্ড পাবলিশিং লিঃ থেকে মুদ্রিত।
পিএবিএক্স : ৯৮২৪০৫৪-৬১, রিপোর্টিং : ৯৮২৩০৭৩, বিজ্ঞাপন : ৯৮২৪০৬২, ফ্যাক্স : ৯৮২৪০৬৩, সার্কুলেশন : ৯৮২৪০৭২। ফ্যাক্স : ৯৮২৪০৬৬
E-mail: jugantor.mail@gmail.com
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
`অবৈধ মজুতদারদের ছাড় নয়’
বাজারে কোনো পণ্যে সরবরাহ কমামাত্রই কৃত্রিম সংকট তৈরি করতে ব্যস্ত থাকে সিন্ডিকেট ব্যবসায়ীরা। এসব অসাধু ব্যবসায়ীরা অবৈধ মজুদ করে নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের দাম বাড়িয়ে দেয়। ব্যবসায়ীদের অতিমুনাফার লোভে পিষ্ট হচ্ছেন সাধারণ ক্রেতারা। ভোজ্যতেলের দাম অস্বাভাবিক বৃদ্ধির সময়ে মৌসুমি ফল তরমুজ নিয়েও একই ঘটনা ঘটেছে। ক্যাব বলছে, ব্যবসায়ীরা শতকরা ৪০%-এরও বেশি লাভ করেন।
বাংলাদেশে এই মুনাফালোভীদের দৌরাত্ম্য সবচেয়ে বেশি বাড়ে রোজার মাসে। সরবরাহ ঠিক থাকার পরেও ব্যবসায়ীরা সিন্ডিকেটকরে দাম বাড়িয়ে দিয়ে মুনাফা লুটে। আর এর জন্য তারা কখনো সরবরাহ ব্যবস্থাকে বাধাগ্রস্ত করে আবার কখনো পণ্য মজুত করে বাজারে কৃত্রিম সংকট তৈরি করে। মুনাফালোভীরা শুধু রমজান মাস নয়, সবসময়ই অজুহাত খোঁজেন। যেমন ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানি বন্ধের খবর এলেই বাজারে পেয়াজের দাম কেজি প্রতি ১০ টাকা বেড়ে যায়। অথচ দেশে পর্যাপ্ত পেঁয়াজের মজুত আছে। দেশে গমের মজুতে এখনো ঘাটতি না পড়লেও বাজারে দাম বাড়ছে। চালেরও একই অবস্থা।
চার দিনের রাষ্ট্রীয় সফরে স্পেনে অবস্থান করছেন গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি এমপি। স্পেন সফরকালে সাংবাদিকদের করা প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, অসাধু ব্যবসায়ীরা সব সময় সুযোগের অপেক্ষায় থাকে, সেক্ষেত্রে ভোক্তা অধিকারের কর্মকর্তারা তাদের গুদামে অভিযান পরিচালনা করে, জরিমানা করে, জেল দেয় তবে সরবরাহ ঠিক থাকলে এ সুযোগটা কেউ নিতে পারে না। সরবরাহ কম হলেই অসাধু ব্যবসায়ীরা সুযোগ নেয়; তবে এ ব্যাপারে আমরা সতর্ক আছি, কেউ যদি অবৈধ মজুত করে তাদের বিরুদ্ধে ভোক্তা অধিকারের মাধ্যমে শাস্তি ব্যবস্থা করা হবে।
উল্লেখ্য, মন্ত্রীর সফরসঙ্গী হিসেবে রয়েছেন দুইজন ব্যবসায়ী এবং একজন সরকারি কর্মকর্তা। ব্যবসায়ীরা হলেন আক্তার গ্রুপের চেয়ারম্যান ডক্টর কেএম আক্তারুজ্জামান (সিআইপি) এবং এনভয় গ্রুপের চেয়ারম্যান কুতুব উদ্দিন আহমেদ। সরকারি কর্মকর্তা হলেন বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের উপসচিব মোহাম্মদ মোস্তফা জামাল হায়দার।