ইতালিতে প্রবাসী সাংবাদিক পেল ৬ লাখ টাকা ক্ষতিপূরণ

 জমির হোসেন, ইতালি থেকে  
০১ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ০১:৪৫ এএম  |  অনলাইন সংস্করণ

মাল্টায় আশ্রয় প্রত্যাখান করার পরে ইতালিতে প্রবাসী সাংবাদিক সজীব হোসাইনকে পাঁচ হাজার ইউরো তথা বাংলাদেশি মুদ্রায় ৬ লাখ টাকার বেশি ক্ষতিপূরণ দিল মাল্টা সরকার।

৩০ আগষ্ট অ্যাডিডাস ফাউন্ডেশনের মাধ্যমে একাউন্টে অর্থ পায়। প্রবাসী সাংবাদিক সজীব নিজেই এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

জানা গেছে, নির্যাতিত সাংবাদিক সজীব হোসাইনের আশ্রয়ের আবেদন প্রত্যাখ্যান করায় ক্ষতিপূরণ হিসেবে ৫ হাজার ইউরো প্রদান করেছে মাল্টা সরকার। গত ২০ ডিসেম্বর এ নির্দেশ দিয়েছেন ইউরোপীয় মানবাধিকার আদালত (ইসিএইচআর)।

সজীব হোসাইন দুবাই মিশন ঘুরে লিভিয়া হয়ে ২০১৯ সালের ১৭ সেপ্টেম্বর মাল্টায় এসে পৌঁছান। সেখানে সে আশ্রয়ের আবেদন করেন সাংবাদিক হিসেবে। ওই সময় তার আবেদন গ্রহণ না করে মাল্টা ডিন্টেশন সেন্টারে ২২ মাস আটকে রাখে তার সঙ্গে থাকা মরক্কো, মিশর, বাংলাদেশিসহ বিভিন্ন দেশের অভিবাসীকে নিজ নিজ দেশে পাঠিয়ে দেওয়া হয়।

এদিকে ডিন্টেশন সেন্টারে প্রায় ১৯০জন বাংলাদেশি নাগরিকের মধ্যে ২০২১ সালের ১৯ আগষ্ট বৃহস্পতিবার সকালে এনজিও প্রতিষ্ঠান অ্যাডিডাস ফাউন্ডেশনের সহযোগিতায় ইউরোপীয় মানবাধিকার আদালত থেকে ডক্টর অ্যালেক্সিস গাল্যান্ড ও ডক্টর ক্লেয়ার ডেলমের সর্বোচ্চ চেষ্টায় সুরক্ষা পায় সে।

ইউরোপিয়ান মানবাধিকার আদালতে সজীব হোসাইনের প্রতিনিধিত্ব করেন ডক্টর এন.ফলজন আর সরকারের পক্ষে প্রতিনিধিত্ব করেছেন ড. সি.সোলার ও ড. জে.ভেলা।

ইসিএইচআরের রায়ে বলা হয়, যথাযথ বিচারিক পর্যালোচনার মধ্য দিয়ে আগামী ৩ মাসের মধ্যে তাকে ৫ হাজার ইউরো ক্ষতি পূরণ প্রদানে মাল্টা সরকারকে নির্দেশ দেন।

এ প্রসঙ্গে সজীব বলেন, আমি প্রথমে ধন্যবাদ জানাচ্ছি অ্যাডিডাস ফাউন্ডেশনের সকল আইনজীবীদের।। কারণ তারা যদি আমাকে আইনী সহযোগিতা না করত তাহলে অন্যদের মত আমাকেও আজ বাংলাদেশে ফেরত পাঠানো হত। তাদের ঋণ আমি কোন দিন শোধ করতে পারব না। আজকের এই খুশির দিনে আমার পরিবারের পরে সবচেয়ে বেশি ধন্যবাদ জানাচ্ছি আমার মামাদের। তারা প্রতি মুহূর্ত আমাকে সহযোগিতা করেছেন।

[প্রিয় পাঠক, যুগান্তর অনলাইনে পরবাস বিভাগে আপনিও লিখতে পারেন। প্রবাসে আপনার কমিউনিটির নানান খবর, ভ্রমণ, আড্ডা, গল্প, স্মৃতিচারণসহ যে কোনো বিষয়ে লিখে পাঠাতে পারেন। সংশ্লিষ্ট বিষয়ে ছবিসহ মেইল করুন jugantorporobash@gmail.com এই ঠিকানায়। লেখা আপনার নামে প্রকাশ করা হবে।]
যুগান্তর ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন