কানাডায় নৌকাডুবিতে প্রাণ গেল বাংলাদেশি পাইলট ও ব্যবসায়ীর

যুগান্তর প্রতিবেদন
প্রকাশ: ০৯ জুন ২০২৫, ০২:০৮ পিএম
-6846969b4f53c.jpg)
পাইলট সাইফুজ্জামান গুড্ডু (বায়ে) ও বিজিএমইএর সাবেক জ্যেষ্ঠ সহসভাপতি আব্দুল্লা হিল রাকিব। ছবি : সংগৃহীত
কানাডার টরন্টোর কাওয়ার্থা লেকে এক মর্মান্তিক নৌ দুর্ঘটনায় দুই বাংলাদেশি মারা গেছেন। তাদের একজন বিজিএমইএর সাবেক জ্যেষ্ঠ সহসভাপতি আব্দুল্লাহ হিল রাকিব এবং অন্যজন তার বন্ধু বাংলাদেশ বিমানের বোয়িং ৭৮৭ এর ক্যাপ্টেন সাইফুজ জামান গুড্ডু।
স্থানীয় সময় রোববার বিকেলে কানাডার অন্টারিও প্রদেশের কাওয়ার্থা লেক অঞ্চলের স্টারজন লেকে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
সোমবার (৯ জুন) সকালে ডেনিম এক্সপার্টের অতিরিক্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও বিজিএমইএ’র সাবেক পরিচালক মহিউদ্দিন রুবেল মৃত্যুর বিষয়টি গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন।
জানা গেছে, স্থানীয় সময় শনিবার (৭ জুন) ক্যাপ্টেন সাইফুজ্জামান গুড্ডু স্ত্রী ও ছোট মেয়েকে সঙ্গে নিয়ে ঢাকা থেকে টরন্টো পৌঁছান। পরদিন রোববার তারা টরন্টো থেকে প্রায় ১৩০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত অন্টারিও প্রদেশের লিনজি শহরে যান এবং একটি কটেজে উঠেন। দুপুরের দিকে গুড্ডু, তার বন্ধু আব্দুল্লাহ হিল রাকিব ও রাকিবের ছেলে একটি ছোট নৌকায় করে হ্রদে ঘুরতে নামেন। ওই সময় হ্রদের তীরে গুড্ডুর স্ত্রী ও মেয়ে মোবাইলে ভিডিও ধারণ করছিলেন। হঠাৎ নৌকাটি উল্টে গেলে রাকিবের ছেলে সাঁতরে তীরে ফিরে আসতে পারলেও গুড্ডু ও রাকিব পানিতে ডুবে যান। পরে উদ্ধারকারীরা তাদের মৃতদেহ উদ্ধার করে।
অন্টারিও প্রাদেশিক পুলিশ জানিয়েছে, রোববার বিকেলে কাওয়ার্থা লেইকস অঞ্চলের একটি হ্রদে নৌকা উল্টে যাওয়ার ঘটনায় দুজন নিহত হয়েছেন। নৌকায় তিনজন পুরুষ ছিলেন, যাদের মধ্যে একজন সাঁতরে তীরে উঠতে পেরেছেন। তবে নৌকায় থাকা কেউই লাইফ-জ্যাকেট পরা ছিলেন না।
কানাডার সংবাদমাধ্যম কাওয়ার্থানাউ ডটকমের খবরে বলা হয়েছে, বিকেল ৩টার কিছু পর তিনজন যাত্রী নিয়ে একটি ক্যানো নৌকা উল্টে যায়। তাদের মধ্যে একজন সাঁতরে তীরে ফিরতে সক্ষম হলেও আব্দুল্লাহ হিল রাকিব ও সাইফুজ জামান পানিতে ডুবে মারা যান।
মৃত দুজন কানাডাপ্রবাসী বাংলাদেশির বাল্যবন্ধু ছিলেন অভিনেতা টনি ডায়েস । তিনি তার ফেসবুকে দুজনের সঙ্গে তোলা নিজের ছবি জুড়ে দিয়ে লিখেছেন, ‘এখনো এটা বিশ্বাস করতে পারছি না। আজ সন্ধ্যায় টরন্টোর কাওয়ার্থা লেকে এক মর্মান্তিক দুর্ঘটনায় আমার দুই বাল্যবন্ধু আব্দুল্লাহ হিল রাকিব ও সাইফুজ জামানকে হারিয়েছি। গত বছর টরেন্টোতে আমরা তিনজন একসঙ্গে ছিলাম। অনেক স্মৃতি...অনেক হাসি...। দয়া করে তাদের আপনার প্রার্থনায় রাখুন। শান্তিতে ঘুমাও ভাইয়েরা আমার।’