JUGANTOR RSS feed of latest topics https://www.jugantor.com JUGANTOR https://www.jugantor.com/web-assets/img/jug-logo.png https://www.jugantor.com Copyright 2022 https://www.jugantor.com Tue, 28 Jun 2022, 00:00:00 <![CDATA[রোম্যান্টিক দৃশ্য থাকলে আমি ভয়ে থাকি: রাজের সঙ্গে অভিনয় প্রসঙ্গে মিম]]> https://www.jugantor.com/entertainment/567216/রোম্যান্টিক-দৃশ্য-থাকলে-আমি-ভয়ে-থাকি-রাজের-সঙ্গে-অভিনয়-প্রসঙ্গে-মিম 567216 2022-06-28T02:50:02+06:00 যুগান্তর ডেস্ক রোম্যান্টিক দৃশ্য থাকলে আমি ভয়ে থাকি: রাজের সঙ্গে অভিনয় প্রসঙ্গে মিম

রোম্যান্টিক দৃশ্য থাকলে আমি ভয়ে থাকি: রাজের সঙ্গে অভিনয় প্রসঙ্গে মিম

বিনোদন

যুগান্তর ডেস্ক

জনপ্রিয় চিত্রনায়িকা বিদ্যা সিনহা মিম ও তরুণ অভিনেতা শরিফুল রাজ ‘পরাণ’ সিনেমায় প্রথমবারের মতো জুটিবদ্ধ হয়েছেন। 

‘পরাণ’ সিনেমাটি নির্মাণ করেছেন রায়হান রাফি। ২০১৯ সালেই সিনেমাটির শুটিং সম্পন্ন হলেও করোনার কারণে সিনেমার মুক্তি পিছিয়ে যায়।

অবশেষে আসন্ন কোরবানির ঈদে মুক্তি পাচ্ছে সিনেমাটি। সিনেমাটিতে মিম ও রাজের সঙ্গে আরেকটি প্রধান চরিত্রে অভিনয় করেছেন ইয়াশ রোহান।

মুক্তি উপলক্ষে প্রচারণা শুরু করেছেন সিনেমাটির সংশ্লিষ্টরা। এরই অংশ হিসেবে রোববার (২৬ জুন) ফেসবুক লাইভে আসেন মিম, রাজ ও নির্মাতা রাফি। তারা ‘পরাণ’-এ কাজের অভিজ্ঞতা ও আনুষাঙ্গিক অনেক কিছু ভক্তদের সঙ্গে শেয়ার করেছেন।

ফেসবুক আড্ডার এক ফাঁকে মিম ও রাজ দুজনের কাছেই রাফি জানতে চান, শুটিং করতে গিয়ে তাদের একে-অপরের কোন বিষয়গুলো বিরক্তিকর লেগেছে? 

রাজ জানান, মিমের অতিরিক্ত কথা বলা তার কাছে বিরক্তিকর লেগেছে। মিম কথা বলা শুরু করলে, বলতেই থাকেন।

অন্যদিকে মিম বলেন, রাজ পুরো অস্থির। রোম্যান্টিক দৃশ্যে শুটিং করার সময় আমি রীতিমতো ভয়ে থাকতাম। মানুষ রোম্যান্টিক দৃশ্যে অভিনয়ের সময় আরামে থাকে, আমি থাকতাম ভয়ে। ও দুই হাত দিয়ে আমার মুখে এমনভাবে ধরত, যেন দাঁত ভেঙে যাচ্ছে! শট শেষ হওয়ার পর আমি বলতাম, রাজ, প্লিজ আমাকে একটু আস্তে ধরো।

মিম আরও বলেন, যখনই রোম্যান্টিক দৃশ্য থাকে, আমাকে ধরার দৃশ্য থাকে, আমি ভয়ে থাকি। আগে থেকেই বলে দিতাম, রাজ আমাকে একটু আস্তে ধইরো। মনে হয় আমার গাল, দাঁত সব ভেঙে যাচ্ছে!

ত্রিভুজ প্রেমের গল্পে নির্মিত হয়েছে ‘পরাণ’ সিনেমার  শুটিং হয়েছে ময়ময়নসিংহে। সিনেমাটিতে আরও অভিনয় করেছেন শিল্পী সরকার অপু, শহীদুজ্জামান সেলিম, রোজী সিদ্দিকী, লুৎফর রহমান জর্জ, রাশেদ মামুন অপু, মিলি বাশার প্রমুখ।
 

© JUGANTOR.COM
]]>
<![CDATA[হোয়াইটওয়াশড হয়ে টেস্টে ১০০ হারের স্বাদ পেল বাংলাদেশ]]> https://www.jugantor.com/sports/567215/হোয়াইটওয়াশড-হয়ে-টেস্টে-১০০-হারের-স্বাদ-পেল-বাংলাদেশ 567215 2022-06-28T02:38:11+06:00 যুগান্তর ডেস্ক হোয়াইটওয়াশড হয়ে টেস্টে ১০০ হারের স্বাদ পেল বাংলাদেশ

হোয়াইটওয়াশড হয়ে টেস্টে ১০০ হারের স্বাদ পেল বাংলাদেশ

খেলা

যুগান্তর ডেস্ক

বৃষ্টির বাগড়া না থাকলে ম্যাচের সমাপ্তি হতে পারত তৃতীয় দিনই। বৃষ্টির প্রভাবে চতুর্থ দিনও অর্ধেকটা সময় অপেক্ষায় থাকলে হলো ওয়েস্ট ইন্ডিজকে। খেলা শুরু হতেই অবশ্য সময় লাগেনি। ঘণ্টা খানেকের মধ্যেই খেলা শেষ। বাংলাদেশের পরিণতি আরেকটি বিশাল হার।এর মধ্য দিয়ে টেস্ট নিজেদের ইতিহাসের শততম হারের দেখা পেল বাংলাদেশ।

সেন্ট লুসিয়ায় সোমবার কোন রকমে ইনিংস হার এড়ালেও গল্পটা ভিন্ন হয়নি। ওয়েস্ট ইন্ডিজের কাছে ১০ উইকেটে বিধ্বস্ত হয়েছে সাকিব আল হাসানের দল। দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজেও অনুমিতভাবেই হোয়াইটওয়াশড হয়েছে।

চা-বিরতির পর ৬ উইকেটে ১৩২ রান নিয়ে নেমে ৯ ওভার ব্যাট করে নুরুল হাসান সোহানের ফিফটিতে ১৮৬ রানে থামে বাংলাদেশের ইনিংস। মাত্র ১৩ রানের লক্ষ্য ক্যারিবিয়ান দুই ওপেনার তুলে নেন ২.৫ ওভারেই।

এই নিয়ে ১৩৪ টেস্টে বাংলাদেশ পেল ১০০তম হারের দেখা। কুলীন সংস্করণে তিন অঙ্কের হারের দেখা পেলেও কেবল ১৬ জয় আর ১৮টি ড্র করতে পেরেছে লাল সবুজের প্রতিনিধিরা। টেস্ট খেলুড়ে দেশগুলোর মধ্যে ১০০টা টেস্ট হারল বাংলাদেশ সবচেয়ে কম ম্যাচ খেলে। 

আগের দিন বৃষ্টিতে ভেসে গিয়েছিল ৩৩ ওভারের বেশি। খেলা না হলে চতুর্থ দিনে গড়াতই না। চতুর্থ দিনেও প্রবল বৃষ্টির পর ভেজা মাঠ পুরো দিন ফেলে দিয়েছিল শঙ্কায়।বাংলাদেশ এদিন টিকতে পারে ৯ ওভার। ৬০ রানে অপরাজিত রয়ে যান সোহান।

১৩ রানের লক্ষ্যে নেমে ধীরে সুস্থে জেতার রান তুলে নেয় স্বাগতিকরা। ক্যাম্পবেল অপরাজিত থাকেন ১১ বলে ৯ রানে, অধিনায়ক ক্রেইগ ব্র্যাথওয়েট মাঠ ছাড়েন ৬ বলে ৪ রান করে।

© JUGANTOR.COM
]]>
<![CDATA[‘পদ্মার বুকে স্বপ্নের সেতু’ সিনেমার ফার্স্ট লুক প্রকাশ]]> https://www.jugantor.com/entertainment/567214/পদ্মার-বুকে-স্বপ্নের-সেতু-সিনেমার-ফার্স্ট-লুক-প্রকাশ 567214 2022-06-28T02:03:23+06:00 বিনোদন প্রতিবেদন ‘পদ্মার বুকে স্বপ্নের সেতু’ সিনেমার ফার্স্ট লুক প্রকাশ

‘পদ্মার বুকে স্বপ্নের সেতু’ সিনেমার ফার্স্ট লুক প্রকাশ

বিনোদন

বিনোদন প্রতিবেদন

পদ্মা সেতু নিয়ে ইতোমধ্যে তৈরি হয়েছে গান। এবার হলো সিনেমা। এটির নাম রাখা হয়েছে ‘পদ্মার বুকে স্বপ্নের সেতু’।

বড়ুয়া মনোজিত ধীমন প্রযোজিত সিনেমাটি পরিচালনা করেছেন আলী আজাদ। এতে জুটি বেঁধে অভিনয় করেছেন সাঞ্জু জন ও অলিভিয়া মাইশা। ২৩ জুন রাতে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সিনেমাটির ফার্স্ট লুক প্রকাশ করেছেন নির্মাতা প্রতিষ্ঠান বাংলা টকিজ। যেখানে অলিভিয়া মাইশা ও সাঞ্জু জনকে দেখা গেছে। তার পেছনে দাঁড়িয়ে আছে স্বপ্নের পদ্মা সেতু। নানন্দিক এ পোস্টারটি ডিজাইন করেছেন রাকিব হোসেন।

আলী আজাদ ছবির গল্প প্রসঙ্গে বলেন, এটি অফ ট্র্যাকের ছবি। পদ্মা সেতুকে নিয়ে আমার প্রত্যয় এবং অহঙ্কারের একটি গল্প বলতে চেয়েছি। আশা করি দর্শকরা নিরাশ হবেন না। অনেক চেষ্টা করেছি দর্শকদের একটি গল্পের ছবি উপহার দেব বলে।

এতে অভিনয় প্রসঙ্গে সাঞ্জু জন বলেন, এই সিনেমাতে আমি একেবারে নতুনরূপে হাজির হতে যাচ্ছি, যা দর্শকদের ভালো লাগবে। চরিত্রটি ফুটিয়ে তোলার জন্য অনেক কষ্ট করছি।

এই সিনেমার মধ্য দিয়েই বড়পর্দায় অভিষেক হচ্ছে অলিভিয়া মাইশার।  পদ্মা সেতু এলাকার বিভিন্ন লোকেশনে সিনেমাটির শুটিং শেষ হয়েছে।

প্রযোজক জানিয়েছেন, আগামী সপ্তাহ থেকে সিনেমার ট্রেলার প্রকাশ পাবে।

সিনেমার অন্যান্য চরিত্রে অভিনয় করছেন রায়হান মুজিব, হিমেল রাজ, খুকু, আনোয়ার সিরাজী, শাহিন খান, শান্তা পাল প্রমুখ।
 

© JUGANTOR.COM
]]>
<![CDATA[পেশকারের ভুলে ছাড়া পাওয়া পুলিশ কনস্টেবলকে জেলহাজতে প্রেরণ]]> https://www.jugantor.com/country-news/567213/পেশকারের-ভুলে-ছাড়া-পাওয়া-পুলিশ-কনস্টেবলকে-জেলহাজতে-প্রেরণ 567213 2022-06-28T01:59:19+06:00 বগুড়া ব্যুরো পেশকারের ভুলে ছাড়া পাওয়া পুলিশ কনস্টেবলকে জেলহাজতে প্রেরণ

পেশকারের ভুলে ছাড়া পাওয়া পুলিশ কনস্টেবলকে জেলহাজতে প্রেরণ

সারাদেশ

বগুড়া ব্যুরো

বগুড়ায় পেশকারের ভুলে জেল থেকে ছাড়া পাওয়া যৌতুক মামলার আসামি সেই পুলিশ কনস্টেবল আনোয়ার হোসেন জুয়েলকে (৩৬) জেলহাজতে প্রেরণ করা হয়েছে। তিনি সোমবার জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত-৩ এ আত্মসমর্পণ করে জামিন চেয়েছিলেন। বিচারক সঞ্চিতা ইসলাম তা নামঞ্জুর করেন।

জেল সুপার মনির আহমেদ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। এর আগে আদালত পেশকার জুয়েল হোসেনকে শোকজ করেছিলেন।

আদালত সূত্র জানায়, সিরাজগঞ্জের কামারখন্দ সার্কেল অফিসের কনস্টেবল কাম-কম্পিউটার অপারেটর আনোয়ার হোসেন জুয়েল বগুড়া শিবগঞ্জের মোকামতলা ইউনিয়নের শংকরপুর গ্রামের মৃত আনসার আলীর ছেলে। তিনি একই উপজেলার শিয়ালী মাস্টারপাড়ার মৃত ওসমান আলীর মেয়ে খাতিজা আকতারকে বিয়ে করেন।

দাম্পত্য কলহে খাতিজা আকতার স্বামী জুয়েলের বিরুদ্ধে যৌতুকের মামলা করেন। এছাড়া খাতিজার বড় বোন সেলিনা আকতার তার (জুয়েল) বিরুদ্ধে চেক জালিয়াতির মামলা করেন।

যৌতুক মামলায় বগুড়ার জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট-৩ আদালত তাকে এক বছর পাঁচ মাস সশ্রম কারাদণ্ড ও পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা করেন। জরিমানা অনাদায়ে তাকে আরও এক মাস বিনাশ্রম কারাদণ্ডাদেশ দেন।

অপরদিকে চেক জালিয়াতির মামলায় বগুড়ার প্রথম যুগ্ম জজ আদালত তাকে তিন মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড ও চার লাখ টাকা জরিমানা করেন।

এদিকে পুলিশ দুটি মামলার সাজা পরোয়ানামূলে সাজাপ্রাপ্ত আসামি পুলিশ কনস্টেবল আনোয়ার হোসেন জুয়েলকে গ্রেফতার ও গত ৯ জুন বগুড়া জেলহাজতে প্রেরণ করে। ১২ জুন প্রথম যুগ্ম জজ আদালতে হাজির হয়ে দুই লাখ টাকা জমা দিয়ে জামিন লাভ করেন।

যৌতুক মামলায় জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মির্জা শায়লা সাজাপ্রাপ্ত আসামি আনোয়ার হোসেন জুয়েলকে শ্যোন অ্যারেস্ট দেখাতে ও ১৩ জুন আদালতে হাজির করতে প্রোডাকশন ওয়ারেন্ট ইস্যু করেন।

অন্যদিকে জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত-৩ এর পেশকার জুয়েল হোসেন যৌতুক মামলার বাদী খাতিজা আকতারকে আসামি দেখিয়ে জেলে প্রোডাকশন ওয়ারেন্ট প্রেরণ করেন। এ নামে কেউ না থাকায় জেল কর্তৃপক্ষ চেক জালিয়াতির মামলায় জামিন পাওয়া পুলিশ কনস্টেবল আনোয়ার হোসেন জুয়েলকে মুক্তি দেন।

ওয়ারেন্টের আসামি জেল থেকে ছাড়া পাওয়ার বিষয়টি জানাজানি হলে ব্যাপক তোলপাড় শুরু হয়। আদালত পেশকার জুয়েল হোসেনকে শোকজ করেন।

বাদীর আইনজীবী সাজিদ ওয়াসিক বাঁধন জানান, আসামি আনোয়ার হোসেন জুয়েল সোমবার জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট-৩ আদালতে স্বেচ্ছায় আত্মসমর্পণ করে জামিন প্রার্থনা করেন। বিচারক সঞ্চিতা ইসলাম নামঞ্জুর করে তাকে জেলহাজতে প্রেরণের নির্দেশ দেন।

জেল সুপার মনির আহমেদ জানান, বিকালে আনোয়ার হোসেন জুয়েলকে জেলে পাঠানো হয়েছে।

পেশকার জুয়েল হোসেন জানান, ওই ভুলের জন্য আদালত তাকে শোকজ করেছিলেন। তিনি এর জবাবও দিয়েছেন। এরপর আদালত কোনো সিদ্ধান্ত জানাননি।

© JUGANTOR.COM
]]>
<![CDATA[আয়াকে শ্লীলতাহানি, ৯৯৯ নাম্বারে ফোন পেয়ে মাদ্রাসার অধ্যক্ষ আটক]]> https://www.jugantor.com/country-news/567212/আয়াকে-শ্লীলতাহানি-৯৯৯-নাম্বারে-ফোন-পেয়ে-মাদ্রাসার-অধ্যক্ষ-আটক 567212 2022-06-28T01:56:04+06:00 ভাণ্ডারিয়া (পিরোজপুর) প্রতিনিধি আয়াকে শ্লীলতাহানি, ৯৯৯ নাম্বারে ফোন পেয়ে মাদ্রাসার অধ্যক্ষ আটক

আয়াকে শ্লীলতাহানি, ৯৯৯ নাম্বারে ফোন পেয়ে মাদ্রাসার অধ্যক্ষ আটক

সারাদেশ

ভাণ্ডারিয়া (পিরোজপুর) প্রতিনিধি

পিরোজপুরের ভাণ্ডারিয়া উপজেলার একটি মাদ্রাসায় আয়াকে শ্লীলতাহানির অভিযোগে অধ্যক্ষ ইদ্রিস আলী সিকদারকে আটক করেছে থানা পুলিশ। ৯৯৯ নাম্বারে ফোন করার পর সোমবার দুপুরে তাকে আটক করা হয়।

ইদ্রিস আলী মঠবাড়িয়া উপজেলার ছোট শৌলা গ্রামে মৃত হাশেম আলী সিকদারের ছেলে। এ ঘটনায় ওই আয়া ভাণ্ডারিয়া থানায় লিখিত অভিযোগ দাখিল করেছেন।

ভুক্তভোগী আয়া জানান, সোমবার দুপুর সোয়া ১টার দিকে মাদ্রাসা ছুটির পরে ফাঁকা শিক্ষক মিলনায়তনে দরজা-জানালা বন্ধ করছিলেন তিনি। তখন মাদ্রাসার অধ্যক্ষ ইদ্রিস আলী সিকদার তাকে পেছন থেকে জাপটে ধরে শ্লীলতাহানির চেষ্টা চালায়। এ সময় তার (আয়ার) চিৎকারে মাদ্রাসার নৈশপ্রহরী আল আমিন খন্দকার ও পরিচ্ছন্ন কর্মী নাঈম হোসেন ঘটনাস্থলে উপস্থিত হলে অধ্যক্ষের হাত থেকে তিনি রক্ষা পান। পরে ভুক্তভোগী ওই নারী পুলিশের জরুরি সেবা ৯৯৯ নাম্বারে ফোন করলে থানা পুলিশ তাক্ষণিকভাবে অধ্যক্ষকে আটক করে থানায় নিয়ে আসে। এর আগে এলাকাবাসী অধ্যক্ষকে আটকে রাখেন।

আতরখালী ইসলামিয়া আলিম মাদ্রাসার শিক্ষক হারুন অর রশিদ, মো. শহিদুল ইসলাম, আবুল কালাম ফৌজদার, প্রতিষ্ঠাতা সদস্য মো, জাকির হোসেন, নৈশপ্রহরী মো.আল আমিন জানান, ২০২১ সালের ২৯ মার্চ ওই অধ্যক্ষ এ মাদ্রাসায় যোগদান করেন। তার বিরুদ্ধে বহু অভিযোগ রয়েছে। তার বাবা মৃত হাসেম আলী সিকদার স্বাধীনতাবিরোধী চিহ্নিত রাজাকার ছিলেন।

ভাণ্ডারিয়া থানার উপ-পরিদর্শক মো. হুমায়ুন কবির জানান, সোমবার ৯৯৯ নাম্বারের মাধ্যমে সংবাদ পেয়ে ঘটনাস্থল থেকে অভিযুক্ত অধ্যক্ষকে আটক করা হয়। এছাড়া ভিকটিমকে উদ্ধার করা হয়েছে। এ ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।

© JUGANTOR.COM
]]>
<![CDATA[বানভাসিদের ১৫ হাজার কাঁঠাল পাঠালেন সিমিন হোসেন রিমি]]> https://www.jugantor.com/country-news/567211/বানভাসিদের-১৫-হাজার-কাঁঠাল-পাঠালেন-সিমিন-হোসেন-রিমি 567211 2022-06-28T01:50:10+06:00 কাপাসিয়া (গাজীপুর) প্রতিনিধি বানভাসিদের ১৫ হাজার কাঁঠাল পাঠালেন সিমিন হোসেন রিমি

বানভাসিদের ১৫ হাজার কাঁঠাল পাঠালেন সিমিন হোসেন রিমি

সারাদেশ

কাপাসিয়া (গাজীপুর) প্রতিনিধি

গাজীপুরের কাপাসিয়ার এমপি সিমিন হোসেন রিমির পক্ষ থেকে সুনামগঞ্জ জেলার বানভাসিদের মাঝে সোমবার ১৫ হাজার কাঁঠাল বিতরণ করা হয়েছে। কাপাসিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মুহম্মদ শহীদুল্লাহর নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগের প্রায় ৫০ জন নেতাকর্মী প্রত্যন্ত অঞ্চলে দিনব্যাপী বিপুল সংখ্যক কাঁঠাল বিতরণ করেন।

উপজেলা আওয়ামী লীগ সূত্রে জানা যায়, সাম্প্রতিক সময়ে ভয়াবহ বন্যাদুর্গতদের মাঝে মানবিক সহায়তার অংশ হিসেবে সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি এমপি সিমিন হোসেন রিমির নির্দেশে বানভাসিদের মাঝে কাপাসিয়ায় উৎপাদিত ১০ হাজার কাঁঠাল বিতরণের কর্মসূচি নেওয়া হয়। সেই লক্ষ্যে গত রোববার সমস্ত উপজেলায় দিনব্যাপী কাপাসিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ সংগঠনের ১১টি ইউনিয়নের ৯৯ ওয়ার্ডের নেতাকর্মীরা কাঁঠাল সংগ্রহ করেন। রাতে উপজেলা আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ সংগঠনের ৫০ জন নেতাকর্মী সেগুলো নিয়ে সুনামগঞ্জের ধর্মপাশা উপজেলার উদ্দেশ্যে রওনা হন।

সোমবার সকাল থেকে ইঞ্জিনচালিত নৌকা দিয়ে ধর্মপাশা উপজেলার সব ইউনিয়নের প্রত্যন্ত অঞ্চলে তারা এ কাঁঠালগুলো বিতরণ করেন।

এ কর্মসূচিতে অংশ নিয়েছেন- উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক মাহবুবউদ্দীন আহম্মেদ সেলিম, মো. মোস্তফা শিকদার, প্রচার সম্পাদক মো. ইমানউল্লাহ শেখ ইমু, মো. মনির হোসেন, উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগ সভাপতি সৈয়দ মজিবুর রহমান, জাহিদুর রহমান জাহিদ, উপজেলা ছাত্রলীগ সভাপতি মাহমুদুল হাসান মামুন, সাধারণ সম্পাদক মো. আমীর হামজা প্রমুখ।

© JUGANTOR.COM
]]>
<![CDATA[জলঢাকা জাতীয় পার্টির সভাপতি এমপি মেজর রানা সম্পাদক সাইদার রহমান]]> https://www.jugantor.com/country-news/567200/জলঢাকা-জাতীয়-পার্টির-সভাপতি-এমপি-মেজর-রানা-সম্পাদক-সাইদার-রহমান 567200 2022-06-28T01:47:01+06:00 জলঢাকা (নীলফামারী) প্রতিনিধি জলঢাকা জাতীয় পার্টির সভাপতি এমপি মেজর রানা সম্পাদক সাইদার রহমান

জলঢাকা জাতীয় পার্টির সভাপতি এমপি মেজর রানা সম্পাদক সাইদার রহমান

সারাদেশ

জলঢাকা (নীলফামারী) প্রতিনিধি

নীলফামারীর জলঢাকায় জাতীয় পার্টির দ্বি-বার্ষিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। সোমবার প্রথম অধিবেশনে উপজেলা জাতীয় পার্টির অস্থায়ী দলীয় কার্যালয়ে সম্মেলনের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন জেলা জাতীয় পার্টির আহবায়ক অ্যাডভোকেট এনকে আলম চৌধুরী।

এতে জলঢাকায় জাতীয় পার্টির সভাপতি নির্বাচিত হয়েছেন সংসদ সদস্য মেজর রানা মোহাম্মদ সোহেল (অব.) ও সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হয়েছেন সাইদার রহমান বুলু।

নীলফামারী-৩ (জলঢাকা) আসনের সংসদ সদস্য মেজর রানা মোহাম্মদ সোহেলের (অব.) সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি ছিলেন প্রেসিডিয়াম সদস্য ও অতিরিক্ত মহাসচিব এটিইউ তাজ রহমান। বিশেষ অতিথি ছিলেন- রংপুর মহানগর সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ ইয়াসির, কেন্দ্রীয় জাতীয় পার্টির সদস্য লে. কর্নেল (অব.) মো. তসলিম উদ্দীন, সাবেক উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও জেলা জাতীয় পার্টির যুগ্ম আহবায়ক রশিদুল ইসলাম, বিশিষ্ট শিল্পপতি জেলা জাতীয় পার্টির যুগ্ম আহবায়ক ছিদ্দিকুল ইসলাম সিদ্দিক, নীলফামারী জেলা জাতীয় পার্টির সদস্য সচিব একেএম সাজ্জাদ পারভেজ।

এছাড়াও আমন্ত্রিত অতিথি হিসেবে জলঢাকা উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আব্দুল ওয়াহেদ বাহাদুরসহ জেলা ও বিভিন্ন উপজেলার নেতারা উপস্থিত ছিলেন। দ্বিতীয় অধিবেশনে ২২ জন কাউন্সিলর তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করেন।

বিনাপ্রতিদ্বন্দ্বিতায় সভাপতি পদে নির্বাচিত হয়েছেন সংসদ সদস্য মেজর রানা মোহাম্মদ সোহেল (অব.)। সাধারণ সম্পাদক পদে পাঁচজন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। তাদের মধ্যে ১৮ ভোট পেয়ে সাধারণ সম্পাদক পদে নির্বাচিত হয়েছেন সাইদার রহমান বুলু।

© JUGANTOR.COM
]]>
<![CDATA[শুধু বাইক নিয়ে চলল ফেরি!]]> https://www.jugantor.com/padma-bridge/567199/শুধু-বাইক-নিয়ে-চলল-ফেরি 567199 2022-06-28T01:43:39+06:00 লৌহজং (মুন্সীগঞ্জ) প্রতিনিধি শুধু বাইক নিয়ে চলল ফেরি!

শুধু বাইক নিয়ে চলল ফেরি!

স্বপ্নের পদ্মা সেতু

লৌহজং (মুন্সীগঞ্জ) প্রতিনিধি

পদ্মায় চলল ফেরি কুঞ্জলতা। কর্তৃপক্ষের জরুরি সিদ্ধান্তে শুধুমাত্র মোটরবাইক পারাপারের লক্ষ্যে সাময়িকভাবে সকাল ১০টা ৪০ মিনিটের দিকে শিমুলিয়া থেকে ফেরিটি ছাড়া হয়।

এদিকে সেতু পারাপারের নিয়ম মানাতে কঠোর অবস্থানে রয়েছে প্রশাসন ও সেতু কর্তৃপক্ষ। কেউ যাতে গাড়ি থেকে সেতুতে না নামে ও ছবি না তোলে, সেজন্য প্রশাসনের পক্ষ থেকে সতর্ক দৃষ্টি রাখা হচ্ছে বলে জানা গেছে। সেতুর ওপর অনিয়ম থেকে বিরত থাকার জন্য করা হচ্ছে মাইকিং। নজরদারি রয়েছে ভ্রাম্যমাণ আদালতের।

এর আগে রোববার সেতু দিয়ে যানবাহন চলাচল শুরু হওয়ার প্রথম দিন সেতুতে মোটরবাইকের ব্যাপক আধিক্যতায় সেতুতে ঘটে নানা অনিয়ম ও দুর্ঘটনা। সেতুতে এক মর্মান্তিক সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত হয় মোটরযানের চালক ও আরোহীসহ দুইজন। রাতেই সেতু বিভাগ তথ্য অধিদফতরের এক তথ্য বিবরণীতে পদ্মা সেতু দিয়ে মোটরসাইকেল চলাচলে নিষেধাজ্ঞা জারি করে ঘোষণা দেয়।

সোমবার সকাল থেকে সেতু দিয়ে মোটরসাইকেল পারাপার বন্ধ হয়ে গেলে কিছু সংখ্যক বাইকার সেতুর টোলপ্লাজায় জড়ো হয়। পরে প্রশাসনের হস্তক্ষেপে বাইকারদের বুঝিয়ে ফেরি কুঞ্জলতায় পদ্মা পারাপার করা হয়।

বিআইডব্লিউটিসির ম্যানেজার (বাণিজ্য) ফয়সাল আহমেদ ও কাউন্টার স্টাফ রফিকুল ইসলাম জানান, জরুরি প্রয়োজনের কারণে কর্তৃপক্ষের নির্দেশে আপাতত সাময়িকভাকে শিমুলিয়া ৩নং ফেরিঘাট থেকে ১১৯টি  মোটরসাইকেল নিয়ে সকাল ১০টা ৪০ মিনিটের দিকে কে-টাইপ ফেরি কুঞ্জলতা মাঝিকান্দি ঘাটের উদ্দেশ্যে ছেড়ে যায়।

এছাড়াও ফরিদপুর নামে আরও একটি ফেরি ঘাটেই উপস্থিত রয়েছে। পর্যাপ্ত মোটরযান থাকলে কর্তৃপক্ষের নির্দেশ অনুযায়ী এটিও ছাড়া হতে পারে। তবে মাঝিকান্দি ঘাট থেকে বেলা সোয়া ১টা পর্যন্ত কোনো ফেরি ছাড়া হয়নি বলে তারা নিশ্চিত করেছেন।

পদ্মা সেতুর নিরাপত্তা ও স্থায়িত্ব রক্ষার্থে ব্যবহারকারীদের জন্য কিছু নির্দেশনা গত ২৩ জুন বাংলাদেশ সেতু কর্তৃপক্ষ একটি গণবিজ্ঞপ্তি জারি করে। এতে বলা হয়েছে- পদ্মা সেতুর ওপর অনুমোদিত গতিসীমা ঘণ্টায় ৬০ কিলোমিটার। পদ্মা সেতুর ওপর যে কোনো ধরনের যানবাহন দাঁড়ানো ও যানবাহন থেকে নেমে সেতুর ওপর দাঁড়িয়ে ছবি তোলা-হাঁটা সম্পূর্ণ নিষেধ।

শনিবার (২৫ জুন) প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পদ্মা সেতুর উদ্বোধন করেন। এর পরপরই শনিবার দিবাগত রাতেই পদ্মা সেতুর দুই প্রান্তে হুমড়ি খেয়ে পড়ে বিপুলসংখ্যক মোটরবাইক। এছাড়াও সেতু পারাপারের জন্য বাস, ছোট গাড়িসহ পণ্যবাহী ট্রাকের সঙ্গে সঙ্গে বিভিন্ন ভ্রমণ গ্রুপের বাস সেতু পার হওয়ার জন্য টোলপ্লাজার সামনে আসে। এতে রাত থেকে সেতুর দুই প্রান্তে গাড়ির দীর্ঘ সারি দেখা দেয়।

রোববার ভোর ৬টা থেকে সেতু দিয়ে যানবাহন চলাচল শুরু হলে সেতু পাড়ি দেওয়ার সময় দিনভর ও রাতের বেলায় আনন্দ উল্লাসে মেতে উঠেন বাইকাররা। প্রথম দিন থাকায় নিয়ম ভঙ্গ করে বেশিরভাগ মোটরযানের আরোহী ও চালকেরা ও ছোট গাড়ির অনেকেই সেতুর মাঝপথে নেমে সেলফি তোলা, টিকটক ভিডিও বানানো, হেঁটে বেড়ানোসহ নানা অনিয়ম করে। রাতে সেতুতে একটি মোটরসাইকেল দুর্ঘটনা ঘটলে দুজন মারাত্মক আহত হন। পরে তাদের ঢাকা মেডিকেলে নিলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।

© JUGANTOR.COM
]]>
<![CDATA[পদ্মা সেতু নিয়ে ফেসবুকে কুরুচিপূর্ণ মন্তব্য, বিএনপি নেতা আটক]]> https://www.jugantor.com/padma-bridge/567198/পদ্মা-সেতু-নিয়ে-ফেসবুকে-কুরুচিপূর্ণ-মন্তব্য-বিএনপি-নেতা-আটক 567198 2022-06-28T01:34:00+06:00 কোম্পানীগঞ্জ (নোয়াখালী) প্রতিনিধি পদ্মা সেতু নিয়ে ফেসবুকে কুরুচিপূর্ণ মন্তব্য, বিএনপি নেতা আটক

পদ্মা সেতু নিয়ে ফেসবুকে কুরুচিপূর্ণ মন্তব্য, বিএনপি নেতা আটক

স্বপ্নের পদ্মা সেতু

কোম্পানীগঞ্জ (নোয়াখালী) প্রতিনিধি

পদ্মা সেতু নিয়ে কুরুচিপূর্ণ মন্তব্য করায় আবুল কালাম আজাদ (৪২) নামে এক বিএনপি নেতাকে আটক করেছে পুলিশ। সোমবার রাত পৌনে ৯টার দিকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন পুলিশ সুপার মো. শহীদুল ইসলাম।

আটককৃত আবুল কালাম আজাদ নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার চরহাজারী ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক।

পুলিশ সুপার জানান, পদ্মা সেতু উদ্বোধনের আগের দিন একটি নিউজ পোর্টালে 'পদ্মা সেতুতে দাঁড়িয়ে ছবি তোলা যাবে না' এ শিরোনামে একটি নিউজ প্রকাশ করা হয়। নিউজটি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ওই পোর্টালের পেইজে শেয়ারের পর সেখানে 'আই মুতি ছবি তুলুম' লিখে নিজ আইডি থেকে একটি কমেন্ট করেন বিএনপি নেতা আবুল কালাম আজাদ। পরবর্তীতে বিষয়টি প্রশাসনের নজরে আসে।

এসপি আরও জানান, বিএনপি নেতা আবুল কালাম আজাদের কমেন্টের বিষয়টি আমাদের নজরে আসার পর সোমবার রাতে বসুরহাট পৌর এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাকে আটক করা হয়। এ ঘটনায় তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।

© JUGANTOR.COM
]]>
<![CDATA[চোরাচালান বন্ধে কঠোর অবস্থানে বিএসএফ]]> https://www.jugantor.com/national/567197/চোরাচালান-বন্ধে-কঠোর-অবস্থানে-বিএসএফ 567197 2022-06-28T01:31:48+06:00 শিপন হাবীব, (টাকী) কলকাতা থেকে চোরাচালান বন্ধে কঠোর অবস্থানে বিএসএফ

চোরাচালান বন্ধে কঠোর অবস্থানে বিএসএফ

জাতীয়

শিপন হাবীব, (টাকী) কলকাতা থেকে

বাংলাদেশ ভারত সীমান্তে ভারত থেকে বাংলাদেশে গরু চোরাচালান বন্ধে কঠোর অবস্থানে রয়েছে বিএসএফ। 

কয়েকদিন পরেই অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে পবিত্র ঈদুল আজহা। ঈদকে সামনে রেখেই  বাংলাদেশ-ভারত সীমান্তে গরু চোরাচালানের বিষয়টি সর্বাত্মক নজরদারিতে রেখেছেন ভারত ও বাংলাদেশ সীমান্তরক্ষীরা। গরুসহ যেকোনো চোরাচালান রোধে বিএসএফ, বিজিবি সীমান্তে সতর্কাবস্থায় রয়েছে। 

সোমবার (২৭ জুন) ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বিএসএফ এর আমন্ত্রণে বাংলাদেশি সাংবাদিকদের ৫ সদস্য বিশিষ্ট একটি প্রতিনিধি দলের সঙ্গে পেট্রাপোল স্থলবন্দরে এক মতবিনিময় অনুষ্ঠানে বিএসএফ পশ্চিমবঙ্গ সাউথ বেঙ্গল ফন্টায়ারের ডেপুটি ইন্সপেক্টর জেনারেল এস এস গুলেরিয়া এ তথ্য জানান।

মতবিনিময় অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, শুধু গরু নয়, যেকোনো চোরাচালান রোধে আমরা  সতর্ক রয়েছি। বর্তমানে এ বিষয়টি আমাদের কন্ট্রোলের মধ্যে রয়েছে। আমরা সর্বাত্মক চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি এ ধরনের ঘটনা যেন না ঘটে। 

তিনি আরও বলেন,স্বর্ণ চোরাচালান মানব পাচার মাদক পাচার এবং গরু চোরাচালানকারীদের অপ-তৎপরতার কারণেই বিভিন্ন জায়গায় সীমান্তে হত্যার ঘটনা ঘটে। যারা হত্যাকাণ্ডের শিকার হয় তারা নানা অপরাধমূলক অপ-তৎপরতার কারণে ই এ ধরনের ঘটনায় সম্মুখীন হন। এসব ঘটনায় ভারতীয় বিএসএফ সদস্যরাও বিভিন্ন সময় চোরাকারবারীদের হাতে গুরুত্বর আহত হচ্ছেন। 

তিনি বলেন, সীমান্তে বাংলাদেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনী বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ বিজিবি সঙ্গে সমন্বয় করে বিএসএফ সীমান্তে নানা ধরনের অপরাধ নিয়ন্ত্রণে কাজ চালিয়ে যাচ্ছে। বিজিবির সঙ্গে বিএসএফের মাসিক, ত্রৈমাসিক, অর্ধবার্ষিক, পাক্ষিক বৈঠক হয়ে থাকে। যার মাধ্যমে অপরাধ নিয়ন্ত্রণে দু'দেশের দুই সীমান্তরক্ষী বাহিনী কাজ করে যাচ্ছে বলেও জানান বিএসএফের এই ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা।

এদিকে সোমবার রাত সাড়ে ১০ টা থেকে প্রায় ২ ঘণ্টা কলকাতার টাকী শহর থেকে সীমান্ত পযর্ন্ত প্রায় ৩০ কিলোমিটার সীমান্ত ঘুরে দেখানো হয় সাংবাদিকদের। দেখা যায় রাতে নদী ও স্থলপথে একই সঙ্গে টহল দেওয়া হচ্ছে। 

বিএসএফ ও স্থানীয় লোকজন জানান, এক সময় টাকী নদী হয়ে প্রতিদিন শত শত গরু ভারত থেকে বাংলাদেশে পাচার হতো। গরুগুলো এমন পদ্ধতিতে বিশেষ কৌশলে নদী দিয়ে পাচার করা হতো, যা প্রতিরোধকারী সংস্থার নজরে যথাযথ আসতো না। গরুকে বিশেষ ইনজেকশন দিয়ে মুখ বেঁধে ( যাতে গরু শব্দ না করতে পার) নদী পার করা হতো। একই সঙ্গে চোরাকারবারীরাও টাইয়ার, হাওয়া বালিশ শরীরে বেঁধে নদী পার হতো।  বর্তমানে ৯৫ শতাংশ গরু চোরাচাল কমেছে জানিয়ে এক বিএসএফ কর্মকর্তা বলেন, চোরাকারবারীদের কৌশলগুলো জেনে যাওয়ায় তা রোধ করতে সম্ভব হচ্ছে। 

জানা গেছে, টাকী শহর হয়ে ইছামতী নদীর দুপাশে যেসব গ্রাম রয়েছে, এসব গ্রামের কিছু মানুষ এ চোরাকারবারীর সঙ্গে জড়িত। নদীর দুপাশে ১০টি গ্রাম রয়েছে। ভারতীয় সীমান্তে কাঁটাতার কিংবা বেড়া রয়েছে। একই  সঙ্গে রাতের বেলায় পুরো সীমান্ত তার ঘেঁষে বৈদ্যুতিক লাইট রয়েছে। বাংলাদেশ সীমান্তে লাইট চোখে পড়েনি।  সংশ্লিষ্টরা জানান, বাংলাদেশ সাইটে রাতের বেলায় লাইট লাগানো নিশ্চিত করা হলে চোরাচালান আরও নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব হতো।
 

© JUGANTOR.COM
]]>
<![CDATA[‘জনগণ ষড়যন্ত্রকারীদের আগামী নির্বাচনেও প্রত্যাখ্যান করবে’]]> https://www.jugantor.com/national/567152/জনগণ-ষড়যন্ত্রকারীদের-আগামী-নির্বাচনেও-প্রত্যাখ্যান-করবে 567152 2022-06-28T01:15:54+06:00 সংসদ প্রতিবেদক ‘জনগণ ষড়যন্ত্রকারীদের আগামী নির্বাচনেও প্রত্যাখ্যান করবে’

‘জনগণ ষড়যন্ত্রকারীদের আগামী নির্বাচনেও প্রত্যাখ্যান করবে’

জাতীয়

সংসদ প্রতিবেদক

মন্ত্রী-এমপিরা বলেছেন, সাহস-আত্মমর্যাদা-সক্ষমতার প্রতীক পদ্মা সেতু করে প্রধানমন্ত্রী সারাবিশ্বকে দেখিয়ে দিয়েছেন, কেউ আর আমাদের দাবায়ে রাখতে পারবে না। এই পদ্মা সেতু আরও বহু অর্জনের পথ খুলে দিয়েছে। এই সক্ষমতার প্রতীক পদ্মা সেতু দেখে বিএনপিসহ বিরোধীতাকারী-ষড়যন্ত্রকারীদের বুকটা ফেটে যাচ্ছে, অন্তর্জ্বালায় ভুগছে। এরা দেশের উন্নয়ন দেখে না, কারণ এরা পাকিস্তানের চর,দালাল। আগামী নির্বাচনেও দেশের জনগণ তাদের প্রত্যাখ্যান করবে। 


সোমবার জাতীয় সংসদে প্রস্তাবিত ২০২২-২৩ অর্থবছরের জন্য বাজেটের ওপর আলোচনায় অংশ নিয়ে তারা এ কথা বলেন। 


এদিন আলোচনায় অংশ নেন তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ, পরিকল্পনা মন্ত্রী এম এ মান্নান, খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার, সাবেক চিফ হুইপ আ স ম ফিরোজ, হুইপ আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন, সরকারি দলের শহীদুজ্জামান সরকার, মনোয়ার হোসেন চৌধুরী, ইউসুফ আবদুল্লাহ হারুন, এ কে এম রহমতুল্লাহ, আশেক উল্লাহ রফিক, স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য রেজাউল করিম বাবলু, বিরোধী দলীয় চিফ হুইপ মশিউর রহমান রাঙ্গা প্রমুখ।  

তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেন, বিএনপি, টিআইবিসহ অন্যান্যরা প্রতিবার বলে, বাজেট বাস্তবায়িত হবে না। কিন্তু প্রতিটি বাজেট ৯৫-৯৭ ভাগ বাস্তবায়ন করে আওয়ামী লীগ সরকার। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশ আজ বিশ্বের ৩১তম অর্থনৈতিক শক্তিশালী দেশ। পদ্মা সেতু হচ্ছে মানুষের আবেগ, গর্ব, সক্ষমতা ও ষড়যন্ত্রকারীদের জবাব দেওয়ার সেতু। একজন শেখ হাসিনা না থাকলে কোনো দিনই পদ্মা সেতু হতো না। 

তিনি বলেন, বিশ্ব ব্যাংক যখন অর্থায়ন বন্ধ করেছে, তখন খালেদা জিয়ারা বলেছেন আওয়ামী লীগ এই পদ্মা সেতু করতে পারবেন না। স্বপ্নের পদ্মা সেতু নির্মাণ হয়েছে, তাদের মুখে চুনকালি পড়েছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা অসম্ভবকে সম্ভব করেছেন। 
তিনি বলেন, পদ্মা সেতু মাল্টিপারপাস সেতু। ট্রেন-গাড়ি শুধু নয়, গ্যাস-বিদ্যুত সবাই রয়েছে। সমগ্র পৃথিবী এই পদ্মা সেতু নির্মাণে প্রশংসা করেছে। সবাই বাংলাদেশের সক্ষমতার প্রশংসা করছে। বিএনপি কিন্তু অভিনন্দন জানাতে পারেনি। 

মন্ত্রী আরও বলেন, পদ্মা সেতু নির্মাণ হওয়াতে তাদের গায়ে জ্বালা ধরেছে। নাট-বল্টু যে খুলেছে সেই টিকটককারী ছাত্রদল করতেন। এখন মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরদের মুখে কোনো কথা নেই। অনেকে মানবাধিকারের কথা বলে। অথচ যুক্তরাষ্ট্র থেকে বাংলাদেশের মানবাধিকার অনেক উন্নত। ২০২২ সালে যুক্তরাষ্ট্রে আড়াইশর মতো গুলির ঘটনা ঘটেছে। বিএনপি-জামায়াত জোট যেভাবে অগ্নিসন্ত্রাস করে শত শত মানুষকে পুড়িয়ে হত্যা করেছে, তাদের মুখে মানবাধিকারের কথা মানায় না বলেও উল্লেখ করেন তিনি। 

পদ্মা সেতু নির্মাণ করায় দেশের জনগণের পক্ষ থেকে প্রধানমন্ত্রীকে অভিনন্দন জানিয়ে পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান বলেন, বাঙালি জাতির জীবনে দুটি হিমালয়সম বাধা করেছে। প্রথমটি হচ্ছে লাখো শহীদের রক্তের বিনিময়ে স্বাধীনতা অর্জন। আর এ স্বাধীনতার মহানায়ক জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। আরেকটি বৃহৎ অর্জন হচ্ছে, শত বাধা-বিপত্তি এবং ষড়যন্ত্র-চক্রান্ত পেরিয়ে নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মা সেতু নির্মাণ। আর এ বৃহৎ অর্জনের মহানায়ক হচ্ছেন বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা। আর এই পদ্মা সেতু আরো বহু কিছু অর্জনের পথ খুলে দিয়েছে। 

খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার প্রস্তাবিত বাজেটকে ‘আত্মনির্ভরশীল ঘুরে দাঁড়ানোর বাজেট’ উল্লেখ করে বলেন, বিএনপি চোখে কোনো উন্নয়নই দেখতে পায় না। এরা চোখ থাকতেও অন্ধ। কারণ দলটি একটি জগাখিচুড়ির দল, মার্কাটাও মাওলানা ভাসানির ধানের শীষ নিয়েছে। সাহস-আত্মমর্যাদা-সক্ষমতার প্রতীক পদ্মা সেতু করে প্রধানমন্ত্রী সারাবিশ্বকে দেখিয়ে দিয়েছেন- কেউ আর আমাদের দাবায়ে রাখতে পারবে না। 

সাবেক চিফ হুইপ আসম ফিরোজ বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা শত চ্যালেঞ্জ মোকবেলা করে পদ্মা সেতু নির্মাণ করে পুরো দেশকে এক কাতারে নিয়ে এসেছেন। অথচ সরকারের অর্জন বিএনপি চোখে দেখে না। এরা পাকিস্তানের চর, দালাল। এখনও বাংলাদেশকে মেনে নেয়নি, তাদের পাকিস্তানে চলে যাওয়া উচিত।
 

© JUGANTOR.COM
]]>
<![CDATA[ঈদের নতুনরূপে আসছেন তিশা]]> https://www.jugantor.com/entertainment/567151/ঈদের-নতুনরূপে-আসছেন-তিশা 567151 2022-06-28T01:12:49+06:00 বিনোদন প্রতিবেদন ঈদের নতুনরূপে আসছেন তিশা

ঈদের নতুনরূপে আসছেন তিশা

বিনোদন

বিনোদন প্রতিবেদন

আরটিভির ঈদুল আজহার বিশেষ আয়োজনে থাকছে বিশেষ নাটক ‘রিকশা গার্ল’। আহমেদ তাওকীরের রচনা ও রাফাত মজুমদার রিংকুর পরিচালনায় রিকশা গার্ল হিসেবে অভিনয় করেছেন তানজিন তিশা। নাটকে তিশার নাম শিখা এবং তার বিপরীতে অভিনয় করেছেন সোহেল মণ্ডল রেজাউল নামে।

শিখা। এক সংগ্রামী নারীর নাম। এই শহরে তার অন্য এক জীবন, ভিন্ন রকম বেঁচে থাকা। শহরের কোনো এক বস্তিতে ছোট বোন পরীকে নিয়ে, তার সংগ্রামের এক সংসার। প্রতিদিন সে তার রিকশা নিয়ে কাজে যায়, বোনকে স্কুলে নামিয়ে। পরী নামের সেই মেয়েটি দেখতে ভীষণ মায়াময়। তবে শিখার রিকশা চালানোর পেছনে লুকিয়ে ‘রেজাউল’ নামের অন্য এক মানুষের গল্প। শিখা কাজের ফাঁকে কাকে যেন খুঁজে ফেরে। তখন পরী বাসায় একা থাকে। রুমের দরজা থাকে বাইরে থেকে তালা দেওয়া। কখনো বস্তির রানু খালা কাজের ফাঁকে খেয়াল রাখে পরীর। অন্যদিকে শহরে রিকশা চালাতে গিয়ে শিখা প্রায়ই বিব্রত হয়, সবাই চিড়িয়াখানার জন্তুর মতো তাকে দেখে।

এভাবেই এগিয়ে যায় জীবন বাস্তবতার বিভিন্ন বাঁক নিয়ে ‘রিকশা গার্ল’ নাটকের গল্প।
 

© JUGANTOR.COM
]]>
<![CDATA[মদনে বন্যার্তদের মাঝে সাজ্জাদুল হাসানের ত্রাণ বিতরণ]]> https://www.jugantor.com/country-news/567150/মদনে-বন্যার্তদের-মাঝে-সাজ্জাদুল-হাসানের-ত্রাণ-বিতরণ 567150 2022-06-28T00:54:37+06:00 মদন (নেত্রকোনা) প্রতিনিধি মদনে বন্যার্তদের মাঝে সাজ্জাদুল হাসানের ত্রাণ বিতরণ

মদনে বন্যার্তদের মাঝে সাজ্জাদুল হাসানের ত্রাণ বিতরণ

সারাদেশ

মদন (নেত্রকোনা) প্রতিনিধি

প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সাবেক সিনিয়র সচিব, বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের চেয়ারম্যান সাজ্জাদুল হাসান সোমবার মদন পৌর সদরসহ উপজেলার আট ইউনিয়নে বন্যার্ত ৯৫০ পরিবারের মধ্যে ত্রাণসামগ্রী বিতরণ করেছেন।

এ সময় প্রত্যেকটি এলাকায় বন্যায় ক্ষতিগ্রস্তরাসহ এলাকার শত শত লোক জমায়েত হয়। তাদের উদ্দেশে সাজ্জাদুল হাসান বলেন, মানুষ মানুষের জন্য। মানুষের বিপদে পাশে থাকাই মানবধর্ম। একজন আরেকজনের সমস্যা-সংকটে ছুটে এসে সাহায্য করবে এমনটা সবাই প্রত্যাশা করে। আমি, আপনি এভাবেই এগিয়ে আসতে পারি সবার বিপদে, দাঁড়াতে পারি মানুষের পাশে।

এ সময় জেলা পরিষদ প্রশাসক প্রশান্ত রায়, নেত্রকোনা পৌর মেয়র নজরুল ইসলাম খান, উপজেলা নির্বাহী অফিসার বুলবুল আহমেদ, জেলা আওয়ামী লীগ নেতা সাজেদুর রহমান রতন, নূর খান মিঠু, জেলা যুবলীগ আহবায়ক মাসুদ খান জনি, মদন পৌর মেয়র সাইফুল ইসলাম সাইফ, সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান ইফতেখারুল আলম চৌধুরী আজাদ, প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা শওকত জামিলসহ জেলা, উপজেলা আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

© JUGANTOR.COM
]]>
<![CDATA[স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণের পর ভিডিও ইন্টারনেটে]]> https://www.jugantor.com/country-news/567149/স্কুলছাত্রীকে-ধর্ষণের-পর-ভিডিও-ইন্টারনেটে 567149 2022-06-28T00:51:01+06:00 নেত্রকোনা প্রতিনিধি স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণের পর ভিডিও ইন্টারনেটে

স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণের পর ভিডিও ইন্টারনেটে

সারাদেশ

নেত্রকোনা প্রতিনিধি

প্রেমের ফাঁদ পেতে ধর্ষণের পর তা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়ার অভিযোগে পূর্বধলা থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন এবং পর্নোগ্রাফি আইনে মামলা হয়েছে।

ভিকটিমের মা বাদী হয়ে অভিযুক্ত যুবক ও তার বাবার বিরুদ্ধে রোববার বিকালে পূর্বধলা থানায় মামলা করেন। সোমবার পর্যন্ত মামলার কোনো আসামিকে গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ।

জানা গেছে, জেলার পূর্বধলা উপজেলার ধলামূলগাঁও ইউনিয়নের  অষ্টম শ্রেণির ছাত্রীর ওপর দৃষ্টি পড়ে রাজমিস্ত্রি দুলাল মিয়ার ছেলে ভাড়ায় মোটরসাইকেল চালক সুজল মিয়ার। ওই ছাত্রী স্কুলে যাওয়া আসার পথে সুজল তাকে প্রায়শই প্রেম নিবেদন করত। একপর্যায়ে তাকে প্রেমের ফাঁদে ফেলে সম্প্রতি বেড়াতে নিয়ে যাওয়ার কথা বলে দুর্গাপুরের কদমতলী এলাকার একটি হোটেলে নিয়ে ধর্ষণ করে।

পরবর্তীতে সুজল মিয়া তার মোবাইলে জোরপূর্বক ছাত্রীর বিবস্ত্র ভিডিও ধারণ করে তাকে ব্ল্যাকমেইলিং করতে শুরু করে। সুজল তার মোবাইলে ধারণকৃত ভিডিও ইন্টারনেটে ছড়িয়ে দেওয়ার ভয় দেখিয়ে তাকে পুনরায় ধর্ষণের চেষ্টা করে। পরে ছাত্রী তার সঙ্গে সব ধরনের যোগাযোগ বন্ধ করে দেয়।

এতে ক্ষিপ্ত হয়ে সুজল দুই দিন আগে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভিডিওটি ছড়িয়ে দেয়। এ ঘটনার পর থেকেই স্কুলছাত্রীর পরিবার লোকলজ্জার ভয়ে বাড়ি থেকে বের হতে পারছে না।

ভিকটিমের বড়বোন বলেন, আমরা চার বোনের মধ্যে তিন বোনের আর্থিক সহায়তায় আদরের ছোট বোনকে লেখাপড়া করাচ্ছিলাম। এ ঘটনায় আমাদের মান-সম্মান আর কিছুই থাকল না।

ভিকটিমের বৃদ্ধ বাবা এ ঘটনার জন্য অভিযুক্ত যুবকের কঠোর শাস্তির দাবি জানান।

ধলামূলগাঁও ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. রেজুয়ানুর রহমান রনি ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে এ ঘটনার দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান।

পূর্বধলা থানার ওসি মো. সাইফুল ইসলাম বলেন, স্কুলছাত্রী ধর্ষণের ঘটনায় মামলা হয়েছে। আসামিদের গ্রেফতারের জন্য চেষ্টা চালানো হচ্ছে। ওদের এলাকায় পাওয়া যাচ্ছে না।

© JUGANTOR.COM
]]>
<![CDATA[অস্ত্রের মুখে আওয়ামী লীগ নেতাকে অপহরণ]]> https://www.jugantor.com/country-news/567148/অস্ত্রের-মুখে-আওয়ামী-লীগ-নেতাকে-অপহরণ 567148 2022-06-28T00:44:46+06:00 রাজশাহী ব্যুরো অস্ত্রের মুখে আওয়ামী লীগ নেতাকে অপহরণ

অস্ত্রের মুখে আওয়ামী লীগ নেতাকে অপহরণ

সারাদেশ

রাজশাহী ব্যুরো

রাজশাহীর বাগমারায় এক আওয়ামী লীগ নেতাকে অপহরণের ঘটনা ঘটেছে বলে অভিযোগ উঠেছে। সোমবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে উপজেলার কনোপাড়া গ্রামে শামসুদ্দিন নামের (৫৮) এক আওয়ামী লীগ নেতাকে কে বা কারা অপহরণ করে নিয়ে গেছে।

এ ঘটনায় বাগমারা থানায় একটি জিডি করেছেন ওই আওয়ামী লীগ নেতার ছেলে মিজানুর রহমান।

শামসুদ্দিন একজন মাছচাষি বলে জানা গেছে। তিনি কনোপাড়া গ্রামের আমির উদ্দিনের ছেলে। এছাড়া শামসুদ্দিন উপজেলার গোয়াকান্দি ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি।

শামসুদ্দিনের ছেলে মিজানুর রহমান রাজু জানান, সোমবার সকালে কনোপাড়া গ্রামে নিজের পানবরজে কাজ করছিলেন শামসুদ্দিন। এ সময় একটি মোটরসাইকেলে হেলমেট পরা দুই ব্যক্তি তার কাছে যায়। অস্ত্রের মুখে শামসুদ্দিনকে মোটরসাইকেলে তুলে তাকে নিয়ে তাহেরপুর বাজারের দিকে চলে যায়। এরপর থেকেই তার মোবাইল ফোনটি বন্ধ রয়েছে।

রাজু আরও বলেন, গত বছর যশের বিলে একটি পুকুর খনন করা হয়। এই পুকুরের অংশীদার ছিলেন তাহেরপুরের রফিকুল ইসলাম রফিক নামের একজন ব্যবসায়ী। পুকুরের হিসাব নিকাশ নিয়ে রফিকের সঙ্গে শামসুদ্দিনের বিরোধ হয়। রফিক পুকুরের মাছের তার অংশের তিন লাখ টাকা দাবি করছিলেন। তার বাবা তা দিচ্ছিলেন না। মাঝে রফিকের লোকেরা তাকে ভয়ভীতি দেখিয়ে টাকা উদ্ধারের চেষ্টা করেন। তাতে সাড়া দেননি তিনি। এ কারণে তার বাবাকে অপহরণ করা হয়ে থাকতে পারে বলে ছেলে রাজুর ধারণা।

ঘটনা সম্পর্কে জানতে চাইলে রাজশাহী জেলা পুলিশের মুখপাত্র ও অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ইফতে খায়ের আলম জানান, ঘটনার পরপরই থানা পুলিশে অভিযোগ আসে। খবর পেয়ে পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছায়। থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি হয়েছে। পুলিশ গুরুত্বের সঙ্গে ঘটনা তদন্ত শুরু করেছে ও শামসুদ্দিনকে উদ্ধারের চেষ্টা করছে। দ্রুতই তাকে উদ্ধার করা হবে বলেও জানান এই পুলিশ কর্মকর্তা।

উল্লেখ্য, রাজশাহীর বাগমারা এলাকাটি মূলত চরমপন্থি সর্বহারা ও জেএমবি উপদ্রুত এলাকা হিসেবে চিহ্নিত। সর্বহারারা চাঁদার দাবিতেও অনেক সময় লোকজনকে অস্ত্রের মুখে তুলে নিয়ে যায়। তবে শামসুদ্দিনের অপহরণ ঘটনাটির সঙ্গে তাদের কোনো যোগসূত্র আছে কিনা- সেটাও পুলিশ তদন্ত করে দেখছে।

© JUGANTOR.COM
]]>
<![CDATA[পুলিশের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজির অভিযোগ, সড়ক অবরোধ-বিক্ষোভ]]> https://www.jugantor.com/country-news/567147/পুলিশের-বিরুদ্ধে-চাঁদাবাজির-অভিযোগ-সড়ক-অবরোধবিক্ষোভ 567147 2022-06-28T00:38:16+06:00 যুগান্তর প্রতিবেদন, সাভার পুলিশের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজির অভিযোগ, সড়ক অবরোধ-বিক্ষোভ

পুলিশের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজির অভিযোগ, সড়ক অবরোধ-বিক্ষোভ

সারাদেশ

যুগান্তর প্রতিবেদন, সাভার

ঢাকার সাভারে মহাসড়কের শাখা সড়কগুলোতে চলাচলরত ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা থেকে নিয়মিত মোটা অঙ্কের চাঁদা আদায় অভিযোগ উঠেছে পুলিশের বিরুদ্ধে। এজন্য সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেন অটোরিকশাচালকরা। এ সময় পুলিশ ও অটোরিকশা চালকদের সংঘর্ষে ১০ জন আহত হন।

সোমবার দুপুরে কয়েকশ অটোরিকশাচালক একত্রিত হয়ে নবীনগর-চন্দ্রা মহাসড়কে পল্লী বিদ্যুৎ এলাকায় বিক্ষোভ শুরু করেন। পরে তারা মহাসড়কে ইলেকট্রিক পোল ফেলে গাড়ি যাতায়াতের প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করে পুলিশের বিরুদ্ধে বিভিন্ন ধরনের স্লোগান দেয়। একপর্যায়ে বিক্ষুব্ধ চালকরা সড়কে টায়ার ও গাছের ডাল ফেলে মহাসড়কের মাঝে আগুন জ্বালিয়ে দেয়। 

এ সময় মহাসড়কের উভয় পাশে যান চলাচল বন্ধ হয়ে গেলে তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়। খবর পেয়ে আশুলিয়া থানা পুলিশের একটি দল ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে আন্দোলনকারীদের বুঝিয়ে শান্ত করতে গেলে আন্দোলনকারীরা পুলিশকে লক্ষ্য করে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করা শুরু করে। এ ঘটনায় উভয়পক্ষের অন্তত ১০ জন আহত হন। এমন প্রতিকূল অবস্থায় থানা পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে সরে যায়।

বিক্ষুব্ধ চালকরা জানান, কয়েক বছর আগে থেকে পুলিশ মহাসড়কে অটোরিকশা নিয়ে মহাসড়কে উঠতে নিষেধ করেছে। এরপর থেকে রোগী বহন ছাড়া মহাসড়কে যাই না। কিন্তু মহাসড়কের সংযুক্ত শাখা সড়কে পাশে থাকলেও পুলিশ তাদের সোর্সের মাধ্যমে আমাদের অটোরিকশার চাবি নিয়ে ৫ হাজার টাকা চাঁদার দাবি করে। তাদের চাহিদা অনুযায়ী টাকা না দিলে সোর্সের মাধ্যমে রিকশাগুলো সাভার হাইওয়ে থানায় নিয়ে যায়। এরপর বড় অটোরিকরশা জন্য ৫ হাজার ২শ টাকা ও ছোট অটোরিকশা বাবদ ২৬০০ টাকা জরিমানা আদায় করে পুলিশ। রেকার ব্যবহার না করেও জরিমানার টাকা আদায় করা হয় রেকার বিল বাবদ। পুলিশের রেকার বাণিজ্যের প্রতিবাদে সোমবার সব চালকরা একত্রিত হয়ে মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ শুরু করে।  

রিকশাচালক সবুজ মিয়া বলেন, অনেক সময় পুলিশ মহাসড়কে না উঠলেও ভিতরের শাখা রাস্তা থেকে জোরপূর্বক আমাদের গাড়ি আটক করে থানায় নিয়ে যায়। পরবর্তীতে মোটা অংকের টাকা আদায় করে গাড়ি ছেড়ে দেয়। আমরা গরীব মানুষ, রিকসা চালিয়ে সংসার চালাই। আমরা তো চুরি-ডাকাতি করি না। তাহলে কেন আমাদের এভাবে হয়রানি করা হয়। আমরাই কেবল জানি এই জরিমানার টাকা তুলতে গিয়ে আমাদের সংসার চালাতে কষ্ট হয়, বউ-বাচ্চার জন্য বাজার না করে এই টাকা আমাদের পরিশোধ করতে হয়।

বিক্ষোভকারীরা অভিযোগ করে বলেন, আমিনবাজার থেকে চন্দ্রা এবং ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের কালামপুর পর্যন্ত দুটি মহাসড়কের শাখা সড়ক রয়েছে অন্তত ৫০টি। প্রতিদিন এসব সড়ক থেকে অন্তত দুই হাজার অটোরিকশা আটক করে পুলিশ। এসব রিকশা ৫শ থেকে ২ হাজার ৫শ টাকা চাঁদা আদায় করে ছেড়ে দেয় পুলিশ। এভাবে প্রতিদিন প্রায় অর্ধকোটি টাকা চাঁদা আদায় করা হচ্ছে।  

জানতে চাইলে সাভার হাইওয়ে পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আতিকুর রহমান বলেন, রিকশাচালকদের একটি গ্রুপ সংগঠিত হয়ে আজ সড়কে আন্দোলন করছে। তবে তাদের দাবি ভিত্তিহীন। জরিমানার ২ হাজার ৫শ টাকা সরকারি কোষাগারে জমা হয়। এখানে চাঁদাবাজির কোনো ঘটনা নেই। দালাল শ্রেণির কিছু লোকজন আমাদের বিরুদ্ধে এসব ষড়যন্ত্র করছে বলে জানান তিনি।

© JUGANTOR.COM
]]>
<![CDATA[বন্যায় বিনা চিকিৎসায় কেউ মারা যায়নি: স্বাস্থ্যমন্ত্রী]]> https://www.jugantor.com/country-news/567146/বন্যায়-বিনা-চিকিৎসায়-কেউ-মারা-যায়নি-স্বাস্থ্যমন্ত্রী 567146 2022-06-28T00:31:52+06:00 সিলেট ব্যুরো বন্যায় বিনা চিকিৎসায় কেউ মারা যায়নি: স্বাস্থ্যমন্ত্রী

বন্যায় বিনা চিকিৎসায় কেউ মারা যায়নি: স্বাস্থ্যমন্ত্রী

সারাদেশ

সিলেট ব্যুরো

স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দক্ষ ও সরাসরি ব্যবস্থাপনায় সিলেট এবং সুনামগঞ্জের বন্যার্ত কোনো মানুষ না খেয়ে মারা যায়নি, স্বাস্থ্যসেবার অভাবে বিনা চিকিৎসায় কারও মৃত্যু হয়নি। বন্যার শুরু থেকেই প্রধানমন্ত্রী সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়সহ বিভিন্ন দপ্তর এবং আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের নির্দেশ দেন বন্যাকবলিত মানুষের পাশে দাঁড়ানোর। তার পরিপ্রেক্ষিতে সবাই বন্যার্ত অসহায় মানুষের সহযোগিতায় ঝাঁপিয়ে পড়েন।

সোমবার দুপুরে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের বিভাগীয় ও জেলা কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

এ সময় তিনি আরও বলেন, বন্যাপরবর্তী অসুখ মোকাবেলায় স্বাস্থ্য বিভাগ প্রস্তুত আছে। সিলেটে ১৪০টিরও বেশি মেডিকেল টিম কাজ করছে; প্রস্তুত রয়েছে আরও দুই হাজারের বেশি কর্মী। বন্যাকবলিত এলাকায় কমিউনিটি ক্লিনিক, স্বাস্থ্য কেন্দ্র ও হাসপাতালে সৃষ্ট সমস্যা নিরসনে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে। যে কোনো পরিস্থিতি মোকাবেলায় সরকার প্রস্তুত বলেও জানান স্বাস্থ্যমন্ত্রী।

চলমান বন্যায় ১৮ জুন পানি ঢুকে পরে ওসমানী হাসপাতালে। এতে তলিয়ে যায় হাসপাতালের নিচতলা। পানি ঢুকে পড়া ও বিদ্যুতহীনতার কারণে ব্যাহত হয় চিকিৎসা সেবা। নতুন রোগী ভর্তিও বন্ধ হয়ে যায় সেদিন। পানি ঢুকে নষ্ট হয়ে পরেছে হাসপাতালটির রেডিওথেরাপি, সিটিস্ক্যান ওএমআরআই যন্ত্র। ফলে ১৮ জুন থেকে বন্ধ রয়েছে এসব সেবা। নষ্ট হয়ে গেছে হাসপাতালের অ্যাম্বুলেন্সও।

ওসমানী হাসপাতালে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা না থাকা ও চিকিৎসাসেবা বিঘ্নিত হওয়া প্রসঙ্গে মন্ত্রী বলেন, ভবিষ্যতে এমন জলাবদ্ধতা ঠেকাতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে। পরে ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল প্রাঙ্গণে ত্রাণসামগ্রী বিতরণ করেন তিনি।

এ সময় সিটি মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল বাশার মোহাম্মদ খুরশীদ আলম, বিভাগীয় পরিচালক (স্বাস্থ্য) হিমাংশু লাল রায়, ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মাহবুবুর রহমান ভূঁইয়া, মহানগর আওয়ামী লীগ সভাপতি মাসুক উদ্দিন আহমদসহ স্বাস্থ্য বিভাগের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

এর আগে বেলা ১১টায় মন্ত্রী ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করে। মন্ত্রী ঢাকা থেকে আসার পথে হেলিকপ্টারে করে সিলেট ও সুনামগঞ্জের বন্যা পরিস্থিতি দেখেন।

© JUGANTOR.COM
]]>
<![CDATA[নিখোঁজ সেই ছাত্রলীগ নেতার লাশ উদ্ধার]]> https://www.jugantor.com/country-news/567145/নিখোঁজ-সেই-ছাত্রলীগ-নেতার-লাশ-উদ্ধার 567145 2022-06-28T00:29:46+06:00 যুগান্তর ডেস্ক নিখোঁজ সেই ছাত্রলীগ নেতার লাশ উদ্ধার

নিখোঁজ সেই ছাত্রলীগ নেতার লাশ উদ্ধার

সারাদেশ

যুগান্তর ডেস্ক

পদ্মা সেতুর উদ্বোধন অনুষ্ঠান শেষে ফেরার পথে ভোলার চরফ্যাশন উপজেলা ছাত্রলীগ নেতা আল আরাফি তামিম ট্রলারডুবিতে নিখোঁজ ছাত্রলীগ নেতার লাশ উদ্ধার করা হয়েছে।

সোমবার (২৭ জুন) মাওয়া ঘাটের জাজিরা পয়েন্ট থেকে তার লাশ উদ্ধার করা হয়। 

বিষয়টি নিশ্চিত তামিমের খালাতো ভাই রাফসান শরীফ ইমন যুগান্তরকে জানান, নিখোঁজের ৩ দিন পর সোমবার বিকাল ৩টায় পদ্মা সেতু এলাকা থেকে প্রায় ২০ কিলোমিটার দূরের কুন্ডের চর ইউনিয়নের সিডার চর এলাকার পদ্মার তীর থেকে নিখোঁজ ওই ছাত্রলীগ নেতার মরদেহ উদ্ধার করে জাজিরা থানা পুলিশ।তামিমের মরদেহ উদ্ধার করে জাজিরা থানায় নেওয়া হয়েছে।

জানা গেছে, পদ্মা সেতুর উদ্বোধন ও মাদারীপুরের কাঁঠালবাড়িতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জনসভা শেষে জাজিরা-মাওয়া হয়ে ঢাকায় যাওয়ার পথে পদ্মা নদীতে আকস্মিকভাবে তাদের ট্রলারটি উল্টে যায়।

এ ঘটনায় বিআইডব্লিউটিএর সহকারী পরিচালক শরিফুল ইসলাম, চরফ্যাশন উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি মেহেদী হাসান সোহাগ ও চরফ্যাশন উপজেলার যুবলীগ নেতা আসাদুজ্জামান খান মামুন আহত হন। আহতরা শ্রীনগর ষোলগর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন।

আহত আসাদুজ্জামান খান মামুন মোবাইল ফোনে জানিয়েছিলেন, তারা সবাই চরফ্যাশন থেকে লঞ্চযোগে শনিবার পদ্মা সেতুর উদ্বোধন অনুষ্ঠানে আসেন। প্রধানমন্ত্রীর জনসভা শেষে জরুরি প্রয়োজনে ঢাকায় যাওয়ার জন্য জাজিরা থেকে মাওয়ার উদ্দেশ্যে নদীপথে ট্রলারযোগে রওনা হন। নদীর মাঝপথে হঠাৎ উত্তাল ঢেউয়ে ট্রলারটি মুহূর্তের মধ্যে উল্টে যায়। তাৎক্ষণিক নদীতে টহলরত স্থানীয় নৌ-বাহিনীর সহায়তায় তিনজনকে নদী থেকে উদ্ধার করতে পারলেও সাঁতার না জানা ছাত্রলীগ নেতা তামিম নদীতে তলিয়ে যান। 

তামিম চরফ্যাশন কলেজপাড়ার পৌর ৪নং ওয়ার্ডের আনসারিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের অবসরপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক মো. মজির উদ্দিনের একমাত্র ছেলে। তিনি চরফ্যাশন সরকারি কলেজ ছাত্রলীগের যুগ্ম আহবায়ক। তামিমের পরিবারে চলছে কান্নার রোল।

© JUGANTOR.COM
]]>
<![CDATA[দলীয় মনোনয়ন পেয়ে শোডাউন শেষে জানলেন নাম পরিবর্তন!]]> https://www.jugantor.com/country-news/567144/দলীয়-মনোনয়ন-পেয়ে-শোডাউন-শেষে-জানলেন-নাম-পরিবর্তন 567144 2022-06-28T00:28:43+06:00 ক্ষেতলাল (জয়পুরহাট) প্রতিনিধি দলীয় মনোনয়ন পেয়ে শোডাউন শেষে জানলেন নাম পরিবর্তন!

দলীয় মনোনয়ন পেয়ে শোডাউন শেষে জানলেন নাম পরিবর্তন!

সারাদেশ

ক্ষেতলাল (জয়পুরহাট) প্রতিনিধি

জয়পুরহাটের ক্ষেতলাল পৌর নির্বাচনে দলীয় মনোনয়ন পেয়ে মোটরসাইকেল শোডাউনের পর জানতে পারলেন নাম পরিবর্তন হয়েছে।

ক্ষেতলাল পৌর নির্বাচনে আওয়ামী লীগের দলীয় মনোনয়ন পান বর্তমান মেয়র সিরাজুল ইসলাম বুলু। সোমবার সকালে তিনি তার সমর্থক নেতাকর্মীদের নিয়ে মোটরসাইকেল শোডাউনের পর  জানতে পারলেন নাম পরিবর্তন হয়েছে।

আগামী ২৭ জুলাই তৃতীয় ধাপে এ পৌরসভা  নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।

রোববার (২৬ জুন) বিকালে গণভবনে আওয়ামী লীগের স্থানীয় সরকার জনপ্রতিনিধি মনোনয়ন বোর্ডের সভায় মনোনীত প্রার্থীর নাম চূড়ান্ত করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আওয়ামী লীগের দফতর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া স্বাক্ষরিত দলীয় প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে ক্ষেতলাল উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও মেয়র সিরাজুল ইসলাম বুলুকে দলীয় মনোনয়ন দেয়া হয়।

কিন্তু সোমবার বেলা ১১টায় সেটি পরিবর্তন করে শেখ হাসিনা স্বাক্ষরিত নৌকা প্রতীকে মনোনয়ন দিয়েছেন সিরাজুল ইসলাম সরদারকে।

এ খবর এলাকায় পৌঁছলে সিরাজুল ইসলাম সরদারের সমর্থিত দলীয় নেতাকর্মীসহ শত শত মানুষ উচ্ছ্বসিত হয়ে মিষ্টি বিতরণ করেন।

মেয়র প্রার্থী সিরাজুল ইসলাম সরদার জানান, পৌরবাসীর আন্তরিক ভালোবাসা ও তৃণমূল নেতাকর্মীর দাবির মুখে প্রিয় নেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দলীয় মনোনয়ন পরিবর্তন করে আমাকে দিয়েছেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ কেন্দ্রীয় নেতাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা ও অভিনন্দন জানান তিনি।

সিরাজুল ইসলাম বুলু জানান, দলীয় সিদ্ধান্তের বাইরে আমি যাব না। নৌকার পক্ষেই কাজ করব।

© JUGANTOR.COM
]]>
<![CDATA[‘পদ্মা সেতু করেছেন, এবার জনপ্রিয়তা যাচাই করুন’]]> https://www.jugantor.com/country-news/567143/পদ্মা-সেতু-করেছেন-এবার-জনপ্রিয়তা-যাচাই-করুন 567143 2022-06-28T00:23:18+06:00 নাটোর প্রতিনিধি ‘পদ্মা সেতু করেছেন, এবার জনপ্রিয়তা যাচাই করুন’

‘পদ্মা সেতু করেছেন, এবার জনপ্রিয়তা যাচাই করুন’

সারাদেশ

নাটোর প্রতিনিধি

বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক সাবেক মন্ত্রী অ্যাডভোকেট এম রুহুল কুদ্দুস তালুকদার দুলু বলেছেন, আপনারা যারা ক্ষমতায় আছেন তারা বলছেন, আপনারাই যমুনা সেতু করেছেন। আপনারা পদ্মা সেতু অনুষ্ঠান করে উদ্বোধন করলেন। আপনারা ফোর লেন রাস্তা করেছেন, ব্রিজ করেছেন, সব উন্নয়ন আপনারাই করেছেন। আমরা মেনেই নিলাম আপনারা সব করেছেন। তাহলে একবার ফেয়ার নির্বাচন দিয়ে দেখেন না জনমত আপনাদের পক্ষে আছে কিনা।

সোমবার দুপুরে শহরের আলাইপুরে দলের অস্থায়ী কার্যালয়ে নাটোর সদর উপজেলা বিএনপির দ্বি-বার্ষিক কাউন্সিলে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

নাটোর সদর উপজেলা বিএনপির আহবায়ক অধ্যক্ষ মো. রফিকুল ইসলামের সভাপতিত্বে কাউন্সিলের উদ্বোধন করেন জেলা বিএনপির আহবায়ক আমিনুল হক। প্রধান বক্তা হিসেবে বক্তব্য রাখেন জেলা বিএনপির সদস্য সচিব রহিম নেওয়াজ।

বিএনপি নেত্রী ছাবিনা ইয়াসমিন ছবি, সাবেক সাধারণ সম্পাদক  শহিদুল ইসলাম বাচ্চু, নাটোর সদর উপজেলা বিএনপির সদস্য সচিব নজরুল ইসলাম, যুগ্ম আহবায়ক আবুল কালাম আজাদ ও ফয়সাল আলম আবুল এতে বক্তব্য রাখেন।

কাউন্সিলে দুলু আরও বলেন, যারা আওয়ামী দুঃশাসনের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করতে পারবে, যারা রাজপথে থেকে সন্ত্রাসীদের রুখে দাঁড়াতে পারবে এমন নেতৃত্বই আমরা চাই। যারা আওয়ামী লীগের সন্ত্রাসীদের কঠিনভাবে প্রতিহত করতে পারবে, যারা রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় থাকা ভোট চোরদের বিরুদ্ধে সংগ্রাম করতে পারবে- এমন নেতাই কাউন্সিলের মাধ্যমে আমরা নির্বাচন করব।

উল্লেখ্য, ২০০৯ সালে জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির নাটোর সদর উপজেলা শাখার দ্বি-বার্ষিক কাউন্সিল অনুষ্ঠিত হয়। পরে ২০২০ সালের ২০ ফেব্রুয়ারি পুরাতন কমিটি ভেঙে দিয়ে আহবায়ক কমিটি গঠন করা হয়। করোনা প্রাদুর্ভাবের কারণে দ্বি-বার্ষিক কাউন্সিল সম্পন্ন করা সম্ভব হয়নি। সোমবার এ কাউন্সিল অনুষ্ঠিত হয়।

© JUGANTOR.COM
]]>
<![CDATA[২০২৪ সালের রিপাবলিকান প্রাইমারিতে ট্রাম্পকে হারাতে পারেন মাইক পেন্স!]]> https://www.jugantor.com/international/567142/২০২৪-সালের-রিপাবলিকান-প্রাইমারিতে-ট্রাম্পকে-হারাতে-পারেন-মাইক-পেন্স 567142 2022-06-28T00:08:24+06:00 কৌশলী ইমা, যুক্তরাষ্ট্র থেকে ২০২৪ সালের রিপাবলিকান প্রাইমারিতে ট্রাম্পকে হারাতে পারেন মাইক পেন্স!

২০২৪ সালের রিপাবলিকান প্রাইমারিতে ট্রাম্পকে হারাতে পারেন মাইক পেন্স!

আন্তর্জাতিক

কৌশলী ইমা, যুক্তরাষ্ট্র থেকে

২০২৪ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে রিপাবলিকান দলের প্রার্থী সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প নাকি সাবেক ভাইস প্রেসিডেন্ট মাইক পেন্স? অথবা অন্য কেউ? ট্রাম্প বা মাইক পেন্স কেউই ২০২৪ সালে হোয়াইট হাউসের নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার কথা এখনো ঘোষণা করেননি। তবে উভয়েরই প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার যথেষ্ট সম্ভাবনা রয়েছে। এখন পর্যন্ত বিভিন্ন সমীক্ষার ফলাফল ইঙ্গিত দেয় যে পেন্স ট্রাম্পের বিরুদ্ধে খুব একটা ভালো করতে পারবেন না।

গত ১৬ জুন বৃহস্পতিবার হাউস কমিটি ৬ জানুয়ারি ২০২১-এ ইউএস ক্যাপিটলে দাঙ্গার তদন্ত করার পরিকল্পনা নিয়েছে। এতে ট্রাম্প যে ২০২০ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের ফলাফল প্রত্যায়িত না করায় পেন্সকে চাপ দেওয়ার চেষ্টা করেছিলেন তাসহ বিভিন্ন অভিযোগের উপর আলোকপাত করার সিদ্ধান্ত হয়েছে। ট্রাম্পের কথিত পদক্ষেপগুলো দাঙ্গার অন্যতম প্রধান সম্ভাব্য কারণ হিসেবে পরীক্ষা করা হচ্ছে, যে সময়ে পেন্সের জীবনের বিরুদ্ধে হুমকি দেওয়া হয়েছিল।

প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের নির্বাচনী বিজয়ের সার্টিফিকেশনে হস্তক্ষেপ না করার সাবেক ভাইস প্রেসিডেন্টের সিদ্ধান্তের কারণে হোয়াইট হাউস ছেড়ে যাওয়ার পর থেকে পেন্স এবং ট্রাম্পের মধ্যে টানাপোড়েন সম্পর্ক রয়েছে।

২০২১ সালের গ্রীষ্মে পেন্স এক রিপাবলিকান নৈশভোজে ৬ জানুয়ারিকে ‘একটি অন্ধকার দিন’ বলে অভিহিত করেন। এ সময় তিনি বলেন, তাকে এবং ট্রাম্পকে আর কখনো কোনো ইভেন্টে ‘চোখাচোখি’ দেখা যাবে না। এদিকে ট্রাম্প গত মাসে এক সাক্ষাৎকারে বলেন, তিনি নির্বাচনী জালিয়াতির দাবিকে পেন্স সমর্থন না করায় ‘খুব হতাশ’ হয়েছেন।

ট্রাম্প আমেরিকান রাজনীতিতে এক বিভাজনকারী ব্যক্তিত্ব। তারপরও বিভিন্ন জরিপে দেখা যায়, পেন্সের চেয়ে তিনি যথেষ্ট এগিয়ে আছেন। গত ১৮-১৯ মে অনুষ্ঠিত হার্ভার্ড সিএপিএস/হ্যারিস জরিপে নিবন্ধিত রিপাবলিকান/স্বতন্ত্র ভোটারদের ৪১ শতাংশ বলেছেন, ২০২৪ সালের জিওপি প্রাইমারি ‘আজ অনুষ্ঠিত হলে’ তারা ট্রাম্পকে ভোট দেবেন। মাত্র ৭ শতাংশ বলেছেন যে তারা পেন্সকে সমর্থন করবেন।

এর আগে জানুয়ারির শেষ দিকে হার্ভার্ড সিএপিএস/হ্যারিস জরিপে, একটি অনুমানমূলক জিওপি প্রাইমারিতেও ট্রাম্প বিজয়ী হন। সাবেক প্রেসিডেন্ট সেই জরিপে সম্ভাব্য রিপাবলিকান প্রাইমারি ভোটারদের কাছ থেকে ৫৭ শতাংশ সমর্থন পান, যেখানে পেন্সকে ১১ শতাংশ সমর্থন করেন।

এই ফলাফল একই মাসের শুরুতে রয়টার্স/ইপসোস জরিপের ফলাফলের সাথে প্রায় মিলে যায়। রয়টার্স/ইপসোস জরিপের ফলাফলে দেখা গেছে, ট্রাম্প অনুমানমূলক প্রাইমারি ভোটারদের ৫৪ শতাংশ এবং পেন্স ৮ শতাংশের সমর্থন পান।

পেন্স এ পর্যন্ত ২০২৪ সালের নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন কিনা তা বলেননি। তবে তিনি সম্ভাবনাও উড়িয়ে দেননি। অবশ্য ট্রাম্প বলেছেন, যদি প্রেন্স প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে আমি তা নিয়ে উদ্বিগ্ন হব না। লোকেরা মাইক পেন্সকে নিয়ে খুবই হতাশ। যদি তিনি নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন তবে আমি মনে করি না যে এটি একটি সমস্যা হবে।

পেন্স যদি শেষ পর্যন্ত নির্বাচনে অংশ নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন, তবে তিনি ফ্লোরিডার গভর্নর রন ডিসান্টিসের কাছ থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতার মুখোমুখি হতে পারেন। যদিও ডিসান্টিসও এখন পর্যন্ত তার প্রার্থিতা ঘোষণা করেননি। তবে তিনি টেক বিলিয়নিয়ার ইলন মাস্কসহ অনেক ভোটারের মধ্যে জনপ্রিয় পছন্দ বলে মনে করা হয়। ইলন মাস্ক ইতিমধ্যে ডিসান্টিসের প্রতি তার সমর্থন প্রকাশ করেছেন।

গত মে মাসে হার্ভার্ড সিএপিএস/হ্যারিস জরিপে পেন্স ও ট্রাম্পসহ জিওপি প্রার্থীদের একটি অনুমানমূলক প্রাইমারিতে ডিস্যান্টিস ১২ শতাংশ ভোট পেয়েছেন। ট্রাম্প প্রার্থী না হলে সম্ভাব্য জিওপি প্রাইমারি ভোটাররা কাকে সমর্থন করবেন, এর জবাবে ২৫ শতাংশ ডিস্যান্টিসকে এবং ১৫ শতাংশ পেন্সকে সমর্থন করেন। তবে ধারণা করা হচ্ছে, ২০২৪ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের জিওপি প্রাইমারিতে পেন্সই ট্রাম্পকে হারাতে পারেন।
 

© JUGANTOR.COM
]]>
<![CDATA[নিউইয়র্কের 'নিরাপদ স্কুল' সংক্রান্ত নতুন আইন]]> https://www.jugantor.com/international/567141/নিউইয়র্কের-নিরাপদ-স্কুল-সংক্রান্ত-নতুন-আইন 567141 2022-06-28T00:06:58+06:00 কৌশলী ইমা, যুক্তরাষ্ট্র থেকে  নিউইয়র্কের 'নিরাপদ স্কুল' সংক্রান্ত নতুন আইন

নিউইয়র্কের 'নিরাপদ স্কুল' সংক্রান্ত নতুন আইন

আন্তর্জাতিক

কৌশলী ইমা, যুক্তরাষ্ট্র থেকে 

নিউইয়র্কের স্কুলগুলোকে নিরাপদ করার আশায় একটি বিল পাশ হয়েছে। সাম্প্রতি গণগুলিবর্ষণের ঘটনায় উদ্বিগ্ন হয়ে নিউইয়র্ক অঙ্গরাজ্যের আইনপ্রণেতারা এ সিদ্ধান্ত নেন। সৌভাগ্যবশত রাজ্যজুড়ে ছাত্র, শিক্ষক এবং বাসিন্দাদের নিরাপদ রাখার কাজ চলছে। অ্যালিসার আইন জরুরি পরিস্থিতিতে আইন প্রয়োগকারী সংস্থার সাথে যোগাযোগ সহজ করে তুলবে।

নিউইয়র্ক স্টেট অ্যাসেম্বলির তথ্য অনুসারে, এই নতুন আইন অনুযায়ী প্রতিটি স্কুলকে অন্তত একটি করে ‘প্যানিক বোতাম’ ইনস্টল করার বিষয় বিবেচনা করতে হবে। এই বোতামটি স্কুলকে স্থানীয় আইন প্রয়োগকারী সংস্থার সাথে তাৎক্ষণিকভাবে সরাসরি যোগাযোগ করতে সহায়তা করবে। জরুরি পরিস্থিতিতে সরাসরি সাহায্য পেতে এটি একটি দ্রুত এবং সহজ উপায় হবে। এটি স্কুল থেকে প্রথম সাড়াদানকারীদের সহজে যোগাযোগের সুযোগ করে দেবে। নিউইয়র্ক এই বিলে স্বাক্ষর করেলে এটি হবে তৃতীয় রাজ্য। অ্যালিসার আইন ২০১৯ সালে নিউজার্সিতে প্রথম পাশ হয়। এরপর ২০২০ সালে ফ্লোরিডা এই বিলটি পাশ করে। এটি জরুরি চিকিৎসার প্রয়োজন রয়েছে এমন শিক্ষার্থীদেরও সাহায্য করতে পারে।

টেক্সাসের উভালদে স্কুলে গণগুলিবর্ষণের ঘটনা সাম্প্রতিক দুঃখজনক ঘটনাগুলোর মধ্যে অন্যতম একটি। ওই ঘটনার সমসাময়িক কয়েক দিনের মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রজুড়ে বেশ কয়েকটি হৃদয়বিদারক গণগুলিবর্ষণের ঘটনা ঘটে। এরপর দেশব্যাপী অভিভাবকদের মধ্যে নিরাপত্তা নিয়ে দুশ্চিন্তা ছড়িয়ে পড়ে। এসব ঘটনার পর অভিভাবকদের উদ্বেগ ও উৎকণ্ঠা হ্রাস করতে নিউইয়র্কের আইনপ্রণেতারা নতুন আইনের উদ্যোগ নিলেন।
 

© JUGANTOR.COM
]]>
<![CDATA[পদ্মা সেতু উদ্বোধন উপলক্ষ্যে মালদ্বীপে আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক সন্ধ্যা]]> https://www.jugantor.com/exile/567140/পদ্মা-সেতু-উদ্বোধন-উপলক্ষ্যে-মালদ্বীপে-আলোচনা-সভা-ও-সাংস্কৃতিক-সন্ধ্যা 567140 2022-06-28T00:02:17+06:00 মোহাম্মদ মাহামুদুল, মালদ্বীপ থেকে পদ্মা সেতু উদ্বোধন উপলক্ষ্যে মালদ্বীপে আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক সন্ধ্যা

পদ্মা সেতু উদ্বোধন উপলক্ষ্যে মালদ্বীপে আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক সন্ধ্যা

পরবাস

মোহাম্মদ মাহামুদুল, মালদ্বীপ থেকে

নীল পানির দেশ মালদ্বীপ। হাজার হাজার মাইল দূরে মালদ্বীপে শরীয়তপুরের প্রবাসীদের উদ্যোগে পদ্মা সেতু উদ্বোধন উপলক্ষ্যে আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক সন্ধ্যার আয়োজন করা হয়। 

 শনিবার (২৫ জুন) মালদ্বীপে বাংলাদেশি মালিকানাধীন হোটেল সিক্সটি সিক্সে এ আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক সন্ধ্যা অনুষ্ঠিত হয়েছে। 
 
শরীয়তপুরের কৃতীসন্তান আবুল কালাম আজাদের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন শরীয়তপুরের কৃতীসন্তান, মালদ্বীপের বিশিষ্ট ব্যবসায়ী ও মালদ্বীপ আওয়ামী লীগের সভাপতি আলহাজ দুলাল মাতবর।

বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে বক্তব্য রাখেন- মোহাম্মদ দুলাল হোসেন, চেয়ারম্যান ভিউ কনস্ট্রাকশন ও সাধারণ সম্পাদক মালদ্বীপ আওয়ামী লীগ, মো. হান্নান খাম করিব, লোকাল ডিরেক্টর, এনবিএল মানি টান্সফার মালদ্বীপ, মো. হাজী সাদেক, সিনিয়র সহ-সভাপতি মালদ্বীপ আওয়ামী লীগ, নুরে আলম রিন্টু, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মালদ্বীপ আওয়ামী লীগ, নুরে আলম ভুইয়া, ক্রীড়া বিষয়ক সম্পাদক মালদ্বীপ আওয়ামী লীগ, মো. গাজী জাহিদ, অর্থ বিষয়ক সম্পাদক মালদ্বীপ আওয়ামী লীগ।

বক্তারা বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার তথ্যবহুল ও আবেগঘন বক্তৃতা সবাইকে অনুপ্রাণিত ও দেশপ্রেমের চেতনায় উদ্বুদ্ধ করে। নিজস্ব অর্থায়নে এরকম একটি ঐতিহাসিক, জটিল ও সুন্দর স্থাপত্য নির্মাণের জন্য সবাই প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন। 

পরিশেষে উপস্থিত সবাই একটি কেক কাটার মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠানের পরিসমাপ্তি ঘটে। বাংলাদেশের অপ্রতিরোধ্য অর্থনৈতিক অগ্রযাত্রায় এ পদ্মা সেতু বিশেষ সহায়ক ভূমিকা পালন করবে বলে সবাই মন্তব্য করেন।

শরীয়তপুরের কৃতীসন্তান মো. মিজানুর রহমান আনিসের উপস্থাপনায় এতে অসংখ্য প্রবাসী বাংলাদেশি উপস্থিত ছিলেন।
 

© JUGANTOR.COM
]]>
<![CDATA[বয়স যাচাই ইনস্টাগ্রাম সেলফিতে]]> https://www.jugantor.com/todays-paper/it-world/567210/বয়স-যাচাই-ইনস্টাগ্রাম-সেলফিতে 567210 2022-06-28T00:00:00+06:00 আইটি ডেস্ক বয়স যাচাই ইনস্টাগ্রাম সেলফিতে

বয়স যাচাই ইনস্টাগ্রাম সেলফিতে

আইটি বিশ্ব

আইটি ডেস্ক

ফটো শেয়ারি প্লাটফরম ইনস্টাগ্রাম বয়স শনাক্তের নতুন দুটি উপায় পরীক্ষা করছে। প্রাথমিকভাবে পরীক্ষাটি চলবে যুক্তরাষ্ট্রের ব্যবহারকারীদের ওপর। অনলাইনে ব্যবহারকারীর পরিচিতি প্রমাণ আপলোডের অনুমতি দেওয়ার পাশাপাশি বয়স শনাক্তের নতুন দুটি উপায় পরীক্ষা করছে ইনস্টাগ্রাম। এরই মধ্যে তারা ‘ইয়োতি’র সঙ্গে চুক্তি করেছে। প্রতিষ্ঠানটি বয়স যাচাইকরণে বিশেষজ্ঞ, যা অনলাইনে ব্যবহারকারীর গোপনতা নিশ্চিত করবে। মেটার ‘ডিরেকটর অফ ডেটা গভর্নেন্স’ এরিকা ফিংকেল বলেন, আমরা যখন কোনো কিশোর অ্যাকাউন্ট সম্পর্কে জানতে পারি, তখন আমরা তার অ্যাকাউন্টকে ডিফল্ট হিসাবে প্রাইভেট, অপরিচিত প্রাপ্তবয়স্কের ‘অবাঞ্ছিত’ যোগাযোগ রোধ এবং অ্যাকাউন্টে বিজ্ঞাপন সীমিত করার মতো সুবিধা দিয়ে তাকে তার বয়স-উপযুক্ত অভিজ্ঞতা প্রদান করি। একটি ভিডিও সেলফি আপলোড করেই ব্যবহারকারী তার বয়স যাচাই করতে পারবেন।

 

© JUGANTOR.COM
]]>
<![CDATA[দুঃসংবাদ দিল মাইক্রোসফট]]> https://www.jugantor.com/todays-paper/it-world/567209/দুঃসংবাদ-দিল-মাইক্রোসফট 567209 2022-06-28T00:00:00+06:00 আইটি ডেস্ক দুঃসংবাদ দিল মাইক্রোসফট

দুঃসংবাদ দিল মাইক্রোসফট

আইটি বিশ্ব

আইটি ডেস্ক

উইন্ডোজ অপারেটিং সিস্টেম ব্যবহারকারীদের জন্য দুঃসংবাদ দিয়েছে সফটওয়্যার নির্মাতা প্রতিষ্ঠান মাইক্রোসফট। প্রযুক্তি জায়ান্ট প্রতিষ্ঠানটির পক্ষ থেকে জানানো হয়, আগামী বছর থেকে মাইক্রোসফট উইন্ডোজ ৮.১ এর কোনো সাপোর্ট দেওয়া হবে না। এ বিষয়ে সফটওয়্যার নির্মাতা প্রতিষ্ঠানটি একটি সংবাদ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ২০২৩ সালের ১০ জানুয়ারি থেকে ৮.১ অপারেটিং সিস্টেম কাজ করবে না। এর ফলে যাদের সিস্টেমে এ অপারেটিং সিস্টেম রয়েছে তাদের সিস্টেম সম্পূর্ণ অচল হয়ে পড়বে। তাই যত দ্রুত সম্ভব সিস্টেম আপডেট করে উইন্ডোজ ১১ করতে হবে। অথবা উইন্ডোজ ১১ কাজ করবে এমন সিস্টেম ব্যবহার করতে হবে। উইন্ডোজ ৮.১ এর ক্ষেত্রে সফটওয়্যার আপডেট, টেকনিক্যাল সাপোর্ট এবং সিকিউরিটি আপডেট দেওয়া হবে না বলে সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।

এ বিষয়ে একটি FAQ প্রকাশ করা হয়েছে। এতে বলা হয়েছে, কোনো সিস্টেমে উইন্ডোজ ৮.১ থাকলে জানুয়ারির পর ম্যালওয়্যার বা অন্য কোনো ভাইরাস হামলা চালাতে পারে। যে সিস্টেমে উইন্ডোজ ৮.১ রয়েছে, সেই সিস্টেমগুলোতে উইন্ডোজ ১১ আপডেট করা যাবে না। ফলে সেই সিস্টেম সম্পূর্ণ অচল। নতুন কম্পিউটার কিনতে হবে।

© JUGANTOR.COM
]]>
<![CDATA[জানুয়ারিতেই অ্যাপল এআর-ভিআর হেডসেট]]> https://www.jugantor.com/todays-paper/it-world/567208/জানুয়ারিতেই-অ্যাপল-এআরভিআর-হেডসেট 567208 2022-06-28T00:00:00+06:00 আইটি ডেস্ক জানুয়ারিতেই অ্যাপল এআর-ভিআর হেডসেট

জানুয়ারিতেই অ্যাপল এআর-ভিআর হেডসেট

আইটি বিশ্ব

আইটি ডেস্ক

আগামী বছরের শুরুতে দেখা মিলতে পারে অগমেন্টেড ও ভার্চুয়াল রিয়ালিটির সমন্বয়ে তৈরি অ্যাপলের বহুল প্রতীক্ষিত মিক্সড রিয়ালিটি হেডসেট। অ্যাপল বিশ্লেষক মিং-চি কুয়ো’র একটি নোটে এ তথ্য প্রকাশ করেছে। ওই নোটে কুয়ো বলছেন, হেডসেটটি অ্যাপলের নকশা করা সবচেয়ে ‘কঠিন পণ্য’। তবে, ‘হেড-মাউন্টেড ডিসপ্লে’র বাজারে প্রতিষ্ঠানটিকে ‘দ্রুত এগোতে’ সাহায্য করবে হেডসেটটির উন্মোচন।

নির্দিষ্ট মাস উল্লেখ করার বিষয়টিকে বিশ্লেষকের ‘গভীর আত্মবিশ্বাস’ হিসাবে চিহ্নিত করে প্রযুক্তিবিষয়ক সাইট ভার্জ জানিয়েছে, অ্যাপল হেডসেট উন্মোচনের সম্ভাব্য তারিখ নিয়ে এটিই কুয়োর প্রথম অনুমান নয়। তবে, আগের সব অনুমানে তুলনামূলক বিস্তৃত সময়কাল উল্লেখ করেছেন তিনি।

২০২১ সালে তিনি বলেছেন, হেডসেটটি ২০২২ সালের কোনো এক সময় উন্মোচিত হতে পারে। গেল মে মাসেও তিনি অনুমান করেন, ২০২৩ সালের দ্বিতীয় প্রান্তিকের কোনো এক সময়ে আসতে পারে হেডসেটটি। অ্যাপলের হেডসেটের কার্যক্রম নিয়ে বেশ কয়েকটি প্রতিবেদনের সঙ্গে মিলে যাচ্ছে কুয়োর এই অনুমান। ওইসব প্রতিবেদন অনুযায়ী, মে মাসের শুরুতে অ্যাপল পরিচালনা পর্ষদে দেখানো হয়েছে হেডসেটটি। অ্যাপলের হেডসেট উন্মোচনে কুয়োর অনুমানই সঠিক হবে, বিষয়টি এমন নয়।

© JUGANTOR.COM
]]>
<![CDATA[এআই খেলছে মাইনক্র্যাফট]]> https://www.jugantor.com/todays-paper/it-world/567207/এআই-খেলছে-মাইনক্র্যাফট 567207 2022-06-28T00:00:00+06:00 আইটি ডেস্ক এআই খেলছে মাইনক্র্যাফট

এআই খেলছে মাইনক্র্যাফট

আইটি বিশ্ব

আইটি ডেস্ক

গেম খেলায় মানুষের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে পটু হয়ে উঠছে এআই। আর্টিফিসিয়াল ইন্টেলিজেন্স গবেষকরা একটি নিউরাল নেটওয়ার্ককে মাইনক্র্যাফট খেলা শিখিয়েছেন। দেখা গেছে, এটি এত ভালো গেম খেলছে যে, মানব গেমারদের সঙ্গে এর কার্যক্ষমতা তুলনা করা হচ্ছে।

মাইনক্র্যাফটের ৭০ হাজার ঘণ্টার ফুটেজ দেখিয়ে একটি নিউরাল নেটওয়ার্ককে (এআই) গেম খেলতে শিখিয়েছেন এআই গবেষণা সংস্থা ‘ওপেনএআই’-এর গবেষকরা। এমনকি চুক্তিভিত্তিক গেমারদের গেমের ভেতরে নির্দিষ্ট কিছু জটিল কাজ সম্পন্ন করার ভিডিওর ছোট একটি ডেটাবেজ থেকেও প্রশিক্ষণ নিয়েছে নিউরাল নেটওয়ার্কটি। এর পাশাপাশি, গেমারদের মাউস ও কিবোর্ড ইনপুটের তথ্যও ছিল ডেটাবেজে।

প্রশিক্ষণ শেষে এআইটি এখন গেমের ভেতরে ‘সব ধরনের জটিল কাজ করতে সক্ষম’ বলে জানিয়েছে প্রযুক্তিবিষয়ক সাইট টেকরেডার। গেমের ভেতরে সাঁতার কাটা, শিকার করা, শিকার করা প্রাণীর মাংস খাওয়া, এর সবই করতে পারে এআইটি।

এ প্রসঙ্গে এক ব্লগ পোস্টে ওপেন এআই বলেছে, ‘যদিও আমরা কেবল মাইনক্র্যাফটে পরীক্ষা চালিয়েছি, গেমটি ওপেন-এনডেড এবং গেমারদের ব্যবহৃত দুই মূল ইন্টারফেইস-মাউস ও কিবোর্ডের ব্যবহারও এখানে খুবই সাধারণ। তাই আমরা মনে করি, (এআইয়ের) কম্পিউটার চালানোর মতো একই ধরনের কাজের জন্যও এটি সুখবর।’ তবে, এআইটির সবচেয়ে বড় অর্জন সম্ভবত এর গেমের ভেতর হীরা দিয়ে টুল বানানোর সক্ষমতা। গেমের ভেতর এ কাজটি করতে অনেক জটিল পদক্ষেপ অনুসরণ করতে হয় গেমারকে। ওপেন এআই নিউরাল নেটওয়ার্কের এ সক্ষমতাকে একটি কম্পিউটারের জন্য ‘অভাবনীয় সাফল্য’ বলে আখ্যা দিচ্ছে।

নিউরাল নেটওয়ার্কটির সাফল্য এআই মডেলকে প্রশিক্ষণ দিতে ওপেন এআইয়ের নতুন কৌশল ‘ভিডিও প্রিট্রেইনিং (ভিপিটি)’ এর কার্যকারিতার প্রমাণ দিচ্ছে। ওপনএআই বলছে, সাধারণ কম্পিউটারকেন্দ্রিক এআই প্রযুক্তি নির্মাণের গতি আরও বাড়াবে এ প্রশিক্ষণ কৌশল।

© JUGANTOR.COM
]]>
<![CDATA[তিন ক্লিকে অনলাইনে জিডি]]> https://www.jugantor.com/todays-paper/it-world/567206/তিন-ক্লিকে-অনলাইনে-জিডি 567206 2022-06-28T00:00:00+06:00 সাইফ আহমাদ তিন ক্লিকে অনলাইনে জিডি

তিন ক্লিকে অনলাইনে জিডি

আইটি বিশ্ব

সাইফ আহমাদ

প্রাথমিক পর্যায়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা এবং ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের আওতায় বিভিন্ন থানা এলাকায় পরীক্ষামূলকভাবে অনলাইনে জিডি করা যাচ্ছে। যাত্রা সফল হলে পরবর্তীতে সারা দেশেই এ সুবিধা চালু করা হবে।

যেভাবে রেজিস্ট্রেশন ও জিডি করবেন-

নিবন্ধনের জন্য ‘অনলাইন জিডি’ অ্যাপটি ডাউনলোড করে ফোনে ইনস্টল করুন।

প্রথম ধাপ

* রেজিস্ট্রেশনে ক্লিক করতে হবে।

* জাতীয় পরিচয়পত্র নম্বর টাইপ করতে হবে।

* বর্তমান ঠিকানাটি লিখতে হবে।

* তুলতে হবে লাইভ ছবি।

* সচল মোবাইল (পরবর্তী সময়ে আপনার ইউজার নেম) ও ই-মেইল (যদি থাকে) এবং পাসওয়ার্ড প্রদান করতে হবে।

* আপনার পরিচয় নিশ্চিত করার জন্য এসএমএসের মাধ্যমে একটি কোড (ওটিপি) আপনার দেওয়া মোবাইল নম্বরে পাঠানো হবে।

* কোডটি (ওটিপি) যথাস্থানে সঠিকভাবে লিখতে হবে।

দ্বিতীয় ধাপ

অভিযোগের ধরন এবং আপনার কী হারিয়েছে অথবা কী খুঁজে পেয়েছেন তা নির্বাচন করতে হবে এবং কোন জেলায় ও কোন থানায় জিডি করতে চান তা নির্বাচন করে ঘটনার সময় ও স্থান লিখে ‘পরবর্তী’ ধাপ বাটনে ক্লিক করতে হবে।

তৃতীয় ধাপ

* আপনার বর্তমান ঠিকানা ও ঘটনা সম্পর্কে আরও বিস্তারিত লিখতে হবে।

* অভিযোগ সম্পর্কিত কোনো ডকুমেন্ট থাকলে সেগুলো যুক্ত করুন। ‘সাবমিট’ বাটনে ক্লিক করে জমা দিতে হবে অথবা এডিট বাটনে ক্লিক করে ফরম পূরণে কোনো সমস্যা হলে তা সমাধান করতে হবে।

* আবেদন সম্পন্ন হলে পরবর্তী সময়ে লগইন করে জিডির সর্বশেষ অবস্থা জানা যাবে। লগইন পেজে ইউজারের ঘরে আপনার মোবাইল নম্বর এবং আগে প্রদানকৃত পাসওয়ার্ড দিয়ে লগইন-এ ক্লিক করতে হবে।

* চাইলে জিডির কপি ডাউনলোড করে সেটির সফট কপি অন্য কাউকে পাঠানোও যাবে। এ ছাড়া প্রতিবার ওয়েবসাইটে লগইন করে জিডির সর্বশেষ অবস্থা জানা যাবে।

© JUGANTOR.COM
]]>
<![CDATA[অবহেলিত ‘সেবা প্রদান প্রতিশ্রুতি’]]> https://www.jugantor.com/todays-paper/window/567205/অবহেলিত-সেবা-প্রদান-প্রতিশ্রুতি 567205 2022-06-28T00:00:00+06:00 মো. ফিরোজ মিয়া অবহেলিত ‘সেবা প্রদান প্রতিশ্রুতি’

অবহেলিত ‘সেবা প্রদান প্রতিশ্রুতি’

বাতায়ন

মো. ফিরোজ মিয়া

সরকারি পরিষেবার মানোন্নয়নের উদ্দেশ্যে সিটিজেন চার্টার বা নাগরিক সনদের ধারণাটি ১৯৯১ সালে যুক্তরাজ্যের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী জন মেজর জাতীয় কর্মসূচি হিসাবে শুরু করেছিলেন। পরবর্তী পর্যায়ে ১৯৯৮ সালে টনি ব্লেয়ার ধারণাটিকে আরও সমৃদ্ধরূপে গ্রহণ করেন এবং এর পুনঃনামকরণ করেন ‘সার্ভিসেস ফাস্ট’ হিসাবে। সরকারি পরিষেবার মানোন্নয়নের জন্য ধারণাটি খুবই কার্যকর হওয়ায় সারা বিশ্বে তা খুবই জনপ্রিয়তা অর্জন করে। বিশ্বের অনেক দেশ ধারণাটি ভিন্ন ভিন্ন নামে ও ভিন্ন ভিন্ন ফর্মে গ্রহণ করে। অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশও ২০০৭ সালে ধারণাটি গ্রহণ করে একটি পরিপত্র জারি করে। পরবর্তী পর্যায়ে সচিবালয় নির্দেশমালায়ও বিষয়টি অন্তর্ভুক্ত করা হয়। কিন্তু এ সংক্রান্ত নির্দেশনা জারি করা হয় ২০১৭ সালে। পরিপত্র জারি থেকে নির্দেশনা জারিতে সময় লাগে প্রায় ৯ বছর। বাংলাদেশে ‘সিটিজেন চার্টারে’র নামকরণ করা হয় ‘সেবা প্রদান প্রতিশ্রুতি’।

বর্তমানে বিশ্বব্যাপী এটি স্বীকৃত যে, অর্থনৈতিক ও সামাজিক উভয় ধরনের টেকসই উন্নয়নের জন্য সুশাসন অপরিহার্য। সুশাসনের জন্য জনপ্রশাসনে থাকতে হয় স্বচ্ছতা, জবাবদিহিতা, দায় স্বীকারের মানসিকতা এবং দ্রুততার সঙ্গে প্রয়োজনীয় কার্যক্রম গ্রহণের সক্ষমতা। আর এসব নিশ্চিতকরণের জন্য সেবা প্রদান প্রতিশ্রুতি অত্যন্ত কার্যকর একটি ব্যবস্থা। তাছাড়া এ ব্যবস্থা সরকারি প্রতিষ্ঠানের প্রতি জনগণের আস্থা সৃষ্টিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। সরকারি পরিষেবার মান উন্নীতকরণ ছাড়াও জনপ্রশাসনকে জনবান্ধব প্রশাসনে পরিণত করাও সেবা প্রদান প্রতিশ্রুতির অন্যতম উদ্দেশ্য। এ উদ্দেশ্য বাস্তবায়নের জন্য সেবা প্রদান প্রতিশ্রুতি প্রণয়নের ক্ষেত্রে অত্যন্ত দক্ষতার পরিচয় দিতে হয়।

সেবা প্রদান প্রতিশ্রুতি শুরুর সময় খুবই তোড়জোড় করা হয়েছিল, পেটানো হয়েছিল ঢাকঢোলও। কিন্তু সময় যত গড়াতে থাকে, সেবা প্রদান প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়নের তোড়জোড় ততই কমতে থাকে। যুগান্তরের প্রতিবেদনে দেখা যায়, সেবা প্রদান প্রতিশ্রুতির বিষয়টি জনগণ ভুলতে বসেছে, জনপ্রশাসন তো বলতে গেলে ভুলেই গেছে। এ কারণে বলা যায়, সরকারের সেবা প্রদান প্রতিশ্রুতি বর্তমানে অনেকটা অবহেলিত।

জনপ্রশাসনের স্বচ্ছতা নিশ্চিতকরণ, সহজভাবে তথ্যপ্রাপ্তির অধিকার নিশ্চিতকরণ, জনপ্রশাসনের দক্ষতার উন্নয়ন এবং অংশীজনবান্ধব পন্থা গ্রহণের মাধ্যমে জনপ্রশাসনে জবাবদিহিতা আনয়ন ও সরকারি পরিষেবা প্রদানে অধিক গুরুত্বারোপের উদ্দেশ্যেই মূলত ‘সেবা প্রদান প্রতিশ্রুতি’ ধারণার সৃষ্টি। এটি নাগরিকদের ক্ষমতায়নে সহায়তা করে, পরিষেবা প্রদানে জনপ্রশাসনের জবাবদিহিতা বাড়ায়, সুশাসন প্রতিষ্ঠায় সহায়কের ভূমিকা পালন করে। এছাড়া সেবা প্রদান প্রতিশ্রুতির পরিমাপযোগ্য মান থাকায় সহজেই সরকারি প্রতিষ্ঠানের দুর্বলতা ধরা যায় এবং ওই দুর্বলতা দূরীকরণের চেষ্টা করা যায়। সেবা প্রদান প্রতিশ্রুতির উন্নতির বদলে এটি অবহেলিত হওয়া মোটেই কাম্য নয়।

বর্তমানে সেবা প্রদান প্রতিশ্রুতি নিছক একটি আনুষ্ঠানিকতায় রূপ নিয়েছে। এতে নাগরিকদের তেমন সম্পৃক্ততা নেই। জনপ্রশাসনের কর্মচারীরাও একে সরকারি অন্যান্য আদেশের মতো নিছক একটি সরকারি আদেশ হিসাবে গণ্য করে থাকে। সেবা প্রদান প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়নে তেমন কোনো আইনগত বাধ্যবাধকতা না থাকায় এবং ব্যর্থতার জন্য বা যথাযথভাবে প্রতিপালন না করার জন্য শাস্তির বিধান ও দৃষ্টান্ত না থাকায় এর বাস্তবায়নে জনপ্রশাসনের কর্মচারীদের তেমন আগ্রহ নেই, এমনকি তেমন কোনো চাপও নেই। এছাড়া সেবা প্রদান প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়নের জন্য জনপ্রশাসনের কর্মচারীদের মনমানসিকতার পরিবর্তনের উদ্যোগও তেমন দৃশ্যমান না হওয়ায় এর প্রতি জনগণের আস্থা থাকছে না।

সেবা প্রদান প্রতিশ্রুতি সরকারি পরিষেবার মানোন্নয়নের লক্ষ্যে সেবা প্রদানকারী প্রতিষ্ঠানের উদ্যোগে জনগণের অংশগ্রহণের মাধ্যমে প্রণীত এমন একটি দলিল বা ঘোষণাপত্র, যেখানে ওই সেবা প্রদানকারী প্রতিষ্ঠান কাদের কী ধরনের সেবা প্রদান করবে, কত সময়ের মধ্যে তা প্রদান করবে এবং সেবা প্রদান না করার ক্ষেত্রে প্রতিকারব্যবস্থা কী-এসব বিষয়ের উল্লেখ থাকে। এজন্য সেবা প্রদান প্রতিশ্রুতি হতে হয় মানসম্পন্ন। কারণ, সেবা প্রদান প্রতিশ্রুতির মানের ওপরও এর সাফল্য অনেকাংশে নির্ভরশীল। সেবাপ্রত্যাশীদের প্রত্যাশার প্রতিচ্ছবি থাকতে হয় সেবা প্রদান প্রতিশ্রুতিতে। এ কারণে সেবা প্রদান প্রতিশ্রুতি প্রণয়নে সেবাপ্রত্যাশীদের মতামত ও অংশগ্রহণ প্রয়োজন হয়। কিন্তু অধিকাংশ সেবা প্রদান প্রতিশ্রুতিই সেবাপ্রত্যাশীদের মতামত গ্রহণ না করে এবং তাদের প্রতিক্রিয়া কীরূপ হবে, তা বিবেচনা না করে একতরফাভাবে প্রণয়ন করা হয়েছে; যে কারণে সেবা প্রদান প্রতিশ্রুতি সেবাপ্রত্যাশী তথা জনগণের আস্থা অর্জনে অনেকটা ব্যর্থ হয়েছে। এছাড়া বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের সেবা প্রদান প্রতিশ্রুতির অধিকাংশই কাঙ্ক্ষিত মানেরও নয়। এমনকি অধিকাংশ প্রতিষ্ঠানেরই এর গুণগত মান উন্নীতকরণের আগ্রহও তেমন দেখা যায় না। অধিকাংশ সেবা প্রদান প্রতিশ্রুতি অনেকটা তথ্য কণিকার মতো, যেখানে কেবল কতিপয় তথ্য জুড়ে দেওয়া হয়েছে, যা সেবা প্রদান প্রতিশ্রুতির ধারণার সঙ্গে সংগতিপূর্ণ নয়।

সেবা প্রদান প্রতিশ্রুতি জবাবদিহিতামূলক জনবান্ধব জনপ্রশাসন গড়ার একটি উৎকৃষ্ট হাতিয়ার হওয়া সত্ত্বেও এ প্রতিশ্রুতিতে যেসব বিষয়ের অন্তর্ভুক্তি আবশ্যক, তার অনুপস্থিতি অধিকাংশ ক্ষেত্রেই লক্ষ করা যায়। সেবা প্রদান প্রতিশ্রুতিতে পরিষেবার সুস্পষ্ট মান নির্ধারিত থাকতে হয় এবং ওই মানগুলো পরিমাপযোগ্যও হতে হয়, থাকতে হয় সময়-সীমাবদ্ধতা। একে হতে হয় প্রাসঙ্গিক, নির্দিষ্ট ও নির্ভুল। এছাড়া এতে সহজ ও উন্মুক্তভাবে সব তথ্যের প্রকাশ করতে হবে। সেবাপ্রত্যাশীদের অংশগ্রহণ ও পরামর্শ গ্রহণের সুযোগ থাকতে হবে এবং সেবাপ্রত্যাশীদের চাহিদা অনুযায়ী সেবা প্রদানের সুযোগও থাকতে হবে। বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে ভুল সংঘটিত হলে তা সংশোধনের সুযোগও থাকতে হবে। কাঙ্ক্ষিত সেবা না পাওয়ার কারণে প্রতিকারের ব্যবস্থাসংক্রান্ত বিষয়গুলোর সুস্পষ্ট উল্লেখ থাকতে হবে। কিন্তু অধিকাংশ প্রতিষ্ঠানের সেবা প্রদান প্রতিশ্রুতিতেই এর অনুপস্থিতি লক্ষণীয়।

সেবাপ্রত্যাশীদের প্রত্যাশার প্রতিফলন থাকে, এরূপ সেবা প্রদান প্রতিশ্রুতি প্রণয়ন ও এর সফল বাস্তবায়নের মাধ্যমে জনপ্রশাসন জনবান্ধব প্রশাসনে পরিণত হবে-এটাই জনগণের প্রত্যাশা।

মো. ফিরোজ মিয়া : অবসরপ্রাপ্ত অতিরিক্ত সচিব, চাকরি ও আইনসংক্রান্ত গ্রন্থের লেখক

 

© JUGANTOR.COM
]]>
<![CDATA[ঘাটতি বাজেট থেকে কি বেরিয়ে আসা যায় না?]]> https://www.jugantor.com/todays-paper/window/567204/ঘাটতি-বাজেট-থেকে-কি-বেরিয়ে-আসা-যায়-না 567204 2022-06-28T00:00:00+06:00 আতাহার খান ঘাটতি বাজেট থেকে কি বেরিয়ে আসা যায় না?

ঘাটতি বাজেট থেকে কি বেরিয়ে আসা যায় না?

বাতায়ন

আতাহার খান

এবারও প্রস্তাবিত বাজেটে বিশাল অঙ্কের ঘাটতি দেখানো হয়েছে। এর পরিমাণ ২ লাখ ৪৫ হাজার ৬৪ কোটি টাকা। স্বাধীনতার ৫১ বছর পার হয়ে এসেছি, অথচ আজও ঘাটতি বাজেট থেকে আমরা বেরিয়ে আসতে পারিনি। প্রতিবছরই বাজেটে ঘাটতি থাকে, আর এর পরিমাণও কিন্তু কম নয়। ২০১৯-২০ অর্থবছরের বাজেট ছিল ৫ লাখ ২৩ হাজার ১৯০ কোটি টাকার। সেখানে ঘাটতির পরিমাণ ছিল ১ লাখ ৪১ হাজার ২১২ কোটি টাকা। আর ২০২০-২১ অর্থবছরের বাজেট ছিল ৫ লাখ ৬৮ হাজার কোটি টাকা। সেখানেও ঘাটতির পরিমাণ ছিল ১ লাখ ৯০ হাজার কোটি টাকা। ঘাটতি ২ লাখ কোটি টাকার কাছাকাছি। গত অর্থবছরের (২০২১-২২) বাজেটের পরিমাণ ছিল ৬ লাখ ৩ হাজার ৬৮১ কোটি টাকা। সেখানেও ঘাটতির পরিমাণ ছিল ২ লাখ ১৪ হাজার ৬৮১ কোটি টাকা। ঘাটতি বাজেট থেকে কি আমাদের মুক্তি নেই?

বছরের পর বছর এভাবে প্রতিবারই বাজেটের বিশাল অঙ্কের ঘাটতি পূরণ করা হয় অভ্যন্তরীণ খাত থেকে ঋণ নিয়ে। সর্বশেষ বাজেটের ঘাটতি পূরণের জন্য দরকার হয় ১ লাখ ১৩ হাজার ৪৫৩ কোটি টাকা। ব্যাংক খাত থেকে ঋণের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছিল ৭৬ হাজার ৪৫২ কোটি টাকা, সঞ্চয়পত্র থেকে ৩২ হাজার কোটি এবং অন্যান্য খাত থেকে ৫ হাজার ১ কোটি টাকা। এসব ঋণের বিপরীতে সুদ খাতে বরাদ্দ রাখা হয়েছিল ৬৭ হাজার ৫৮৯ কোটি টাকা।

এবারও আমরা সেই ঘাটতি বাজেটে আটকা পড়ে গেলাম। এখান থেকে কি আমরা কিছুতেই মুক্ত হতে পারব না? হ্যাঁ, সদিচ্ছা আর আন্তরিতা থাকলে যে কোনো অসম্ভব কাজও সম্ভব করে তোলা যায়, বাস্তবে তা রূপও দেওয়া যায়। এর জন্য দরকার হয় সরকারি সিদ্ধান্ত।

বহুমুখী চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করেই ৯ জুন জাতীয় সংসদে অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল ২০২২-২৩ অর্থবছরের বাজেট প্রস্তাব উপস্থাপন করেন। তাতে ব্যয় ধরা হয় ৬ লাখ ৭৮ হাজার ৬৪ কোটি টাকা আর আয় দেখানো হয় ৪ লাখ ৩৩ হাজার কোটি টাকা। এর মানে, ঘাটতির পরিমাণ পরিমাণ হলো ২ লাখ ৪৫ হাজার ৬৪ কোটি টাকা। হয়তো আগামী দু-একদিনের মধ্যে কিছু কাটছাঁটের মধ্য দিয়ে জাতীয় সংসদে গৃহীত হবে অবশ্যই জাতীয় বাজেট।

আমরা জানি, রাশিয়া আর ইউক্রেন যুদ্ধকে ঘিরে বিশ্বপরিস্থিতি উত্তপ্ত। বিশ্ব মন্দার গরম নিশ্বাস ঘাড়ের কলার ছুঁয়ে ছড়িয়ে পড়ছে বাতাসে। দেশে চলছে মূল্যবৃদ্ধির জোয়াল বয়ে বেড়ানো সাধারণ মানুষের দুর্দশা। তার ওপর একটা উল্লেখযোগ্যসংখ্যক মানুষ নাজুক দারিদ্র্যের কারণে খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে চলছে পথ। বিদ্যমান বহুমুখী এসব চ্যালেঞ্জ সামনে রেখে অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল বাজেট ঘোষণা করেন। সরকারের ভাষায় প্রস্তাবিত এই বাজেট হলো, ‘কোভিডের অভিঘাত পেরিয়ে উন্নয়নের ধারাবাহিকতায় প্রত্যাবর্তন।’

২০২২-২৩ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেট জাতীয় সংসদে ঘোষণার পর বিশেষজ্ঞ পর্যায়ের অনেকেই মতামত প্রকাশ করেছেন। কেউ বলেছেন, রাজনৈতিক উদ্দীপনার পরিসংখ্যান এটি। কেউ বলেছেন, বাজেটে মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণের দিকনির্দেশনা নেই, আবার কেউ বলেছেন, পাচারের টাকা ৭ শতাংশ কর দিয়ে ফেরত আনার কথা বলে সরকার প্রকারান্তরে প্রচলিত আইনকেই অস্বীকার করল। অর্থ পাচার হলো একটি অনৈতিক কাজ। এখন টাকা পাচারকারীরা প্রকাশ্যেই এ কাজ করার বৈধতা লাভ করবে।

প্রস্তাবিত বাজেট নিয়ে এমন মিশ্র প্রতিক্রিয়ার কথা জানিয়েছেন বিশেষজ্ঞ পর্যায়ের অনেকেই। পিআরআই-এর নির্বাহী পরিচালক আহসান এইচ মনজুর বলেছেন, এবারের বাজেট সময়ের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে করা হয়েছে। একে সংযত এবং সীমাবদ্ধ বাজেট বলে উল্লেখ করে তিনি আরও বলেন, সরকারি কর্মচারীদের বেতন, পেনশন, উন্নয়ন সহযোগীদের ঋণ পরিশোধে খরচ হয়ে যাবে বরাদ্দের বড় অংশ। তার ওপর আরও আছে সামাজিক সুরক্ষা কর্মসূচিতে অর্থায়ন। এতসবের পর সরকারের হাতে খুব একটা টাকা থাকে না। আহসান এইচ মনজুর প্রস্তাবিত বাজেটে বেশকটি অনিশ্চয়তার দিক উল্লেখ করেছেন। তার মধ্যে রয়েছে মূল্যস্ফীতি, সরকারের অভ্যন্তরীণ ব্যাংকনির্ভরতার কারণে বেসরকারি খাতের ভোগান্তি, রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা নিয়ে সংশয়, ভর্তুকি বরাদ্দ স্পষ্ট নয় ইত্যাদি।

ড. এবি মির্জ্জা আজিজুল ইসলামের মতে, জিডিপির আনুপাতিক হারে বাজেট ১৫ শতাংশ। এটি পৃথিবীর অন্যতম সর্বনিম্ন বাজেট-সামগ্রিকভাবে এর আকার বড় নয়। তিনি মনে করেন, বাজেটের আকার ছোট হলেও বাস্তবায়ন নিয়ে দেখা দেবে বড় সমস্যা। কারণ হিসাবে তিনি উল্লেখ করেছেন, এ বছর বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচি (এডিপি) বাড়ানো সত্ত্বেও ১০ মাসে বাস্তবায়ন হয়েছে ৫০ শতাংশের কিছু বেশি। এবারও এডিপির আকার বড় করা হয়েছে; কিন্তু এর বাস্তবায়ন নিয়ে তিনি সন্দেহ পোষণ করে বলেছেন, সরকারের উচিত বিষয়টির প্রতি গভীর মনোযোগ আরোপ করা।

অবশ্য অর্থমন্ত্রী তার বাজেট বক্তৃতায় ছয় ধরনের চ্যালেঞ্জের কথা বলেছেন। এগুলো হলো-মূল্যস্ফীতি, অভ্যন্তরীণ বিনিয়োগ বাড়ানো, বাড়তি হারে (গ্যাস, বিদ্যুৎ ও সার) ভর্তুকির জন্য টাকা জোগাড়; সবচেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ প্রকল্পগুলো বেঁধে দেওয়া সময়ের মধ্যে শেষ করা, শিক্ষা ও স্বাস্থ্য খাতের প্রকল্পগুলো ঠিক সময়ে বাস্তবায়ন, অভ্যন্তরীণ মূল্য সংযোজন করের পরিমাণ বৃদ্ধি এবং আয়কর দাতার সংখ্যা বাড়ানো, টাকার বিনিময় হার ও বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ সন্তোষজনকভাবে ঠিক রাখা।

উল্লিখিত চ্যালেঞ্জগুলোর স্বরূপ একধরনের নয়। কিছু চ্যালেঞ্জ আছে, যা স্বাভাবিক পথে মোকাবিলা করা সম্ভব। আর কিছু চ্যালেঞ্জ আছে মোকাবিলা করা কঠিন হবে, তাই বলে তা বাস্তবে রূপ দেওয়া অসম্ভব মনে করার কোনো কারণ নেই। শুধু দরকার হয় সরকারি সিদ্ধান্তের।

বাংলাদেশ মধ্যম আয়ের দেশ, এটি এখন পুরোনো খবর। ২০১৭-এর মাঝামাঝি এসে প্রয়োজনীয় শর্তসমূহ পূরণ করে বাংলাদেশ মধ্যম আয়ের দেশে পৌঁছে যায়। এটি ছিল তখন আমাদের জন্য সত্যই একটি সুখবর। এ সাফল্য নিয়ে গর্ব হয়। উন্নতির সূচক ঊর্ধ্বমুখী রেখে আমরা সামনের দিকে ধীরে ধীরে এগিয়েও যাচ্ছি। বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর রিপোর্ট অনুযায়ী, বাংলাদেশের মাথাপিছু আয় এখন ২ হাজার ৮১৪ ডলার অর্থাৎ দেশীয় মুদ্রায় এর পরিমাণ দাঁড়ায় প্রায় ২ লাখ ৪১ হাজার ৪৭০ টাকা। মাসওয়ারি হিসাব হলো ২০ হাজার ১২২ টাকা। মাথাপিছু আয়ের এ গড় হিসাব নিয়ে উচ্ছ্বসিত হওয়ার কিছু নেই। বাস্তবতা বলছে অন্য কথা। এখনো সমাজের বিশেষ শ্রেণির হাতে রয়ে গেছে সম্পদের পাহাড়। সেখানে আয়বৈষম্যও অত্যন্ত পরিষ্কার। এর মানে, ধনী ও দরিদ্রের মধ্যে রয়ে গেছে বড় ব্যবধান। বিশ্বব্যাংকের এক প্রতিবেদনে দেখা যায়, মাত্র ১০ শতাংশ ধনীর হাতে রয়ে গেছে দেশের ৩৫ শতাংশ সম্পদ। এ পরিসংখ্যানই কি পরিষ্কার করে দেয় না, ধনী-দরিদ্রের অবস্থান এখন কোন পর্যায়ে আছে? শুধু নিরুপায় দৃষ্টিতে আমাদের দেখতে হয় এদেশে ১৮ কোটির মধ্যে ৪ কোটি ৬০ লাখ মানুষ বাস করে দারিদ্র্যসীমার নিচে। এর মধ্যে আবার চরম দরিদ্র মানুষের সংখ্যা ২ কোটি ৫৬ লাখ। আরও বড় চিন্তার কারণ হলো দেশের অর্ধেক মানুষরই নেই অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডের সঙ্গে কোনোরকম সংশ্লিষ্টতা। এ বাস্তবতা বজায় থাকার পরও স্বীকার করতেই হবে, সাধারণ মানুষের কাছে টাকা আছে, তাদের ক্রয়ক্ষমতাও বেড়েছে। এটি শুভ লক্ষণ।

আমাদের মানতেই হবে, দেশের ভেতরে ব্যবসা-বাণিজ্যের সূচক ঊর্ধ্বমুখী রাখার জন্য প্রয়োজন সুস্থ ধারার রাজনীতি। সেখানে সরকারি ও বিরোধী উভয়কেই চাই দায়িত্বশীল ভূমিকায়। অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডকে এগিয়ে নেওয়ার প্রশ্নে দেশে সুস্থ অবস্থা বজায় রাখা দরকার। তাছাড়া টাকার জন্য চাই বাংলাদেশকে নিরাপদ জায়গায় পরিণত করা। অনুকূল পরিবেশে সে চলাচল করতে ভালোবাসে। দেশের রাজনীতি যদি উত্তপ্ত থাকে, দলগুলো যদি সংঘাত আর হানাহানিতে জড়িয়ে পড়ে, তাহলে টাকা পাড়ি জমায় অন্য কোনো নিরাপদ জায়গায়। মুহূর্তেই দেশ থেকে বের হয়ে যাবে বিশাল অঙ্কের টাকা। সে তার নিজ প্রয়োজনেই খুঁজে নেবে নিরাপদ কোনো দেশ। তাই দেশের উন্নতির স্বার্থে অশান্ত রাজনীতি কাম্য হতে পারে না। সংঘাতের পথে না গিয়ে সরকার আর বিরোধী উভয় পক্ষকেই সমঝোতার মধ্য দিয়ে দেশে সহনশীল পরিবেশ ফিরিয়ে আনার ক্ষেত্রে হতে হবে যত্নশীল। এর মানে, এটিও একটি যুদ্ধ-অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ যুদ্ধ। সেখানে আমাদের প্রত্যেককেই এক একজন সফল যোদ্ধার ভূমিকায় থাকা উচিত। এসবই নির্ভর করবে সরকারের সঠিক সিদ্ধান্ত গ্রহণ ও তা বাস্তবায়নের ওপর। তাই সামষ্টিক অর্থনীতির স্বাস্থ্য মজবুত রাখার স্বার্থে ঘাটতি বাজেটের অভিশাপ থেকে যে করেই হোক বেরিয়ে এসে এবং অর্থনীতির সূচক ঊর্ধ্বমুখী রেখে আমাদের এগিয়ে যেতে হবে উন্নত দেশের অভিমুখে।

এজন্যই আমাদের পরবর্তী লক্ষ্য স্থির করা হয়েছে ‘ভিশন-৪১’। হাতে আছে আর ১৯ বছর। এ সময়ের মধ্যে বাংলাদেশকে উন্নত দেশের কাতারে প্রবেশ করতে হলে দরকার সপ্তম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনার বাস্তবায়ন। যদি সাফল্যজনকভাবে এ পরিকল্পনা বাস্তবে রূপ দেওয়া সম্ভব হয়, তাহলে উন্নত দেশের পথে বাংলাদেশ বেশ খানিকটা এগিয়ে যাবে, সন্দেহ নেই। এখানে আমাদের মনে রাখা দরকার, উন্নত দেশের কাতারে প্রবেশ করাটা খুব একটা সহজ হবে না। অন্তত মধ্যম আয়ের দেশের কাতারে প্রবেশের মতো তো সহজ হবেই না। উন্নত দেশের সোপানে প্রবেশ করতে হলে জাতিসংঘ নির্ধারিত টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (এসডিজি) আগে অর্জন করতে হবে। সেই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রার জন্য প্রয়োজন হবে শিল্প-অবকাঠামো, অর্থনৈতিক ও সামাজিক খাতের ব্যাপক উন্নয়ন। এজন্য সঠিক পরিকল্পনা গ্রহণ ছাড়াও পরিকল্পনা বাস্তবায়নের জন্য প্রচুর অর্থের প্রয়োজন। পরিকল্পনা মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা যায়, এসডিজি লক্ষ্যমাত্রা অর্জনের জন্য প্রথম ১২ বছরেই অতিরিক্ত ৯২৮.৪৮ বিলিয়ন ডলারের প্রয়োজন। বিপুল পরিমাণের অর্থ। সেজন্য চাই বিকল্প উৎস থেকে রাষ্ট্রের নিয়মিত টাকা আয়ের সুযোগ।

শুরুতে আমরা বলেছিলাম, ঘাটতি বাজেটের ঘোরপ্যাঁচ থেকে কি আমরা কখনো বেরিয়ে আসতে পারব না? হ্যাঁ, পথ অবশ্যই খোলা আছে। দেশে আশানুরূপ না হলেও বিদেশি বাণিজ্যিক বিনিয়োগ কিছু না কিছু আসছেই। এ বাণিজ্যিক বিনিয়োগ আসার কারণ কারও অজানা নয়। উন্নত দেশগুলোর তুলনায় আমাদের এখানে শ্রমের দাম অনেক কম-পানির মতো সস্তা আর কী! তাই অধিক মুনাফার আশায় উন্নত দেশগুলো তৃতীয় বিশ্বের বিভিন্ন দেশে বিনিয়োগের আগ্রহ প্রকাশ করে। এসব বিনিয়োগের ধরন এবং ভবিষ্যৎ নিয়ে বিচার-বিশ্লেষণ করে ঝুঁকিমুক্ত প্রকল্পে সরকার দেশের স্বার্থে মোট মূলধনের কমপক্ষে ১০ শতাংশ অংশীদার হতে পারে। এর জন্য একটি আইন করে নিলেই হলো। এ ধরনের কিছু বাণিজ্যিক বিনিয়োগকৃত মূলধনের মালিকানাসূত্রে বছর শেষে মুনাফা কিন্তু একদম কম নয়, সেখানে খুব ভালো অঙ্কের লভ্যাংশ পাওয়া যাবে। তাতে রাষ্ট্রই হবে বেশি লাভবান। এতে বাজেটে ঘাটতির চাপ অনেক কমে আসবে।

পাশাপাশি আমাদের উদ্দেশ্য থাকা উচিত কী করে অভ্যন্তরীণ ও বহির্বিশ্ব উভয় খাত থেকেই আয় বাড়ানো যায়। সেজন্য দেশের ভেতরে রাজস্ব আয়ের পরিধি আরও বড় করতে হবে, এর মানে কর-আওতার মধ্যে থাকবেন দেশের সব শ্রেণির মানুষ। অন্তত ইউনিয়ন পর্যায় পর্যন্ত তো বটেই। কর ব্যবস্থাপনার আওতায় ভারী ও মাঝারি শিল্প তো আছেই, সেখানে নিয়ে আসতে হবে প্রান্তিক পর্যায়ের সক্ষম ক্ষুদ্র হস্তশিল্পকেও। উৎপাদনব্যবস্থার সঙ্গে যুক্ত সবাইকেই কর আর ভ্যাটের আওতায় নিয়ে আসা দরকার। অন্তত বাজেটের ঘাটতি পূরণের জন্য রাজস্ব আয় বাড়ানো ছাড়া দ্বিতীয় কোনো উপায় নেই। কর ও ভ্যাট আদায়ের ক্ষেত্রে প্রয়োজন শুধু জবাবদিহিতা ও স্বচ্ছতা।

আমাদের লক্ষ্য সামনের দিকে এগিয়ে যাওয়া-মধ্যম আয়ের দেশ থেকে উন্নত দেশ অভিমুখে। সেই পথে হাঁটতে হলে আগে ঘাটতি-অভিশাপ থেকে বাজেটকে রেহাই দিতে হবে। সেই পথই আমাদের খুঁজে বের করা প্রয়োজন এখন।

আতাহার খান : সাংবাদিক, মুক্তিযোদ্ধা, কবি

© JUGANTOR.COM
]]>
<![CDATA[শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান স্থাপনে অস্বাস্থ্যকর প্রতিযোগিতা]]> https://www.jugantor.com/todays-paper/sub-editorial/567203/শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান-স্থাপনে-অস্বাস্থ্যকর-প্রতিযোগিতা 567203 2022-06-28T00:00:00+06:00 বিমল সরকার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান স্থাপনে অস্বাস্থ্যকর প্রতিযোগিতা

শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান স্থাপনে অস্বাস্থ্যকর প্রতিযোগিতা

উপসম্পাদকীয়

বিমল সরকার

কেবল আমাদের দেশে নয়, গোটা উপমহাদেশেই আধুনিক শিক্ষাব্যবস্থার গোড়াপত্তন হয় ইংরেজদের উদ্যোগ আর চেষ্টায়। শিক্ষাবিষয়ক বিভিন্ন আইন-কানুন ও বিধিবিধানেরও প্রবর্তক মূলত তারাই। দিনে দিনে ইংরেজদের প্রণীত এসব আইন-কানুন ও বিধিবিধানের ওপর ভিত্তি করেই প্রধানত আমাদের অঞ্চলে সময় সময় বিভিন্ন স্তরের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান গড়ে ওঠে এবং পরিচালিত হয়ে আসছে। প্রায় ২০০ বছর শাসন করে দেশ থেকে ইংরেজদের বিদায় নেওয়ার পর আমরা নতুন করে পাকিস্তানি ঔপনিবেশিক শাসনের বেড়াজালে আটকে ছিলাম আরও চব্বিশটি বছর। লক্ষ্য করার বিষয়, কেবল শিক্ষাক্ষেত্রে নয়-অন্যসব ক্ষেত্রেও একেবারে শুরু থেকে এ পর্যন্ত আমরা ইংরেজ প্রণীত আইন-কানুনগুলোর খুব একটা রদবদল বা সংস্কার করতে পারিনি। রদবদল বা সংস্কার এবং নতুন আইন-কানুন প্রবর্তন একেবারেই হয়নি তা নয়, হয়েছে অবশ্যই। তবে কিছু কিছু ক্ষেত্রে ব্যতিক্রম ছাড়া রদবদল বা সংস্কার এবং নতুন কিছু করার নামে যখন যেখানেই হাত দেওয়া হয়েছে, সেখানেই কোনো না কোনোভাবে হোঁচট খেতে হয়েছে। এতে সৃষ্টি হয়েছে নানা ধরনের বিপত্তি, যা এখন পর্যন্ত চলমান রয়েছে। দেখা গেছে, কোনো একটি বিষয়ে আইন জারি করা হলো। কয়েকদিন যেতে না যেতে, আইনটি বলবৎ বা কার্যকর করার আগেই তা সংশোধন করতে হয়েছে। অতীতে তো বটেই, এমনকি সাম্প্রতিককালেও এমন অনেক উদাহরণ রয়েছে।

১৯৭১ সাল। এখন আর ইংরেজ ঔপনিবেশিক আমল নয়। পাকিস্তানি শাসনও নয়। ঔপনিবেশিক শাসন ও শোষণের নিগড় থেকে বের হয়ে আমরা স্বাধীন সার্বভৌম রাষ্ট্র গঠন করেছি। আমরা বাংলাদেশ নামে স্বাধীন রাষ্ট্রের নাগরিক। ইংরেজ-পাকিস্তানিদের হটিয়ে নিজেরা স্বাধীনভাবে পথ চলতে শুরু করেছি। পাকিস্তান আমলে (১৯৪৭-১৯৭১) তৎকালীন পূর্ববঙ্গ বা পূর্ব পাকিস্তানে নতুন কোনো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান (মাধ্যমিক স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসা) স্থাপন করতে হলে যেসব শর্ত পূরণ করার বাধ্যবাধকতা ছিল, স্বাধীনতা লাভের পর সময়ের সঙ্গে সংগতি রেখে তা অনেকটা শিথিল করা হয়। আগে শহর এলাকায় একটি মাধ্যমিক স্কুল স্থাপন করতে হলে ওই প্রতিষ্ঠানের নামে কমপক্ষে এক একর এবং গ্রাম এলাকায় দেড় একর জমি থাকতে হতো। স্বাধীনতার পর ১৯৭২ সালে শহরের ক্ষেত্রে তা আধা একর (৫০ শতাংশ) এবং গ্রামের ক্ষেত্রে এক একরে কমিয়ে আনা হয়। কলেজ প্রতিষ্ঠার বেলায়ও এমনই। শহরে তিন একরের স্থলে দেড় একর জমি থাকা চাই। অবশ্য গ্রামাঞ্চলে কোনো কলেজ স্থাপন করতে হলে আগের তিন একর জমি থাকার বিধানই স্বাধীনতার পর (১৯৭২) বহাল রাখা হয়। আর রাজধানী ঢাকা এবং অন্যান্য বিভাগীয় শহরের ক্ষেত্রে কলেজের নামে এক একর জমি থাকলেই চলবে।

গ্রুপ অনুযায়ী (মানবিক, বিজ্ঞান ইত্যাদি) রিজার্ভ ফান্ডের ব্যাপারেও আগের শর্তগুলো শিথিল করা হয়। পাকিস্তান আমল থেকে গ্রুপ অনুযায়ী ১০ থেকে ২০ হাজার টাকা জমা রাখার বিধান ছিল। নতুন সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, কলেজের একটি গ্রুপ খোলার জন্য শুধু ৫ হাজার টাকার রিজার্ভ ফান্ড থাকতে হবে। এতে আরও বলা হয়, প্রতিটি অতিরিক্ত গ্রুপ খোলার জন্য আড়াই হাজার টাকার রিজার্ভ ফান্ড হলেই চলবে। নতুন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান (স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসা) স্থাপনের ব্যাপারে ১৭ আগস্ট ১৯৭২ একটি সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। সরকারি ওই সিদ্ধান্তের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ দিকটি হলো; এতে বলা হয়-‘দুইটি কলেজ বা প্রতিষ্ঠানের দূরত্ব কী হবে, তা নির্ধারণে আঞ্চলিক প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দিতে হবে।’

এই ছিল স্বাধীনতার অব্যবহিত পর দেশে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান স্থাপনে সরকারের নীতি ও মনোভাব। দিন যায়, মাস ও বছরও গড়াতে থাকে। এভাবে দশকের পর দশক। এক সরকার যায়, নতুন সরকার আসে। দেখতে দেখতে এভাবেই পঞ্চাশ বছর পার। খুবই আক্ষেপের ব্যাপার হলো, নতুন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান স্থাপনে সেই পাকিস্তান আমলেও মোটামুটি মানানসই একটি নীতিমালা ছিল; কিন্তু স্বাধীন দেশে এত বছর পর এ ক্ষেত্রে আমরা কী দেখছি?

২.

‘চারঘাটের এক ইউনিয়নে ছয়টি কলেজ!’ এটি ২০০৫ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে দেশের প্রথম শ্রেণির একটি জাতীয় দৈনিকে প্রকাশিত খবরের শিরোনাম। উল্লিখিত খবরটি শুরু করা হয়েছে ঠিক এভাবে-শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের হিসাবে রাজশাহীর চারঘাট উপজেলার জনসংখ্যা অনুযায়ী প্রাপ্যতার চেয়ে আটটি কলেজ বেশি প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। আর প্রস্তাবিত কলেজ মিলে এ সংখ্যা আরও বেশি। বর্তমানে চারঘাট উপজেলার ছয়টি ইউনিয়নে কারিগরি ও সাধারণ কলেজ মিলে এ সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২০-এ। ‘এর মধ্যে একটি ইউনিয়নেই কলেজ হচ্ছে ছয়টি।’ পাঠকের ধৈর্যচ্যুতির আশঙ্কায় খবরের বিস্তারিত আর উল্লেখ করলাম না।

‘এত কলেজ কেন : এভাবে শিক্ষার মান বাড়ানো যায় না।’ এটি অবশ্য কোনো খবরের শিরোনাম নয়। প্রকাশিত খবরের ওপর ভিত্তি করে লেখা সম্পাদকীয়র শিরোনাম এটি। ২০০৬ সালের জুলাই মাসে প্রকাশিত ওই সম্পাদকীয়টি শুরু করা হয় এভাবে-‘রাজনৈতিক বিবেচনায় কলেজ চালু করলে যা হয়, ঠিক তা-ই হয়েছে যশোরের মনিরামপুর উপজেলায়। সরকারি নিয়ম-নীতির তোয়াক্কা না করে গত ১০-১১ বছরে এ এলাকায় একের পর এক ডজনখানেক কলেজ চালু করা হয়েছে। বর্তমানে উপজেলার ১৭টি ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভায় মোট ১৫টি কলেজ আছে। মাত্র ৩ লাখ ৮২ হাজার ৫০০ মানুষ এখানে বাস করে। নিয়ম আছে ৭৫ হাজার বসবাসকারীর জন্য একটি কলেজ থাকতে পারে। সেই হিসাবে বড়জোর ছয়টি কলেজই এখানে থাকতে পারত। কিন্তু কলেজের বন্যায় শিক্ষা ভেসে যাওয়ার উপক্রম হয়েছে। এসএসসি বা এইচএসসি পরীক্ষার ফলাফলের সময় যত এগিয়ে আসতে থাকে, ততই আতঙ্কিত হতে থাকেন কলেজ শিক্ষকরা। কলেজের পরিচালনা পর্ষদ আগেই বলে দেয়, শিক্ষার্থী সংগ্রহ করতে না পারলে শিক্ষকদের রুটি-রুজির ওপরই আঘাত আসবে। সুতরাং মানুষ গড়ার কারিগররা তখন শিক্ষার্থী-শিকারি হয়ে সময় কাটান। বিষয়টি দুঃখজনক।’ একই কারণে সম্পাদকীয়টির বাকি অংশ উল্লেখ না করে ক্ষান্ত দিলাম।

‘নিয়োগ-বাণিজ্যের স্বার্থে সুন্দরগঞ্জে নয় কিলোমিটারেই ১৩টি কলেজ!’ শিরোনামের খবরটি ২০০৮ সালের জুলাই মাসের। তিন কলামে ছাপানো বেশ বড় ওই খবরটিতে বলা হয়-‘নিয়ম-কানুন উপেক্ষা করে গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ উপজেলায় মাত্র নয় কিলোমিটার এলাকার মধ্যে গড়ে উঠেছে ১৩টি কলেজ। এখানে ৫০ থেকে ২০০ গজ দূরত্বের মধ্যেও একাধিক কলেজ আছে। সুন্দরগঞ্জে ১৯৯৫ থেকে ২০০২ সাল পর্যন্ত সাত বছরে ১২টি কলেজ গড়ে উঠেছে। অভিযোগ আছে, শিক্ষা বোর্ডের কতিপয় কর্মকর্তার যোগসাজশে ও তৎকালীন সাংসদের প্রভাবে নিয়োগ-বাণিজ্যের স্বার্থে এসব কলেজ গড়ে উঠেছে।’

এ তো গেল আজ থেকে দশ বা পনেরো বছর আগের কথা। নতুন নতুন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান স্থাপন নিয়ে হাল-জমানায় কীসব হচ্ছে? ‘সাংসদদের চাপে নতুন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান অনুমোদন দিতে হয়’-একজন সংসদ-সদস্যের প্রশ্নের জবাব দিতে গিয়ে সাবেক শিক্ষামন্ত্রী (২০০৯-২০১৮) নুরুল ইসলাম নাহিদ সংসদকে এ কথা জানান। বক্তব্যটি বছর ছয়েক আগের (২০১৬) হলেও এর প্রাসঙ্গিকতাকে আজও অস্বীকার করা বা এড়িয়ে যাওয়ার সুযোগ আছে বলে মনে করি না। শিক্ষামন্ত্রী (নুরুল ইসলাম নাহিদ) বলেন, ‘সাংসদরা অনুরোধ করেন বলে আমাদের নতুন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান অনুমোদন দিতে হয়। এক কথায় সাংসদদের চাপে নতুন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান করার অনুমতি দিতে হয়। আমরা সেই সময় বলে দিই অনুমতি দিচ্ছি, তবে বেতন দিতে পারব না। যদিও আমরা বেতন দিতে বাধ্য।’ শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘এবার (২০১৬) যারা এসএসসি পাশ করেছে, তাদের সবাই ভর্তি হওয়ার পরও সারা দেশের সাত লাখ আসন ফাঁকা আছে। বোঝেন তাহলে কী পরিমাণ কলেজ আমরা খুলেছি।’ (সূত্র : বিভিন্ন জাতীয় দৈনিক, ২৭ জুলাই ২০১৬)।

রাজনৈতিক বিবেচনা বা সংসদ-সদস্যদের চাপে কলেজ প্রতিষ্ঠা কিংবা প্রতিষ্ঠিত কলেজকে ডিগ্রি-স্তরে উন্নীতকরণের প্রয়াস নতুন নয়; বরং অনেক পুরোনো। এ ক্ষেত্রে কোন রাজনৈতিক দল বা কার নেতৃত্বে গঠিত সরকার ক্ষমতায়, সেটি বড় কথা নয়। অনেকটা যেন ‘সব শেয়ালের এক রা’। এখানে রাজনৈতিক বিবেচনা মানে চাপের কাছে নতি স্বীকার করা।

প্রচলিত নীতিমালা লঙ্ঘন এবং কোনো রকম বাছবিচার না করে, কখনো কখনো রাজনৈতিক বিবেচনায় যেখানে সেখানে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান স্থাপনের এ প্রবণতা বন্ধ হওয়া দরকার। এটা খুবই অশুভ এবং এক ধরনের অসুস্থ প্রতিযোগিতা।

বিমল সরকার : অবসরপ্রাপ্ত কলেজ শিক্ষক

 

© JUGANTOR.COM
]]>
<![CDATA[বন্যা মোকাবিলায় গুরুত্ব বাড়াতে হবে]]> https://www.jugantor.com/todays-paper/sub-editorial/567202/বন্যা-মোকাবিলায়-গুরুত্ব-বাড়াতে-হবে 567202 2022-06-28T00:00:00+06:00 ড. এস এম জাহাঙ্গীর আলম বন্যা মোকাবিলায় গুরুত্ব বাড়াতে হবে

বন্যা মোকাবিলায় গুরুত্ব বাড়াতে হবে

উপসম্পাদকীয়

ড. এস এম জাহাঙ্গীর আলম

আবহমানকাল ধরেই বাংলাদেশের মানুষ বন্যা নামক প্রাকৃতিক দুর্যোগের সঙ্গে লড়াই করে যাচ্ছে। বাংলাদেশের ওপর দিয়ে মৌসুমি বায়ু প্রবাহিত হয়। মৌসুমি বায়ুর প্রভাবে এখানে ভারি বর্ষণ অনিবার্য। বাংলাদেশে সাধারণত আষাঢ়-শ্রাবণ এই দুই মাসে বন্যা দেখা যায়। তবে বর্ষার অনেক পরও কোনো কোনো সময় বন্যা দেখা দেয়। তবে পাহাড়ি ঢল বা উজান থেকে আসা পানিতেই আমাদের দেশে অধিকাংশ সময় বন্যা হয়। প্রতিবছর দেখা যায় বর্ষার শুরুতেই প্রথমে আসাম ও পরে বাংলাদেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চলে বন্যা দেখা দেয়। এতে দেশের নিুাঞ্চলগুলো তলিয়ে যায়। অতিবৃষ্টি, নিচুভুমি, বফরগলা পানি, নদীর তলদেশ ভরাট, নদীপথে বাধা, অপরিকল্পিত রাস্তা-ঘাট, সমুদ্রে জোয়ার- এসব কারণে সৃষ্ট ছোট-বড় বন্যায় দেশের ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ বাড়ছেই। প্রতিবছর বন্যায় লাখ লাখ মানুষ বসতিহীন বা আশ্রয়হীন হয়ে পড়ে; ফসলের ক্ষতি হয়; যোগাযোগ ব্যবস্থায় ক্ষতি হয়। বন্যা-পরবর্তী সময়ে দূষিত পানি ও বায়ুর প্রভাবে নানা রকম রোগ দেখা দেয়। বন্যাকবলিত দেশে উন্নয়ন পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করা কষ্টকর। দেশে দরিদ্র মানুষের সংখ্যা বাড়ে। গ্রামের দরিদ্র মানুষ সবকিছু হারিয়ে জীবিকার সন্ধানে শহরের দিকে ধাবিত হয়।

দীর্ঘকাল ধরে এ দেশের মানুষ বন্যা নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। ১৯৬০ সালে ত্রিপুরার জমিদার গোমতী নদীর দুই তীর বরাবর বেড়িবাঁধ নির্মাণ করেন। ওই সময় সুনামগঞ্জের জমিদারও বন্যা নিয়ন্ত্রণে কৃষকদের সঙ্গে একটি চুক্তি করেন এবং ফসলের অংশের বিনিময়ে শনির হাওড়ে বাঁধ নির্মাণ করেন। ১৯৫৪-৫৫ সালের বিপর্যয়কর বন্যার পর পূর্ব পাকিস্তান ওয়াপদা প্রতিষ্ঠা হয়। এ প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে ১৯৬৪ সাল পর্যন্ত ৫৮টি বন্যা নিয়ন্ত্রণের সমীক্ষা ও কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়। অবশ্য পরে আর সেসব সমীক্ষা অনুযায়ী কাজ করা হয়নি। বাংলাদেশের বন্যা নিয়ন্ত্রণের বিষয়টি অতি জরুরি হয়ে পড়েছে। এক্ষেত্রে যেসব পদক্ষেপ নেওয়া দরকার তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল-ভরাট হয়ে যাওয়া নদীগুলো খনন করা, বৃষ্টির পানি যাতে বড় বড় নদীতে দ্রুত নেমে যেতে পারে তার জন্য প্রয়োজনীয় সংখ্যক খাল ও নালা খনন করা, প্রয়োজনে নদীর গতিপথ পরিবর্তন করা, নদী ও খালের উভয় তীরে বেড়িবাঁধ দিয়ে পার্শ্ববর্তী অঞ্চলগুলোকে বন্যার প্রকোপ থেকে রক্ষা করা। বন্যার পূর্ববতী, বন্যাকালীন ও বন্যার পরবর্তী সময়ে কি করণীয় সে সম্পর্কে জনগণের মধ্যে সচেতনতামূলক কার্যক্রম চালানো দরকার। বাংলাদেশ ও পার্শ্ববর্তী দেশগুলোর যৌথ প্রচেষ্টায় বন্যা নিয়ন্ত্রণ কর্মসূচি বাস্তবায়ন করা এবং বন্যা সম্পর্কে সতর্কবার্তা প্রদানের ব্যবস্থা করা।

সম্প্রতি বাংলাদেশ সরকার ও পানি উন্নয়ন বোর্ড বন্যা নিয়ন্ত্রণে কিছু প্রকল্প বাস্তবায়নের পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। এর মধ্যে রয়েছে পুরাতন ব্রহ্মপুত্র নদীর আড়াই লাখ কিউসেক পানি মেঘনা নদীতে সরানোর ব্যবস্থা করে ময়মনসিংহ, সিলেট জেলার তিন লাখ একর জমি বন্যার হাত থেকে রক্ষার উদ্যোগ, ব্রহ্মপুত্র বাঁধ নিয়ন্ত্রণ প্রকল্প-২ উপকূলীয় বাঁধ নির্মাণ প্রকল্প। তবে এসব প্রকল্প গ্রহণই যথেষ্ট নয়। হাওড় এলাকার আরও প্রকল্প বাস্তবায়ন করতে হবে। রাজধানী ঢাকা শহররক্ষা বাঁধ (বেড়িবাঁধ) নির্মাণ করে ঢাকাকে রক্ষা করা হয়েছে। রাজশাহীতেও এ জাতীয় বাঁধের ব্যবস্থা করা হয়েছে। সরকারি-বেসকারিভাবে বন্যা সমস্যা সমাধানের জন্য বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি পালন করা হচ্ছে। এ ছাড়া নদী ও সাগর উপকূলে বাঁধ নির্মাণের ফলেও সে এলাকার লোক বন্যার কিছুটা হলেও রক্ষা পাচ্ছে। বন্যা-পরবর্তী পুনর্বাসন কার্যক্রম যথেষ্ট নয়।

২০০৪ সালে বন্যার সময় জাতিসংঘ বন্যা-পরবর্তী ৬ মাসে তিন কোটি হতদরিদ্র মানুষকে সাহায্য করার জন্য আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের কাছে আবেদন জানিয়েছিল। এ ছাড়া বন্যার্তদের জন্য চীন ১ লাখ ডলার নগদ অর্থ ও ১০ লাখ ডলারের নির্মাণসামগ্রী দিতে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল। সেসব প্রতিশ্রুতির যথাযথ বাস্তবায়ন ঘটেনি। এসব পুনর্বাসন কাজে অন্যের ওপর ভরসা করলে অনিশ্চয়তা সৃষ্টি হতে পারে। বিশ্বের অনেক দেশই এখন বৈজ্ঞানিক পদ্ধতিতে প্রাকৃতিক দুর্যোগ ও বন্যা থেকে রক্ষা পাওয়ার ব্যবস্থা করছে। তাই আমাদেরও উচিত এ ব্যাপারে সচেষ্ট হওয়া এবং দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা গ্রহণ করা। বিশেষজ্ঞদের মতে আমাদের বন্যার প্রধান কারণ হচ্ছে উজানের পানি। এ সমস্যা সমাধানের জন্য ভারত, নেপাল ও ভুটানের সঙ্গে আলোচনা করে কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়া দরকার। বন্যার ক্ষয়ক্ষতি বেড়েই চলেছে। কাজেই এ বিষয়ে আমাদের সতর্ক হতে হবে এবং পরবর্তী করণীয় নির্ধারণ করতে হবে।

ড. এস এম জাহাঙ্গীর আলম : মুক্তিযোদ্ধা, সাবেক কর কমিশনার; পরিচালক, বাংলাদেশ স্যাটেলাইট কোম্পানি লিমিটেড

© JUGANTOR.COM
]]>
<![CDATA[পদ্মা সেতু কি বিএনপির জন্য আনন্দময় কিছু নয়?]]> https://www.jugantor.com/todays-paper/sub-editorial/567201/পদ্মা-সেতু-কি-বিএনপির-জন্য-আনন্দময়-কিছু-নয় 567201 2022-06-28T00:00:00+06:00 এ কে এম শাহনাওয়াজ পদ্মা সেতু কি বিএনপির জন্য আনন্দময় কিছু নয়?

পদ্মা সেতু কি বিএনপির জন্য আনন্দময় কিছু নয়?

উপসম্পাদকীয়

এ কে এম শাহনাওয়াজ

সম্প্রতি আমার কম্পিউটারের হার্ডডিস্ক ক্র্যাশ করেছে। অনেক অভিজ্ঞদের কাছে পাঠিয়েও ফাইল উদ্ধার করতে পারিনি। এখানে আমার অনেক গুরুত্বপূর্ণ ফাইল ছিল। তার মধ্যে ছিল গত প্রায় পঁচিশ বছরে পত্রিকায় প্রকাশিত আমার অধিকাংশ কলাম। অগত্যা, গুগল ড্রাইভ ও বিভিন্ন পেনড্রাইভ ঘেঁটে কিছু লেখা উদ্ধার করতে পেরেছি। তাতে দেখেছি, গত বিশ বছরে বিভিন্ন সময় বিএনপির দুর্গত দশা নিয়ে আমার অনেক লেখা প্রকাশ পেয়েছিল। সেখানে প্রাধান্য পেয়েছে বিএনপি নেতাদের রাজনৈতিক অদূরদর্শিতার কথা, যা বিএনপি দলটিকে মাঝে মধ্যেই ব্যাকফুটে ফেলে দিত। আবার দেখা গেছে, একই ভুল বিএনপি বারবার করেছে। অনেক লেখায় এমন কথা রয়েছে, দলের প্রতি অনুগত দেশজুড়ে বিএনপির অনেক নেতাকর্মী রয়েছেন, কিন্তু সেই শক্তি কাজে লাগাতে পারছেন না অদূরদর্শী নেতারা। দলটি জনসমর্থনের শক্তিকে নিয়ে এগিয়ে যাওয়ার বদলে বারবার অন্ধকার পথে ক্ষমতায় আসার চেষ্টা করেছে। অবশ্য এসবই আমার অনুভব। বিজ্ঞ রাজনীতিকরা এসব লেখা থেকে শিক্ষা নেওয়া প্রয়োজন মনে করেন না। তারা তাদের পথেই হাঁটেন। আর আমরা আমাদের উপলব্ধি থেকে দায়িত্ব পালন করতে থাকি।

পদ্মা সেতু নিয়ে পূর্বাপর বিএনপি নেতাদের ভাষ্য-মন্তব্য দেখা ও শোনার চেষ্টা করেছি। তাতে দায়িত্বশীল বিরোধী দলের মনোভাব প্রকাশ পায়নি। এতে আওয়ামী লীগের কতটা ক্ষতি বা লাভ হয়েছে, দেশের মানুষের মধ্যে কী প্রতিক্রিয়া হয়েছে আর বিএনপি দল হিসাবে কতটা অর্জন করল বা নিজেদের ক্ষতিগ্রস্ত করল, পদ্মা সেতু উদ্বোধন ও বাস্তবায়নের পর সব প্রশ্নেরই সহজ সমাধান মানুষের সামনে চলে এসেছে।

বাংলাদেশে দুদকের তদন্ত ও কানাডার আদালত দুর্নীতির অভিযোগের পক্ষে কোনো তথ্য পায়নি। শুধু কাল্পনিক নয়, দুর্নীতির অভিযোগ ষড়যন্ত্রমূলক ছিল বলে অনেকে মনে করেন। কানাডার আদালত শেষ পর্যন্ত মামলা খারিজ করে দেন। রায়ের আগ পর্যন্ত বিএনপি নেতারা পদ্মা সেতু নিয়ে অতি আগ্রহে মহাউল্লাসে আওয়ামী লীগ সরকারের কথিত দুর্নীতির কথা প্রচার করতে থাকেন। তখনকার বিএনপি নেতাদের আচরণে মনে হয়েছে, পদ্মা সেতু হলো, কী না হলো, এ নিয়ে তাদের মাথাব্যথা নেই। আওয়ামী সরকারকে দুর্নীতির অভিযোগে ‘ধরাশায়ী’ করতে পেরেছে এটিই আনন্দ। এ দেশের মানুষ, বিশেষ করে দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের মানুষ আশায় বুক বেঁধেছিল। বিশ্বব্যাংকসহ দাতা দেশ বা প্রতিষ্ঠান প্রস্তাবিত পদ্মা সেতুর অর্থ জোগান থেকে সরে যাওয়ায় দেশবাসী যখন হতাশায় ডুবে যায়, তখন মনে হচ্ছিল বিএনপি নেতারা বিজয়ের আনন্দে আছেন।

এখানে বিএনপি নেতারা একটি বড় অদূরদর্শিতা দেখিয়েছেন-এ কথা বলতেই হবে। তারা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ নেত্রী শেখ হাসিনাকে ঠিকমতো উপলব্ধি করতে পারেননি। অন্যায় অভিযোগ চাপিয়ে দিলে তিনি যে তা হজম করার পাত্রী নন তা ভাবা উচিত ছিল। সরকারপ্রধান যেহেতু জানেন কোনো দুর্নীতি হয়নি, তাই তিনি পুরো বিষয়টি চ্যালেঞ্জ হিসাবে নেন। শেষ পর্যন্ত সত্য প্রকাশিত হয়।

পদ্মা সেতু নিয়ে দেশের স্বপ্নচারী মানুষ ইতোমধ্যে সন্দেহজনক আচরণের কারণে বিএনপিকে পদ্মা সেতুর ভিলেন ভাবতে শুরু করেছে। এ বাস্তবতাটি বিএনপি নেতাদের বোঝা উচিত ছিল; কিন্তু মুশকিল হলো, এরপর বিএনপি নেতারা নিজেদের সংশোধন না করে এমন বাণী-বক্তব্য দেওয়া শুরু করলেন, যাতে মনে হওয়া স্বাভাবিক যে, আওয়ামী লীগ সরকার পদ্মা সেতু বানাতে ব্যর্থ হোক, এটিই তাদের একমাত্র কাম্য। এতে যে সত্য বেরিয়ে আসে, তা হচ্ছে দেশ কল্যাণের চেয়ে রাজনৈতিক ফায়দা আদায়টাই যেন বিএনপির প্রধান লক্ষ্য। বিএনপি নেতাদের মনোভাব ছিল এমন যে, আওয়ামী লীগ সরকার যদি সফলভাবে পদ্মা সেতু বাস্তবায়ন করতে পারে, তাহলে রাজনৈতিকভাবে আওয়ামী লীগ এগিয়ে যাবে আর অনেকটা পিছিয়ে পড়বে বিএনপি। জনগণের শক্তির ওপর আস্থাশীল না থাকলে এ ধরনের দুর্মতি হয়। দেশজুড়ে নেতাকর্মীদের ঐক্যবদ্ধ করতে ব্যর্থ দুর্বল নেতৃত্ব গণশক্তির ওপর ভরসা করতে পারেনি কখনো। তাই দলটির বিভ্রান্ত দশা দেখতে হয়েছে বারবার। যে কারণে হারানো রাষ্ট্রক্ষমতা ফিরে পাওয়ার জন্য দলটির নেতারা সুযোগ পেলেই অন্ধকার পথে হাঁটতে চেয়েছেন। যুদ্ধাপরাধী দল জামায়াতে ইসলামীর উগ্র রাজনীতি কাজে লাগিয়ে কখনো ক্ষমতায় আসতে চেষ্টা করেছেন। কখনো হেফাজতে ইসলামীর উগ্রতাকে কাজে লাগাতে চেয়েছেন।

বিএনপি জিয়াউর রহমানের মৃত্যুতে প্রথম সংকটে পড়ে। তারপর আঁকড়ে ধরে এগোতে চেয়েছে বেগম খালেদা জিয়া এবং তারেক রহমানকে ঘিরে। তারেক রহমান আইনের ভাষায় পলাতক আর কোমল শব্দে লন্ডনপ্রবাসী। মনে হয় না দণ্ডাদেশ ঘাড়ে রেখে আওয়ামী লীগ সরকারের সময় দেশে ফিরবেন তিনি।

যত বিরোধিতা আর সমালোচনাই হোক, পদ্মা সেতু এখন বাস্তব। এ সেতু বাস্তবায়ন করায় শেখ হাসিনা জনগণের চোখে অনেক উচ্চতায় উঠে গেছেন। নির্বাচনে এর বড় রকমের ইতিবাচক প্রভাব পড়বে। নেতিবাচক রাজনীতির কারণে ততটাই ব্যাকফুটে যাবে বিএনপি। ফলে ছোটখাটো রাজনৈতিক দল, যারা আওয়ামী লীগে সুবিধা করতে না পেরে বিএনপির সঙ্গে জোট বেঁধেছে, তারা ধীরে ধীরে নিষ্ক্রিয় হয়ে পড়বে। তেমনটি হলে তারেক রহমানের দেশে ফেরাটা অনিশ্চিত হয়ে যাচ্ছে। দেশের ভেতরে আছেন বেগম খালেদা জিয়া। বয়স হয়েছে বেগম জিয়ার। চিকিৎসার জন্য বিদেশে পাঠানোর দাবি তুলে বিএনপি নেতারা তাকে মুমূর্ষুই বলতে চান। আমরা প্রার্থনা করি, তিনি আরও অনেক বছর সুস্থতার সঙ্গে বেঁচে থাকুন। কিন্তু আওয়ামী লীগের রাষ্ট্রক্ষমতায় থাকা প্রলম্বিত হলে এবং কখনো বিএনপি যদি ক্ষমতায় আসতে পারে, ততক্ষণে বেগম জিয়ার বয়স আরও বেড়ে যাবে। বার্ধক্যজনিত কারণে তিনি যদি ক্ষমতা গ্রহণ না করতে পারেন, তাহলে বিএনপির দশা কী হবে! রাজনৈতিক ধারাবাহিকতার সূত্রে তারেক রহমানের স্ত্রী ও কন্যা তেমন প্রভাব রাখতে পারবেন বলে মনে হয় না। স্ত্রীর নামেও মামলা রয়েছে। আর সব নেতা তো বিএনপির আদর্শের মধ্য দিয়ে বেড়ে ওঠেননি। অধিকাংশই নানা দল থেকে এসে বিএনপির পোশাক গায়ে জড়িয়েছেন। পারিবারিক রাজনীতির সূত্রে তারা কেউই বেগম খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানের বিকল্প নন। তেমন প্রভাব তারা কেউ বিএনপিতে রাখতে পারেননি।

এমন বাস্তবতার সামনে দাঁড়িয়েই সম্ভবত পদ্মা সেতু প্রশ্নে বিএনপি নিজেদের ছন্দ খুঁজে পাচ্ছে না। বিএনপি নেতারা নিশ্চয়ই বুঝতে পারছেন, পদ্মা সেতুর বাস্তবায়ন আওয়ামী লীগকে অনেক শক্ত অবস্থানে এনে দিয়েছে; যা মেনে নিতে কষ্ট হচ্ছে তাদের। যে কারণে আবার ভুলের আবর্তে নিজেদের আটকে ফেলছে। তাই পদ্মা সেতু উদ্বোধন সামনে রেখে দেশবাসী যখন আনন্দে উদ্বেল, যখন বিশ্বের অনেক দেশ মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকে অভিনন্দন জানাচ্ছে, যখন বিশ্বের নানা দেশের প্রভাবশালী পত্রিকাগুলো বাংলাদেশের কৃতিত্বকে অভিনন্দিত করছে, তখন অন্তত রাজনৈতিক কৌশল হিসাবে হলেও বিএনপি নেতারা পদ্মা সেতু নির্মাণকে স্বাগত জানাতে পারতেন। তারা কতটা সুস্থ রাজনীতিবিচ্ছিন্ন যে, পদ্মা সেতুর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সরকারি দাওয়াতকে গ্রহণই করলেন না। উপরন্তু টেলিভিশনে বিএনপি মহাসচিব দাওয়াত গ্রহণ না করার কারণ যেভাবে ব্যাখা করলেন, তা নিুমানের ঝগড়ার মতোই শোনালো। অথবা বিধ্বস্ত বিএনপির চেহারাটাই যেন ভেসে উঠল। একইরকম রাজনৈতিক আরেকটি ভুলের কথা মনে পড়ল। বেগম খালেদা জিয়ার ছোট ছেলে কোকো মারা গেলে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী সমবেদনা জানাতে বেগম জিয়ার বাড়িতে গিয়েছিলেন। সেসময় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে বাড়িতে ঢুকতে দেওয়া হয়নি। আমাদের মনে হচ্ছে, এ দুটি ঘটনার ক্ষেত্রে আওয়ামী লীগপ্রধান শেখ হাসিনার সঙ্গে রাজনৈতিক কৌশলে হেরে গেছেন বিএনপি নেতারা।

আমরা যদি বিএনপির অন্তত দুই দশকের রাজনীতি পর্যালোচনা করি, তাহলে দেখব ভুল রাজনীতির কারণে বারবার দলটি পথ হারিয়েছে। যদি রাজনৈতিক কৌশল পরিবর্তন না করে বিএনপি কেবল ক্ষোভের বহিঃপ্রকাশ ঘটাতে থাকে, তবে রাজনীতির স্বাভাবিক ছন্দ খুঁজে পাওয়া কঠিন হবে। আর যদি পুরোনো দুর্মতি মাথায় আসে যে, দেশীয় বা আন্তর্জাতিক শক্তির সহায়তায় ষড়যন্ত্রের পথে গণেশ উলটে দিয়ে ক্ষমতায় আসবে বিএনপি, তবে তা বর্তমান বাস্তবতায় অলীক কল্পনা বলেই মনে হবে। কারণ নানা ষড়যন্ত্রের মুখোমুখি হয়ে আওয়ামী লীগ নেতারা অনেক সতর্ক এখন। কীভাবে ষড়যন্ত্রের মোকাবিলা করে সব ছিদ্রপথ বন্ধ করা যায়, সেসব পথঘাট আওয়ামী লীগ নেতাদের ভালোই জানা আছে।

বিএনপি নামের দলটিকে টিকে থাকতে হলে ‘রাত পোহালেই’ ক্ষমতায় পৌঁছতে পারব এমন অনেকটা অবাস্তব চিন্তা না করে দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা গ্রহণ করতে হবে। এতে অবশ্য অস্থিরতা প্রকাশ করতে পারেন তারেক রহমান। তাতে আবার ভুলের গলিতে হাঁটতে গিয়ে নতুন করে হোঁচট খাওয়ার সম্ভাবনাই বাড়বে। এখনো দেশজুড়ে বিএনপি-অন্তপ্রাণ অনেক নেতাকর্মী-সমর্থক আছেন। তাদের সংগঠিত করার সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনা হাতে নিতে হবে। দেশব্যাপী সংগঠনকে শক্তিশালী করে তুলতে হবে। ইতিবাচক রাজনীতির পথে হেঁটে দলটিকে জননন্দিত করে তুলতে হবে। ক্ষমতাসীন দলের ভুল খুঁজে পাওয়া কঠিন হবে না। সুনির্দিষ্ট অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে ধীরে ধীরে সরকারবিরোধী আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে। জনগণের সমর্থন আদায় হবে বিএনপির একমাত্র লক্ষ্য। একইসঙ্গে বিএনপির ভেতর থেকে নতুন নেতৃত্ব তৈরি করতে হবে। আমরা মনে করি, সুস্থ রাজনীতির ধারায় গণতান্ত্রিক আচরণের মধ্য দিয়েই ক্ষমতায় আসার পথ তৈরি করতে হবে বিএনপিকে। এর জন্য প্রয়োজন সময়, ধৈর্য ও দূরদর্শিতা।

ড. এ কে এম শাহনাওয়াজ : অধ্যাপক, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়

shahnawaz7b@gmail.com

© JUGANTOR.COM
]]>
<![CDATA[দ্বিতীয়বার মা হচ্ছেন ডায়না]]> https://www.jugantor.com/todays-paper/anando-nagar/567196/দ্বিতীয়বার-মা-হচ্ছেন-ডায়না 567196 2022-06-28T00:00:00+06:00 আনন্দনগর প্রতিবেদক দ্বিতীয়বার মা হচ্ছেন ডায়না

দ্বিতীয়বার মা হচ্ছেন ডায়না

আনন্দ নগর

আনন্দনগর প্রতিবেদক

একসময় নাটকে নিয়মিত অভিনয় করতেন নূসরাত জাহান ডায়না। সিনেমায়ও দেখা গেছে তাকে। বর্তমানে অবস্থান করছেন আমেরিকায়। স্বামী গোলাম কিবরিয়া দেশটিতে মেরিন সার্ভেয়ার হিসাবে কর্মরত। এ অভিনেত্রী আবারও মা হচ্ছেন। গতকাল মোবাইল ফোনে খবরটি তিনি নিজেই জানিয়েছেন। আগামী জুলাই মাসে তার দ্বিতীয় সন্তান পৃথিবীর আলোর মুখ দেখবে। এ প্রসঙ্গে ডায়ানা বলেন, ‘দেশের বাইরে নতুন একটা পরিবেশ। এই পরিবেশে আমি আমার সন্তানকে আলোর মুখ দেখাতে যাচ্ছি। এখানে যারা আছেন সবাই সবসময় খোঁজ খবর নিচ্ছেন, আমাকে সাহস দিচ্ছেন। ভালো লাগছে। সবাই আমার জন্য দোয়া করবেন।’

 

© JUGANTOR.COM
]]>
<![CDATA[রণবীর-আলিয়ার ঘরে আসছে নতুন সদস্য]]> https://www.jugantor.com/todays-paper/anando-nagar/567195/রণবীরআলিয়ার-ঘরে-আসছে-নতুন-সদস্য 567195 2022-06-28T00:00:00+06:00 আনন্দনগর ডেস্ক রণবীর-আলিয়ার ঘরে আসছে নতুন সদস্য

রণবীর-আলিয়ার ঘরে আসছে নতুন সদস্য

আনন্দ নগর

আনন্দনগর ডেস্ক

বিয়ে হয়েছে মাত্র আড়াই মাস হলো। এ সময়ের মধ্যেই নতুন খবর দিলেন বলিউড তারকা দম্পতি রণবীর কাপুর ও আলিয়া ভাট। বাবা-মা হতে যাচ্ছেন তারা। ২৭ জুন আলিয়া নিজেই তার ইনস্টাগ্রাম একাউন্টে পোস্ট দিয়ে খবরটি নিশ্চিত করেছেন। খবরটি প্রকাশের পর থেকেই সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে ভক্ত ও শুভাকাঙ্ক্ষীরা তাদের শুভেচ্ছা জানাচ্ছেন। তবে সন্তানের বিষয়ে আর কোনো তথ্য শেয়ার করেননি এ তারকাজুটি। প্রসঙ্গত, চলতি বছরের ১৪ এপ্রিল সাত পাঁকে বাঁধা পড়েন রণবীর ও আলিয়া। এর আগে পাঁচ বছর চুটিয়ে প্রেম করেছেন দু’জনে। বিয়ের পর দ্রুতই কাজে ফিরেছেন তারা। এ যুগল অভিনীত ‘ব্রহ্মাস্ত্র’ নামে একটি সিনেমা মুক্তি পাবে আগামী ৯ সেপ্টেম্বর।’

© JUGANTOR.COM
]]>
<![CDATA[বডিগার্ড নাটকে হাসান জাহাঙ্গীর ও আঁচল]]> https://www.jugantor.com/todays-paper/anando-nagar/567194/বডিগার্ড-নাটকে-হাসান-জাহাঙ্গীর-ও-আঁচল 567194 2022-06-28T00:00:00+06:00 আনন্দনগর প্রতিবেদক বডিগার্ড নাটকে হাসান জাহাঙ্গীর ও আঁচল

বডিগার্ড নাটকে হাসান জাহাঙ্গীর ও আঁচল

আনন্দ নগর

আনন্দনগর প্রতিবেদক

ঈদের জন্য নির্মিত হচ্ছে ‘বডিগার্ড’ নামে একটি নাটক। এতে অভিনয় করার পাশাপাশি লিখেছেন ও পরিচালনা করেছেন হাসান জাহাঙ্গীর। তার বিপরীতে অভিনয় করেছেন চিত্রনায়িকা আঁচল। নির্মাতা জানিয়েছেন, এটি সাত পর্বের ধারাবাহিক। গত রোববার থেকে রাজধানীর ইস্কাটনের একটি শুটিং হাউজে নাটকটির দৃশ্য ধারণের কাজ শুরু হয়েছে। নাটকে আঁচল একজন জনপ্রিয় নায়িকার চরিত্রে অভিনয় করেছেন। নাটকে আরও অভিনয় করছেন অমিত হাসান ও ডন। নাটকটি প্রসঙ্গে হাসান জাহাঙ্গীর বলেন, ‘এর গল্প মূলত আমাকে ঘিরেই। আমিই বডিগার্ড। বলা যায় পুরো নাটকে আমি বোবা চরিত্রে অভিনয় করি। কিন্তু শেষে গিয়ে দেখা যায় যে আমি মূলত একজন ডিবি অফিসার। এটি একটি থ্রিলারধর্মী রোমান্টিক গল্পের নাটক। আঁচল খুব ভালো অভিনেত্রী। তার চরিত্রে চমৎকার অভিনয় করেছে। আর অমিত ভাই, ডন এককথায় অনবদ্য। আমার বিশ্বাস, কাজটি দর্শক সাদরে গ্রহণ করবেন।’ আঁচল বলেন, ‘নাটকের গল্প দারুণ। অনেকটা সিনেমাটিক। কাজ করে বেশ ভালো লাগছে। আশা করি দর্শকদেরও ভালো লাগবে।’ নাটকটিতে অমিত হাসান ব্যবসায়ী চরিত্রে অভিনয় করেছেন। তিনি বলেন, ‘সাধারণত আমি নাটকে অভিনয় করি না। এ নাটকটির গল্প আমার কাছে দারুণ লেগেছে। তাই কাজ করেছি।’ নাটকটি ঈদে একটি টিভি চ্যানেলে প্রচার হবে বলে নির্মাতা জানিয়েছেন।

© JUGANTOR.COM
]]>
<![CDATA[ফেরা হচ্ছে না বড় পর্দায়]]> https://www.jugantor.com/todays-paper/anando-nagar/567193/ফেরা-হচ্ছে-না-বড়-পর্দায় 567193 2022-06-28T00:00:00+06:00 আনন্দনগর প্রতিবেদক ফেরা হচ্ছে না বড় পর্দায়

ফেরা হচ্ছে না বড় পর্দায়

আনন্দ নগর

আনন্দনগর প্রতিবেদক

কুরবানি ঈদের আগে আর সিনেমায় ফেরা হচ্ছে না নুসরাত ফারিয়ার। কলকাতার একটি সিনেমার শুটিংয়ের জন্য জোর প্রস্তুতি নিয়েছিলেন এ নায়িকা। নাম ‘বিবাহ অভিযান-২’। এটি ২০১৯ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত ‘বিবাহ অভিযান’ সিনেমার সিকুয়্যাল। কথা ছিল সিনেমাটির শুটিং হবে থাইল্যান্ডে। কিন্তু হঠাৎ করেই প্রযোজনা সংস্থা সিনেমাটির শুটিং বন্ধ করে দিয়েছে বলে খবর প্রকাশ করেছেন ভারতের পশ্চিমবঙ্গের সংবাদ মাধ্যম। সিনেমাটির লেখক ও একটি গুরুত্বপূর্ণ চরিত্রের অভিনেতা রুদ্রনীলের বরাত দিয়ে ভারতীয় গণমাধ্যম জানিয়েছে, রাজনৈতিক কারণে নাকি এর শুটিং বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। রুদ্রনীল বলেছেন, ‘প্রযোজনা সংস্থা জানিয়েছে, কোনো একটি বিশেষ কারণে আপাতত ছবির শুটিং পিছিয়ে দেওয়া হচ্ছে। তবে দীর্ঘদিন ঘরে বসা, পুঁজি ভাঙিয়ে পেট চলে না। খালি পেটে বিপ্লবও হয় না! কাজে ফেরা আমার খুব দরকার। কিন্তু শাসকদলের দয়ায় তা আর দিচ্ছে কে?’ গত নির্বাচনে রুদ্রনীল বিজেপির হয়ে লড়েছিলেন। কিন্তু তার আসনে মমতা ব্যানার্জির তৃণমূল কংগ্রেস জয়লাভ করে এবং দলটি রাজ্যের শাসনভারও পায়। সেই থেকে নিজের কাজকর্ম বন্ধ রয়েছে বলে দাবি রুদ্রনীলের। এদিকে ঈদের আগে এ সিনেমার মধ্য দিয়ে আবারও বড়পর্দায় কাজের প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন নুসরাত ফারিয়া। থাইল্যান্ডে টানা শুটিং হবে, তাই ঈদও সেখানেই কাটাবেন বলে জানিয়েছেন। কিন্তু মাঝপথে হঠাৎ শুটিং বন্ধ হয়ে যাওয়ায় তার সব পরিকল্পনা ভেস্তে গেল। আপাতত সিনেমার শুটিংয়ে ফেরা হচ্ছে না তার। তবে এবারের ঈদে তাকে টিভি পর্দায় দেখা যাবে। এরইমধ্যে তিনি ঈদ উপলক্ষ্যে একটি টেলিফিল্মে অভিনয় করেছেন। নাম ‘আইকনম্যান’। এটি পরিচালনা করেছেন সঞ্জয় সমাদ্দার। টেলিফিল্মটি দীপ্ত টিভির ঈদ আয়োজনে প্রচার হবে বলে জানা গেছে।

© JUGANTOR.COM
]]>
<![CDATA[নতুন ধারাবাহিকে অভিনয়ের ইচ্ছা নেই]]> https://www.jugantor.com/todays-paper/anando-nagar/567192/নতুন-ধারাবাহিকে-অভিনয়ের-ইচ্ছা-নেই 567192 2022-06-28T00:00:00+06:00 সোহেল আহসান নতুন ধারাবাহিকে অভিনয়ের ইচ্ছা নেই

নতুন ধারাবাহিকে অভিনয়ের ইচ্ছা নেই

আনন্দ নগর

সোহেল আহসান

একসময়ের জনপ্রিয় অভিনেত্রী তানভীন সুইটি এখনো অভিনয়ে সক্রিয়। করোনাকালে কাজের ধারাবাহিকতায় ছেদ পড়লেও এখন পুরোদমে অভিনয় করছেন। একটি ধারাবাহিক নাটকে কাজ করছেন। ১৩ বছর পর সম্প্রতি ফিরেছেন মঞ্চেও। পাশাপাশি রয়েছে সিনেমার কাজের ব্যস্ততা। অভিনয় এবং অন্যান্য প্রাসঙ্গিক বিষয় নিয়ে আজকের ‘হ্যালো...’ বিভাগে কথা বলেছেন এ অভিনেত্রী।

* এখন কী নিয়ে ব্যস্ত আছেন?

** অভিনয় নিয়েই আমার সব ব্যস্ততা। এর বাইরে রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডের সঙ্গেও যুক্ত আছি। বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোটের হয়ে বিভিন্ন কর্মসূচিতে উপস্থিত থাকি।

* আপনি দীর্ঘ দিন ধরে একটি নতুন মঞ্চ নাটকের মহড়া করছেন। এটি কবে মঞ্চে আসছে?

** আগামী ১ জুলাই বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির জাতীয় নাট্যশালায় থিয়েটার নাট্যদলের ব্যানারে এ নাটকটি মঞ্চস্থ হবে। নাম ‘পোহালে শর্বরী’। এটি নির্দেশনা দিয়েছেন রামেন্দু মজুমদার।

* নাটকটি নিয়ে আপনার প্রত্যাশা কী?

** খুবই সুন্দর বক্তব্যধর্মী গল্প নিয়ে নাটকটি তৈরি হয়েছে। আমরা সবাই আন্তরিকতা নিয়ে কাজ করছি। তা ছাড়া নাটকের প্রতিটি চরিত্রের জন্য দুজন করে অভিনয়শিল্পী রয়েছেন। দেখা যায় নাটক যখন মঞ্চে আসে তখন নানা কারণে কোনো একটি চরিত্রের অভিনয়শিল্পীর অনুপস্থিতিতে সেটির প্রদর্শনী বন্ধ থাকে। সে ধরনের বিড়ম্বনা যাতে না হয়, এ জন্যই দল থেকে এমন ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।

* তাহলে আপনাকে মঞ্চ নাটকে নিয়মিত দেখা যাবে...

** এ নাটকটির যখন প্রদর্শনী হবে তখন তো অভিনয় করবই। তা ছাড়া দলের অন্য নাটকেও দেখা যাওয়ার সম্ভাবনা আছে। মঞ্চ নাটকের অভিনয়ে আমার সব সময়ই ভালো লাগে। তবে টিভি নাটকের অভিনয় ব্যস্ততায় কিছু সময় মঞ্চের সঙ্গে দূরত্ব তৈরি হয়েছিল। আশা করছি দুই মাধ্যমেই আমাকে এখন থেকে নিয়মিত দেখা যাবে।

* টিভি নাটকের খবর কী?

** আমি নতুন এ মঞ্চ নাটকের জন্যই অনেকদিন ধরে অন্য কোনো কাজে মনোযোগ দিতে পারিনি। তবু নিমা রহমানের পরিচালনায় ‘গুলশান এভিনিউ-২’ নামে একটি ধারাবাহিকে অভিনয় করছি। আপাতত অন্য কোনো ধারাবাহিক নাটকে অভিনয়ের ইচ্ছা নেই।

* সিনেমায়ও তো অভিনয় করছেন...

** কিছুদিন আগে সরকারি অনুদানের ‘মাইক’ নামের একটি শিশুতোষ সিনেমায় অভিনয় করেছি। এতে আমার সহশিল্পী ছিলেন ফেরদৌস। এটি নিয়ে আমি আশাবাদী।

© JUGANTOR.COM
]]>
<![CDATA[নতুন সিনেমা নির্মাণের প্রস্তুতি নিচ্ছেন তৌকীর]]> https://www.jugantor.com/todays-paper/anando-nagar/567191/নতুন-সিনেমা-নির্মাণের-প্রস্তুতি-নিচ্ছেন-তৌকীর 567191 2022-06-28T00:00:00+06:00 আনন্দনগর প্রতিবেদক নতুন সিনেমা নির্মাণের প্রস্তুতি নিচ্ছেন তৌকীর

নতুন সিনেমা নির্মাণের প্রস্তুতি নিচ্ছেন তৌকীর

আনন্দ নগর

আনন্দনগর প্রতিবেদক

জনপ্রিয় অভিনেতা, নির্মাতা ও নাট্যকার তৌকীর আহমেদ বেশ কিছুদিন ধরে সপরিবারে আমেরিকায় প্রবাস জীবন কাটাচ্ছেন। তবে মাঝে মধ্যে অল্প সময়ের জন্য দেশেও এসেছেন কয়েকবার। এই যাওয়া-আসার মধ্যে মিডিয়ার কাজও করছেন তিনি। বর্তমানে আমেরিকায় অবস্থান করছেন তিনি। সেখানে বসেই একটি নতুন সিনেমা নির্মাণের প্রস্তুতি শুরু করেছেন। বর্তমানে এটির গল্প লেখার কাজ করছেন তৌকীর আহমেদ। কাজটি শেষ পর্যায়ে। চলতি বছরের কোনো এক সময় সেই গল্পটি নিয়ে নতুন সিনেমা নির্মাণের ঘোষণা দেবেন তিনি। এ প্রসঙ্গে মোবাইল ফোনে তৌকীর আহমেদ বলেন, ‘আমি কাজের মধ্যে থাকতে বেশি পছন্দ করি। আমেরিকায় যেহেতু অন্য কোনো কাজ করি না তাই লেখালেখির কাজটাই বেশি করছি। তবে সুনির্দিষ্ট লক্ষ্য নিয়ে লেখালেখি করছি এখন। একটি সিনেমার গল্প লিখছি। যদি অর্থ পাই তাহলে দ্রুতই এটি নির্মাণে অগ্রসর হব।’ এদিকে অনেক দিন আগে থেকেই কবি জীবনানন্দ দাসকে নিয়ে একটি সিনেমা নির্মাণের চেষ্টা চালাচ্ছেন এ অভিনেতা। অর্থায়ন নিশ্চিত না হওয়ায় সেই প্রজেক্টটি এখনো আলোর মুখ দেখেনি। সর্বশেষ তিনি বঙ্গবন্ধুর বায়োপিকে অভিনয় করেছেন। এ ছাড়া করোনাকালের আগে মাহমুদ দিদারের পরিচালনায় ‘বিউটি সার্কাস’ নামের একটি সিনেমায় অভিনয় করেছিলেন, যেটি সম্প্রতি সেন্সর সার্টিফিকেট পেয়েছে।

© JUGANTOR.COM
]]>
<![CDATA[ইপিএসে বড় চমক দেখিয়েছে জনতা ব্যাংক]]> https://www.jugantor.com/todays-paper/city/567190/ইপিএসে-বড়-চমক-দেখিয়েছে-জনতা-ব্যাংক 567190 2022-06-28T00:00:00+06:00 যুগান্তর প্রতিবেদন ইপিএসে বড় চমক দেখিয়েছে জনতা ব্যাংক

ইপিএসে বড় চমক দেখিয়েছে জনতা ব্যাংক

নগর-মহানগর

যুগান্তর প্রতিবেদন

জনতা ব্যাংক লিমিটেডের ইপিএস (শেয়ারপ্রতি আয়) ২০২০ সালের তুলনায় ২০২১ সালে ২০ গুণ বেড়েছে। এক বছরের ব্যবধানে ইপিএস ৬৪ পয়সা থেকে ১২ টাকা ৯৮ পয়সা হয়েছে। ব্যাংকের আমানতের পরিমাণ শতকরা ২৩ দশমিক ৩৩ ভাগ বেড়ে এক লাখ কোটি টাকা ছাড়িয়েছে। ঋণ ও অগ্রিমের পরিমাণ ১৫ দশমিক ৫৮ ভাগ বেড়ে প্রায় ৭০ হাজার কোটি টাকা হয়েছে। একই সঙ্গে বিগত বছরের চেয়ে পরিচালন মুনাফা ২২ কোটি টাকা বেড়ে এবার এক হাজার দুই কোটি টাকায় উন্নীত হয়েছে। আর নিট মুনাফা অর্জিত হয়েছে ৩০০ কোটি ৩২ লাখ টাকা। অথচ গত বছর এ মুনাফার পরিমাণ ছিল ১৪ কোটি ৩২ লাখ টাকা। ব্যাংকটির ১৫তম বার্ষিক সাধারণ সভায় (এজিএম) রোববার এসব তথ্য জানানো হয়। ব্যাংকের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. এসএম মাহফুজুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় ব্যাংকের এমডি অ্যান্ড সিইও বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. আব্দুছ ছালাম আজাদ স্বাগত বক্তব্য দেন। সরকারের প্রতিনিধি হিসাবে আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের অতিরিক্ত সচিব মফিজ উদ্দিন আহমেদসহ ব্যাংকের ডিএমডি ও মহাব্যবস্থাপকরা এতে অংশগ্রহণ করেন।

ব্যাংকের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. এসএম মাহফুজুর রহমান সভাপতির বক্তব্যে বলেন, জনতা ব্যাংক একসময় উলটো দিকে হেঁটেছে। কিন্তু গত তিন বছরে ব্যাংকের অভূতপূর্ব উন্নতি হয়েছে। এই কৃতিত্ব আমরা নিতে চাই না। এজন্য আমি ব্যাংকের সব পর্যায়ের কর্মকর্তাকে ধন্যবাদ দেব। তাদের নিরলস প্রচেষ্টায় এই উন্নতি হয়েছে। বড় ঋণে না গিয়ে ক্ষুদ্র ও মাঝারি খাতে ঋণ বিতরণ বাড়ানোর তাগিদ দিয়ে তিনি বলেন, দেশে সম্প্রতি ড্রাগন চাষ শুরু হয়েছে। এই খাতে ঋণ বিতরণ পেলে খাতটি আরও বড় হবে।

এমডি অ্যান্ড সিইও বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. আব্দুছ ছালাম আজাদ জানান, জনতা ব্যাংকের শ্রেণিকৃত ঋণ ২২ দশমিক ৬৯ হতে ১৭ দশমিক ৬১ ভাগে নেমে ১২ হাজার ৩১৯ কোটি টাকায় নেমে এসেছে। শ্রেণিকৃত ঋণ থেকে ২৮৩ কোটি এবং অবলোপনকৃত ঋণ থেকে ৮৭ কোটি টাকাসহ মোট ৩৭০ কোটি টাকা নগদ আদায় সম্ভব হয়েছে। ইতোমধ্যে তদারকি বৃদ্ধি ও ঋণখেলাপিদের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান নেওয়ায় বছর শেষে শ্রেণিকৃত ঋণ ক্রমান্বয়ে আরও কমে আসবে। আমদানি খাতে ৪৭ দশমিক ৭০ ভাগ এবং রপ্তানি খাতে ৮৪ দশমিক ০১ ভাগ প্রবৃদ্ধি অর্জিত হয়েছে। ব্যাংকের লোকসানি শাখার সংখ্যা ৫১টি থেকে কমে ৩৯টি শাখায় দাঁড়িয়েছে। কৃষি খাতে বিতরণকৃত ঋণ ২ হাজার ৬৯ কোটি টাকা থেকে বেড়ে ২ হাজার ৩৪৫ কোটি টাকা এবং এসএমই খাতে ঋণ ১১ হজার ২৭৯ কোটি টাকা থেকে বৃদ্ধি পেয়ে ১১ হাজার ৩৬৫ কোটি টাকায় উন্নীত হয়েছে। বিনিয়োগ খাতে শতকরা ৩৪ দশমিক ০৯ ভাগ প্রবৃদ্ধিসহ অর্জিত হয়েছে ৩৬ হাজার ৭৬৮ কোটি টাকা। এর মধ্যে সরকারি সিকিউরিটিজ খাতে ৩০ হাজার ৮৮৭ কোটি টাকা।

সভায় এমডি অ্যান্ড সিইও আরও বলেন, ২০২১ সালে ভ্যাট ও আবগারি শুল্ক বাবদ জনতা ব্যাংক সরকারি কোষাগারে ৯০৬ কোটি টাকা জমা করেছে। আগের বছর জমার পরিমাণ ছিল ৭৫০ কোটি টাকা। এছাড়া জনতা ব্যাংকের সাবসিডিয়ারি প্রতিষ্ঠান জনতা ক্যাপিটাল অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট লিমিটেড ১১৭ কোট টাকা পরিচালন মুনাফা অর্জন করেছে, যা পূর্ববর্তী বছর ছিল ১৯ কোটি টাকা। আমাদের প্রতিটি ব্যাংক কর্মীর অক্লান্ত পরিশ্রমের ফলে এসব অর্জন সম্ভব হয়েছে।

 

© JUGANTOR.COM
]]>
<![CDATA[রামেক হাসপাতালে রিপ্রেজেন্টেটিভদের কোমরে রশি]]> https://www.jugantor.com/todays-paper/city/567189/রামেক-হাসপাতালে-রিপ্রেজেন্টেটিভদের-কোমরে-রশি 567189 2022-06-28T00:00:00+06:00 রাজশাহী ও যশোর ব্যুরো রামেক হাসপাতালে রিপ্রেজেন্টেটিভদের কোমরে রশি

রামেক হাসপাতালে রিপ্রেজেন্টেটিভদের কোমরে রশি

নগর-মহানগর

রাজশাহী ও যশোর ব্যুরো

রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালের বহির্বিভাগে রোগীদের চিকিৎসা ব্যবস্থাপত্র দেখার পরে ছবি তোলায় ওষুধ কোম্পানির ৫ রিপ্রেজেন্টেটিভকে (বিক্রয় প্রতিনিধি) কোমরে রশি বাঁধার ঘটনায় জড়িত আনসার সদস্যদের বিচার দাবিতে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে।

সোমবার বেলা ১১টার দিকে ওষুধ কোম্পানির রিপ্রেজেন্টেটিভরা হাসপাতালের সামনের রাস্তায় এ কর্মসূচি পালন করেন। তারা বলেন, কোমরে দড়ি বাঁধায় প্রকাশ্যে ক্ষমা চাইতে হবে। বাংলাদেশ ফার্মাসিউটিক্যালস রিপ্রেজেন্টেটিভস অ্যাসোসিয়েশন (ফারিয়া) রাজশাহী মহানগর শাখার উদ্যোগে এ প্রতিবাদ কর্মসূচি থেকে এর সঙ্গে জড়িত সংশ্লিষ্টদের বিচার দাবি করা হয়। এ সময় বক্তব্য দেন ফারিয়া কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি হাবিবুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক শফিউর রহমান, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জুয়েল খান প্রমুখ।

বক্তারা বলেন, রোববার সকালে বহির্বিভাগের সামনে ওষুধ কোম্পানির ৫ বিক্রয় প্রতিনিধি চিকিৎসা নিতে আসা রোগীদের কাছ থেকে চিকিৎসা ব্যবস্থাপত্র চেয়ে নিয়ে ছবি তুলছিলেন। আনসার সদস্যরা বাধা দিলে উভয়পক্ষ বাগ্বিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়ে। একপর্যায়ে ওই ৫ প্রতিনিধিকে আটক করেন আনসার সদস্যরা। এরপর তাদের কোমরে দড়ি বেঁধে রাস্তার পাশে একটি গাছে বেঁধে রাখা হয়। পরে হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল শামীম ইয়াজদানির কাছে মুচলেকা দিয়ে ছাড়া পান তারা। এ ব্যাপারে জানতে চাইলে রামেক হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল শামীম ইয়াজদানি বলেন, রিপ্রেজেন্টেটিভরা ব্যবস্থাপত্র দেখার নামে রোগীদের হয়রানি করেন। তাদের নিষেধ করার পরও হাসপাতাল চত্বরে এসে একই কাজ করেন। এ কারণে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছিল। আনসার সদস্যরা কয়েকজনকে ধরে আটকে রেখেছিল। কিন্তু কোমরে দড়ি বাঁধার বিষয়টি আমার জানা নেই।

যশোরে সমাবেশ : রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালকের কাছে ওষুধ কোম্পানি প্রতিনিধিকে লাঞ্ছিত ও হেনস্তার প্রতিবাদে যশোরে মানববন্ধন করেছেন বিভিন্ন ওষুধ কোম্পানির প্রতিনিধিরা। সোমবার দুপুরে ফার্মাসিউটিক্যালস রিপ্রেজেন্টেটিভস অ্যাসোসিয়েশন (ফারিয়া) যশোর জেলা শাখার আয়োজনে শহরের ভৈরব চত্বরে এ প্রতিবাদ সমাবেশ হয়। দুই ঘণ্টাব্যাপী এই সমাবেশে শতাধিক বিভিন্ন কোম্পানির প্রতিনিধিরা অংশ নেন।

প্রতিবাদ সমাবেশে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালকের বিচার দাবি করেন বক্তারা।

© JUGANTOR.COM
]]>
<![CDATA[ঢাবি ‘খ’ ইউনিটে ভর্তি পরীক্ষায় পাশের হার ৯.১৩]]> https://www.jugantor.com/todays-paper/city/567188/ঢাবি-খ-ইউনিটে-ভর্তি-পরীক্ষায়-পাশের-হার-৯.১৩ 567188 2022-06-28T00:00:00+06:00 ঢাবি প্রতিনিধি ঢাবি ‘খ’ ইউনিটে ভর্তি পরীক্ষায় পাশের হার ৯.১৩

ঢাবি ‘খ’ ইউনিটে ভর্তি পরীক্ষায় পাশের হার ৯.১৩

নগর-মহানগর

ঢাবি প্রতিনিধি

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষের স্নাতক (সম্মান) শ্রেণির ‘খ’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষার ফল প্রকাশ হয়েছে। এ পরীক্ষায় পাশ করেছেন ৯.৮৭ শতাংশ শিক্ষার্থী। আর ভর্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণকারীদের ৯০.১৩ শতাংশই অকৃতকার্য হয়েছেন। কলা অনুষদভুক্ত এই ইউনিটে গতবার পাশের হার ছিল ১৬.৮৯ শতাংশ। সোমবার দুপুরে আনুষ্ঠানিকভাবে পরীক্ষার ফল প্রকাশ করা হয়।

৪ জুন ‘খ’ ইউনিটের পরীক্ষা হয়েছিল। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষায় এবার তৃতীয়বারের মতো নৈর্ব্যক্তিকের পাশাপাশি লিখিত অংশও ছিল। ‘খ’ ইউনিটে ১ হাজার ৭৮৮ আসনের বিপরীতে ৫৮ হাজার ৫৭৩ শিক্ষার্থী ভর্তি পরীক্ষার আবেদন করেন। পরীক্ষায় অংশ নেন ৪৬ হাজার ৯৭২ জন। ভর্তি পরীক্ষায় লিখিত ও নৈর্ব্যক্তিক অংশে সমন্বিতভাবে উত্তীর্ণ হয়েছেন ৫ হাজার ৬২২ পরীক্ষার্থী। পরীক্ষার ফল জানা যাবে ওয়েবসাইটে।

রোববার দুপুর ১টার দিকে উপাচার্য ড. মো. আখতারুজ্জামান বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের আবদুল মতিন ভার্চুয়াল ক্লাসরুমে ফল ঘোষণা করেন। ওই সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক ড. এএসএম মাকসুদ কামাল, ‘খ’ ইউনিট পরীক্ষার সমন্বয়ক এবং কলা অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. আবদুল বাছিরসহ ভর্তি পরীক্ষার সঙ্গে সংশ্লিষ্টরা উপস্থিত ছিলেন।

ভর্তি পরীক্ষায় প্রথম নুয়েল : এবার ‘খ’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষার ফলে প্রথম হয়েছেন ফরিদপুরের সরকারি রাজেন্দ্র কলেজের শিক্ষার্থী নাহনুল কবির নুয়েল। তার প্রাপ্ত নম্বর ৭৬ দশমিক ৫০। মাধ্যমিক এবং উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার জিপিএর ভিত্তিতে প্রাপ্ত নম্বরসহ মোট প্রাপ্ত নম্বর ৯৬ দশমিক ৫০। তিনি ভর্তি পরীক্ষায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রে পরীক্ষা দিয়েছেন। এছাড়া দ্বিতীয় হয়েছেন বরিশাল সরকারি মহিলা কলেজের শিক্ষার্থী তাবিয়া তাসনিম। তার প্রাপ্ত নম্বর ৭৬ দশমিক ২৫। মাধ্যমিক এবং উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার জিপিএর ভিত্তিতে প্রাপ্ত নম্বরসহ মোট প্রাপ্ত নম্বর ৯৬ দশমিক ২৫। তিনি ভর্তি পরীক্ষায় বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রে পরীক্ষা দিয়েছেন। তৃতীয় হয়েছেন সাবরিন আক্তার কেয়া। তিনি মাদারীপুরের সরকারি নাজিমউদ্দিন কলেজের শিক্ষার্থী ছিলেন। তার বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষায় প্রাপ্ত নম্বর ৭৬ দশমিক ২৫। আর মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিকের জিপিএ মিলে সর্বমোট তার প্রাপ্ত নম্বর ৯৬ দশমিক ২৫। তিনিও ভর্তি পরীক্ষায় বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রে পরীক্ষা দিয়েছেন।

দ্বিতীয় এবং তৃতীয় স্থান অর্জন করা শিক্ষার্থীর সমান নম্বর পাওয়ার বিষয়ে উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান বলেন, নীতিমালার আলোকে গড় নম্বর এক হলেও দুটি বিষয়ে নম্বর বেশি পাওয়ায় দ্বিতীয় এবং তৃতীয় করা হয়েছে।

© JUGANTOR.COM
]]>
<![CDATA[সাভারে পুলিশের চাঁদাবাজি বন্ধে অবরোধ বিক্ষোভ]]> https://www.jugantor.com/todays-paper/city/567187/সাভারে-পুলিশের-চাঁদাবাজি-বন্ধে-অবরোধ-বিক্ষোভ 567187 2022-06-28T00:00:00+06:00 সাভার ও আশুলিয়া প্রতিনিধি, ঢাকা সাভারে পুলিশের চাঁদাবাজি বন্ধে অবরোধ বিক্ষোভ

সাভারে পুলিশের চাঁদাবাজি বন্ধে অবরোধ বিক্ষোভ

নগর-মহানগর

সাভার ও আশুলিয়া প্রতিনিধি, ঢাকা

সাভারের হাইওয়ে পুলিশের চাঁদাবাজি বন্ধের দাবিতে সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেছেন অটোরিকশা চালকরা। আশুলিয়ার নবীনগর-চন্দ্রা মহাসড়কে পল্লীবিদ্যুৎ এলাকায় সোমবার বিক্ষোভের সময় পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষ হয়। এ ঘটনায় উভয়পক্ষের ১৫ জন আহত হন।

বেলা ১১টার দিকে আশুলিয়ার জামগড়া, বাইপাইল, ইপিজেড, গাজিরচট, ডেন্ডাবর ও পল্লীবিদ্যুৎ এলাকার অটোরিকশা চালকরা একযোগে নবীনগর-চন্দ্রা মহাসড়কে জড়ো হয়ে বিক্ষোভ মিছিল করতে থাকেন। তারা মহাসড়কে ইলেকট্রিক পোল ফেলে গাড়ি যাতায়াতের প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করে পুলিশের বিরুদ্ধে বিভিন্ন স্লোগান দেন। একপর্যায়ে বিক্ষুব্ধ চালকরা সড়কে টায়ার ও গাছের ডাল ফেলে মহাসড়কের মাঝে আগুন জ্বালিয়ে দেন। এ সময় মহাসড়কের উভয়পাশে দুই ঘণ্টা ধরে তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়। যানজট নিরসনে তাদের বিক্ষোভে বাধা দিলে পুলিশকে লক্ষ্য করে ইট-পাটকেল নিক্ষেপ করেন বিক্ষুব্ধ রিকশাচালকরা। পুলিশ তাদের ওপর লাঠিচার্জ করে। এতে পুলিশসহ ১৫ জন আহত হয়েছেন। বিক্ষোভকারীদের ছোড়া ইটের আঘাতে আশুলিয়া থানার এসআই শ্যামল দত্তসহ কয়েকজন গুরুতর আহত হন। অটোরিকশা চালকরা জানান, তারা রিকশা নিয়ে মহাসড়কে না উঠলেও হাইওয়ে পুলিশ তাদের রিকশা ধরে নিয়ে গিয়ে ২৬০০ টাকা জরিমানা করেন। এক মাসে কয়েকবার এ জরিমানা আদায় করে পুলিশ। রিকশা চালকরা গরিব মানুষ, প্রতি সপ্তাহে যদি ২৬০০ টাকা নেয় পুলিশ। তাহলে রিকশা চালকের পরিবার কীভাবে চলবে। তারা পেটের দায়ে বেঁচে থাকার জন্য পুলিশের অনিয়ম-দুর্নীতির বিরুদ্ধে বিক্ষোভ ও প্রতিবাদ জানাতে মহাসড়কে অবস্থান নিয়েছেন। রিকশাচালক বাচ্চু বলেন, সে শাখা সড়কে রিকশা চালায়। মহাসড়কের মুখ থেকে তার রিকশা এ মাসে ৪ বার ধরে নিয়ে গেছে হাইওয়ে পুলিশ। এ মাসে তার কাছ থেকে জরিমানা নিয়েছে ১০ হাজার ৪০০ টাকা। এভাবে চলতে থাকলে তাদের পরিবার না খেয়ে মরে যাবে। জসিম বলেন, এ মাসে তার রিকশা ধরেছে ৩ বার। র‌্যাকার ধরেছে দুবার, হাইওয়ে পুলিশ ধরেছে দুবার। প্রতি মাসে দুই থেকে তিনবার ধরলে সংসার চালাতে ঋণ করতে হয়। বাধ্য হয়ে অসাধু পুলিশ কর্মকর্তাদের নির্যাতনের বিরুদ্ধে মাইকিং করে সমাবেশের ডাক দিয়েছেন তারা।

চালকরা আরও জানান, ঢাকার সাভারে মহাসড়কের শাখা সড়কগুলোতে চলাচলরত ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা থেকে নিয়মিত মোটা অঙ্কের চাঁদা আদায় করে পুলিশ। কয়েক বছর আগে থেকে পুলিশ মহাসড়কে অটোরিকশা নিয়ে মাহসড়কে উঠতে নিষেধ করেছে। এরপর থেকে রোগী বহন ছাড়া আমরা মহাসড়কে যাই না। কিন্তু মহসড়কের সংযুক্ত শাখা সড়কের পাশে থাকলেও পুলিশ তাদের সোর্সের মাধ্যমে আমাদের আটোরিকশার চাবি নিয়ে ৫ হাজার টাকা চাঁদার দাবি করে। তাদের চাহিদা অনুযায়ী টাকা না দিলে সোর্সের মাধ্যমে রিকশাগুলো সাভার হাইওয়ে থানায় নিয়ে যায়। এরপর বড় অটোরিকশার জন্য ৫ হাজার ২০০ টাকা ও ছোট অটোরিকশা বাবদ ২৬০০ টাকা জরিমানা আদায় করে পুলিশ। রেকার ব্যবহার না করেও জরিমানার টাকা আদায় করা হয় রেকার বিল বাবদ। পুলিশের রেকার বাণিজ্যের প্রতিবাদে সোমবার চালকরা একত্রিত হয়ে মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ শুরু করে।

রিকশাচালক সবুজ মিয়া বলেন, অনেক সময় পুলিশ মহাসড়কে না উঠলেও ভেতরের শাখা রাস্তা থেকে জোরপূর্বক আমাদের গাড়ি আটক করে থানায় নিয়ে যায়। মোটা অঙ্কের টাকা আদায় করে গাড়ি ছেড়ে দেয়। আমরা তো চুরি-ডাকাতি করি না। তাহলে কেন আমাদের এভাবে হয়রানি করা হয়। আমরাই কেবল জানি এ জরিমানার টাকা দিয়ে আমাদের সংসার চালাতে কত কষ্ট হয়। বউ-বাচ্চার জন্য বাজার না করে এই টাকা পরিশোধ করতে হয়।

বিক্ষোভকারীদের অভিযোগ, আমিনবাজার থেকে চন্দ্রা এবং ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের কালামপুর পর্যন্ত দুটি মহাসড়কের শাখা সড়ক রয়েছে অন্তত ৫০টি। প্রতিদিন এসব সড়ক থেকে অন্তত দুই হাজার অটোরিকশা আটক করে পুলিশ। এসব রিকশা ৫ থেকে ২৫০০ টাকা চাঁদা আদায় করে ছেড়ে দেয় পুলিশ। এভাবে প্রতিদিন প্রায় অর্ধকোটি টাকা চাঁদা আদায় করা হচ্ছে।

জানতে চাইলে সাভার হাইওয়ে পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আতিকুর রহমান বলেন, রিকশাচালকদের একটি গ্রুপ সংগঠিত হয়ে সড়কে আন্দোলন করছে। তবে তাদের দাবি ভিত্তিহীন। জরিমানার ২৫০০ টাকা সরকারি কোষাগারে জমা হয়। এখানে চাঁদাবাজির কোনো ঘটনা নেই। তবে দালাল শ্রেণির কিছু লোকজন আমাদের বিরুদ্ধে এসব ষড়যন্ত্র করছে বলে জানান তিনি।

© JUGANTOR.COM
]]>
<![CDATA[চট্টগ্রামে দুই ভাইসহ ৭ জনের বিরুদ্ধে মামলা]]> https://www.jugantor.com/todays-paper/city/567186/চট্টগ্রামে-দুই-ভাইসহ-৭-জনের-বিরুদ্ধে-মামলা 567186 2022-06-28T00:00:00+06:00 চট্টগ্রাম ব্যুরো চট্টগ্রামে দুই ভাইসহ ৭ জনের বিরুদ্ধে মামলা

চট্টগ্রামে দুই ভাইসহ ৭ জনের বিরুদ্ধে মামলা

নগর-মহানগর

চট্টগ্রাম ব্যুরো

অফিসে যাওয়ার সময় গাড়ি থেকে নামিয়ে অপহরণের পর হত্যাচেষ্টার অভিযোগে সন্ত্রাসী দুই ভাইসহ ৭ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন চট্টগ্রাম জেলা রেজিস্ট্রেশন অফিসের কর্মচারী (নকলনবিশ) মো. শফি। নগরীর কোতোয়ালি থানায় ১৬ জুন এ মামলা করা হলেও আসামিদের কেউ গ্রেফতার হয়নি। গ্রামে বাড়ি নির্মাণে চাঁদা দাবি করে না পেয়ে সন্ত্রাসীরা এ ঘটনা ঘটিয়েছে বলে এজাহারে উল্লেখ করা হয়েছে। আসামি দুই ভাই হচ্ছেন-রেজাউল করিম ওরফে কানা করিম (৩০) ও নুরুল আজিম বাচা ওরফে ইয়াবা বাচা (২৬)। এ ছাড়া এনামুল করিম, গিয়াস উদ্দিনসহ অজ্ঞাতনামা আরও ২/৩ জন আসামি রয়েছে।

জানা যায়, চাঁদাবাজদের ভয়ে অন্তত এক বছর গ্রামছাড়া ছিলেন চট্টগ্রাম জেলা রেজিস্ট্রার অফিসের কর্মচারী মো. শফি। পটিয়া উপজেলার কুসুমপুরা ইউনিয়নের মনসায় তার গ্রামের বাড়ি। গ্রামে একটি বাড়ি নির্মাণ করতে গিয়ে তিনি চাঁদাবাজদের হুমকি-ধমকি ও হামলার শিকার হন। চাঁদা না দেওয়ায় বাড়ির কাজের লোকদের বিভিন্ন সময় মারধরে কাজ বন্ধ করে দেন তারা। এসব ঘটনায় একাধিক জিডিও করেন শফি। কিন্তু তাতেও শেষরক্ষা হয়নি। কোতোয়ালি থানার ওসি জাহেদুল কবির যুগান্তরকে বলেন, রেজিস্ট্রেশন অফিস কর্মচারীকে অপহরণ ও হত্যাচেষ্টার অভিযোগে একটি মামলা হয়েছে। ঘটনাস্থলের ভিডিও ফুটেজ সংগ্রহ করা হচ্ছে। তদন্তসাপেক্ষে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

© JUGANTOR.COM
]]>
<![CDATA[পদ্মা সেতুর উদ্বোধন দেখতে গিয়ে ২৩ জন নিয়ে নৌকাডুবি]]> https://www.jugantor.com/todays-paper/city/567185/পদ্মা-সেতুর-উদ্বোধন-দেখতে-গিয়ে-২৩-জন-নিয়ে-নৌকাডুবি 567185 2022-06-28T00:00:00+06:00 চরফ্যাশন (ভোলা) প্রতিনিধি পদ্মা সেতুর উদ্বোধন দেখতে গিয়ে ২৩ জন নিয়ে নৌকাডুবি

পদ্মা সেতুর উদ্বোধন দেখতে গিয়ে ২৩ জন নিয়ে নৌকাডুবি

নগর-মহানগর

চরফ্যাশন (ভোলা) প্রতিনিধি

পদ্মা সেতুর উদ্বোধনী অনুষ্ঠান দেখে ঢাকায় যাওয়ার পথে পদ্মায় নৌকা ডুবে নিখোঁজ ছাত্রলীগ নেতা আল আফছার তামিমের লাশ উদ্ধার করেছে শরীয়তপুর জাজিরা থানা পুলিশ।

নিখোঁজ হওয়ার দুদিন পর সোমবার বেলা ২টার দিকে পদ্মা নদীতে তার ভাসমান লাশ পাওয়া যায়। তিনি ভোলার চরফ্যাশন কলেজ শাখা ছাত্রলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক ও চরফ্যাশন পৌরসভার ৪নং ওয়ার্ডের মুজিব উদ্দিনের ছেলে।

শনিবার পদ্মা সেতুর উদ্বোধন অনুষ্ঠানে যোগ দিতে তামিম ভোলা থেকে লঞ্চে রওয়ানা হয়ে অনুষ্ঠানস্থলে পৌঁছান। অনুষ্ঠান শেষে বেলা ২টার দিকে কাঁঠালবাড়ী থেকে একটি নৌকা ভাড়া করে আরও ২২ জনের সঙ্গে তিনি ঢাকার উদ্দেশে রওয়ানা হন। পথে তাদের নৌকাটি ডুবে যায়। দুর্ঘটনার পর তামিম বাদে অন্য সবাইকে উদ্ধার করেন পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব কবির বিন আনোয়ার ও তার সফরসঙ্গী এবং সেনাবাহিনী।

সচিব কবির বিন আনোয়ারের প্রতি কৃতজ্ঞতা : পদ্মায় নৌকাডুবির ঘটনায় ২২ যাত্রীকে উদ্ধার করায় পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব কবির বিন আনোয়ারের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন চরফ্যাশন উপজেলাবাসী ও উদ্ধার হওয়া যাত্রীদের স্বজনরা।

উদ্ধার হওয়া যাত্রীরা বলেন, শনিবার পদ্মা সেতু উদ্বোধনের পর কাঁঠালবাড়ী ঘাট থেকে মাওয়া ঘাটে যাওয়ার জন্য নৌকায় উঠি। সবাই চরফ্যাশন উপজেলার বাসিন্দা। মাওয়ার উদ্দেশে রওয়ানা দেওয়ার প্রায় ৩০ মিনিট পর নদীর প্রচণ্ড সে াতে নৌকা দুলতে থাকে। ৫-৭ মিনিট পর আবার স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে আসে। একটু পর প্রচণ্ড স্রোতে নৌকাটি ডুবে যায়। ট্রলারের বাঁশ ও কাঠ যার যার মতো করে ধরে ভেসে থাকেন। এ সময় ওই নৌরুট দিয়ে সেতু উদ্বোধন শেষে একটি রিসার্চবোটে যাচ্ছিলেন পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব কবির বিন আনোয়ার। তিনি নৌকা ডুবতে দেখে পানি উন্নয়ন বোর্ডের একটি স্পিডবোট খবর দিয়ে নিয়ে আসেন। তার নেতৃত্বে ২২ যাত্রীকে উদ্ধার করেন। এ সময় সচিবের সফরসঙ্গীরা ছাড়াও খবর পেয়ে সেনাবাহিনীর সদস্যরা উদ্ধার অভিযানে সহায়তা করেন। উদ্ধার-পরবর্তী গুরুতর অসুস্থদের বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হয়। ২২ যাত্রীকে উদ্ধার করায় চরফ্যাশন উপজেলার সামাজিক, রাজনৈতিক ও বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব কবির বিন আনোয়ারের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।

© JUGANTOR.COM
]]>
<![CDATA[বাজেটে শিশুর জন্য বরাদ্দ বাড়ানোর সুপারিশ]]> https://www.jugantor.com/todays-paper/city/567184/বাজেটে-শিশুর-জন্য-বরাদ্দ-বাড়ানোর-সুপারিশ 567184 2022-06-28T00:00:00+06:00 যুগান্তর প্রতিবেদন বাজেটে শিশুর জন্য বরাদ্দ বাড়ানোর সুপারিশ

বাজেটে শিশুর জন্য বরাদ্দ বাড়ানোর সুপারিশ

নগর-মহানগর

যুগান্তর প্রতিবেদন

২০২২-২৩ অর্থবছরের বাজেটে শিশুর জন্য বরাদ্দ বাড়ানোর সুপারিশ করেছেন সচেতন নাগরিকরা। একইসঙ্গে শিশুদের জন্য আলাদা মন্ত্রণালয় গঠন ও পৃথক বাজেট দেওয়ার সুপারিশ করেছেন তারা। জাতীয় প্রেস ক্লাবে সোমবার আয়োজিত এক বাজেট আলোচনায় বক্তারা এ কথা বলেন। ‘জাতীয় বাজেটে শিশুর জন্য সুনির্দিষ্ট বরাদ্দ নিশ্চিত করা জরুরি’ শীর্ষক আলোচনা সভার আয়োজন করে চিলড্রেন অ্যাফেয়ার্স জার্নালিস্টস নেটওয়ার্ক (সিএজেএন) ও ওয়ার্ল্ড ভিশন বাংলাদেশ।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী ড. শামসুল আলম বলেন, শিশুদের পেছনে ব্যয় বাড়ানো প্রয়োজন, কারণ ১৮ শতাংশ শিশু পড়াশোনা থেকে ঝরে পড়ে। যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়, সংস্কৃতি মন্ত্রণালয় শিশুদের নিয়ে খেলা ও সংস্কৃতির আয়োজন করে, তবে এগুলো পর্যাপ্ত নয়। শিক্ষা-স্বাস্থ্য খাতে বাজেট বরাদ্দের বাস্তবায়ন শতভাগ হয় না। পরে সংশোধিত বাজেটে সমন্বয় করতে হয়। এবারও ধর্ম মন্ত্রণালয় কেবল বাজেট খরচ করতে পেরেছে। অন্য কেউই খরচের সুযোগ থাকা সত্ত্বেও খরচ করতে পারে না। দেখা যায় মন্ত্রণালয়গুলো বাজেটের সর্বোচ্চ ৮৫ থেকে ৮৬ শতাংশ খরচ করতে পেরেছে। সুতরাং বাজেট বরাদ্দ বাড়ানো থেকেও বড় প্রয়োজন বাস্তবায়ন।

তিনি আরও বলেন, পদ্মা সেতু প্রমাণ করেছে টাকা আমাদের জন্য বড় বিষয় নয়। বাস্তবায়নের দৃঢ় মনোভাব প্রতিজ্ঞা এবং সদিচ্ছাই হলো বড়। এ সরকার শিশু বাজেট তৈরি শুরু করেছিল। শিশুদের সার্বিক কল্যাণে অবশ্যই পৃথক বাজেট ঘোষণা করা উচিত বলে মনে করেন তিনি।

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন মহিলা ও শিশুবিষয়ক মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য শবনম জাহান শীলা এবং যুগান্তর সম্পাদক সাইফুল আলম।

যুগান্তর সম্পাদক সাইফুল আলম বলেন, শিশুদের জন্য আলাদা শিশু মন্ত্রণালয় থাকা দরকার। শিশুদের সুকুমার বৃত্তির বিকাশে সরকারকে নানা কর্মসূচি নিতে হবে। এক্ষেত্রে বাজেট বরাদ্দ বৃদ্ধির চেয়ে বাজেট বাস্তবায়নে জোর দিতে হবে। অর্থ অপচয় রোধ করার কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, সরকারের বিভিন্ন কর্মসূচির মানসম্পন্ন বাস্তবায়ন নিশ্চিত করতে হবে।

মহিলা ও শিশুবিষয়ক মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সদস্য শবনম জাহান শিলা বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকার একটি শিশুবান্ধব সরকার। সরকার ইতোমধ্যে দেশের অনেক স্কুলে ইন্টারনেট সংযোগসহ শেখ রাসেল ডিজিটাল ল্যাব চালু করেছে, আরও করবে। শুধু সরকারের সমালোচনা না করে সরকারের গৃহীত বিভিন্ন কর্মসূচি বাস্তবায়নে তিনি সবাইকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান।

উন্মুক্ত আলোচনায় দৈনিক সংবাদের বার্তা সম্পাদক কাজী রফিক বলেন, দেশের ৬ কোটি ৬০ লাখ শিশুর জন্য পর্যাপ্ত বাজেট নেই। শিশুর সুরক্ষায় পর্যাপ্ত ও সুনির্দিষ্ট বরাদ্দ রাখতে হবে।

কেন্দ্রীয় খেলাঘর আসরের প্রেসিডিয়াম সদস্য মেডিসিন বিশেষজ্ঞ ডা. লেনিন চৌধুরী বলেন, সারা দেশে পানিতে ডুবে মরা রোধ করতে সরকারের একটি কর্মসূচি আছে, কিন্তু এটি সঠিকভাবে বাস্তবায়ন করা হয়নি। আমাদের দেশে মেয়েশিশুদের স্যানিটারি ন্যাপকিন ব্যবহার বিশ্ব মানদণ্ডের অনেক নিচে। তিনি এ ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে যথাযথ গুরুত্ব দেওয়ার আহ্বান জানান।

গাজী টিভির প্রধান প্রতিবেক রাজু আহমেদ বলেন, মুক্তিযুদ্ধের চেতনার আলোকে শিশুদের গড়ে তুলতে হবে। বর্তমানে দেশে জোরালো সাংস্কৃতিক আন্দোলন জরুরি। এ জন্য শিশুদের জন্য সৃজনশীল কর্মকাণ্ডে অংশগ্রহণ বাধ্যতামূলক করতে হবে। তিনি করোনায় বাল্যবিয়ের শিকার ঝরে পড়াদের জন্য জাতীয় বাজেটে বরাদ্দ রাখার সুপারিশ করেন।

ডেইলি অবজারভারের বিশেষ প্রতিনিধি শাহনাজ বেগম আলোচনায় অংশ নিয়ে বলেন, জাতীয় বাজেটে এ বছর শিশুদের জন্য বরাদ্দ গত অর্থবছরের তুলনায় কমেছে। করোনা-পরবর্তী শিশুদের পুষ্টি নিয়ে বাজেটে সরকারের কোনো উদ্যোগ নেই। তিনি সরকারকে এ বিষয়ে নজর দেওয়ার আহ্বান জানান।

সিএজেএন’র সভাপতি মাহফুজা জেসমিনের পরিচালনায় অনুষ্ঠানে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উন্নয়ন অধ্যয়ন বিভাগের অধ্যাপক ড. এম আবু ইউসুফ। অনুষ্ঠানে শুভেচ্ছা বক্তৃতা করেন ওয়ার্ল্ড ভিশন বাংলাদেশের টেকনিক্যাল প্রোগ্রাম ম্যানেজার জোয়ান্না ডি রোজারিও ও সিএজেএন’র যুগ্ম সম্পাদক রাবেয়া বেবী।

এ ছাড়াও আলোচনায় অংশ নেন নগরীর বিভিন্ন প্রান্তে শিশু অধিকার বাস্তবায়নে কর্মরত শিশু-কিশোররা। তারা শিশু সুরক্ষায় সুনির্দিষ্ট বাজেট বরাদ্দ, শিশুবান্ধব নগর পরিকল্পনা, শিক্ষা কারিকুলামে মানসম্মত সৃজনশীল সাহিত্যের পাশাপাশি লোকসাহিত্য ও সংস্কৃতির পাঠ ও চর্চা বৃদ্ধির জন্য বরাদ্দ বৃদ্ধির সুপারিশ করেন। শিশু প্রতিনিধিদের মধ্যে আলোচনায় অংশ নেন ইউনিক ইয়ুথ ফোরামের সভাপতি সজিব মিয়া, লোকসাহিত্য বিষয়ক পত্রিকা গাঙঢুফীর কিশোর বিভাগের সম্পাদক বর্ণিল মূর্চ্ছনা, শিশু ফোরামের সদস্য ইভা মনি ও মইনুদ্দিন তুহিন।

© JUGANTOR.COM
]]>
<![CDATA[টাঙ্গাইল কুমিল্লা পিরোজপুরে আটজনের যাবজ্জীবন]]> https://www.jugantor.com/todays-paper/city/567183/টাঙ্গাইল-কুমিল্লা-পিরোজপুরে-আটজনের-যাবজ্জীবন 567183 2022-06-28T00:00:00+06:00 যুগান্তর ডেস্ক টাঙ্গাইল কুমিল্লা পিরোজপুরে আটজনের যাবজ্জীবন

টাঙ্গাইল কুমিল্লা পিরোজপুরে আটজনের যাবজ্জীবন

নগর-মহানগর

যুগান্তর ডেস্ক

টাঙ্গাইল, কুমিল্লা ও পিরোজপুরে পৃথক হত্যা মামলার রায়ে আটজনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। ব্যুরো ও প্রতিনিধির পাঠানো খবর-

টাঙ্গাইল : টাঙ্গাইলে একটি হত্যা মামলায় চারজনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। সেই সঙ্গে প্রত্যেককে ২০ হাজার টাকা করে জরিমানা, অনাদায়ে আরও তিন মাসের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। সোমবার দুপুরে অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ দ্বিতীয় আদালতের বিচারক মোহাম্মদ মোরশেদ আলম এ রায় দেন। অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় ১১ জনকে বেকসুর খালাস দেওয়া হয়েছে। দণ্ডিত ব্যক্তিরা হচ্ছেন জেলার ধনবাড়ী উপজেলার রামজীবনপুর গ্রামের মৃত ময়েজ উদ্দিনের ছেলে সেজনু মিয়া ও মিজানুর রহমান, একই গ্রামের ফয়েজ উদ্দিনের ছেলে মুনসুর আলী এবং গঙ্গাবর গ্রামের মৃত আলী ফকিরের ছেলে জামাল ফকির। ২০০৪ সালের ৩০ ডিসেম্বর জেলার ধনবাড়ী উপজেলার রামজীবনপুর গ্রামে আসামিরা একটি জমি জোর করে দখল নিয়ে চাষাবাদ করতে যান। এ সময় জমির মালিক আব্দুর রহিম বাধা দিলে তাকে লাঠি দিয়ে পিটিয়ে গুরুতর আহত করে। ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ৩১ ডিসেম্বর আব্দুর রহিম মারা যান।

কুমিল্লা : কুমিল্লার বরুড়ায় আলম হত্যা মামলায় তিনজনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত। এ সময় পাঁচ আসামিকে বেকসুর খালাস দেওয়া হয়। সোমবার জেলা ও দায়রা জজ আদালত অতিরিক্ত-২-এর বিচারক নাছরিন জাহান এ রায় দেন। যাবজ্জীবন দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন, জেলার বরুড়া উপজেলার দক্ষিণ শিলমুড়ি ইউনিয়নের শিয়ালোড়া গ্রামের ফজলুল হক, আবিদ আলী ও আবুল খায়ের।

বরুড়া উপজেলার শিয়ালোড়া গ্রামের আবদুল খালেকের ছেলে আলী নেওয়াজ ও আলমের সঙ্গে একই গ্রামের ফজলুল হকের বিরোধ ছিল। এর জেরে ২০০৮ সালের ২০ মার্চ ফজলুল, আবু তাহের, আবিদ আলী, আবুল খায়ের, মো. জসীম, সোহেল মিয়া, সুমন, জয়নব বিবি ও মো. সুমনসহ কয়েকজন তাদের পিটিয়ে আহত করে। গুরুতর আহত আলমকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করার পর চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।

পিরোজপুর : পিরোজপুরের স্বরূপকাঠিতে হত্যা মামলায় মো. বেল্লাল বেপারী নামে এক যুবককে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড এবং ২০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড ও অনাদায়ে আরও ৩ মাসের কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। পিরোজপুরের জেলা ও দায়রা জজ মোহা. মহিদুজ্জামানের আদালত এ রায় প্রদান করেন। অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় ৫ আসামিকে খালাস দেওয়া হয়।

স্বরূপকাঠির দক্ষিণ সোহাগদল গ্রামের মো. শাহাদৎ বেপারীর ছেলে বেল্লাল বেপারী একই গ্রামের মনির হোসেন কালুর মেয়ে বৃষ্টি বেগমকে বিয়ে করে। বিয়ের পর থেকে বৃষ্টিকে বিভিন্নভাবে যৌতুকের জন্য নির্যাতন করায় এক পর্যায়ে বৃষ্টি বাবার বাড়িতে চলে আসে। এ নিয়ে সালিশ বসে। সালিশে বেল্লাল কথা কাটাকাটির একপর্যায়ে কুঠার দিয়ে চাচাশ্বশুর আব্দুর রহিমকে কুপিয়ে জখম করে। হাসপাতালে নেওয়ার পর চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

© JUGANTOR.COM
]]>
<![CDATA[পুঠিয়ায় দুই ডজন নকল প্রসাধনী কারখানা]]> https://www.jugantor.com/todays-paper/city/567182/পুঠিয়ায়-দুই-ডজন-নকল-প্রসাধনী-কারখানা 567182 2022-06-28T00:00:00+06:00 রাজশাহী ব্যুরো পুঠিয়ায় দুই ডজন নকল প্রসাধনী কারখানা

পুঠিয়ায় দুই ডজন নকল প্রসাধনী কারখানা

নগর-মহানগর

রাজশাহী ব্যুরো

রাজশাহীর পুঠিয়া এলাকায় বৈধ-অবৈধভাবে গড়ে উঠেছে বেশ কয়েকটি কসমেটিক্স পণ্য তৈরির কারখানা। বিভিন্ন পরিচিত ব্র্যান্ডের নকল প্রসাধনী পণ্য তৈরির অভিযোগে অতীতে অনেকবারই অভিযান পরিচালনা করেছে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ, জেলা প্রশাসনের ভ্রাম্যমাণ আদালত ও র‌্যাবসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। মূলত আইনি সীমাবদ্ধতার কারণে আর্থিক জরিমানা করেই তাদের ছেড়ে দেওয়া হয়। ফলে বারবার অভিযানের পরও রাজশাহীর পুঠিয়ার প্রত্যন্ত এলাকায় গড়ে উঠা নকল ও অবৈধ প্রসাধনী সামগ্রী তৈরি বন্ধ হচ্ছে না। একবার অভিযানের পর তারা প্রত্যন্ত গ্রামে চলে যাচ্ছে। কিছুদিন পর আবার ফিরছে একই কাজে। সর্বশেষ জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর রোববার বিকালে রাজশাহী বিভাগীয় কার্যালয়ের কর্মকর্তারা র‌্যাবের সহায়তায় পুঠিয়ার রামজীবনপুর এলাকার কাফি কসমেটিক্স কারখানায় অভিযান পরিচালনা করেন। বিশেষ করে বিপুল পরিমাণ মেড ইন পাকিস্তান লেখা প্রসাধনী পণ্য পাওয়া ছাড়াও দেশি বিদেশি ব্র্যান্ডের পণ্য নকল করে তৈরিসহ বিভিন্ন অভিযোগে প্রতিষ্ঠানটিকে ৩ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। তবে বাংলাদেশ স্ট্যান্ডার্ড অ্যান্ড টেস্টিং ইনস্টিটিউটের (বিএসটিআই) লাইসেন্স থাকায় কারখানাটি সিলগালা করেনি অভিযানিক দলটি।

জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর রাজশাহী বিভাগীয় কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক হাসান আল মারুফ সোমবার জানান, পুঠিয়ার রামজীবনপুর নামক গ্রামে কাফি কসমেটিক্স নামের প্রতিষ্ঠানটি নকল প্রসাধনী তৈরি করে আসছিল। সেখানে পাওয়া গেছে মেড ইন পাকিস্তান লেখা বিভিন্ন পণ্যের বিপুলসংখ্যক লেভেল মার্ক। দেশি পণ্যে পাকিস্তানি কোম্পানির লেভেল ব্যবহার ছাড়াও তাদের উৎপাদিত অধিকাংশ ক্রিমসহ বিভিন্ন পণ্য ওজনে কম পাওয়া গেছে। এছাড়া গ্রাহকদের প্রতারণার জন্য পণ্যের লেভেলে বিভ্রান্তিকর তথ্য দেওয়া হয়েছে। কাফি কসমেটিক্সের ১০ গ্রাম ওজনের ফেস ক্রিম তৈরির অনুমোদন থাকলেও তারা পণ্যের গায়ে ১৫ গ্রামের লেভেল ও চড়া মূল্যে বিক্রি করছিল। ক্রেতা আকর্ষণের জন্য আলু, লাই, শসা, অ্যালোভেরা ইত্যাদি মনোলোভা উপাদানে তৈরির বিবরণ দিয়ে পণ্যগুলো বাজারজাত করছিল। কাফি কসমেটিক্সকে তাৎক্ষণিক ৩ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়। জরিমানার এই টাকা পরিশোধ করেন ম্যানেজার মাসুদ রানা।

এদিকে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, রাজশাহীর শুধু পুঠিয়ার বানেশ্বরসহ বিভিন্ন এলাকাতে দুই ডজনের বেশি কসমেটিক্স তৈরির কারখানা গড়ে উঠেছে। যেগুলোর বিরুদ্ধে নকল ও ভেজাল পণ্য তৈরির অভিযোগ পুরোনো। মানসম্মত প্রসাধনী পণ্য তৈরির কারখানায় যেসব সুবিধা নিশ্চিত ছাড়াও রসায়নবিদ ও কারিগরি জ্ঞানসম্পন্ন লোকজন থাকার কথা তা এসব কারখানার কোথাও নেই। তারপরও বিএসটিআই থেকে বেশ কয়েকটি কারখানাকে পণ্য উৎপাদনের লাইসেন্স দেওয়া হয়েছে। শুধু অভিযান ও আইনি পদক্ষেপ থেকে বাঁচতে কারখানা মালিকরা বিপুল টাকা খরচ করে এসব লাইসেন্স সংগ্রহ করেন বলে অভিযোগ রয়েছে।

রাজশাহীস্থ র‌্যাব-৫ এর একজন দায়িত্বশীল কর্মকর্তা নাম না বলে জানান, পুঠিয়া এলাকায় গড়ে উঠা অনেক নকল প্রসাধনী সামগ্রী তৈরি কারখানায় তারা ২৫টিরও বেশি অভিযান পরিচালনা করেছেন গত কয়েক বছরে। অনুমোদনবিহীন কারখানাগুলোকে সাময়িকভাবে সিলগালা করাসহ ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে আর্থিক জরিমানা করা হয়েছে। এরপরও এসব কারখানা বন্ধ হয়নি। ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের সঙ্গে র‌্যাব যৌথভাবে অভিযান শুরু করেছে কারখানাগুলোর এসব অবৈধ কর্মকাণ্ড বন্ধ করতে। তারা অভিযান জোরদার করবেন। এসব অবৈধ কারবার দেশ ও জনগণের বিপুল ক্ষতি করছে।

জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক হাসান আল মারুফ আরও জানান, গত ৩০ অক্টোবর বানেশ্বর এলাকায় লতা হারবাল ও লতা কসমেটিক্স নামের দুটি নকল পণ্য উৎপাদন কারখানায় অভিযান পরিচালনা করা হয়। একটি বাড়িতে কয়েক শ্রমিক ফর্সা করা ক্রিম তৈরি করছিলেন। কোনো ধরনের বৈধ অনুমোদন ছাড়াই নকল উপকরণ দিয়ে নকল প্রসাধনী পণ্য তৈরি করছিলেন তারা। কারখানা দুটি থেকে ১২০ কেজি নকল কেমিক্যাল ও সাত হাজারের বেশি বিভিন্ন নামিদামি ব্র্যান্ডের নকল মোড়ক জব্দ করা হয়। ঘটনাস্থলেই ধ্বংস করা হয় জব্দ কেমিক্যালও। একই কারখানায় তারও আগে তিনবার অভিযান চালিয়ে বন্ধ করা হলেও তারা জায়গা বদল করে আবারও নকল পণ্য তৈরি করছিল।

অভিযোগে আরও জানা গেছে, ২০১৪ সালের ২৪ মে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আশরাফ আহমেদের নেতৃত্বে বানেশ্বরের মডার্ন কসমেটিক্স অ্যান্ড হারবাল ইন্ডাস্ট্রিজের তিনটি কারখানায় পর্যায়ক্রমে অভিযান পরিচালনা করেন। এসব কারখানা থেকে বিপুল পরিমাণ নকল প্রসাধনী ও কেমিক্যাল জব্দ করেন। এছাড়া বিএসটিআই’র নকল ট্রেড মার্ক ব্যবহার করার অভিযোগে প্রতিষ্ঠানটিকে লাখ টাকা জরিমানা করা হয়। তবে কারখানাটি পরবর্তীতে বিএসটিআই’র লাইসেন্স নিয়ে পণ্য উৎপাদন করছে বলে জানা গেছে।

২০২১ সালের ৯ সেপ্টেম্বর র‌্যাবের সহায়তায় নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট তরিকুল ইসলামের নেতৃত্বে একটি দল পুঠিয়ার পালোপাড়ায় একটি নকল প্রসাধনী কারখানায় অভিযান পরিচালনা করে ক্রিম তৈরির বিপুল পরিমাণ লেভেল, কেমিক্যাল ও উপকরণ জব্দ করা হয়। এসব ভেজাল উপকরণ ধ্বংস করে তিনজনকে দণ্ড দেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। পালোপাড়ার কারখানার মালিক প্রশাসনের চোখ এড়াতে এখন নাটোরের জামনগর এলাকার গ্রামে গিয়ে নকল পণ্য তৈরির কাজ অব্যাহত রেখেছেন বলে জানা গেছে।

© JUGANTOR.COM
]]>
<![CDATA[খুঁজে বের করতে হবে সেতুর বিরোধিতাকারীদের]]> https://www.jugantor.com/todays-paper/city/567181/খুঁজে-বের-করতে-হবে-সেতুর-বিরোধিতাকারীদের 567181 2022-06-28T00:00:00+06:00 যুগান্তর প্রতিবেদন খুঁজে বের করতে হবে সেতুর বিরোধিতাকারীদের

খুঁজে বের করতে হবে সেতুর বিরোধিতাকারীদের

নগর-মহানগর

যুগান্তর প্রতিবেদন

পদ্মা সেতু নির্মাণ চুক্তি নিয়ে দুর্নীতির মিথ্যা গল্প সৃষ্টির নেপথ্যের ষড়যন্ত্রকারীদের খুঁজে বের করতে কমিশন গঠন প্রশ্নে রুলের ওপর শুনানি হয়েছে। আরও শুনানি এবং আদেশের জন্য মঙ্গলবার দিন ঠিক করেছেন হাইকোর্ট। এদিকে শুনানিতে আদালত প্রশ্ন রাখেন, ষড়যন্ত্র না থাকলে পদ্মা সেতুতে বিশ্বব্যাংকের অর্থায়ন কেন বন্ধ হলো? যড়যন্ত্রকারীরা দেশবিরোধী, এদের খুঁজে বের করতে হবে। সোমবার বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি কাজী মো. ইজারুল হক আকন্দের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এ মন্তব্য করেন।

পদ্মা সেতুকে জাতীয় সম্পদ ও দেশের অহংকার উল্লেখ করে উচ্চ আদালত বলেন, যারা এমন জাতীয় সম্পদের বিরোধিতা করবে তারা জাতির শত্রু। আদালত বলেন, ‘পদ্মা সেতু জাতীয় সম্পদ, জাতীয় উন্নয়ন। আমাদের অহংকার। জাতীয় স্বার্থে পদ্মা সেতু। বিরোধিতাকারীরা উন্নয়নের বিরুদ্ধে। এ ধরনের জাতীয় স্বার্থ ও উন্নয়নের বিরুদ্ধে যারা থাকেন, তারা জাতির ও দেশের শত্রু। তাদের খুঁজে বের করতে হবে। শুনানিতে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল একেএম আমিন উদ্দিন মানিক এবং দুদকের পক্ষে ছিলেন সিনিয়র আইনজীবী মো. খুরশীদ আলম খান।

ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল জানান, পদ্মা সেতু নিয়ে জারি করা রুলের বিষয়টি গত ২৬ জুন আদালতে উপস্থাপন করার পর তা শুনানির জন্য সোমবার দিন নির্ধারণ করেন হাইকোর্ট।

একটি জাতীয় পত্রিকায় ২০১৭ সালের ১৪ ফেব্রুয়ারি ‘ইউনূসের বিচার দাবি : আওয়ামী লীগ ও সমমনা দলগুলো একাট্টা’ শিরোনামে প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। পরদিন ১৫ ফেব্রুয়ারি ওই প্রতিবেদনসহ বিভিন্ন পত্রিকার সংবাদের কথা উল্লেখ করে এ রুল জারি করেন হাইকোর্ট।

সে সময় পদ্মা সেতুর দুর্নীতি নিয়ে মিথ্যা গল্প সৃষ্টিকারী কে-তা জানতে চেয়ে এবং প্রকৃত ষড়যন্ত্রকারীদের খুঁজে বের করার জন্য ‘ইনকোয়ারি অ্যাক্ট ১৯৬৫ (৩ ধারা)’ অনুসারে কমিশন গঠন এবং দোষীদের বিচারের আওতায় আনতে কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না, তা জানতে চেয়ে স্বতঃপ্রণোদিত রুল জারি করেছিলেন হাইকোর্ট। একই সঙ্গে তাদের কেন বিচারের মুখোমুখি করা হবে না, তাও জানতে চাওয়া হয়েছিল রুলে। মন্ত্রিপরিষদ সচিব, স্বরাষ্ট্র সচিব, আইন ও যোগাযোগ সচিব, পুলিশের মহাপরিদর্শক, যোগাযোগ সচিব ও দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) চেয়ারম্যানকে চার সপ্তাহের মধ্যে রুলের জবাব দিতে বলা হয়। পাশাপাশি এ কমিটি বা কমিশন গঠনের বিষয়ে কী পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে সে ব্যাপারে ৩০ দিনের মধ্যে প্রতিবেদন দিতে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সচিবকে নির্দেশ দেওয়া হয়।

এর মধ্যে কমিশন গঠনের জন্য ২০১৭ সালের ৯ নভেম্বর একজন সদস্যের নাম মন্ত্রিপরিষদ বিভাগে প্রস্তাব করা হয়েছে বলে হাইকোর্টকে জানায় সড়ক পরিবহণ ও সেতু মন্ত্রণালয়। পদ্মা বহুমুখী সেতু প্রকল্পের উপ-প্রকল্প পরিচালক (কারিগরি) মো. কামরুজ্জামানের নাম প্রস্তাব করা হয়। এরপর হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট বেঞ্চ পুনর্গঠন হওয়ায় রুলটি আর শুনানিতে ওঠেনি।

© JUGANTOR.COM
]]>
<![CDATA[মনন তৈরিতে সাংবাদিকরা এগিয়ে আসবেন, সেটিই প্রত্যাশা: তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী]]> https://www.jugantor.com/todays-paper/city/567180/মনন-তৈরিতে-সাংবাদিকরা-এগিয়ে-আসবেন-সেটিই-প্রত্যাশা-তথ্য-ও-সম্প্রচারমন্ত্রী 567180 2022-06-28T00:00:00+06:00 সাংস্কৃতিক প্রতিবেদক মনন তৈরিতে সাংবাদিকরা এগিয়ে আসবেন, সেটিই প্রত্যাশা: তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী

মনন তৈরিতে সাংবাদিকরা এগিয়ে আসবেন, সেটিই প্রত্যাশা: তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী

নগর-মহানগর

সাংস্কৃতিক প্রতিবেদক

তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, আমরা একটি উন্নত মানবিক সামাজিক কল্যাণ রাষ্ট্র গঠন করতে চাই। বস্তুগত উন্নয়নের পাশাপাশি মানুষের মাঝে আত্মিক উন্নয়ন তথা মেধা, মূল্যবোধ, দেশাত্মবোধ, মমত্ববোধের সমন্বয় ঘটিয়ে এটা করা সম্ভব। দেশের মানুষের সেই মনন তৈরিতে সাংবাদিকরা এগিয়ে আসবেন সেটিই প্রত্যাশা।

জাতীয় প্রেস ক্লাবে সোমবার বিকালে প্রয়াত সাংবাদিক জহুর হোসেন চৌধুরীর জন্মশতবর্ষ উপলক্ষ্যে আয়োজিত আলোচনা সভায় তিনি প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এ কথা বলেন।

জহুর হোসেন চৌধুরী জন্মশতবর্ষ উদযাপন কমিটি আয়োজিত এ সভায় জাতীয় অধ্যাপক ডা. এ কে আজাদ খানের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তিমন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার। জাতীয় প্রেস ক্লাব সভাপতি ফরিদা ইয়াসমিন স্বাগত বক্তব্য দেন। সাধারণ সম্পাদক ইলিয়াস খান ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন। বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থার সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক আজিজুল হক ভুঁইয়া ও ডিইউজের সাবেক সভাপতি কুদ্দুস আফ্রাদ।

তথ্যমন্ত্রী বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে বাঙালি জাতির স্বাধিকার থেকে স্বাধীনতা সংগ্রাম, স্বাধীনতা যুদ্ধের মাধ্যমে স্বাধীনতা অর্জন। কিন্তু সেটির পেছনে কিছু প্রথিতযশা মানুষ, কিছু লেখক, বুদ্ধিজীবী, সাংবাদিকদের অনবদ্য ভূমিকা না থাকলে জাতির মনন তৈরি হতো না। তাদের মধ্যে একজন হচ্ছেন জহুর হোসেন চৌধুরী।

তথ্যমন্ত্রী আরও বলেন, আমার কাছে সাংবাদিকতা একটি ব্রত মনে হয়। যারা জহুর হোসেন চৌধুরীর সময় সাংবাদিকতা করেছেন কিংবা আজ থেকে ৪০ বছর আগেও যারা সাংবাদিকতা শুরু করেছেন তখন সাংবাদিকতা ব্রত ছিল না।

সাংবাদিকতা শুধু একটি পেশা নয়, অনেক সাংবাদিকের কাছে এটি একটি ব্রত উল্লেখ করে ড. হাছান বলেন, দেশ গঠনে সাংবাদিকদের ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। দেশ গঠনটা কেমন সেটিও একটি প্রশ্ন। পাশ্চাত্যের মতো শুধু বস্তুগত উন্নয়নই নয়, প্রয়োজন মানবিক সামাজিক রাষ্ট্র গঠন। এজন্য প্রয়োজন মানবিকতার বিকাশ, যে মানবিকতা দিনে দিনে লোপ পাচ্ছে। উন্নয়নের সঙ্গে যন্ত্রের ব্যবহারের সঙ্গে সঙ্গে মানুষও যন্ত্র হয়ে যাচ্ছে। সেখান থেকে মানুষকে রক্ষা করতে হবে। সমাজকে রক্ষা করতে হলে, সেজন্য মানবিকতার উন্নয়ন প্রয়োজন। মানুষকে স্বপ্ন দেখাতে হয়। রাজনীতিবিদদের দায়িত্ব হচ্ছে জাতিকে স্বপ্ন দেখানো, একই সঙ্গে সাংবাদিকরাও পারেন স্বপ্ন দেখাতে, বলেন হাছান মাহমুদ। তিনি বলেন, আমার মতো শক্ত মনের মানুষ, যাকে শিবির দুবার জবাই করতে চেয়েছিল, ২১ আগস্ট মৃত্যুর মুখ থেকে ফিরে এসেছি, বহুবার মৃত্যুর মুখোমুখি দাঁড়িয়েছি, কিন্তু সেই আমাকেও সাংবাদিকদের অনেক রিপোর্ট কাঁদায়, ভাবায়। সভা শেষে আয়োজক ও অতিথিরা বিভিন্ন পত্রিকায় জহুর হোসেন চৌধুরীর কলাম লেখনীর সংকলন ‘দরবার-ই-জহুর কলাম’ গ্রন্থের মোড়ক উন্মোচন করেন। ‘আবিষ্কার’ প্রকাশিত ২৪০ পৃষ্ঠার এ গ্রন্থটি সবাইকে পড়ে দেখার অনুরোধ জানান সভার সভাপতি ডা. এ কে আজাদ খান।

© JUGANTOR.COM
]]>
<![CDATA[বন্যার্ত কোনো মানুষ না খেয়ে মারা যায়নি: স্বাস্থ্যমন্ত্রী]]> https://www.jugantor.com/todays-paper/city/567179/বন্যার্ত-কোনো-মানুষ-না-খেয়ে-মারা-যায়নি-স্বাস্থ্যমন্ত্রী 567179 2022-06-28T00:00:00+06:00 সিলেট ব্যুরো বন্যার্ত কোনো মানুষ না খেয়ে মারা যায়নি: স্বাস্থ্যমন্ত্রী

বন্যার্ত কোনো মানুষ না খেয়ে মারা যায়নি: স্বাস্থ্যমন্ত্রী

নগর-মহানগর

সিলেট ব্যুরো

স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দক্ষ ও সরাসরি ব্যবস্থাপনার ফলে সিলেট ও সুনামগঞ্জে বন্যার্ত কোনো মানুষ না খেয়ে মারা যায়নি। স্বাস্থ্যসেবার অভাবে বিনা চিকিৎসায়ও কারও মৃত্যু হয়নি। বন্যার শুরু থেকেই প্রধানমন্ত্রী সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়সহ বিভিন্ন দপ্তর এবং আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের বন্যাকবলিত মানুষের পাশে দাঁড়ানোর নির্দেশনা দেন। এ পরিপ্রেক্ষিতে সবাই বন্যার্ত অসহায় মানুষের সহযোগিতায় ঝাঁপিয়ে পড়েন।

সোমবার দুপুরে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের বিভাগীয় ও জেলা কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, বন্যাপরবর্তী রোগবালাই মোকাবিলায় স্বাস্থ্য বিভাগ প্রস্তুত আছে। সিলেটে ১৪০টিরও বেশি মেডিকেল টিম কাজ করছে; প্রস্তুত রয়েছে আরও দুই হাজারের বেশি কর্মী। বন্যাকবলিত এলাকায় কমিউনিটি ক্লিনিক, স্বাস্থ্যকেন্দ্র ও হাসপাতালে সৃষ্ট সমস্যা নিরসনে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে। যে কোনো পরিস্থিতি মোকাবিলায় সরকার প্রস্তুত বলেও জানান স্বাস্থ্যমন্ত্রী। চলমান বন্যায় ১৮ জুন পানি ঢুকে পড়ে ওসমানী হাসপাতালে। এতে তলিয়ে যায় হাসপাতালের নিচতলা। পানি ঢুকে পড়া ও বিদ্যুৎহীনতার কারণে ব্যাহত হয় চিকিৎসাসেবা। নতুন রোগী ভর্তিও বন্ধ হয়ে যায় সেদিন। পানি ঢুকে নষ্ট হয়ে পড়ে হাসপাতালটির রেডিওথেরাপি, সিটিস্ক্যান ও এমআরআই যন্ত্র। ফলে ওইদিন থেকে বন্ধ রয়েছে এসব সেবা। নষ্ট হয়ে গেছে হাসপাতালের অ্যাম্বুলেন্সও।

ওসমানী হাসপাতালে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা না থাকা ও চিকিৎসাসেবা বিঘ্নিত হওয়া প্রসঙ্গে মন্ত্রী বলেন, ভবিষ্যতে এমন জলাবদ্ধতা ঠেকাতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে। পরে ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল প্রাঙ্গণে ত্রাণসামগ্রী বিতরণ করেন তিনি।

এ সময় সিটি মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল বাশার মোহাম্মদ খুরশীদ আলম, বিভাগীয় পরিচালক (স্বাস্থ্য) হিমাংশু লাল রায়, ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মাহবুবুর রহমান ভূঁইয়া, মহানগর আওয়ামী লীগ সভাপতি মাসুক উদ্দিন আহমদসহ স্বাস্থ্য বিভাগের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

এর আগে বেলা ১১টায় স্বাস্থ্যমন্ত্রী ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করেন। মন্ত্রী ঢাকা থেকে আসার পথে হেলিকপ্টারে করে সিলেট ও সুনামগঞ্জের বন্যা পরিস্থিতি দেখেন।

© JUGANTOR.COM
]]>
<![CDATA[পদ্মা সেতুর অস্তিত্বে কেএসআরএমের অংশীদারত্ব]]> https://www.jugantor.com/todays-paper/city/567178/পদ্মা-সেতুর-অস্তিত্বে-কেএসআরএমের-অংশীদারত্ব 567178 2022-06-28T00:00:00+06:00 কায়েস আহমেদ সেলিম পদ্মা সেতুর অস্তিত্বে কেএসআরএমের অংশীদারত্ব

পদ্মা সেতুর অস্তিত্বে কেএসআরএমের অংশীদারত্ব

নগর-মহানগর

কায়েস আহমেদ সেলিম

পদ্মা সেতু বাংলাদেশের গৌরবের প্রকল্প। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ঐকান্তিক চেষ্টা ও যোগ্য নেতৃত্বে নিজ অর্থায়নে এ সেতু নির্মাণ করা হয়েছে; যা দীর্ঘদিনের লালিত স্বপ্নের সফল বাস্তবায়ন। এতে বদলে যাবে দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের আর্থসামাজিক অবস্থা। শিল্পায়নের বিপ্লব ঘটবে। বাড়বে মানুষের জীবনযাত্রার মান। যোগাযোগব্যবস্থায় আসবে আমূল পরিবর্তন। দেশের অন্যতম দুই স্থলবন্দর ভোমরা ও বেনাপোলের কর্মকাণ্ড বেড়ে যাবে কয়েকগুণ। ব্যবসাবাণিজ্যে আসবে গতি। এই স্বপ্নের সেতু খুলবে অর্থনীতির নতুন দ্বার। যার প্রভাব পড়বে জাতীয় অর্থনীতিতে। এতে দেশের দুই অঞ্চলের বিশাল জনগোষ্ঠীর মধ্যে তৈরি হবে মেলবন্ধন। পদ্মা সেতু কী ধরনের মেলবন্ধন ঘটাতে যাচ্ছে এবং পদ্মা সেতুতে দেশীয় ইস্পাত কোম্পানির অংশগ্রহণ এবং সমসাময়িক বিষয় নিয়ে যুগান্তরের পক্ষ থেকে কথা হয় কেএসআরএমের উপব্যবস্থাপনা পরিচালক-ডিএমডি শাহরিয়ার জাহান রাহাতের সঙ্গে। আলাপচারিতায় পদ্মা সেতুতে দেশীয় কোম্পানি হিসাবে কেএসআরএমের ইস্পাত ব্যবহারসহ নানা বিষয়ে কথা বলেছেন। স্বপ্নের ‘পদ্মা সেতু’ জাতীয় অর্থনীতিতে ধারণার চেয়ে অনেক বেশি অবদান রাখবে বলেও মনে করেন এ ব্যবসায়ী। পদ্মা সেতুতে দেশীয় শুধু দুটি কোম্পানির রড ব্যবহার করা হয়েছে। সেই হিসাবে কেএসআরএম দ্বিতীয় বৃহত্তম সরবরাহকারী। এছাড়া কেএসআরএম হচ্ছে সর্বপ্রথম রড সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান। পদ্মা সেতু কর্তৃপক্ষের শর্তহীন রড সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠানও কেএসআরএম। সেই হিসাবে এটি নিঃসন্দেহে আমাদের জন্য গৌরব আর অহংকারের। আর এসবের মূল কারণ হলো-মান নিয়ন্ত্রণে আমাদের আপসহীনতা। কেএসআরএম যে কোনো প্রতিকূলতায় বৈজ্ঞানিক পদ্ধতিতে আন্তর্জাতিক মানদণ্ড রক্ষা করেই রড তৈরি করে। পদ্মা সেতুতে সর্বপ্রথম শর্তহীন রড সরবরাহের কার্যাদেশ আমাদের প্রতি গ্রাহকদের আস্থা ও বিশ্বাসকে আরও সুসংহত ও দৃঢ় করেছে। উদ্যোক্তা হিসাবে আমাদেরও আত্মবিশ্বাস বেড়েছে। শাহরিয়ার জাহান রাহাত আরও বলেন, আমাদের জানামতে, দেশের আরও অনেক ইস্পাত নির্মাণ প্রতিষ্ঠান গৌরবের পদ্মা সেতুতে রড সরবরাহের আগ্রহ দেখিয়েছে। এমন অহংকারের অংশীদার কে না হতে চায়! কিন্তু পদ্মা সেতু নির্মাণ কর্তৃপক্ষের শর্ত ও মান রক্ষা করতে পারেনি অনেক প্রতিষ্ঠান। সেতু নির্মাণ কর্তৃপক্ষ মান রক্ষার ক্ষেত্রে ছিল আপসহীন ও অনমনীয়। তারা উৎপাদন থেকে সরবরাহ পর্যন্ত প্রতিটি ধাপে আন্তর্জাতিক মান রক্ষা করেছে। যাচাই-বাছাই করা হয়েছে রড উৎপাদনের কাঁচামাল সংগ্রহ থেকে উৎপাদন প্রক্রিয়ার প্রতিটি ক্ষেত্রে। সরবরাহকারী হিসাবে এসব ধাপ অতিক্রম করতে হয়েছে কেএসআরএমকে। মান রক্ষার সব ধাপে উত্তীর্ণ হতে হয়েছে কোনো ব্যাখ্যা ছাড়াই। এরপর পদ্মা সেতুতে রড সরবরাহে একমাত্র শর্তহীন অনুমোদন পেয়েছে কেএসআরএম। রড সরবরাহের আগে কেএসআরএম কারখানায় উৎপাদনের প্রতিটি ধাপ সরেজমিন দেখেছেন বিশেষজ্ঞরা। কাঁচামালের মানও পরীক্ষা করেছে ওই বিশেষজ্ঞদল। সর্বশেষ তাদের শর্ত অনুযায়ী রড উৎপাদন হয়েছে কি না, তাও যাচাই-বাছাই করা হয়েছে। সব ধাপেই কেএসআরএমের রডের মান রক্ষায় সমর্থ হয়েছে। দেশের সবচেয়ে বড় প্রকল্পে রড সরবরাহ কেএসআরএমের জন্য অনেক বড় অর্জন। এ যেন পদ্মা সেতুর অস্তিত্বে কেএসআরএমের অংশীদারত্ব। প্রমত্তা পদ্মা জয়ের গর্বিত অংশীদার হতে পেরে আমরা কেএসআরএম পরিবার অনেক খুশি। পদ্মা সেতু প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার একটি স্বপ্ন এবং চ্যালেঞ্জিং প্রকল্প উল্লেখ করে তিনি বলেন, বিশ্বব্যাংক যখন তাদের জায়গা থেকে একটি মিথ্যা মনগড়া অপবাদ দিয়ে সরে যায়, তখন প্রধানমন্ত্রী বিভিন্ন বাধাবিপত্তি উপেক্ষা করে নিজস্ব অর্থ থেকে পদ্মা সেতু করার ঘোষণা দেন। তখন অনেকেই বিভিন্ন রকমের মন্তব্য করেছিলেন। কিন্তু আজ আমাদের মমতাময়ী প্রধানমন্ত্রী দেখিয়ে দিয়েছেন বিশ্ববাসীকে আমরাও জয় করতে পারি। এর মাঝে আবার বিশ্বব্যাংকসহ অনেক দেশ এগিয়ে এলেও তিনি তা বিনয়ের সঙ্গে প্রত্যাখ্যান করে বাংলাদেশের আত্মসম্মান বজায় রেখে নিজের দেশকে বিশ্বদরবারে এক অনন্য অবস্থায় পৌঁছে দিয়েছেন।

© JUGANTOR.COM
]]>
<![CDATA[কারাগারে না পাঠিয়ে সংশোধনের সুযোগ]]> https://www.jugantor.com/todays-paper/city/567177/কারাগারে-না-পাঠিয়ে-সংশোধনের-সুযোগ 567177 2022-06-28T00:00:00+06:00 আলমগীর হোসেন কারাগারে না পাঠিয়ে সংশোধনের সুযোগ

কারাগারে না পাঠিয়ে সংশোধনের সুযোগ

নগর-মহানগর

আলমগীর হোসেন

বরিশাল শহরের মেহেদি হাসানকে ২০২১ সালে ১৫ বোতল ফেনসিডিলসহ আটক করে মহানগর গোয়েন্দা শাখার (ডিবি) পুলিশ। এ মামলায় গত ১৫ জুন বরিশাল জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মেহেদিকে ছয় বছরের কারাদণ্ড দেন। পরে সাজা পাওয়া ওই যুবককে অসুস্থ মায়ের সেবা ও ১০০টি গাছ রোপণের শর্তে মুক্তি দেন আদালত। এদিকে মানহানির মামলায় দোষী সাব্যস্ত হয়ে ছয় মাসের কারাদণ্ড পান চট্টগ্রামের সংগীতশিল্পী ফাহমিদা রহমান। গত ১৪ জুন তাকে কারাদণ্ডের বদলে ছয় মাস পর্যন্ত বিনা বেতনে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শিক্ষার্থীদের গান শেখানোর নির্দেশ দেন আদালত। চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট এ রায় দেন।

সূত্র জানায়, কারাগারের বাইরে রেখে সাজাপ্রাপ্তদের সংশোধনের সুযোগ দিতে দীর্ঘদিনের পুরোনো আইনটি সচল করা হয়। প্রবেশন অব অফেন্ডার্স অর্ডিন্যান্সের অধীনে এ সুযোগ পাচ্ছেন তারা। ১৯৬০ সালে প্রণীত আইনটি এতদিন সচল না অচল, তা নিয়ে দ্বিধাদ্বন্দ্ব ছিল। দেশের কারাগারগুলোয় প্রায় প্রতিদিনই ধারণক্ষমতার চেয়ে অতিরিক্ত আসামি রাখা হচ্ছে। বিদ্যমান পরিস্থিতি বিবেচনায় ২০১৯ সালে আইনটি কার্যকর করতে সুপ্রিমকোর্ট প্রশাসন একটি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেন। এরপর হাইকোর্টসহ দেশের বিভিন্ন আদালত এ আদেশ কার্যকর করতে দেখা যায়। সারা দেশে এ পর্যন্ত শতাধিক আদালতের রায়ে তিন শতাধিক ব্যক্তি সংশোধনের সুযোগ পেয়েছেন।

আদালতের এমন ব্যতিক্রমী রায় ইতিবাচক উল্লেখ করেছেন বিচারসংশ্লিষ্টরা। তারা মনে করেন, ছোটখাটো অপরাধ হলে তাকে শাস্তি না দিয়ে সংশোধনের সুযোগ দেওয়া হচ্ছে। বিশ্বের অনেক দেশেও এমন আইন চালু রয়েছে। এ বিষয়ে সাবেক আইনমন্ত্রী ব্যারিস্টার শফিক আহমেদ যুগান্তরকে বলেন, আদালতের এমন পদক্ষেপের একটা ইতিবাচক দিক আছে। আইন অনুযায়ী আদালত যে রায় দিয়েছেন এতে সত্যিকার অর্থে আসামিরা সংশোধনের একটা সুযোগ পাবেন। এ ছাড়া অভিযুক্ত ব্যক্তির সঙ্গে তার পরিবারের একটা সুসম্পর্ক গড়ে উঠবে।

আইনে যা আছে : ‘দ্য প্রবেশন অব অফেন্ডার্স অর্ডিন্যান্স ১৯৬০’ আইনের ৪ ধারার বিধান অনুযায়ী, ‘পূর্বে দণ্ডিত হয়নি এমন কারও অনধিক দুই বছরের সাজা হলে আদালত অপরাধীর বয়স, স্বভাব-চরিত্র, শারীরিক বা মানসিক অবস্থা এবং অপরাধের ধরন দেখে তাকে অব্যাহতি দিতে পারেন। অথবা উপযুক্ত মনে করলে আদেশের সময় থেকে অনধিক এক বছর কোনো অপরাধ করবে না এমন শর্তে জামিনদারসহ বা জামিনদার ছাড়া মুচলেকা দিয়ে বিমুক্ত হওয়ার আদেশ দিতে পারেন।’

ছয় শর্তে বাড়িতে মা-বাবার জিম্মায় থেকে সাজা ভোগ করবে সুনামগঞ্জের ৭০ শিশু : বিভিন্ন অপরাধে পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে ৫০টি মামলায় জড়ানো হয়েছিল সুনামগঞ্জের ৭০ শিশুকে। এসব মামলায় এক বছর করে সাজা হয় তাদের। তবে কাউকে কারাগারে যেতে হয়নি। সংশোধনের ছয় শর্তে বাড়িতে মা-বাবার জিম্মায় থেকেই এ সাজা ভোগ করবে তারা। শিশুদের বয়স ১২ থেকে ১৮ বছর। ‘দ্য প্রবেশন অব অফেন্ডার্স অর্ডিন্যান্স ১৯৬০’ অনুযায়ী সুনামগঞ্জের নারী ও শিশু নির্যাতন ট্রাইব্যুনাল এবং শিশু আদালতের বিচারক ২০২১ সালের ১৩ অক্টোবর এসব মামলার রায় দেন। জানা যায়, মামলার কারণে আদালতে নিয়মিত হাজিরা দিতে হতো এসব শিশুর। এতে শিক্ষাসহ স্বাভাবিক জীবন ব্যাহত হচ্ছিল তাদের।

মায়ের সেবা ও ছেলেমেয়ের লেখাপড়া চালানোর শর্তে সাজা স্থগিত : শরীয়তপুরের মতি মাতব্বরের কাছ থেকে ৪১১ এবং অপর এক আসামির কাছ থেকে ৭০০ ইয়াবা উদ্ধার হয়। ওই মামলার বিচার শেষে ২০১৭ সালের ৮ জানুয়ারি মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে হাকিম আদালত তাদের পাঁচ বছর করে সশ্রম কারাদণ্ড ও ২০ হাজার টাকা করে জরিমানা করেন। পরে আসামি মতি মাতব্বর ২০১৭ সালে হাইকোর্টে রিভিশন আবেদন করলে বিচারপতি জাফর আহমেদের হাইকোর্ট বেঞ্চ সাজা স্থগিত করে রায় দেন। হাইকোর্টের নির্দেশ অনুযায়ী দেড় বছর তাকে প্রবেশনে থাকতে হবে। শর্ত যথাযথভাবে পালন করলে তার বাকি সাজা মওকুফ হয়ে যাবে।

মাদকবিরোধী প্রচারসহ বিভিন্ন শর্তে বাড়িতে থাকবেন : সাতক্ষীরায় মারামারির ঘটনায় একই পরিবারের স্বামী-স্ত্রীসহ চারজনকে এক মাসের কারাদণ্ড দেন জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ইয়াসমিন নাহার। ২০১৯ সালে দেওয়া রায়ে আসামিদের কারাগারে না পাঠিয়ে প্রবেশন আইনে আদালত তাদের বাড়িতে থেকে সাজা ভোগের এবং সংশোধনের সুযোগ দেন কয়েকটি শর্তে। সাজাপ্রাপ্ত হয়ে বাড়িতে থাকা আসামিরা হলেন-আশাশুনি উপজেলার মহিষাডাঙা গ্রামের গৌতম গাইন, মমতা গাইন, লতিকা মন্ডল ও ঊর্মিলা গাইন। শর্তের মধ্যে রয়েছে মাদকবিরোধী প্রচার, আসামিরা বাদীকে ১০টি বনজ ও ১০টি ফলদসহ ২০টি গাছ দেবেন, বাল্যবিয়ে রোধে প্রচারণা, সবার সঙ্গে সুসম্পর্ক রাখা এবং কারও সঙ্গে কোনো ঝগড়া না করা।

নিজ বাড়িতেই ১১ শর্তে ৬ মাস সাজা খাটবেন আসামি : খাগড়াছড়ির মাটিরাঙা উপজেলায় মারধরের অভিযোগে আবদুস সামাদের বিরুদ্ধে মামলা হয়। এ মামলায় ২০১৯ সালে এক আসামির ব্যতিক্রমী সাজা দেন খাগড়াছড়ির জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক সামিউল আলম। ছয় মাসের কারাদণ্ড দিয়ে আদালত বলেন, কারাগারের পরিবর্তে নিজ বাড়িতেই এই সাজা ভোগ করবেন তিনি।

মহল্লার বন্ধুদের পাল্লায় পড়ে ইয়াবায় আসক্ত হয়েছিল রাজশাহীর একাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থী প্রত্যয় কুমার সাহা। ৪৫টি ইয়াবাসহ ধরা পড়ে প্রত্যয়। এ মামলার বিচার শেষে ২০১৮ সালের ৩০ আগস্ট রাজশাহীর চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট তাকে এক বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দেন। তবে আদালত তাকে কারাগারে না পাঠিয়ে ‘প্রবেশন’ ব্যবস্থার আওতায় পরিবারের হাতে তুলে দেন। এদিকে মাগুরায় নিু আদালত মাদক মামলার একটি রায়ে সাজাপ্রাপ্ত ব্যক্তিকে কারাগারে না পাঠিয়ে ১০টি গাছ লাগানোর আদেশ দেন। কক্সবাজারে প্রতারণার অভিযোগে এক ব্যক্তিকে নামাজ পড়া এবং এতিমদের খাওয়ানোর আদেশ দেওয়া হয়।

আদালতের এমন রায়কে সাধুবাদ জানিয়েছেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল একেএম আমিন উদ্দিন মানিক। তিনি বলেন, আদালতের এমন রায়ে এক দিকে যেমন দেশের কারাগারগুলোতে চাপ কমবে অন্য দিকে ছোটখাটো অপরাধ হলে আসামিকে শাস্তি না দিয়ে সংশোধনের সুযোগ দেওয়া।

এ প্রসঙ্গে সুপ্রিমকোর্টের জ্যেষ্ঠ আইনজীবী মনজিল মোরসেদ বলেন, কিছু কিছু জায়গায় দেখা যাচ্ছে পারিবারিক মামলায় স্বামী-স্ত্রীকে আদালত মিলিয়ে (মীমাংসা) দিচ্ছেন। এটা ঠিক আছে, এতে সমস্যা নেই। তবে অপরাধের মাত্রা দেখে সাজা দেওয়া উচিত। আইন মোতাবেক রায় যা নির্ধারণ করা আছে সেটাই দিতে হবে। এর বাইরে রায় দিলে অপরাধ নিয়ন্ত্রণে কোনো ভূমিকা রাখবে না।

© JUGANTOR.COM
]]>
<![CDATA[ঈদে দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির পাঁয়তারা]]> https://www.jugantor.com/todays-paper/editorial/567176/ঈদে-দ্রব্যমূল্য-বৃদ্ধির-পাঁয়তারা 567176 2022-06-28T00:00:00+06:00 ঈদে দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির পাঁয়তারা

ঈদে দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির পাঁয়তারা

সম্পাদকীয়

পবিত্র ঈদুল আজহা সামনে রেখে অসাধু ব্যবসায়ী সিন্ডিকেটের ফের সক্রিয় হওয়ার বিষয়টি উদ্বেগজনক। এরই মধ্যে কারসাজি করে প্রায় সব ধরনের পণ্যের দাম বাড়ানো হয়েছে। যেমন-এক মাসের ব্যবধানে বাজারে সব ধরনের চাল, পেঁয়াজ, মসলাজাতীয় পণ্যসহ বিভিন্ন প্রয়োজনীয় সামগ্রীর দাম বেড়েছে। বিশ্বের অন্যান্য দেশে ধর্মীয় কোনো উৎসব উপলক্ষ্যে যেখানে পণ্যসামগ্রীর দাম কমানো হয়, সেখানে সম্পূর্ণ ভিন্নচিত্র পরিলক্ষিত হয় আমাদের দেশে। এখানে বাড়তি মুনাফা পকেটস্থ করার দুরভিসন্ধিতে ভোক্তাদের জিম্মি করে পণ্যের দাম বাড়ানো হয়, যা অনৈতিক ও অগ্রহণযোগ্য।

করোনা মহামারিতে দেশে অধিকাংশ ভোক্তার আয় কমেছে। অথচ এর বিপরীতে খাদ্যপণ্যের দাম কমেনি; বরং তেল, চাল, আটা, চিনি, দুধসহ সব ধরনের পণ্যমূল্যের উল্লম্ফন ঘটেছে। এতে সাধারণ মানুষের দৈনন্দিন ব্যয় বেড়েছে এবং তাদের আয়ের বেশিরভাগ অর্থ খাদ্যপণ্য কেনায় ব্যয় করতে হচ্ছে। দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির সঙ্গে তাল মিলিয়ে ক্রয়ক্ষমতা না বাড়ায় দেশের সাধারণ মানুষ, বিশেষ করে নিুআয়ের শ্রমজীবীরা অসহায় বোধ করেন। অথচ এ বিষয়টিকে সরকারের পক্ষ থেকে গুরুত্ব দেওয়া হয় না বললেই চলে। বস্তুত বাজার নিয়ন্ত্রণের ক্ষেত্রে সরকারের শক্ত কোনো ভূমিকা নেই-এ অভিযোগ দীর্ঘদিনের।

দেশে উৎসব-পার্বণ উপলক্ষ্যে দ্রব্যমূল্য বাড়িয়ে দেওয়া যেন নিয়মে পরিণত হয়েছে। নানা অপকৌশলে ভোক্তাদের ঠকানো ছাড়াও কারসাজি ও যোগসাজশের মাধ্যমে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম বাড়িয়ে দেওয়া অনৈতিক তো বটেই; একইসঙ্গে অপরাধও। এবারের ঈদেও লক্ষ্য করা যাচ্ছে একই অপতৎপরতা, যা শক্ত হাতে নিয়ন্ত্রণ করা দরকার। অসাধু ব্যবসায়ীদের চিহ্নিত করে শাস্তি দেওয়া উচিত। ব্যবসায় মুনাফা অর্জন স্বতঃসিদ্ধ ও স্বাভাবিক একটি প্রক্রিয়া। তবে মুনাফা অর্জনের নামে নীতি-নৈতিকতাহীন কর্মকাণ্ড সমর্থনযোগ্য নয়। ব্যবসায়ীরা নীতি-নৈতিকতা মেনে চললে বছরের অধিকাংশ সময় দ্রব্যমূল্য স্থিতিশীল থাকবে বলে আমাদের বিশ্বাস। ঈদের আগে মসলাসহ বিভিন্ন নিত্যপণ্যের মূল্যবৃদ্ধি এটাই প্রমাণ করে যে, এই ব্যবসায়ীরা জনস্বার্থকে মোটেই গুরুত্ব দেন না। তাদের এমন আচরণ ও কর্মকাণ্ড অযৌক্তিক ও অমানবিক বলে মনে করি আমরা। লোকঠকানোর মানসিকতা পরিহার করে এবারের ঈদে মসলাসহ সব ধরনের পণ্য ও সেবার মূল্য স্থিতিশীল রেখে আন্তরিকতার পরিচয় দেবে ব্যবসায়ী সমাজ, এটাই মানুষ দেখতে চায়।

 

© JUGANTOR.COM
]]>
<![CDATA[করোনার চিকিৎসা]]> https://www.jugantor.com/todays-paper/editorial/567175/করোনার-চিকিৎসা 567175 2022-06-28T00:00:00+06:00 করোনার চিকিৎসা

করোনার চিকিৎসা

সম্পাদকীয়

দেশে করোনা সংক্রমণে মৃত্যু ও শনাক্তের হার বাড়ছে। ইতোমধ্যে শনাক্তের হার ১৫ শতাংশ ছাড়িয়েছে। যদিও করোনার আগের ঢেউগুলোর মতো ভয়াবহ পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়নি, তারপরও ভাইরাসটির সংক্রমণ মোকাবিলার জন্য পর্যাপ্ত প্রস্তুতি গ্রহণ করা প্রয়োজন। কারণ সংক্রমণের গতি হঠাৎ করে অতিমাত্রায় বেড়ে যেতে পারে। সেক্ষেত্রে হাসপাতাল ও বেডের সংকুলান নিয়ে দেখা দিতে পারে সংকট, যা এর আগে আমরা দেখেছি। দুশ্চিন্তার বিষয় হলো, দেশের কোভিড ও নন-কোভিড হাসপাতালগুলো এখনো সেভাবে তৈরি হয়নি। করোনার আগের সংক্রমণের সময় রাজধানীতে পাঁচটি কোভিড ডেডিকেটেড হাসপাতালসহ বিভাগ, জেলা ও উপজেলা হাসপাতালে আলাদা ইউনিট ছিল। পরে সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে আসায় সেগুলোতে সাধারণ রোগীদের সেবা চালু হয়। ফলে করোনা চিকিৎসায় ব্যবহৃত আইসিইউ, এইচডিইউ শয্যা, ভেন্টিলেটর, অক্সিজেন কনসেনট্রেটর ও সেন্ট্রাল অক্সিজেন, হাইফ্লো ন্যাজাল ক্যানোলাসহ বিভিন্ন সরঞ্জাম অকেজো অবস্থায় পড়ে আছে। এদিকে মহাখালীর ডিএনসিসি ও বিএসএমএমইউর কোভিড হাসপাতাল ছাড়া অন্য হাসপাতালগুলোতে সাধারণ রোগীদের চিকিৎসা শুরু হয়েছে। এখন করোনা রোগীর বৃদ্ধিতে অন্যান্য হাসপাতাল প্রস্তুতির কথা বলা হলেও কোভিড চিকিৎসা সরঞ্জামগুলো পুরোপুরি ঠিক করা হয়নি। যুগান্তরের অনুসন্ধানে দেখা গেছে, এক্ষেত্রে প্রস্তুতির ব্যাপক ঘাটতি রয়েছে। এ অবস্থায় করোনার সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণহীন হয়ে পড়লে পরিস্থিতি সামাল দেওয়া কঠিন হয়ে পড়তে পারে। কাজেই অবিলম্বে এদিকে দৃষ্টি দেওয়া প্রয়োজন বলে মনে করি আমরা।

এটা ঠিক, কোভিড ও নন-কোভিড হাসপাতালগুলোয় এখনো করোনা সংক্রমিত রোগীর চাপ কম। তবে পরিস্থিতি পালটে যেতে কতক্ষণ! বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মতে, সংক্রমণ ৫ শতাংশের বেশি হলেই একে নিয়ন্ত্রণের বাইরে বলা হয়। সেখানে গত কয়েক দিন ধরে শনাক্তের হার ১৫ শতাংশের উপরে থাকছে। রাজধানী ঢাকায় সংক্রমণের সংখ্যা বেশি হলেও দেশের অন্যান্য জেলায়ও নতুন রোগী পাওয়া যাচ্ছে। আশঙ্কা করা হচ্ছে, আসন্ন ঈদুল আজহা উপলক্ষ্যে কোরবানির পশুর হাট ও স্থান পরিবর্তনজনিত মানুষে মানুষের নৈকট্যের কারণে করোনা সংক্রমণ বাড়বে। বিষয়টি মাথায় রেখে শুধু কোভিড ডেডিকেটেড নয়, সব হাসপাতালেরই প্রস্তুতি নেওয়া উচিত বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।

ইতোমধ্যে করোভাইরাসের চরিত্র তথা এর মিউটেশন, নতুন নতুন ভ্যারিয়েন্ট, সংক্রমণের গতি-প্রকৃতি ইত্যাদি সম্পর্কে আমরা মোটামুটি একটা ধারণা পেয়েছি। দেশে ২০২০ সালের মার্চে শুরু হওয়া করোনা সংক্রমণ একটা পর্যায়ে এসে সহনীয় মাত্রায় কমে এসেছিল। কিন্তু এরপর করোনার দ্বিতীয় ঢেউ এমনভাবে আঘাত হানে যে পরিস্থিতির ভয়াবহ অবনতি ঘটে। সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় রোগীদের পোহাতে হয় চরম ভোগান্তি। হাসপাতালে শয্যা খালি পাওয়া তখন কঠিন হয়ে উঠেছিল। আমরা দেখেছি, করোনা আক্রান্ত গুরুতর রোগীদের নিয়ে মানুষ এক হাসপাতাল থেকে অন্য হাসপাতালে ছুটেছে একটি আইসিইউ শয্যার জন্য। সে এক ভয়াবহ বাস্তবতা! কাজেই বর্তমানে আবারও করোনার ঊর্ধ্বগতির পরিপ্রেক্ষিতে তেমন পরিস্থিতির যেন সৃষ্টি না হয়, সেজন্য আমাদের হাসপাতালগুলো পর্যাপ্ত প্রস্তুতি গ্রহণ করবে, এটাই কাম্য।

© JUGANTOR.COM
]]>
<![CDATA[নাম পরিবর্তনে সহজ নিয়ম চাই]]> https://www.jugantor.com/todays-paper/little-talk/567174/নাম-পরিবর্তনে-সহজ-নিয়ম-চাই 567174 2022-06-28T00:00:00+06:00 শরীফুজ্জামান আগা খান নাম পরিবর্তনে সহজ নিয়ম চাই

নাম পরিবর্তনে সহজ নিয়ম চাই

অল্পকথা

শরীফুজ্জামান আগা খান

বাংলাদেশ শিক্ষাতথ্য ও পরিসংখ্যান ব্যুরো (ব্যানবেইস) এস্টাবলিশমেন্ট অব ইন্টিগ্রেটেড এডুকেশনাল ইনফরমেশন ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম প্রকল্পের আওতায় মাধ্যমিক স্তরে শিক্ষার্থীদের তথ্য সংগ্রহের উদ্যোগ নিয়েছে। এটি ইউনিক আইডি নামে পরিচিতি পেয়েছে। এ কাজে শিক্ষার্থীর সনদের নামের সঙ্গে পিতামাতার এনআইডি কার্ডের নাম মিলিয়ে দেখতে গিয়ে অনেক শিক্ষার্থীর তথ্যে গরমিল দেখা দিচ্ছে। জন্মনিবন্ধনে উল্লেখিত তারিখের সঙ্গে প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী সনদের জন্মতারিখ না মেলা শিক্ষার্থীর সংখ্যাও নেহাত কম নয়। ভুল সংশোধনের জন্য শিক্ষার্থী ও তাদের অভিভাবকরা মফস্বলে ইউনিয়ন পরিষদে এবং শহর এলাকায় পৌরসভা কিংবা কাউন্সিলরদের দপ্তরে ভিড় করছেন, যা তাদের ভোগান্তির কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। টিকাকার্ড কিংবা ভোটার আইডি প্রণয়নকালে দায়িত্বপ্রাপ্ত স্বাস্থ্যকর্মী কিংবা মাঠকর্মীরা এ ব্যাপারে যথেষ্ট যত্নবান ছিলেন না। প্রাইমারি স্কুলে ভর্তি হওয়ার সময়ও কারও কারও নাম-পরিচয় ও জন্মতারিখে অসংগতি ঘটেছে। একটি শিশু জন্মানোর পর অভিভাবকরা তার নাম রাখেন। টিকা প্রদানের সময় নামটা একরকম নিবন্ধিত হয়ে যায়। প্রাইমারি স্কুলে ভর্তি হওয়ার সময় টিকাকার্ড অনুযায়ী নাম ও জন্মতারিখ লেখার কথা। ওই নাম পিইসি, জেএসসি, এসএসসি ইত্যাদি পরীক্ষার সনদের সঙ্গে প্রোথিত হতে থাকে। পরবর্তীকালে এই নাম সহজে বদলানো যায় না। আমাদের সমাজে নামের সাধারণত দুটি ধরন থাকে-একটি ভালো নাম, অপরটি ডাকনাম। ভালো নামটা লিখিত রূপে যায়, আর ডাকনামে সাধারণত নিকটজনেরা ডেকে থাকে। নামের সঙ্গে জাতীয়তা, ধর্ম এবং ক্ষেত্রবিশেষে বংশের ছাপ পড়ে। জ্ঞানবুদ্ধি হওয়ার পর কারও মনঃপূত না হলেও নাম বদলানোর তেমন সুযোগ আর থাকে না। অথচ ক্ষেত্রবিশেষে নাম পরিবর্তনটা জরুরি হয়ে দাঁড়ায়। ব্যক্তি বিশ্বাস বা দর্শনের পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে ক্ষেত্রবিশেষে নিজের নাম পরিবর্তনের তাগিদ বোধ করেন। কোনো কোনো লেখক ছদ্মনামে লিখে থাকেন। অভিনয় শিল্পীদের নতুন নাম নেওয়া খুবই সাধারণ ঘটনা। একদা এদেশে এলাকাবিশেষে আন্ডারগ্রাউন্ড রাজনীতির চল ছিল। ওই রাজনীতির সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিরা নিজেদের পরিচয় গোপন রাখতে ছদ্মনাম ধারণ করতেন, যা টেকনাম নামে পরিচিত। ১/১১-এ টুইন টাওয়ারে জঙ্গি হামলার পর পাশ্চাত্যে মুসলমানদের সন্দেহের চোখে দেখা হতে থাকে। ইসলামী চিহ্নসংবলিত নামের ব্যক্তিদের ইউরোপ-আমেরিকার ভিসার জন্য বেগ পেতে হয়। বিমানবন্দরে মুসলমানদের প্রবেশাধিকারের ক্ষেত্রে এক ধরনের কড়াকড়ি আরোপ করা হয়। সম্ভবত এরই প্রতিক্রিয়ায় শিক্ষাবোর্ড থেকে শিক্ষার্থীদের নাম রেজিস্ট্রেশনের ক্ষেত্রে মুসলমান ছাত্র ও ছাত্রীদের নামের আগে যথাক্রমে মো. ও মোছা. এবং হিন্দুধর্মাবলম্বী ছাত্র ও ছাত্রীদের নামের আগে শ্রী ও শ্রীমতী বাদ দিতে বলা হয়। আমার সনদের নামটা বেশ চলিত বিধায় নিজের নামের সঙ্গে ডাকনাম যুক্ত করে এবং নামের ধর্ম পরিচয়সংবলিত প্রথম অংশ বাদ দিয়ে লেখক পরিচয়ের বর্তমান নাম চালু করি। ছেলের জন্ম সনদেও এ নাম দিয়েছি। অথচ সনদ ও এনআইডি কার্ডে আগের নাম রয়ে গেছে। এখন কলেজে ওর ইউনিক আইডি কার্ড করতে গিয়ে এসএসসি সনদে উল্লেখিত পিতার নামের সঙ্গে আমার এনআইডির নামের ভিন্নতায় গোল বেধেছে। এনআইডি কার্ডে ক্ষেত্রবিশেষে দুটি নাম রাখার সুযোগ রাখলে এ সমস্যার এক ধরনের সমাধান হতো। দুটি নামের মাঝে ওরফে থাকবে-দলিল লেখকরা যেমনটা দিয়ে থাকেন। ব্যক্তিকে শনাক্ত করতে ছবি একটি মাধ্যম হিসাবে কাজ করে। এর চেয়ে নির্ভরযোগ্য প্রমাণ আঙ্গুলের ছাপ। সনদ, এনআইডি কার্ড বা পাসপোর্টে নামভিন্নতায় আপৎকালীন মেয়াদে কাজ চালিয়ে নেওয়ার জন্য একই ব্যক্তিকে শনাক্তের সহজ কোনো উপায় থাকলে অনেকে স্বস্তি পেতেন। আর কারও নাম সংশোধন করা হলে তার সব সনদের নামও যাতে একবারে সংশোধিত হয়ে আসে, তেমন একটা পদ্ধতিরও থাকা দরকার।

শরীফুজ্জামান আগা খান : শিক্ষক ও গবেষক

 

© JUGANTOR.COM
]]>
<![CDATA[দুই হাজার ছাড়াল দৈনিক করোনা রোগী শনাক্ত]]> https://www.jugantor.com/todays-paper/last-page/567173/দুই-হাজার-ছাড়াল-দৈনিক-করোনা-রোগী-শনাক্ত 567173 2022-06-28T00:00:00+06:00 যুগান্তর প্রতিবেদন দুই হাজার ছাড়াল দৈনিক করোনা রোগী শনাক্ত

দুই হাজার ছাড়াল দৈনিক করোনা রোগী শনাক্ত

শেষ পাতা

যুগান্তর প্রতিবেদন

দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা আক্রান্ত রোগী দুই হাজার ছাড়িয়ে গেছে। এ সময় দুই হাজার ১০১ জন নতুন রোগী শনাক্ত হয়েছে। এর আগে সর্বশেষ ১৯ ফেব্রুয়ারি এক দিনে এর চেয়ে বেশি রোগী শনাক্ত হয়েছিল। সেদিন দুই হাজার ১৫০ জনের করোনা শনাক্তের কথা জানিয়েছিল স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। এ হিসাবে ১৮ সপ্তাহ পর দৈনিক শনাক্ত রোগীর সংখ্যা ফের দুই হাজার ছাড়িয়ে গেল। এ নিয়ে দেশে মোট করোনা রোগীর সংখ্যা বেড়ে ১৯ লাখ ৬৭ হাজার ২৭৪ জন হয়েছে। এছাড়া গত এক দিনে ভাইরাসটিতে আরও দুজনের মৃত্যু হয়েছে। ফলে করোনায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ২৯ হাজার ১৪২ জন। সোমবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে পাঠানো করোনাবিষয়ক নিয়মিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানিয়েছে, রোববার সকাল থেকে সোমবার সকাল ৮টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় সারা দেশ থেকে ১৩ হাজার ৯২০টি নমুনা সংগ্রহ করা হয়। এরপর ১৩ হাজার ৮২০টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়। এ নিয়ে মোট নমুনা পরীক্ষার সংখ্যা দাঁড়িয়েছে এক কোটি ৪৩ লাখ পাঁচ হাজার ৮৭৯টি। সর্বশেষ নমুনা পরীক্ষার বিপরীতে শনাক্তের হার দাঁড়িয়েছে ১৫ দশমিক ২ শতাংশ। আগের দিন রোববার এই হার ছিল ১৫ দশমিক ৬৬ শতাংশ। এ পর্যন্ত মোট শনাক্তের হার ১৩ দশমিক ৭৫ শতাংশ। তবে গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়ে উঠেছেন আরও ১৭৯ জন করোনা রোগী। তাদের নিয়ে ১৯ লাখ ছয় হাজার ৮৬৭ জন সেরে উঠলেন।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানিয়েছে, গত ২০ থেকে ২৬ জুন দেশে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত আট হাজার ৮৪৬ জন রোগী শনাক্ত হয়েছে, মৃত্যু হয়েছে ৯ জনের। আগের সপ্তাহে শনাক্ত রোগীর সংখ্যা ছিল দুই হাজার ২১২ জন, কারও মৃত্যুর খবর সে সময় আসেনি। এই হিসাবে এক সপ্তাহে শনাক্ত রোগীর সংখ্যা বেড়েছে ৩০০ শতাংশ; আর মৃত্যু বেড়েছে ৯০০ শতাংশ। বাংলাদেশে করোনাভাইরাসের প্রথম সংক্রমণ ধরা পড়েছিল ২০২০ সালের ৮ মার্চ। ডেল্টা ভ্যারিয়েন্টের ব্যাপক বিস্তারের মধ্যে গত বছরের ২৮ জুলাই দেশে রেকর্ড ১৬ হাজার ২৩০ জন নতুন রোগী শনাক্ত হয়।

প্রথম রোগী শনাক্তের ১০ দিন পর ২০২০ সালের ১৮ মার্চ দেশে প্রথম মৃত্যুর তথ্য নিশ্চিত করে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। ২০২১ সালের ৫ আগস্ট ও ১০ আগস্ট ২৬৪ জন করে মৃত্যুর খবর আসে, যা মহামারীর মধ্যে এক দিনে সর্বোচ্চ সংখ্যা। বিশ্বে করোনাভাইরাস আক্রান্ত হয়ে এ পর্যন্ত মারা গেছে ৬৩ লাখ ২৯ হাজারের বেশি মানুষ। বিশ্বজুড়ে আক্রান্ত ছাড়িয়েছে ৫৪ কোটি ৩৬ লাখ।

জনস্বাস্থ্যবিদরা যুগান্তরকে বলেছেন, বর্তমানে করোনা সংক্রমণের চতুর্থ ঢেউ চলছে দেশে। এখনই মাস্ক পরা, ঘন ঘন সাবান পানি দিয়ে হাত ধোয়ার অভ্যাস, সামাজিক দূরত্ব মেনে চলা ও দ্রুত টিকা নিতে হবে। স্বাস্থ্যবিধি প্রতিপালন না মানলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যেতে পারে।

 

© JUGANTOR.COM
]]>
<![CDATA[কমছে লঞ্চের যাত্রী, বাড়ছে বাস ও ট্রিপ]]> https://www.jugantor.com/todays-paper/last-page/567172/কমছে-লঞ্চের-যাত্রী-বাড়ছে-বাস-ও-ট্রিপ 567172 2022-06-28T00:00:00+06:00 আকতার ফারুক শাহিন, বরিশাল কমছে লঞ্চের যাত্রী, বাড়ছে বাস ও ট্রিপ

কমছে লঞ্চের যাত্রী, বাড়ছে বাস ও ট্রিপ

শেষ পাতা

আকতার ফারুক শাহিন, বরিশাল

পদ্মা সেতু চালুর পর সড়কপথে মাত্র তিন থেকে সাড়ে তিন ঘণ্টায় ঢাকা থেকে বরিশালে আসা-যাওয়া করছে মানুষ। রোববার সেতু চালুর দিন থেকে মোটামুটি এই সময়ের মধ্যে যাত্রীদের গন্তব্যে পৌঁছে দিচ্ছে বাসগুলো। ওইদিন ভোরে পদ্মার টোল গেটে ভিড়ের কারণে প্রথমদিকের বাসগুলো খানিকটা দেরি করলেও পরে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়ে যায়। সোমবার আরও মসৃণ হয় এই গতি। মাত্র তিন ঘণ্টায় ঢাকায় যেতে পেরে সড়কপথে যাত্রী বাড়লেও কমতে শুরু করেছে ঢাকা-বরিশাল রুটের ঐতিহ্যবাহী লঞ্চ সার্ভিসের যাত্রী। এই সময়ের মধ্যে কম করে হলেও ৫০ ভাগ যাত্রী হারানোর বিষয়টি স্বীকার করেছেন লঞ্চ মালিকরা। যদিও এখনই এ ব্যাপারে স্পষ্ট করে কোনো কিছু বলতে রাজি নন তারা। তাদের মতে, স্বপ্নের পদ্মা সেতু চালু হওয়ায় অনেকেই শখ করে হলেও সড়কপথে যাচ্ছেন। কুরবানির ঈদের অন্তত মাসখানেক পর বোঝা যাবে প্রকৃত পরিস্থিতি।

জানা যায়, যাত্রী বাড়ায় নিয়মিত সার্ভিসের পাশাপাশি দেশের বেশ কয়েকটি নামিদামি কোম্পানি এই রুটে চালু করেছে তাদের বিলাসবহুল বাস। বিশেষ করে গ্রিন লাইন, সাকুরা, প্রচেষ্টাসহ কয়েকটি কোম্পানি তাদের ডবল ডেকার এবং ম্যান বাস চালু করেছে এই রুটে। গ্রিন লাইন পরিবহণের কর্মকর্তা হাসান সরদার বাদশা বলেন, ৪০ ও ২৭ সিটের মোট ১২টি বাস আমরা চালু করেছি এই রুটে। যাত্রী চাহিদার ওপর ভিত্তি করে প্রয়োজনে আরও বাড়বে বাসের সংখ্যা।

সাকুরা পরিবহণের মালিক হুমায়ুন কবির বলেন, শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত ডবল ডেকার, ম্যানসহ আমাদের ৭০টি বাস চলছে ঢাকা-বরিশাল রুটে। উভয় প্রান্ত থেকে প্রতি ৩০ মিনিট অন্তর বাস ছাড়ছি আমরা।

বরিশালের নথুল্লাবাদ বাস টার্মিনাল থেকে ঢাকা-বরিশাল রুটে চলাচলকারী বাসগুলোর কাউন্টার থেকে পাওয়া তথ্যানুযায়ী, সেতু চালু হওয়ার পর শতকরা ৩০ ভাগ যাত্রী বেড়েছে ঢাকা-বরিশালের সড়কপথে। সাড়ে ৩শ থেকে সর্বোচ্চ ১১শ টাকায় মানুষ আসা-যাওয়া করছে বাসে। বরিশাল বাস মালিক গ্রুপের সাধারণ সম্পাদক কিশোর কুমার দে বলেন, সেতু চালু হওয়ার পর এই রুটে যেমন বাসের সংখ্যা বেড়েছে, তেমনই বাড়ছে ট্রিপ। আগে ফেরি পার হয়ে ঢাকা-বরিশাল রুটে দেড়শর মতো ট্রিপ দিত বাসগুলো। গত দুদিনে তা বেড়ে ৩শ হয়েছে। সেতু চালুর পরিপ্রেক্ষিতে যাত্রী বৃদ্ধির বিষয়ে তিনি বলেন, এখনই স্পষ্ট কিছু বলা সম্ভব নয়। মাসতিনেক পর বোঝা যাবে পরিস্থিতি। এখন অনেকেই আনন্দে অথবা সেতু দেখার জন্য বাসে যাওয়া-আসা করছে। ২/৩ মাস গেলে বোঝা যাবে আসল অবস্থা। তবে কিছু যাত্রী বাড়বে এটা ঠিক।

সড়কপথে যে হারে বাড়ছে, ঠিক একই হারে কমছে ঢাকা-বরিশাল রুটের লঞ্চের যাত্রী। গত দুদিনে পরিবর্তনের এই দৃশ্য চোখে পড়েছে বরিশাল লঞ্চঘাটে। যদিও রোববার লঞ্চে যাত্রীর খুব একটা সংকট ছিল না। কিন্তু সোমবার সংকটের চিত্র দেখা যায় লঞ্চগুলোয়। একাধিক লঞ্চের কর্মকর্তা বলেন, পদ্মা সেতু উদ্বোধন উপলক্ষ্যে দক্ষিণাঞ্চলের প্রায় সব লঞ্চ গিয়েছিল মাদারীপুরের শিবচরে। টানা দুদিন স্বাভাবিকভাবে লঞ্চ চলেনি এই রুটে। লঞ্চ না থাকায় যেসব যাত্রী এই দুদিন গন্তব্যে যোতে পারেননি, তারাই আসলে ভিড় করেন রোববার। পদ্মা সেতুর প্রভাব কতটুকু পড়ল, তা বোঝা গেছে সোমবার। হাতেগোনা ২/১টি লঞ্চ ছাড়া বাকি সবকটিতেই কমেছে যাত্রী। বিশেষ করে প্রথম শ্রেণির কেবিনগুলোয় ৫০ ভাগ যাত্রীও হয়নি। ডেকে যদিও এখন পর্যন্ত তেমন প্রভাব পড়েনি, তবে কেবিনের ক্ষেত্রে যাত্রী কমবে এটা নিশ্চিত।

সুন্দরবন নেভিগেশনের পরিচালক আকতার হোসেন আকেজ বলেন, প্রথম প্রথম একটু প্রভাব পড়লেও লঞ্চের যাত্রী কমবে, এটা মনে করছি না আমরা। ৩শ টাকা ভাড়ায় আমরা ডেক শ্রেণির যাত্রীদের বহন করি। স্বামী-স্ত্রীর সঙ্গে ছোট বাচ্চা থাকলে তার ভাড়া নেওয়া হয় না। এই সুবিধা তো বাস মালিকরা দিতে পারবে না। তাছাড়া সড়কপথে ভাড়াও অনেক বেশি পড়বে।

সুরভী নেভিগেশনের পরিচালক রেজিন উল কবির বলেন, দুদিন ধরে প্রথম শ্রেণির যাত্রীর সংখ্যা কিছুটা কম। তবে ডেকে খুব একটা সমস্যা হচ্ছে না। এটা যে হবে তা আমরা আগে থেকেই ধারণা করে রেখেছি। পদ্মা সেতু চালু হওয়া মানে আমাদের দক্ষিণাঞ্চলের মানুষের একটা বিশাল স্বপ্ন পূরণ। সেই স্বপ্নকে ছোঁয়ার জন্য প্রথম প্রথম অগণিত মানুষ সড়কপথে ছুটবে, এটাই স্বাভাবিক। আমি মনে করি, এই পরিস্থিতি স্থায়ী হবে না। এটা ঠিক যে হঠাৎ জরুরি প্রয়োজনে মানুষ সেতু পার হয়ে কম সময়ে ঢাকা যাবে। কিন্তু স্বাভাবিক যাত্রায় লঞ্চের যে চাহিদা ছিল, তা কমবে তো না-ই বরং আরও বাড়বে।

সালমা শিপিং করপোরেশনের এজিএম রিয়াজুল করিম বেলাল বলেন, সোমবার বরিশাল থেকে ছেড়ে যাওয়া লঞ্চে প্রথম শ্রেণির ৫০ ভাগ আসন খালি ছিল। এতে মোটেই হতাশ নই আমরা। সত্যি বলতে গেলে, এখন ঢাকা যাওয়ার দরকার পড়লে আমিও সড়কপথেই যাব-স্বপ্নের পদ্মা সেতু দেখতে। মাসখানেক পর বোঝা যাবে যে লঞ্চের যাত্রী কমল কি না।

পদ্মা সেতু চালু হওয়ায় সবচেয়ে বেশি সমস্যা হতে পারে ঢাকা-বরিশাল রুটে দিনের বেলায় চলাচল করা গ্রিন লাইনের ওয়াটার বাসের। ৬শ আসনের এই ওয়াটার বাস ঢাকা থেকে সকাল ৮টা এবং বরিশাল থেকে বিকাল ৩টায় ছাড়ে। ৬ ঘণ্টায় এটি পৌঁছায় গন্তব্যে। ভাড়া ৭শ এবং ১১শ টাকা। ৩ ঘণ্টায় গন্তব্যে পৌঁছানোর সুযোগে সড়কপথে যাত্রী বেড়ে যাওয়ায় দিবা সার্ভিসের এই ওয়াটার বাসটি শেষ পর্যন্ত টিকবে কি না, তাই নিয়ে ভাবছেন অনেকে। তবে গ্রিন লাইনের বরিশাল দপ্তরের কর্মকর্তা হাসান বাদশা বলেন, এখন পর্যন্ত তেমন প্রভাব পড়েনি ওয়াটার বাসে। যাত্রীর সংখ্যাও কমেনি।

বরিশাল চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজের প্রেসিডেন্ট সাইদুর রহমান রিন্টু বলেন, লঞ্চ আসলে কখনোই ‘মরবে না’। পদ্মা সেতু চালু হওয়ায় সড়কপথে রাজধানীর সঙ্গে যোগাযোগে সময় কমেছে ঠিক, তবে তাতে লঞ্চের যাত্রী কমার কোনো আশঙ্কা দেখছি না। লঞ্চ রাতে চলায় মানুষের কর্মঘণ্টা নষ্ট হয় না। তাছাড়া নিু আয়ের মানুষ যত কম খরচে লঞ্চে যেতে পারবে, সড়কপথে তা সম্ভব নয়।

© JUGANTOR.COM
]]>
<![CDATA[বিদ্যুৎ জ্বালানি সংকটে ধুঁকছে দক্ষিণ এশিয়া]]> https://www.jugantor.com/todays-paper/last-page/567171/বিদ্যুৎ-জ্বালানি-সংকটে-ধুঁকছে-দক্ষিণ-এশিয়া 567171 2022-06-28T00:00:00+06:00 যুগান্তর ডেস্ক বিদ্যুৎ জ্বালানি সংকটে ধুঁকছে দক্ষিণ এশিয়া

বিদ্যুৎ জ্বালানি সংকটে ধুঁকছে দক্ষিণ এশিয়া

শেষ পাতা

যুগান্তর ডেস্ক

এশিয়া অঞ্চলে বিশেষ করে দক্ষিণ এশিয়া উপমহাদেশের বিভিন্ন দেশে বিদ্যুৎ ও জ্বালানি সংকট মারাত্মক আকার ধারণ করেছে। শ্রীলংকায় জ্বালানি সংকট মারাত্মক আকার ধারণ করায় বিদ্যুৎ সাশ্রয়ের চেষ্টায় সরকারি কর্মচারীদের ঘরে বসে অফিসের কাজ চালিয়ে যাওয়ার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। এছাড়া এক সপ্তাহ ধরে কলম্বো ও আশপাশের এলাকাগুলোয় স্কুল বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। বিদ্যুৎ সাশ্রয়ে বাংলাদেশে দোকানপাট রাত ৮টার পর বন্ধ রাখা হচ্ছে। এছাড়া বিদ্যুৎ সংকটে ভারত ও পাকিস্তানের অনেক স্থানে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখা এবং বাড়িঘরে এসি না চালানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। অপরদিকে, কম বিদ্যুৎ ব্যবহার করতে জনগণের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে জাপান ও ফ্রান্স সরকার। খবর সিএনএন, বিবিসি ও রয়টার্সের।

জ্বালানি তেল ও কয়লা সংকটে অনেক দেশে বিদ্যুৎ উৎপাদন বাধার মুখে পড়েছে। শ্রীলংকা ও পাকিস্তানে জ্বালানি তেল সংকট মারাত্মক আকার ধারণ করেছে। রোববার শ্রীলংকার বিদ্যুৎ ও জ্বালানিবিষয়ক মন্ত্রী কাঞ্চনা উইজেসেকারা বলেন, দেশটিতে এখন প্রায় ৯ হাজার টন ডিজেল ও ৬ হাজার টন পেট্রোলের মজুত রয়েছে। আপাতত জ্বালানির কোনো চালান আসার কথা নেই। মজুত জ্বালানি দিয়ে কতদিন চলা যাবে, তা সরকার জানে না। সাত দশকের মধ্যে সবচেয়ে ভয়াবহ আর্থিক সংকটে পড়া শ্রীলংকায় চলছে ব্যাপক জ্বালানি সংকট। কলম্বোয় স্কুল বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। ঘরে বসে কাজ করার আহ্বান জানানো হয়েছে সরকারি কর্মচারীদের। সেনাবাহিনীর কাছ থেকে পেট্রোলপাম্পের লাইনে দাঁড়ানোর একটি টোকেন পেয়েছেন ৬৭ বছর বয়সি অটোরিকশাচালক ডব্লিউডি শেলটন। পেট্রোল এলে অন্যদের মতো তিনিও পেট্রোল পাবেন। শেলটন বলেন, আমি চার দিন ধরে লাইনে দাঁড়িয়ে আছি। এই চার দিন আমি পর্যাপ্ত ঘুম, এমনকি পর্যাপ্ত খেতেও পারিনি। চরম দুর্দশাকে চরম দুঃখের বিষয় হিসাবে বর্ণনা করে তিনি বলেন, এটা একটা ট্র্যাজেডি। আমরা জানি না এর শেষ কোথায়। জ্বালানির জন্য লাইনে দাঁড়িয়েও অনেকে জ্বালানি পাচ্ছেন না। কেউ কয়েকদিন লাইনে থাকার পর অল্প জ্বালানি পাচ্ছেন। রোববার জাপানের অর্থনীতি, বাণিজ্য ও শিল্প মন্ত্রণালয় জানায়, গত কয়েক সপ্তাহ ধরে রাজধানী টোকিও ও এর আশপাশের এলাকায় তাপমাত্রা বৃদ্ধি পেয়েছে। এ কারণে বিদ্যুতের চাহিদা আরও বাড়তে পারে। টোকিও এবং এর আশপাশের এলাকার লোকজনকে অপ্রয়োজনে বিদ্যুৎ খরচ না করার আহ্বান জানানো হয়েছে। এক বিবৃতিতে জানানো হয়, প্রয়োজন না হলে লাইট বন্ধ রাখা উচিত। এতে বিদ্যুৎ সাশ্রয় হবে। তবে হিটস্ট্রোক এড়াতে এয়ার কন্ডিশনার ব্যবহার করা যাবে বলে জানানো হয়। টোকিওতে তাপমাত্রা ৩৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসের ওপরে রেকর্ড করা হয়েছে। অপরদিকে রাজধানীর উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলীয় ইসেসাকি শহরে তাপমাত্রা রেকর্ড ৪০ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে। জুনে রেকর্ড করা এটাই জাপানের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা।

ফ্রান্সের বিদ্যুৎ উৎপাদনকারী কোম্পানিগুলোর প্রধান নির্বাহীরা বলছেন, খরচ কমাতে আমাদের সম্মিলিতভাবে কাজ করতে হবে। বিদ্যুৎ উৎপাদনকারী কোম্পানি ইলেকট্রিকিট ডি ফ্রান্স (ইডিএফ), ইউটিলিটি কোম্পানি ইঞ্জি ও পেট্রোলিয়াম ব্যবসা প্রতিষ্ঠান টোটাল এনার্জির প্রধান নির্বাহীরা শীতকে সামনে রেখে বিদ্যুৎ ব্যয়ে মিতব্যয়ী হওয়ার আহ্বান জানান। এক চিঠিতে কোম্পানিগুলো রাশিয়ান গ্যাসের চালান কমে আসার পাশাপাশি বিদ্যুৎ উৎপাদন হ্রাস পাওয়ার কথা উল্লেখ করা হয়েছে।

রোববার ব্লুমবার্গের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, ইউক্রেনে রুশ আগ্রাসনের কারণে জ্বালানি ঘাটতি নিয়ে উদ্বেগ বাড়ছে। এর মধ্যে শীতের জন্য আরও ভালোভাবে প্রস্তুত হওয়ার লক্ষ্যে বিদ্যুৎ, গ্যাস এবং তেল সংরক্ষণ করতে সাধারণ মানুষ ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলোকে উদাত্ত আহ্বান জানিয়েছে ফ্রান্সের বিদ্যুৎ উৎপাদনকারী কোম্পানিগুলো। বৃহস্পতিবার দেশটির প্রধানমন্ত্রী এলিজাবেথ বোর্ন বলেছেন, ফ্রান্সের লক্ষ্য শরতের শুরুতেই গ্যাস স্টোরেজ পূরণ করা। ফ্রান্সের গ্যাস স্টোরেজ বর্তমানে ৫৯ শতাংশ। এর আগে, ১৬ জুন জ্বালানি ঘাটতি মোকাবিলায় নিউ সাউথ ওয়েলসের বাসিন্দাদের সন্ধ্যা ৬টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত বাতি বন্ধ রাখার পরামর্শ দেন অস্ট্রেলিয়ার জ্বালানিমন্ত্রী ক্রিস বোয়েন। যতটা সম্ভব বিদ্যুৎ সাশ্রয়ের পরামর্শ দিয়েছেন তিনি।

বিশ্বের অন্যতম কয়লা ও তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাস রপ্তানিকারক দেশ অস্ট্রেলিয়া। কিন্তু গত মাস থেকে দেশটি ভয়াবহ বিদ্যুৎ সংকটে ভুগছে। সেখানকার তিন-চতুর্থাংশ বিদ্যুৎ এখনো কয়লা ব্যবহার করে উৎপাদিত হয়। কয়েক সপ্তাহ ধরে কয়লা সরবরাহে ব্যাঘাত, বেশ কয়েকটি কয়লাচালিত বিদ্যুৎকেন্দ্রে বিভ্রাট এবং বৈশ্বিক জ্বালানি শক্তির মূল্যবৃদ্ধির প্রভাবে দেশটি বেশ সংকটে পড়েছে।

© JUGANTOR.COM
]]>
<![CDATA[পাকিস্তানের পক্ষ নেওয়া আইন প্রণেতাদের তালিকাও হবে]]> https://www.jugantor.com/todays-paper/last-page/567170/পাকিস্তানের-পক্ষ-নেওয়া-আইন-প্রণেতাদের-তালিকাও-হবে 567170 2022-06-28T00:00:00+06:00 সংসদ প্রতিবেদক পাকিস্তানের পক্ষ নেওয়া আইন প্রণেতাদের তালিকাও হবে

পাকিস্তানের পক্ষ নেওয়া আইন প্রণেতাদের তালিকাও হবে

শেষ পাতা

সংসদ প্রতিবেদক

রাজাকার, আলবদর, আলশামসের পাশাপাশি মহান মুক্তিযুদ্ধের সময় পাকিস্তানের পক্ষ নেওয়া এমএনএ এবং এমপিএদের তালিকা তৈরির সুপারিশ করেছে মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটি। একই সঙ্গে তারা ‘মুজাহিদ বাহিনী’ ও ‘পিস কমিটির’ সদস্যদের তালিকা তৈরির বিধান রাখারও সুপারিশ করেছে। সংসদীয় কমিটি জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিল বিল পরীক্ষা করে ১৯৭০ সালের সাধারণ নির্বাচনে নির্বাচিত মেম্বার অব ন্যাশনাল অ্যাসেম্বলি-এমএনএ এবং মেম্বার অব প্রোভেন্সিয়াল অ্যাসেম্বলি-এমপিএদের ওই তালিকা করার সুপারিশ করে।

সোমবার সংসদীয় কমিটির সভাপতি শাজাহান খান সুপারিশ সংবলিত প্রতিবেদনটি জাতীয় সংসদে উপস্থাপন করেন। সাধারণত কোনো খসড়া আইনে সংসদীয় কমিটি পরিবর্তনের সুপারিশ করলে সংসদে তা গ্রহণ করা হয়। ৬ জুন ‘জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিল বিল-২০২২’ সংসদে উত্থাপন করেন মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক। পরে বিলটি পরীক্ষা করে সংসদে প্রতিবেদন দেওয়ার জন্য সংসদীয় কমিটিতে পাঠানো হয়।

সংসদে উত্থাপিত বিলে বলা হয়, ‘১৯৭১ খ্রিষ্টাব্দের ২৬ মার্চ থেকে ১৬ ডিসেম্বর পর্যন্ত যাহারা মহান মুক্তিযুদ্ধের সময় রাজাকার, আলবদর, আলশামস বাহিনীর সদস্য হিসাবে কর্মকাণ্ডে লিপ্ত ছিলেন বা আধাসামরিক বাহিনীর সদস্য হিসাবে কর্মকাণ্ডে লিপ্ত ছিলেন বা আধাসামরিক বাহিনীর সদস্য হিসাবে সশস্ত্র যুদ্ধে নিয়োজিত থাকিয়া বাংলাদেশের স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধের বিরোধিতা করিয়াছেন বা খুন, ধর্ষণ, লুট, অগ্নিসংযোগের অপরাধমূলক ঘৃণ্য কার্যকলাপ দ্বারা নিরীহ মানুষকে হত্যার মাধ্যমে যুদ্ধাপরাধ সংঘটিত করিয়াছেন অথবা একক বা যৌথ বা দলীয় সিদ্ধান্তক্রমে প্রত্যক্ষভাবে, সক্রিয়ভাবে বা পরোক্ষভাবে বাংলাদেশের স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধের বিরোধিতা করিয়াছেন; তাহাদের তালিকা প্রণয়ন ও গেজেট প্রকাশের জন্য সরকারের নিকট সুপারিশ প্রেরণ করবে।’

কমিটি ১৯৭০ সালের নির্বাচনে যারা এমএনএ এবং এমপিএ নির্বাচিত হয়ে পাকিস্তানের পক্ষ নিয়েছিলেন এবং বাংলাদেশের পক্ষ নেওয়ার কারণে শূন্য ঘোষিত আসনে উপনির্বাচনে পাকিস্তান সরকার কর্তৃক নির্বাচিত এমএনএ এবং এমপিএ হয়েছেন তাদের তালিকা তৈরির সুপারিশ করা হয়েছে। সংসদে উত্থাপিত বিলে বলা আছে, মুক্তিযোদ্ধা কল্যাণ ট্রাস্ট আইনের বীর মুক্তিযোদ্ধার সংজ্ঞা এই আইনে গৃহীত হবে। সংসদীয় কমিটি ওই সংজ্ঞা বিলের ধারায় যুক্ত করেছে। কাউন্সিলের আটজন সদস্য প্রধান উপদেষ্টা মনোনয়ন দেবেন, যারা বীর মুক্তিযোদ্ধা, মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক কর্মকাণ্ডের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট কোনো ব্যক্তি বা মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের সদস্য হবেন।

উপদেষ্টা পরিষদে মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী থাকবেন। প্রধান উপদেষ্টা কর্তৃক মনোনীত পাঁচজন সদস্য মনোনয়নের ক্ষেত্রে মুক্তিযুদ্ধের ফোর্স কমান্ডার, সাব-সেক্টর কমান্ডার অথবা কমান্ডারগুলোর বিশিষ্ট মুক্তিযোদ্ধা, এ বিষয়ক কর্মকাণ্ডে সংশ্লিষ্ট কোনো বিশিষ্ট ব্যক্তি বা মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের সদস্যদের রাখার প্রস্তাব করা হয়েছে। এছাড়া মন্ত্রণালয়ের সচিবও এই পরিষদে থাকবেন। কাউন্সিল মুক্তিযুদ্ধ ও মুক্তিযোদ্ধা সংশ্লিষ্ট সব সংগঠনের নিবন্ধন প্রদান, সাময়িকভাবে স্থগিত ও বাতিল করতে পারবে।

২০১৯ সালে জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিল বিলের খসড়া তৈরি করে মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়। ওই বছর ২৯ ডিসেম্বর আন্তঃমন্ত্রণালয় সভায় সুপারিশও নেওয়া হয়। ২০২০ সালের মার্চে আইনের ভাষা পরিমার্জনের জন্য জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের বাংলা ভাষা বাস্তবায়ন কোষে পাঠানো হয়। ২০২০ সালের ডিসেম্বরে মন্ত্রিসভার বৈঠকে দুটি সংশোধনী দিয়ে ওই খসড়ার নীতিগত অনুমোদন করা হয়। চূড়ান্ত অনুমোদনের জন্য তা গত জুনে মন্ত্রিপরিষদ সভায় পাঠানো হয়। এ বছরের জানুয়ারিতে খসড়া আইনের চূড়ান্ত অনুমোদন দেওয়া হয়।

রাজাকারদের তালিকা তৈরি করতে ২০২০ সালে একটি উপকমিটি করে মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটি। কমিটি প্রথমে সিদ্ধান্ত নিয়েছিল রাজাকারদের তালিকা প্রকাশ করবে। পরে খসড়া আইনটি মন্ত্রিসভায় যাওয়ার পর তারা সিদ্ধান্ত পালটায়। এপ্রিলে আগের কমিটি ভেঙে নতুন করে উপকমিটি পুনর্গঠন করা হয়।

© JUGANTOR.COM
]]>
<![CDATA[বন্যায় দেড় লাখ হেক্টর ফসলি জমি ক্ষতিগ্রস্ত]]> https://www.jugantor.com/todays-paper/last-page/567169/বন্যায়-দেড়-লাখ-হেক্টর-ফসলি-জমি-ক্ষতিগ্রস্ত 567169 2022-06-28T00:00:00+06:00 বাহরাম খান বন্যায় দেড় লাখ হেক্টর ফসলি জমি ক্ষতিগ্রস্ত

বন্যায় দেড় লাখ হেক্টর ফসলি জমি ক্ষতিগ্রস্ত

শেষ পাতা

বাহরাম খান

এবারের অপ্রত্যাশিত বন্যায় দেড় লাখ হেক্টরের বেশি ফসলি জমি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। অন্যদিকে প্রায় ৮০ হাজার পুকুর, দিঘি ও মাছের খামার ক্ষতির কবলে পড়ছে। ভেসে গেছে ৮২৫ কোটি মাছের পোনা। কৃষি মন্ত্রণালয় এবং মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় সংশ্লিষ্ট একাধিক দপ্তর-সংস্থা সূত্রে এসব প্রাথমিক তথ্য জানা গেছে। বন্যা চলমান থাকায় এ ক্ষতির পরিমাণ আরও বাড়বে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।

কৃষি খাতে এ পর্যন্ত পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, বন্যায় ১ লাখ ৫৯ হাজার ৯৪০ হেক্টর ফসলি জমি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি অর্থাৎ ৭৯ হাজার ৭১২ হেক্টর আউশ ধানের জমি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এছাড়া বোনা আমন ৩০ হাজার ১৩৬ হেক্টর, সবজি ১৫ হাজার ৪২৬ হেক্টর, রোপা আমনের বীজতলা ১ হাজার ৬১ হেক্টর ও অন্যান্য ফসলি জমি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ৩৩ হাজার হেক্টর। দেশের মোট ২০ জেলা থেকে ক্ষয়ক্ষতির এ চিত্র জানা গেছে।

বন্যায় সবচেয়ে বেশি ফসলি জমির ক্ষতি হয়েছে হবিগঞ্জে-৩২ হাজার ৯১৩ হেক্টর। অন্যদিকে সবচেয়ে কম ক্ষতি হয়েছে রংপুরে, ১০ হেক্টর। সিলেটে সর্বমোট ক্ষতি হয়েছে ২৮ হাজার ৯৪৪ হেক্টর ফসলি জমির। এছাড়া মৌলভীবাজারে প্রায় ১৩ হাজার, ময়মনসিংহে ১০৬, জামালপুরে প্রায় ৭ হাজার, নেত্রকোনায় প্রায় ২ হাজার, শেরপুরে প্রায় ৫০০, ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় প্রায় ১৫ হাজার, টাঙ্গাইলে প্রায় ৯ হাজার, গাজীপুরে ১৫০ হেক্টর, কিশোরগঞ্জে ৩৪৬, নারায়ণগঞ্জে সাড়ে ৩শ, বগুড়ায় প্রায় ৩ হাজার, সিরাজগঞ্জে সাড়ে ১৫ হাজার, কুড়িগ্রামে প্রায় ১৬ হাজার, লালমনিরহাটে ৪০০, গাইবান্ধায় ২ হাজার, চাঁপাইনবাবগঞ্জে ১ হাজার ২০০, সুনামগঞ্জে প্রায় ১৪ হাজার হেক্টর। কৃষি মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, এসব তথ্য প্রতিদিন হালনাগাদ হচ্ছে। বন্যার পরিস্থিতি সন্তোষজনক পর্যায়ে এলে সার্বিক অবস্থার প্রতিবেদন প্রকাশ করা হবে।

বন্যায় কৃষিখাতের ক্ষতি পুষিয়ে নিতে গত মন্ত্রিসভা বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কৃষিমন্ত্রীকে বিশেষ নির্দেশনা দিয়েছেন বলে জানা গেছে। এ বিষয়ে সরকারের উদ্যোগ সম্পর্কে কৃষিমন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাক যুগান্তরকে বলেন, মাঠে বড় ফসল না থাকায় বন্যার ভয়াবহতার তুলনায় কৃষির ক্ষতি তেমন বেশি হয়নি। রোপা আমনের বীজতলার কিছু ক্ষতি হয়েছে। বন্যা দীর্ঘস্থায়ী হলে ভাসমান বীজতলাসহ কৃষকদের সহযোগিতার সব ধরনের উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে।

এদিকে, এবারের বন্যায় এ পর্যন্ত মৎস্যখাতে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির তথ্য জানা গেছে। গত রোববার পর্যন্ত পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, ৫৮ হাজার ৩১৭ খামারির ৭৯ হাজার ২৯০টি পুকুর, দিঘি ও খামার ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এতে প্রায় ২২ হাজার টন মাছ এবং ৮২৫ কোটি মাছের পোনা ভেসে গেছে। এতে মাছ ও পোনা মিলিয়ে খামারিদের ক্ষতি হয়েছে ২০০ কোটি টাকার বেশি।

মৎস্য ও প্রাণী অধিদপ্তরের একাধিক কর্মকর্তা জানান, এ খাতের ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ আরও অনেক বাড়বে। প্রাথমিকভাবে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, টাকার দিক থেকে ২০০ কোটি টাকার উপরে চিত্র পাওয়া গেছে। এর মধ্যে সুনামগঞ্জ জেলায় ৫২ কোটি, হবিগঞ্জে ৪২ কোটি, সিলেটে ৫০ কোটি, কিশোরগঞ্জে ১১ কোটি, ময়মনসিংহে এক কোটি, নেত্রকোনা ১১ কোটি, জামালপুর ২১ লাখ এবং শেরপুরে ৩৩ কোটি টাকা ক্ষতির কথা জানা গেছে।

© JUGANTOR.COM
]]>
<![CDATA[১৪ রাজনৈতিক দলকে আজ ইভিএম দেখাবে ইসি]]> https://www.jugantor.com/todays-paper/last-page/567168/১৪-রাজনৈতিক-দলকে-আজ-ইভিএম-দেখাবে-ইসি 567168 2022-06-28T00:00:00+06:00 যুগান্তর প্রতিবেদন ১৪ রাজনৈতিক দলকে আজ ইভিএম দেখাবে ইসি

১৪ রাজনৈতিক দলকে আজ ইভিএম দেখাবে ইসি

শেষ পাতা

যুগান্তর প্রতিবেদন

ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগসহ ১৪টি রাজনৈতিক দলের সঙ্গে আজ বসবে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। এ সময় তাদেরকে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনের (ইভিএম) কারিগরি দিক দেখানো হবে। এজন্য রাজনৈতিক দলগুলোর কারিগরি বিশেষজ্ঞদের পাঠানোর অনুরোধ জানায় ইসি। যদিও ইভিএম প্রদর্শনীতে লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টি-এলডিপি, বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দল-বাসদ, বাংলাদেশের বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টি, বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি-সিপিবিসহ কয়েকটি দল অংশ নেবে না বলে জানা গেছে। এর মধ্য দিয়ে তিন ধাপে আয়োজিত ইভিএমের কারিগরি দিক প্রদর্শনী আজ শেষ হচ্ছে। ইসি সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

আরও জানা গেছে, পরিকল্পনা অনুযায়ী আজ ১৩টি রাজনৈতিক দলকে আমন্ত্রণ জানানো হয়। প্রথম ধাপে থাকা গণফোরাম ইভিএম প্রদর্শনীতে আসতে পারেনি। তাদের আজ আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। এ নিয়ে ১৪টি দলকে এ ধাপে আমন্ত্রণ জানিয়েছে কমিশন।

দলগুলো হচ্ছে-বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ, বাংলাদেশ তরিকত ফেডারেশন, বাংলাদেশের সাম্যবাদী দল (এম.এল), বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি, লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টি-এলডিপি, গণতন্ত্রী পার্টি, বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টি, বিকল্পধারা বাংলাদেশ, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল-জাসদ, বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দল-বাসদ, বাংলাদেশ ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি-বাংলাদেশ ন্যাপ, বাংলাদেশের বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টি, বাংলাদেশ সাংস্কৃতিক মুক্তিজোট (মুক্তিজোট) ও গণফোরাম।

তবে কয়েকটি রাজনৈতিক দল ইসির এ সংলাপে অংশ নেবে না বলে যুগান্তরকে জানিয়েছে। এ বিষয়ে লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টি-এলডিপির প্রেসিডেন্ট ড. কর্নেল (অব.) অলি আহমদ বলেন, মতবিনিময় সভায় আমরা না যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। তার মূল কারণ হচ্ছে বর্তমান ইসির জন্য কুমিল্লা সিটি করপোরেশন নির্বাচন একটা পরীক্ষাস্বরূপ ছিল, যাতে তারা সম্পূর্ণ ব্যর্থ হয়েছে। যাদের পক্ষে একটা সিটি নির্বাচন করা সম্ভব না, তাদের পক্ষে সমগ্র বাংলাদেশের নির্বাচন করা কোনো অবস্থাতেই সম্ভব হবে না।

বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দল-বাসদের সাধারণ সম্পাদক বজলুর রশীদ ফিরোজ বলেন, মতবিনিময় সভায় আমাদের দল অংশগ্রহণ করছে না। কেন করছি না তা লিখিতভাবে কিছু প্রস্তাবসহ নির্বাচন কমিশনে আমরা পাঠিয়েছি। আমাদের দল মনে করে নির্বাচনকালীন সরকার, নির্বাচন কমিশন, নির্বাচনি পরিবেশ, প্রশাসন, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর প্রতি জনগণের আস্থা অর্জন ছাড়া নিরপেক্ষ ও সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব না। বর্তমান কমিশনও যে সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠানে কার্যকর ভূমিকা রাখতে পারবে না তার কিছু লক্ষণ কুমিল্লা সিটি করপোরেশন নির্বাচনে লক্ষ্য করা গেছে। বাংলাদেশের বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক বলেন, সভায় বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টি অংশ নেবে না। আগামী জাতীয় নির্বাচনে ইভিএম পদ্ধতি চালু করার কোনো অবকাশ নেই। ইভিএম সম্পর্কে নির্বাচন কমিশন বরাবর পার্টির ৭ দফা বক্তব্য পাঠিয়েছি। বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টি আশা করে নির্বাচন কমিশন ইভিএম নিয়ে তাদের তৎপরতা থেকে সরে আসবেন এবং ভেঙে পড়া নির্বাচনি ব্যবস্থার প্রতি জনগণের আস্থা ফিরিয়ে আনতে মনোযোগী হবে। বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি-সিপিবির সাধারণ সম্পাদক রুহিন হোসেন প্রিন্স বলেন, আমরা যাচ্ছি না। ইভিএম নিয়ে ইতোমধ্যে যে ঘটনাগুলো ঘটেছে তাতে এ যন্ত্র জনগণের মাঝে বিশ্বাস অর্জন করেনি। নির্বাচন কারা পরিচালনা করবে, তখনকার প্রশাসনিক পজিশনটা কি থাকবে-তা ফয়সালা আগে দরকার। তা না করে এখন ইভিএম উন্নততর করলাম নাকি করলাম না এটা খুব প্রয়োজনীয় বলে মনে করি না।

তবে যুক্তফ্রন্টে থাকা বাংলাদেশ ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি-বাংলাদেশ এ প্রদর্শনীতে অংশ নিচ্ছে। এ বিষয়ে ন্যাপের মহাসচিব এম গোলাম মোস্তফা ভুঁইয়া বলেন, আমরা ৪ সদস্যের প্রতিনিধি দল যাব। আমাদের পরামর্শ থাকবে নির্বাচন নিয়ে জনগণের আস্থা ফিরিয়ে আনতে হবে। তারপর নির্বাচন করতে হবে। আর ইভিএম পদ্ধতির ওপর জনগণের কোনো আস্থা নেই। এ ব্যবস্থায় নির্বাচন না করাই ভালো।

© JUGANTOR.COM
]]>
<![CDATA[৮৫ শতাংশ স্কুল কলেজ ব্যবহার অনুপযোগী]]> https://www.jugantor.com/todays-paper/last-page/567167/৮৫-শতাংশ-স্কুল-কলেজ-ব্যবহার-অনুপযোগী 567167 2022-06-28T00:00:00+06:00 মুসতাক আহমদ ৮৫ শতাংশ স্কুল কলেজ ব্যবহার অনুপযোগী

৮৫ শতাংশ স্কুল কলেজ ব্যবহার অনুপযোগী

শেষ পাতা

মুসতাক আহমদ

বন্যায় ১৮ জেলায় প্লাবিত মাধ্যমিক স্তরের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের প্রায় ৮৫ শতাংশই ব্যবহার অনুপযোগী। এসব প্রতিষ্ঠানের কোনোটি পুরোপুরি ক্ষতিগ্রস্ত আবার কোনোটি অধিকাংশ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এ কারণে বন্যার পানি নেমে গেলেই বন্যাকবলিত এলাকায় শিক্ষা কার্যক্রম শুরু করা সম্ভব হবে না বলে মনে করেন সংশ্লিষ্টরা।

জানা যায়, উল্লিখিত জেলাগুলোর প্রাথমিক বিদ্যালয় এবং মাদ্রাসা ও কারিগরি স্কুলও একইভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এর মধ্যে প্রায় ৪ হাজার প্রাথমিক বিদ্যালয় বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়। তবে কতটি আংশিক বা পুরোপুরি ক্ষতিগ্রস্ত, সেই তথ্য এখনো পাওয়া যায়নি। একইভাবে মাদ্রাসা ও কারিগরি প্রতিষ্ঠানের পরিসংখ্যানও পাওয়া যায়নি। মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের (মাউশি) পরিচালক অধ্যাপক শাহেদুল খবির চৌধুরী যুগান্তরকে বলেন, বন্যাকবলিত জেলাগুলো থেকে এখনো পুরোপুরি বানের পানি নেমে যায়নি। এ কারণে ক্ষতিগ্রস্ত প্রতিষ্ঠানগুলো ব্যবহার উপযোগী করতে কত টাকা বা সেখানে আর্থিক ক্ষতি কত, সেই তথ্য এখনো পাইনি। তবে সম্ভাব্য ক্ষতির বিবরণী জানাতে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরের (ইইডি) প্রধান প্রকৌশলী শাহ নইমুল কাদের যুগান্তরকে বলেন, বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত প্রতিষ্ঠানের বিস্তারিত তথ্য দুই-তিন দিনের মধ্যে পাওয়া যাবে। সাধারণ সংস্কার খাত থেকে ক্ষতিগ্রস্ত প্রতিষ্ঠানের ব্যয় নির্বাহ করা যাবে। তবে ক্ষয়ক্ষতির পূর্ণাঙ্গ চিত্র পাওয়ার পর বোঝা যাবে অতিরিক্ত বরাদ্দ প্রয়োজন হবে কি না।

অন্যদিকে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের (ডিপিই) উপপরিচালক নুরুল আমিন যুগান্তরকে বলেন, ৪ হাজার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পানি উঠেছিল। তবে এরপরও কিছু প্রতিষ্ঠানে পাঠদান চালিয়ে যাওয়া হয়েছে। দেড় হাজারের বেশি প্রতিষ্ঠান আশ্রয়কেন্দ্র হিসাবে ব্যবহৃত হচ্ছে, যেখানে বন্যার পানি তেমন ক্ষতি করতে পারেনি। এগুলোর মধ্যে কিছু প্রতিষ্ঠানে আশ্রয়কেন্দ্র হিসাবে ব্যবহারের পাশাপাশি লেখাপড়াও চালানো হয়েছে। বন্যায় আর্থিক ক্ষতির বিবরণী এখনো তারা প্রস্তুত করেননি বলে জানান।

মাউশির তথ্য অনুযায়ী, ৯টি শিক্ষা অঞ্চলের ১৮টি জেলা বন্যাকবলিত হয়েছে। তবে এসব জেলার মধ্যে মাত্র ৮৬ উপজেলায় পানি ওঠে। সবচেয়ে বেশি সিলেট সদর জেলায় ১৩টি উপজেলা বন্যাকবলিত হয়। এছাড়া সুনামগঞ্জে ১১ ও নেত্রকোনায় ১০ উপজেলা ও কুড়িগ্রামে ৮টি পানির নিচে চলে যায়। এসব উপজেলায় সবচেয়ে বেশি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্যাকবলিত হয়। অন্য জেলাগুলোয় ১ থেকে ৫টি উপজেলা আক্রান্ত হয়েছে।

জানা যায়, ১৮ জেলায় বন্যাকবলিত হয় ১ হাজার ৮৫ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। এতে ৫ লাখ ৮৪ হাজার ৬৬৮ ছাত্রছাত্রীর লেখাপড়া বিঘ্নিত হয়। এসব প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ৯১৭টি বা প্রায় ৮৫ শতাংশ প্রতিষ্ঠান বর্তমানে ব্যবহার অনুপযোগী। ১২১টি প্রতিষ্ঠান ব্যবহার উপযোগী। যদিও কমবেশি সংস্কার করতে হবে। এছাড়া ১০২টি আংশিক ব্যবহার অনুপযোগী। অন্যদিকে এসব প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ৫৭০টি আশ্রয়কেন্দ্র হিসাবে ব্যবহার হচ্ছে। পানি নেমে যাওয়ায় এসব কেন্দ্র থেকে অনেকেই নিজের বাসাবাড়িতে ফিরেছেন। বিশেষ করে উত্তরাঞ্চলের এই চিত্র বেশি। কিন্তু সিলেট অঞ্চলের বেশির ভাগ স্থান এখনো পানির নিচে। সিলেট, সুনামগঞ্জ, হবিগঞ্জে সবচেয়ে বেশি প্রতিষ্ঠান আশ্রয়কেন্দ্র হিসাবে ব্যবহার করে। এ সংখ্যা তিন জেলায় ৪১৪টি।

অন্যদিকে ডিপিইর তথ্য অনুযায়ী, প্রায় ৪ হাজার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পাঠদান বন্ধ আছে। কিন্তু কতটি আংশিক বা পূর্ণাঙ্গ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, সেই তথ্য পানি নেমে না যাওয়া পর্যন্ত জানা সম্ভব হবে না। তবে ১৩৫১টি স্কুল আশ্রয়কেন্দ্র হিসাবে ব্যবহৃত হচ্ছে। আর তাদের তথ্যমতে, বন্যাকবলিত জেলায় ১৩৪ উপজেলার স্কুল বর্তমানে বন্ধ আছে। এ তালিকায় সর্বশেষ বৃহস্পতিবার যুক্ত হয়েছে ফেনীর ফুলগাজী আর মানিকগঞ্জের দৌলতপুর। এসব উপজেলায় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ করে দিতে হয়েছে। কেননা বাড়িঘরে পানি উঠে যাওয়ায় ছাত্রছাত্রীদের কাছে লেখাপড়ার চেয়ে জীবন বাঁচানোর সংগ্রাম বড় হয়ে আবির্ভূত হয়েছে।

অন্যদিকে সরকারি সংস্থাগুলোর পূর্বাভাস অনুযায়ী, চলতি মাসের মধ্যে আক্রান্ত জেলা-উপজেলার প্রায় সব প্রতিষ্ঠানের বন্যার পানি নেমে যাবে। পানি নেমে গেলেই লেখাপড়া শুরু করা যাবে না দুই কারণে-প্রথমত, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান সংস্কার বা নতুন করে নির্মাণের প্রয়োজনীয় দেখা দিতে পারে। দ্বিতীয়ত, ঈদুল-আজহার ছুটি শুরু হয়ে যাবে। আবার ঈদের ছুটি ১৭ জুলাই পর্যন্ত চলবে। সেই হিসাবে বন্যাকবলিত এলাকার শিক্ষার্থীরা এক মাসের বেশি লেখাপড়া থেকে দূরে থাকছে।

© JUGANTOR.COM
]]>
<![CDATA[পদ্মা সেতুর নাট খুলে ভাইরাল যুবক রিমান্ডে]]> https://www.jugantor.com/todays-paper/last-page/567166/পদ্মা-সেতুর-নাট-খুলে-ভাইরাল-যুবক-রিমান্ডে 567166 2022-06-28T00:00:00+06:00 যুগান্তর প্রতিবেদন পদ্মা সেতুর নাট খুলে ভাইরাল যুবক রিমান্ডে

পদ্মা সেতুর নাট খুলে ভাইরাল যুবক রিমান্ডে

শেষ পাতা

যুগান্তর প্রতিবেদন

পদ্মা সেতুর রেলিংয়ের নাট হাত দিয়ে খোলার কথা নয় জানিয়ে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি) বলেছে, এটি একটি ‘অন্তর্ঘাতমূলক’ কাজ। নাট খুলে টিকটক করে ভাইরাল যুবক বায়েজিদ তালহাকে গ্রেফতারের বিষয়ে জানাতে মালিবাগ সিআইডি কার্যালয়ে সোমবার সংবাদ সম্মেলনে হাজির হন কর্মকর্তারা। তারা বলেন, সেতু কর্তৃপক্ষের সঙ্গে তারা আলোচনা করে জেনেছেন, রেলিংয়ের নাট কেবল হাত দিয়ে খোলা সম্ভব নয়। বায়েজিদকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য সিআইডির পক্ষ থেকে ১০ দিনের রিমান্ড চাওয়া হলে শরীয়তপুরের মুখ্য বিচারিক হাকিম তার ৭ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। তার সহযোগী কাওসারকে গ্রেফতারে চেষ্টা চলছে। এদিকে সোমবার বিকালে পটুয়াখালীতে বায়েজিদের গ্রামের বাড়িতে হামলা-ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে বলে অভিযোগ করেছেন তার স্বজনরা।

সিআইডির (সাইবার ইন্টিলিজেন্স ও রিস্ক ম্যানেজমেন্ট) বিশেষ পুলিশ সুপার রেজাউল মাসুদ সংবাদ সম্মেলনে বলেন, বায়েজিদ তালহা দেশের এত বড় স্থাপনা নিয়ে তুচ্ছ-তাচ্ছিল্য করে ভিডিও করেছে, ভিডিও আপ করার পরপরই সে তার টিকটক এবং ফেসবুক আইডি ডিঅ্যাক্টিভ করে দিয়েছিল। অপরাধীরা অপরাধ করার পর যেসব কর্মকাণ্ড করে এই যুবকও তাই করেছে। তার গিল্টি মাইন্ড রয়েছে।

সিআইডি কর্মকর্তা মাসুদ বলেন, এটি একটি অন্তর্ঘাতমূলক কাজ। আরও যারা নাট খুলেছে তাদেরও আইনের আওতায় আনা হবে। তিনি বলেন, বায়েজিদ যেটাকে পুঁজি করে, ভিডিও করে ভাইরাল করেছে এবং মানুষের ইমোশনকে আঘাত দিয়েছে, আমাদের কাছে মনে হচ্ছে এটা অনেক বড় অপরাধ। এ পর্যন্ত যে তথ্য এসেছে, তাতে সেখানে দুজন থাকার তথ্য মিলেছে। তিনি বলেন, বায়েজিদের বিরুদ্ধে বিশেষ ক্ষমতা আইনের ১৫(৩) ধারায় পদ্মা সেতু দক্ষিণ থানায় মামলা করা হয়েছে। মামলায় কাওসার নামে আরেকজনকে আসামি করা হয়েছে। এছাড়া অজ্ঞাত আরও কয়েকজনকে আসামি করা হয়েছে। মামলা তদন্ত করবে সিআইডি।

বিশেষ পুলিশ সুপার রেজাউল মাসুদ বলেন, ভিডিওটি আপলোড হওয়ার এক ঘণ্টার মধ্যে আমরা বায়জিদকে শনাক্তের গ্রেফতার করি। রোববার সকাল ৭টা থেকে ১১টার মধ্যে ঘটনা ঘটেছে। বায়েজিদ ও কায়সার দুই বন্ধু প্রাইভেটকারে পদ্মা সেতুতে যান। বায়েজিদ জাজিরা প্রান্তের ৩০-৩৫ নম্বর পিলারের মধ্যে নেমে নাট খুলে ফেলেন। এর মধ্যদিয়ে তিনি মানুষের অনুভূতিতে আঘাত করেছেন। সিআইডির কর্মকর্তা বলেন, ভিডিওটি মুহূর্তে টিকটকসহ অন্যান্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে যায়, যা বিভিন্ন অনলাইন নিউজ পোর্টালেও রিপোর্ট হয়। পদ্মা সেতু নিয়ে ওই যুবক তুচ্ছতাচ্ছিল্য এবং ব্যঙ্গাত্মক অঙ্গভঙ্গি এবং হাসাহাসি করছে।

ভাইরাল ভিডিওতে দেখা গেছে, পদ্মা সেতুর রেলিংয়ের দুটি নাট খুলে, খোলা নাট হাতে নিয়ে বায়েজিদ বলেন, এই হলো পদ্মা সেতু, আমাদের পদ্মা সেতু। দেখো আমাদের হাজার হাজার কোটি টাকার পদ্মা সেতু। এই নাট খুইলা এহন আমার হাতে। এ সময় পাশে থেকে আরেক ব্যক্তি বলেন, ভাইরাল কইরা ফালায়েন না।

তার কোনো রাজনৈতিক পরিচয় আছে কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, রাজনৈতিক পরিচয় থাকতে পারে কিন্তু আমরা তার অপরাধটাকেই গুরুত্ব সহকারে দেখছি।

মামলায় আলামত হিসাবে নাট দেখানো হয়েছে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, মামলায় শুধু তার ফোনটি ছাড়া আর কোনো আলামত দেখানো হয়নি।

সাত দিনের রিমান্ড : শরীয়তপুরের মুখ্য বিচারিক হাকিম আদালতের বিচারক মো. সালেহুজ্জামান সোমবার বিকালে তাকে রিমান্ডে পাঠান। কোর্ট পরিদর্শক জাহাঙ্গীর সাংবাদিকদের জানান, বায়েজিদকে ১০ দিনের রিমান্ড চেয়ে আদালতে হাজির করে পুলিশ। শুনানি শেষে আদালত তার সাত দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

বাড়িঘরে ভাঙচুর : গ্রেফতার বায়েজিদের পটুয়াখালীর তেলীখালের গ্রামের বাড়িতে সোমবার বিকালে হামলা চালানো হয়েছে। হামলাকারীরা বাড়িঘরে ভাঙচুর এবং একটি মোটরসাইকেল ক্ষতিগ্রস্ত করেছে বলে অভিযোগ করেছেন বায়েজিদের স্বজনরা। বায়েজিদের ভাবি হাদিসা আক্তার যুগান্তরকে বলেন, সোমবার বিকাল সোয়া ৪টার দিকে মোটরসাইকেলে ৩০-৪০ জনের একটি দল ধারালো অস্ত্র নিয়ে বাড়িতে এসে হামলা চালায়। তারা বসতঘর ও একটি মোটরসাইকেল ভাঙচুর করে। স্থানীয়রা জানিয়েছেন, স্থানীয় ছাত্রলীগের একটি অংশ এ হামলার সঙ্গে জড়িত থাকতে পারে। এ বিষয়ে পটুয়াখালী জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সহসভাপতি হৃদয় আশীষ যুগান্তরকে বলেন, পদ্মা সেতুর নাট খুলে তাচ্ছিল্যের ভিডিও বক্তব্য সামাজিক মাধ্যমে ছড়ানোর প্রতিবাদ করেছেন সাধারণ জনগণ। বায়েজিদের ভাই সোহাগ মৃধা যুগান্তরকে জানান, তিনি পটুয়াখালী ফায়ার সার্ভিসে কর্মরত। তার স্ত্রী হাদিসা বাড়িতে একাই থাকেন। বায়েজিদের আরেক ভাই শিপন মৃধা খুলনায় কাস্টমসে কর্মরত। বায়েজিদের বাবা-মা ঢাকার বাসায় থাকেন। বায়েজিদ ঢাকা কলেজ থেকে অনার্স মাস্টার্স করে চাকরির জন্য চেষ্টা করছিলেন। সোহাগ মৃধা জানান, বায়েজিদ প্রফেশনাল টিকটকার নন। এ ভিডিওটি ছিল তার প্রথম ভিডিও। বায়েজিদের বন্ধু কাওসারকে চিনেন না বলে দাবি করেন তিনি। তিনি জানান, বায়েজিদ মোটরসাইকেল চালাত। কিন্তু কার প্রাইভেট কার নিয়ে গেল তা তিনি নিশ্চিত নন।

© JUGANTOR.COM
]]>
<![CDATA[পদ্মা সেতুর ব্যয়ের অর্থ ২০৫৭ সালের মধ্যে উঠে আসবে]]> https://www.jugantor.com/todays-paper/last-page/567165/পদ্মা-সেতুর-ব্যয়ের-অর্থ-২০৫৭-সালের-মধ্যে-উঠে-আসবে 567165 2022-06-28T00:00:00+06:00 সংসদ প্রতিবেদক পদ্মা সেতুর ব্যয়ের অর্থ ২০৫৭ সালের মধ্যে উঠে আসবে

পদ্মা সেতুর ব্যয়ের অর্থ ২০৫৭ সালের মধ্যে উঠে আসবে

শেষ পাতা

সংসদ প্রতিবেদক

সড়ক পরিবহণ ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, ২০৫৭ সালের মধ্যে পদ্মা সেতুর ওপর দিয়ে চলাচলকারী যানবাহনের টোল আদায়ের মধ্য দিয়ে সেতুর ব্যয়ের অর্থ উঠে আসবে। সেতু থেকে আদায়কৃত টোল হতে ৩৫ বছরে ১৪০টি ত্রৈমাসিক কিস্তিতে সরকার প্রদত্ত সমুদয় ঋণ পরিশোধ করবে বাংলাদেশ সেতু কর্তৃপক্ষ।

সোমবার জাতীয় সংসদে খ. মমতা হেনা লাভলীর প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন। এ সময় মন্ত্রী পদ্মা সেতু নির্মাণ ও উদ্বোধনের জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানান।

একেএম রহমতুল্লাহ’র প্রশ্নের জবাবে সেতুমন্ত্রী বলেন, সেতু কর্তৃপক্ষের আওতায় দুইটি সেতু হতে টোল আদায় করা হয়ে থাকে। সেতু দুইটি হলো যমুনা নদীর উপর বঙ্গবন্ধু সেতু এবং ধলেশ্বরী নদীর ওপর মুক্তারপুর সেতু। উক্ত সেতুগুলো স্বয়ংক্রিয় ওজন স্কেলের মাধ্যমে চলাচলকারী যানবাহনগুলোর ওজন নির্ণয় করা হয়ে থাকে। যেসব ট্রাক ওজন স্কেলের নির্ধারিত ওজনের অতিরিক্ত পণ্য বহন করে থাকে সে সব যানবাহনকে সেতুতে চলাচল করতে দেওয়া হয় না বলেও জানান তিনি।

আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য মো. শামসুল হক টুকুর প্রশ্নের জবাবে ওবায়দুল কাদের জানান, সেতু বিভাগের আওতায় পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া অবস্থানে দ্বিতীয় পদ্মা সেতু নির্মাণের লক্ষ্যে সম্ভাব্যতা সমীক্ষা পরিচালনা করা হয়েছে। পরবর্তীতে নির্দেশনা পাওয়া গেলে সেতু নির্মাণে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

মো. ফখরুল ইমামের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, সরকার প্রতিবেশী দেশগুলোর সঙ্গে সড়ক যোগাযোগ স্থাপনের লক্ষ্যে দীর্ঘদিন ধরে বিভিন্ন আঞ্চলিক ও উপ-আঞ্চলিক ফোরামের সঙ্গে কাজ করে যাচ্ছে। এসব আঞ্চলিক ও উপ-আঞ্চলিক সহযোগিতা ফোরামের সদস্য হওয়ার পরিপ্রেক্ষিতে বাংলাদেশের সড়ক নেটওয়ার্কের মধ্যে অবস্থিত বিভিন্ন সড়ক রুট, ‘আঞ্চলিক রুট’ হিসাবে চিহ্নিত রয়েছে। এসব আঞ্চলিক রুটের আওতায় বাংলাদেশের অভ্যন্তরে সড়ক করিডোরগুলো যথাযথ মানোন্নয়নে দৃশ্যমান অগ্রগতি অর্জিত হয়েছে। এছাড়া বেশকিছু সড়ক উন্নয়নের কাজ প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।

© JUGANTOR.COM
]]>
<![CDATA[রাজনীতি ফেলে পরনিন্দায় মাতলেন জি-৭ নেতারা]]> https://www.jugantor.com/todays-paper/last-page/567164/রাজনীতি-ফেলে-পরনিন্দায়-মাতলেন-জি৭-নেতারা 567164 2022-06-28T00:00:00+06:00 আজরীন শরীফ রাজনীতি ফেলে পরনিন্দায় মাতলেন জি-৭ নেতারা

রাজনীতি ফেলে পরনিন্দায় মাতলেন জি-৭ নেতারা

শেষ পাতা

আজরীন শরীফ

শত্রুরাষ্ট্রের নেতার শরীর, পোশাক নিয়ে এই প্রথম কুরুচিকর মন্তব্য শুনল বিশ্ব। সেটিও আবার পৃথিবীর সবচেয়ে ক্ষমতাধর রাষ্ট্রনায়কদের মুখে! জি-৭ খ্যাত সাত মহারথীর মিলনমেলাতেই শুরু বিশ্বরাজনীতির এই বিকৃত অপচর্চা। জার্মানির আল্পস পর্বতের পাদদেশের প্রাকৃতিক নৈসর্গে শুরু হওয়া সম্মেলনের প্রথম দিনেই পরনিন্দা, পরচর্চায় মেতে ওঠেন যুক্তরাষ্ট্র, ব্রিটেন, জার্মানি, কানাডা, জাপান, ইতালি, ফ্রান্স ও ইউরোপীয় কমিশনের নেতারা। ব্যক্তি আক্রমণের বিষে কলুষিত করলেন নিজেদের রাজনৈতিক প্রতিহিংসা। রাজনীতির রাজচর্চা ভুলে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ­াদিমির পুতিনের সুঠাম শরীর ও তার পোশাকরুচি নিয়ে হাসি-ঠাট্টায় মেতে ওঠেন।

ঘটনার শুরুটাও বেশ নাটকীয়ই। শীতাতপ নিয়ন্ত্রণের যন্ত্রহীন হোটেলে ‘শ্লস এলমাও’র লম্বা কনফারেন্স কক্ষে পাতা গোলটেবিলে বসেছেন (মাঝ থেকে) ইউরোপীয় কমিশনের প্রধান উরসুলা ভন ডার লিয়েন, জাপানের প্রধানমন্ত্রী ফুমিও কিশিদা, ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন, মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন, জার্মানির চ্যান্সেলর ওলাফ শলৎজ, ফরাসি প্রেসিডেন্ট এমানুয়েল ম্যাক্রোঁ, কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো, ইতালির প্রধানমন্ত্রী মারিও দ্রাঘি। সামনে কয়েক ডজন সাংবাদিক, ফটোগ্রাফার। বসেই হোটেলের ‘এসি নেই’ ঐতিহ্য নিয়ে ঠাট্টায় নামেন বরিস জনসন। জ্যাকেট খুলব নাকি রাখব? বলেই হাসতে হাসতে সবার দিকে একবার তাকালেন। আবার বললেন, ‘আমরা কী আমাদের কাপড় খুলতে পারব?’ তিনি বলছেন। সবাই হাসছেন। ঠোঁট টিপে মিটিমিটি হাসছেন ডানে বসা প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনও।

প্রেসিডেন্ট পুতিনের অবকাশকালীন কিছু ছবি ছিল এই ঠাট্টার মূল উৎস। মাথায় কাউবয় টুপি, প্যান্ট আর হাতের বর্ষিতে ঝুলছে মাছ। কিংবা চোখে রোদ চশমা আর হাফপ্যান্ট পরে চরে বেরাচ্ছেন ঘোড়ায়। রাশিয়ার সরকারি গণমাধ্যম, তার ভ্রমণকালীন কিছু ছবি প্রকাশ করেছিলেন ইন্টারনেটে। সেই ছবিই এখানে পরিহাসের পণ্য।

বরিসের ঠাট্টায় কানাডার প্রধানমন্ত্রী ট্রুডো ও ইউরোপীয় কমিশনের প্রধান ছাড়া আর কেউ ফোড়ন না কাটলেও উপভোগ করেছেন সবাই। বরিসের সুর ধরে তিনি বলেন, ‘আমরা ছবি (তোলবার আগ) পর্যন্ত অপেক্ষা করি।’ সঙ্গে সঙ্গেই হেসে ওঠেন বাকিরা। বরিস আরও বলেন, আমাদের দেখাতে হবে যে আমরা পুতিনের থেকে শক্তিশালী। প্রেসিডেন্ট জাস্টিন ট্রুডো উত্তরে বলেন, আমরা খালি গায়ে ঘোড়ার পিঠে চড়ার প্রদর্শনী করতে যাচ্ছি। ইউরোপীয় কমিশনের প্রেসিডেন্ট উরসুলা ভন ডার লিয়েন ঠাট্টার ছলে এ সময় বলেন, ঘোড়ায় চড়াই সবচেয়ে উত্তম। পরিশেষে প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন বলেন, আমাদের পেশি দেখানো প্রয়োজন। জি-৭ সম্মেলনের মুখরোচক এ অশালীন ঠাট্টা ভারী হয়ে উঠেছে সমালোচনাতেও। বিশেষজ্ঞরা বলছেন বিশ্বের অন্যতম শিল্পসমৃদ্ধ দেশগুলোর মঞ্চে, কাউকে উদ্দেশ করে হাসি-ঠাট্টা করা সুরুচির পরিচয় দেয় না। এরকম গুরুত্বপূর্ণ একটি সম্মেলনে এমন আচরণ গ্রহণযোগ্যতা পায় না। রাজনীতির বিশ্বমঞ্চে এমন চিত্র খুব বেমানান। উল্লেখ্য, ২০১৫ সালে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট বারাক ওমাবা সমকামী মানুষের মধ্যে বিয়ের বৈধতা দেন। জিম্বাবুয়ের তখনকার প্রেসিডেন্ট রবার্ট মুগাবে ঠাট্টার ছলে বিয়ের প্রস্তাব দেন তাকে।

© JUGANTOR.COM
]]>
<![CDATA[জুতার মালা পরানো অধ্যক্ষ পালিয়ে বেড়াচ্ছেন]]> https://www.jugantor.com/todays-paper/last-page/567163/জুতার-মালা-পরানো-অধ্যক্ষ-পালিয়ে-বেড়াচ্ছেন 567163 2022-06-28T00:00:00+06:00 নড়াইল প্রতিনিধি জুতার মালা পরানো অধ্যক্ষ পালিয়ে বেড়াচ্ছেন

জুতার মালা পরানো অধ্যক্ষ পালিয়ে বেড়াচ্ছেন

শেষ পাতা

নড়াইল প্রতিনিধি

নড়াইলে ফেসবুকে ছাত্রের পোস্ট দেওয়াকে কেন্দ্র করে ধর্ম অবমাননার অভিযোগে অধ্যক্ষের গলায় জুতার মালা পরিয়ে দেন কলেজের ছাত্ররা ও স্থানীয় বিক্ষুব্ধ জনতা। মহানবী (সা.)-কে নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্যকারী ভারতের বিজেপি নেত্রী নূপুর শর্মার ছবি দিয়ে ফেসবুকে নড়াইল সদরের মির্জাপুর ইউনাইটেড ডিগ্রি কলেজের একাদশ শ্রেণির এক ছাত্রের পোস্ট দেওয়াকে কেন্দ্র করে সৃষ্ট ঘটনায় লাঞ্ছিত হন তিনি। অভিযুক্ত কলেজছাত্রের সঙ্গে আটক ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ স্বপন কুমার বিশ্বাসের বিরুদ্ধে ঘটনার সঙ্গে কোনো সম্পৃক্ততা না পাওয়ায় ওইদিনই থানা হাজত থেকে ছেড়ে দেয় পুলিশ। ভয়ে ও আতঙ্কে ভীতসন্ত্রস্ত হয়ে ওই শিক্ষক ঘর ছেড়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছেন বলে জানিয়েছেন তার পরিবার।

এদিকে ৯ দিন ধরে পুলিশ পাহারায় অনেকটা গৃহবন্দি অবস্থায় দিন কাটাচ্ছেন অধ্যক্ষের পরিবার। অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে কলেজ বন্ধ ও এলাকায় সার্বক্ষণিক পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। এ ঘটনায় অভিযুক্ত ছাত্র রাহুল দেব রায়ের বিরুদ্ধে ডজিটাল নিরাপত্তা আইনে করা মামলায় তিনি কারাগারে আছেন। কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ স্বপন কুমার বিশ্বাসকে অব্যাহতি দিয়ে ওই কলেজের শিক্ষক আকতার হোসেন টিংকুকে নতুন দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।

আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সামনেই ঘটনাটি ঘটলেও বিষয়টি খতিয়ে দেখতে জেলা প্রশাসন ও পুলিশ প্রশাসনের পক্ষ থেকে পৃথক দুটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। জেলা প্রশাসনের গঠিত তদন্ত কমিটির আহ্বায়ক করা হয়েছে অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট জুবায়ের চৌধুরীকে। এ কমিটির অন্য দুই সদস্য হলেন জেলা শিক্ষা অফিসার ছায়েদুর রহমান ও সদর থানার ওসি শেখ শওকত কবীর। পুলিশ প্রশাসনের গঠিত তদন্ত কমিটির সদস্যরা হলেন আহ্বায়ক, অতিরিক্ত জেলা পুলিশ সুপার রিয়াজুল ইসলাম, সদস্য ডিআইঅন মীর শরীফুল হক ও পুলিশ পরিদর্শক (অপরাধ) রফিকুল ইসলাম। তাদের ৩০ জুনের মধ্যে রিপোর্ট দিতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

পুলিশের উপস্থিতিতে অধ্যক্ষের গলায় জুতার মালা পরানোর ঘটনায় ক্ষোভ চলছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। সম্মানিত অধ্যক্ষের অপমানে ক্ষুব্ধ হয়েছেন সারা দেশের শিক্ষকসমাজ ও সাধারণ মানুষ। এ ঘটনায় রাজধানীর শাহবাগে প্রতিবাদ সমাবেশের ডাক দেওয়া হয়েছে।

১৭ জুন নড়াইলে এ ঘটনার সূত্রপাত। ওইদিন মির্জাপুর ইউনাইটেড ডিগ্রি কলেজের একাদশ শ্রেণির ছাত্র রাহুল দেব রায় ওরফে বাপ্পী রায় নিজের ফেসবুক আইডিতে বিজেপি নেত্রী নূপুর শর্মার ছবি দিয়ে পোস্ট করেন “প্রণাম নিও বস ‘নূপুর শর্মা’ জয় শ্রীরাম”। বিষয়টি ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়লে কলেজের ছাত্ররা তাকে সেটি মুছে ফেলতে বলেন। ১৮ জুন সকালে অভিযুক্ত ছাত্র কলেজে এলে তার সহপাঠীসহ সব মুসলিম ছাত্র তার গ্রেফতার, দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি ও তাৎক্ষণিক বহিষ্কারের দাবি তুলে অধ্যক্ষের কাছে বিচার চায়। ওই সময় ‘অধ্যক্ষ হিন্দু সম্প্রদায়ের লোক হওয়ায় তাকে রক্ষার চেষ্টায় ওই ছাত্রের পক্ষ নিয়েছেন’ এমন কথা রটানো হলে উত্তেজনা তৈরি হয়। এ সময় বিষয়টি কলেজের গণ্ডি ছাড়িয়ে আশপাশের এলাকায় ছড়িয়ে পড়লে বিক্ষুব্ধ ছাত্র-জনতা কলেজের অধ্যক্ষ স্বপন কুমার বিশ্বাসের বিরুদ্ধেও কঠোর প্রশাসনিক ও আইনানুগ ব্যবস্থার দাবি জানান। এ সময় অভিযুক্ত ছাত্র ও অধ্যক্ষের ফাঁসির দাবিতে উত্তাল হয়ে ওঠে কলেজ ক্যাম্পাস। এ সময় খবর পেয়ে পুলিশসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কয়েকটি দল ঘটনাস্থলে এসে বিক্ষুব্ধ জনতাকে লাঠিচার্জ করলে পরিস্থিতি আরও অশান্ত হয়ে ওঠে। এরপর পুলিশের সঙ্গে উত্তেজিত জনতার তুমুল সংঘর্ষ বাঁধে। দিনভর পুলিশ ও ছাত্র-জনতা দফায় দফায় সংঘর্ষে দুই পুলিশ সদস্যসহ অন্তত ২০ জন আহত হন। এ সময় মারাত্মক আহত হন কলেজের বাংলা বিষয়ের সহকারী অধ্যাপক শ্যামল কুমার ঘোষ। ওই সময় বিক্ষুব্ধ জনতা কলেজের শিক্ষকদের তিনটি মোটরসাইকেল আগুন ধরিয়ে পুড়িয়ে দেয়। জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ হাবিবুর রহমান ও পুলিশ সুপার প্রবীর কুমার রায় ঘটনাস্থলে পৌঁছালে তাদের উপস্থিতিতে উত্তেজিত জনতা ধর্ম অবমাননার অভিযোগে অভিযুক্ত ছাত্রের পাশাপাশি ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ স্বপন কুমার বিশ্বাসের গলায় জুতার মালা পরিয়ে দিয়েছিল। এ সময় গ্রেফতারের দাবি জানালে অধ্যক্ষ স্বপন কুমার বিশ্বাস, অভিযুক্ত রাহুল দেব রায় ও তার বাবা বাবুল রায়কে গ্রেফতার করে থানায় নিয়ে যাওয়া হয়। এসব ঘটনার কিছু ছবি ও ভিডিও ফেসবুকে আসে।

সরেজমিন সোমবার সদর উপজেলার বড়কুলা গ্রামে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ স্বপন কুমার বিশ্বাসের বাড়িতে গিয়ে দেখা গেছে, ওই পরিবারের নিরাপত্তার জন্য রাতদিন ২৪ ঘণ্টা পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। অধ্যক্ষের মা বনলতা বিশ্বাস বলেন, কলেজের ঘটনায় পুলিশ আমার ছেলেকে নিয়ে যাওয়ার পর আর বাড়ি আসেনি। আমার সঙ্গে ফোনেও যোগাযোগ করেনি। চাচাতো ভাই সুমিত্র কুমার বিশ্বাস বলেন, আমরা যতটুকু জেনেছি কলেজের ঘটনায় তাকে নিরাপত্তা দিয়ে থানা হেফাজতে রাখার পর ওই দিনই রিলিজ দেওয়া হয়েছে। তবে নিরাপত্তার অভাবে তিনি আর বাড়ি ফেরেননি।

পুলিশ সুপার প্রবীর কুমার রায় বলেন, তখন জটিল পরিস্থিতি মোকাবিলার কাজে ব্যস্ত থাকায় অধ্যক্ষের গলায় কে বা কারা কখন মালা পরিয়েছে তা লক্ষ্য করিনি। তবে এ বিষয়ে দুটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। তদন্ত কমিটিকে আগামী ৩০ জুনের মধ্যে রিপোর্ট দিতে বলা হয়েছে।

জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ হাবিবুর রহমান বলেন, জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ হাবিবুর রহমান বলেন, কলেজ ভবন থেকে বের করে আনার সময় উত্তেজিত জনতার হাত থেকে অধ্যক্ষ ও শিক্ষার্থীকে বাঁচানোর জন্য পুলিশ হয়তো জুতার মালা পরানোর বিষয়টি লক্ষ্য করেনি। এসব ঘটনা তদন্তের জন্য তিন সদস্যবিশিষ্ট পৃথক দুটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।

© JUGANTOR.COM
]]>
<![CDATA[ব্যয় না হওয়ায় ঋণ গ্রহণ কমেছে]]> https://www.jugantor.com/todays-paper/last-page/567162/ব্যয়-না-হওয়ায়-ঋণ-গ্রহণ-কমেছে 567162 2022-06-28T00:00:00+06:00 মিজান চৌধুরী ব্যয় না হওয়ায় ঋণ গ্রহণ কমেছে

ব্যয় না হওয়ায় ঋণ গ্রহণ কমেছে

শেষ পাতা

মিজান চৌধুরী

উন্নয়ন কর্মকাণ্ডে ধীরগতিসহ সার্বিকভাবে অর্থ ব্যয় সেভাবে না হওয়ায় সরকারের ঋণ গ্রহণ কমছে। চলতি অর্থবছরের ৯ মাসে (জুলাই-মার্চ) বাজেটের ৫৬ শতাংশ (৩ লাখ ৩০ হাজার ৮৫৬ কোটি টাকা) অর্থই ব্যয় হয়নি। ফলে সঞ্চয়পত্র, ব্যাংক ও বৈদেশিক খাত থেকে এই সময়ে ঋণ নিতে হয়েছে প্রায় ৬৮ হাজার কোটি টাকা। যা লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে কম। ঋণ পরিশোধে ব্যয় হয়েছে ৪৯ হাজার কোটি টাকা। খরচ কম হওয়ায় ক্ষেত্রবিশেষ বকেয়া ঋণও পরিশোধ করা হয়েছে। অর্থ মন্ত্রণালয়ের বাজেট বাস্তবায়নের সর্বশেষ প্রতিবেদন থেকে পাওয়া গেছে এসব তথ্য।

কম ঋণ গ্রহণ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে সাবেক সিনিয়র অর্থ সচিব মাহবুব আহমেদ যুগান্তরকে বলেন, প্রয়োজন না হলে ঋণ নেওয়া হবে না। তবে আমাদের একটি কালচার অর্থবছরের শেষ তিন মাসে টাকা খরচ বেড়ে যায়। আমার ধারণা শেষ তিন মাসে টাকা খরচ বাড়লে ঋণের অঙ্কও বাড়বে। তিনি বলেন, ব্যাংক থেকে প্রতিদিনই ঋণ নেওয়া হয়। আর বৈদেশিক ঋণ নেওয়া হয় প্রকল্পের অনুকূলে। যেহেতু বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচি (এডিপি) বাস্তবায়ন হার কম, সে জন্য বৈদেশিক ঋণের ব্যবহারও কমেছে।

প্রতিবছর বাজেট ঘাটতি মেটাতে অভ্যন্তরীণ ও বৈদেশিক উৎস থেকে ঋণ নিয়ে থাকে সরকার। অভ্যন্তরীণ উৎসের মধ্যে ব্যাংক ব্যবস্থা ও সঞ্চয়পত্র বিক্রি থেকে সবচেয়ে বেশি ঋণ নেওয়া হয়। চলতি অর্থবছরে ব্যাংক থেকে এ পর্যন্ত (৯ মাসে) ঋণ নেওয়া হয়েছে ২৯ হাজার ৯৮৯ কোটি টাকা। এ খাতে বছরের শুরুতে ঋণ নেওয়ার লক্ষ্য স্থির করা হয় ৮৭ হাজার কোটি টাকা।

একই সময়ে সঞ্চয়পত্র থেকে ঋণ নেওয়া হয়েছে ২৩ হাজার ৫৩৬ কোটি টাকা। এ খাতের ঋণের লক্ষ্যমাত্রা ধরা আছে ৩২ হাজার কোটি টাকা। পাশাপাশি বৈদেশিক ঋণ পর্যালোচনা করে দেখা গেছে জুলাই-মার্চ পর্যন্ত নিট ঋণ নেওয়া হয় ১৪ হাজার ১৭৭ কোটি টাকা। যদিও ঋণের লক্ষ্যমাত্রা আছে ৭৭ হাজার ২০ কোটি টাকা।

সংশ্লিষ্টদের মতে, কয়েকটি কারণে এ বছর টাকা ব্যয় কমছে। ফলে কমছে ঋণ গ্রহণের অঙ্কও। এছাড়া করোনার কারণে অনেক বিদেশি ঋণও পাওয়া গেছে। ফলে বাজেটের ঘাটতি পূরণে বিদেশি ঋণ নেওয়ার প্রবণতাও কম দেখা গেছে।

এ বছর মেগা প্রকল্পের বাইরে আপাতত তেমন কোনো উন্নয়ন কাজ হচ্ছে না। যে কারণে অর্থবছরের ১০ মাসে (জুলাই-এপ্রিল) পর্যন্ত এডিপি বাস্তবায়নের হার ৫৫ শতাংশ হয়েছে। এ বছর অপ্রয়োজনীয় ব্যয়ের ক্ষেত্রে কড়াকড়ি আরোপ করেছে সরকার। ফলে ব্যয়ের যে লক্ষ্য ধরা হয়েছিল তার অর্ধেকও হয়নি। অর্থ মন্ত্রণালয়ের সর্বশেষ তথ্যমতে, ৫ লাখ ৯৩ হাজার ৫০০ কোটি টাকার বাজেটের মধ্যে জুলাই-মার্চ পর্যন্ত ব্যয় করা গেছে ২ লাখ ৬২ হাজার ৬৪৪ কোটি টাকা। এটি মোট বাজেটের ৪৪ শতাংশ। ওই হিসাবে বাজেটের টাকা খরচের বাকি আরও ৩ লাখ ৩০ হাজার ৮৫৬ কোটি টাকা। যা ৩ মাসে ব্যয় করতে হবে। ফলে কাঙ্ক্ষিত মাত্রায় অর্থ খরচ সম্ভব হয়নি। যে কারণে ঋণের প্রয়োজনীয়তা কমছে।

টাকা খরচের মধ্যে সরকারের পরিচালনা ব্যয় খাতে গেছে, ১ লাখ ৯৪ হাজার ৫১০ কোটি টাকা। যদিও এক্ষেত্রে খরচের লক্ষ্যমাত্রা ৩ লাখ ৬৬ হাজার ৬২৭ কোটি টাকা। সে হিসাবে এ খাতে অবশিষ্ট আছে ১ লাখ ২৭ হাজার ১১৭ কোটি টাকা। যা ৩ মাসের মধ্যে ব্যয় করতে হবে। তবে পরিচালনা ব্যয়ের মধ্যে সবচেয়ে বেশি খরচ হয়েছে ঋণের সুদ পরিশোধে। সেখানে ব্যয় হয়েছে ৪৯ হাজার ২০৪ কোটি টাকা।

অর্থ বিভাগের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তার মতে, সুদ পরিশোধের মধ্যে সবচেয়ে বেশি গেছে সঞ্চয়পত্র থেকে নেওয়া ঋণের ক্ষেত্রে। বিগত সময়ে অনেক ঋণ নেওয়া হয়েছে এ খাত থেকে। সেসব সুদও পরিশোধ করতে গিয়ে এ খাতে ব্যয় বেড়েছে।

সূত্র জানায়, করোনাভাইরাস মহামারি মোকাবিলায় বিশ্বব্যাংক, আইএমএফসহ বিভিন্ন উন্নয়ন সংস্থার কাছ থেকে পর্যাপ্ত ঋণ পাওয়া গেছে। যা দিয়ে প্রয়োজনীয় খরচ মেটানোর পরও বেশ কিছু অর্থ সরকারের কোষাগারে জমা থাকছে। ঋণের বোঝা লাঘব করতে সেই অর্থ দিয়ে সরকার আগের ঋণ শোধ করছে।

অন্যদিকে রাজস্ব আদায় খুব বেশি ভালো না হলেও প্রবৃদ্ধি ধরে রাখা সম্ভব হয়েছে। মার্চ পর্যন্ত মোট আয় হয়েছে ২ লাখ ৭০ হাজার ৬৬৬ কোটি টাকা। এরমধ্যে রাজস্ব আদায় হয়েছে ১ লাখ ৭৮ হাজার ২৬৩ কোটি টাকা। যা গত অর্থবছরের একই সময়ের চেয়ে ৭ শতাংশ বেশি।

এসব কারণে ঋণ কম নেওয়ার পাশাপাশি বকেয়া ঋণ পরিশোধের সুযোগ নিয়েছে সরকার। এরই মধ্যে বিদেশি ঋণ পরিশোধ করা হয়েছে ১০ হাজার ৭২ কোটি টাকা। এছাড়া ব্যাংক ঋণ ২ হাজার ৭৬৮ কোটি টাকা পরিশোধ করা হয়েছে।

© JUGANTOR.COM
]]>
<![CDATA[সেন্ট লুসিয়ায় বৃষ্টিই ভরসা বাংলাদেশের]]> https://www.jugantor.com/todays-paper/first-page/567161/সেন্ট-লুসিয়ায়-বৃষ্টিই-ভরসা-বাংলাদেশের 567161 2022-06-28T00:00:00+06:00 ক্রীড়া প্রতিবেদক সেন্ট লুসিয়ায় বৃষ্টিই ভরসা বাংলাদেশের

সেন্ট লুসিয়ায় বৃষ্টিই ভরসা বাংলাদেশের

প্রথম পাতা

ক্রীড়া প্রতিবেদক

বৃষ্টি তৃতীয়দিন থেকেই চেপে বসেছে সেন্ট লুসিয়ায়। সিরিজের দ্বিতীয় ও শেষ টেস্টে প্রায় নিশ্চিত হার এড়াতে সেই বৃষ্টিই বাংলাদেশের শেষ ভরসা। তবে তাতেও শেষ রক্ষা হওয়ার সম্ভাবনা ক্ষীণ। শেষ দুদিনে বৃষ্টি যতই বাগড়া দিক না কেন, এক সেশন খেলা হলেই অনায়াসে জয় তুলে নিতে পারে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। রোববার সেন্ট লুসিয়া টেস্টের বৃষ্টিবিঘ্নিত তৃতীয়দিন শেষে দ্বিতীয় ইনিংসে বাংলাদেশের সংগ্রহ ছিল ১৩২/৬। ইনিংস ব্যবধানে হার এড়াতেও প্রয়োজন তখনো ৪২ রান। হাতে চার উইকেট। নুরুল হাসান সোহান ১৬ রানে ব্যাট করছিলেন। তার সঙ্গে উইকেটে ছিলেন ১৩ বলে কোনো রান না পাওয়া মেহেদী হাসান মিরাজ। সোমবার সকালে টানা দুই ঘণ্টার মতো বৃষ্টি হওয়ায় নির্ধারিত সময়ে চতুর্থদিনের খেলা শুরু হতে পারেনি। এই প্রতিবেদন খেলা পর্যন্ত খেলা শুরু হয়নি।

আরেকটি সিরিজ শেষ হতে গেল কিন্তু বাংলাদেশের ব্যাটিংয়ের গল্প পালটাল না। প্রথম ইনিংসে তাও ব্যাটিংয়ে কিছুটা বলার মতো কিছুটা রসদ ছিল। দ্বিতীয় ইনিংসে সেই হতাশার গল্প। ওপেনার তামিম ইকবালের দেখানো পথে একের পর এক উইকেট ছুড়ে বড় হারের সামনে টাইগাররা। আগেরদিন বৃষ্টির আগে তিন উইকেট হারানো বাংলাদেশ তৃতীয় সেশনে হারায় আরও তিনটি। দুটি এলবিডব্লিউর বাইরে বাকি চার ব্যাটার আউট হয়েছেন অফ স্ট্যাম্পের বেশ বাইরের বল তাড়ার চেষ্টায়।

ওই শটগুলোই প্রমাণ করে দিয়েছে, উইকেটে টিকে থাকার মানসিকতা ছিলই না তাদের।

তামিম আউট হয়ে কেমার রোচকে দারুণ এক মাইলফলকে পৌঁছানোর পর উৎসবের সুযোগ করে দেন। ক্যারিয়ারে আড়াইশ’তম উইকেট পেয়ে যান রোচ। এরপর এই ডানহাতি পেসারের বাজে বলে দুটি চার মেরে উইকেটে থিতু হওয়ার চেষ্টা করেন মাহমুদুল হাসান। তিনিও উইকেটের বাইরের বল খেলতে গিয়ে ব্যাটের কানায় লাগিয়ে স্লিপে ক্যাচ তুলে দিয়ে ফেরেন। এনামুল হককে একের পর এক ইনসুইঙ্গার করছিলেন রোচ। সেগুলো ভালোভাবে ছাড়ছিলেনও তিনি। কিন্তু স্ট্যাম্পে থাকা একটি ব্ল খেললেও সেটা ব্যাটে লাগাতে পারেননি। আম্পায়ার এলবিডব্লুর আবেদনে সাড়া দিলে রিভিউ নেন এনামুল। কিন্তু তাতে রক্ষা হয়নি। তার আউটের সঙ্গে আবার বৃষ্টিও শুরু হয় সেন্ট লুসিয়ায়। এরপর সফল রিভিউ নিয়ে লিটন দাসকে ফেরান জেডেন সিলসে। কঠিন সময় পার করার ভালো চেষ্টা করে যাচ্ছিলেন নাজমুল হোসেন। কিন্তু তিনিও আলজারি জোসেফের করা স্ট্যাম্পের বাইরের বলে খেলতে গিয়ে আউট হয়ে ফেরেন। তিনি করেন ৪২ রান। তখন লড়াইয়ে টিকে থাকার জন্য সাকিব আল হাসানের ওপর তাকিয়ে ছিল বাংলাদেশ। তিনিও পানি পানের বিরতির পর উইকেট ছুড়ে আসেন। বাংলাদেশের স্কোর দাঁড়ায় ১১৮/৬। এরপর নুরুর হাসান ও মিরাজ দিনের বাকিটা সময় উইকেট না হারিয়ে কাটিয়ে দেন।

 

© JUGANTOR.COM
]]>
<![CDATA[আশুলিয়ায় স্টাম্প দিয়ে পিটিয়ে শিক্ষককে হত্যা]]> https://www.jugantor.com/todays-paper/first-page/567160/আশুলিয়ায়-স্টাম্প-দিয়ে-পিটিয়ে-শিক্ষককে-হত্যা 567160 2022-06-28T00:00:00+06:00 আশুলিয়া (ঢাকা) প্রতিনিধি আশুলিয়ায় স্টাম্প দিয়ে পিটিয়ে শিক্ষককে হত্যা

আশুলিয়ায় স্টাম্প দিয়ে পিটিয়ে শিক্ষককে হত্যা

প্রথম পাতা

আশুলিয়া (ঢাকা) প্রতিনিধি

ঢাকার আশুলিয়ায় উৎপল কুমার সরকার (৩৫) নামে এক কলেজ শিক্ষককে ক্রিকেট স্টাম্প দিয়ে পিটিয়ে হত্যা করেছে তারই এক ছাত্র। শনিবার দুপুর ২টার দিকে আশুলিয়ার চিত্রশাইলে হাজী ইউনুস আলী স্কুল অ্যান্ড কলেজ মাঠে ওই শিক্ষককে পিটিয়ে গুরুতর আহত করে প্রতিষ্ঠানটির দশম শ্রেণির ছাত্র আশরাফুল ইসলাম জিতু। সোমবার ভোরে সাভারের এনাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তিনি।

কলেজের কয়েকজন শিক্ষক জানান, নিহত শিক্ষক উৎপল সরকার হাজী ইউনুস আলী স্কুল অ্যান্ড কলেজের কলেজ শাখার রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের প্রভাষক ছিলেন। এছাড়া কলেজের শৃঙ্খলা কমিটির সভাপতি ছিলেন তিনি। দশম শ্রেণির এক ছাত্রীকে প্রায়ই উত্ত্যক্ত করত জিতু। এ নিয়ে সম্প্রতি তাকে শাসন করেছিলেন শিক্ষক উৎপল সরকার। ধারণা করা হচ্ছে, সেই ক্ষোভ থেকেই শিক্ষকের ওপর হামলা করে সে। অভিযুক্ত শিক্ষার্থী জিতু আশুলিয়ার চিত্রশাইল এলাকার উজ্জ্বল হাজীর ছেলে। সে হাজী ইউনুস আলী স্কুল অ্যান্ড কলেজের পরিচালক সুমন মিয়ার ভাতিজা। হাজী ইউনুস আলী স্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষ সাইফুল হাসান বলেন, ওইদিন কলেজ মাঠে মেয়ে শিক্ষার্থীদের ক্রিকেট খেলা চলছিল। উৎপল সরকার মাঠের একপাশে দাঁড়িয়ে খেলা দেখছিলেন। হঠাৎ জিতু এসে ক্রিকেট খেলার একটি স্টাম্প দিয়ে শিক্ষককে এলোপাতাড়ি পেটাতে থাকে। একপর্যায়ে শিক্ষক মাটিতে লুটিয়ে পড়েন। পরে অন্য শিক্ষকরা তাকে গুরুতর আহত অবস্থায় উদ্ধার করে প্রথমে স্থানীয় নারী ও শিশু হাসপাতালে নিয়ে যান। পরে সেখান থেকে সাভার এনাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সোমবার ভোরে সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তিনি।

তিনি বলেন, উৎপল সরকার শিক্ষার্থীদের বিভিন্ন সময় আচরণগত সমস্যা নিয়ে কাউন্সেলিং করতেন। বিভিন্ন অপরাধের বিচারও করতেন। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, পূর্ব ক্ষোভ থেকেই এটি ঘটেছে।

নিহত শিক্ষক উৎপল সরকার সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়া থানার এঙ্গেলদানি গ্রামের মৃত অজিত সরকারের ছেলে। ১০ বছর ধরে শিক্ষকতা করেছেন তিনি। উৎপল সরকারের বড় ভাই অসীম কুমার সরকার বলেন, মেয়েদের যৌন হয়রানিসহ নানা উচ্ছৃঙ্খল আচরণের কারণে শিক্ষার্থীদের শাসন করত উৎপল। এ কারণেই তাকে হত্যা করা হয়েছে। অভিযুক্ত জিতুকে গ্রেফতার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান তিনি। এনাম মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের ইনচার্জ ইউসুফ আলী বলেন, প্রচণ্ড আঘাতে শিক্ষক উৎপল সরকারের কলিজা ও কিডনি চরমভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এ কারণেই তার মৃত্যু হয়েছে।

আশুলিয়া থানার এসআই এমদাদুল হক বলেন, জিতু কলেজের পরিচালকের ভাতিজা হওয়ায় স্কুলের শিক্ষকদের পরোয়া করতেন না। এ ঘটনায় নিহতের ভাই মামলা করেছেন। অভিযুক্ত জিতুসহ অজ্ঞাতপরিচয় আরও কয়েকজনকে আসামি করা হয়েছে। তাদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।

© JUGANTOR.COM
]]>
<![CDATA[এক্সপ্রেসওয়ের টোল আদায় শুরু ১ জুলাই]]> https://www.jugantor.com/todays-paper/first-page/567159/এক্সপ্রেসওয়ের-টোল-আদায়-শুরু-১-জুলাই 567159 2022-06-28T00:00:00+06:00 যুগান্তর প্রতিবেদন এক্সপ্রেসওয়ের টোল আদায় শুরু ১ জুলাই

এক্সপ্রেসওয়ের টোল আদায় শুরু ১ জুলাই

প্রথম পাতা

যুগান্তর প্রতিবেদন

ঢাকা-মাওয়া-ভাঙ্গা এক্সপ্রেসওয়ে ব্যবহারে টোলের হার নির্ধারণ করে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে সড়ক পরিবহণ ও মহাসড়ক বিভাগ। প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী, আগামী ১ জুলাই থেকে ভিত্তি টোল হিসাবে প্রতি কিলোমিটার ১০ টাকা হারে কার্যকর করা হবে। তবে ওইদিন থেকে পোস্তগোলা, ধলেশ্বরী ও আড়িয়াল খাঁ সেতুর বিদ্যমান টোল উঠে যাবে। অর্থাৎ ঢাকা-মাওয়া ভাঙ্গা পর্যন্ত ৫৫ কিলোমিটার মহাসড়ক ব্যবহারে গাড়ির শ্রেণি অনুযায়ী টোল পরিশোধ করতে হবে। এছাড়া পদ্মা সেতুর টোলও পৃথকভাবে দিতে হবে। এর ফলে পদ্মা সেতু ব্যবহারকারী গাড়ির ব্যয় আরও বাড়বে। তবে এ পথের তিন সেতুতে টোল দিতে থামতে হবে না। সময়ের সাশ্রয় হবে। সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো এসব তথ্য জানিয়েছে।

নতুন টোল হার অনুযায়ী, মহাসড়কের জন্য একটি বাস ৪৯৫ টাকা, মধ্যম আকারের ট্রাক ৫৫০ টাকা, মাইক্রোবাস, জিপ ও পিকআপে ২২০ টাকা এবং প্রাইভেট কারে ১৩৮ টাকা পরিশোধ করতে হবে। আর মোটর সাইকেলের টোল ৫৫ টাকা নির্ধারণ হতে যাচ্ছে। সড়কের নতুন টোল আরোপ হতে যাওয়ায় পদ্মা সেতু দিয়ে চলা বাসের নতুন ভাড়া নির্ধারণ করবে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহণ কর্তৃপক্ষ (বিআরটিএ)। সেক্ষেত্রে বিদ্যমান তিনটি সেতুর টোলের টাকা বাদ দিয়ে এ মহাসড়কের টোল যুক্ত করে নতুন তালিকা প্রকাশ করা হবে।

এক্সপ্রেসওয়েতে টোল আরোপের বিষয়ে জানতে চাইলে সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরের (সওজ) প্রধান প্রকৌশলী একেএম মনির হোসেন পাঠান যুগান্তরকে বলেন, এ মহাসড়ক যতটুকু ব্যবহার করবেন, ততটুকু পথের টোল দিতে হবে। নির্দিষ্ট টোলপ্লাজায় টোল পরিশোধ করে ব্যবহারকারীরা বের হতে পারবেন। তিনি বলেন, সড়কের টোল কার্যকর হওয়ার পর এ মহাসড়কে থাকা তিনটি সেতুর টোল আর থাকবে না। এমনকি সার্ভিস লেন ব্যবহারকারীদেরও টোল দিতে হবে না।

সওজ সূত্রে জানা গেছে, বাবুবাজার থেকে মাওয়া পর্যন্ত ৩৫ কিলোমিটার ও পাঁচ্চর থেকে ভাঙ্গা পর্যন্ত ২০ কিলোমিটার। সবমিলিয়ে এ পথের দূরত্ব ৫৫ কিলোমিটার। তবে যাত্রাবাড়ী থেকে পথের দূরত্ব চার কিলোমিটার কমে ৫১ কিলোমিটার। এ মহাসড়কে প্রবেশ করলেই প্রতি কিলোমিটার হিসাবে টোল পরিশোধ করতে হবে। সমন্বিত ভিত্তি টোলের হার ১০ টাকা। এ এক্সপ্রেসওয়ে ব্যবহারে টোল আরোপ করে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে। সোমবার সড়ক পরিবহণ ও মহাসড়ক বিভাগের উপসচিব ফাহমিদা হক খান স্বাক্ষরিত প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, অন্তবর্তীকালীন সময়ের জন্য মাঝারি ট্রাকের জন্য সমন্বিতভাবে প্রতি কিলোমিটারে ১০ টাকা টোল নির্ধারণ করা হলো। পরবর্তীতে টোল নীতিমালা-২০১৪ অনুসারে যথাসময়ে টোল হার চূড়ান্তভাবে নির্ধারণ করা হবে।

জানা গেছে, টোল হার অনুযায়ী, ৫৫ কিলোমিটার দীর্ঘ এক্সপ্রেসওয়েতে কিলোমিটারে ১০ টাকা হিসাবে মাঝারি ট্রাকে ৫৫০ টাকা টোল দিতে হবে। বাসের টোল মাঝারি ট্রাকের ৯০ শতাংশ বা কিলোমিটারে ৯ টাকা। এ হিসাবে ৪০ আসনের বাসের টোল হবে ৪৯৫ টাকা। গাড়ির জন্য (সেডান) ১৩৮ টাকা (ভিত্তি টোলের ২৫ শতাংশ), হেভি ট্রাক ১১০০ (২০০ শতাংশ), মাইক্রোবাস (৪০ শতাংশ) ২২০ টাকা পরিশোধ করতে হবে।

মাঝারি আকারের ট্রাকে পদ্মা সেতু পার হতে টোল দিতে হয় ২ হাজার ১০০ টাকা, বাসের জন্য ২ হাজার টাকা, গাড়ির জন্য ৭৫০ টাকা, মাইক্রোবাস ১৩০০ টাকা, কার ৭৫০ টাকা এবং মোটর সাইকেলের জন্য ১০০ টাকা। এক্সপ্রেসওয়ে ও পদ্মা সেতু ব্যবহার করলে একটি বাসের টোল দিতে ২৪৯৫ টাকা, মাঝারি ট্রাকের ২৬৫০ টাকা, মাইক্রোবাস ১৫২০ টাকা ও কার ও জিপের ৮৮৮ টাকা পরিশোধ করতে হবে। আর মোটরসাইকেলের ক্ষেত্রে তা দাঁড়াবে ১৫৫ টাকায়।

আরও জানা গেছে, এক্সপ্রেসওয়ের যাত্রাবাড়ী-মাওয়া অংশের কেরানীগঞ্জের আব্দুল্লাহপুর ও মুন্সীগঞ্জের শ্রীনগরে এবং পদ্মা সেতু থেকে ভাঙ্গা পর্যন্ত পুলিয়াবাজার মালিগ্রামে প্রবেশ ও বাহির হওয়ার পথ রাখা হয়েছে। এসব স্থান দিয়ে গাড়ি এক্সপ্রেসওয়ে থেকে বের হতে এবং প্রবেশ করতে পারবে। বের হওয়ার আগে একটি গাড়ি যত কিলোমিটার চলবে- সেই হিসাবে টোল দিতে হবে।

© JUGANTOR.COM
]]>
<![CDATA[মোটরবাইক নিয়ে কঠোর অবস্থানে সেতু কর্তৃপক্ষ]]> https://www.jugantor.com/todays-paper/first-page/567158/মোটরবাইক-নিয়ে-কঠোর-অবস্থানে-সেতু-কর্তৃপক্ষ 567158 2022-06-28T00:00:00+06:00 শিবচর (মাদারীপুর) ও লৌহজং (মুন্সীগঞ্জ) প্রতিনিধি মোটরবাইক নিয়ে কঠোর অবস্থানে সেতু কর্তৃপক্ষ

মোটরবাইক নিয়ে কঠোর অবস্থানে সেতু কর্তৃপক্ষ

প্রথম পাতা

শিবচর (মাদারীপুর) ও লৌহজং (মুন্সীগঞ্জ) প্রতিনিধি

পদ্মা সেতু দিয়ে মোটরবাইক পারাপার করা নিয়ে সেতু কর্তৃপক্ষ কঠোর অবস্থান নিয়েছে। মোটরবাইক পারাপার বন্ধ করার পরও সোমবার সকালে কিছুসংখ্যক বাইকার সেতুর টোলপ্লাজায় জড়ো হন। ট্রাক ও পিকআপে মোটরবাইক তুলে তারা সেতু পার করার চেষ্টা করেন। কেউ কেউ সফলও হন। তবে পুলিশের হস্তক্ষেপে সব বন্ধ হয়ে যায়। এরপর প্রশাসনের হস্তক্ষেপে বাইকারদের বুঝিয়ে ফেরিতে মোটরবাইক পদ্মা নদী পার করা হয়। এদিকে, পদ্মা সেতুতে হাঁটা, ছবি তোলা ও ভিডিও করার ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে। রোববার দুজন মোটরসাইকেল আরোহী নিহত হওয়ার পর পদ্মা সেতু দিয়ে মোটরবাইক পারাপার বন্ধ করা হয়।

পদ্মা সেতু দিয়ে পার হতে সোমবার অনেক মোটরবাইকার মাওয়া ও জাজিরা প্রান্তে ভিড় করেন। কিন্তু সেতু কর্তৃপক্ষের অনুমতি না পাওয়ায় তারা অন্যপথে যেতে বাধ্য হন। পুলিশের সহায়তায় মোটরসাইকেল আরোহীরা শিমুলিয়া-মাঝিকান্দি নৌরুটের ফেরিতে পদ্মা পাড়ি দিয়েছেন।

বিকালে পদ্মা সেতুর জাজিরা প্রান্তের টোল প্লাজায় পদ্মা সেতুর ইঞ্জিনিয়ার সাপোর্ট অ্যান্ড সেফটি টিমের সমন্বয়ক লে. কর্নেল রবিউল আলম প্রেস ব্রিফিং করেন। তিনি বলেন, শনিবার পদ্মা সেতু উদ্বোধন করা হয়েছে। রোববার ভোর থেকে জনসাধারণের জন্য সেতু উন্মুক্ত করা হয়। সেতুর উপরে যানবাহন থামিয়ে জনসাধারণ সেতুর সৌন্দর্য উপভোগ করছেন, ছবি তুলছেন, ভিডিও ধারণ করছেন। এতে সেতুর উপর তীব্র যানজটসহ দুর্ঘটনার ঝুঁকি বাড়ছে। এছাড়া সেতুর উপর রক্ষিত গুরুত্বপূর্ণ মালামাল ও যন্ত্রপাতির ক্ষতি সাধিত হচ্ছে। এমতাবস্থায় রোববার থেকে সেতু কর্তৃপক্ষের অনুরোধে এভোক কনস্ট্রাকশন সুপারভিশন কনসালটেন্ট ও ৯৯ কম্পোজিট ব্রিগেড তথা সেনাবাহিনীর ভ্রাম্যমাণ টহল জোরদার করা হয়েছে। জনগণকে সেতুর উপর গাড়ি না থামানোর ব্যাপারে অবহিত করা হচ্ছে। এছাড়া ডিউটি পোস্টের মাধ্যমে সেতুর উপর কেউ যাতে না উঠতে পারে তা নিশ্চিত করা হচ্ছে।

ইঞ্জিনিয়ার সাপোর্ট অ্যান্ড সেফটি টিমের সমন্বয়ক লে. কর্নেল রবিউল আলম আরও বলেন, স্বপ্নের পদ্মা সেতু আমাদের দেশের সম্পদ। এ সম্পদ রক্ষার দায়িত্ব আমাদের সবার। আসুন আমরা সবাই মিলে আমাদের জাতীয় সম্পদ রক্ষা করি। সেনাবাহিনী, সেতু কর্তৃপক্ষ ও পুলিশের মাধ্যমে আমরা স্বপ্নের পদ্মা সেতুর নিরাপত্তা নিশ্চিত করব। মোটরসাইকেল কবে নাগাদ সেতু দিয়ে চলতে পারবে এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, বিষয়টি সেতু কর্তৃপক্ষের সিদ্ধান্তের ওপর নির্ভর করে। প্রেস ব্রিফিংকালে উপস্থিত ছিলেন ২৫ ইস্ট বেঙ্গলের কমান্ডিং অফিসার লে. কর্নেল ফাহিম মাহবুব।

সকাল ১০টা ৪০ মিনিটের দিকে শিমুলিয়া থেকে মোটরসাইকেল নিয়ে একটি ফেরি পদ্মা নদী পাড়ি দিয়েছে। সোমবার সকাল থেকে সেতু দিয়ে মোটরসাইকেল পারাপার বন্ধ হয়ে গেলে কিছুসংখ্যক বাইকার সেতুর টোলপ্লাজায় জড়ো হয়। পরে প্রশাসনের হস্তক্ষেপে বাইকারদের বুঝিয়ে ফেরি কুঞ্জলতায় পদ্মা পার করা হয়।

বিআইডব্লিউটিসির ম্যানেজার (বাণিজ্য) ফয়সাল আহমেদ ও কাউন্টার স্টাফ রফিকুল ইসলাম জানান, কর্তৃপক্ষের নির্দেশে শিমুলিয়া ৩নং ফেরিঘাট থেকে ১১৯টি মোটরসাইকেল নিয়ে সকাল ১০টা ৪০ মিনিটের দিকে কে টাইপ ফেরি কুঞ্জলতা মাঝিকান্দি ঘাটের উদ্দেশে ছেড়ে যায়। এছাড়া ফেরি ফরিদপুর নামে আরেকটি ফেরি ঘাটে রয়েছে। পর্যাপ্ত মোটরযান থাকলে এটিও ছাড়া হতে পারে। তবে মাঝিকান্দি ঘাট থেকে বেলা সোয়া ১টা পর্যন্ত কোনো ফেরি ছাড়া হয়নি।

© JUGANTOR.COM
]]>
<![CDATA[মেগা দুর্নীতির খতিয়ান তুলে ধরবে বিএনপি]]> https://www.jugantor.com/todays-paper/first-page/567157/মেগা-দুর্নীতির-খতিয়ান-তুলে-ধরবে-বিএনপি 567157 2022-06-28T00:00:00+06:00 হাবিবুর রহমান খান মেগা দুর্নীতির খতিয়ান তুলে ধরবে বিএনপি

মেগা দুর্নীতির খতিয়ান তুলে ধরবে বিএনপি

প্রথম পাতা

হাবিবুর রহমান খান

মাঠের বিরোধী দল বিএনপি-শিবিরে হঠাৎ করেই জাতীয় নির্বাচনের জোর প্রস্তুতি শুরু হয়েছে। শুধু তাই নয়, নির্বাচনি ইশতাহার কী হবে, তা নিয়েও কাজ এগিয়েছে অনেকদূর। দলটির নীতিনির্ধারকরা আগামী জাতীয় নির্বাচনে অংশ নেওয়ার ব্যাপারেও দৃঢ়প্রতিজ্ঞ। কিন্তু ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের অধীনেও নির্বাচন না করার ব্যাপারে তারা অনড়। যুগান্তরকে এমনটি নিশ্চিত করেছে দায়িত্বশীল সূত্র। কিন্তু এমন সাংঘর্ষিক অবস্থান নিয়ে বিএনপি কীভাবে তাদের প্রত্যাশিত নির্বাচনি মাঠের দেখা পাবে-এমন প্রশ্নের জবাবে অনেক কৌশলী উত্তর দিয়েছেন কয়েকজন সিনিয়র নেতা। তারা যুগান্তরকে বলেন, ‘পরীক্ষার আগে যদি সব প্রশ্নের উত্তর আগাম দিয়ে দিই তাহলে তো পরীক্ষা থাকে না। অপেক্ষা করেন। সময় হলেই সব জানতে পারবেন। জনগণ তার ভোটের অধিকার নিশ্চিত করতে এই সরকারকে সময়মতো বাধ্য করবেই। এবার আর আগের মতো জোর করে ক্ষমতায় থাকা যাবে না।’

বিএনপির দুজন নীতিনির্ধারক নাম প্রকাশ না করার শর্তে যুগান্তরকে বলেন, ‘নির্বাচনে ভোটারদের কাছে টানার প্রস্তুতি অনেকটা ফাইনাল পরীক্ষার আগে প্রি-টেস্টের মতো। জনগণের সামনে আমরা সরকারের নানা অনিময় তুলে ধরব। তারা কোন বিষয়গুলো গ্রহণ করল বা কোনটা রিজেক্ট করল, তা পর্যালোচনা করা হবে। এরপর সংশোধন করা হবে প্রাথমিক পরিকল্পনা। এভাবে ফাইনালের আগে আমরা প্রি-টেস্ট ও টেস্ট পরীক্ষা দিতে চাই। জনগণ যেসব প্রতিশ্রুতিগুলো গ্রহণ করবে, সেগুলো স্থান পাবে আমাদের নির্বাচনি ইশতাহারে।’ তারা জানান, বিএনপি জনগণের সামনে সরকারের এমন কিছু প্রমাণিত ব্যর্থতা এবং অনিয়ম-দুর্নীতির তথ্য সামনে আনবে, যা জানার পর যে কোনো নাগরিক বিএনপিকে সাহসের সঙ্গে স্যালুট জানাবে। আমরা শুধু রাজনৈতিক কারণে সরকারের বিরোধিতা করছি না, করবও না। আমরা এই সরকারের অনিয়ম-দুর্নীতির তথ্যগুলো জনগণের সামনে আনার ব্যাপারে সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দিচ্ছি। কীভাবে তারা উন্নয়ন করার নামে ভয়াবহ দুর্নীতি করেছে, সেটি তুলে ধরা হবে। এছাড়া যেসব সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানগুলো একেবারে ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে চলে এসেছে, সেগুলোর বেহাল অবস্থা জাতিকে জানানো হবে।

জানতে চাইলে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী যুগান্তরকে বলেন, ‘প্রথমত আমরা আওয়ামী লীগ সরকারের অধীনে আগামী নির্বাচনে যাচ্ছি না। নির্বাচনকালীন নিরপেক্ষ সরকারের দাবি প্রতিষ্ঠা করেই বিএনপি নির্বাচনে অংশ নেবে। সেই নির্বাচনে যাওয়ার প্রস্তুতি আমাদের রয়েছে।’

তিনি বলেন, ‘ধানের শীষের প্রতি এমনিতেই মানুষের আস্থা ও বিশ্বাস রয়েছে। সুষ্ঠু ও অবাধ নির্বাচন হলে ভোটাররা ধানের শীষকেই বেছে নেবে। তারপরও ভোটারদের কাছে টানতে আমাদের নানা পরিকল্পনা রয়েছে। সেগুলো আমরা তৈরি করছি। এই মুহূর্তে তা জানাতে চাই না। সময় হলে আনুষ্ঠানিকভাবে জাতির সামনে সেগুলো তুলে ধরব।’

খসরু বলেন, ‘মূলত সরকারের নানা দুর্নীতি, লুটপাট ও গুরুতর অনিয়মের বিষয়গুলো তুলে ধরা হবে। তবে এ থেকে কীভাবে উত্তরণ সম্ভব, সেদিকেই আমরা বেশি গুরুত্ব দেব। বিএনপি ক্ষমতায় গেলে এমন একটি রাষ্ট্রব্যবস্থা গড়ে তুলতে চাই, যেখানে কোনো বৈষম্য থাকবে না। সব সেক্টরে জবাবদিহিতা নিশ্চিত করা হবে।’ তিনি মনে করেন, জবাবদিহি নিশ্চিত করা সম্ভব হলে অনিয়ম, লুটপাট এমনিতেই কমে যাবে।

দলটির নীতিনির্ধারকরা জানান, আগামী নির্বাচন বিএনপির জন্য কঠিন চ্যালেঞ্জ। শুধু বিএনপি নয়, দেশের মানুষও ওই নির্বাচনকে গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করছে। দীর্ঘদিন ধরে তারা ভোটাধিকার থেকে বঞ্চিত। উৎসবমুখর পরিবেশে তারা ভোট দিতে চায়। বিএনপির এই মুহূর্তে মূল দায়িত্ব হচ্ছে মানুষের ভোটাধিকার ফিরিয়ে দেওয়া। নিরপেক্ষ সরকার প্রতিষ্ঠার মধ্য দিয়ে একটি অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের ব্যবস্থা করা। গুরুত্বপূর্ণ এ কাজটি করতে পারলে বিএনপির প্রতি সাধারণ ভোটারদের একটা আস্থা তৈরি হবে। সুষ্ঠু ভোট আয়োজনের পাশাপাশি ক্ষমতায় গেলে বিএনপি কী করতে চায়, এ ব্যাপারে সুনির্দিষ্ট একটি পরিকল্পনা জাতির সামনে তুলে ধরা হবে। এ লক্ষ্যে দলের নীতিনির্ধারকরা কাজ করছেন। প্রতিটি সেক্টরভিত্তিক সরকারের নানা ব্যর্থতা তুলে ধরার পাশাপাশি এর সমাধানে বিএনপি কী করতে চায়, এ বিষয়ে রোডম্যাপও থাকবে ওই পরিকল্পনায়। তারা আরও জানান, বিএনপির প্রতি সাধারণ মানুষ যাতে আস্থা আনতে পারে, সেজন্য দেশের বিভিন্ন পেশার গ্রহণযোগ্য ব্যক্তিদের কাজে লাগানোর চিন্তাও করা হচ্ছে। ক্ষমতায় গেলে প্রতিহিংসার রাজনীতি করবে না। এছাড়া সবার মতামতের ভিত্তিতে রাষ্ট্র পরিচালনা করাসহ সব জায়গায় সুশাসন প্রতিষ্ঠা করা হবে। রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানগুলোকে স্থায়ীভাবে দলীয়করণের হাত থেকে রক্ষাসহ জাতীয় কয়েকটি জনগুরুত্বপূর্ণ বিষয় থাকবে ওই রোডম্যাপে।

দলটির নেতারা মনে করেন, সরকারের সীমাহীন দুর্নীতি, অনিয়ম, নির্যাতন, রাষ্ট্র পরিচালনায় নানা ব্যর্থতায় মানুষ বিএনপিকে ঘিরে স্বপ্ন দেখছে। ভোটাররা মনে করছে, বিএনপিই একমাত্র বিকল্প। তাই সারা দেশের মানুষ তাদের দিকে তাকিয়ে আছে। এখন প্রয়োজন ভোটারদের আস্থায় আনা। বিএনপি ভবিষ্যতে রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় গেলে কী করতে চায়, সে বিষয়ে একটি ইতিবাচক বার্তাও জনগণের মধ্যে পৌঁছে দিতে হবে। ভোটারদের আকৃষ্ট করতে শুধু সরকারের নয়, দলটি আত্মসমালোচনা করতেও দ্বিধা করবে না। অতীতে রাষ্ট্র পরিচালনায় বড় দাগে তারা কী কী ভুল করেছিল, তা তুলে ধরার পাশাপাশি ভবিষ্যতে এ থেকে শিক্ষা নিয়ে কাজ করার প্রতিশ্রুতি থাকবে। জানতে চাইলে গণস্বাস্থ্যের প্রতিষ্ঠাতা ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেন, ‘বিএনপির অবস্থান নিয়ে সাধারণ মানুষ এখনো দ্বিধায় রয়েছে। আগামী দিনে বিএনপি কী করতে চায়, তা এখনই স্পষ্ট করতে হবে। ভোটাররা কেন তাদের প্রতি আস্থা রাখবে, তা পরিষ্কার করতে হবে। তিনি মনে করেন, ভোটারদের কাছে টানতে জাতির সামনে কিছু প্রতিশ্রুতি দিতে হবে বিএনপিকে। ক্ষমতায় গেলে তারা প্রতিহিংসার রাজনীতি করবে না-সবার আগে দিতে হবে এ প্রতিশ্রুতি।

মানুষ যাতে সেটা বিশ্বাস করে, সেই আস্থার জায়গা তৈরি করতে হবে।’

বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট রুহুল কুদ্দুস তালুকদার দুলু যুগান্তরকে বলেন, ‘এ সরকারের অধীনে আমরা আগামী নির্বাচনে যাব না। নির্বাচনকালীন সরকার প্রতিষ্ঠা করেই তাদের অধীনে নির্বাচনে যাবে বিএনপি। ওই নির্বাচনে সাধারণ ভোটাররা নানা কারণেই বিএনপিকে সমর্থন জানাবে। শুধু দুর্নীতি আর লুটপাট নয়, জনগণ দেখতে পাচ্ছে তাদের ভোটাধিকার নেই। স্বাধীনতা নেই বিচার বিভাগ, গণমাধ্যমসহ সাধারণ মানুষের কথা বলার। এমনকি সাধারণ মৃত্যুর গ্যারান্টিও নেই। যোগ্যতা থাকার পরও অনেকে চাকরি পাচ্ছে না। কারণ সব জায়গায় চলছে দলীয়করণ।’

তিনি বলেন, ‘বিএনপি ক্ষমতায় গিয়ে এসব অনিয়ম ও অব্যবস্থাপনা থেকে মানুষকে মুক্তি দিতে চায়। পাশাপাশি নতুন প্রজন্মের জন্য এমন কিছু দিতে চাই যাতে তারা বিএনপির প্রতি আস্থা রাখতে পারে। সবমিলে আগামী দিনে ক্ষমতায় গেলে দেশের রাজনীতিতে গুণগত পরিবর্তন আনাই হবে বিএনপির অন্যতম কাজ।’

© JUGANTOR.COM
]]>
<![CDATA[তিন নিত্যপণ্যের দামে দিশেহারা ভোক্তা]]> https://www.jugantor.com/todays-paper/first-page/567156/তিন-নিত্যপণ্যের-দামে-দিশেহারা-ভোক্তা 567156 2022-06-28T00:00:00+06:00 ইয়াসিন রহমান, যুগান্তর প্রতিবেদন ও বাহরাম খান তিন নিত্যপণ্যের দামে দিশেহারা ভোক্তা

তিন নিত্যপণ্যের দামে দিশেহারা ভোক্তা

প্রথম পাতা

ইয়াসিন রহমান, যুগান্তর প্রতিবেদন ও বাহরাম খান

তিন নিত্যপণ্য-চাল, সয়াবিন তেল ও পেঁয়াজের বাড়তি দরে রীতিমতো দিশেহারা ভোক্তা। কয়েক মাস ধরেই এসব পণ্যের দাম ঊর্ধ্বগতি। বাজার নিয়ন্ত্রণে চাল আমদানিতে শুল্ক কমানো ঘোষণার পরও দাম কমেনি। বরং কারসাজিতে মাসের ব্যবধানে কেজিতে ৫ টাকা বাড়ানো হয়েছে। পাশাপাশি আন্তর্জাতিক বাজারে দাম কমলেও দেশের বাজারে বাড়তি দরে বিক্রি হচ্ছে সয়াবিন তেল। এ মুহূর্তে লিটারপ্রতি গুনতে হচ্ছে ২০০-২১০ টাকা। এছাড়া সরবরাহ সংকট না থাকলেও প্রতি কেজি পেঁয়াজের দাম মাসের ব্যবধানে ১০ থেকে ১৫ টাকা বেড়েছে। এমন পরিস্থিতিতে সবচেয়ে বেশি ভোগান্তিতে পড়েছেন নিম্ন ও মধ্যম আয়ের মানুষ।

ঈদকে সামনে রেখে ফের বাড়ছে পেঁয়াজের ঝাঁজ

ইয়াসিন রহমান

কুরবানির ঈদ ঘিরে বাড়ছে পেঁয়াজের ঝাঁজ। বাজারে সংকট না থাকলেও সপ্তাহের ব্যবধানে রাজধানীর পাইকারি ও খুচরা বাজারে প্রতি কেজি পেঁয়াজের দাম বেড়েছে ১০-১৫ টাকা। ফলে বাজারে অন্যান্য পণ্যের মধ্যে ক্রেতাদের নিত্যপ্রয়োজনীয় এই পণ্যটি কিনতে বাড়তি টাকা ব্যয় হচ্ছে। এদিকে সোমবার সরকারি সংস্থা ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) দৈনিক বাজার পণ্য মূল্য তালিকায় দাম বাড়ার চিত্র লক্ষ করা গেছে। টিসিবি বলছে, মাসের ব্যবধানে প্রতি কেজি দেশি পেঁয়াজ ১৮.৭৫ শতাংশ বেশি টাকায় বিক্রি হচ্ছে। পাশাপাশি প্রতি কেজি আমদানি করা পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছে ২১ শতাংশ বেশি দামে।

সোমবার রাজধানীর খুচরা বাজারে বিক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, এ দিন প্রতি কেজি দেশি পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছে ৫০-৬০ টাকা, যা এক মাস আগে বিক্রি হয়েছে ৪০-৪৫ টাকা। এছাড়া আমদানি করা পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছে ৬০-৬২ টাকা, যা এক মাস আগে ৪৫-৫০ টাকায় বিক্রি হয়েছে।

রাজধানীর কাওরান বাজারে নিত্যপণ্য কিনতে আসা আসমা বেগম বলেন, বাজারে সব পণ্যের দাম বাড়তি। এর মধ্যে হঠাৎ করে বাড়ছে পেঁয়াজের দাম। কুরবানির ঈদকে সামনে রেখে বিক্রেতারা দাম বাড়িয়ে বিক্রি করছে। এতে সব মিলিয়ে বাজারে নাভিশ্বাস উঠছে। দেখার যেন কেউ নেই।

কাওরান বাজারে পেঁয়াজ বিক্রেতা সোনাই আলী বলেন, পাইকারি বাজারে পেঁয়াজের দাম বেশি। আমাদের বেশি দাম দিয়ে কিনতে হচ্ছে। যে কারণে বাড়তি দরে বিক্রি করতে হচ্ছে। তিনি জানান, পাইকারি বাজারে দাম আরও বাড়ানোর পাঁয়তারা করছে। প্রতিদিন নতুন রেট ধরে দিচ্ছে। এমন পরিস্থিতিতে তদারকি না করলে দাম আরও বাড়তে পারে।

এদিকে রাজধানীর সর্ববৃহৎ পাইকারি আড়ত শ্যামবাজারে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, সোমবার সেখানে প্রতি কেজি দেশি পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছে ৪৫ টাকা। যা এক মাস আগে বিক্রি হয়েছে ৩৪-৩৫ টাকা। পাশাপাশি আমদানি করা পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছে ৪৫-৫০ টাকা, যা এক মাস আগে ৩৫-৪০ টাকা ছিল।

শ্যামবাজারের পেঁয়াজ আমদানিকারক ও পাইকারি বিক্রেতা শংকর চন্দ্র ঘোষ বলেন, আমদানি বন্ধ থাকায় দেশে ভারতীয় পেঁয়াজের সংকট রয়েছে। আর দেশি পেঁয়াজ যা আছে তা কমতে শুরু করেছে। ফলে দাম বাড়তে শুরু করেছে। তাই এখন থেকে যদি আমদানি করা না হয়, তাহলে ঈদের আগে দাম আরও বাড়তে পারে। তবে এই আমদানি যদি আরও বেশি দিন ধরে বন্ধ থাকে তাহলে গত কয়েক বছরের মতো হঠাৎ করে আবারও পেঁয়াজের দামে লাগাম ধরে রাখা কষ্টকর হবে। এতে ক্রেতাদের ভোগান্তি বাড়বে।

জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের পরিচালক মনজুর মোহাম্মদ শাহরিয়ার যুগান্তরকে বলেন, পেঁয়াজের দাম ক্রেতার ক্রয়ক্ষমতায় রাখার জন্য নিয়মিত তদারকি করা হচ্ছে। কি কারণে বেড়েছে তার তথ্য নেওয়া হচ্ছে। পাইকারি থেকে খুচরা এমনকি মোকামেও আমাদের তদারকি চলমান আছে। আশা করি দাম কমে আসবে।

সয়াবিন তেলের দাম বিশ্ববাজারে কমলেও দেশে প্রভাব নেই

যুগান্তর প্রতিবেদন

তিন মাসের ব্যবধানে বিশ্ববাজারে প্রতি টন সয়াবিন তেলে দাম কমেছে ১৭৫ ডলার। এরপরও ব্যবসায়ীরা বাণিজ্য মন্ত্রণালয়সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে বৈঠক করে এক মাসে দুদফায় সয়াবিন তেলের দাম লিটারে ৫১ টাকা বাড়িয়ে বিক্রি করেছেন। তবে ক্রেতাদের তোপের মুখে ২৬ জুন মাত্র ৬ টাকা কমানোর সিদ্ধান্ত নিলেও বাজারে তা কার্যকর হয়নি। পাশাপাশি ভোজ্যতেল আমদানিতে ভ্যাট ছাড়, এলসি কমিশন ও এলসি মার্জিন প্রত্যাহারের সুফল এখনো ভোক্তা পর্যায়ে পৌঁছায়নি। এপ্রিলে এসব সুবিধা নিয়ে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যটি আমদানি করা হয়েছে, যা ইতোমধ্যে দেশের বাজারে চলে এসেছে। কিন্তু ব্যবসায়ীরা সুফল নিলেও ক্রেতার পকেট কাটা যাচ্ছে।

বিশ্বব্যাংকের তথ্য বিশ্লেষণ করে দেখা যায়, ২০১৯ সালে অপরিশোধিত সয়াবিন তেলের গড় মূল্য ছিল টনপ্রতি ৭৬৫ ডলার। ২০২০ সালে দাম ছিল ৮৩৮ ডলার এবং ২০২১ সালে সয়াবিনের টনপ্রতি দাম ছিল ১৩৮৫ ডলার। কিন্তু চলতি বছরের মার্চে একপর্যায়ে তা বেড়ে যায়। মার্চে বিশ্ববাজারে প্রতি টন সয়াবিন তেলের দাম হয় ১৯৫৬ ডলার। এপ্রিলে কমে প্রতি টন সয়াবিন তেলের দাম হয় ১৯৪৭ ডলার। আর বর্তমানে টনপ্রতি ১৭৮১ ডলারে বিক্রি হচ্ছে। অর্থাৎ তিন মাসের ব্যবধানে বিশ্ববাজারে প্রতি টন সয়াবিন তেলে দাম কমেছে ১৭৫ ডলার।

এদিকে ২ জুন সচিবালয়ে সংবাদ সম্মেলনে বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি বলেছেন, আন্তর্জাতিক বাজারে ভোজ্যতেলের দাম কমছে। এখন দেশের বাজারেও তা কমবে। মে মাসের তথ্য পর্যালোচনা করা হবে। সুখবর হচ্ছে, পাম তেলের দাম কমেছে। লক্ষ করা যাচ্ছে, সয়াবিনের দামও কমার দিকে। আমার ধারণা, দাম বৃদ্ধির কোনো আশঙ্কা নেই।

তবে বাণিজ্যমন্ত্রীর বক্তব্যের ছয় দিন পর ৯ জুন সর্বশেষ নতুন করে প্রতি লিটার ভোজ্যতেল সর্বোচ্চ ৭ টাকা বাড়িয়ে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় নতুন দাম কার্যকর করে। এ সময় বোতলজাত প্রতি লিটার সয়াবিন তেল ২০৫ ও খোলা সয়াবিন তেল প্রতি লিটার ১৮৫ টাকা ধরা হয়েছে। এর আগে ৫ মে বোতলজাত প্রতি লিটার সয়াবিন তেলের দাম ১৯৮ টাকা নির্ধারণ করে দিয়েছিল। একইভাবে খোলা তেলের দাম প্রতি লিটার ধরা হয়েছিল ১৮০ টাকা। যা গত ২০ মার্চের বেঁধে দেওয়া দামের চেয়ে খোলা তেল প্রতি লিটারে ৪৪ টাকা এবং বোতলজাত তেলের দাম বাড়ানো হয় ৩৮ টাকা বেশি। ফলে বিশ্ববাজারে দাম কমার মধ্যে ৫ মে ও ৯ জুন এই দুই দফায় সর্বেচ্চ ৫১ টাকা দাম বাড়ানো হয়েছে। তবে ২৬ জুন খোলা ও বোতলজাত সয়াবিন তেল লিটারপ্রতি ৫ ও ৬ টাকা কমিয়ে নতুন দাম নির্ধারণ করেছে বাংলাদেশ ভেজিটেবল অয়েল অ্যান্ড বনস্পতি ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যাসোসিয়েশন, যা সোমবার থেকে কার্যকর হওয়ার কথা। কিন্তু কার্যকর হয়নি। বিক্রেতারা সেই বাড়তি দরেই বিক্রি করছেন।

সোমবার রাজধানীর খুচরা বাজারে প্রতি লিটার খোলা সয়াবিন তেল ১৮০ টাকা বিক্রির কথা থাকলেও বিক্রি হয়েছে ১৯০-২০০ টাকা। এছাড়া প্রতি লিটার বোতলজাত সয়াবিন ১৯৯ টাকা বিক্রির কথা থাকলেও বাজারে বিক্রি হয়েছে ২১০ টাকা।

কাওরান বাজারের মুদি বিক্রেতা মো. সালাউদ্দিন বলেন, তেলের দাম কমানো হয়েছে। কিন্তু সেই কম দামের তেল আমরা পাইনি। আগের বেশি দামে কেনা তেল অমরা ‘লস’ দিয়ে বিক্রি করতে পারব না। তাই এখনো বেশি দরেই বিক্রি করছি। মিল বা ডিলার থেকে কম দামের তেল সাপ্লাই করলে কম দামে বিক্রি করতে পারব।

জানতে চাইলে কনজ্যুমার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ক্যাব) সভাপতি গোলাম রহমান বলেন, যখন বিশ্ববাজারে ভোজ্যতেলের দাম বাড়তি, তখন পণ্যটি আমদানিতে সরকারের পক্ষ থেকে ভ্যাট প্রত্যাহার ছাড়াও বিভিন্ন উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। আর ওই সুবিধা নিয়ে আমদানি কারা তেল দেশের বাজারে আসলে দাম কমার কথা ছিল। কিন্তু বাস্তবে তা হয়নি। পাশাপাশি বিশ্ববাজারে তেলের দাম কমেছে, কিন্তু দেশে বাড়তি দরেই বিক্রি হচ্ছে। এতে ক্রেতারা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। তাই তেলের দাম কমাতে সরকারকে সঠিক পদক্ষেপ নিতে হবে।

বাংলাদেশ ভেজিটেবল অয়েল রিফাইনার্স অ্যান্ড বনস্পতি ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যাসোসিয়েশন সূত্র জানায়, বিশ্ববাজারে দাম খুব একটা কমেনি। যদিও সামান্য কিছু কমেছে, আমদানিতে এর প্রভাব এখনই পড়বে না। কারণ দেশে ডলারের দাম বেড়ে গেছে। এছাড়া এই দামের সঙ্গে জাহাজ ভাড়াসহ আনুষঙ্গিক খরচ যুক্ত হয়। তবে ভোজ্যতেলের দাম বিশ্ববাজারে কমে এলে সরকারের সঙ্গে আলোচনা করে দেশের বাজারে দাম পুনর্নির্ধারণের বিষয়টি বিবেচনা করা হবে।

সংকট না থাকলেও চালের বাজারে অস্থিরতা

বাহরাম খান

সংকট না থাকলেও চালের বাজারে অস্থিরতা দেখা দিয়েছে। সরকারের পক্ষ থেকে চার মাসের জন্য চাল আমদানির সুযোগ দেওয়া হলেও দাম কমছে না। বরং মাসের ব্যবধানে কেজিতে পাঁচ টাকা বেড়ে বিক্রি হচ্ছে। ফলে ক্রেতাদের এখনো নিত্যপ্রয়োজনীয় এই পণ্যটি বাড়তি দরে কিনতে হচ্ছে। এতে সব শ্রেনির ক্রেতার নাভিশ্বাস বাড়ছে।

এদিকে আগামী অক্টোবর মাসের পুরো সময় পর্যন্ত চাল আমদানি করতে পারবেন ব্যবসায়ীরা। অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগের প্রকাশিত বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী, আমদানিকারকরা আগের ৬২ দশমিক ৫ শতাংশের পরিবর্তে ২৫ দশমিক ৭৫ শতাংশ শুল্ক দিয়ে চাল আমদানি করতে পারবেন। যারা চাল আমদানি করবেন, তাদের প্রতিটি চালান আমদানির সময় খাদ্য মন্ত্রণালয়ের কাছ থেকে অনুমতি নিতে হবে। এরই মধ্যে খাদ্য মন্ত্রণালয় চাল আমদানির অনুমতি নেওয়ার জন্য আবেদন ফর্ম প্রকাশ করেছে। আগামী ১৭ জুলাই পর্যন্ত খাদ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব বরাবর আবেদন করা যাবে। আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে চাল আমদানির অনুমতি দিয়ে তালিকা প্রকাশ করবে মন্ত্রণালয়। কিন্তু এমন পরিস্থিতির মধ্যেও এক শ্রেণির অসাধু ব্যবসায়ী চালের দাম বাড়িয়ে অতি মুনাফা লোটার পাঁয়তারা করছে।

এদিকে খাদ্য মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, ২৬ জুন পর্যন্ত সরকারি গুদামে মোট ১৫ লাখ ৮৪ লাখ টন খাদ্যশস্য মজুত আছে। এর মধ্যে চাল মজুত আছে ১৩ লাখ ১০ হাজার টন। আর এক লাখ ৭০ হাজার টন গম মজুত আছে। পাশাপাশি ধান মজুত আছে ৯৯ হাজার টন। সূত্র জানায়, দেশে চালের কোনো সংকট নেই। যে পরিমাণে মজুত আছে তাতে করে সংকটের সম্ভাবনাও নেই। এ ছাড়া বেসরকারি পর্যায়েও রয়েছে উল্লেখযোগ্য পরিমাণ চাল।

সোমবার রাজধানীর খুচরা বাজার ঘুরে ও বিক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, প্রতি কেজি মোটা চালের মধ্যে স্বর্ণা জাতের চাল বিক্রি হয়েছে ৫৩-৫৪ টাকা যা এক মাস আগে ৪৫-৪৮ টাকা ছিল। বিআর-২৮ জাতের চাল বিক্রি হয়েছে সর্বোচ্চ ৬০ টাকা যা আগে ৫৫-৫৬ টাকায় বিক্রি হয়েছে। এ ছাড়া প্রতি কেজি মিনিকেট বিক্রি হয়েছে ৭০-৭২ টাকা যা আগে ৬৮ টাকায় বিক্রি হয়েছে। নাজিরশাইল প্রতি কেজি বিক্রি হয়েছে ৮০ টাকা যা এক মাস আগে ৭৫ টাকা ছিল।

মালিবাগ কাঁচাবাজারে চাল কিনতে আসা মো. মাসুম বলেন, চালের দাম কমছেই না। বরং প্রতি মাসে বাড়ছে। ভরা বোরো মৌসুমে চালের দাম বাড়ার কথা নয়। কিন্তু বিক্রেতারা আমাদের পকেট কাটছে। তাই তদারকি জোরদার করতে হবে।

একই বাজারের খালেক রাইস এজেন্সির মালিক ও খুচরা চাল বিক্রেতা মো. দিদার হোসেন যুগান্তরকে বলেন, বড় মিল মালিক ও করপোরেট ব্যবসায়ীদের কারসাজিতে দেশে চালের বাজারে অস্থিরতা দেখা দিয়েছে। দেশে চালের কোনো ঘাটতি নাই, কিন্তু দাম বেশি। মূলত তাদের কারণেই এমন পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে। তারা সরকারের চাল আমদানির কথা শুনে প্রথম অবস্থায় চালের দাম কেজিতে এক থেকে দুই টাকা কমিয়েছিল। কিন্তু আবার দাম বাড়িয়েছে। চাল আমদানি না হওয়া পর্যন্ত দাম বাড়িয়ে বিক্রির পাঁয়তারা করছে। যে কারণে পাইকারি ও খুচরা বাজারে চাল বেশি দামে বিক্রি হচ্ছে।

জানতে চাইলে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের পরিচালক মনজুর মোহাম্মদ শাহরিয়ার যুগান্তরকে বলেন, চালের বাজার নিয়ে আমরা সব পর্যায়ের তথ্য সংগ্রহ করছি। পাইকারি ও খুচরা পর্যায়ে অভিযান পরিচালনা করা হচ্ছে। এবার মিল ও করপোরেট পর্যায়ে অভিযান পরিচালনা করা হবে। যেখানে অনিয়ম পাব সেখানেই আইনের আওতায় এনে কঠোর শাস্তি দেওয়া হবে।

© JUGANTOR.COM
]]>
<![CDATA[উন্নত যোগাযোগ ব্যবস্থা শিল্পায়নকে ত্বরান্বিত করে: প্রধানমন্ত্রী]]> https://www.jugantor.com/todays-paper/first-page/567155/উন্নত-যোগাযোগ-ব্যবস্থা-শিল্পায়নকে-ত্বরান্বিত-করে-প্রধানমন্ত্রী 567155 2022-06-28T00:00:00+06:00 বাসস উন্নত যোগাযোগ ব্যবস্থা শিল্পায়নকে ত্বরান্বিত করে: প্রধানমন্ত্রী

উন্নত যোগাযোগ ব্যবস্থা শিল্পায়নকে ত্বরান্বিত করে: প্রধানমন্ত্রী

প্রথম পাতা

বাসস

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, সরকার সারা দেশে যোগাযোগব্যবস্থার উন্নয়ন করছে, কারণ উন্নত যোগাযোগব্যবস্থা শিল্পায়নকে ত্বরান্বিত করে। তিনি বলেন, আমরা রেল যোগাযোগ পুনরুজ্জীবিত ও নতুন নতুন রেলপথ স্থাপন এবং সেতু নির্মাণের পাশাপাশি ড্রেজিংয়ের মাধ্যমে নদীগুলো খনন করছি। উন্নত যোগাযোগব্যবস্থা শিল্পায়নকে ত্বরান্বিত করে এবং বাণিজ্য ও ব্যবসা বৃদ্ধিতে সহায়তা করে।

প্রধানমন্ত্রী সোমবার সকালে বন্যায় ক্ষতিগ্রস্তদের সাহায্যার্থে বিভিন্ন আর্থিক প্রতিষ্ঠানের প্রধানমন্ত্রীর ত্রাণ ও কল্যাণ তহবিলে অনুদান প্রদান অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন। তিনি গণভবন থেকে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের শাপলা হলে আয়োজিত অনুষ্ঠানে ভার্চুয়ালি যুক্ত হন। বিভিন্ন ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান প্রধানমন্ত্রীর ত্রাণ ও কল্যাণ তহবিলে অনুদানের চেক হস্তান্তর করেছে। প্রধানমন্ত্রীর পক্ষে তার মুখ্যসচিব ড. আহমদ কায়কাউস অনুদান গ্রহণ করেন।

শেখ হাসিনা বলেন, আমাদের পূর্ববর্তী বিএনপি-জামায়াত জোট সরকার রেল যোগাযোগব্যবস্থা প্রায়ই বন্ধ করে দিয়েছিল। আমরা সেটা আবার নতুন করে চালুর পাশাপাশি নতুন নতুন রেললাইনও করে দিচ্ছি। ফলে দেশের যোগাযোগব্যবস্থাও বাড়ছে। তিনি বলেন, যোগাযোগব্যবস্থার উন্নয়ন এবং শিল্পায়নের মাধ্যমে ব্যবসাবাণিজ্যকে আমরা আরও গতিশীল করার জন্য বিরাট সুযোগ সৃষ্টি করে দিচ্ছি।

নিজস্ব অর্থায়নে স্বপ্নের পদ্মা সেতু নির্মাণে সাফল্যের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, আমাদের দেশেরই এক ব্যক্তির প্ররোচনায় বিশ্বব্যাংক যখন পদ্মা সেতুর অর্থায়ন বন্ধ করে দেয়, পাশাপাশি অন্য উন্নয়ন সহযোগিরাও সরে দাঁড়ায়, তখন আমি ঘোষণা দিয়েছিলাম নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মা সেতু নির্মাণ করব। তখন দেশের জনগণের পাশাপাশি আপনারাও অনেকে আমার পাশে এসে দাঁড়িয়ে সব ধরনের সহযোগিতা করার ঘোষণা দিয়েছিলেন। এজন্য আমি আপনাদের ধন্যবাদ জানাই।

দেশের জনগণই তার ‘সবচেয়ে বড় শক্তি’ উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, তাদের সাহস, সহযোগিতা এবং তারা পাশে থাকায় আমরা আমাদের নিজস্ব টাকায় এই পদ্মা সেতু নির্মাণ করতে সক্ষম হয়েছি। আমাদের দক্ষিণাঞ্চলের বিশাল অঞ্চল যেটি দীর্ঘদিন অবহেলিত ছিল, সেখানে এখন শিল্পায়নের সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে। এই অঞ্চলের মানুষের আর্থিক উন্নতি হবে। সেখানেও আপনাদের উৎপাদিত পণ্যের বাজারজাত করার একটি ক্ষেত্র তৈরি হবে। মানুষের ক্রয়ক্ষমতা বাড়বে এবং এই অঞ্চলের ২১টি জেলার মানুষের ভাগ্যের পরিবর্তন হয়ে যাবে।

৪৫টি ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান মোট ৩০৪ কোটি ৪১ লাখ টাকার অনুদান প্রদান করে। এগুলো হলো সোনালী ব্যাংক, জনতা ব্যাংক, অগ্রণী ব্যাংক, রূপালী ব্যাংক, রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন ব্যাংক, বিডিবিএল, ইডকল, বিআইএফএফএল, এক্সিম ব্যাংক, আল-আরাফাহ্ ইসলামী ব্যাংক, ইউনাইটেড কমার্শিয়াল ব্যাংক, এবি ব্যাংক, ব্যাংক এশিয়া, বেঙ্গল কমার্শিয়াল ব্যাংক, ব্র্যাক ব্যাংক, সিটি ব্যাংক, ঢাকা ব্যাংক, ডাচ্-বাংলা ব্যাংক, ইস্টার্ন ব্যাংক, ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংক, গ্লোবাল ইসলামী ব্যাংক, আইএফআইসি ব্যাংক, ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ, যমুনা ব্যাংক, মেঘনা ব্যাংক, মার্কেন্টাইল ব্যাংক, মিডল্যান্ড ব্যাংক, মধুমতি ব্যাংক, মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংক, ন্যাশনাল ব্যাংক, এনসিসি ব্যাংক, এনআরবি ব্যাংক, এনআরবি কমার্শিয়াল ব্যাংক, ওয়ান ব্যাংক, পদ্মা ব্যাংক, প্রিমিয়ার ব্যাংক, প্রাইম ব্যাংক, পূবালী ব্যাংক, এসবিএসি ব্যাংক, শাহজালাল ইসলামী ব্যাংক, সোস্যাল ইসলামী ব্যাংক, সাউথইস্ট ব্যাংক, স্ট্যান্ডার্ড ব্যাংক, ইউনিয়ন ব্যাংক ও উত্তরা ব্যাংক লিমিটেড।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, সিলেট বিভাগে পরপর তিনবার বন্যা হলো। সেখানে যেমন ফসলের ক্ষতি হয়েছে, তেমনই ঘরবাড়ি, রাস্তাঘাটেরও ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। পানি যখন নেমে আসছে, তখন নেত্রকোনা, কুড়িগ্রাম, লালমনিরহাটসহ বিভিন্ন এলাকা প্লাবিত হয়েছে। তিনি দেশের যে কোনো দুর্যোগে মানবিক সাহায্য নিয়ে এগিয়ে আসায় এবং মানুষের পাশে দাঁড়ানোয় আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে ধন্যবাদ জানান।

তিনি বলেন, সমস্যা আসবে এবং সেই সমস্যা মোকাবিলা করেই আমাদের পথ চলতে হবে। আজ আপনারা বন্যাকবলিত মানুষকে সাহায্যের জন্য এগিয়ে এসেছেন। আর আপনারা যখন মানুষের পাশে দাঁড়ান, তখন আর আমাদের চিন্তা থাকে না। আমরা মনে করি, দেশকে এগিয়ে নিয়ে যেতে পারব এবং বিশ্বদরবারে মর্যাদার আসনে অধিষ্ঠিত হতে পারব।

প্রধানমন্ত্রী এ সময় করোনার প্রাদুর্ভাব পুনরায় বৃদ্ধির প্রেক্ষাপটে সবাইকে স্বাস্থ্য সুরক্ষাবিধি মেনে চলার এবং মাস্ক ব্যবহারের আহ্বান জানান।

© JUGANTOR.COM
]]>
<![CDATA[ধীরে ধীরে কমছে পানি, বেরিয়ে পড়ছে ক্ষতচিহ্ন]]> https://www.jugantor.com/todays-paper/first-page/567154/ধীরে-ধীরে-কমছে-পানি-বেরিয়ে-পড়ছে-ক্ষতচিহ্ন 567154 2022-06-28T00:00:00+06:00 যুগান্তর ডেস্ক ধীরে ধীরে কমছে পানি, বেরিয়ে পড়ছে ক্ষতচিহ্ন

ধীরে ধীরে কমছে পানি, বেরিয়ে পড়ছে ক্ষতচিহ্ন

প্রথম পাতা

যুগান্তর ডেস্ক

সিলেট ও সুনামগঞ্জসহ বিভিন্ন স্থানে বন্যার পানি ধীরে ধীরে কমছে। পানি সরে যাওয়ার পর বন্যার তাণ্ডবের চিহ্ন একে একে বেরিয়ে আসছে। রাস্তা, ফসলের খেত, বসতভিটার ক্ষত বেরিয়ে পড়েছে। পানিতে তলিয়ে থাকা জিনিসপত্রের পচন ধরায় দুর্গন্ধ ছড়াচ্ছে। এলাকার পরিবেশ দূষিত হচ্ছে। পানি একটু একটু করে নামতে থাকায় মানুষের দুর্ভোগ বাড়ছে। বসতভিটা ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় ও বসবাসের অনুপযোগী হয়ে পড়ায় অনেক বানভাসি পরিবার বাড়ি ফিরতে পারছে না। আশ্রয়কেন্দ্রগুলোতে খাদ্য, বিশুদ্ধ পানি ও ওষুধের সংকট তীব্র আকার ধারণ করেছে। এছাড়া প্রত্যন্ত অঞ্চলে ত্রাণ তৎপরতা কম থাকায় বন্যাকবলিত মানুষ ভয়াবহ দুর্ভোগের মধ্যে পড়েছে। পানিবন্দি দশা দীর্ঘায়িত হচ্ছে। অনেকের চোখে-মুখে বাড়ি ফেরার আকুতি থাকলে ফিরতে পারছে না। নিজের ঘরে অনাহারে থাকলেও ভালো। এ মানবেতর জীবন আর ভালো লাগছে না। কুশিয়ারা নদীর পানি ধীরে নামায় সিলেটের ছয়টি উপজেলায় বানভাসিদের দুর্ভোগ বেড়েছে। সুনামগঞ্জে বন্যা পরিস্থিতির কিছুটা উন্নতি হলেও দুর্ভোগ কমছে না। নেত্রকোনায়ও একই অবস্থা। এ সম্পর্কে ব্যুরো ও প্রতিনিধিদের পাঠানো খবর :

সিলেট : কুশিয়ারা নদীর পানি ধীরগতিতে নামতে থাকায় সিলেটের ছয়টি উপজেলায় ভোগান্তি চরম আকার ধারণ করছে। পানি নামার গতি ধীর হওয়ায় মানুষের পানিবন্দি দশা দীর্ঘায়িত হচ্ছে। আশ্রয়কেন্দ্রে থাকা লোকজন মানবেতর জীবনযাপন করছে। একটি কক্ষে ৮-১০টি পরিবার কোনো রকমে থাকছে। ঘুম নেই। খাবারও অপ্রতুল। তাদের বাড়ি ফেরার আকুতি থাকলেও পানি না নামায় বাধ্য হয়ে তাদের আশ্রয়কেন্দ্রে থাকতে হচ্ছে। বন্যায় সবচেয়ে খাদ্য ঝুঁকিতে আছে শিশুরা। বাধ্য হয়ে বড়দের খাবার শিশুদের খাওয়ানো হচ্ছে।

সোমবারও কুশিয়ারা নদীর পানি বিপৎসীমার ১৫১ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। কুশিয়ার তীরবর্তী গোলাপগঞ্জ, বিয়ানীবাজার, জকিগঞ্জ ঘুরে দেখা যায়, সাত দিন আগে বন্যানিয়ন্ত্রণ বাঁধ উপচে পানি যেসব এলাকায় ঢুকেছে সেসব এলাকায় এখনো সেই আগের মতোই রয়েছে। নিচু এলাকার অনেকেই প্রথম দিনে আশ্রয়কেন্দ্রে আশ্রয় নিয়েছে। কেউ আবার বাড়ি-ঘরের মায়া ছাড়তে পারেনি। ঘরে হাঁটুসমান পানি হলেও তারা ঘরেই থেকে গেছে।

সরেজমিন বিয়ানীবাজার উপজেলার আশ্রয়কেন্দ্রগুলো ঘুরে দেখা যায়, তিল ধারণের ঠাঁয় নেই। পানি না কমায় বানভাসিরা বাড়ি ফিরতে পারেনি। স্থানীয়রা খিচুড়ি অথবা ভাত-ডাল দুই বেলা সরবরাহ করছেন। সবার চোখে-মুখে বাড়ি ফেরার আকুতি। অনেকেই বলেন, পানি ঘর থেকে নামলেই বাড়ি ফিরতে চান তারা। নিজের ঘরে অনাহারে থাকলেও ভালো। এ মানবেতর জীবন আর ভালো লাগছে না। বানভাসি সফিক মিয়া জানান, ঘুমানোর কোনো সুযোগ নেই। যে জায়গা আছে, শিশু ও মহিলাদেরই হয় না। পুরুষরা বসেই দিন-রাত কাটাচ্ছে।

এদিকে রোববার ও সোমবার দক্ষিণ সুরমা উপজেলার কামালবাজার, মোল্লারগাঁও ও বরইকান্দি ইউনিয়ন এবং ফেঞ্চুগঞ্জ উপজেলার বন্যাকবলিত এলাকায় জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য আলহাজ আতিকুর রহমান আতিক ত্রাণসামগ্রী বিতরণ করেছেন। এ সময় তিনি বলেন, বানভাসি মানুষের প্রয়োজন বেশি করে খাবার আর চিকিৎসা সেবার। সেদিকেই আমাদের নজর দিতে হবে। সরকারি ত্রাণ খুবই অপ্রতুল। ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের উদ্যোগে ত্রাণ দেওয়া হচ্ছে।

বালাগঞ্জ (সিলেট) : উপজেলার পশ্চিম গৌরীপুর ইউনিয়নে বানভাসিদের মধ্যে মানবিক বিপর্যয় দেখা দিয়েছে। খাবার ও বিশুদ্ধ পানির হাহাকার চলছে। এক সপ্তাহ বিদ্যুৎ নেই। আজিজপুর বাজারের হারুন মার্কেটে ৪০টি পরিবার, বাজার সংলগ্ন হেনা কমিউনিটি সেন্টারে ১০টি পরিবার, আজিজপুর গ্রামের ইয়াকুব আলীর বাড়িতে ১০টি পরিবার, নলজুড় গ্রামে জেসমিন-ছাদ জুনিয়র উচ্চ বিদ্যালয়ে ৪০টি পরিবার, নলজুড় সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ১০টি পরিবার ও নলজুড় টিএ কমিউনিটি সেন্টারে ৬০টি পরিবার আশ্রয় নিয়েছে। পশ্চিম গৌরীপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক জুনায়েদ আহমদ মঞ্জু তার ফেসবুক আইডিতে লিখেছেন, ত্রাণ বিতরণ নিয়েও স্বজনপ্রীতি চলছে। সরকারি কোনো আশ্রয়কেন্দ্র না থাকায় মানুষের দুর্দশার শেষ নেই। দোহালিয়া গ্রামের জাহাঙ্গীর আলম বলেন, পুরো গ্রামের মানুষ পানিবন্দি। ত্রাণসামগ্রী না পেয়ে গ্রামের মানুষ খেয়ে না-খেয়ে আছে।

সুনামগঞ্জ : সুনামগঞ্জে বন্যা পরিস্থিতির কিছুটা উন্নতি হলেও ধীরগতিতে পানি কমায় দুর্ভোগ বাড়ছে। এদিকে আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, আগামী ৪৮ ঘণ্টায় ভারি বৃষ্টিপাতের ফলে বন্যা পরিস্থিতি উন্নতির গতি মন্তর হতে পারে। সোমবার দিনভর ভারি বৃষ্টি হয়েছে। সুনামগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. শামসুদ্দোহা যুগান্তরকে বলেন, মাঝে মাঝে বৃষ্টিপাত হলেও আগামী ৪৮ ঘণ্টায় সুনামগঞ্জে বন্যার পানি বৃদ্ধির কোনো শঙ্কা নেই। তিনি বলেন, বন্যা পরিস্থিতির ধারাবাহিক উন্নতি হচ্ছে। নদ-নদীতে পানি হ্রাস পাচ্ছে।

বাড়িঘরে পানি থাকায় ঝুঁকি নিয়ে লাখো মানুষ বসবাস করছে। ঘরের ব্যাপক ক্ষতি হওয়ায় অনেক পরিবার ফিরতে পারছে না। খেয়ে না খেয়ে আশ্রয়কেন্দ্রে তারা মানবেতর জীবনযাপন করছে। এদিকে প্রশাসনের পাশাপাশি বন্যাকবলিত এলাকায় ত্রাণ তৎপরতা অব্যাহত রেখেছে সেনাবাহিনী, নৌবাহিনী, কোস্টগার্ড, ফায়ার সার্ভিস ও পুলিশ।

দোয়ারাবাজার (সুনামগঞ্জ) : দোয়ারাবাজারের নিম্নাঞ্চলের বাড়িঘর থেকে এখনো সরেনি পানি। দিন যতই গড়াচ্ছে, দুর্ভোগ ততই বাড়ছে। পরিবার-পরিজন নিয়ে চরম বিপাকে পড়েছে বানভাসি লাখো মানুষ। সরকারি ও বেসরকারি সংগঠনগুলোর প্রতি আরও ত্রাণ দেওয়ার আকুতি বন্যাদুর্গতদের। ভয়াবহ বন্যায় চিলাই, খাসিয়ামার ও চেলা নদীর বেড়িবাঁধ কাম সড়কের শতাধিক স্থানে ভাঙন দেখা দিয়েছে। এছাড়াও উপজেলার সবকটি পাকা ও কাঁচা সড়ক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। অনেক ব্রিজ-কালভার্ট ধসে গেছে। ফলে জেলা ও উপজেলা সদরের সঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন রয়েছে। কর্মহীন হয়ে পড়েছেন শ্রমজীবীসহ বিভিন্ন পেশাদার মানুষজন। পানি পুরোপুরি না কমায় পানিবন্দি ৫০ ভাগ মানুষ এখনো আশ্রয়কেন্দ্রে অবস্থান করছে। বিশুদ্ধ পানীয় জলের অভাবে আশ্রয়কেন্দ্রে ডায়রিয়াসহ পানিবাহিত বিভিন্ন রোগের প্রাদুর্ভাব দেখা দিয়েছে। ত্রাণসামগ্রী বিতরণে সেনাবাহিনী ও পুলিশ প্রশাসনের পাশাপাশি ক্ষমতাসীন দলের এমপি মুহিবুর রহমান মানিক, উপজেলা আওয়ামী লীগের আহ্বায়ক অধ্যক্ষ ইদ্রিস আলীসহ (বীরপ্রতীক) দলীয় নেতারা অংশ নেন।

হবিগঞ্জ : বানিয়াচং উপজেলার বন্যাকবলিত দৌলতপুর ইউনিয়নের গ্রামগুলো সরেজমিন ঘুরে দেখা যায়, হাওড়বেষ্টিত ১৯টি গ্রামের সবগুলো প্লাবিত হয়েছে। তবে দৌলতপুর, মুরাদপুর, আড়িয়ামুগুর, উমরপুর, করচা ও আলীপুর গ্রামের বন্যার অবস্থা বেশি খারাপ। বানভাসিদের ১০ কেজি করে চাল দেওয়ার কথা থাকলেও ২ কেজি থেকে ৫ কেজি পর্যন্ত দেওয়া হচ্ছে। কাউকেই সরকার নির্ধারিত পরিমাণ চাল দেওয়া হয়নি। ত্রাণের চাল কম দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে বানিয়াচং উপজেলার দৌলতপুর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যানসহ কয়েকজন জনপ্রতিনিধির বিরুদ্ধে। এ ব্যাপারে দৌলতপুর ইউপি চেয়ারম্যান মন্জু কুমার দাস জানান, প্রয়োজনের তুলনায় চাল বরাদ্দ একেবারেই অপ্রতুল। এছাড়া একেকটি কেন্দ্রে গিয়ে দেখা যায়, চালের ব্যাগ আছে ২০টি। কিন্তু পরিবার ৪০টি। সেক্ষেত্রে দুজনকে একটি দেওয়া ছাড়া কোনে উপায় থাকে না। চাল কম দেওয়ার কথা স্বীকার করে ইউপি মেম্বার মিষ্ট লাল দাস জানান, আসলে আমরা পাই কম। কিন্তু বণ্টন করতে হয় বেশি। সেক্ষেত্রে এক প্যাকেট চাল কয়েকজনকে ভাগ করে দিতে হয়। এটি ছাড়া আর কোনো উপায় থাকে না।

বড়লেখা (মৌলভীবাজার) : বন্যার পানিতে নলকূপ তলিয়ে যাওয়ায় বিশুদ্ধ পানির তীব্র সংকট দেখা দিয়েছে। অনেকে বাধ্য হয়ে বন্যার পানি পান করছেন। ফলে পানিবাহিত নানা রোগ ছড়িয়ে পড়ছে। বন্যাকবলিত বিভিন্ন এলাকা ও কয়েকটি আশ্রয়কেন্দ্রে থাকা মানুষজনের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, বন্যার পর থেকে তাদের কারও জ্বর হয়েছে, কারও পায়ের আঙুলের ফাঁকে ঘা হয়েছে। কারও আবার পায়ে গুটিবসন্তের মতো রোগ হয়েছে। তালিমপুর ইউনিয়নের সাবেক ইউপি মেম্বার গগড়া গ্রামের বাসিন্দা সুজিত দাস বলেন, বন্যায় তাদের এলাকা তলিয়ে গেছে। সবার ঘরেও পানি উঠেছে। তারা পানি মাড়িয়ে চলাচল করছেন। পানি পায়ে লেগে তার পায়ে গুটিবসন্তে মতো দাগ হয়েছে। কারও কারও শরীরেরও গুটিবসন্তে মতো দাগ হচ্ছে। কেউ কেউ ডায়রিয়ায় ভুগছে। উপজেলা উপসহকারী জনস্বাস্থ্য প্রকৌশলী মঈন উদ্দিন জানান, ১৫ হাজার পানি বিশুদ্ধকরণ ট্যাবলেট বিতরণ করা হয়েছে। এছাড়া আশ্রয়কেন্দ্রেসহ দুর্গত এলাকায় ১৫টি নলকূপের প্ল্যাটফরম উঁচু করা হয়েছে।

নেত্রকোনা : কলমাকান্দার আটটি ইউনিয়নের মধ্যে খারনৈ, লেংগুরা, রংছাতি ও নাজিরপুরের পানি নেমে গেছে। কৈলাটি ও সদর ইউনিয়নের আংশিক এলাকাসহ অন্য দুটি ইউনিয়নে পানি রয়েছে। এছাড়া বারহাট্টা, আটপাড়া, কেন্দুয়া, পূর্বধলা ও সদর উপজেলা থেকেও বন্যার পানি নামতে শুরু করে। তবে এসব উপজেলায় নিম্নাঞ্চলে এখনো ৫০ শতাংশ এলাকার মানুষ পানিবন্দি। আর হাওড়াঞ্চল মদন, মোহনগঞ্জ ও খালিয়াজুরিতে ৬৮ ভাগ এলাকায় পানি আছে। তবে দুর্গাপুরে এখন বন্যার পানি নেই।

কলমাকান্দা (নেত্রকোনা) : কলমাকান্দা উপজেলার ৬৩টি আশ্রয়কেন্দ্রে ১৫ হাজার বন্যাকবলিত মানুষ আশ্রয় নিয়েছিল। বর্তমানে ১০টি আশ্রয়কেন্দ্রে এক হাজার মানুষ আছেন। বন্যার পানির স্রোতে বাড়িঘর ভেঙে যাওয়ায় কোথায় গিয়ে উঠবেন এমন চিন্তায় তারা আশ্রয়কেন্দ্রে রয়ে গেছেন। নেত্রকোনা পানি উন্নয়ন বোর্ডের তথ্যানুযায়ী, সোমবার দুপুর ১২টার দিকে উব্দাখালি নদীর কলমাকান্দা পয়েন্টে বিপৎসীমার ৩০ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে পানি প্রবাহিত হচ্ছে। সরেজমিন দেখা গেছে, উপজেলার আটটি ইউনিয়নের প্রায় ৫০ ভাগ বাড়িঘরে বন্যার পানি রয়েছে। এ কারণে বন্যাকবলিত সব মানুষ বাড়ি ফিরতে পারছে না। সদরের বেশির ভাগ রাস্তাঘাট এখনো প্লাবিত। এসব এলাকায় নৌকা ছাড়া চলাচল করা যাচ্ছে না।

উলিপুর (কুড়িগ্রাম) : উলিপুরের দুর্গম চরাঞ্চলে বন্যাকবলিত ২৩০ বানভাসি মানুষের মাঝে কুড়িগ্রাম পুলিশ সুপার (অতিরিক্ত ডিআইজি পদে পদন্নোতিপ্রাপ্ত) সৈয়দা জান্নাত আরার উদ্যোগে এবং জিসকা ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেডের সহায়তায় ত্রাণসামগ্রী বিতরণ করা হয়েছে।

© JUGANTOR.COM
]]>
<![CDATA[দক্ষিণাঞ্চলে বইছে নব জাগরণের ঢেউ]]> https://www.jugantor.com/todays-paper/first-page/567153/দক্ষিণাঞ্চলে-বইছে-নব-জাগরণের-ঢেউ 567153 2022-06-28T00:00:00+06:00 যুগান্তর প্রতিবেদন দক্ষিণাঞ্চলে বইছে নব জাগরণের ঢেউ

দক্ষিণাঞ্চলে বইছে নব জাগরণের ঢেউ

প্রথম পাতা

যুগান্তর প্রতিবেদন

পদ্মা সেতুতে গাড়ি চলাচল শুরুর প্রথম ২৪ ঘণ্টায় যান চলাচল করেছে ৫১ হাজার ৩১৬টি। রোববার ভোর ৬টা থেকে ২৪ ঘণ্টায় এসব গাড়ি সেতু ব্যবহার করে গন্তব্যে গেছে। এ সময় টোল আদায় হয়েছে ২ কোটি ৯ লাখ ৪০ হাজার ৩০০ টাকা।

সোমবার ঢাকা থেকে পদ্মা সেতু দিয়ে ভারতের কলকাতায় যাত্রীবাহী বাস গেছে। ওই বাস অন্য সময়ের চেয়ে দুই ঘণ্টা আগে পৌঁছেছে। অন্যান্য গাড়িও কম সময়ে দ্রুত গন্তব্যে পৌঁছেছে। সংশ্লিষ্টরা জানান, কম সময়ে যাতায়াত সুবিধার ফলে দক্ষিণাঞ্চলের জেলাগুলোয় নবজাগরণের ঢেউ লেগেছে। দ্রুততম সময়ে পণ্য আনা-নেওয়া করতে পারছেন ব্যবসায়ীরা। পর্যটকরা এখন দক্ষিণমুখী হচ্ছেন। দীর্ঘ মেয়াদে এর সুফল আরও বেশি পাওয়া যাবে বলে আশাবাদী সংশ্লিষ্টরা। এদিকে সেতুর নিরাপত্তা বাড়ানো হয়েছে। টহল দিয়েছেন সেনা সদস্যরা। সেতুর রেলিংয়ের নাট-বোলটু নিয়ে বিতর্ক ওঠার পর এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিয়েছে কর্তৃপক্ষ।

খুলনা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজের সভাপতি কাজী আমিনুল হক যুগান্তরকে বলেন, সেতু চালু হতেই যে দৃশ্যমান প্রভাব পড়েছে, তা হলো যাত্রী ও মালবাহী যানের দ্রুত চলাচল। বেশ কয়েকটি বাস কোম্পানি ঢাকা-খুলনা রুটে নতুন বাস নামিয়েছে। এতে শ্রমিকদের কর্মসংস্থান হচ্ছে। অপরদিকে পণ্য পরিবহণ দ্রুত হওয়ায় এখানকার কৃষক ও ব্যবসায়ীরা তাদের পণ্য দ্রুত ঢাকায় নিতে পারছেন। এতে স্থানীয় অর্থনীতিতে প্রভাব পড়তে শুরু করেছে।

অপরদিকে সাগরকন্যাখ্যাত কুয়াকাটায় পর্যটকদের সমাগম বেড়েছে। ওই রুটেও বেশ কয়েকটি নতুন কোম্পানি বাস চালু করেছে। এর প্রভাব পড়তে শুরু করেছে পর্যটন খাতে। আসন্ন পর্যটন মৌসুমে এ অঞ্চল আরও জমজমাট হবে বলে আশা স্থানীয় ব্যবসায়ীদের। এ বিষয়ে ট্যুর অপারেটর অ্যাসোসিয়েশন অব কুয়াকাটা (টোয়াক) সভাপতি রোমান ইতিহাস তুষার যুগান্তরকে বলেন, অল্প কদিন আগেও সড়কপথে কুয়াকাটা আসতে ১০-১২ ঘণ্টা সময় লাগত। পদ্মা সেতু চালুর পর অর্ধেক সময়ে পর্যটকরা কুয়াকাটা আসছেন। গত দুই দিনেই কুয়াকাটায় পর্যটকের সংখ্যা বেড়েছে। ক্রমান্বয়ে তা আরও বাড়বে বলে আশা করছি। এছাড়া পর্যটন খাতে বিনিয়োগকারীরা নড়েচড়ে বসেছেন।

পরিবহণ ব্যবসায়ীরা জানান, সেতু চালুর পর ঢাকা থেকে বরিশাল ৪ ঘণ্টা, পর্যটন স্থান কুয়াকাটা ৬ ঘণ্টা, খুলনা ৫ ঘণ্টা, বেনাপোল ও সাতক্ষীরায় ৬ ঘণ্টায় যাত্রীবাহী বাস পৌঁছেছে। প্রতিটি রুটেই কয়েক ঘণ্টা সময় কম লাগছে। এতে বাসের ট্রিপ বেড়ে গেছে। যাত্রীদেরও এ পথ ব্যবহারে আগ্রহ বাড়ছে।

জানতে চাইলে শ্যামলী এনআর পরিবহণের ব্যবস্থাপনা পরিচালক শুভঙ্কর ঘোষ রাকেশ যুগান্তরকে বলেন, ঢাকা-কলকাতা রুটে চলা বাস প্রথমবারের মতো সোমবার পদ্মা সেতু দিয়ে মাগুরা হয়ে কলকাতা গেছে। সকাল ৭টায় ঢাকা থেকে ছেড়ে বাসটি সাড়ে ৪টার মধ্যে কলকাতায় পৌঁছেছে। আন্তর্জাতিক রুট পারমিট পাওয়া এ বাস পাটুরিয়া ফেরি হয়ে যেতে আরও দুই ঘণ্টা বেশি সময় লাগত। পদ্মা সেতুর ফলে ওই সময় সাশ্রয় হয়েছে। তিনি বলেন, আমরা এখন আশা করছি, পদ্মা সেতু দেখতে ভারতীয় পর্যটকরাও এখন বাংলাদেশে আসবেন। এদেশের বিভিন্ন দর্শনীয় স্থান ঘুরে দেখার আগ্রহ তাদের মধ্যে সৃষ্টি হবে।

গ্রিন লাইন পরিবহণের ঢাকা-খুলনা রুটের বাসচালক নূর ইসলাম যুগান্তরকে জানান, সোমবার সকাল ৯টায় খুলনা থেকে ছেড়ে ঢাকায় ২টা ২০ মিনিটে পৌঁছেছেন। আবার বিকাল সাড়ে ৪টায় রওয়ানা হয়ে খুলনায় ৯টা ২০ মিনিটে পৌঁছেছেন। দুই যাত্রায় পথিমধ্যে বিরতিও দিয়েছেন ২০ মিনিট। তিনি জানান, পদ্মা সেতুর কারণে একদিনেই দুবার ট্রিপ দিতে পেরেছেন। যাত্রীরাও স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করছেন। ফেরি থাকলে এই সময়ে পৌঁছানো সম্ভব হতো না।

যশোর জেলা পরিবহণ সংস্থা শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি আজিজুল আলম মিন্টু বলেন, পদ্মা সেতুর সুফল যশোরে পৌঁছেছে। এ সেতু চালুর ফলে পাটুরিয়া ফেরিঘাটে গাড়ির চাপ কমে গেছে। যশোর থেকে এখন দুই পথ পাটুরিয়া ও পদ্মা সেতু হয়ে গাড়ি চলাচল করছে। তবে কালনা সেতু চালু হলে এ অঞ্চলের মানুষ পুরো সুফল পেত।

জানা যায়, পদ্মা সেতুতে গাড়ি চালুর প্রথম ২৪ ঘণ্টায় সোমবার সকাল ৬টা পর্যন্ত সেতু পাড়ি দিয়েছে ৫১ হাজার ৩১৬টি গাড়ি। এর মধ্যে মাওয়া প্রান্ত থেকে ২৬ হাজার ৫৮৯টি ও জাজিরা প্রান্ত থেকে ২৪ হাজার ৭২৭টি গাড়ি সেতুতে প্রবেশ করেছে। এ বাবদ আয় হয়েছে ২ কোটি ৯ লাখ ৪০ হাজার ৩০০ টাকা।

রেলিংয়ের নাট-বোলটু : পদ্মা সেতুর রেলিংয়ের নাট-বোলটু টাইট দেওয়া হয়েছে। সোমবার ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের শ্রমিকরা এসব নাট-বোলটু টাইট দেন। ওই সময়ে একটি বেসরকারি টেলিভিশনকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে একজন শ্রমিক দাবি করেন, ‘সেতুর আরও কিছু কাজ বাকি থাকায় নাট-বোলটুগুলো লাগানো হলেও পুরোপুরি টাইট দেওয়া হয়নি। বাকি থাকা কাজগুলো সম্পন্ন হওয়ার পর নাট-বোলটু টাইট দেওয়ার কথা ছিল।’ আরেকজন শ্রমিক বলেন, ‘রেলিং বসানোর সময়ে আমরা হালকা টাইট দিয়ে গেছি। এখন আইসা দেখি অনেকগুলো নাট খুইল্যা নিয়া গেছেগা। কিছু নাটের নিচের ওয়াসার হালায় দিছে, এই নাট হালায় দিছে। অনেকগুলো নাট আজ সকালে এসে আমরা লাগাইছি। এহন শক্ত হবে।’ অন্য এক শ্রমিক বলেন, ‘বাঙালি সবকিছু নিয়ে টিকটক করে। এই সেতু নিয়েও টিকটক করেছে। সেতুর নাটগুলো খুলে ফেলছে আর টিকটক করছে। এখন আজকে নতুন করে নাট এনে লাগাইতে হইছে।’

পদ্মা সেতুতে গাড়ি চলাচল শুরুর দিন রোববার রেলিংয়ের নাট-বোলটু খোলার একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়ার ঘটনায় বায়েজিদ তালহা নামের এক যুবককে (২৬ জুন) আটক করে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। এরপরই বিষয়টি নিয়ে বিভিন্ন মহলে আলোচনা-সমালোচনা তৈরি হয়। ওই সমালোচনার মধ্যে টাইট দেওয়া হলো নাট-বোলটু।

পদ্মা সেতু পারাপারে দায়িত্বশীল আচরণের আহ্বান: পদ্মা সেতু পারাপারে যাত্রীসাধারণকে দায়িত্বশীল ভূমিকা পালনের আহ্বান জানিয়ে সড়ক পরিবহণ ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের সোমবার এক বিবৃতিতে বলেন, পদ্মা সেতু অবকাঠামো একটি অতি গুরুত্বপূর্ণ জাতীয় স্থাপনা এবং দেশের এক বড় সম্পদ। এর নিরাপত্তা ও স্থায়িত্ব রক্ষা করা আমাদের সবার দায়িত্ব। বিবৃতিতে তিনি সেতু পারাপারে বাংলাদেশ সেতু কর্তৃপক্ষ যেসব নির্দেশনা জারি করেছে, তা যথাযথভাবে পালন করে শৃঙ্খলা বজায় রাখারও আহ্বান জানান।

© JUGANTOR.COM
]]>
<![CDATA[এবার কোরবানির হাটে 'পদ্মা সেতু']]> https://www.jugantor.com/country-news/567139/এবার-কোরবানির-হাটে-পদ্মা-সেতু 567139 2022-06-27T23:50:51+06:00 সিদ্ধিরগঞ্জ দক্ষিণ (নারায়ণগঞ্জ) প্রতিনিধি এবার কোরবানির হাটে 'পদ্মা সেতু'

এবার কোরবানির হাটে 'পদ্মা সেতু'

সারাদেশ

সিদ্ধিরগঞ্জ দক্ষিণ (নারায়ণগঞ্জ) প্রতিনিধি

সামনেই মুসলমানদের অন্যতম ধর্মীয় উৎসব ঈদুল আজহা।কিছুদিন পর সবাই ব্যস্ত হয়ে যাবেন কোরবানির পশু কিনতে। তবে এবার করোনার সংক্রমণ কম থাকায় কেউ হাট, কেউবা আবার অ্যাগ্রো ফার্মগুলোতে সরাসরি গিয়ে কোরবানির পশু কিনবেন। তবে বর্তমানে ক্রেতারা অ্যাগ্রো ফার্মগুলোর দিকেই ঝুঁকছেন বেশি। 

এবারের কোরবানির ঈদকে সামনে রেখে নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জের হীরাঝিল এলাকার কাসসাফ অ্যাগ্রো ফার্মে ক্রেতাদের ভিড় দেখা যায়। 

ক্রেতাদের মূল আকর্ষণ ফার্মটির একটি গরুর দিকে। যে গরুটির নাম রাখা হয়েছে 'পদ্মা সেতু'। আড়াই বছর বয়সী গরুটি দেশাল জাতের। গরুটির গায়ের রং লাল ও কালো মিশ্রণ। ৭ ফুট লম্বা ও ৫ ফুট উচ্চতার গরুটির ওজন প্রায় ১৭ মণ। গরুটির দাম হাঁকা হচ্ছে ৫ লাখ টাকা। 

খামারের কর্মচারীরা জানান, প্রতিদিন 'পদ্মা সেতু'র খাদ্য তালিকায় আলাদাভাবে ৪ কেজি ভুসি, ১১ কেজি সবুজ ঘাস, ৬ মুঠো খড় ইত্যাদি থাকে। 

কাসসাফ এগ্রো ফার্মের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) মো. আল আমিন হোসেন রাব্বি জানান, মাত্র ২ দিন আগেই দেশের সবচেয়ে বড় পদ্মা সেতুর উদ্বোধন হয়েছে। এরই ধারাবাহিকতায় আমরা ফার্মের সবচেয়ে বড় এই গরুটির নাম রেখেছি পদ্মা সেতু। ক্রেতাদের আকৃষ্ট বাড়ানোর জন্য নামটা রাখা হলেও আমরা বেশি দাম চাইনি। সোমবার গরুটিকে নিয়ে ফেসবুকে একটি পোস্টে দেওয়ার পর থেকে 'পদ্মা সেতু'কে দেখতে অনেক মানুষ ভিড় করছে। অনেকে গরুটির ছবি তুলছে, ভিডিও করছে। 

তিনি বলেন, তাদের ফার্মের কোনো গরুকে কোনো ভেজাল খাদ্য খাওয়ানো হয় না। তাদের নিজেদের জায়গায় উৎপাদন করা ঘাস, ভুট্টার গুড়া, ভুসি ইত্যাদি খাদ্য খাওয়ানো হয়। 

তিনি আরও বলেন, এবারের কোরবানির ঈদে বিক্রির জন্য দুইশ’র বেশি গরু প্রস্তুত করা হয়েছে। এসব গরু দেড় লাখ থেকে পাঁচ লাখ টাকায় বিক্রি হবে বলে জানান তিনি। 

নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা বাসনা আখতার বলেন, এবার নারায়ণগঞ্জের প্রতিটি হাটে আমাদের ভেটেরিনারি টিম থাকবে। কোনো হাটে ইন্ডিয়ান গরু যেন না আসতে পারে সেদিকে আমরা সজাগ রয়েছি। কোরবানির জন্য এবার পর্যাপ্ত পরিমাণে কোরবানির পশু রয়েছে। এছাড়া অ্যাগ্রো ফার্মগুলোর পশু বিক্রির ক্ষেত্রে তাদের যা সহায়তা দরকার তা আমরা করছি। 


 

© JUGANTOR.COM
]]>
<![CDATA[মাথা দিলেই শান্তির ঘুম, বিশ্বের সবচেয়ে দামি বালিশের দাম কত (ভিডিও)]]> https://www.jugantor.com/various/567138/মাথা-দিলেই-শান্তির-ঘুম-বিশ্বের-সবচেয়ে-দামি-বালিশের-দাম-কত-ভিডিও 567138 2022-06-27T23:37:19+06:00 যুগান্তর ডেস্ক মাথা দিলেই শান্তির ঘুম, বিশ্বের সবচেয়ে দামি বালিশের দাম কত (ভিডিও)

মাথা দিলেই শান্তির ঘুম, বিশ্বের সবচেয়ে দামি বালিশের দাম কত (ভিডিও)

চিত্র বিচিত্র

যুগান্তর ডেস্ক

কথায় আছে, ছেঁড়া কাঁথায় শুয়ে লাখ টাকার স্বপ্ন দেখা। অবশ্য লাখ টাকার স্বপ্ন দেখতে ছেঁড়া কাঁথার কথা বলা হলেও বালিশের ব্যাপারে কিছু বলা হয়নি। তবে সম্প্রতি আলোচনায় এসেছে অর্ধকোটি টাকা দামে এক বালিশ। যেই বালিশ মাথায় দিলে ঘুমপাড়ানি মাসিপিসিদের আর ডাকতে হবে না। শান্তির ঘুম চোখে নেমে আসবে এমনিতেই।

বলা হচ্ছে বিশ্বের সবচেয়ে দামি বালিশ ‘টেলরমেড পিলো’র কথা। বালিশের দাম বাংলাদেশি মুদ্রায় ৫৩ লাখেরও বেশি।

অবশ্য হেজিপেঁজি কেউ এই বালিশ বানাননি। বালিশে মাথা নিয়ে মানুষ যেন শান্তিতে ঘুমাতে পারেন এজন্য অনেক গবেষণার পর বিশেষ এই বালিশ বানিয়েছেন নেদারল্যান্ডসের ফিজিওথেরাপিস্ট থিজস ভ্যান ডের হিলস্ট।

ওই ফিজিওথেরাপিস্ট জানান, একটানা ১৫ বছরের গবেষণার ফল বিশ্বের সবচেয়ে দামি এই বালিশ। এই বালিশে মাথায় দিয়ে ঘুমালে একাধিক শারীরিক ও মানসিক সমস্যা থেকে মুক্তি মিলবে। বিশেষত যারা ইনসোমনিয়া বা অনিদ্রা রোগে ভোগেন তাদের জন্য ভীষণ কার্যকর এই বালিশ। 

জানা গেছে, বিশ্ব বিখ্যাত মিশরের তুলা রয়েছে বালিশে। এই তুলা হাতে নয়, বিশেষ ধরনের রোবোটিক মেশিনে উৎপাদিত। এছাড়া ব্যবহার করা হয়েছে মালবেরি সিল্কের কাপড় এবং নন টক্সিক ডাচ ফোম। কিন্তু তারপরও প্রশ্ন থেকে যায়, এসবে কী আর একটা বালিশের এতো দাম হয়?

আসলে দামি তুলা, সিল্ক, ফোমের পাশাপাশি মণিমুক্ত দিয়ে সাজানো রাজকীয় এই বালিশ। ২৪ ক্যারেট সোনা রয়েছে বালিশটিতে। এছাড়াও আছে হীরা, চুনি ও নীলকান্তমণির মতো মূল্যবান রত্ম। আসলে আরামের সঙ্গে, শরীর বিজ্ঞানকে ব্যবহার করার পাশাপাশি বালিশটিকে অপূর্ব করে সাজানো হয়েছে। তাই দামও পৌঁছেছে সাধারণ মানুষের নাগালের বাইরে।
 

© JUGANTOR.COM
]]>
<![CDATA[হাসি যেন থেমে না যায়]]> https://www.jugantor.com/literature/567137/হাসি-যেন-থেমে-না-যায় 567137 2022-06-27T23:07:43+06:00 রহমান মৃধা, সুইডেন থেকে হাসি যেন থেমে না যায়

হাসি যেন থেমে না যায়

সাহিত্য

রহমান মৃধা, সুইডেন থেকে

আমি পদ্মা ঘাটের দিনমজুরের কথা ভাবছি,
আমি পদ্মার ফেরির কথা বলছি।
পুরনো ফেরিগুলো আগের মতো চলবে না,
ফেরিওয়ালা আগের মতো ফেরি পথে ঘুরবে না।
লঞ্চের ভরাডুবির দৃশ্য আর দেখা যাবে না,
পদ্মার বুক চিরে ভডভড শব্দে লঞ্চ চলবে না।
ইলিশ মাছের পাতলা ঝোলে
এক থালা ভাত আর খাওয়া হবে না।
বাউলিয়ার একতারা সুর বাজবে না,
আবেগী সুরে কেউ বলবে না
লাগবে ঝাল মুড়ি!
হয়তবা পদ্মার মাছ, রকমারি পণ্য, হারিয়ে যাবে।
হাজারও মানুষের মন কিছুক্ষণের জন্য ভেঙে যাবে।
তারপরও কোটি কোটি মানুষের মুখে ফুটবে হাসি,
দক্ষিণ-পশ্চিমে সূর্য ঠিক আগের মতোই উঠবে।
দিন শেষে সন্ধা নেমে সবকিছু মলিন হবে,
খুশির মেলায় ভেসে যাবে সব আবেগ।
এমন একটি সময় 
হাসি যদি না আসে ভাই
আগের মতো করে
কি করে হাসবে তারা?
বল না আমারে।
এরা হেসেছিলো বহু আগে
মনের মতো করে,
সে হাসি ফাঁকি দিয়ে
চলে গেছে সরে।
ভুলে গেছে হাসতে তারা
হাসবে কেমন করে?
যা কিছু ছিল ভালো
সব গেছে আজ সরে,
হাসি এখন আসে না আর
আগের মতো করে।
মনে বড় কষ্ট তাদের
বোঝাবে কি করে।
হাসিতো যে মানুষগুলো পদ্মা নদীর ধারে,
ধরিয়া রাখিও তাদের হাসিটুকু,
যেন তারা অকালে ঝরে না পড়ে!
পদ্মার পাড়ে বাস করছে যারা
ভালো কি আছে তারা?
জানতে মন চায়!
কি লাভ হবে জেনে?
বিবেকে তা কয়।
বাস্তবতা, সবকিছু ভুলিয়ে বিলিয়ে দেবে নিজেকে,
হয়তবা এসব কথা কেউ মনে রাখবে না,
হয়তবা বাকি সব হবে ইতিহাস।
আশায় আশায় তবু এই আমি থাকি
যদি আসে কোনোদিন
সেই মেহনতি মানুষের মুখে হাসি!
 

© JUGANTOR.COM
]]>
<![CDATA[পর্তুগালে অভিবাসীদের মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান ১৭তম]]> https://www.jugantor.com/exile/567136/পর্তুগালে-অভিবাসীদের-মধ্যে-বাংলাদেশের-অবস্থান-১৭তম 567136 2022-06-27T23:04:28+06:00 ফরিদ আহমেদ পাটোয়ারী, পর্তুগাল থেকে পর্তুগালে অভিবাসীদের মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান ১৭তম

পর্তুগালে অভিবাসীদের মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান ১৭তম

পরবাস

ফরিদ আহমেদ পাটোয়ারী, পর্তুগাল থেকে

পর্তুগালে ২০২১ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত বৈধভাবে ১০ হাজার ৯৩৬ জন বাংলাদেশি বসবাস করছেন; যা দেশটিতে ১৮৭টি দেশের বসবাসকারী নিয়মিত নাগরিকদের মধ্যে বাংলাদেশের  নাগরিকদের সংখ্যা ১৭তম অবস্থান নির্দেশ করে । পর্তুগালের ইমিগ্রেশন কর্তৃপক্ষ (এসইএফ) গতকাল এ তথ্য জানিয়েছে।

পর্তুগালে বর্তমানে ৬ লাখ ৯৮ হাজার ৮৮৭ জন বিদেশি নাগরিক রয়েছেন; যা গত বছরের তুলনায় ৫.৬ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। তবে এই অভিবাসীদের বেশিরভাগ নাগরিক দক্ষিণ আমেরিকা এবং ইউরোপীয় ইউনিয়নসহ ইউরোপের বিভিন্ন দেশগুলোর। মোট অভিবাসীদের ৭৪.৪ শতাংশের বয়স ২৪ থেকে ৪০ বছরের মধ্যে যা দেশটির কর্ম ক্ষেত্রে খুবই গুরুত্ব বহন করে।

পর্তুগালে বিদেশি নাগরিকদের প্রতিনিধিত্বকারী দেশগুলো হচ্ছে- ব্রাজিল ২ লাখ ৪ হাজার ৬৯৪ জন, যুক্তরাজ্যের  ৪১,৯৩২ জন, কাবু ভেরদে ৩৪.০৯৩ জন, ইতালি ৩০,৮১৯ জন, ভারত ৩০,২৫১ জন, রোমানিয়া ২৮,৯১১ জন, ইউক্রেন ২৭,১৯৫ জন, ফ্রান্স ২৬,৭১৯ জন, অ্যাঙ্গোলা ২৫,৮০০ জন এবং চীনের ২২,৭৮২ জন নাগরিক পর্তুগালে নিয়মিতভাবে বসবাস করছেন।

এশিয়া মহাদেশের প্রায় ১ লাখ ৬ হাজার ৮৭৭ জন অভিবাসী দেশটিতে বসবাস করছেন। আমাদের দক্ষিণ এশিয়াতে সব দেশেরই ২০২১ তালের হিসাব অনুযায়ী অভিবাসীর সংখ্যা বেড়েছে  ভারতের সর্বোচ্চ ৩০,২৫১ নাগরিক হিসেবে প্রথম স্থানে রয়েছে; তারপর নেপাল ২১,৫৪৫, বাংলাদেশের অবস্থান তৃতীয়, পাকিস্তানের ৭,৪৯৯ জন নাগরিক পর্তুগালে নিয়মিতভাবে বসবাস করছেন।

তবে পর্তুগালে বসবাসকারী বাংলাদেশিদের সংখ্যা  বিষয়ে বাংলাদেশ দূতাবাস লিসবনের সাথে যোগাযোগ করা হলে তারা জানিয়েছেন  যে, নিয়মিত এবং অনিয়মিত মিলিয়ে কমপক্ষে ২০ হাজার বাংলাদেশি বসবাস করছেন। বলতে গেলে সমানসংখ্যক প্রবাসী বাংলাদেশি নিয়মিত হবার অপেক্ষায় রয়েছেন। গত ২০২১ সালে ১ হাজার ২০  জন বাংলাদেশি নাগরিক পর্তুগালে রেসিডেন্ট কার্ড পেয়েছেন। বর্তমানে সর্বমোট ১০ হাজার ৯৩৬ জন বাংলাদেশির মধ্যে পুরুষ ৮,৫৪৬ এবং মহিলা ২,৩৯০ জন রয়েছেন।
 

© JUGANTOR.COM
]]>
<![CDATA[কানাডায় বৃহত্তর কুমিল্লা সমিতির বনভোজন]]> https://www.jugantor.com/exile/567135/কানাডায়-বৃহত্তর-কুমিল্লা-সমিতির-বনভোজন 567135 2022-06-27T23:00:42+06:00 আহসান রাজীব বুলবুল, কানাডা থেকে কানাডায় বৃহত্তর কুমিল্লা সমিতির বনভোজন

কানাডায় বৃহত্তর কুমিল্লা সমিতির বনভোজন

পরবাস

আহসান রাজীব বুলবুল, কানাডা থেকে

কানাডার ক্যালগেরিতে সম্পন্ন হলো বৃহত্তর কুমিল্লা সমিতির বনভোজন। দীর্ঘ দুই বছর টানা বিরতির পর কানাডায় প্রবাসী বাঙালিরা যেন নতুন উদ্যমে মেতে উঠেছিল অন্যরকম এক মিলন মেলায়।

প্রকৃতির লুকোচুরি আর আষাঢ়ের  বৃষ্টির দেখা না মিললেও প্রকৃতি যেন এক অন্যরকম অবয়বে রৌদ্রোজ্জ্বল আবহাওয়ার হাতছানিতে নারী পুরুষ আর শিশু কিশোরদের পদচারণায় মিশে একাকার হয়েছিল বৃহত্তর কুমিল্লা সমিতি, ক্যালগেরি, কানাডার বার্ষিক বনভোজনের আয়োজনে। সারা দিনব্যাপী এ বনভোজনের আয়োজনে অতিথি হিসেবে যুক্ত হয়েছিলেন অন্যান্য জেলার প্রবাসীরাও।

ক্যালগেরি শহরের অদূরে রকিভিউ রেঞ্জ রোড পার্কে অনুষ্ঠিত বৃহত্তর কুমিল্লা সমিতির বনভোজনে সারা দিনব্যাপী চলে ছোট ছোট শিশু কিশোরদের দৌড় প্রতিযোগিতা,  মহিলাদের বিভিন্ন ধরনের  খেলা আর বড়দের চিরাচরিত আড্ডা। পরিবার-পরিজন নিয়ে  প্রবাসী বাঙালিরা আনন্দে উৎসবে মেতে উঠে আর উপভোগ করে প্রকৃতির অবয়ব রূপ আর নৈসর্গিক সৌন্দর্যকে। সাথে বাড়তি যোগ হয় কুমিল্লা অঞ্চলের নিজস্ব ঐতিহাসিক বিভিন্ন ধরনের সুস্বাদু খাবার।

অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মার্কেটিং বিভাগের প্রাক্তন অধ্যাপক এবং চেয়ারম্যান বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ প্রফেসর ড. ফখরুল আলম এবং ক্যালগেরির এবিএম কলেজের প্রতিষ্ঠাতা প্রেসিডেন্ট ড. মোহাম্মদ বাতেন।

পুরো অনুষ্ঠানটি উপস্থাপনা করেন উম্মে হাবিবা মিলি। উদ্যোক্তাদের মধ্যে ছিলেন সাইফুল ইসলাম মিশন, নজরুল ইসলাম, কামাল হোসেন, আনিসুল কবির, শাহেদ আহমেদ, সাইফুদ্দিন আহমেদ খোকন, শরীফ সিদ্দিকী, শুভ্র দাস, ফজলে এলাহী অপু এবং হাসান রহমান।

অনুষ্ঠানে সঙ্গীত পরিবেশন করেন বিশিষ্ট কণ্ঠশিল্পী সোহাগ হাসান এবং উম্মে হাবিবা মিলি। সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান,  রাফেল ড্র এবং পুরস্কার বিতরণীর মধ্যে দিয়ে অনুষ্ঠানের সমাপ্তি ঘটে।
 

© JUGANTOR.COM
]]>
<![CDATA[‘পদ্মা সেতু বাংলাদেশের গর্ব’]]> https://www.jugantor.com/exile/567134/পদ্মা-সেতু-বাংলাদেশের-গর্ব 567134 2022-06-27T22:58:35+06:00 জমির হোসেন, ইতালি থেকে ‘পদ্মা সেতু বাংলাদেশের গর্ব’

‘পদ্মা সেতু বাংলাদেশের গর্ব’

পরবাস

জমির হোসেন, ইতালি থেকে

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা শনিবার (২৫ জুন) পদ্মা সেতুর শুভ উদ্বোধন করেন। এ উপলক্ষ্যে জাতীয় পর্যায়ে আয়োজিত বর্ণাঢ্য অনুষ্ঠানের সাথে সঙ্গতি রেখে ইতালির রোমে সকাল ৫টা ৪৫ মিনিটে দূতাবাস প্রাঙ্গণে এক বিশেষ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।

উৎসবমুখর ও আনন্দঘন এ অনুষ্ঠানে ইতালিতে বসবাসরত প্রবাসী বীর মুক্তিযোদ্ধা, বিভিন্ন সামাজিক, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনের নেতা, বিভিন্ন স্তরের নারী নেতা, মিডিয়াকর্মীসহ দূতাবাসের সব কর্মকর্তা-কর্মচারীর স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণে অনুষ্ঠান আরও প্রাণবন্ত হয়ে উঠে।

অনুষ্ঠানের শুরুতে ইতালিতে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মো. শামীম আহসান স্বাগত বক্তব্য রাখেন।

দূতাবাস আয়োজিত অনুষ্ঠানে ঊষালগ্নে বিপুলসংখ্যক প্রবাসী বাংলাদেশি দূর-দূরান্ত থেকে উপস্থিত হওয়ার জন্য বিশেষভাবে ধন্যবাদ জানান রাষ্ট্রদূত। এ সময় তিনি উল্লেখ করেন, পদ্মা সেতু বাংলাদেশের গর্ব, আত্মনির্ভরশীলতা ও আত্মমর্যাদার প্রতীক। বাঙালি জাতির এ গৌরবোজ্জ্বল ঐতিহাসিক দিনে তিনি স্বাধীন বাংলাদেশ রাষ্ট্রের স্থপতি, সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতি বিশেষ শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।

রাষ্ট্রদূত বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর সাহসিকতা, বলিষ্ঠ সিদ্ধান্ত ও যুগোপযোগী পদক্ষেপের ফলে সম্পূর্ণ নিজস্ব অর্থায়নে প্রমত্তা পদ্মার বুকে এই সেতু নির্মাণ সম্ভব হয়েছে। অসংখ্য প্রতিকূলতা ও চক্রান্ত পরাভূত করে বাঙালির স্বপ্ন পূরণের এ দিনে এ সেতু নির্মাণের সাথে সংশ্লিষ্ট সবাইকে অভিনন্দন।

অনুষ্ঠানে জাতির এ মাহেন্দ্রক্ষণ উপলক্ষ্যে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী প্রদত্ত বাণী পাঠ এবং পদ্মা সেতুর উপর নির্মিত বিশেষ প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শন করা হয়। এ গৌরবময় মুহূর্তে দূতাবাসের পক্ষ থেকে সবাইকে আপ্যায়ন ও মিষ্টিমুখ করানো হয়। উপস্থিত প্রবাসী বাংলাদেশি গণ্যমান্য ব্যক্তি ও নেতারা দূতাবাসের এ উদ্যোগে এবং বিশেষ এ আয়োজনের জন্য ধন্যবাদ জানান। পরিশেষে সবাইকে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করে রাষ্ট্রদূত অনুষ্ঠানের সমাপ্তি ঘোষণা করেন।
 

© JUGANTOR.COM
]]>
<![CDATA[পরকীয়া প্রেমিকের বাড়িতে গৃহবধূর অবস্থান ]]> https://www.jugantor.com/country-news/567133/পরকীয়া-প্রেমিকের-বাড়িতে-গৃহবধূর-অবস্থান  567133 2022-06-27T22:56:53+06:00 ভূরুঙ্গামারী (কুড়িগ্রাম) প্রতিনিধি পরকীয়া প্রেমিকের বাড়িতে গৃহবধূর অবস্থান 

পরকীয়া প্রেমিকের বাড়িতে গৃহবধূর অবস্থান 

সারাদেশ

ভূরুঙ্গামারী (কুড়িগ্রাম) প্রতিনিধি

১২ বছরের স্বামীর সংসার ছেড়ে পরকীয়া প্রেমিকের বাড়িতে তিন দিন ধরে অবস্থান করছেন এক গৃহবধূ। স্ত্রীর মর্যাদা না দিলে আত্মহত্যার হুমকিও দিয়েছেন ওই নারী।

ঘটনাটি ঘটেছে কুড়িগ্রামের ভুরুঙ্গামারীর তিলাই ইউনিয়নের দক্ষিণ ছাটগোপালপুর গ্রামে। 

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ওই গৃহবধূর স্বামী ও দুটি সন্তান রয়েছে। স্থানীয় একটি কেজি স্কুলে শিক্ষকতা করার সময় দক্ষিণ ছাটগোপালপুর গ্রামের জহির উদ্দিন বানিয়ার ছেলে আতিকুল ইসলামের সঙ্গে পরকীয়া প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। 

এদিকে গত ১৮ জুন আত্মীয়ের বাড়িতে বেড়াতে যাওয়ার কথা বলে আতিকুল ওই গৃহবধূকে নিয়ে ঢাকার সাভারে যান। সেখানে একটি বাসা ভাড়া নেন। পরে বাসার মালিকের সহায়তায় স্থানীয় কাজিকে দিয়ে আগের স্বামীকে তালাক দিয়ে এফিডেভিটের মাধ্যমে বিয়ে করেন তারা। 

বিষয়টি জানাজানি হওয়ার পর ২১ জুন আতিকুলের স্বজনরা সাভার যান। সেখান থেকে দুজনকে নিয়ে গ্রামের বাড়িতে ফেরার পথে ভুরুঙ্গামারীর আন্ধারীঝাড় এলাকায় নামেন তারা। কৌশলে আতিকুলকে আবার একটি নৈশকোচে ঢাকায় পাঠিয়ে দেন তারা। 

আর ওই গৃহবধূর বিভিন্ন কাগজপত্র ও মোবাইল ফোন কেড়ে নিয়ে তিলাই ইউপি চেয়ারম্যান কামরুল ইসলাম কামরুজ্জামানের বাড়িতে তাকে রেখে চলে যান তারা। 

বিষয়টি সমাধানের জন্য আতিকুল ইসলামের অভিভাবকদের বলা হলেও তারা ইউপি চেয়ারম্যান কামরুজ্জামানের কথা শোনেননি।  

এরপর গত ২৫ জুন আতিকুলের বাড়িতে অবস্থান নেন ওই গৃহবধূ। এ রিপোর্ট লেখার সময় সোমবার দুপুর পর্যন্ত ওই বাড়িতেই অবস্থান করছিলেন তিনি। 

ভুক্তভোগী ওই নারী বলেন, আমি আগের স্বামীকে তালাক দিয়ে আতিকুলকে বিয়ে করেছি। আতিকুলের সঙ্গেই সংসার করব। আতিকুল স্ত্রীর মর্যাদা না দিলে আত্মহত্যা করা ছাড়া আর কোনো উপায় নেই আমার।

এ বিষয়ে আতিকুল ইসলামের বাবা জহির উদ্দিন বানিয়া জানান, তার ছেলেকে ফাঁসানো হয়েছে। ওই মেয়ে জোর করে বিয়ে করার জন্য বাড়িতে অবস্থান নিয়েছেন। 

তবে গৃহবধূর আগের স্বামী বলেছেন, তার স্ত্রী ভুল করেছেন। তাদের দুটি সন্তান রয়েছে। সে ফিরে আসলে তাকে স্ত্রী হিসেবে মেনে নেবেন।

তিলাই ইউপি চেয়ারম্যান কামরুজ্জামান জানান, উভয় পরিবারকে মীমাংসার প্রস্তাব দিয়েছিলাম; কিন্তু ছেলেপক্ষ সাড়া না দেওয়ায় ওই নারীকে আইনের আশ্রয় নেওয়ার পরামর্শ দিয়েছি।

এ বিষয়ে ভুরুঙ্গামারী থানার ওসি আলমগীর হোসেন জানান, বিষয়টি আমি শুনেছি। অভিযোগ পেলে তদন্তসাপেক্ষে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

© JUGANTOR.COM
]]>
<![CDATA[ইউক্রেনকে আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা দিচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র]]> https://www.jugantor.com/international/567132/ইউক্রেনকে-আকাশ-প্রতিরক্ষা-ব্যবস্থা-দিচ্ছে-যুক্তরাষ্ট্র 567132 2022-06-27T22:56:10+06:00 অনলাইন ডেস্ক ইউক্রেনকে আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা দিচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র

ইউক্রেনকে আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা দিচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র

আন্তর্জাতিক

অনলাইন ডেস্ক

রাজধানী কিয়েভকে রাশিয়ার মিসাইল ও বোমা হামলা থেকে বাঁচাতে যুক্তরাষ্ট্র ও বিশ্বের অন্যন্য দেশের কাছে আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা চেয়েছিলেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদমির জেলেনস্কি।

তার সেই আহ্বানে সাড়া দিয়ে ইউক্রেনকে মাঝারি ও দূরপাল্লার আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা দেওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র। 

সোমবার এমন তথ্য জানিয়েছেন হোয়াইট হাউসের জাতীয় নিরাপত্তা পরামর্শক জ্যাক সুলিভান।

বর্তমানে জার্মানিতে অবস্থান করা সুলিভান সাংবাদিকদের বলেন, প্রেসিডেন্ট  জো বাইডেন তার জি-৭ জোটের অন্যন্য নেতাদের এবং প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কিকে যে রকমটি বলেছেন, আমরা সেই অনুযায়ী ইউক্রেনের জন্য অস্ত্রের আরেকটি প্যাকেজ পাঠানোর প্রস্তুতি নিচ্ছি, যার মধ্যে থাকবে মাঝারি ও দূরপাল্লার আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা। 

এরআগে বৃহস্পতিবার প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন বলেন, তিনি ইউক্রনকে আরও নতুন অত্যাধুনিক কামান হিমারস, পেট্রোল বোট এবং কয়েক হাজার গোলাবারুদ দেবেন। 

জ্যাক সুলিভান জানান, জি-৭ জোটের বৈঠকে প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কি আরও আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা চান। বিশেষ করে কিয়েভে চালানো মিসাইল হামলার কথা মাথায় রেখে তিনি অত্যাধুনিক আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা চেয়েছেন, যেন রাশিয়ার ছোঁড়া মিসাইলগুলো মাঝ আকাশেই আটকে দেওয়া যায়। 

সূত্র: আল জাজিরা, দ্য নিউ আরব 

© JUGANTOR.COM
]]>
<![CDATA[বিএনপিকে বিরোধীদল বলা বক্তব্য এক্সপাঞ্জ চাইলেন রাঙ্গা]]> https://www.jugantor.com/politics/567131/বিএনপিকে-বিরোধীদল-বলা-বক্তব্য-এক্সপাঞ্জ-চাইলেন-রাঙ্গা 567131 2022-06-27T22:55:16+06:00 সংসদ প্রতিবেদক বিএনপিকে বিরোধীদল বলা বক্তব্য এক্সপাঞ্জ চাইলেন রাঙ্গা

বিএনপিকে বিরোধীদল বলা বক্তব্য এক্সপাঞ্জ চাইলেন রাঙ্গা

রাজনীতি

সংসদ প্রতিবেদক

বিএনপিকে বিরোধী দল আখ্যায়িত করে দেওয়া সংসদ সদস্যের বক্তব্য একপাঞ্জ করার দাবি জানিয়েছেন জাতীয় সংসদের প্রধান বিরোধী দল জাতীয় পার্টির চিফ হুইপ মসিউর রহমান রাঙ্গা। 

সোমবার অধিবেশনে প্রস্তাবিত ২০২২-২৩ অর্থবছরের বাজেটের ওপর সাধারণ আলোচনায় অংশ নিয়ে তিনি এ দাবি জানান। 

এসময় মসিউর রহমান বলেন, এই সংসদে আমরাই বৃহত্তর বিরোধী দল। এখানে কোনো ভুল নেই। সংসদে অনেক এমপি বিএনপির সমালোচনা করতে গিয়ে দলটিকে বিরোধী দল বলেন। সংসদে আমরাই বৃহত্তর বিরোধী দল। আমরা বিরোধী দল এখানে কোনো ভুল নেই। সংসদ সদস্যরা বিএনপিকে উদ্দেশ্য করে বিরোধী দল বলেছেন তা একপাঞ্জ করার অনুরোধ করছি।

পদ্মা সেতু নির্মাণের প্রসঙ্গ টেনে তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী অনেক চেষ্টা করে, কষ্ট করে আজকে এই সেতুটি দাঁড় করিয়েছেন। আমার মনে হয় সেতুটি যদি তিনি (প্রধানমন্ত্রী) সম্পন্ন করতে না পারতেন, তাহলে নিজের ক্ষতি নিজেই করে বসতেন। 

স্পিকার আমি আপনার মাধ্যমে ক্ষমা চেয়ে নিচ্ছি প্রধানমন্ত্রীর কাছে। এরকম একটি সম্ভাবনা ওনার মধ্যে আমি দেখেছিলাম যে, এনি হাউ, কষ্ট করে এটা করতে হবে। তিনি এটা করেছেন। পদ্মা সেতু নির্মাণ নিয়ে সমালোচনাকারীরা বলেছেন এটা করতে পারবেন না। আসলে এগুলো দেখার সময় ওনার (প্রধানমন্ত্রীর) নেই। তিনি যেভাবে দেশটার উন্নতি করছেন, আরো করবেন, আমরা তা বিশ্বাস করি।

মসিউর রহমান রাঙ্গা শিল্পী সংসদ সদস্য মমতাজ বেগমের একটি গানের কলি উল্লেখ করে বলেন, বুকটা ফাইট্টা যায়। গানের মতো ওদের বুকটা ফাইট্টা যায়। সে কারণে একবার বলে ভেঙ্গে পড়বে। একবার বলে এই হবে। একবার বলে ওই হবে। কালকে (গতকাল) আমাদের সংসদ সদস্য শাজাহান খান বলেছেন, না হয় নৌকায় যাবেন। নৌকায় আবার কেমনে যায়। এটা তো আরেকটি বিপদ। তাহলে কিসে যাবে। 

তিনি বলেন, আমরা মনেপ্রাণে বিশ্বাস করি এ দেশটি আমাদের। এ দেশটা রক্ষার দায়িত্ব আমাদের। এনি হাউ দেশটাকে রক্ষা আমাদের করতে হবে। এজন্য যা করতে হয় আমাদের করতে হবে।

দুর্নীতিবাজদের প্রশ্নে রাঙ্গা বলেন, দুর্নীতিবাজরা আমলা হোক বা রাজনীতিবিদ হোক বা অন্য কেউ হোক, তারা নিজেরাও জানে না তাদের কত টাকা আছে। তাদের সন্তানেরা উশৃঙ্খলে চলে গেছে। খোঁজ নিয়ে দেখেন। সব এমপিদের খোঁজ নিয়ে দেখেন, যারা এর সঙ্গে জড়িত তাদের একটি সন্তানও মানুষ হয়নি। 

তিনি আরও বলেন, আমাদের যতটুকু প্রয়োজন ততটুকু করা দরকার। আমার সংসদে আসতে একটা কোট দরকার, একটা টাই দরকার-এটুকু। আমি যদি এখন বিদেশ থেকে বানিয়ে নিয়ে আসি, বিদেশ থেকে আয়রন করে আনি, বিদেশ থেকে জুতা কালি করে আনি- এগুলো মানুষ পছন্দ করে না।


 

© JUGANTOR.COM
]]>
<![CDATA[সাতকানিয়ায় অফিসার্স ক্লাবের ‘ফল উৎসব’]]> https://www.jugantor.com/country-news/567130/সাতকানিয়ায়-অফিসার্স-ক্লাবের-ফল-উৎসব 567130 2022-06-27T22:54:07+06:00 সাতকানিয়া (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি সাতকানিয়ায় অফিসার্স ক্লাবের ‘ফল উৎসব’

সাতকানিয়ায় অফিসার্স ক্লাবের ‘ফল উৎসব’

সারাদেশ

সাতকানিয়া (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি

চট্টগ্রামের সাতকানিয়ায় ‘ফল উৎসব’ করেছে উপজেলা অফিসার্স ক্লাব। সোমবার উপজেলা কৃষি অফিসের সহায়তায় আম, লিচু, কাঁঠাল, ড্রাগন ফল, কালো জাম, আনারস, কলা, লটকনসহ দেশীয় বিভিন্ন ফলের সমাহারের পাশাপাশি ছিল বিদেশি ব্ল্যাক বেরি তরমুজ ও বিভিন্ন জাতের খেজুর।

দেশীয় ফল ঘিরে এ উৎসবে অংশ নেন- অফিসার্স ক্লাবের সভাপতি ও উপজেলা নির্বাহী অফিসার ফাতেমা তুজ জোহরা, সাধারণ সম্পাদক উপজেলা প্রাণিসম্পদ অফিসার ডা. আবুল কালাম আজাদ, থানার অফিসার ইনচার্জ তারেক মোহাম্মদ আব্দুল হান্নান, কৃষি অফিসার প্রতাপ চন্দ্র রায়, হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তা নজরুল ইসলাম, মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. আজিম শরীফ, প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা কামরুল ইসলাম, মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা কানিজ ফাতেমা, তথ্য আপা আয়েশা খাতুন, উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. আবদুল্লাহ আল মামুন, জনস্বাস্থ্য প্রকৌশলী মিজানুর রহমান, সহকারী প্রোগ্রামার আনোয়ার হোসাইন, সমবায় অফিসার দিদারুল ইসলাম, সাতকানিয়া প্রেস ক্লাব সভাপতি সৈয়দ মাহফুজ উন নবী খোকন প্রমুখ।

এছাড়া একইসঙ্গে সাতকানিয়া উপজেলায় সম্প্রতি যোগদান করা পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা সৈয়দ মইনুল ইসলাম এবং জাইকা অফিসার বশির উদ্দিনকে অফিসার্স ক্লাবের পক্ষ থেকে সবংর্ধনা দেওয়া হয়।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার ফাতেমা তুজ জোহরা বলেন, ফল উৎসব দেশীয় সংস্কৃতির একটি অংশ। এ উৎসবের মধ্য দিয়ে দেশীয় ফলফলাদি চেনার ও খাওয়ার সুযোগ হয়েছে।

© JUGANTOR.COM
]]>
<![CDATA[‘লিসিচানস্ক ছেড়ে পালানোর চেষ্টা করছে ইউক্রেনের সেনারা’]]> https://www.jugantor.com/international/567128/লিসিচানস্ক-ছেড়ে-পালানোর-চেষ্টা-করছে-ইউক্রেনের-সেনারা 567128 2022-06-27T22:51:37+06:00 অনলাইন ডেস্ক ‘লিসিচানস্ক ছেড়ে পালানোর চেষ্টা করছে ইউক্রেনের সেনারা’

‘লিসিচানস্ক ছেড়ে পালানোর চেষ্টা করছে ইউক্রেনের সেনারা’

আন্তর্জাতিক

অনলাইন ডেস্ক

রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় সোমবার দাবি করেছে, লুহানেস্কের লিসিচানস্ক শহর ছেড়ে পালানোর চেষ্টা করছে ইউক্রেনীয় সেনারা। 

আর পালাতে চেষ্টা করা এসব সেনাদের ঠেকানোর চেষ্টা করছে কমান্ডাররা।

রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের দাবি, সেভেরোদোনেৎস্কে রুশ সেনাদের সাফল্য পাওয়ার পর ইউক্রেনীয় সেনারা লিসিচানস্ক থেকে পালিয়ে যেতে চাইছে। 

দেশটির প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় আরও দাবি করেছে, লিসিচানস্কের কাছে ভোভচোয়ারিভকা নামক একটি স্থান থেকে পালিয়ে যাওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছিল একটি ইউনিট। তারা যেন সেখান থেকে সরে যেতে না পারে সেজন্য আজভ রেজিমেন্টের একটি ইউনিটকে পাঠানো হয়েছে। 

তারা আরও দাবি করেছে, লিসিচানস্কের একটি ইউনিটের ওপর নিয়ন্ত্রণ হারিয়েছেন এটির কমান্ডার।

তাছাড়া লিসিচানস্কে অবস্থান করা দুটি ‘ভাড়াটে বিদেশী সেনা’ ইউনিটকে ধ্বংস করেছে রাশিয়া। 

তবে তাদের করা এসব দাবির সত্যতা যাচাই করতে পারেনি আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমগুলো। 

এদিকে গত শনিবার সেভেরোদোনেৎস্ক ছেড়ে চলে যায় ইউক্রেনের সেনারা। এরপর এটির পুর্ণ দখল চলে আসে রাশিয়ার হাতে। 

সূত্র: সিএনএন 

© JUGANTOR.COM
]]>
<![CDATA[পাবনায় আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর সমাবেশ]]> https://www.jugantor.com/country-news/567127/পাবনায়-আনসার-ও-গ্রাম-প্রতিরক্ষা-বাহিনীর-সমাবেশ 567127 2022-06-27T22:50:56+06:00 পাবনা প্রতিনিধি পাবনায় আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর সমাবেশ

পাবনায় আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর সমাবেশ

সারাদেশ

পাবনা প্রতিনিধি

পাবনায় সোমবার বর্ণাঢ্য আয়োজনের মধ্য দিয়ে আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর (ভিডিপি) জেলা সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। জেলা শিল্পকলা একাডেমি অডিটোরিয়ামে অনুষ্ঠিত এ সমাবেশে প্রধান অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনী রাজশাহী রেঞ্জের উপ-মহাপরিচালক কামরুন নাহার।

পাবনার জেলা কমান্ড্যান্ট মজিবুল হতের সভাপতিত্বে সমাবেশে বিশেষ অতিথি ছিলেন- পাবনার পুলিশ সুপার (অতিরিক্ত ডিআইজি পদোন্নতিপ্রাপ্ত) মোহাম্মদ মহিবুল ইসলাম খান, পাবনার অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আব্দুল্লাহ আল মামুন, আনসার ভিডিপির নাটোর জেলা কমান্ড্যান্ট মোহা. শফিকুল আলম, সিরাজগঞ্জ জেলা কমান্ড্যান্ট মির্জা সিফাত-ই-খোদা।

সমাবেশে বক্তব্য রাখেন- পাবনার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ডিএসবি)জিন্নাহ আল মামুন, আনসার ভিডিপির সহকারী জেলা কমান্ড্যান্ট মো. শাহ আলম, দলপতিদের মধ্য থেকে দোগাছি ইউনিয়ন দলপতি মো. রেজাউল করিম এবং ঈশ্বরদী পৌরসভার ওয়ার্ড দলনেত্রী মুক্তা রানী কর্মকার।

সমাবেশে আনসার কমান্ডার, দলপতি-দলনেত্রীসহ ২০ সদস্য-সদস্যাকে সেলাইমেশিন, বাইসাইকেলসহ বিভিন্ন সামগ্রী পুরস্কার দেওয়া হয়। এর আগে সমাবেশ উপলক্ষে একটি শোভাযাত্রা বের করা হয়। শোভাযাত্রাটি জেলা শিল্পকলা একাডেমি চত্বর থেকে শুরু হয়ে শহর প্রদক্ষিণ শেষে পুনরায় সেখানে গিয়ে শেষ হয়।

পরে প্রধান অতিথি অন্যান্য অতিথিদের সঙ্গে নিয়ে বেলুন উড়িয়ে এবং পায়রা অবমুক্ত করে সমাবেশের সূচনা করেন। এছাড়া সমাবেশ উপলক্ষে একটি সুদৃশ্য কেক কাটা হয়। সমাবেশে ৩ শতাধিক সদস্য-সদস্যা অংশ নেন। 

সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় রেঞ্জ উপ-মহাপরিচালক বলেন, মহান স্বাধীনতা যুদ্ধে অংশগ্রহণ, দেশের স্বাধীনতা সার্বভৌমত্ব এবং আভ্যন্তরীণ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাসহ সার্বিক উন্নয়ন কর্মকাণ্ডে আনসার ও ভিডিপির সদস্য-সদস্যারা সক্রিয় ভূমিকা রেখে আসছেন। উন্নয়ন কর্মকাণ্ডের এই ধারাবাহিকতা রক্ষায় মহাপরিচালকের নেতৃত্বে আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীকে আধুনিক মানের এবং আরও যুগোপযোগী করে গড়ে তোলা হচ্ছে। এজন্য ব্যাপক প্রশিক্ষণের মাধ্যমে সদস্য-সদস্যাদের প্রশিক্ষিত করে গড়ে তোলা হচ্ছে। এই প্রশিক্ষণলব্ধ জ্ঞান কাজে লাগিয়ে তারা নিজেরা স্বাবলম্বী এবং সুখী সমৃদ্ধ দেশ গড়ায় অবদান রাখছেন।

© JUGANTOR.COM
]]>
<![CDATA[ক্ষুধা নিবারণ করতে যা খাচ্ছেন মারিউপোলের মানুষ]]> https://www.jugantor.com/international/567126/ক্ষুধা-নিবারণ-করতে-যা-খাচ্ছেন-মারিউপোলের-মানুষ 567126 2022-06-27T22:49:45+06:00 অনলাইন ডেস্ক ক্ষুধা নিবারণ করতে যা খাচ্ছেন মারিউপোলের মানুষ

ক্ষুধা নিবারণ করতে যা খাচ্ছেন মারিউপোলের মানুষ

আন্তর্জাতিক

অনলাইন ডেস্ক

পেটের ক্ষুধা নিবারণ করতে মারিউপোল শহরের সাধারণ মানুষকে কবুতর শিকার করে খেতে হচ্ছে। 

মারিউপোলের ক্ষমতাচ্যুত এবং নির্বাসিত মেয়র ভাদইয়াম বোইচেনকো সোমবার এমন দাবি করেছেন।

নির্বাসিত এ মেয়র বলেন, সাধারণ মানুষ হাতে তৈরি ফাঁদ তৈরি করে কবুতর ধরছেন। 

তিনি জানান, মারিউপোলের সাধারণ মানুষ যুদ্ধের আগে জীবনটাকে পুরোপুরি উপভোগ করতেন। তারা পানির অভাব বা ক্ষুধা কি সে জিনিসটি জানতেন না। কিন্তু এখন রুশ সেনারা তাদের খাদ্যভাবে ফেলে তাদের সঙ্গে উপহাস করছে। 

মেয়র বোইচেনকো আরও বলেন, এমন ভয়ানক বিষয়টি হচ্ছে ২১ শতকে। ইউরোপের প্রাণ কেন্দ্রে, পুরো বিশ্বের সামনে। 

এদিকে মেয়র বোইচেনকো একজন ডাক্তারের উপদেশও জনগণের উদ্দেশে জানিয়েছেন।

ওলেক্সান্ডার লাজারেঙ্কো নামে ওই ডাক্তার বলেন, কবুতরে বিভিন্ন ধরনের ভাইরাস, ছত্রাকজনিত রোগ থাকে। এগুলো কবুতরের মাংসেও চলে যেতে পারে।ফলে যারা শিকার করে কবুতর খাচ্ছেন তারা বিভিন্ন জটিল রোগে আক্রান্ত হতে পারেন।

তিনি সতর্কতা দিয়ে বলেছেন, শিকার করা কবুতর খেয়ে কেউ অসুস্থ হলে সেটি জীবনের জন্য হুমকিও হতে পারে। 

সূত্র: সিএনএন 

© JUGANTOR.COM
]]>
<![CDATA[যে কারণে ৩ দিন ধরে চলেনি মাঝির ঘাট-শিমুলিয়া ফেরি]]> https://www.jugantor.com/padma-bridge/567125/যে-কারণে-৩-দিন-ধরে-চলেনি-মাঝির-ঘাটশিমুলিয়া-ফেরি 567125 2022-06-27T22:47:47+06:00 শরীয়তপুর প্রতিনিধি যে কারণে ৩ দিন ধরে চলেনি মাঝির ঘাট-শিমুলিয়া ফেরি

যে কারণে ৩ দিন ধরে চলেনি মাঝির ঘাট-শিমুলিয়া ফেরি

স্বপ্নের পদ্মা সেতু

শরীয়তপুর প্রতিনিধি

স্বপ্নের পদ্মা সেতু চালু হওয়ার পরিপ্রেক্ষিতে শরীয়তপুরের মাঝিরঘাট ও মাওয়ার শিমুলিয়া নৌপথে ৩ দিন ধরে ফেরি চলাচল বন্ধ রয়েছে। ৯টি ফেরির মধ্যে দুটিকে অন্যত্র সরিয়ে নেওয়া হচ্ছে বলে জানিয়েছে মাঝিরকান্দি নৌ-পথের ঘাটের বিআইডব্লিউটিএ ইনর্চাজ এনাম আহম্মেদ।

এদিকে পদ্মা সেতুতে মোটরসাইকেল চলাচল বন্ধ করে দেওয়ায় দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের ২১ জেলা থেকে আসা হাজার হাজার মোটরসাইকেল পারাপারের জন্য শরীয়তপুরের মাঝিরঘাট ফেরির জন্য অপেক্ষা করছে বলে জানিয়েছেন মাঝির ঘাটের ইজারাদার মোকলেছ মাদবর।

মাঝিরকান্দি নৌ-পথের ঘাট বিআইডব্লিউটিএ ইনর্চাজ এনাম আহম্মেদ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের ২১টি জেলার প্রবেশদ্বার শরীয়তপুরের মাঝির গত ৩ দিন ধরে ঘাট ছিল অনেকটা ফাঁকা। এতদিন এই ঘাট দিয়েই ওই অঞ্চলের যাত্রীরা লঞ্চ, স্পিডবোট বা ফেরি করে পাড়ি দেয় উত্তাল পদ্মা। ঘাট ছিল সরগরম। কিন্তু ৩ দিনের চিত্র পুরোটাই উল্টো। মাঝিরঘাট- শিমুলিয়া নৌ-রুটে ৩ দিন ধরে কোনো ফেরি ছেড়ে যায়নি বা মাঝিরঘাট থেকেও শিমুলিয়া ঘাটে কোনো ফেরি আসেনি।

সরেজমিন দেখা যায়, দীর্ঘদিন ধরে শরীয়তপুরের মাঝিরঘাট ও মাওয়ার শিমুলিয়া নৌপথে ৯টি ফেরি চলাচল করে আসছে। গত শনিবার (২৫ জুন) প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পদ্মা সেতু উদ্বোধনের পর রোববার ভোর ৬টা থেকে যান চলাচলের জন্য তা খুলে দেওয়া হয়। এর প্রভাব পড়েছে ফেরি, লঞ্চ ও স্পিডবোট ঘাটে। তাই গত ৩ দিন ধরে ফেরি বন্ধ রয়েছে।

সোমবার ৯টি ফেরির মধ্যে বেগম রোকেয়া শরীয়তপুরের আলুর বাজার ও বেগম সুফিয়া কামাল আরিচা ফেরিঘাটে নেওয়া হয়েছে।

এদিকে স্বপনের পদ্মা সেতুর এক মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় ২ জনের মৃত্যুর পর রাত থেকে পদ্মা সেতু চালুর ২৪ ঘণ্টার মাথায় সেতুতে মোটরসাইকেল চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হয়। অনেকেই না জেনে মোটরসাইকেল নিয়ে আসেন পদ্মা সেতুতে। এতে ঢাকামুখী বিভিন্ন জেলার মোটরসাইকেল আরোহীরা জাজিরা প্রান্তে এসে আটকা পড়েন।

সকাল থেকে তারা বিভিন্নভাবে পদ্মা নদী পার হওয়ার চেষ্টা করছেন। কেউ কেউ ভাড়া করা পিকআপে মোটরসাইকেল তুলে পদ্মা সেতু পার হয়েছেন। বিকল্প হিসেবে অনেকে ফেরি দিয়ে যাওয়ার জন্য শরীয়তপুরের জাজিরা উপজেলার মঙ্গলমাঝির ফেরি ঘাটে যান। কিন্তু ঘাটে ফেরি না থাকায় ভোগান্তিতে পড়েন তারা।

বাংলাদেশ সেতু কর্তৃপক্ষের ম্যানেজার কামাল হোসেন জানান, রোববার সকাল ৬টায় যখন পদ্মা সেতুর দুই প্রান্ত থেকে যানবাহন ছেড়ে দেওয়া হয়, তখন টোল দিয়ে মোটরসাইকেল আরোহীরা হুড়োহুড়ি করে সেতুতে ওঠেন। বিকালে মোটরসাইকেলের ভিড় বাড়তে থাকলে জাজিরা প্রান্তে দীর্ঘ যানজট তৈরি হয়।

ঢাকার নবাবগঞ্জ থেকে আসা তরুণ আতাউর রহমান, সায়েদ ঢালী, শোবাহান মিয়া রোববার বিকালে পদ্মা সেতু পার হয়ে গোপালগঞ্জে আত্মীয়র বাসায় বেড়াতে যান। সোমবার সকালে শরীয়তপুরের জাজিরা টোলপ্লাজায় এসে জানতে পারেন সেতুতে মোটরসাইকেল চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। স্থানীয় বাসিন্দাদের কাছে খোঁজ নিয়ে ফেরিতে পদ্মা পাড়ি দিতে জাজিরার মঙ্গলমাঝির ঘাটে যান। বেলা ১১টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত সেখানে ফেরির জন্য অপেক্ষা করছেন।

মাঝিরকান্দি বিআইডব্লিউটিএ ইনর্চাজ এনাম আহম্মেদ বলেন, গত ৩ দিন ধরে গাড়ি না আসার কারণে ফেরি চলাচল বন্ধ রয়েছে। পদ্মা সেতু দিয়ে মোটরসাইকেল চলাচল বন্ধ থাকায় সব মোটরসাইকেল মাঝিরঘাট ফেরিঘাটে পারাপারের জন্য অপেক্ষা করছে।

বিআইডব্লিউটিএ সহকারী ম্যানেজার জামিল আহম্মেদ বলেন, আমাদের ৯টি ফেরি শরীয়তপুরের মাঝিরঘাট ও মাওয়ার শিমুলিয়া নৌপথে চলাচল করত। পদ্মা সেতু উদ্বোধনের পর এ ঘাটে গাড়ি না আসায় গত ৩ দিন ধরে ফেরি বন্ধ বয়েছে। ৯টি ফেরির মধ্যে বেগম রোকেয়া শরীয়তপুরের আলুর বাজার ও বেগম সুফিয়া কামাল আরিচা ফেরিঘাটে নেওয়া হয়েছে।

© JUGANTOR.COM
]]>
<![CDATA[‘পাচার করা অর্থ মুদ্রাবাজারে আনতে পদক্ষেপ নিতে হবে’]]> https://www.jugantor.com/national/567124/পাচার-করা-অর্থ-মুদ্রাবাজারে-আনতে-পদক্ষেপ-নিতে-হবে 567124 2022-06-27T22:46:21+06:00 যুগান্তর প্রতিবেদন ‘পাচার করা অর্থ মুদ্রাবাজারে আনতে পদক্ষেপ নিতে হবে’

‘পাচার করা অর্থ মুদ্রাবাজারে আনতে পদক্ষেপ নিতে হবে’

জাতীয়

যুগান্তর প্রতিবেদন

বৈশ্বিক যুদ্ধকালীন অর্থনৈতিক সংকট মোকাবিলায় বিদেশে পাচার করা অর্থ ও দেশে জমা করা অর্থ মুদ্রাবাজারে আনতে সরকারকে বাস্তবমুখী পদক্ষেপ নিতে হবে। বাজেটে এগুলো অন্তর্ভুক্ত করলে অর্থনীতিতে ব্যাপক সাড়া পড়বে। এজন্য বাজেটে পাচারকারীর অর্থের পরিবর্তে ‘অপ্রদর্শিত অর্থ’ করার দাবি জানিয়েছেন জাতীয় আইনজীবী সমিতির সভাপতি ও বাংলাদেশ বার কাউন্সিলের সদস্য অ্যাডভোকেট শাহ মো. খসরুজ্জামান।

সুপ্রিমকোর্ট বার ভবনে সোমবার ল’ রিপোর্টার্স ফোরামের কার্যালয়ে ২০২২-২৩ সালের বাজেটের ওপর সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ দাবি জানান। 

এ সময় উপস্থিত ছিলেন জাতীয় আইনজীবী সমিতির মহাসচিব মো. সগীর আনোয়ার, সহসভাপতি কেএম জাবির ও উপ-মহাসচিব শাহেদ আলী জিন্নাহ্।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে দাবি করা হয়, বিদেশে পাচার করা ও দেশে জমা করা ঘোষিত অর্থের ওপর ৫ শতাংশ অগ্রিম কর গ্রহণ করে বিনা প্রশ্নে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের অনুমোদন দিতে হবে। বর্ণিত ৫ শতাংশ করের হার বৃদ্ধি করে সুবিধা প্রদান করলে জনগণ আকৃষ্ট হবে না। অতীতের মতো এ উদ্দেশ্য ব্যর্থতায় পর্যবসিত হবে।

শাহ খসরুজ্জামান বলেন, দেশের শিল্প, কল কারখানা স্থাপনসহ কাঁচামাল উৎপাদনের প্রতিষ্ঠান, হাসপাতাল প্রতিষ্ঠাসহ স্বাস্থ্য খাতের বিভিন্ন উৎপাদনশীল প্রতিষ্ঠান স্থাপনে বিনিয়োগের ওপর ৫ শতাংশ অগ্রিম কর গ্রহণ করে বিনা প্রশ্নে জাতীয় রজস্ব বোর্ডের অনুমোদন নিতে হবে।

তিনি বলেন, কর বিভাগে অপ্রদর্শিত ক্রয় করা জমির রেজিস্ট্রি করা মূল্যের ওপর ৫ শতাংশ কর গ্রহণ করে বিনা প্রশ্নে কর কর্মকর্তার অনুমোদনপ্রাপ্ত হলে ওই জমির ওপর আবাসিক ও বাণিজ্যিক ভবন এবং মার্কেট গড়ে উঠবে। এতে বিপুল পরিমাণ রাজস্ব পর্যায়ক্রমে সরকারের আয় হবে।

তিনি আরও বলেন, অর্থ পাচার রোধ ও ব্যাংকিং খাতে দুর্নীতি বন্ধ করা উন্নয়নের সরকারের একমাত্র চ্যালেঞ্জ হিসাবে চিহ্নিত হয়েছে। এ সমস্যাকে দূর করার জন্য অর্থ মন্ত্রণালয় থেকে ব্যাংক ও বিমাকে নিয়ে আলাদা মন্ত্রণালয় গঠন করলে ব্যাংকিং খাতে শৃঙ্খলা ফিরে আসবে। এতে অর্থ পাচার ও দুর্নীতি পর্যায়ক্রমে কমে আসবে। 

এছাড়া আবাসন খাতে নির্মাণসামগ্রীর বাজার মূল্যবৃদ্ধিকরণ রোধকল্পে নির্মাণসামগ্রীর কাঁচামালের ওপর আমদানি খরচ কমানোর ব্যবস্থা গ্রহণ করে এ খাতকে সচল করতে হবে।    
 

© JUGANTOR.COM
]]>
<![CDATA[‘জাতীয় পার্টি আজ ঐক্যবদ্ধ’]]> https://www.jugantor.com/politics/567123/জাতীয়-পার্টি-আজ-ঐক্যবদ্ধ 567123 2022-06-27T22:42:53+06:00 সিংগাইর (মানিকগঞ্জ) প্রতিনিধি ‘জাতীয় পার্টি আজ ঐক্যবদ্ধ’

‘জাতীয় পার্টি আজ ঐক্যবদ্ধ’

রাজনীতি

সিংগাইর (মানিকগঞ্জ) প্রতিনিধি

জাতীয় পার্টির কেন্দ্রীয় শিক্ষাবিষয়ক সম্পাদক মিজানুর রহমান মিরু বলেছেন, জিএম কাদেরের নেতৃত্ব ও রওশন এরশাদের পরামর্শে জাতীয় পার্টি আজ ঐক্যবদ্ধ। তবে আগামী নির্বাচনকে কেন্দ্র করে একটি কুচক্রী মহল আবার দলকে বেচাকেনার ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়েছে। 

তিনি বলেন, তৃণমূল পর্যায়ের নেতাকর্মীদের অদম্য সাহস ও ত্যাগের বিনিময়ে ৩২ বছর ক্ষমতার বাইরে থেকেও জাতীয় পার্টি আজও মাথা উঁচু করে সংসদ এবং সংসদের বাইরে টিকে আছে। আগামীতে জাতীয় পার্টি এককভাবে নির্বাচন করার লক্ষ্যে তৃণমূল পর্যায়ে কাজ করে যাচ্ছে।

আগামী ১৪ জুলাই জাতীয় পার্টির প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান রাষ্ট্রপতি হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের তৃতীয় মৃত্যুবার্ষিকী পালন উপলক্ষে সোমবার মানিকগঞ্জের সিংগাইরে এক প্রস্তুতি সভায় মিজানুর রহমান মিরু এসব কথা বলেন। 

সিংগাইর পৌরসভার সাধারণ সম্পাদক সালাউদ্দিন খোকার সভাপতিত্বে সভায় অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন- জাতীয় পার্টি মানিকগঞ্জ জেলার সহ-সভাপতি ও কেন্দ্রীয় সদস্য হারুন অর রশিদ, সহ-সভাপতি ও কেন্দ্রীয় সদস্য মো. নোয়াব আলী, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মজনু বিশ্বাস, তাইনুর রহমান রতন, যুব সংহতির সাবেক কেন্দ্রীয় সদস্য শহিদুল ইসলাম খোকন, জাতীয় ছাত্রসমাজের কেন্দ্রীয় সদস্য জাফর আলী, সিংগাইর উপজেলা জাতীয় পার্টির সাবেক সাধারণ সম্পাদক আবুল কালাম আজাদ, সিনিয়র সহ-সভাপতি ফিরোজ হোসেন খান, সাংগঠনিক সম্পাদক ইসমাইল হোসেন, সিংগাইর উপজেলা যুব সংহতির সাবেক সাধারণ সম্পাদক মজিবুর রহমান, সিনিয়র সহ-সভাপতি আদিলাং মাহমুদ, জাতীয় ছাত্রসমাজ সিংগাইর উপজেলার সভাপতি মিলন মাহমুদ, সাধারণ সম্পাদক শিপন মাহমুদ প্রমুখ।

© JUGANTOR.COM
]]>
<![CDATA[পদের বিনিময়ে অর্থ লেনদেনের অভিযোগ, বাউফল বিএনপির ২ নেতাকে অব্যাহতি]]> https://www.jugantor.com/country-news/567122/পদের-বিনিময়ে-অর্থ-লেনদেনের-অভিযোগ-বাউফল-বিএনপির-২-নেতাকে-অব্যাহতি 567122 2022-06-27T22:42:50+06:00 বাউফল দক্ষিণ (পটুয়াখালী) প্রতিনিধি পদের বিনিময়ে অর্থ লেনদেনের অভিযোগ, বাউফল বিএনপির ২ নেতাকে অব্যাহতি

পদের বিনিময়ে অর্থ লেনদেনের অভিযোগ, বাউফল বিএনপির ২ নেতাকে অব্যাহতি

সারাদেশ

বাউফল দক্ষিণ (পটুয়াখালী) প্রতিনিধি

পটুয়াখালীর বাউফল উপজেলা বিএনপির আহবায়ক শাহজাদা মিয়া ও সদস্য সচিব অলিয়ার রহমানকে অব্যাহতি প্রদান করা হয়েছে।

রোববার রাতে পটুয়াখালীর জেলা বিএনপির আহবায়ক আবদুর রশিদ চুন্নু মিয়া ও সদস্য সচিব স্নেহাশু সরকার কুট্টি স্বাক্ষরিত এক আদেশে তাদের দুজনকে দলীয় পদ থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়।
 
সোমবার ওই আদেশের কপি শাহজাদা মিয়া ও অলিয়ার রহমানের হাতে পৌঁছে দেওয়া হয়। লিখিত আদেশে উল্লেখ করা হয়- সম্প্রতি দাসপাড়া ইউনিয়ন বিএনপির সদস্য সচিব পদপ্রার্থী সাইফুল ইসলাম ফিরোজের সঙ্গে পদের বিনিময়ে অর্থ লেনদেনের একটি অডিও ক্লিপ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়। ১৪ জুন উপজেলা বিএনপির আহবায়ক শাহজাদা মিয়া ও সদস্য সচিব অলিয়ার রহমানকে কারণ দর্শানো হয়। নির্ধারিত সময়ের মধ্যে কারণ দর্শানোর সন্তোষজনক জবাব না দেওয়ায় তাদের দুজনকে নৈতিক স্খলন ও দলীয় শৃঙ্খলা ভঙের কারণ দেখিয়ে অব্যাহতি প্রদান করা হয়।
 
দলীয় সূত্র জানায়, সম্প্রতি বাউফল উপজেলা বিএনপির ইউনিয়ন পর্যায়ের কমিটি অনুমোদনের প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়। দাসপাড়া ইউনিয়ন বিএনপির সদস্য সচিব পদপ্রার্থী সাইফুল ফিরোজের কাছে মুঠোফোনে ওই পদ পেতে শাহজাদা মিয়া ৫০ হাজার টাকা দাবি করেন। এ সময়  বিকাশ অ্যাকাউন্টে খরচসহ দ্রুত টাকা পাঠানোর জন্য তিনি সাইফুল ফিরোজকে নির্দেশ করেন। সাইফুল ফিরোজ ঢাকার ব্যবসায়ী। কমিটি অনুমোদনের জন্য দ্রুত ঢাকা যেতে হবে বলেও কথোপকথনে শাহজাদা মিয়া উল্লেখ করেন। তখন সাইফুল ফিরোজ আরও কয়েকজন নেতাকে দলীয় পদ পাইয়ে দিতে শাহজাদা মিয়াকে টাকা অফার করেন। ২ মিনিট ২৭ সেকেন্ডের অডিও ক্লিপে শেষ পর্যন্ত টাকা পাঠানোর সিদ্ধান্ত নিতে ৫ মিনিট সময় চেয়ে সাইফুল ফিরোজ সংযোগটি কেটে দেন।

এ ঘটনার দুই দিন পর একই প্রার্থীর কাছে টাকা দাবি করেন উপজেলা বিএনপির সদস্য সচিব অলিয়ার রহমান। এছাড়াও উপজেলা বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক আপেল মাহমুদ ফিরোজ পৌর বিএনপির সদস্য সচিব হুমায়ন কবিরকে পদের বিনিময়ে খাসি ও নগদ টাকা দেওয়ার উদাহরণ টেনে সাইফুল ফিরোজের কাছে টাকা দাবি করেন। এসব কথপোকথনের একাধিক অডিও ক্লিপ কয়েক দিন ধরেই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ঝড় তুলেছে। বিষয়টি নিয়ে দলীয় নেতাকর্মীদের মধ্যে অসন্তোষের সৃষ্টি হয়।
 
উপজেলা ছাত্রদলের সাবেক সাহিত্য বিষয়ক সম্পাদক শাহিন রেজা বলেন, বর্তমান আহবায়ক কমিটি যে বাণিজ্য করবে সেটা আমরা আগে থেকেই বলে আসছি। এ কমিটি দিয়ে বিএনপির ভবিষ্যৎ অন্ধকার। বিষয়টি জানার জন্য সাইফুল ফিরোজের মুঠোফোনে একাধিকবার কল করা হলেও তিনি রিসিভ করেননি।

উপজেলা বিএনপির আহবায়ক শাহজাদা মিয়া ও সদস্য সচিব অলিয়ার রহমান বলেন, এসব অডিও ক্লিপের ভয়েজ আমাদের না। দলের যারা ভালো চায় না তারা কেউ ষড়যন্ত্র করে এসব এডিট করে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে দিয়েছে। 

© JUGANTOR.COM
]]>
<![CDATA[দুর্গতদের ত্রাণের চাল ভাগ করে দেন চেয়ারম্যান!]]> https://www.jugantor.com/country-news/567121/দুর্গতদের-ত্রাণের-চাল-ভাগ-করে-দেন-চেয়ারম্যান 567121 2022-06-27T22:41:21+06:00 হবিগঞ্জ প্রতিনিধি দুর্গতদের ত্রাণের চাল ভাগ করে দেন চেয়ারম্যান!

দুর্গতদের ত্রাণের চাল ভাগ করে দেন চেয়ারম্যান!

সারাদেশ

হবিগঞ্জ প্রতিনিধি

হবিগঞ্জে বন্যা পরিস্থিতি অপরিবর্তিত রয়েছে। জেলার নিম্নাঞ্চলে লক্ষাধিক বাড়িঘর প্লাবিত হয়েছে। ইতোমধ্যে অন্তত ২০ হাজার মানুষ আশ্রয়কেন্দ্রে গিয়ে অবস্থান নিয়েছেন। আর কয়েক লাখ মানুষ গেছেন উঁচু জায়গায় স্বজনদের বাড়িতে।

এদিকে দুর্গত মানুষদের মধ্যে ত্রাণের চাল কম দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে বানিয়াচং উপজেলার দৌলতপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানসহ কয়েকজন জনপ্রতিনিধির বিরুদ্ধে। আর বাড়িঘর ছেড়ে যারা উঁচু জায়গায় অবস্থান করছেন তারা তো ত্রাণ পাচ্ছেনই না। এ নিয়ে ক্ষুব্ধ হয়ে উঠেছেন বন্যা এলাকার ক্ষতিগ্রস্ত মানুষজন।

এ ব্যাপারে বানিয়াচং উপজেলার দৌলতপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মঞ্জু কুমার দাস জানান, প্রয়োজনের তুলনায় ত্রাণের চালের বরাদ্দ একেবারেই অপ্রতুল। তাছাড়া একেকটি কেন্দ্রে গিয়ে দেখা যায় চালের ব্যাগ আছে ২০টি কিন্তু পরিবার ৪০টি, সেক্ষেত্রে দুইজনকে একটি দেওয়া ছাড়া কোনো উপায় থাকে না।

তিনি বলেন, যদিও এটি আইনবহির্ভূত তবুও নিরুপায় হয়েই আমাদের এভাবে বণ্টন করে দিতে হচ্ছে।

চাল কম দেওয়ার কথা স্বীকার করে ইউপি মেম্বার মিষ্ট লাল দাস জানান, আসলে আমরা পাই কম। কিন্তু বণ্টন করতে হয় বেশি। সেক্ষেত্রে এক প্যাকেট চাল কয়েকজনকে বণ্টন করেই দিতে হয়। এটি ছাড়া আর কোনো উপায় থাকে না।

আরেক ইউপি মেম্বার রাজু চন্দ্র দাশ জানান, কয়বার তার ইউনিয়নে ত্রাণের চাল বরাদ্দ দেয়া হয়েছে তা তিনি জানেন না। তবে একবার মাত্র চেয়ারম্যান তাকে ২০ বস্তা চাল বরাদ্দ দিয়েছিলেন। তিনি আর কোনো বরাদ্দ পাননি।

তিনি বলেন, আমি কয়েকবার চেয়ারম্যানকে বলেছি কতবার বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। কিন্তু তিনি বারবারই এড়িয়ে গিয়েছেন। বলেছেন মিটিং করে জানানো হবে।

বানিয়চং উপজেলার আড়িয়ামুগুর গ্রামের ক্ষতিগ্রস্ত পরেশ চন্দ্র দাশ বলেন, ১০ কেজি করে চাল দেওয়ার কথা থাকলেও আমাদের ৫ কেজি করে দিচ্ছে। একটি ব্যাগ ২ পরিবারকে দিচ্ছে।

বিকাশ দাস বলেন, এখানে সরকারি কোনো ওষুধপত্র এখানে আসেনি। শুনেছি ৪ টন চাল ইউনিয়ন পরিষদে বরাদ্দ এসেছে। কিন্তু মানুষ চাল পেয়েছে কম। একেকজনকে ২ কেজি থেকে ৫ কেজি পর্যন্ত দেয়া হয়েছে। আবার যারা বাড়িঘর ছেড়ে আশ্রয়কেন্দ্রে জায়গা না পেয়ে অন্যের বাড়িতে বা উঁচু জায়গায় গিয়ে উঠেছেন তারা কিছুই পাচ্ছেন না।

গীতা রানী দাস বলেন, আমরা ৮ দিন ধরে আশ্রয়কেন্দ্রে এসেছি। কিন্তু পেয়েছি আধা কেজি মুড়ি, আধা কেজি চিড়া, ৫ কেজি চাল দুই পরিবারে পেয়েছি। কিন্তু আমাদের একেক পরিবারে ১০-১২ জন মানুষ। এটিতে আমাদের পুষছে না।

উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মলয় কুমার দাস জানান, বানিয়াচং উপজেলায় ১৫টি ইউনিয়নে বণ্টনের জন্য এ পর্যন্ত ১২৫ মেট্রিক টন চাল বরাদ্দ এসেছে। দৌলতপুর ইউনিয়নে দেয়া হয়েছে ৬ মেট্রিক টন। আরও ৩ মেট্রিক টন চাল বরাদ্দ দেয়ার প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।

তিনি বলেন, বরাদ্দকৃত চাল প্রত্যেক পরিবারকে ১০ কেজির নিচে দেওয়ার কোনো সুযোগ নেই। ভাগ করে দেওয়ার কোনো সুযোগ নেই। যদি কেউ এমন করে আর সেটি প্রমাণিত হয় তবে ব্যবস্থা তো নেওয়াই হবে।

বানিয়াচং উপজেলার বন্যাকবলিত দৌলতপুর ইউনিয়নের গ্রামগুলো সরেজমিন ঘুরে দেখা যায়, হাওড়বেষ্টিত এই ইউনিয়নের ১৯টি গ্রামের সবই প্লাবিত হয়েছে। তবে দৌলতপুর, মুরাদপুর, আড়িয়ামুগুর, উমরপুর, করচা ও আলীপুর গ্রামের বন্যার অবস্থা বেশি খারাপ।

এ ইউনিয়নে সরকারিভাবে চাল এসেছে ৬ টন। এ চাল ১০ কেজি করে বণ্টনের কথা থাকলেও একেকটি পরিবারকে দেওয়া হচ্ছে ২ কেজি থেকে ৫ কেজি পর্যন্ত। কেউই সরকার নির্ধারিত পরিমাণ চাল পাননি। এ নিয়ে ক্ষোভের শেষ নেই ক্ষতিগ্রস্তদের মধ্যে। আবার সব ইউপি মেম্বার বরাদ্দের চাল পাওয়ার কথা থাকলেও অনেকেই তা পাননি।

© JUGANTOR.COM
]]>
<![CDATA[এক মাস আগে বিদেশ থেকে এসে বিয়ে করেছিলেন পদ্মা সেতুতে নিহত ফজলু]]> https://www.jugantor.com/country-news/567120/এক-মাস-আগে-বিদেশ-থেকে-এসে-বিয়ে-করেছিলেন-পদ্মা-সেতুতে-নিহত-ফজলু 567120 2022-06-27T22:40:39+06:00 যুগান্তর প্রতিবেদন, নবাবগঞ্জ এক মাস আগে বিদেশ থেকে এসে বিয়ে করেছিলেন পদ্মা সেতুতে নিহত ফজলু

এক মাস আগে বিদেশ থেকে এসে বিয়ে করেছিলেন পদ্মা সেতুতে নিহত ফজলু

সারাদেশ

যুগান্তর প্রতিবেদন, নবাবগঞ্জ

পদ্মা সেতুতে ঘুরতে গিয়ে মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় নিহত হন দুই বন্ধু মো. ফজলু (২৫) ও মো. আলমগীর হোসেন (২৫)। এদের মধ্যে ফজলু নববিবাহিত ছিলেন। এক মাস আগে তিনি বিয়ে করেন। কিন্তু স্ত্রীর মেহেদির রঙ মোছার আগেই চলে যেতে হলো তাকে।

ঢাকার নবাবগঞ্জ এলাকার এই দুই তরুণ রোববার সন্ধ্যায় পদ্মা সেতুতে মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় গুরুতর আহত হন। পরে তাদের উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে নিয়ে এলে রাত সাড়ে ১০টার দিকে চিকিৎসক মৃত ঘোঘণা করেন।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, যন্ত্রাইল হরিস্কুল গ্রামের ফজলু বিদেশে থাকতেন। এক মাস আগে দেশে এসে নবাবগঞ্জের কাউর গ্রামের মিম নামে এক তরুণীকে বিয়ে করেন তিনি।

আর আলমগীর এলাকায় মোটরসাইকেল মেরামতের কাজ করতেন, তার বাড়ি উপজেলার পশ্চিম সমসাবাদ এলাকায়। তার বাবা-মা দুজনেই অন্ধ। তাদের ভরণপোষণের দায়িত্ব ছিল আলমগীরের হাতেই।  

সোমবার দুই বন্ধুর লাশ তাদের গ্রামের বাড়িতে নেওয়া হলে এক হৃদয়বিদারক দৃশ্যের সৃষ্টি হয়। তাদের একনজর দেখার জন্য হাজার হাজার মানুষ ভিড় করেন। 

ফজলুর লাশ তার গ্রামে পৌঁছামাত্রই স্বজনদের বুকফাটা আহাজারি শুরু হয়। জন্মদাতা মা অজ্ঞান হয়ে পড়ে যান। স্ত্রী মিম কেঁদেই চলেছেন। কোনো সান্ত্বনাই তাকে শান্ত করতে পারছে না। 

অপরদিকে পশ্চিম সমসাবাদে আলমগীরের লাশ নেওয়া হলে স্বজনদের আহাজারিতে আকাশ বাতাস ভারি হয়ে উঠে। এ সময় এলাকাবাসী বলাবলি করছিলেন- ‘অন্ধ বাবা-মাকে এখন কে খাওয়াবে’। কারণ আলমগীরে অন্য তিন ভাই বাবা-মাকে ভরণপোষণ দেয় না। আলমগীর মোটরসাইকেল মেকার হিসেবে অন্যের দোকানে চাকরি করে বাবা-মাকে খাওয়াতেন। মাকে বলেছিলেন- বাড়িতে নতুন ঘর দিয়ে বিয়ে করবেন, কিন্তু ঘর আর দেওয়া হলো না।

© JUGANTOR.COM
]]>
<![CDATA[আইএমএএস এশিয়ান কুমিতে বিজিবির খেলোয়াড়দের অসাধারণ নৈপুণ্য]]> https://www.jugantor.com/corporate-news/567119/আইএমএএস-এশিয়ান-কুমিতে-বিজিবির-খেলোয়াড়দের-অসাধারণ-নৈপুণ্য 567119 2022-06-27T22:40:19+06:00 সংবাদ বিজ্ঞপ্তি আইএমএএস এশিয়ান কুমিতে বিজিবির খেলোয়াড়দের অসাধারণ নৈপুণ্য

আইএমএএস এশিয়ান কুমিতে বিজিবির খেলোয়াড়দের অসাধারণ নৈপুণ্য

কর্পোরেট নিউজ

সংবাদ বিজ্ঞপ্তি

ভারতের রাজস্থান, জয়পুরে অনুষ্ঠিত আইএমএএস এশিয়ান কুমিতে (মার্শাল আর্ট) প্রতিযোগিতা-২০২২ এ বাংলাদেশ জাতীয় দলের সদস্য হিসেবে অসাধারণ ক্রীড়া নৈপুণ্য প্রদর্শন করেছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) এর খেলোয়াড়গণ।
 
গত ১২-১৪ জুন ভারতের রাজস্থান, জয়পুরে ‘‘আইএমএএস এশিয়ান কুমিতে (মার্শাল আর্ট) প্রতিযোগিতা-২০২২’’ বাংলাদেশ, ভারত ও নেপালের মধ্যে অনুষ্ঠিত হয়।

প্রতিযোগিতায় বাংলাদেশ জাতীয় দল ৩টি স্বর্ণ, ৪টি রৌপ্য এবং ২টি তাম্রসহ সর্বমোট ৯টি পদক পেয়ে দলগত রানার আপ হওয়ার গৌরব অর্জন করে। তন্মধ্যে বাংলাদেশ জাতীয় দলের সদস্য হিসেবে বিজিবি’র খেলোয়াড়গণ ৬টি ওজন শ্রেণীতে অংশগ্রহণ করে (-) ৮৪ কেজি ওজন শ্রেণীতে নায়েক নূর হোসেন ১টি স্বর্ণ, (-) ৭৫ কেজি ওজন শ্রেণীতে সিপাহী আলমগীর হোসেন ১টি স্বর্ণ, (-) ৫৫ কেজি ওজন শ্রেণীতে সিপাহী জামিল আক্তার রতন ১টি স্বর্ণ পদক অর্জন করে।

এছাড়া (-) ৬৭ কেজি ওজন শ্রেণীতে সিপাহী শাহীন আলী ১টি রৌপ্য, (-) ৬০ কেজি ওজন শ্রেণীতে সিপাহী রুহুল আমিন ১টি রৌপ্য, (+) ৮৪ ওজন শ্রেণীতে সিপাহী মেহেদী হাসান ১টি তাম্র এবং ১টি একক কাতায় সিপাহী মোজাম্মেল হক ১টি রৌপ্যসহ সর্বমোট ৭টি পদক অর্জন করে।

বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)-এর মহাপরিচালক মেজর জেনারেল সাকিল আহমেদ, এসপিপি, এনএসডব্লিসি, এএফডব্লিউসি, পিএসসি ভারতের জয়পুরে অনুষ্ঠিত আইএমএএস এশিয়ান কুমিতে (মার্শাল আর্ট) প্রতিযোগিতায় ক্রীড়া নৈপুণ্য প্রদর্শনকারী ও পদক বিজয়ী বিজিবি’র খেলোয়াড়দের মাঝে পুরস্কার বিতরণ করেন। তিনি আন্তর্জাতিক ক্রীড়া পরিমন্ডলে দেশের পক্ষে অসাধারণ নৈপুণ্য প্রদর্শনের জন্য বিজিবি খেলোয়াড়দের ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন। এছাড়াও তিনি খেলোয়াড়দের দলগত সৌহার্দ্য ও সম্প্রীতি বজায় রেখে ভবিষ্যতে জাতীয় এবং আন্তর্জাতিক পর্যায়ে অধিকতর সাফল্য অর্জনের প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখার ব্যাপারে সকল খেলোয়াড় ও সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাবৃন্দকে নির্দেশনা প্রদান করেন।

© JUGANTOR.COM
]]>
<![CDATA[স্বপ্নের পদ্মা সেতুর উদ্বোধনে মোংলা বন্দরে বর্ণাঢ্য র‌্যালি]]> https://www.jugantor.com/corporate-news/567118/স্বপ্নের-পদ্মা-সেতুর-উদ্বোধনে-মোংলা-বন্দরে-বর্ণাঢ্য-র‌্যালি 567118 2022-06-27T22:39:06+06:00 সংবাদ বিজ্ঞপ্তি স্বপ্নের পদ্মা সেতুর উদ্বোধনে মোংলা বন্দরে বর্ণাঢ্য র‌্যালি

স্বপ্নের পদ্মা সেতুর উদ্বোধনে মোংলা বন্দরে বর্ণাঢ্য র‌্যালি

কর্পোরেট নিউজ

সংবাদ বিজ্ঞপ্তি

বহুল কাঙ্খিত পদ্মা সেতুর উদ্বোধনে উচ্ছসিত মোংলা বন্দর। একটি পদ্মা সেতু আর একটি বন্দর এবং সরাসরি ২১টি জেলার অর্থনৈতিক উন্নয়ন। তার মধ্যে সবচেয়ে বেশি অর্থনৈতিকভাবে ইতিবাচক প্রভাব পড়বে মোংলা বন্দরে। 

স্বপ্নের পদ্মা সেতু চালু হওয়ায় মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষ ২৬ জুন একটি আনন্দ র‌্যালির আয়োজন করে। র‌্যালিটিতে মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা অংশগ্রহণ করেন। র‌্যালিটি মোংলা বন্দরের প্রধান ফটক হতে শুরু করে বন্দরের বিভিন্ন স্থান পরিদর্শন শেষে স্বাধীনতা চত্বরের কাছে এসে শেষ হয়। 

র‌্যালি শেষে মোংলা বন্দরের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান কমডোর মোহাম্মদ আব্দুল ওয়াদুদ তর