মরক্কোকে যে কারণে কঠিন প্রতিপক্ষ ভাবছে স্পেন
স্পোর্টস ডেস্ক
০৬ ডিসেম্বর ২০২২, ১০:৩৫:৫০ | অনলাইন সংস্করণ
কাতার বিশ্বকাপে মরক্কো হলো এবারের 'সারপ্রাইজ প্যাকেজ'। আক্রমণ-রক্ষণ সব দিক মিলিয়ে বেশ ভারসাম্যপূর্ণ একটি দল। সেই ভারসাম্যের জোরেই বেলজিয়ামের সোনালি প্রজন্মকে বাড়ি পাঠিয়ে দিয়েছে তারা। গত বিশ্বকাপে রানার্সআপ হওয়া ক্রোয়েশিয়াকে টপকে গ্রুপের সেরাও হয়েছে 'অ্যাটলাস লায়ন্স'।
আজ স্পেন যে সহজে ছাড় দিচ্ছে না, সেটি নিশ্চিত করেই বলা যায়। এটি মাথায় রেখেই আজকের লড়াইয়ের প্রস্তুতি হিসেবে শিষ্যদের এক হাজার পেনাল্টি প্র্যাকটিস করিয়েছেন স্পেনের কোচ লুইস এনরিখে।
স্পেনের কোচের দুশ্চিন্তার আরও কারণ রয়েছে। বল পজিশনে অনেক এগিয়ে থাকলেও প্রথম ম্যাচ ছাড়া স্পেন কিন্তু প্রতিপক্ষের সীমানায় খুব বেশি আক্রমণ শানাতে পারেনি। জাপানের বিপক্ষে ২-১ গোলে পরাজিত হওয়া শেষ গ্রুপ ম্যাচে তো অসহায় ছিল স্পেন। তাদের 'তিকিতাকা' ম্যাচের শেষ দিকে বিরক্তিকর হয়ে উঠেছিল। জাপানের সীমানায় বলই নিয়ে যেতে পারছিল না তারা। তিকিতাকা অকার্যকর করে দেওয়ার জাপানি কৌশল নিশ্চিতভাবেই লক্ষ্য করেছেন মরক্কোর কোচ ওয়ালিদ রেগরাগুই। নিজেদের শক্তি অনুযায়ী কৌশল নেওয়ার ক্ষেত্রে এরই মধ্যে বুদ্ধিমত্তার পরিচয় দিয়েছেন ওয়ালিদ। আজও হয়তো জাপানিদের মতোই তিকিতাকাকে বোতলবন্দি করার কৌশলই নেবেন তিনি।
এনরিখের অধীনে স্প্যানিশদের সবচেয়ে পরিচিত কৌশল হলো, যত বেশি সময় পায়ে বল রাখা। যাতে করে প্রতিপক্ষ খুব বেশি আক্রমণ করার সুযোগই না পায়। তার পরও জার্মানি ও জাপানের বিপক্ষে ৩ গোল হজম করেছে তারা। বল পায়ে রেখে পাস করে খেলাটা স্প্যানিশদের পুরনো কৌশলই।
এ কৌশলেই তারা ২০১০ বিশ্বকাপ জিতেছিল, তখন দুটি ইউরোও জিতেছিল। তবে জাভি-ইনিয়েস্তাদের ওই সময়টুকু ছাড়া স্পেন তারকাসমৃদ্ধ দল নিয়েও সফলতা পায়নি। অবশ্য জাভি-ইনিয়েস্তার মতো আরও একটি জুটি এবার পেয়েছে স্পেন। গাভি-পেদ্রি টিনএজার জুটি স্বপ্ন দেখাচ্ছে স্পেনকে।
স্প্যানিশ ফুটবলারদের এসব কৌশলের সঙ্গে ভালোভাবেই পরিচিত মরক্কো। মরক্কোর প্রধান তারকা আশরাফ হাকিমির জন্মই মাদ্রিদে। পিএসজির এ তারকা উইংব্যাক রিয়াল মাদ্রিদে খেলেছেন। স্ট্রাইকার ইউসেফ এন-নেসেরি সেভিয়াতে খেলেন, গোলরক্ষক ইয়াসিন বোনোও সেভিয়াতে খেলেন। তাই স্প্যানিশদের বেশ ভালোমতোই চেনেন তারা। এটিই মরক্কোর অস্ত্র হতে পারে।
তার দল যে শক্ত প্রতিপক্ষের বিপক্ষে গোল খরায় ভুগতে পারে, সেটি স্পেন কোচ লুইস এনরিখেও ভালো করেই জানেন। গত বছর ইউরোতে এ সংকটে পড়েছিল তারা। কোয়ার্টারে সুইজারল্যান্ডকে পেনাল্টিতে হারালেও সেমিতে ইতালির কাছে স্পট-কিকে পরাজিত হয়েছিল তারা। যে কারণে এবার এক হাজার পেনাল্টি শট অনুশীলন করিয়েছেন এনরিখে। তিনি বলেন, এক বছর আগেই আমি স্পেনের ক্যাম্পে বলেছিলাম, এক হাজার পেনাল্টি মেরে তবেই বিশ্বকাপে যেতে হবে। ছেলেরা বাড়ির কাজটা ঠিকমতোই করেছে।
সম্পাদক : সাইফুল আলম, প্রকাশক : সালমা ইসলাম
প্রকাশক কর্তৃক ক-২৪৪ প্রগতি সরণি, কুড়িল (বিশ্বরোড), বারিধারা, ঢাকা-১২২৯ থেকে প্রকাশিত এবং যমুনা প্রিন্টিং এন্ড পাবলিশিং লিঃ থেকে মুদ্রিত।
পিএবিএক্স : ৯৮২৪০৫৪-৬১, রিপোর্টিং : ৯৮২৩০৭৩, বিজ্ঞাপন : ৯৮২৪০৬২, ফ্যাক্স : ৯৮২৪০৬৩, সার্কুলেশন : ৯৮২৪০৭২। ফ্যাক্স : ৯৮২৪০৬৬
E-mail: jugantor.mail@gmail.com
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
কাতার বিশ্বকাপে মরক্কো হলো এবারের 'সারপ্রাইজ প্যাকেজ'। আক্রমণ-রক্ষণ সব দিক মিলিয়ে বেশ ভারসাম্যপূর্ণ একটি দল। সেই ভারসাম্যের জোরেই বেলজিয়ামের সোনালি প্রজন্মকে বাড়ি পাঠিয়ে দিয়েছে তারা। গত বিশ্বকাপে রানার্সআপ হওয়া ক্রোয়েশিয়াকে টপকে গ্রুপের সেরাও হয়েছে 'অ্যাটলাস লায়ন্স'।
আজ স্পেন যে সহজে ছাড় দিচ্ছে না, সেটি নিশ্চিত করেই বলা যায়। এটি মাথায় রেখেই আজকের লড়াইয়ের প্রস্তুতি হিসেবে শিষ্যদের এক হাজার পেনাল্টি প্র্যাকটিস করিয়েছেন স্পেনের কোচ লুইস এনরিখে।
স্পেনের কোচের দুশ্চিন্তার আরও কারণ রয়েছে। বল পজিশনে অনেক এগিয়ে থাকলেও প্রথম ম্যাচ ছাড়া স্পেন কিন্তু প্রতিপক্ষের সীমানায় খুব বেশি আক্রমণ শানাতে পারেনি। জাপানের বিপক্ষে ২-১ গোলে পরাজিত হওয়া শেষ গ্রুপ ম্যাচে তো অসহায় ছিল স্পেন। তাদের 'তিকিতাকা' ম্যাচের শেষ দিকে বিরক্তিকর হয়ে উঠেছিল। জাপানের সীমানায় বলই নিয়ে যেতে পারছিল না তারা। তিকিতাকা অকার্যকর করে দেওয়ার জাপানি কৌশল নিশ্চিতভাবেই লক্ষ্য করেছেন মরক্কোর কোচ ওয়ালিদ রেগরাগুই। নিজেদের শক্তি অনুযায়ী কৌশল নেওয়ার ক্ষেত্রে এরই মধ্যে বুদ্ধিমত্তার পরিচয় দিয়েছেন ওয়ালিদ। আজও হয়তো জাপানিদের মতোই তিকিতাকাকে বোতলবন্দি করার কৌশলই নেবেন তিনি।
এনরিখের অধীনে স্প্যানিশদের সবচেয়ে পরিচিত কৌশল হলো, যত বেশি সময় পায়ে বল রাখা। যাতে করে প্রতিপক্ষ খুব বেশি আক্রমণ করার সুযোগই না পায়। তার পরও জার্মানি ও জাপানের বিপক্ষে ৩ গোল হজম করেছে তারা। বল পায়ে রেখে পাস করে খেলাটা স্প্যানিশদের পুরনো কৌশলই।
এ কৌশলেই তারা ২০১০ বিশ্বকাপ জিতেছিল, তখন দুটি ইউরোও জিতেছিল। তবে জাভি-ইনিয়েস্তাদের ওই সময়টুকু ছাড়া স্পেন তারকাসমৃদ্ধ দল নিয়েও সফলতা পায়নি। অবশ্য জাভি-ইনিয়েস্তার মতো আরও একটি জুটি এবার পেয়েছে স্পেন। গাভি-পেদ্রি টিনএজার জুটি স্বপ্ন দেখাচ্ছে স্পেনকে।
স্প্যানিশ ফুটবলারদের এসব কৌশলের সঙ্গে ভালোভাবেই পরিচিত মরক্কো। মরক্কোর প্রধান তারকা আশরাফ হাকিমির জন্মই মাদ্রিদে। পিএসজির এ তারকা উইংব্যাক রিয়াল মাদ্রিদে খেলেছেন। স্ট্রাইকার ইউসেফ এন-নেসেরি সেভিয়াতে খেলেন, গোলরক্ষক ইয়াসিন বোনোও সেভিয়াতে খেলেন। তাই স্প্যানিশদের বেশ ভালোমতোই চেনেন তারা। এটিই মরক্কোর অস্ত্র হতে পারে।
তার দল যে শক্ত প্রতিপক্ষের বিপক্ষে গোল খরায় ভুগতে পারে, সেটি স্পেন কোচ লুইস এনরিখেও ভালো করেই জানেন। গত বছর ইউরোতে এ সংকটে পড়েছিল তারা। কোয়ার্টারে সুইজারল্যান্ডকে পেনাল্টিতে হারালেও সেমিতে ইতালির কাছে স্পট-কিকে পরাজিত হয়েছিল তারা। যে কারণে এবার এক হাজার পেনাল্টি শট অনুশীলন করিয়েছেন এনরিখে। তিনি বলেন, এক বছর আগেই আমি স্পেনের ক্যাম্পে বলেছিলাম, এক হাজার পেনাল্টি মেরে তবেই বিশ্বকাপে যেতে হবে। ছেলেরা বাড়ির কাজটা ঠিকমতোই করেছে।