ক্রীড়া প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১৩ ডিসেম্বর ২০২৫, ১২:০৭ পিএম
জাহানারা আলম/ফাইল ছবি
|
ফলো করুন |
|
|---|---|
পাঁচ সদস্যের স্বাধীন তদন্ত কমিটির রিপোর্ট জমা দেওয়ার কথা ২০ ডিসেম্বর। বাংলাদেশ নারী ক্রিকেট দলের সাবেক নির্বাচক ও ম্যানেজার মঞ্জুরুল ইসলামের বিরুদ্ধে জাতীয় নারী দলের ক্রিকেটার জাহানারা আলমের আনা যৌন হয়রানির অভিযোগের পর এই তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। জাহানারা বৃহস্পতিবার লিখিতভাবে বিসিবির কাছে অভিযোগ জমা দিয়েছেন।
বিসিবির একটি সূত্র জানিয়েছে, জাহানারা যেসব অভিযোগ করেছেন বাস্তবে তার শক্ত প্রমাণ খুঁজে পাচ্ছে না তদন্ত কমিটি। দুপক্ষের সঙ্গে আলোচনা করে কমিটি রিপোর্ট জমা দেবে।
একজন কনটেন্ট ক্রিয়েটরের ফেসবুক লাইভে যৌন হয়রানির অভিযোগ করেন জাহানারা। পরে আরও কয়েকজন নারী ক্রিকেটারও একই অভিযোগ করেন। কেউ লিখিতভাবে বিসিবিকে জানাননি আগে। সবার সঙ্গে কথা বলছে তদন্ত কমিটি। জাহানারার অভিযোগ প্রমাণের জন্য যেসব তথ্য প্রয়োজন সেসবের শক্ত প্রমাণ পাচ্ছে না কমিটি।
এমনকি জাহানারা যে ১৩ পৃষ্ঠার চিঠি দিয়েছিলেন বিসিবিকে, সেখানেও সরাসরি কোনো ইঙ্গিত নেই। তদন্ত কমিটি সেসময়ের মাঠের ভিডিও ফুটেজ, ফোন কল ও চ্যাটিং অপশন থেকে তথ্য জোগাড়ের চেষ্টা করছে। জাহানারার কাছের খেলোয়াড়দের সঙ্গেও কথা বলছে কমিটি।
প্রথমে তিন সদস্যের কমিটি করা হলেও পরে আরও দুজনকে নেওয়া হয়। তদন্ত কর্মকর্তারা বুঝতে পারছেন, যাদের নামে অভিযোগ এসেছে, তাদের পরিবার সামাজিকভাবে চাপে রয়েছে। তারা সামাজিকভাবে সম্মানহানির শিকার হচ্ছেন। বিসিবি দ্রুত সমস্যার সমাধান চায়।
গত ৯ নভেম্বর তিন সদস্যের কমিটির আহ্বায়ক করা হয় সুপ্রিমকোর্টের আপিল বিভাগের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি তারিক উল হাকিমকে। এছাড়া বিসিবির একমাত্র নারী পরিচালক রুবাবা দৌলা ও সুপ্রিমকোর্টের জ্যেষ্ঠ আইনজীবী ব্যারিস্টার সারওয়াত সিরাজ শুক্লা কমিটির দুই সদস্য। ব্যারিস্টার সারওয়াত বাংলাদেশ উইমেন্স স্পোর্টস ফেডারেশনের সভানেত্রীও।
১২ নভেম্বর বিশিষ্ট আইনজীবী, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের সাবেক চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. নাইমা হক এবং বর্তমান বাংলাদেশ আইন কমিশনের সদস্য, ব্যারিস্টার মুহাম্মদ মুস্তাফিজুর রহমান খানকে কমিটিতে যুক্ত করা হয়।