সুনামগঞ্জ–৫
ছাতক (সুনামগঞ্জ) প্রতিনিধি
প্রকাশ: ১৩ ডিসেম্বর ২০২৫, ০১:১৭ পিএম
নিজ হাতে ব্যানার–ফেস্টুন ছিঁড়লেন ধানের শীষের প্রার্থী কলিম উদ্দিন আহমদ মিলন। ছবি: যুগান্তর
|
ফলো করুন |
|
|---|---|
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পর নির্বাচন কমিশনের জারি করা আচরণবিধির প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে সুনামগঞ্জ–৫ (ছাতক–দোয়ারাবাজার) নির্বাচনি এলাকায় লাগানো পোস্টার, ব্যানার ও ফেস্টুন নিজ হাতে অপসারণ করেছেন বিএনপির মনোনীত প্রার্থী কলিম উদ্দিন আহমদ মিলন।
শুক্রবার (১২ ডিসেম্বর) সন্ধ্যা থেকে গভীর রাত পর্যন্ত তিনি নিজেই বিভিন্ন এলাকায় ঘুরে এসব প্রচার সামগ্রী ছিঁড়ে ফেলেন।
কলিম উদ্দিন আহমদ মিলন বিএনপির কেন্দ্রীয় সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক, সুনামগঞ্জ জেলা বিএনপির আহ্বায়ক এবং তিনবারের সাবেক সংসদ সদস্য।
নির্বাচনি আচরণবিধি জারির পরপরই তিনি এই উদ্যোগ গ্রহণ করেন। এ সময় ভোটার ও সাধারণ মানুষের সামনে আচরণবিধি মেনে চলার বাস্তব উদাহরণ তুলে ধরে তিনি সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের পক্ষে নিজের অবস্থান স্পষ্ট করেন।
কলিম উদ্দিন আহমদ মিলন যুগান্তরকে বলেন, নির্বাচনি আচরণবিধি সবার জন্য সমান। আমি একজন প্রার্থী হিসেবে নিজে থেকেই এগিয়ে থাকতে চাই। তাই আচরণবিধি জারির সঙ্গে সঙ্গে আমার সব প্রচার সামগ্রী, লাইটিং, পোস্টার ও ফেস্টুন অপসারণের কাজ শুরু করেছি।
তিনি আরও বলেন, একটি সুন্দর ও সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য যে আইন-কানুন জারি হবে, তা আমাদের সবাইকে মানতে হবে। যেহেতু এটি রাষ্ট্রের আইন, নতুন আইন আমাদের অবশ্যই মানতে হবে।
তিনি জানান, ছাতক ও দোয়ারাবাজার—এই দুই উপজেলার যেসব স্থানে তার প্রচারণামূলক ব্যানার ও পোস্টার লাগানো ছিল, সেগুলো সব খুলে ফেলা হবে।
পাশাপাশি তিনি বলেন, যখন নির্বাচন কমিশন আনুষ্ঠানিকভাবে প্রচারণার অনুমতি দেবে, তখন সবাই নিয়ম মেনে পোস্টার, লিফলেট ও অন্যান্য প্রচার কার্যক্রম চালাতে পারবে। আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হওয়াই গণতন্ত্রের সৌন্দর্য।
তার এই উদ্যোগকে সাধুবাদ জানিয়েছেন স্থানীয় ভোটার ও সাধারণ মানুষ। তারা বলেন, নির্বাচনি আচরণবিধি মানতে একজন প্রার্থীর এমন দৃষ্টান্ত অন্য প্রার্থীদের জন্যও অনুকরণীয়। এতে নির্বাচনের পরিবেশ শান্ত ও শৃঙ্খলাপূর্ণ থাকবে বলে তারা আশা প্রকাশ করেন।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য মো. নজরুল ইসলাম, উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য আতাউর রহমান এমরান, নওসাদ আলী, আশাফুর রহমান এনাম, ইব্রাহিম আলী রাসেল, বিএনপি নেতা ও সাবেক ছাত্রনেতা আমিন উদ্দিন, জহির আহমদ, মমিন আহমদ, ফজর আলী, জিয়াউর রহমান, মুহিবুর রহমান মুহিব, জেলা ছাত্রদলের নেতা ইমন আহমদ, মাহবুবুর রহমানসহ বিএনপি যুবদল, ছাত্রদল ও অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা।