স্মরণীয়-বরণীয়

আ ন ম বজলুর রশীদ

Icon

প্রকাশ: ০৮ ডিসেম্বর ২০২৫, ১২:০০ এএম

প্রিন্ট সংস্করণ

শিক্ষাবিদ, নাট্যকার, কবি ও ঔপন্যাসিক আবু নঈম মোহাম্মদ বজলুর রশীদ ১৯১১ সালের ৮ মে ফরিদপুর শহরে জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতা হারুন-অর-রশীদ ছিলেন একজন আইনজীবী। তার মাতার নাম নছিমুননেসা। আ ন ম বজলুর রশীদ ১৯২৮ সালে ফরিদপুর জিলা স্কুল থেকে ম্যাট্রিকুলেশন পাশ করেন। তিনি ১৯৩১ সালে ইন্টারমিডিয়েট এবং ১৯৩৩ সালে রাজেন্দ্র কলেজ থেকে স্নাতক এবং ১৯৩৮ সালে ঢাকা টিচার্স ট্রেনিং কলেজ থেকে বিটি ডিগ্রি অর্জন করেন। পরে তিনি ১৯৫৪ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বাংলায় স্নাতকোত্তর পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন।

বজলুর রশীদ ১৯৩৪ সালে ঢাকা সরকারি মুসলিম উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষক হিসাবে কর্মজীবন শুরু করেন। ১৯৫৫ থেকে ১৯৭২ সাল পর্যন্ত তিনি ঢাকা টিচার্স ট্রেনিং কলেজে কর্মরত ছিলেন। তিনি ১৯৭৩-১৯৭৫ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে এবং ১৯৭৫-৮০ সালে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে ইংরেজি বিভাগে খণ্ডকালীন শিক্ষকতা করেন।

আ ন ম বজলুর রশীদ রচিত ‘আমাদের দেশ’ ছড়াটি শিশুদের কাছে বেশ প্রিয়। তার প্রকাশিত গ্রন্থগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য-কাব্যগ্রন্থ : পান্থবীণা (১৯৪৭), মরুসূর্য (১৯৬০), শীতে বসন্তে (১৯৬৭), রঙ ও রেখা (১৯৬৯), এক ঝাঁক পাখি (১৯৬৯), মৌসুমী মন (১৯৭০), মেঘ বেহাগ (১৯৭১), রক্ত কমল (১৯৭২); নাটক : ঝড়ের পাখি (১৯৫৯), যা হতে পারে (১৯৬২), উত্তরফল্গুনী (১৯৬৪), সংযুক্তা (১৯৬৫), ত্রিমাত্রিক (১৯৬৬), শিলা ও শৈলী (১৯৬৭), একে একে এক (১৯৭৬); উপন্যাস : পথের ডাল (১৯৪৯), নীল দিগন্ত (১৯৬৭); ভ্রমণ কাহিনী : দ্বিতীয় পৃথিবীতে (১৯৬০), পথ বেঁধে দিল (১৯৬০), দুই সাগরের দেশে (১৯৬৭); জীবনী : আমাদের নবী (১৯৪৬), আমাদের কবি (১৯৫১), রবীন্দ্রনাথ (১৯৬১), জীবন বিচিত্রা (১৯৬২), পাকিস্তানের সুফীসাধক (১৯৬৫), ইসলামের ইতিবৃত্ত (১৯৭২) ইত্যাদি।

আ ন ম বজলুর রশীদ পাকিস্তান সরকার কর্তৃক প্রদত্ত তমঘা-ই-ইমতিয়াজ (১৯৬৯), বাংলা একাডেমি সাহিত্য পুরস্কার (১৯৭৬) এবং ঢাকা বেতারের শ্রেষ্ঠ নাট্যকার ও শ্রেষ্ঠ গীতিকার পুরস্কারে ভূষিত হয়েছেন। তিনি ১৯৮৬ সালের ৮ ডিসেম্বর মারা যান।