টঙ্গীতে স্বজনদের উদ্যোগে বিশ্ব বন্ধু দিবস পালিত
যুগান্তর প্রতিবেদন
প্রকাশ: ১২ আগস্ট ২০২৫, ০৯:২২ পিএম
ছবি: যুগান্তর
|
ফলো করুন |
|
|---|---|
যুগান্তর স্বজন সমাবেশ টঙ্গী শাখা এবং শুচি পাঠচক্র ও পাঠাগারের উদ্যোগে পালিত হয়েছে বিশ্ব বন্ধু দিবস। এতে সভাপতিত্ব করেন স্বজন সমাবেশ টঙ্গী শাখার সভাপতি অলিদুর রহমান অলি।
আলোচনায় অংশ নেন ঢাকা সাব-এডিটর কাউন্সিলের সাবেক নির্বাহী সদস্য মো. মনসুর আহমেদ, বাদশাহ মিয়া অগ্রণী উচ্চ বিদ্যালয় অ্যান্ড কলেজের প্রধান শিক্ষক ও গাছা স্বজন সমাবেশের সভাপতি প্রদীপ দেবনাথ, সমাজকর্মী ও নারী উদ্যোক্তা স্বজন সখিনা আক্তার, টঙ্গী থানা প্রেস ক্লাবের সহ-সভাপতি মোহাম্মদ রোমান শেখ, টঙ্গী থিয়েটার সমন্বয় পরিষদের সাংগঠনিক সম্পাদক আতিক মুসাফির, শুচি পাঠচক্র ও পাঠাগারের সংগঠক কবি আতিক শাহরিয়ার, নাট্যপরিচালক মনজিল হাসান ও কবি ফুয়াদ সরকার।
স্বজনদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন- ইয়াছমিন আক্তার, জেসমিন কেয়া, শামীম রেজা, মাহবুব জুয়েল, আব্দুল মালেক প্রমুখ। অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করেন নাট্যভূমির প্রতিষ্ঠাতা ও দলপ্রধান শাহজহান শোভন।
মনসুর আহমেদ বলেন, সেই ছোটবেলা থেকেই আমরা বইপত্রে পড়ে আসছি ‘মানুষ সামাজিক জীব। এর কারণটি হলো মানুষ একা বসবাস করতে পারে না। মানুষ নিয়েই সমাজ গঠিত, আর সমাজেই বসবাস করে মানুষ। সমাজ ও মানুষ একে অপরের সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে জড়িয়ে আছে। তাই সমাজে বাস করতে হলে, প্রতিদিন কারও না কারও সহযোগিতা প্রয়োজন হয়। কাউকে না কাউকে আপন করতে হয়। একে অন্যকে আপন করে নেবার নামই বন্ধুত্ব। বন্ধুত্ব এমন একটি বন্ধন এতে থাকে স্বার্থহীন ভালোবাসা। পৃথিবীর অন্যতম নিষ্পাপ সম্পর্কের একটি হলো বন্ধুত্ব।’
প্রদীপ দেবনাথ বলেন, ‘মানুষ যুগ যুগ ধরে এই বন্ধুত্বকে উদযাপন করে আসছে। আমরাও আজ সে উদ্দেশে এখানে একত্রিত হয়েছি। এ অনুষ্ঠান যারা করেছেন তাদের আমি আন্তরিক ধন্যবাদ জানাই।’
অলিদুর রহমান অলি বলেন, ‘এ সময় মানুষ ফেসবুকের বন্ধুদের সঙ্গে চ্যাটিং করেন। আমরা বন্ধুকে আত্মার মানুষ মনে করি। বন্ধু তো বন্ধুর জন্য, তার জন্য সব করতে পারে।’
সখিনা আক্তার বলেন, ‘আমি বহু বছর ধরে নানা ধরনের সংগঠন করি। স্বজন সমাবেশ করতে পেরে নিজেকে গর্বিত মনে হচ্ছে। এ সংগঠনের মানবিক, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক কাজগুলো আমাকে মুগ্ধ করে। এখানে এসে আমি নতুন বন্ধু পাচ্ছি। তারা স্বার্থহীন ভাবে কাজ করেন। যেটা কিনা অন্য কোনো সংগঠনে আমি দেখি না। বন্ধু দিবসে সব বন্ধুদের শুভেচ্ছা জানাই।’
স্বজন জেসমিন কেয়া বলেন, ‘আজকের বন্ধু দিবসে আমার প্রিয় স্বজন বন্ধুরা আমার জন্মদিনে আমাকে মূল্যায়ন করার জন্য আমি খুবই আনন্দিত। বন্ধুত্বের এ ঋণ কোনো দিন শোধ করতে পারব না। আমি সবার প্রতি কৃতজ্ঞতা ও ভালোবাসা জানাই।’
আলোচনা ও আড্ডা শেষে স্বজন বন্ধু জেসমিন কেয়ার জন্মদিন উপলক্ষ্যে কেক কেটে তাকে শুভেচ্ছা জানান উপস্থিত স্বজনরা। কথা, কবিতা পাঠ ও সঙ্গীত পরিবেশনের মাধ্যমে শেষ হয় বন্ধু দিবসের বিশেষ এ আয়োজন।
