Logo
Logo
×

অর্থনীতি

‘ব্যাংকে আমানতের প্রবৃদ্ধি শক্তিশালী হলেও বেসরকারি ঋণে স্থবিরতা’

Icon

যুগান্তর প্রতিবেদন

প্রকাশ: ০২ ডিসেম্বর ২০২৫, ০১:১৬ এএম

‘ব্যাংকে আমানতের প্রবৃদ্ধি শক্তিশালী হলেও বেসরকারি ঋণে স্থবিরতা’

ব্যাংকে আমানতের প্রবৃদ্ধি শক্তিশালী থাকলেও বেসরকারি খাতে  ঋণ প্রবৃদ্ধিতে স্থবিরতা রয়েছে। এছাড়া খাদ্যমূল্য কমানোর ফলে সামগ্রিক মুদ্রাস্ফীতি একক অঙ্কে নেমে এসেছে। এদিকে বছরের পর বছর প্রবৃদ্ধি সত্ত্বেও রাজস্ব আদায় লক্ষ্যমাত্রা থেকে পিছিয়ে রয়েছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড। 

পরিকল্পনা কমিশনের সাধারণ অর্থনীতি বিভাগের (জিইডি) নভেম্বর মাসের ইকনোমিক আপডেট এন্ড আউটলুক প্রতিবেদনে এসব তথ্য তুলে ধরা হয়েছে। সোমবার  এটি প্রকাশ করে সংস্থাটি। 

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, রপ্তানিতে অস্থিরতা দেখা যাচ্ছে। তবে মাঝারি পুনরুদ্ধার আশা করা যাচ্ছে। 

আরএ বলা হয়েছে, খাদ্যমূল্য স্থিতিশীল হওয়া এবং সরবরাহ পরিস্থিতির উন্নতির সাথে সাথে মুদ্রাস্ফীতি হ্রাস পাচ্ছে। এছাড়া অভ্যন্তরীণ সরবরাহ শৃঙ্খলের ধীর স্থিতিশীলতা এবং আমদানিকৃত পণ্যের চাপ কম থাকার কারণে, ২০২৫ সালের অক্টোবরে সামগ্রিক মুদ্রাস্ফীতি ২০২৪ সালের অক্টোবরে ১০ দশমিক ৮৭ শতাংশ থেকে কমে ৮ দশমিক ১৭ শতাংশ।

অন্যদিকে, খাদ্য মূল্যস্ফীতি  ১২ দশমিক ৬৬ শতাংশ থেকে কমে অক্টোবরে হয়েছে ৭ দশমিক ০৮ শতাংশ। এ দিকে  বহির্ভূত মুদ্রাস্ফীতি সামান্য বৃদ্ধি পেয়ে ৯ দশমিক ১৩ শতাংশে দাঁড়িয়েছে, যা আবাসন, পরিবহন এবং স্বাস্থ্যসেবা ব্যয়ের উপর চলমান চাপের ইঙ্গিত দেয়।

খাদ্য খাতে, ২০২৫ সালের প্রথমার্ধে উচ্চমাত্রার চালের দাম কমতে শুরু করে। স্থানীয় বাজারে নতুন আমন ফসল আসতে শুরু করার সাথে সাথে আমদানি ও সরকারি ক্রয়ের ফলে দেশীয় মজুদ বৃদ্ধি পেয়েছে। 

এছাড়া সরকারের নানা কর্মসূচির ফলে, চালের দামের গড় খুচরা মূল্য হ্রাস পেয়েছে। সামগ্রিকভাবে চালের মূল্যস্ফীতি, ২০২৪ সালের জুলাই মাসে ১ দশমিক ৩২ শতাংশ থেকে বেড়ে ২০২৫ সালের মাঝামাঝি সময়ে প্রায় ১৬ শতাংশে পৌঁছেছে। এরপর  ২০২৫ সালের অক্টোবরে তা কমে ১৩ দশমিক ৭৭ শতাংশ হয়েছে। মাঝারি, মিহি এবং মোটা চালের ক্ষেত্রেও একই প্রবণতা দেখা গেছে: ২০২৫ সালের গোড়ার দিকে তীব্র বৃদ্ধি, তারপর আগস্টে বাজারে নতুন সরবরাহ আসার সাথে সাথে সামান্য মন্দা শুরু হয়।

আরও বলা হয়রছে, খাদ্য মূল্যস্ফীতির ক্ষেত্রে চাল এবং মাছ এখনও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে, অন্যদিকে সবজির দাম ঊর্ধ্বমুখী চাপ কমাতে সাহায্য করে।

অক্টোবর মাসে, মোট খাদ্য মুদ্রাস্ফীতির ৪৭ দশমিক ০১ শতাংশ ছিল চাল, যা সেপ্টেম্বরের তুলনায় সামান্য কম। মাছ (৩৯ দশমিক ৩৩ শতাংশ) এবং মাংস (১৩ দশমিক ৪৪ শতাংশ)।

Logo

সম্পাদক : আবদুল হাই শিকদার

প্রকাশক : সালমা ইসলাম