ধানের শীষের বিজয়ই আমার বিজয়: সাঈদ সোহরাব
মির্জাপুর (টাঙ্গাইল) প্রতিনিধি
প্রকাশ: ০৮ নভেম্বর ২০২৫, ০৬:০৯ পিএম
বক্তব্য রাখছেন সাঈদ সোহরাব। ছবি: যুগান্তর
|
ফলো করুন |
|
|---|---|
কেন্দ্রীয় বিএনপির সহ-সংস্কৃতিবিষয়ক সম্পাদক সাঈদ সোহরাব বলেছেন, ‘মনোনয়ন না পেলেও আমি দলের জন্য দিন-রাত কাজ করছি, করব। ব্যক্তিগত কিছু পাওয়ার আশায় রাজনীতি করি না। দলের প্রয়োজনে মাঠে আছি, থাকব। ধানের শীষ বিজয় হলেই আমার বিজয়।
শনিবার (৮ নভেম্বর) মির্জাপুর শহরের পোস্টকামুরী জহুরবাড়ী মোড় এলাকায় উপজেলা বিএনপির নেতাকর্মীদের নিয়ে মতবিনিময় সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নেতৃত্বে বাংলাদেশ বিনির্মাণে ধানের শীষের কোনো বিকল্প নেই। দেশের গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার, আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা এবং জনগণের ভোটাধিকার ফিরিয়ে আনতে বিএনপির ৩১ দফা এখন সময়ের দাবি। তাই দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানের নেতৃত্বে নতুন বাংলাদেশ বিনির্মাণে ধানের শীষের বিকল্প নেই।
আগামী নির্বাচনে ধানের শীষকে বিজয়ী করতে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ কাজ করতে হবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘তারুণ্যের প্রথম ভোট, ধানের শীষের পক্ষে হোক’ এই স্লোগান প্রতিটি ভোটারের কাছে পৌঁছে দিতে হবে।
সাঈদ সোহরাব বলেন, আমি মির্জাপুরের সন্তান, আপনাদের ভালোবাসা নিয়ে আগামী নির্বাচনে বিএনপির মনোনয়ন চেয়েছি। পরপর ৩ বার মনোনয়ন চেয়েছি, বারবার দল আমাকে বসিয়ে দিয়েছে। এবার দল আমাকে মনোনয়নের আশা দিয়েছে। বিএনপি চূড়ান্ত মনোনয়নের সময় আমাকে মনোনয়ন দিলে সবাইকে নিয়ে টাঙ্গাইল-৭ আসনটি দলকে উপহার দেব। বিএনপি পরিবারের সন্তান হিসেবে আমি আপনাদের দোয়া ও ভালবাসা চাই।
তিনি বলেন, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ২০২৩ সালের ১৩ জুলাই যে ৩১ দফা ঘোষণা করেছিলেন, তাতে নাগরিক অধিকার, আইনের শাসন, বৈষম্যহীন রাষ্ট্র ও গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠার অঙ্গীকার রয়েছে। এই বার্তাগুলো সাধারণ জনগণের মাঝে ছড়িয়ে দিতেই আমাদের এই উদ্যোগ।
সাঈদ সোহরাব জানান, দলমত নির্বিশেষে মানুষের ভালোবাসা পেয়েছি, এটাই আমার প্রাপ্তি। যদিও দল ২৩৭ আসনে প্রাথমিকভাবে মনোনয়ন দিয়েছে, চূড়ান্ত মনোনয়নে আমি আশাবাদী। নেতাকর্মীদেরে সঙ্গে নিয়ে বিএনপির জন্য ধানের শীষে ভোট চাইছি এবং ৩১ দফা কর্মসূচি প্রচার করছি।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন, পৌর বিএনপির যুগ্ম সম্পাদক সাজ্জাদ হোসেন দিপু, শরিফুল ইসলাম শামীম, উপজেলা বিএনপির স্বেচ্ছাসেবক বিষয়ক সম্পাদক তোজাম্মেল হোসেন প্রিন্স, উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সাবেক সভাপতি খন্দকার মোবারক হোসেন, উপজেলা কৃষক দলের সভাপতি জাহাঙ্গীর মৃধা, উপজেলা যুবদলের সাবেক যুগ্ম সম্পাদক মাসুদ শিকদার, উপজেলা ছাত্রদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক শপথ, কৃষক দলের সাবেক সদস্য সচিব আলী আজম খান উথান, উপজেলা যুবদল আহ্বায়ক কমিটির সাবেক সদস্য আলমগীর হোসেন, জামুর্কী ইউনিয়ন ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি খন্দকার রাজিউল মাতীন ধ্রুব প্রমুখ।
