ইবিতে সাংবাদিকদের মারধরের ঘটনায় তিন শিক্ষার্থী বহিষ্কার
ইবি প্রতিনিধি
প্রকাশ: ০৫ নভেম্বর ২০২৫, ১০:৩৫ পিএম
|
ফলো করুন |
|
|---|---|
ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে (ইবি) সাংবাদিকদের মারধরের ঘটনায় তিন শিক্ষার্থীকে সাময়িক বহিষ্কার করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। তাদের ৪র্থ বর্ষে দুই সেমিস্টারের জন্য বহিষ্কার করা হয়েছে।
একই সঙ্গে এ ঘটনায় অভিযুক্ত আরও নয় শিক্ষার্থীকে সতর্ক করেছে প্রশাসন।
বুধবার (৫ নভেম্বর) ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার অধ্যাপক ড. মনজুরুল হক স্বাক্ষরিত চার পৃথক অফিস আদেশে এ তথ্য জানা যায়। এর আগে গত ৩০ অক্টোবর বিশ্ববিদ্যালয়ের ২৭১তম সিন্ডিকেটে এসব সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।
বহিষ্কৃত শিক্ষার্থীরা হলেন- অর্থনীতি বিভাগের ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষের আফসানা পারভীন তিনা, নাহিদ হাসান ও রিয়াজ মোর্শেদ।
অন্যদিকে সতর্কবার্তা পাওয়া শিক্ষার্থীরা হলেন- বিভাগটির ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের ফরিদুল আলম পান্না, ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষের সৌরভ দত্ত, মিনহাজুল আবেদীন, সাব্বির হোসেন, সৌরভ হোসেন সজীব, ২০২২-২৩ শিক্ষাবর্ষের সাইফুল ইসলাম, মিল্টন মিয়া, মশিউর রহমান ও রাকিব হোসেন।
জানা যায়, গত ১২ জুলাই বিশ্ববিদ্যালয়ের ফুটবল মাঠে অর্থনীতি বিভাগের আন্তঃসেশন খেলায় মারামারিতে জড়ায় অর্থনীতি বিভাগের সিনিয়র ও জুনিয়ররা। এ সময় মারামারির ভিডিও করতে গেলে তিন ক্যাম্পাস সাংবাদিককে মারধর করে বিভাগটির শিক্ষার্থীরা। মারধরকালে ভুক্তভোগী এক সাংবাদিকের ফোন ছিনিয়ে নেওয়া হয়। ফোনটি ২২ ঘণ্টা পর উদ্ধার করে প্রক্টরিয়াল বডি। তবে রিসেট দিয়ে ফোনের সকল ডকুমেন্টস মুছে ফেলে অভিযুক্তরা।
এছাড়া সাংবাদিকদের মারধরের বিষয়টিকে ধামাচাপা দিতে নতুন ইস্যু তৈরির চেষ্টা করে অভিযুক্ত শিক্ষার্থীরা। এমনকি বিভাগের জুনিয়রদের দিয়ে জোরপূর্বক প্রক্টর বরাবর সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে ‘সন্ত্রাসী হামলা ও লাঞ্ছনার’ মিথ্যা অভিযোগ দায়ের করানো হয়; যা পরবর্তীতে অভিযোগপত্র জমা দেওয়া শিক্ষার্থীরা স্বীকার করে প্রত্যাহার করে নেন।
অফিস আদেশ অনুযায়ী, মারধর ও মারধর পরবর্তী ঘটনায় প্রত্যক্ষ ভূমিকা রাখায় আফসানা পারভীন তিনা, নাহিদ হাসান ও রিয়াজ মোর্শেদকে বহিষ্কার করা হয়েছে। অন্যদিকে এসব ঘটনায় বাকি শিক্ষার্থীদের পরোক্ষ ভূমিকা থাকায় ও সংশ্লিষ্টতা সীমিত হওয়ায় ভবিষ্যতে এ ধরনের ঘটনা যাতে আর না ঘটায় সেই বিষয়ে তাদের সতর্ক করা হয়েছে।
