বুয়েটে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি উৎসব ‘ইনোভার্স বাংলাদেশ ২০২৫’-এর প্রদর্শনী
যুগান্তর প্রতিবেদন
প্রকাশ: ১৬ নভেম্বর ২০২৫, ০৪:১৪ পিএম
বুয়েটে অনুষ্ঠিত হলো বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি উৎসব ‘ইনোভার্স বাংলাদেশ ২০২৫’। ছবি: যুগান্তর
|
ফলো করুন |
|
|---|---|
বেসরকারি সংস্থা হোয়াইটবোর্ড ইনিশিয়েটিভসের উদ্যোগে এবং বাংলাদেশ সরকারের আইসিটি ডিভিশনের সহায়তায় বুয়েটে অনুষ্ঠিত হলো বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি উৎসব ‘ইনোভার্স বাংলাদেশ ২০২৫’। বৃহস্পতিবার (১৩ নভেম্বর) সকাল ১০টায় দেশের অন্যতম বৃহৎ এই বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মেলার উদ্বোধন করেন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি (আইসিটি) বিভাগের সচিব শীষ হায়দার চৌধুরী।
রোবটিক্স, প্রোগ্রামিং, সায়েন্স অলিম্পিয়াড, ম্যাথ অলিম্পিয়াড, থ্রি মিনিটস রিসার্চ প্রেজেন্টেশন, ইনোভেশন এক্সপোসহ ১০টি ভিন্ন ভিন্ন প্রতিযোগিতার ১২৮ জন বিজয়ীকে পুরস্কার প্রদানের মধ্য দিয়ে শেষ হয় এই অনুষ্ঠান। সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী জনাব ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব। অন্যান্য অতিথির মধ্যে উপস্থিত ছিলেন- মিলিটারি ইনস্টিটিউট অফ সায়েন্স এন্ড টেকনোলজির কমান্ড্যান্ট মেজর জেনারেল মো. নাসিম পারভেজ, বাংলাদেশ একাডেমি অফ সায়েন্সেস এর সম্মানিত ফেলো এবং বিশিষ্ট বিজ্ঞানী ড. হাসিনা খান, বাংলালিংক এর ডেপুটি সিইও জহরাত আদিব চৌধুরী, সিটি ব্যাংকের সিনিয়র এক্সিকিউটিভ ভাইস প্রেসিডেন্ট তাহসিন হক এবং জুলাইয়ের শহীদ জাহিদুজ্জামান তানভীনের পরিজনবর্গ৷
সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে জনাব ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব বলেন, তথ্যপ্রযুক্তি ও গবেষণা খাতে তরুণদের অংশগ্রহণ এবং উদ্ভাবন বাড়াতে অন্তর্বর্তী সরকার শুরু থেকেই বিভিন্ন উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। হোয়াইটবোর্ড ইনিশিয়েটিভস এর এই আয়োজন সরকারের এ ধরনের উদ্যোগগুলোকে সফল করতে ভূমিকা পালন করবে।
দুইদিনব্যাপী এই উৎসবে ২২০০ জন প্রতিযোগী বিভিন্ন প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করে। বাংলাদেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের বাছাইকৃত ৪৫ টি প্রজেক্ট এবং ১৫ টি স্টার্টআপ নিয়ে সাজানো হয় ইনোভেশন এক্সপো। আয়োজকরা জানান, গত দুইদিন মিলিয়ে প্রায় ২০,০০০ জনসমাগম হয়েছে ইনোভেশন এক্সপো ঘিরে।
বাছাইকৃত ৪৫টি উদ্ভাবনী প্রজেক্ট থেকে সেরা ৩টি প্রজেক্ট পায় জুলাই শহীদ জাহিদুজ্জামান তানভীন স্মরণে শহীদ তানভীন ইনোভেশন এওয়ার্ড এবং ৩টি স্টার্ট আপ পায় ইনোভেঞ্চার্স ভল্ট এওয়ার্ড। আয়োজকরা জানান, বাংলাদেশের তরুণদের উদ্ভাবন ক্ষমতাকে বিশ্বব্যাপী জানান দেওয়াই এ ধরনের আয়োজনের মূল লক্ষ্য। প্রতিযোগিতা ও এওয়ার্ড ছাড়াও দুইদিনব্যাপী এই আয়োজনে শি-স্টেম ও নেদারল্যান্ডস এম্বাসির উদ্যোগে আয়োজিত হয় বিশেষ সেমিনার এবং স্কেচটক।
উল্লেখ্য, গত ১৪ই নভেম্বর আইসিটি ডিভিশনের সচিব শীষ হায়দার চৌধুরীর উদ্বোধন ঘোষণার মধ্য দিয়ে পর্দা ওঠে ইনোভার্স বাংলাদেশের। ১৩০টি স্কুল, কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের নিয়ে আয়োজিত এই উৎসবের উদ্বোধনী পর্বে অতিথি হিসেবে আরও উপস্থিত ছিলেন আইইউটির সাবেক ভিসি অধ্যাপক ড. ফজলে এলাহী, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বায়োমেডিক্যাল ফিজিক্স এন্ড টেকনোলজি ডিপার্টমেন্টের অনারারি প্রফেসর ও বিশিষ্ট বিজ্ঞানী খোন্দকার সিদ্দিক-ই-রব্বানী, আইসিটি ডিভিশনের এটুআই প্রোগ্রামের প্রকল্প পরিচালক মো. আবদুর রফিক, আইডিয়া প্রোগ্রামের প্রকল্প পরিচালক জনাব মর্তুজা জুলকার নাইন নোমান, শেরে বাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. আবুল হাসনাত মো. সোলায়মান।

