জাবিতে মিষ্টি উৎসবের পর খুনি হাসিনার প্রতীকী ফাঁসি কার্যকর
জাবি প্রতিনিধি
প্রকাশ: ১৭ নভেম্বর ২০২৫, ০৮:০৮ পিএম
ছবি: যুগান্তর
|
ফলো করুন |
|
|---|---|
জুলাই গণঅভ্যুত্থানে সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালের মৃত্যুদণ্ডের রায় ঘোষণার পর মিষ্টি উৎসব এবং খুনি হাসিনার প্রতীকী ফাঁসি কার্যকর করেছে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) শিক্ষার্থীরা।
সোমবার (১৮ নভেম্বর) আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১ রায় ঘোষণা করলে বিকাল সাড়ে ৪ টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের বটতলা এলাকায় কেন্দ্রীয় শিক্ষার্থী সংসদ’র (জাকসু) উদ্যোগে এই মিষ্টি উৎসব পালিত হয়। এরপর সেখানে হাসিনার প্রতীকী ফাঁসি কার্যকর করেন উপস্থিত শিক্ষার্থীরা।
মিষ্টি উৎসবে জাকসুর কেন্দ্রীয় নেতাদের পাশাপাশি বিভিন্ন হল সংসদের নেতৃবৃন্দ ও সাধারণ শিক্ষার্থীদের অংশ নিতে দেখা যায়। এসময় শিক্ষার্থীদের ‘এই মুহূর্তে খবর এলো, শেখ হাসিনার রায় হলো’, ‘দড়ি লাগলে দড়ি নে, শেখ হাসিনার ফাঁসি দে’, ‘ও মোদি ও মোদি, হাসিনাকে কবে দিবি’ প্রভৃতি স্লোগান দিতে দেখা যায়।
উপস্থিত শিক্ষার্থীরা দাবি করেন, শেখ হাসিনার ফাঁসির রায়ের মাধ্যমে জুলাইয়ে শহীদ ও আহত পরিবার এবং দেশের সাধারণ মানুষের আশা-আকাঙ্ক্ষার প্রতিফল ঘটেছে। অতিদ্রুত যেন শেখ হাসিনাকে দেশে এনে ফাঁসি কার্যকর করা হয় এই দাবি জানান শিক্ষার্থীরা।
এসময় জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের (জাকসু) সাধারণ সম্পাদক (জিএস) মাজহারুল ইসলাম বলেন, ‘গত সতেরো বছর আওয়ামী লীগ সরকার জনগণের উপর জুলুমতন্ত্র কায়েম করেছিল, জনগণের অধিকার কেড়ে নিয়েছিল। ক্ষমতায় টিকে থাকার জন্য মানুষ হত্যা ও গুম তাদের কাছে জায়েজ ছিল। তাদের হাজারো অপরাধের মধ্যে রয়েছে পিলখানা হত্যাকান্ড, শাপলা চত্বরের হত্যাকান্ড, আয়নাঘর, গুম, খুন এবং সর্বশেষ চব্বিশের জুলাই আন্দোলনে নির্বিচারে ছাত্র-জনতার হত্যাকাণ্ড। এসব বর্বরতার নির্দেশদাতা শেখ হাসিনার ফাঁসির রায় বাংলাদেশের রাজনৈতিক ইতিহাসে দৃষ্টান্ত হয়ে থাকবে।’
তিনি আরো বলেন, ‘আমরা আশা রাখছি অতিদ্রুত সময়ে এই রায় বাস্তবায়ন করা হবে।’
