মাইলস্টোনের শিক্ষার্থীদের ট্রমা কাটাতে ব্যতিক্রমী উদ্যোগ
যুগান্তর প্রতিবেদন
প্রকাশ: ২৮ আগস্ট ২০২৫, ১১:৪০ পিএম
|
ফলো করুন |
|
|---|---|
খেলার মাঠসহ পর্যাপ্ত জায়গাজুড়ে অবস্থিত রাজধানীর উত্তরার মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজ। কিছুক্ষণ পর-পরই এ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানটির ওপর দিয়ে বিমান উড়ে যায়।
কারণ, প্রতিষ্ঠানটির অদূরেই অবস্থিত দেশের সবচেয়ে বড় আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর। ২১ জুলাই দুপুরে এ প্রতিষ্ঠানের একটি ভবনে বিমান বিধ্বস্ত হয়। বিধ্বস্ত বিমানের বিধ্বংসী আগুন কেড়ে নেয় ৩৬ জনের প্রাণ।
এদিকে চিকিৎসাধীন শিক্ষার্থীদের এখনও আতঙ্ক তাড়া করে বেড়াচ্ছে। স্কুলে আসা শিক্ষার্থীদের কানে উড়োজাহাজের শব্দ এলেই আঁতকে ওঠে। বিমান দেখলেই দৌড়ে গিয়ে শ্রেণিকক্ষে আশ্রয় নেয়।
এমন পরিস্থিতিতে শিক্ষার্থীদের মানসিক চিকিৎসায় এগিয়ে এলো উত্তরা আধুনিক মেডিকেল কলেজ লোকাল কমিটি ও বাংলাদেশ মেডিকেল স্টুডেন্টস সোসাইটি।
এ দুই প্রতিষ্ঠানের চিকিৎসক ও সংশ্লিষ্টদের সমন্বয়ে শিক্ষার্থীদের মানসিক চিকিৎসা প্রদান করা হয়েছে। এমন মহানুভব উদ্যোগের জন্য প্রতিষ্ঠানটির শিক্ষার্থী, শিক্ষকসহ অভিভাবকরা কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছেন।
বৃহস্পতিবার সকালে উত্তরা দিয়াবাড়ী ক্যাম্পাসের মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজ প্রাঙ্গণে শুরু হওয়া এমন উদ্যোগের প্রশংসা করছেন সাধারণ মানুষও।
শিক্ষার্থীদের ট্রমা, দুঃস্বপ্ন, আতঙ্ক তথা পোস্ট-ট্রমাটিক স্ট্রেস ডিসঅর্ডার (পিটিএসডি) নিরসনে মেডিকেল শিক্ষার্থী ও চিকিৎসকদের সেবা প্রদান-কৌশলেরও প্রশংসা করছে শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা।
নিউরোসায়েন্স এবং সাইকিয়াট্রি হাব লিমিটেডের মেডিকেল অফিসার ও কোয়ালিটি অ্যাসুয়ারেন্স কো-অর্ডিনেটর ডা. লিসানুল হাসান বলেন, এমন ভয়াবহ দুর্ঘটনায় শিক্ষার্থীদের মনে স্বভাবতই আতঙ্ক বিরাজ করার কথা। আমরা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানটির প্রায় শতাধিক শিক্ষার্থীর মানো-সামাজিকসেবা দিয়েছি।
এছাড়া আকস্মিক দুর্ঘটনায় কীভাবে আহতদের দ্রুত ফাস্ট এইড (প্রাথমিক চিকিৎসাসেবা) দিতে হয় তা হাতে-কলমে শিখিয়েছি। এ কাজে আমাদের প্রায় ২০-২৫ জন চিকিৎসক-মেডিকেল শিক্ষার্থী সেবা প্রদান করছি।
কেউ পুড়ে গেলে, দুর্ঘটনার শিকার হলে কীভাবে প্রাথমিক চিকিৎসা প্রদান করতে হয়-এ বিষয়গুলোও শিক্ষার্থীরা আগ্রহ ও মনোযোগ সহকারে শিখেছে।
