Logo
Logo
×

রাজধানী

কড়াইল বস্তিতে অবৈধ গ্যাস সংযোগ উচ্ছেদে তিতাসের অভিযান

Icon

যুগান্তর ডেস্ক

প্রকাশ: ১৫ অক্টোবর ২০২৫, ০৯:৫৪ পিএম

কড়াইল বস্তিতে অবৈধ গ্যাস সংযোগ উচ্ছেদে তিতাসের অভিযান

ছবি: সংগৃহীত

তিতাস গ্যাস ট্রান্সমিশন অ্যান্ড ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেড গ্যাসের অবৈধ ব্যবহার শনাক্তকরণ ও উচ্ছেদ অভিযান অব্যাহত রেখেছে। নিয়মিত অভিযানের অংশ হিসেবে গত বৃহস্পতিবার (৯ অক্টোবর ২০২৫) মেট্রো ঢাকা বিক্রয় বিভাগ-৪ এর আওতাধীন গুলশান সংলগ্ন কড়াইল বস্তিতে অভিযান পরিচালনা করা হয়।

বিজ্ঞ নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. সিমন সরকারের নেতৃত্বে পরিচালিত এ অভিযানে উপস্থিত ছিলেন তিতাস গ্যাসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক প্রকৌশলী শাহনেওয়াজ পারভেজ। বৈরী আবহাওয়ার মধ্যেও তিনি অভিযান পরিদর্শন করেন, জরুরি নির্দেশনা প্রদান করেন এবং অবৈধ সংযোগবিরোধী জনসচেতনতামূলক প্রচারণা পরিচালনা করেন।

অভিযান চলাকালে দেখা যায়, কড়াইল বস্তির কিছু অসাধু ব্যক্তি পুকুরের পানির নিচ দিয়ে, এমনকি ম্যানহোলের ভেতর দিয়েও জিআই পাইপ, কয়েল পাইপ ও প্লাস্টিক পাইপ ব্যবহার করে অবৈধভাবে গ্যাস সংযোগ নিয়েছেন।

অভিযানে গুলশান-২ এলাকার একাধিক স্থানে এসব অবৈধ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়—

রোড-৩৪: এক গ্রাহকের সার্ভিস লাইন থেকে অবৈধ সংযোগ শনাক্ত করে ১০০ ফুট প্লাস্টিক পাইপ অপসারণ।

রোড-৩৩: অবৈধ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে আনুমানিক ২০০ ফুট পাইপ অপসারণ।

রোড-৩২: ৭০ ফুট প্লাস্টিক পাইপ অপসারণসহ সংযোগ বিচ্ছিন্ন।

রোড-২৩/সি: অবৈধ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে ১৩০ ফুট পাইপ অপসারণ।

এছাড়া গুলশান লেক ভিউ নামের একটি হোটেলে (গ্রাহক নং: ১২৮-২১৬২১) মিটারবিহীন আবাসিক রাইজার থেকে বাণিজ্যিকভাবে গ্যাস ব্যবহার করতে দেখা যায়। সেখানে ২৫ ঘনফুট ক্ষমতার ২টি স্টার বার্নার এবং ২১ ঘনফুটের ২টি ডাবল চুলা ব্যবহার করা হচ্ছিল—মোট ৯২ ঘনফুট পরিমাণে। এ ঘটনায় নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ৬০ হাজার টাকা নগদ জরিমানা আদায় করেন এবং অবৈধ সংযোগটি বিচ্ছিন্ন করা হয়। এ সময় ১টি রেগুলেটর ও ৫০ ফুট প্লাস্টিক পাইপ অপসারণ করা হয়।

অভিযানের অংশ হিসেবে গুলশান-মহাখালী সংলগ্ন গাওসুল আজম মসজিদ ও ১৫ নম্বর রোডের পুলিশ বক্সের পাশের সার্ভিস লাইন থেকেও কড়াইল বস্তিতে নেওয়া অবৈধ সংযোগ শনাক্ত করা হয়। এসব স্থানে প্রায় ১৫০ ফুট প্লাস্টিক পাইপ অপসারণ করা হয়েছে।

তিতাস গ্যাস কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, রাজধানীতে গ্যাসের অবৈধ সংযোগ চিহ্নিত ও বিচ্ছিন্ন করতে অভিযান নিয়মিতভাবে চলবে। প্রতিষ্ঠানটি জনসচেতনতা বাড়াতে এবং গ্রাহকদের বৈধ সংযোগ ব্যবহারে উৎসাহিত করতে প্রচারণাও চালিয়ে যাচ্ছে।

Logo

সম্পাদক : আবদুল হাই শিকদার

প্রকাশক : সালমা ইসলাম